Tag: bangla news

bangla news

  • Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    Balurghat: কাটমানি নিয়ে চেয়ারম্যানের মদতে চলছে জলাশয় ভরাট! এসডিও-র কাছে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট পুরসভার খোদ চেয়ারম্যান অশোক মিত্রের ওয়ার্ডে চলছে জলাশয় ভরাট। নিজের ওয়ার্ডে ভরাট চললেও পুরকর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। সরব হয়েছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দিন আগেই সরকারি জায়গা দখল হওয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। জলাশয় ভরাট না করার কথা বলেছেন বার বার। তারপরেও পুরসভা (Balurghat) পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি।

    কীভাবে ভরাট হচ্ছে জলাশয়? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে কিংবা মাঝেমধ্যেই ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওই জলাশয়ে ট্রাক্টরে করে আবর্জনা ও নির্মাণ সামগ্রী ফেলা হচ্ছে। চেয়ারম্যানের (Balurghat) মদতেই এই ডোবা ভরাট হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। ওই ওয়ার্ডে রয়েছে একাধিক জলাভূমি ও ডোবা।  নানা সময়ে সেগুলি ভরাটের অভিযোগ আসে। এবার সন্তোষী মন্দিরের কাছে জলাশয় ভরাটের অভিযোগ। ওই জমির চরিত্র জলাভূমি রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ফলে, সেটি কোনওভাবেই ভরাট করা যায় না। ঘটনাটি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন সদর মহকুমা শাসক সুব্রত কুমার বর্মনও। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই জয়দেব পাল জলাশয় ভরাটের কথা স্বীকার করেছেন। কারও কাছে অনুমতি নেননি বলেও জানিয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র আমাদের রাস্তা করার জন্য এ ভরাট করেছি। রাস্তা না হলে যাতায়াত করা মুশকিল হবে।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    চেয়ারম্যান (Balurghat) অশোক মিত্র বলেন, বিজেপি নিজেদের দুর্নীতি ঢাকতে পুরসভার বিরুদ্ধে কুৎসা, অপপ্রচার করে থাকে। আমার কাছে এখনও এই ধরনের অভিযোগ বা তথ্য আসেনি। বিজেপি যে জায়গার কথা বলছে, সেটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি। পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। জলাশয় বলতে সেখানে কিছু নেই। আর জলাশয় ভরাট করা হলে পুরসভা বরদাস্ত করবে না। এর আগে আমার ওয়ার্ডে জলাশয় ভরাটের খবর এসেছিল। সেবার পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবারও অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    সরব বিজেপি

    বিজেপির (BJP) বালুরঘাট টাউন মণ্ডলের সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, চেয়ারম্যানের মদতেই তাঁর বাড়ির কাছে জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। এর আগেও তাঁর বাড়ির কাছে আরেকটি পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। সেবার আন্দোলন হওয়ায় ভরাট করতে পারেনি। আমাদের মনে হয়, কাটমানি নিয়েই এই ভরাট চলছে। আমরা এসডিও’র কাছেও অভিযোগ দায়ের করেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    Nadia: রোবট অনন্যার প্রেমে ভোজনরসিকরা এই রেস্তোরাঁয় কেন ভিড় জমাচ্ছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনন্যা নামে রোবটে মজেছে কৃষ্ণনগরের একটি নামজাদা রেস্টুরেন্টের ভোজনরসিকরা। কিচেন রুম থেকে খাবার বয়ে নিয়ে, সোজা খাবার টেবিলে পৌঁছে যাচ্ছে এই অনন্যা। ভিড়ভাট্টা দেখলেই থমকে যাচ্ছে অনন্যা এবং বলছে “আমি অনন্যা খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমাকে রাস্তা দিন”। শুধু তাই নয় গ্রাহকের স্পেশাল দিনে খাবার বা কেক ডেলিভারি করে গাইছে গান। আর তাই দিনের পর দিন ভিড় বেড়েই চলেছে নদিয়া কৃষ্ণনগরের (Nadia) ওই রেস্তোরাঁয়।

