Tag: bangla news

bangla news

  • Ranikhet: অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও হিমালয়ের রূপ দর্শন শৈলশহর রানিক্ষেতে যেন বাড়তি পাওনা!

    Ranikhet: অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও হিমালয়ের রূপ দর্শন শৈলশহর রানিক্ষেতে যেন বাড়তি পাওনা!

    নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের কুমায়ুন হিমালয়ের অন্যতম জনপ্রিয় শৈলশহর এবং পর্যটন কেন্দ্র রানিক্ষেত (Ranikhet)। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই রানিক্ষেত এক সময় ছিল চাঁদ বংশের রানি পদ্মিনীর অত্যন্ত প্রিয় স্থান। কারও কারও মতে, রানি পদ্মিনীর প্রিয় স্থান হওয়ায় স্থানের নাম হয়েছে রানিক্ষেত। আরও পরে বৃটিশদের হাত ধরে নতুন সাজে সেজে ওঠে এবং জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে ওঠে এই রানিক্ষেত। বর্তমানে কুমায়ুন রেজিমেন্টের সদর দফতর বসেছে এই রানিক্ষেতে। শান্ত, নির্জন, অমলিন পরিবেশের মধ্যে দুটি দিন থেকে এখানকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য Natural Beauty, হিমালয়ের রূপ দর্শন তো করবেনই, সঙ্গে দেখে নেওয়া যায় কুমায়ুন রেজিমেন্টের মিউজিয়ামটিও।

    সংগ্রহশালায় দেখার কী রয়েছে? (Ranikhet)

    এই সংগ্রহশালায় প্রদর্শিত হয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে ভারতের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধে ব্যবহৃত বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র, ভারত-চিন যুদ্ধে ব্যবহার হওয়া রাইফেল, ওয়্যারলেস সেট প্রভৃতি। রয়েছে বিভিন্ন কুমায়ুনী বাদ্যযন্ত্র, কুমায়ুনী মানুষজনের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিসপত্র। এই মিউজিয়াম খোলা থাকে প্রত্যেক সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা এবং বিকেল ৩ টে থেকে ৫ টা অবধি। রবিবার খোলা থাকে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা অবধি। বুধবার বন্ধ।

    আপেলের বাগান ও গবেষণা কেন্দ্র

    চৌবাটিয়া-শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে এই চৌবাটিয়াতে আছে আপেলের বাগান ও আপেল গবেষণা কেন্দ্র। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রীতিমতো মন ভরিয়ে দেওয়ার মতো। এখানে এলে একই সঙ্গে দেখে নেওয়া যায় এখান থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে ঝুলাদেবীর মন্দির (Ranikhet)। এই মন্দিরের আরাধ্যা দেবী হলেন মা দুর্গা। এছাড়াও রানিক্ষেত থেকে দেখে নেওয়া যায় শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত কালীমন্দির, ৬ কিমি দূরে হেরাথান মন্দির প্রভৃতি। আর রানিক্ষেতের অন্যতম আকর্ষণ এখানকার ভারতখ্যাত গল্ফ কোর্সটি।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Ranikhet)

    যাতায়াত-নৈনিতাল থেকে সরাসরি বাস আসছে রানিক্ষেতে। দূরত্ব প্রায় ৬০ কিমি। সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। এছাড়াও বাস আসছে হলদোয়ানি, কাঠগুদাম থেকেও। তবে সবচাইতে ভালো নৈনিতাল থেকে স্থানীয় প্যাকেজ ট্যুরে ঘুরে নেওয়া রানিক্ষেত, আলমোড়া, কৌশানি প্রভৃতি। রানিক্ষেতে (Ranikhet) থাকা-খাওয়ার জন্য রয়েছে কেএমভিএনের (KMVN) কয়েকটি ট্যুরিস্ট রেস্ট হাউস বা TRH। এগুলির মধ্যে রয়েছে ১)রানিক্ষেত (কালিকা) টিআরএইচ (ফোন-০৫৯৬৬-২২০৮৯৩) ২)রানিক্ষেত টিআরএইচ মোনাল (০৭৫৩৪০০১৭৩১) এবং ৩) রানিক্ষেত টিআরএইচ, চিলিয়ানওয়ালা (ফোন-০৫৯৬৬-২২০৫৮৮। এছাড়াও এখানে রয়েছে বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল ও লজ (Natural Beauty)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bharatiya Nyaya Sanhita: বদলাল ধর্ষণের সংজ্ঞা, বাড়ল সাজার মেয়াদ, নয়া আইনে মৃত্যুদণ্ড কোন অপরাধে?

