Tag: bangla news

bangla news

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি খাস জমিতে রেস্তোরাঁ বানানোর অভিযোগে বিজেপির এক নেতাকে গ্রেফতার করে বিপাকে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জলপাইগু়ড়ির (Jalpaiguri) গজলডোবার ভোরের আলো থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। অভিযোগ উঠেছিল, সরকারি খাসজমি দখল করে রেস্তোরাঁ বানিয়েছেন ওই বিজেপি (BJP) নেতা। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের নির্দেশে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়। যদিও শুক্রবার উত্তম রায়কে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলার পর সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কাগজ বদলে জমি দখল করার অভিযোগে উত্তম রায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তম রায় রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদরি উত্তর মণ্ডলের প্রাক্তন সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী মায়ারানি রায় বিজেপির মহিলা মোর্চার জলপাইগুড়ি জেলার সম্পাদিকা।

     গ্রেফতারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (Jalpaiguri)

    রাজগঞ্জ ব্লক (Jalpaiguri) ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতেরে আধিকারিক সুখেন রায় বলেন, এই জমি আমরা পুলিশকে তদন্ত করে দেখতে বলেছিলাম। সরকারি নথিতে এই জমির আরও একজনের নাম মালিকানায় দেখা যাচ্ছে। কার জমি সেটা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছিল। আমরা পুলিশ গ্রেফতার করতে বলিনি। 

    রেস্তোরাঁ ভাঙতে এসেও কেন ফিরে গেল প্রশাসন?

    শুক্রবার সকালে রাজগঞ্জের (Jalpaiguri) বিডিও প্রশান্ত বর্মন, ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক সুখেন রায় বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে উত্তম রায়ের রেস্তোরাঁ ভেঙে জমি দখলে নিতে যান। সেই সময় উত্তম রায়ের ছেলে তাপস রায় বিডিওর হাতে তাঁদের জমির পাট্টা ও অন্যান্য নথিপত্র তুলে দেন। যা  দেখার পর রেস্তোরাঁ না ভেঙে বিডিও দলবল নিয়ে সেখান থেকে ফিরে যান।

    কী বলছেন বিজেপি নেতা ও তাঁর স্ত্রী?

    মায়ারানি রায় ও উত্তম রায় শুক্রবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আদালতের চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৩৫ বছর ধরে এই জমিতে বসবাস করছি। জমির পাট্টা রয়েছে। সেই কাগজ দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পেয়েছি। রান্নার গ্যাসের কমার্শিয়াল লাইন নিয়েছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসলে ভূমি দফতর বিষয়টি পুলিশকে দেখার কথা বলেছে। আর আমি বিজেপি করি। তাই, পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে তৃণমূলের কতটা দলদাস তা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, তাহলে শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মাকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তিনি সরকারি জমি দখল করে পুকুর,  বাগানবাড়ি বানিয়েছিলেন। তা ভেঙে দিয়ে পুলিশ প্রশাসন জমি উদ্ধার করে সরকারের সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। আমরা এই অন্যায়ের সুবিচার চায়।

    আরও পড়ুন: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বলছে বিজেপি?

    ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিধায়ক বিজেপির (BJP) শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, উত্তম রায়কে বিনা দোষে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা যতদূর যাওয়া যাবে। গজলডোবায়, শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর, অনেক বড় বড় নেতা সরকারি জমি দখল করে আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে পুলিশ কেন তাদের গ্রেফতার করে সেই সব জমি উদ্ধার করছে না?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা ১৫০ বছরের পুরনো, জানুন তার ইতিহাস

    Asansol: রানিগঞ্জের সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা ১৫০ বছরের পুরনো, জানুন তার ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল ৭ জুলাই, শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যে কয়েকটি ঐতিহ‍্যবাহী রথ ও রথের মেলা রয়েছে, তার মধ‍্যে অন‍্যতম রানিগঞ্জের (Asansol) সিয়ারসোল রাজবাড়ির রথযাত্রা। প্রায় ১৫০ বছরের প্রাচীন এই রথ। শুধুমাত্র একটি পুজো অর্চনা নয় বরং রানিগঞ্জ সহ সামগ্রিক খনি অঞ্চলের এক ঐতিহ‍্য মণ্ডিত সাংস্কৃতিক বহিঃপ্রকাশ। এখানে আশেপাশের জেলা থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি এখন চরম তুঙ্গে।

    কে প্রচলন করেছিলেন রথযাত্রা (Asansol)?