    তিনজন মহিলা মিলে শুরু করেছিলেন (Nadia)

    ২০১৩ সালে তিনজন মহিলা নিয়ে কৃষ্ণনগরের (Nadia) জাতীয় সড়কের ধারে একটি পেট্রোল পাম্পের পিছনে শুরু হয়েছিল রেস্তোরাঁটি। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ১১ বছরে একটি অভিজাত রেস্তোরাঁর সমকক্ষে পরিণত হয়েছে আজ। কিন্তু কেন রোবটের নাম অনন্যা? সে এক অজানা কাহিনী। যখন প্রথম শুরু হয়েছিল, তখন তিনজন মহিলার মধ্যে একজনের নাম ছিল অনন্যা। তাঁর বাড়ি, নদিয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়াতে। রেস্তোরাঁর তিন মহিলার মধ্যে দুজনেই কাজ ছেড়ে চলে যান কিন্তু থেকে যান অনন্যা। আর অনন্যার হাত ধরেই আজ এই রেস্তোরাঁ পূর্ণতা ও পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই কারণেই অনন্যাকে সম্মান জানাতেই অত্যাধুনিক রোবটের নাম অনন্যা রাখা হয়েছে।

    আকর্ষণের মূল কেন্দ্র রোবট

    এখনও পর্যন্ত মোট চারটি অনন্যা নামের রোবট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত মানুষের কাছে খাবার পরিবেশন করে যাচ্ছে। রোবটের চলার পথে ভিড়ভাট্টা হলেই দাঁড়িয়ে পড়ছে এবং জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করছে। রেস্তোরাঁতে খাবার খেতে আসা সকলেই একটু ফাঁক পেলেই অনন্যার সঙ্গে ছবি তুলে নিচ্ছে। শিশুরা রোবট অনন্যাকে নিয়ে মজাও করছে খুব। মহিলা পরিচালিত রেস্তোরার (Nadia) বর্তমান মূল আকর্ষণ অনন্যা নামের এই রোবট।

    আরও পড়ুনঃ অভাবকে জয় করেছে মেধা, আইআইটি খড়্গপুরে পড়ার সুযোগ পেলেন মালদার অভিজিৎ

    রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    তবে রেস্তোরাঁ (Nadia) কর্তৃপক্ষের তরফে শুভঙ্কর মন্ডল বলেছেন, “এই রোবট শুধু খাবার ডেলিভারি নয় পরবর্তীতে হাউসকিপিং, ক্লিনিং সমস্ত কাজই করে। একদম নিজস্ব টেকনিক্যাল টিমের তৈরি এই রোবট। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও বিক্রয় করা হবে। তবে অনন্যার এই কাজ খুবই প্রশংসিত হয়েছে স্থানীয় ভোজন রসিক থেকে শুরু করে দেশের বাইরের ভোজন রসিকদেরও। রাজ্যের একমাত্র রেস্তোরাঁ, যেখানে এখন আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত রোবটিক্স টেকনোলজিতে চলছে খাবার পরিবেশন এবং ভোজন রসিক গ্রাহকদের মনোরঞ্জন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sengol Controversy: সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবি ঘিরে তুলকালাম  

    Sengol Controversy: সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবি ঘিরে তুলকালাম  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার বিশেষ অধিবেশনে ফের একবার চর্চায় ‘সেঙ্গল’। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী সংসদ থেকে ‘সেঙ্গল’ (Sengol Controversy) সরিয়ে সেখানে ‘সংবিধান’ রাখার দাবি তুলেছেন। যদিও ভারতীয় জনতা পার্টির ‘সেঙ্গল’ সরানোর দাবির বিরোধিতা করেছে।