    Bharatiya Nyaya Sanhita: বদলাল ধর্ষণের সংজ্ঞা, বাড়ল সাজার মেয়াদ, নয়া আইনে মৃত্যুদণ্ড কোন অপরাধে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ পয়লা জুলাই থেকে দেশে কার্যকর হয়ে গেল নয়া তিন আইন – ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (Bharatiya Nyaya Sanhita), ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। সংসদে পাশ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করায় বিলটি পরিণত হয়েছিল আইনে। লাগু হল আজ, সোমবার থেকে। নয়া আইন লাগু হওয়ায় অতীত হয়ে গেল আইপিসি।

    ধর্ষণের সংজ্ঞা (Bharatiya Nyaya Sanhita)

    নয়া আইনে বদলে গিয়েছে ধর্ষণের সংজ্ঞা। ব্রিটিশ আইনের ৩৭৫ ধারা থেকে ধর্ষণকে নিয়ে আসা হয়েছে নয়া আইনের ৬৩ নম্বর ধারায়। দুটো সংশোধনীও আনা হয়েছে। এর একটি হল ১৫ বছরের নীচের কোনও কিশোরী বিবাহিত হলেও ধর্ষণের মামলা দায়ের করতে পারবে।  ৬৪ নম্বর ধারায় ধর্ষণের শাস্তির কথা বলা হয়েছে। ব্রিটিশ আইনে ১৬ বছরের নীচে কোনও কিশোরীক ধর্ষণের সাজা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। নয়া আইনে বলা হয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স্কদের ধর্ষণের ক্ষেত্রেই শাস্তি দেওয়া হবে (৬৫ নম্বর ধারা, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ধর্ষণের সাজা)। ৬৫ (১) ধারা অনুযায়ী, ষোড়শ বর্ষীয়া কিংবা তার নীচের বয়সি কোনও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হলে দোষী ব্যক্তিকে ২০ বছর পর্যন্ত জেল খাটতে হতে পারে। ৬৫ (২) ধারায় বারো বছরের নীচের কোনও নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হল দোষী ব্যক্তিকে সাজা ভোগ করতে হবে অন্তত ২০ বছর। যাবজ্জীবন জেল হতে পারে। হতে পারে মৃত্যুদণ্ডও। ধর্ষিতার পুনর্বাসনের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে গুণতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানাও। এই জরিমানার মধ্যেই ধরা থাকবে নির্যাতিতার চিকিৎসার খরচও (Bharatiya Nyaya Sanhita)। জরিমানার টাকা তুলে দিতে হবে নির্যাতিতার হাতেই।

    আর পড়ুন: ‘‘দিদির বাংলা মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়’’, চোপড়া ইস্যুতে মমতাকে তোপ নাড্ডার

    বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ

    প্রতারণা করে কিংবা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করলেও ভোগ করতে হবে কড়া শাস্তি। এক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আইনে ‘ডিসিটফুল মিনস’ শব্দবন্ধ প্রয়োগ করা হয়েছে। চাকরির প্রতিশ্রুতি কিংবা প্রোমোশানের টোপ অথবা পরিচয় গোপন করে বিয়ে, এসবই পড়বে ডিসিটফুল মিনসের মধ্যে।

    গণধর্ষণ

    গণধর্ষণের ক্ষেত্রেও কড়া সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে (Bharatiya Nyaya Sanhita)। এক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ বছর থেকে আজীবন কারাদণ্ডের সাজার কথা বলা হয়েছে। যৌন হিংসার মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হবে তাঁরই বাড়িতে গিয়ে। বয়ান নথিবদ্ধ করা হবে একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। সাজার সঙ্গে সঙ্গে এ ক্ষেত্রেও বিধান রয়েছে জরিমানার। এই জরিমানার মধ্যেও ধরা থাকবে নির্যাতিতার চিকিৎসার যাবতীয় খরচখরচাও। ১৮ বছরের নীচের কোনও বালিকা ধর্ষণে সাজা হবে মৃত্যু কিংবা কারাদণ্ড।

    মহিলাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল ফোর্স এবং যৌন হেনস্থা

    মহিলাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল ফোর্স এবং যৌন হেনস্থার সাজা বিধানও করা হয়েছে নয়া আইনের ৭৩ থেকে ৭৭ নম্বর ধারায় (Bharatiya Nyaya Sanhita)। মহিলাদের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন, কুৎসিত ভাষা প্রয়োগ কিংবা অঙ্গভঙ্গীর ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রয়েছে ৭৮ নম্বর ধারায়। মহিলাদের বিরক্ত উৎপাদন করে এমন কোনও কাজ করলেও ভোগ করতে হবে কড়া সাজা। ক্রিমিনাল ফোর্স এবং যৌন হেনস্থার মামলায় বিচার হবে এসবের।