    কথিত আছে কয়লা শিল্পের প্রসারকে কেন্দ্র করে আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগে রানিগঞ্জের (Asansol) সিয়ারসোল অঞ্চলে হাজির হয়েছিলেন আলেকজাণ্ডার কোম্পানির অন‍্যতম কর্মচারী গোবিন্দ প্রসাদ পণ্ডিত। পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি সিয়ারসোল মৌজার জমির ব‍্যবস্থাপনা গ্রহণ করেন। ১৮৬০ সালে গোবিন্দ পণ্ডিত রানিগঞ্জের পুরানো রাজবাড়ি অঞ্চলে গোবিন্দ প‍্যালেস নির্মাণ করেন। যা বর্তমানে খণ্ডহরে পরিণত হয়েছে। গোবিন্দ পণ্ডিতের মেয়ে হরসুন্দরী দেবী ব্রিটিশরাজের পক্ষ থেকে মহারাণী উপাধি পেয়ে ১৮৭৭ সালে তাঁদের কুলদেবতা দামোদরচন্দ্র জিউ-এর পূজা অর্চনা উপলক্ষে রানিগঞ্জে রথযাত্রার প্রচলন করেন। তবে সেই সময় রথটি কাঠের নির্মিত ছিল। হরসুন্দরী দেবীর বিবাহ হয়েছিল সিঙ্গুরের মতিলাল মালিয়ার সাথে। সেই থেকে রানিগঞ্জে মালিয়া পরিবারের বসতি। হরসুন্দরী দেবীর সময়ে বানানো কাঠের রথটি পরবর্তী ক্ষেত্রে আগুন লেগে পুড়ে গেলে, ১৯২৩ সালে রাজা প্রমথনাথ মালিয়া কলকাতার এক সংস্থার মাধ‍্যমে নয়টি গম্বুজ বিশিষ্ট নবরত্ন মন্দিরের আদলে বর্তমানের পিতলের রথটি নির্মাণ করেন।

    ত্রিতল বিশিষ্ট রথ

    আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জের ত্রিতল এই রথটি (Rath Yatra of Searsole Rajbari) প্রায় ৩০ ফুট উঁচু ও ৮-১০টন ভারী। রথ যাত্রা উৎসবের পূণ‍্য তিথিতে রথের তৃতীয় স্তরে আরূঢ় হন রাজ পরিবারের কুল দেবতা দামোদরচন্দ্র জিউ। এরপরেই ভক্তগণ এই রথের দড়ি টেনে নিয়ে যান। যদিও বর্তমানে এই রথ লরির সাথে বেঁধে চালিত হয়। দূরদূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত সমাগম হন এই রথ যাত্রার মেলায়।

    আরও পড়ুনঃ কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতার ছোটভাইকে ‘প্রাণে মারার হুমকি’, শোরগোল

    আয়োজকদের বক্তব্য

    বিগত কুড়ি বছর ধরে রানিগঞ্জের (Asansol) এই ঐতিহ‍্যবাহী রথযাত্রা কর্মসূচি ও মেলার আয়োজন করে আসছে সিয়ারসোল স্পোর্টস এণ্ড কালচার‍্যাল সংস্থা। সংস্থার পক্ষ থেকে হৃদয়লাল চট্টোপাধ‍্যায় বলেছেন, “আগে এখানকার রথের মেলায় কৃষি ভিত্তিক সরঞ্জাম পাওয়া গেলেও বর্তমানে তার পরিমাণ কমে এসেছে। এর প্রধান কারণ কৃষি ভিত্তিক এলাকা বর্তমানে খনি শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। তবে রানিগঞ্জের ঐতিহ‍্য মণ্ডিত রথযাত্রা উপলক্ষ‍্যে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটে। রথযাত্রার (Rath Yatra of Searsole Rajbari) দিনগুলিতে প্রতিদিনই দামোদরচন্দ্র জিউ-এর পূজা অর্চনার ব‍্যবস্থা থাকে। এই মুহূর্তে রথযাত্রা আয়োজন উপলক্ষ‍্যে জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rath Yatra in Puri: রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভিড় নিয়ন্ত্রণই চিন্তা পুলিশের