    সমাজবাদী সাংসদের দাবি

    সমাজবাদী পার্টির সাংসদ আর কে চৌধুরী (Sengol Controversy) বলেছেন, সংবিধান গণতন্ত্রের প্রতীক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার নতুন সংসদে ‘সেঙ্গল’ স্থাপন করেছে। সেঙ্গলের অর্থ রাজদণ্ড। রাজতন্ত্র শেষ হওয়ার পর দেশে গণতন্ত্র স্থাপন হয়েছে। গণতান্ত্রিক দেশে সংবিধান থাকা উচিত রাজদণ্ড নয়। সংবিধান বাঁচানোর জন্য সংসদ ভবন থেকে ‘সেঙ্গল’ সরিয়ে দেওয়া হোক।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া (Sengol Controversy)

    এ বিষয়ে বিজেপি সাংসদদের তরফেও প্রতিক্রিয়া এসেছে। বিজেপি সাংসদ মহেশ জেঠমালানি বলেন, ‘সেঙ্গল’ রাষ্ট্রের প্রতীক। একবার ‘সেঙ্গল’ যখন (Parliament) স্থাপন হয়েছে এটাকে আর কেউ সরাতে পারবে না।” অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বি এল ভার্মা বলেন, “সমাজবাদী পার্টি নেতাদের আগে (Sengol Controversy) সংবিধান এবং সংসদীয় পরম্পরা সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত। স্বাধীনতার সময় থেকেই ‘সেঙ্গল’ আছে। স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হাতে ‘সেঙ্গল’ তুলে দেওয়া হয়েছিল। অজ্ঞ ব্যক্তিদের সংবিধান এবং সংসদীয় পরম্পরা সম্পর্কে বিনামূল্যের জ্ঞান বিতরণ করা উচিত নয়। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল মুরুগন বলেন, “তামিল সংস্কৃতির সঙ্গে বিরোধীরা পরিচিত নয়। সে কারণেই তাঁরা সেঙ্গলের বিরোধিতা করছে। বিরোধীরা আমাদের সংস্কৃতি এবং পরম্পরা নষ্ট করতে চাইছে। ‘সেঙ্গল’ সরানো হলে তামিল সংস্কৃতিকে আঘাত করা হবে।”

    সেঙ্গলের ইতিহাস

    প্রসঙ্গত ‘সেঙ্গল’ প্রধানমন্ত্রী ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ব্রিটিশ ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সেই সিঙ্গল নতুন সংসদ ভবনে স্পিকারের আসনের (Sengol Controversy) পাশে রাখা হয়েছে। ‘সেঙ্গল’ ইংরেজদের থেকে ভারতের ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের প্রতীক বলে দাবি করা হয়। অতীতে চোল সাম্রাজ্যের সেঙ্গলর অধিকারী রাজার কাছ থেকে পক্ষপাতহীন ন্যায় এর আশা করা হত। চোল সাম্রাজ্যের আগে মৌর্য সাম্রাজ্যেও রাজার কাছে ‘সেঙ্গল’ থাকত।

    আরও পড়ুন: বৃন্দাবনে ২০০ বছর পুরানো রাম-সীতার জরাজীর্ণ দোলনা সারাবেন মুসলিম কারিগর

    পরবর্তীকালে গুপ্ত সাম্রাজ্যের রাজার হাতে ‘সেঙ্গল’ থাকত। এমনকি মোঘলদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ক্ষমতায় নেওয়ার সময়ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতের উপর অধিকারের প্রতীক হিসেবে ‘সেঙ্গল’ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল। যা পরবর্তীকাল রাজতন্ত্রের অবসান অর্থাৎ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাউন্টব্যাটেন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু হাতে তুলে দিয়েছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: অভাবকে জয় করেছে মেধা, আইআইটি খড়্গপুরে পড়ার সুযোগ পেলেন  মালদার অভিজিৎ