    বিবাহ সংক্রান্ত অপরাধ

    বিবাহ সংক্রান্ত নানা অপরাধের ক্ষেত্রেও সাজার বিধান রয়েছে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়। পণসংক্রান্ত মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে আসা হয়েছে নয়া আইনের ৭৯ নম্বর ধারায়। এই সব মামলার বিচার হবে ‘অফেনসেস রিলেটিং টু ম্যারেজ’ ব্যানারে। এ সংক্রান্ত সমস্ত আইন রয়েছে নয়া আইনের ৮০ থেকে ৮৪ নম্বর ধারায়। ৪৯৪ (স্বামী বা স্ত্রী বেঁচে থাকতে দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহণ) এবং ৪৯৫ (পূর্বের বিয়ে লুকিয়ে ফের বিয়ে করা) এই দুটিকে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে নয়া আইনের ৮১ নম্বর ধারায়। কোনও মহিলাকে অপহরণ, জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া কিংবা জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রয়েছে ৮৫ নম্বর ধারায়। নারী এবং শিশুদের ক্ষেত্রে এই জাতীয় অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার হবে এই ধারায়।

    গর্ভপাত

    নয়া আইনে জোর করে গর্ভপাত করা হলে কী শাস্তি হবে, তারও বিধান রয়েছে। গর্ভপাতের কারণ, মহিলার সম্মতি ব্যতিরেকে গর্ভপাত, জন্মের পর শিশুকে মেরে ফেলা কিংবা এমন কোনও কাজ করা যা শিশুর পৃথিবীতে আসা বন্ধ করে এসব ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান রয়েছে নয়া আইনের ৮৬ থেকে ৯০ নম্বর ধারায়।

    শিশু সুরক্ষা

    নয়া আইনে শিশুদের সুরক্ষায়ও রয়েছে নানা বিধান। বারো বছরের নীচের কোনও শিশুকে পরিত্যাগ এবং শিশু মৃত্যু গোপন করা বা মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলা সংক্রান্ত সাজার বিধান রয়েছে নয়া আইনের ৯১ ও ৯২ ধারায়। কোনও ব্যক্তি যদি ১৮ বছরের নীচে কোনও শিশুকে ভাড়া করে, কাজে লাগায় কিংবা তাকে দিয়ে কাজ করায়, তাহলেও সাজা ভোগ করতে হবে ওই ব্যক্তিকে। শিশুটির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হলেও, পেতে হবে কড়া শাস্তি। শিশুটি যৌন নিগ্রহের শিকার হলেও অপরাধীর সাজার বিধান রয়েছে। শিশুটিকে দিয়ে পর্নোগ্রাফি বানালেও ভোগ করতে হবে কড়া সাজা। অন্য কোনও ব্যাক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্কেও লিপ্ত করানো যাবে না শিশুটিকে। এসব ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাবাস করতে হতে পারে ১০ বছর পর্যন্ত। গুণতে হবে জরিমানাও। ১০ বছরের নীচে কোনও বাচ্চাকে অপহরণ করা হলেও, কড়া সাজা ভোগ করতে হবে। কারাবাস হতে পারে ৭ বছর পর্যন্ত, সঙ্গে দিতে হবে জরিমানাও। শিশু বিক্রি কিংবা পতিতার কাজে লাগানো হলে কী শাস্তি হবে, তার বিধান রয়েছে নয়া আইনের ৯৬ ও ৯৭ নম্বর ধারায় (Bharatiya Nyaya Sanhita)।

    প্রসঙ্গত, পয়লা জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত যে প্রায় সাড়ে চার কোটি মামলা দায়ের হয়েছে, সেগুলির বিচার হবে পুরানো আইনেই। পয়লা জুলাই থেকে যেসব অভিযোগ দায়ের হবে, সেগুলির বিচার হবে নয়া আইনে। নয়া আইনে এফআইআর থেকে শুরু করে আদালতে বিচার প্রক্রিয়া পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটিই সেরে নেওয়া যাবে অনলাইনে (Bharatiya Nyaya Sanhita)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজিরা দেননি বিজেপি কর্মীরা, বন্ধ করা হল রেশন, আরামবাগে শোরগোল

    Arambagh: তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজিরা দেননি বিজেপি কর্মীরা, বন্ধ করা হল রেশন, আরামবাগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি করার অপরাধে বেশ কয়েকজন কর্মীর রেশন বন্ধ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যে বঞ্চিত বিজেপি কর্মীরা মহকুমা শাসকের কাছে দরবার করেছেন।

    কেন বন্ধ করা হল রেশন? (Arambagh)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এলাকার তৃণমূলের নেতারা দাদাগিরি ফলাচ্ছেন। বিজেপি কর্মী পলাশ ঘোষ, রেনুপদ ধক ও ধীরেন ধককে তৃণমূলের দলীয় অফিসে ডাকা হয়। তাঁরা সেখানে না যাওয়ায় তাঁদের রেশন একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও অভিযোগ, বাড়ির মহিলারা রেশন আনতে গেলে তাঁদেরকে লাইন থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই পরিবারগুলি। বাড়ির বাইরে গেলে তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আরামবাগ মহকুমা (Arambagh) শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই। তিনি ওই ব্যক্তিদের বাড়িতে তাঁদের রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানান।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    রেশন ডিলার কী বললেন?