    Rath Yatra in Puri: রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, ভিড় নিয়ন্ত্রণই চিন্তা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র একটা দিনের অপেক্ষা। রবিবার সারা দেশে পালিত হবে রথযাত্রা (Rath Yatra in Puri)। আগামী ৭ জুলাই পুরীতে রথযাত্রা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রৌপদী শনিবার চার দিনের ওড়িশা সফরে যাচ্ছেন। রবিবার তিনি পুরীতে থাকবেন। রথযাত্রা উপলক্ষে এমনিতেই পুরীতে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হয়। তার উপর থাকবেন রাষ্ট্রপতি। এখন নিরাপত্তাই চিন্তার কারণ ওড়িশা পুলিশের। 

    পুরীর নিরাপত্তা (Rath Yatra in Puri)

    রবিবার পুরীতে রথযাত্রা (Rath Yatra in Puri) উৎসবে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। ওড়িশা পুলিশের এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) তথা পুরীর রথযাত্রার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক সঞ্জয় কুমার শনিবার বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ সাম্প্রতিক হাথরসকাণ্ডের কথা মাথায় রেখে ভিড় নিয়ন্ত্রণে এবার বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বস্তুত, জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ ঘিরে গত কয়েক বছর ধরেই কড়া নিরাপত্তা থাকে পুরীতে। কেউ সহজে রথ ছুঁতে পারেন না। 

    আরও পড়ুন: ফের বিপাকে মহুয়া! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের

    লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম (Rath Yatra in Puri)

    প্রশাসন সূত্রে খবর, এবছর পুরীতে রথযাত্রা (Rath Yatra in Puri) উপলক্ষে লক্ষাধিক ভক্ত সমাগম হবে। পুরীর জেলা আধিকারিক বলেন, “এবারের রথযাত্রার বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। কারণ এবারেই নেত্রোৎসব, নবযৌবন উৎসব এবং রথযাত্রা এই তিন রীতিই একই দিনে পড়েছে। ফলে ভিড় অন্যবারের থেকে অনেকটা বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এই বছরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূও (President Draupadi Murmu) রথযাত্রা অনুষ্ঠানের দিন পুরীতে আসবেন। ফলে নিরাপত্তার বিষয়টি নজরে রাখতে হবে”। দ্রৌপদী একদা ওড়িশার রায়রংপুরের বিজেপি বিধায়ক ছিলেন। বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রীপদেও ছিলেন তিনি। সে সময় প্রায়শই তিনি জগন্নাথদেব দর্শনে যেতেন। ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরেও পুরীর মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন দ্রৌপদী। এবছর তিনি যোগ দেবেন রথযাত্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hepatitis: বর্ষার শুরুতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস! কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    Hepatitis: বর্ষার শুরুতেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস! কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগ বাড়ছে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। উত্তর থেকে দক্ষিণ, গোটা রাজ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। আর এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে হেপাটাইটিস। রাজ্যে বাড়ছে জন্ডিস আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে এই রোগের (Hepatitis) সংক্রমণ বাড়ছে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, আগাম সতর্কতা জরুরি। না হলে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

    কেন বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হেপাটাইটিস? (Hepatitis)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের সর্বত্র জল জমছে। বৃষ্টির জল জমে অধিকাংশ নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক জায়গায় পানীয় জলের পাইপেও ফাটল ধরছে। আর এর জেরেই বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। অপরিচ্ছন্ন জল থেকেই জন্ডিস বা হেপাটাইটিসের মতো গুরুতর রোগ হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই জল নিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না। আবার, খাওয়ার জলের পরিচ্ছন্নতাও বজায় রাখা যাচ্ছে না। ফলে লিভারের জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ছে‌। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক স্কুলে খাবার জল পরিশ্রুত থাকছে না। তাই স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে খাবার জল থেকেই মূলত জন্ডিসের (Jaundice) মতো রোগের সংক্রমণ হচ্ছে।