    Malda: অভাবকে জয় করেছে মেধা, আইআইটি খড়্গপুরে পড়ার সুযোগ পেলেন মালদার অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা, মানসিক ভারসাম্যহীন, বাবা নিখোঁজ! পরিবারে আর্থিক অভাব। এই পরিস্থিতি থেকে অল ইন্ডিয়া জেইই-তে ১৯১০ র‍্যাঙ্ক (এসসি) করে সকলকে চমকে দিয়েছেন মালদা (Malda) শহরের বাসিন্দা অভিজিৎ রায়৷ কাউন্সেলিংয়ে সুযোগ মিলেছে আইআইটি খড়্গপুরে৷ এলাকায় ব্যাপক উচ্ছ্বাসের আবহ। কিন্তু আইআইটিতে সুযোগ পেলেও তাঁর জন্য প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবারের আর্থিক অভাব৷ এই দরিদ্র মেধাবী ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁকে সংবর্ধনা জানিয়ে সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন এই বিজেপি নেতা।

    অভিজিৎ-এর বক্তব্য (Malda) 

    অভিজিৎ বলেছেন, “অ্যাডভান্স জেইইতে পরীক্ষা দিয়ে এসসিতে ১৯১০ র‍্যাংক করেছি৷ আইআইটি খড়্গপুরে ম্যানুফ্যাকচারিং বিভাগে সুযোগ পেয়েছি৷ আর্থিক অভাবে ভর্তি নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল৷ মালদার (Malda) একটি ক্লাব সিট রিজার্ভের ব্যবস্থা করেছে৷ আজ দিলীপবাবু এসেছিলেন৷ সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন৷ খুব ভালো লাগছে৷”

    দাদু টোটো চালিয়ে নাতিকে পড়াশুনা করান

    ইংরেজবাজার (Malda) পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রিনপার্ক এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ রায়৷ বাবা মদন রায় ১৫ বছর আগে পরিবারকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন৷ মা অষ্টমী রায়, কন্যসন্তান মধুমিতা রায়কে জন্ম দেওয়ার পর থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন৷ এই পরিস্থিতিতে দাদু রতন হালদার টোটো চালিয়ে নাতি-নাতনিকে বড়ো করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন৷ মালদা টাউন হাইস্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পর অল ইন্ডিয়া জেইই-র প্রস্তুতি শুরু করেন অভিজিৎ৷ প্রথম বছর তেমন সাফল্য না মিললেও হাল ছাড়েননি তিনি৷ স্কুলের শিক্ষকদের সহযোগিতায় প্রস্তুতি চালিয়ে যান৷ অবশেষে গত ৯ জুন ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় সর্বভারতীয় স্তরে এসসি তালিকায় বিরাট সাফল্য এসেছে। 

    আরও পড়ুনঃ টিউশন না পড়ার মাশুল! পরীক্ষায় ফেল করলেন ১১ জন পড়ুয়া, কাঠগড়ায় তিন অধ্যাপক!

    দিলীপের সাহায্যের আশ্বাস

    মেধবী ছাত্র অভিজিতের বাড়িতে (Malda) দেখা করতে যান প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ৷ নিজের আর্থিক সমস্যার কথা দিলীপবাবুকে জানান অভিজিৎ৷ সাধ্যমতো সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি৷ দিলীপবাবু বলেছেন, “বাবা নিরুদ্দেশ, মা মানসিক রোগী৷ সেই বাড়ি থেকে লড়াই চালিয়ে আইআইটিতে সুযোগ পেয়েছে অভিজিৎ৷ আমরা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছি৷ তাঁর জন্য ব্যাগ ও বইয়ের ব্যবস্থা করেছেন আমাদের জেলা সভাপতি৷ অভিজিৎ কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছেন ৷ আমরা চেষ্টা করছি৷ তাঁকে নিজের ফোন নম্বরও দিয়েছি ৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Katwa: টিউশন না পড়ার মাশুল! পরীক্ষায় ফেল করলেন ১১ জন পড়ুয়া, কাঠগড়ায় তিন অধ্যাপক