    রেশন ডিলার গোপাল কোলের অবশ্য দাবি, “তৃণমূলের (Trinamool Congress) নির্দেশে ২০-২৩ জনের রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আবার রেশন দেওয়া হয়। কিন্তু কোনওভাবে এই তিনজন রেশন থেকে বঞ্চিত থেকে গিয়েছে। তাঁরা দোকানে এলেই তাঁদের রেশন দিয়ে দেওয়া হবে।” যদিও এই ঘটনার পর থেকে ওই রেশন ডিলারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। তাঁকে নাকি গ্রাম ছাড়া করা হবে বলেই নিদান দেন তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। এই ঘটনায় ওই রেশন ডিলার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান।

    তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গৌরহাটি-১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান (Trinamool Congress) জ্যোৎস্নারা খাতুনও  বলেন, “রেশন বন্ধের বিষয়ে আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটা যদি সত্যি হয় আমি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের দল দেখে দেওয়া হয় না। এই সুবিধা সকলের প্রাপ্য।” তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী দলীয়ভাবে রেশন বন্ধের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jay Shah: রোহিত-বিরাটরা খেলবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি!  নয়া কোচ নিয়োগ নিয়ে কী বললেন জয় শাহ?

    Jay Shah: রোহিত-বিরাটরা খেলবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! নয়া কোচ নিয়োগ নিয়ে কী বললেন জয় শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়েই এই ফরম্যাটের ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। নতুন প্রজন্মের হাতে ব্যাটন তুলে দিতে চেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ভারতের ক্রিকেট অনুরাগীরা এই ঘোষণায় হতাশ। তাঁরা বিরাট-রোহিত জুটিকে একসঙ্গে বাইশ গজে দেখতেই পছন্দ করেন। এঁরাই তো এখন ভারতীয় ক্রিকেটের ইউএসপি। ভারতীয় সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বিসিসিআই সচিব জয় শাহ (Jay Shah) জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই ফের দুজনকে একসঙ্গে দেখা যাবে। তাঁরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও (Champions Trophy) খেলবেন। দ্রাবিড় পরবর্তী যুগে ভারতের নয়া কোচ প্রসঙ্গেও জানিয়েছেন জয়।

    খেলবেন সিনিয়ররা 

    বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পরই দেশের হয়ে আর টি-ক্রিকেটে খেলবেন না বলে জানিয়েছিলেন। রবিবার বিকেলে রবীন্দ্র জাডেজাও আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের মনে উঁকি দিয়েছে একটা প্রশ্ন, আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (Champions Trophy) কি খেলবেন বিরাট-রোহিত? এ নিয়ে জয় শাহ (Jay Shah) বলেন,  ‘আমি চাই ভারত সব খেতাব জিতুক। আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চও বেশ শক্তিশালী। বিশ্বকাপ জয়ী টিমের মাত্র ৩ জন ক্রিকেটার জিম্বাবোয়ে যাচ্ছে। যদি প্রয়োজন হয় আমরা তিনটে দল তৈরি করতে পারি। আমাদের টার্গেট বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেখানে একই রকম স্কোয়াড দেখা যেতে পারে। সিনিয়াররাও সেখানে থাকবে।’

    কবে কোচ নিয়োগ (Jay Shah) 

    ভারতীয় দলের পরবর্তী কোচ হওয়ার দৌড়ে গৌতম গম্ভীর এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিসিসিআইয়ের কোনও কর্তা অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি। পরবর্তী কোচ নিয়ে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটির (সিএসি) রিপোর্ট পেয়েছেন কর্তারা। বিসিসিআই সচিব বলেছেন, ‘‘নতুন কোচ এবং জাতীয় নির্বাচক নিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। সিএসি আগ্রহীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে দু’জনের নাম কোচ হিসাবে সুপারিশ করেছে। মুম্বই ফিরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব আমরা। আগামী জ়িম্বাবোয়ে সফরে কোচ হিসাবে দলের সঙ্গে যাবেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। তার পরের শ্রীলঙ্কা সফর থেকে দায়িত্ব নেবেন নতুন কোচ।’’বোর্ড সূত্রে খবর, সিএসি গম্ভীর ছাড়াও ডব্লিউভি রমনের নাম সুপারিশ করেছে।

    দ্রাবিড়ের প্রশংসা (Jay Shah) 