    কীভাবে রোগ নির্ণয় হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম পর্যায়েই রোগ নির্ণয় হলে বড় বিপদ এড়ানো যায়। কিন্তু হেপাটাইটিসের (Hepatitis) চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়ে গেলে, তা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, জন্ডিস হলে পেটে এক ধরনের ব্যথা অনুভব হয়। বমি হয়। আবার চোখ, হাত ও পায়ের তলার চামড়ায় হলদে ভাব দেখা যায়। অনেকের জ্বর হয়। পাশপাশি, পায়খানার রং আলকাতরার মতো কালো হয়‌। শরীর অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে পড়ে‌। খাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই থাকে না। রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর তার জেরেই লিভারে এই জটিল সমস্যা তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Hepatitis)

    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় জলের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিশ্রুত জল খেলে, বর্ষার একাধিক রোগের মোকাবিলা সহজ হয়। ভাইরাস ঘটিত রোগ হোক কিংবা হেপাটাইটিসের মতো জটিল অসুখ, যে কোনও সমস্যার উৎস, অধিকাংশ সময়েই দেখা যায় জল। তাই বর্ষায় জল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। পরিশ্রুত জল খাওয়া হচ্ছে কিনা, তার নজরদারি জরুরি। তাছাড়া, বাইরের রঙিন পানীয় একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই ওই রঙিন পানীয় থেকে নানান জলবাহিত রোগ (Hepatitis) হয়।

    তাছাড়া, খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। হালকা, সহজপাচ্য খাবার খেলে লিভার ভালো থাকে। তবে, জন্ডিস হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরল, তেলবিহীন, সহজপাচ্য খাবার হেপাটাইটিস আক্রান্তকে দিতে হবে। যাতে সহজেই হজম হয়, কিন্তু শরীরে রোগ (Jaundice) প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। দুর্বলতা সহজেই কাটে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam Maidams: সুপারিশ গেল ইউনেস্কোতে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে অসমের ‘পিরামিড’ অহম মায়দাম?

    Assam Maidams: সুপারিশ গেল ইউনেস্কোতে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে অসমের ‘পিরামিড’ অহম মায়দাম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভবত চলতি বছরের শেষেই অসমের মুকুটে জুড়তে চলেছে নয়া পালক। ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের (UNESCO World Heritage) মর্যাদা পেতে চলেছে অহম আমলের ‘মায়দাম'(Assam Maidams) বা সমাধিস্থল, সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। জানা গিয়েছে, ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানে অহম আমলের ‘মায়দাম’-কে সুপারিশ করেছে ফ্রান্সের সংস্থা আইসিওএসএমওএস (International Council on Monuments and Sites)। আর অসমের এই সমাধিস্থলগুলিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ফলে রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রচারের জন্য আরও ভালো তহবিল পাওয়া যাবে। এছাড়াও সরকারী ও আন্তর্জাতিক সহায়তার ফলে এই সমাধিস্থলগুলি সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতাও পাওয়া যাবে। 

    কী এই ‘মায়দাম’? (Assam Maidams) 

    অনেকটা পিরামিডের মতই আকার। এটি আসলে অহম রাজপরিবারের সমাধিস্থল। অসমে প্রায় ৬০০ বছর শাসন করেছিল অহম রাজবংশ। আজকের অসম আগে পরিচিত ছিল অহম হিসাবে। এবার সেই অহম রাজপরিবারের ‘কবরস্থান’ বা ‘মায়দাম’ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থান ( UNESCO World Heritage Site) তকমা পেতে চলেছে। অনেকে এটিকে আবার ‘অসমের পিরামিড’-ও বলে। বিশেষত ইট, পাথর বা মাটি দিয়ে তৈরি ফাঁপা খিলানের উপরে একটি ঢিবি তৈরি করে এই অষ্টভুজাকার সমাধিস্থলগুলি তৈরি করা হত। প্রাথমিকভাবে আসামের ছাড়াইদেও জেলায় এই সমাধিস্থলগুলি পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, ছাড়াইদেওতে ৯০ টিরও বেশি রাজকীয় সমাধির ঢিবির রয়েছে।  

    ইতিহাস

    উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ছাড়াইদেও জেলায়, অহম সাম্রাজ্যের ‘ঢিপি সমাধি ব্যবস্থা’ ( mound burial system) ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যশালী স্থানে তকমা পাওয়ার জন্য প্রথম তালিকাভুক্ত হয়। জানা গিয়েছে, ১২২৮ থেকে ১৮২৬ সাল পর্যন্ত অহম রাজারা অসমে রাজত্ব করেন। ৫৯৮ বছরের শাসনকালে এই বংশে রাজা হিসাবে সিংহাসনে বসেন ৩৯ জন। এরপর ১৮২৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে তাঁদের রাজত্বের অবসান হয়। 

    আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও মজবুত করার ডাক ভারত-অস্ট্রেলিয়ার

    মায়দাম সংরক্ষণের ব্যবস্থা  

    আইসিওএসএমওএস (ICOMOS) রিপোর্ট অনুসারে অসমের সমাধিস্থলগুলির (Assam Maidams) ঐতিহ্য সংরক্ষণের প্রচেষ্টার মূল্যায়ন করে ৩২১-পাতার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে এই সমাধিস্থলগুলি সংরক্ষণের জন্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত ভারী বৃষ্টিপাত, মাটির ক্ষয় এই সমাধিস্থলগুলির ধ্বংসের কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই সমাধিস্থলগুলির সংরক্ষণে মাটির ক্ষয় রোধ করার জন্য কাজ চলছে। উল্লেখ্য, অসমের এই সমাধিস্থলগুলকে মিশরীয় ফারাওদের পিরামিডগুলির সাথে তুলনা করা হয়। আর এবছর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান (UNESCO World Heritage) হিসেবে এই সমাধিস্থল নির্বাচিত হলে, আসামে তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান থাকবে। বাকি দুটি কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান এবং মানস জাতীয় উদ্যান। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamduni Rape: কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতার ছোটভাইকে ‘প্রাণে মারার হুমকি’, শোরগোল

    Kamduni Rape: কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতার ছোটভাইকে ‘প্রাণে মারার হুমকি’, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Rape) নির্যাতিতার ছোট ভাইকে। এমনটাই অভিযোগ তুলছেন নিপীড়িত পরিবার। এদিন পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, রীতিমতো কাজ করার জায়গায় গিয়ে দুষ্কৃতীরা নজরদারি চালাচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না, পুলিশ কার্যত নিষ্ক্রিয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    অভিযুক্তরাই হুমকি দিচ্ছে (Kamduni Rape)!

    কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডে চার জনকে ফাঁসি ও যাবজ্জীবনের শাস্তি থেকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য এবং কামদুনির নির্যাতিতার (Victim) পরিবার। গত বছর সুপ্রিম কোর্ট এই মুক্তির রায়ের উপর কিছু শর্ত আরোপ করেছিল। যার মধ্যে ছিল, অভিযুক্তরা নিজেদের গতিবিধি সম্পর্কে রাজারহাট থানাকে নিয়মিত জানাবে। একই ভাবে নির্যাতিতার পরিবারের (Kamduni Rape) সঙ্গে কোনও রূপ যোগাযোগ করতে পারবে না।

    পরিবারের ছোট ভাইয়ের অভিযোগ

    কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Rape) নির্যাতিতার (Victim) ছোট ভাইয়ের অভিযোগ, “আমাকে খুন করার ছক করা হচ্ছে। আদালত যাদের মুক্তি দিয়েছে তারাই এই কাজ করছে। একদিন কর্মস্থল, ক্ষুদ্র ও কুটীর শিল্প দফতর থেকে ফিরছিলাম, হঠাৎ শুনতে পাই আমি সামনেই আছি। লাঙলাপোতা মোড়ে লোকজন জড়ো করে ওই দিন আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। দুই-তিনজন আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে হুমকি দিচ্ছিল। এরপর আত্মীয়দের ডেকে, তাঁদের সাহায্যে বাড়িতে ফিরি। আবার লোকসভা ভোটের সময় আমাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, আমি ভোট দিতে গেলে আমাকে মারা হবে। কিন্তু ঘটনার বিবরণ জানিয়ে থানায় অভিযোগ করলে থানা থেকে জিডি নম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।” অপর দিকে কামদুনির (Kamduni Rape) প্রতিবাদী টুম্পা কয়াল জানিয়েছেন, “গত ২৩ জুন, আমার স্বামী বিশ্বজিৎ মণ্ডলের উপর হামলা করে কিছু দুষ্কৃতীরা। শনিবার বিকেলে আকন্দকেশরী সেতু থেকে ঘটনাস্থল পর্যন্ত পদযাত্রা করা হবে।”