    Katwa: টিউশন না পড়ার মাশুল! পরীক্ষায় ফেল করলেন ১১ জন পড়ুয়া, কাঠগড়ায় তিন অধ্যাপক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকা বেতন পাওয়ার পরও স্কুলের মতো কলেজের অধ্যাপকরা টিউশনের লোভ সামলাতে পারেন না। তাই, স্রেফ টিউশন পড়তে না আসায় ১১ জন পড়ুয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কাটোয়া (Katwa) কলেজের জুলজি বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সরকার এবং দুই অধ্যাপিকা সুলগ্না মুখোপাধ্যায় ও চন্দ্রাণী দাসের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ পড়ুয়াদের। আর এই ঘটনায় কলেজ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তিন অধ্যাপকের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেন পড়ুয়ারা (Katwa)

    জানা গিয়েছে, জুলজি বিভাগের (Katwa) তিন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে কলেজ অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ১১জন পড়ুয়া। পড়ুয়ারা বলেন, “পঞ্চম সেমেস্টারের পরীক্ষার আগে থেকেই আমাদের ওপর রুষ্ট ছিলেন ওই তিনজন অধ্যাপক। তার পরিণতি এরকম হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি আমরা। শুধু তাই নয়,  ডিউটি না থাকা সত্ত্বেও পরীক্ষার দিন হলে এসে ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব সামলানো থেকে শুরু করে ইন্টারনাল ইনভিজিলেটরের দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা। পরীক্ষা খারাপ হলে আমাদের কিছু বলার ছিল না। আমরা ওই অধ্যাপকের কাছে পড়িনি, এটাই আমাদের অপরাধ। তার খেসারত এভাবে দিতে হবে তা মেনে নিতে পারছি না। আমরা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি। আর সুবিচারের আশায় আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেটাই আমরা দেখব। এরপর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। কারণ, এই অন্যায়ের শাস্তি হওয়া উচিত। নাহলে আগামীদিনে এই অধ্যাপকরা শুধু অর্থের লোভে অন্য পড়ুয়াদের জীবন নষ্ট করে দেবে। সেটা হতে পারে না। ওই তিন অধ্যাপকের মুখোশ আমরা সকলের সামনে খুলে দেব।” যদিও অভিযুক্ত ওই তিনজন অধ্যাপকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট! বেআইনি জানতে পেরে ঘুম উড়েছে আবাসিকদের

    কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    কলেজ (College) অধ্যক্ষ নির্মলেন্দু সরকার বলেন, “এই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে, যদি কলেজের কোনও অধ্যাপক, কলেজ আওয়ার্সে টিউশনি পড়ান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে, কোন পড়ুয়া কার কাছে টিউশনি পড়বেন এটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। এই বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা সমস্ত ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Airport: দিল্লি বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ল ছাদের একাংশ, নিহত ১, ইন্ডিগো-স্পাইসজেটের বিমান বাতিল

    Delhi Airport: দিল্লি বিমানবন্দরে ভেঙে পড়ল ছাদের একাংশ, নিহত ১, ইন্ডিগো-স্পাইসজেটের বিমান বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১ জন, আহত ৬। আহতদের সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। টার্মিনালের যে অংশে ছাদ ভেঙে পড়ে, সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। ছাদ ভেঙে (Delhi Airport) পড়ায় সেগুলিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পরেই এয়ারলাইন্স যাত্রীদের উদ্দেশে একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে। সেখানে জানানো হয়, ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদ ভেঙে পড়ার ঘটনা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি উড়ান বাতিল করা হয়েছে।

    ইন্ডিগো ও স্পাইসজেটের বিবৃতি

    ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। এর জেরে ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবা বাতিল করা হচ্ছে। তার কারণ কাঠামো ভেঙে পড়ায় যাত্রীরা কোনওভাবেই টার্মিনালের ভিতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। অন্য আরেকটি সংস্থা স্পাইসজেট তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাতিল করা হয়েছে তাদের উড়ান। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা বাতিল থাকবে। প্রসঙ্গত, যে সমস্ত যাত্রীদের বিমান বাতিল হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই (Delhi Airport) অর্থ ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন বিমান পরিবহনমন্ত্রী রামমোহন নাইডু। গোটা বিষয়টি ডিজিসিএ অনুসন্ধান করবে বলে জানা গিয়েছে।