    জয় শাহ (Jay Shah) প্রশাসক এবং কোচ হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেটে দ্রাবিড়ের অবদানের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘রাহুল ভাই গত সাড়ে পাঁচ বছর ধরে ভারতীয় ক্রিকেটকে অন্য ভাবে সেবা করেছেন। তিনি তিন বছর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির পরিচালক ছিলেন এবং তার পরে গত আড়াই বছর ধরে তিনি টিম ইন্ডিয়ার প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি আমাকে বলেছিলেন যে, পারিবারিক প্রতিশ্রুতির কারণে তিনি পদত্যাগ করতে চান এবং আমরা ওঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আমি ওঁকে চুক্তি বাড়ানোর জন্য জোর করিনি।’ কোচ ছাড়াও একজন নির্বাচকের নিয়োগও শীঘ্রই করা হবে বলে জানিয়েছেন জয় শাহ।  

    আরও পড়ুন: বার্বাডোজে ‘বন্দি’ রোহিতরা! বন্ধ বিমানবন্দর,কী ভাবে ফিরবেন দেশে?

    টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক  কে

    টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রোহিত শর্মার অবসরের পর ভারতীয় দলের ব্যাটন কার হাতে থাকবে এ প্রসঙ্গেও নিজের অভিমত জানান শাহ (Jay Shah) । তিনি বলেন, ‘অধিনায়কত্ব ঠিক করবেন নির্বাচকরা, এবং আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পর নাম ঘোষণা করব। আপনারা হার্দিকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছেন, ওর ফর্ম নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল কিন্তু আমরা এবং নির্বাচকরা ওর উপর বিশ্বাস দেখিয়েছি এবং ও নিজেকে প্রমাণ করেছে।’টি২০-র অধিনায়কত্বের দৌড়ে রয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া, সূর্যকুমার যাদব, শুভমান গিল ও শ্রেয়স আইয়ার। এক্ষেত্রে হার্দিকের পালেই হাওয়া বেশি, বলে মনে করছে ক্রিকেট মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP MLAs Protest: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    BJP MLAs Protest: কোচবিহার-চোপড়া নিয়ে চাপে রাজ্য, বিধানসভায় ধর্না বিজেপির, রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের

    নিউজ ডেস্ক: চোপড়ার ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কোচবিহারের ঘটনায় বিধানসভায় (West Bengal Assembly) বিক্ষোভ অবস্থানের কথা আগেই জানানো হয়েছিল বিজেপির তরফে। আর এবার তার সঙ্গেই জুড়ে গিয়েছে চোপড়ার ঘটনাও। কোচবিহার এবং চোপড়ার ঘটনার প্রতিবাদে এবার বিধানসভার সামনে ধর্নায় বসলেন বিজেপির মহিলা বিধায়করা (BJP MLAs Protest)। বিজেপি বিধায়িকা তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে চলছে ধর্না কর্মসূচি। অন্য দিকে, চোপড়ার ঘটনায় রাজ্যের পরিস্থিতিতে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রের খবর, এই ঘটনায় নবান্নের স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।

    বিজেপির দাবি (BJP MLAs Protest)

    সোমবার সকালে বিধানসভার (West Bengal Assembly) গাড়ি বারান্দার সামনে বিক্ষোভে অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে বসেন শিখা চট্টোপাধ্যায়, চন্দনা বাউড়িরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শুরু হয় অবস্থান কর্মসূচি। প্ল্যাকার্ডে কোচবিহারের ঘটনার উল্লেখ করে নারী নির্যাতনকারীদের শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে ২০১১-র পর থেকে কতজন নারী নির্যাতনকারীর শাস্তি হয়েছে, তার জবাবও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চেয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় বিজেপির দাবি, শাসকদলের নেতৃত্বে রাজ্যে সন্ত্রাস চলছে। অবিলম্বে পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি (BJP MLAs Protest)। 

    কেন এই বিক্ষোভ? (West Bengal Assembly) 

    কোচবিহারের ঘটনা নিয়ে সোমবারই বিধানসভায় সরব হবে বিজেপি তা আগেই জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মতো বিধানসভায় ধর্না দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন বিজেপির মহিলা বিধায়কেরা। তবে সেই অনুমতি না মেলায় সোমবার সকালে বিধানসভার গাড়িবারান্দার সামনে বিক্ষোভে বসেন অগ্নিমিত্রা। এ প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা বলেন, “কোচবিহারে বিজেপির প্রতিনিধিদল যাওয়ার পর পুলিশ নির্যাতিতার বয়ান নিল। আর সেই ঘটনার পরেই আমরা দেখলাম চোপড়ায় তৃণমূল নেতা এক জন মহিলার উপর প্রকাশ্যে অত্যাচার করছেন। আমরা রাজ্যে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ধর্না (BJP MLAs Protest) অবস্থান করছি।”