    আরও পড়ুনঃসোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পুলিশের বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিধাননগর কমিশনারেটের অধীন নিউটাউনের উপ—নগরপাল মানব সিংলার দাবি, “পুলিশের কাছে সেই ভাবে হুমকির (Kamduni Rape) কোনও অভিযোগ নেই। এমন তো হওয়ার কথা নয়, রাজারহাট থানার সঙ্গে কথা বলব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: সোনারপুরে বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা, স্ত্রী-পুত্রকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পোলিং এজেন্টকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলার হাতে থেকে বাদ যাননি পোলিং এজেন্টের স্ত্রী এবং পুত্র। শনিবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরের চৌহাটি এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম গোবিন্দ অধিকারী। গোবিন্দের স্ত্রী নমিতা অধিকারী এবং পুত্র গৌরব অধিকারীও গুরুতর জখম হন। প্রথমে তিন জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এম আর বাঙুর হাসপাতালে। পরে, সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কুকুর মারা নিয়ে বিজেপি কর্মী গোবিন্দ অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সুভাষ দেবনাথের  ঝামেলা হয়েছিল। তারপর থেকেই তাঁদের মধ্যে তিক্ততা বৃদ্ধি পায়। শনিবারের রাজনীতির কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে, না এর সঙ্গে কুকুর নিয়ে ঝামেলার যোগ রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। শনিবার ভোর ৩টের পর বিজেপি কর্মীর বাড়িতে (South 24 Parganas) দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে এবং পুত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। বাড়িতে গোবিন্দের কন্যাও ছিলেন। তবে তাঁর ওপর হামলা হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আটক করা হয়েছে আক্রান্তদের প্রতিবেশী সুভাষ দেবনাথ এবং তাঁর পুত্র সুমিত দেবনাথকে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতা দেবনাথ চক্রবর্তী বলেন, “ভোটে গোবিন্দ আমাদের দলের পোলিং এজেন্ট হয়েছিলেন। আমাদের ওয়ার্ডে বিজেপি (BJP) এগিয়েও ছিল। যাঁরা গোবিন্দদের মেরেছেন, তাঁরা তৃণমূল করেন। সন্ত্রাস করতেই তৃণমূল হামলা চালিয়েছে।” অন্যদিকে,তৃণমূল কাউন্সিলর রাজীব পুরোহিত বলেন, “একটি কুকুর মারাকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছিল। সুভাষ দেবনাথের নামে গোবিন্দ অধিকারী মামলা করেছিল। সোনারপুর থানা বিষয়টি দেখেছে। শনিবার ভোরে আমার কাছে ফোন আসে গোবিন্দ এবং তাঁর পরিবারকে চপার দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে শুনেছি। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। দুই পরিবারের বিবাদ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ফের বিপাকে মহুয়া! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের 

    Mahua Moitra: ফের বিপাকে মহুয়া! তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে স্পিকারকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্ক তাঁর ছায়া সঙ্গী। আবারও অস্বস্তিকর মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra)। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে মানহানিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সরব হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন(NCW)। লোকসভার স্পিকারকে এই নিয়ে চিঠি লিখেছে তারা। মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আবেদন জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে।

    মহুয়ার মন্তব্য (Mahua Moitra)

    সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে হাথরসে পদপিষ্টের ঘটনাস্থল নিজের চোখে দেখতে গিয়েছিলেন এনসিডব্লিউ-র চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ৷ সেই ঘটনায় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে উদ্দেশ্য করে মহুয়া (Mahua Moitra) কটাক্ষ করে লেখেন, “তিনি তাঁর বসের পাজামা ধরে রাখতেই ব্যস্ত ৷” তাঁর এই মন্তব্যের নিন্দা করে সরব হয়েছে কমিশন (National Commission for Women)। তৃণমূল সাংসদের এই মন্তব্য একজন মহিলার মর্যাদা লঙ্ঘন করেছে বলে জাতীয় মহিলা কমিশনের অভিযোগ। এমনকী চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা নিজে এবিষয়ে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন ৷ পাশাপাশি দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরাকেও বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি ৷

    কমিশনের অভিযোগ (National Commission for Women)