    আহত ৬, নিহত ১ জন 

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোর পাঁচটায় দিল্লি বিমানবন্দরে প্রবল বৃষ্টির জেরে ১ নম্বর টার্মিনালের ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় ছয় জন আহত হন এবং একজন নিহত হন। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছে যায় ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম, সেফটি টিম, সিআইএসএফ এনডিআরএফ। দিল্লি বিমানবন্দরের (Roof Collapses At Delhi Airport) আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আহতদের ইতিমধ্যেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ধসে পড়া ছাদের ধ্বংসাবশেষ সরানোর চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তার কারণে (Delhi Airport) ‘চেক-ইন’ কাউন্টারগুলিও বন্ধ থাকছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Geneva: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

    Geneva: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন বছর আগে নিখোঁজ হওয়া প্রিয়া কুমারীর (priya kumari) উদ্ধারের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের (UNHRC) কাছে সহায়তা চাইল সিন্ধি ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার জেনেভা (Geneva) থেকে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিন্ধি ফাউন্ডেশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সুফি মুনাওয়ার লাঘারি এই ঘোষণা করেন। 

    কে এই প্রিয়া কুমারী? (priya kumari)

    পাকিস্তানে বসবাসকারী এক হিন্দু মেয়ে প্রিয়া কুমারী (priya kumari), যার বয়স মাত্র ৬ বছর, বিগত ৩ বছর ধরে নিখোঁজ সে। পাকিস্তানের সুক্কুর সিন্ধুর কাছে সাংঘারায় নিজের বাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় প্রিয়া। এই ঘটনায় তাঁর বাবা এক মুসলিম ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ এনেছেন। জানা গিয়েছে, প্রিয়াকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ৩ বছর আগে, ১৯ আগস্ট মহরমের দিন। প্রিয়া তাঁর বাবার সঙ্গেই বাড়িতে বসে ছিল, তাঁর বাবা জল আনতে ঘরের ভিতরে যান। বাইরে এসে দেখেন, মেয়ে নেই। এবার সেই নিখোঁজ প্রিয়ার খোঁজেই জাতিসংঘের কাছে আবেদন করল সিন্ধি ফাউন্ডেশন। 

    স্বাধীন তদন্ত শুরুর অনুরোধ 

    এ প্রসঙ্গে মুনাওয়ার লাঘারি জানান, নিখোঁজ হওয়া নাবালিকা মেয়েটি (priya kumari) পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দ্বারা সমর্থিত সিন্ধুর শক্তিশালী শাহদের অবৈধ হেফাজতে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধু প্রিয়া নয়, বিগত দেড় বছর ধরে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে নিখোঁজ রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন মহিলা। যা ইতিমধ্যেই যথেষ্ট উদ্বেগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিষয়টির ওপর একটি আন্তর্জাতিক স্বাধীন তদন্ত শুরু করার জন্য অবিলম্বে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: বৈদেশিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে বিদেশী সামরিক কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিল ভারত

    যুবতী মহিলাদের অপহরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি 

    মুনাওয়ার লাগারি জানান যে সিন্ধি ফাউন্ডেশন 8ই জুলাই প্রিয়া কুমারী এবং অন্যান্য সিন্ধি অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে এবং যুবতী মহিলাদের অপহরণ এবং সেইসাথে তাদের জোর করে ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করার পরিকল্পনা করছে৷ জেনেভায় (Geneva) ইউএনএইচআরসি ভবনের সামনে ব্রোকেন চেয়ার ভাস্কর্যের চারপাশে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে তিনি ইউএনএইচআরসির কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করবেন, যেখানে সিন্ধুতে সিন্ধিদের বিরুদ্ধে সংগঠিত নৃশংসতা সম্পর্কে অবহিত করবেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Iron deficiency: শহরের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি! ঘটতে পারে বড় বিপদ