    অন্যদিকে এদিনের নির্দিষ্ট কর্মসূচির আগেই বরানগরের জয়ী প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় আর ভগবানগোলার জয়ী প্রার্থী রেয়াত হোসেন সরকাররা বিধানসভায় (West Bengal Assembly) আম্বেদকর মূর্তির নীচে এসে ধর্নায় বসে যান। 
    এরপরেই বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খোলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার কাণ্ডে বিজেপি বিধায়কদের ধর্না প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্পিকার বলেন, “অনুমতি ছাড়া বিজেপি বিধায়করা (BJP MLAs Protest) বিক্ষোভ করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়ক আগে আবেদন করেছিলেন তাই ওদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি ওদের (বিজেপি) অনুমতি দিইনি। কেন বসেছে জানি না। ব্যবস্থা নেওয়া যায় কী ভাবে, দেখছি। মার্শালকে বলব বিষয়টি দেখতে। আজ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিন। আজকের দিনে মাল্যদান অনুষ্ঠানে না এসে ওনারা ধর্না করছেন।”

    আরও পড়ুন: লোনাভালার জলপ্রপাতে ভেসে গেলেন একই পরিবারের ৭ জন! প্রকাশ্যে ভিডিয়ো

    আগে কী ঘটেছিল?  

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। এ বার সেই সঙ্গে জুড়ল চোপড়ার ঘটনা। রবিবার দুপুরেই তৃণমূলের চোপড়ার (Chopra) নেতা তাজম্মুল ওরফে ‘জেসিবি’র একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় এক তরুণীকে রাস্তার মধ্যে ফেলে এক ছড়া কঞ্চি দিয়ে বেধড়ক মারছেন জেসিবি। মার খেতে খেতে গুটিয়ে যাওয়া মেয়েটিকে চুলের মুঠি ধরে টেনে এনে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলা হচ্ছে। তার পরে আবার শুরু হচ্ছে মার। একই সঙ্গে এক তরুণকেও একই ভাবে মারতে দেখা যায়। ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    Land Encroachment: চন্দ্রকোনায় সরকারি খাসজমি দখলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল (Land Encroachment) করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক করে দিয়েছিলেন উচ্ছেদের নির্দেশ। অথচ শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। এই আবহের মধ্যে মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় সরকারি খাস জমি-সহ একটি কবরস্থান দখলের অভিযোগ উঠেছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেই। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ (Land Encroachment)

    গত শুক্রবার কবরস্থান দখলের অভিযোগে এলাকায় ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। এরপর এলাকার মানুষ জমিতে বেড়া দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। তাঁদের অভিযোগ, ওই জমি সরকারি খাতায় করবস্থান বলে পরিচিত। কিন্তু এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার মদতে এই জমি রায়তি বলে রেকর্ড করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। জমি কেলেঙ্কারির (Land Encroachment) অভিযোগে অভিযুক্ত এই নেতাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জমির শ্রেণী পরিবর্তন করায় ভূমি দফতরের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বিডিও উৎপল পাইক বলেছেন, “কবরস্থানটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” আবার চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্রের বক্তব্য, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করবে। দখল করা সরকারি জমি (Land Encroachment) পুনরুদ্ধার করা হবে।”

    কবর স্থানের মোট জমি ৩৬ শতক (Land Encroachment)

    চন্দ্রকোনা (Chandrakona) পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের নরহরিহরি মৌজায় নির্দিষ্ট একটি দাগের ৩৬ শতক জমি কবরস্থান বলে উল্লেখ করা ছিল। সেটি বহু আগে থেকেই এলাকায় কবরস্থান নামে পরিচিত। কিন্তু মাত্র একবছর আগে এই জমি দখল (Land Encroachment) হয়ে যায়। একই ভাবে চন্দ্রকোনা শহরের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া নির্দিষ্ট একটি দাগের মোট ২৮৪ শতক জমি ঘেরা হয়েছিল। এর মধ্যে একটা বড় অংশ রায়ত জমি এবং তার সঙ্গে সরকারি জমিও রয়েছে। রাতারাতি রায়তের ৩৬ শতক কবরস্থান, ডাঙা বাঁশ বাগান হিসাবে দখল করে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    জেলা ভূমি দফতরের বক্তব্য

    জেলা ভূমি দফতরের একপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, “অভিযোগ ইতিমধ্যেই আমরা পেয়েছি। তদন্ত শেষ হলে তবেই বলা যাবে কতটা জমি দখল (Land Encroachment) হয়েছে। সবটা উদ্ধার করা হবে। জমি পরিবর্তনের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখব।” আবার তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষ বলেছেন, “এই জমি দখলের খবর রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। দলীয় ভাবে তদন্ত করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘‘দিদির বাংলা মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়’’, চোপড়া ইস্যুতে মমতাকে তোপ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘দিদির বাংলা মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়’’, চোপড়া ইস্যুতে মমতাকে তোপ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় সালিশি সভার নামে যে ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে নিন্দায় সরব হয়েছে গোটা দেশের সভ্য সমাজ। ইতিমধ্যে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে গেরুয়া শিবিরও। এই ঘটনায় এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। তাঁর (JP Nadda) দাবি, ‘‘দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।’’