    শুক্রবার এনসিডব্লিউ তাদের সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, “জাতীয় মহিলা কমিশন সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করছে ৷ তিনি এনসিডব্লিউ চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন ৷ বিকৃত মন্তব্যটি মহিলাদের সম্ভ্রম অধিকারকে খর্ব করে ৷ কমিশনের পর্যবেক্ষণ এই মন্তব্যটি ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৯ নম্বর ধারার আওতায় পড়ে ৷ এধরনের মানহানিকর মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করছে এনসিডব্লিউ এবং মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে ৷ আগামী তিন দিনের মধ্যে কী হয়, সেই বিস্তারিত রিপোর্ট কমিশনের হাতে আসবে ৷” জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women) চেয়ারপার্সনকে নিয়ে মহুয়ার (Mahua Moitra) মন্তব্যের নিন্দা করেছে বিজেপিও। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা মহুয়ার মন্তব্যকে লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মহুয়ার এই মন্তব্য তৃণমূল ও ইন্ডিয়া জোটের আসল মুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Success Story: ১৩ বছরে আইআইটি-জয়েন্টে উত্তীর্ণ, চব্বিশেই পিএইচডি! এক বিরল প্রতিভা, কে ইনি?

    Success Story: ১৩ বছরে আইআইটি-জয়েন্টে উত্তীর্ণ, চব্বিশেই পিএইচডি! এক বিরল প্রতিভা, কে ইনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি-জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষাকে দেশের মধ্যে অন্যতম কঠিন পরীক্ষা বলে গণ্য করা হয় (Success Story)। দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার স্বপ্ন কে না রাখে! তবে সুযোগ পায় ক’জন! প্রতিবছর কয়েক লক্ষ পড়ুয়া আইআইটির জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে মাত্র কয়েকশো জনই (Genius Tales) আইআইটিতে পড়ার সুযোগ পাযন। কঠিন এই পরীক্ষাতে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সফল হন বিহারের সত্যম কুমার। যাঁকে অঙ্কের জিনিয়াস বলেও ডাকা হয়। আজকে আমরা জানব সত্যম কুমারের প্রেরণাদায়ক যাত্রা (Success Story)।

    বিহারের ভোজপুর জেলার বাসিন্দা (Success Story)

    সত্যম কুমার আদতে বিহারের ভোজপুর জেলার বাসিন্দা। তাঁর পিতা পেশায় একজন কৃষক। সত্যম কুমার প্রথমবারের জন্য আইআইটি জয়েন্ট এন্টান্স পরীক্ষায় বসেছিলেন ২০১১ সালে। সেবারে তাঁর র‌্যাঙ্ক হয় ৮,১৩৭। এই র‌্যাঙ্কে সত্যম সন্তুষ্ট হন না। এর পর ফের একবার নতুন উদ্যমে শুরু করেন পড়াশোনা। কঠিন অধ্যাবসায়ের ফল মিলতে (Success Story) সময় লাগে মাত্র ১ বছর। ২০১২ সালেই সত্যম পুনরায় আইআইটি পরীক্ষায় বসেন এবং সে বছর তাঁর র‍্যাঙ্ক হয় ৬৭৯। ২০১২ সালে তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৩ বছর। সত্যমের এমন সাফল্যে অবাক হয়ে যায় সবাই। নিজের সাক্ষাৎকারে সত্যম কুমার জানিয়েছেন, প্রথমবার আইআইটিস এক্সামে যখন তিনি বসেছিলেন ১২ বছর বয়সে, তখন তাঁর র‌্যাঙ্ক নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই নতুন করে আবার সবকিছু পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে, আইআইটি কানপুরে তিনি ভর্তি হন। সেখান থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে একসঙ্গে বিটেক ও এমটেক সম্পন্ন করেন।

    মাত্র ২৪ বছর বয়সেই সম্পন্ন হয় তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি (Genius Tales)

    পরবর্তীকালে পিএইচডি করার জন্য পাড়ি দেন আমেরিকা। গবেষণা চালান ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস-এর ওপরে। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই সম্পন্ন হয় তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি। সত্যম কুমারের LinkedIn-এ প্রোফাইল রয়েছে। সেই প্রোফাইলে অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, InterDigital-এও তিনি রিসার্চ করেছেন। পরবর্তীকালে অ্যাপেল কোম্পানির ইন্টার্ন হিসেবেও কাজে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে তাঁর লক্ষ্য রয়েছে ফেসবুকের মতো সমাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলিকে আরও কীভাবে উন্নত করা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UEFA Euro 2024: ইউরো থেকে বিদায় রোনাল্ডোর, ছিটকে গেল জার্মানিও! সেমিতে ফ্রান্সের সামনে স্পেন

    UEFA Euro 2024: ইউরো থেকে বিদায় রোনাল্ডোর, ছিটকে গেল জার্মানিও! সেমিতে ফ্রান্সের সামনে স্পেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোয় অঘটন! ঘরের মাঠে স্পেনের কাছে হেরে চলতি ইউরো কাপের (UEFA Euro 2024) কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল আয়োজক জার্মানি। সবাই যখন টাইব্রেকারের প্রহর গুণছিল, ঠিক তখনই জ্বলে উঠলেন স্প্যানিশ তারকা মিকাইল মেরিনো। দানি ওলমোর দারুণ এক ক্রস থেকে অসাধারণ হেডে গোল করে দলকে সেমিফাইনালে তুললেন। অন্যদিকে ইউরো থেকে বিদায় নিল রোনাল্ডোর পর্তুগালও। এই ম্যাচে চেনা রোনাল্ডোর সেই ক্ষিপ্রতাই দেখতে পাওয়া গেল না। পাশাপাশি একাধিক গোলের সুযোগও মিস করলেন তিনি। শেষপর্যন্ত পেনাল্টি শ্যুট আউটে এই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়। পেনাল্টিতে রোনাল্ডো গোল করলেও , তা আর কাজে লাগেনি। ফ্রান্স ৫-৩ গোলে জয়লাভ করে এবং টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছে যায়। শেষ চারের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও স্পেন (France vs Spain)।

    স্পেন বনাম জার্মানি (UEFA Euro 2024)

    স্টুটগার্ট এরেনায় রুদ্ধশ্বাস এক কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্পেন। এদিন দু’দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলল। ড্যানি অলমোর গোলে স্পেন প্রথমে এগিয়ে গেলেও জার্মানি হাল ছাড়েনি। প্রথমার্ধে স্পেনের দাপট ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জার্মানি। দারুণ খেলে নির্ধারিত সময়ের শেষ মুহূর্তে এসে গোলও পেয়ে যায় তারা। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে সমতা ফেরান ফ্লোরিয়ান উইর্ৎজ। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১৮ মিনিটের মাথায় গোল করেন স্পেনের মিকেল মেরিনো। আর ফিরতে পারেনি জার্মানি। ঘরের মাঠে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। প্রথম থেকেই শারীরিক ফুটবল চলছিল। শুরুতে জার্মানির ফুটবলারেরা বেশ কয়েকটি কড়া ট্যাকল করেন। খেলার শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন স্পেনের ড্যানি কার্ভাহাল। জার্মানি প্রথম আয়োজক দেশ যারা ইউরোর (UEFA Euro 2024) কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে বিদায় নিল। 

    ফ্রান্স বনাম পর্তুগাল (UEFA Euro 2024)

    কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্স বনাম পর্তুগালের ম্যাচে নির্বিষ ফুটবলে ১২০ মিনিটেও কোনও গোল হল না। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে পর্তুগালকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে ইউরো কাপের (UEFA Euro 2024) সেমিফাইনালে উঠে গেল ফ্রান্স (France vs Spain)। এবারের মতো ইউরো কাপ শেষ হয়ে গেল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। তাঁর খেলা দেখে বোঝা গেল সিংহ এখন বুড়ো হয়েছেন। আর হয়তো ইউরোতে তাঁকে দেখাই যাবে না। গোটা ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেল না ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। একই রকম নিষ্প্রভ থাকলেন কিলিয়ান এমবাপেও। আদর্শ বনাম শিষ্যের দ্বৈরথ এই ম্যাচে আলোচ্য বিষয় ছিল। দু’জনেই একই রকম খেললেন। মন ভরাতে পারলেন না কেউই। এমবাপের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের পর তাঁকে তুলে নিলেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। ফলে টাইব্রেকারে শট মারা হল না এমবাপের। তবে টাইব্রেকারের সময়ে সতীর্থদের গোলে উল্লাস করলেন বার বার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share