    তৃণমূলের ক্যাডার ও বিধায়করা জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন, মত নাড্ডার (JP Nadda)

    সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে জেপি নাড্ডা (JP Nadda) লেখেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের একটি ভয়ঙ্কর ভিডিও সামনে এসেছে। নৃশংসতায় চরমে। অথচ তৃণমূলের ক্যাডার ও বিধায়করা সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন। সন্দেশখালি হোক বা উত্তর দিনাজপুর বা অন্য কোনও জায়গা, দিদির পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য নিরাপদ নয়।’’

    বিতর্কিত মন্তব্য বিধায়ক হামিদুলের 

    চোপড়ার (Chopra) ঘটনায় বিস্ফোরক দাবি করলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘সমাজকে খারাপ করছিল। তাই গ্রামে সালিশি বসে এটা করেছে। যেটা করে দিয়েছে সেটা একটু বেশি বেশিই করে দিয়েছে। এটা নিয়ে আমরাও দুঃখিত। আর অন্যায় তো মেয়েটাও করেছে। নিজের স্বামী, নিজের সন্তান বাদ দিয়ে দুশ্চরিত্রবান হয়েছে। আমাদের মুসলিম রাষ্ট্রে সামাজিক আচার বিচার হয়েই থাকে।’’

    চোপড়া (Chopra) ইস্যুতে প্রতিবাদ সুকান্ত মজুমদারের

    চোপড়া ইস্যুতে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। বিধানসভা চত্বরে দলের মহিলা বিধায়করা এদিনই অবস্থানে বসে পড়েন। সংসদে অধিবেশন চলার কারণে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রয়েছেন দিল্লিতে। সোমবার চোপড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘মণিপুরে যখন এক মহিলাকে নিগ্রহ করা হয়েছিল, তখন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এখন চোপড়াতেও এক তরুণীকে নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এখন তিনি কোথায়? এ বার তিনি চোপড়ায় যান!’’ এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি শাহজাহান দিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর দিল তাজেমুল।”

    ইন্ডি জোটের বিরুদ্ধে এনডিএ শিবিরের ইস্যু চোপড়া (Chopra)

    হিমাচলপ্রদেশের মাণ্ডীর বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা লোকসভায় ঢোকার আগে বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে আপনারা দেখেছেন, তৃণমূল-সহ বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’র সাংসদেরা সংবিধান হাতে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে কী নাটক করছেন! কিন্তু বাংলায় যা হয়েছে, তার অনুমতিও কি সংবিধান দেয়? যে ভাবে ‘অবৈধ’ সম্পর্কের অভিযোগে শরিয়ত আইন বলবৎ করা হচ্ছে, তা সংবিধানে কোথাও বলা হয়েছে? আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আমার ‘ইন্ডি’র সমস্ত সতীর্থের কাছেই এর উত্তর জানতে চাইব। রাহুল গান্ধীকেও এর জবাব দিতে হবে। গোটা দেশে এ নিয়ে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: লাঠি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী-বিডিওকে তাড়া করলেন মহিলারা, মালদায় শোরগোল

    Malda: লাঠি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী-বিডিওকে তাড়া করলেন মহিলারা, মালদায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল  হোসেন। লাঠি উঁচিয়ে তাঁকে তাড়া করলেন গ্রামের মহিলারা। নিজেকে বাঁচাতে নৌকায় উঠে পড়তে হয় মন্ত্রীকে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের রশিদপুর গ্রামে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ত্রাণ নেই, ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা (Malda)

    ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিডিও (Malda) তাপসকুমার পালসহ অন্য প্রশাসনিক কর্তারা। মন্ত্রীসহ প্রশাসনিক কর্তাদের ক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, ফুলহার নদীতে গত কয়েকদিনে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। যার ফলে এলাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে গ্রামের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ভেসে গিয়েছে। কিন্তু, সরকারের কোনও হেলদোল নেই। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেউই গ্রামে আসেননি। ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। এই অভিযোগ তুলেই মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। রীতিমতো লাঠি নিয়ে মন্ত্রী ও বিডিওকে তাড়া করতে দেখা যায়। নিজেকে বাঁচাতে নৌকায় উঠে পড়তে হয় মন্ত্রীকে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় রশিদপুরে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    মন্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    মন্ত্রী তাজমুল হোসেন (Trinamool Congress) বলেন, ‘রশিদপুর গ্রামের খুবই খারাপ অবস্থা। সেচ দফতর কিছু কাজ করেছে। কিন্তু, আরও কাজ বাকি আছে। সেচ দফতরকে বলব, বাকি কাজ শেষ করতে। আমি নিজেও সেচমন্ত্রীকে যা বলার বলব।’ গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিডিও তাপসকুমার পালও। তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা শুনলাম। কী করা যায়, তা ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে।’এ-বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন আরও বলেন, “এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন খগেন মুর্মু। এই বিক্ষোভ তাঁকে ঘিরে দেখানো উচিত। ভাঙন রোধের কাজে কেন্দ্র ও তাদের জনপ্রতিনিধি জেলার জন্য, মানুষের জন্য কিছুই করেন না। রাজ্য যেটুকু পারছে, সাধারণ মানুষের জন্য করছে।”

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    মন্ত্রীকে (Trinamool Congress) পালটা কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা আমি করেছি। ভাঙন রোধের অর্থ চেয়ে রাজ্য সরকার চিঠি দিক। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্যই সাহায্য করবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Terrorist: জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    Terrorist: জঙ্গি-যোগে চেন্নাইয়ে এসটিএফের জালে মঙ্গলকোটের আনোয়ার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তবে সেইবার তথ্য প্রমাণ না মেলায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত শুক্রবার মঙ্গলকোটের কুলসোনা গ্রামের অভিযুক্ত আনোয়ার শেখকে চেন্নাই থেকে জঙ্গি-যোগে (Terrorist) আরেক বার গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের শাখা ‘শাহদাত’-এর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। চেন্নাইতে একটি লন্ড্রিতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করত বলে জানা গিয়েছে। শনিবার তাকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।

    গোয়েন্দা সূত্রের দাবি (Terrorist)

    মঙ্গলকোটের (Mangalkot) কুলসোনা গ্রামে আগেই জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে আনয়ারের বিরুদ্ধে। শিমুলিয়া মাদ্রাসার নাম উঠে আসে গোয়েন্দাদের হাতে। তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রে খবর, এই মাদ্রাসায় যাতায়েত ছিল কালাম শেখের। তবে কালাম তখন পালাতক ছিল। কালামের খোঁজ পেতে আনোয়ারকে প্রথমে আটক করা হয়েছিল। পরে আনোয়ারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে খাগড়াগড়কাণ্ডে অভিযুক্ত কালামের খোঁজ পেতে তিন লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল এনআইএ। পরবর্তী সময়ে তাকে কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে দোষী প্রমাণিত হয়ে জেলে বন্দি কালাম। এবার একই গ্রামের যুবক আনোয়ারকে আবার গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, খাগড়াগড়কাণ্ডের (Mangalkot) সঙ্গে যোগ থাকা এক জঙ্গি (Terrorist) চাঁইয়ের সঙ্গে আনোয়ারের যোগ ছিল বলে সন্দেহ করেছিলেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুনঃ চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    পরিবারের বক্তব্য

    আনোয়ারের স্ত্রী রেজিনা বিবি বলেন, ‘‘আমার স্বামী জঙ্গি (Terrorist) সংগঠনের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত থাকতে পারে না। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ ফোন করে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে। গ্রামে কাজ ছিল না বলে আমার স্বামী মাস ছয়েক আগে চেন্নাইয়ে কাজে গিয়েছিল। ওকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Hooghly: হুগলিতে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) ধনেখালিতে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম বিজেপি কর্মীর নাম সমীরণ মুর্মু। তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন হামলা? (Hooghly)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটে এলাকায় দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন বিজেপির এস টি মোর্চার কর্মী সমীরণ মুর্মু। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে হুমকি দিত বলে অভিযোগ। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ধনেখালির (Hooghly) কানা নদী এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে লাঠি, লোহার রড, বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আক্রান্তের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। দলীয় কর্মীরা খবর পেয়েই ওই বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে একটি দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় ধনেখালি থানায়। বিজেপি কর্মীর মা সরমা মুর্মুর বলেন, “আমার ছেলে বিজেপি করে বলেই মারধর করেছে তৃণমূলের লোকজন। ওর সঙ্গে ব্যক্তিগত কারও কোনও শত্রুতা নেই। আমাকে তো সব কথা বলে না। তবে, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে ওকে আতঙ্কে থাকতে দেখেছি। এভাবে ছেলেকে তৃণমূলের লোকজন মারবে ভাবতে পারিনি। ওদের শাস্তি চাই।” ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আক্রান্তের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতারা বলেন, সমীরণ বিজেপির সক্রিয় কর্মী। যারজন্য তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। দলের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতারা বলেন, “পাড়ার সমস্যা। এর মধ্যে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share