    Iron deficiency: শহরের মেয়েদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি! ঘটতে পারে বড় বিপদ

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের আয়রন ঘাটতি বেশি। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একাধিক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, দেশ জুড়ে মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে আয়রনের ঘাটতি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন দেশের স্বাস্থ্য প্রশাসন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি (Iron deficiency) তৈরি হচ্ছে। আর স্বাস্থ্যে তার গভীর প্রভাব পড়ছে‌। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আয়রনের ঘাটতি রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মতো রোগ তৈরি করে। রক্তে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তকণিকা তৈরিতে বাধা হবে‌। রক্তকণিকা দেহের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে দেহের বিভিন্ন অংশের কার্যক্ষমতায় তার প্রভাব পড়ে‌। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে ক্লান্তি বোধ তৈরি হয়। ফলে কোনও কাজ ঠিকমতো করা যায় না। হরমোনের ভারসাম্যেও প্রভাব পড়ে। তাছাড়া, ত্বক, চুল, নখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আয়রনের ঘাটতির দিকে নজরদারি জরুরি। এই সমস্যা থাকলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা? (Iron deficiency)

    সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ভারতে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দেহে আয়রনের ঘাটতি বেশি। ১২ থেকে ২১ বছর বয়সী প্রায় চার হাজার মেয়ের উপরে এই সমীক্ষা চালানো হয়‌। এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ওই চার হাজার মেয়েদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ মেয়ের শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই তথ্য যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ এত কম বয়স থেকেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমবে। তাছাড়া, গর্ভাবস্থায় নানান জটিলতাও দেখা দিতে পারে‌। ওই সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, শহরের প্রতি ৫ জন মেয়ের মধ্যে ৩ জনের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। গ্রামে কিন্তু প্রতি পাঁচ জন পিছু ২ জনের আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি গ্রামের তুলনায় শহরের মেয়েদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতি বেশি হচ্ছে।

    কেন শহরের মেয়েরা আয়রনের অভাবে ভুগছে? (Iron deficiency)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহরের বাসিন্দাদের খাদ্যাভ্যাস আয়রনের ঘাটতি বাড়াচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। এগুলো অধিকাংশ জীবন যাপন সংক্রান্ত স্বাস্থ্য সমস্যা। রক্তাল্পতার ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস কম বয়সী মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি তৈরি করছে। চিকিৎসকদের একাংশের মতে, শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা মোচা, থোর, ডুমুর, কাচকলার মতো সবজি নিয়মিত খান না। কিন্তু এই সবজিগুলির পুষ্টিগুণ অনেক। বিশেষত শরীরে আয়রনের জোগান দিতে এগুলি খুবই উপকারী। শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা সকাল কিংবা সন্ধ্যায় চটজলদি খাবার পছন্দ করেন। ন্যুডলস, হটডগের মতো খাবারে একেবারেই পুষ্টিগুণ নেই। বরং নানান রাসায়নিক দিয়ে প্রিজারবেটিভ খাবার শরীরে নানান রোগের (Anemia) কারণ হয়ে ওঠে। 
    চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়মিত নানান ধরনের সবজি খাওয়া জরুরি। পাশাপাশি, কলা, বেদানা, আপেলের মতো ফল নিয়মিত খাওয়া দরকার। কারণ এই ফলে আয়রন রয়েছে। তাছাড়া, বারো পেরোনোর পরে মেয়েদের আয়রনের ঘাটতি তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে‌। তাই মেনুতে রোজ মাছ থাকা জরুরি‌। দুপুর অথবা রাতের মেনুতে রোজ মাছ রাখতেই হবে। মাছে থাকে আয়রন। এই ধরনের খাবারে অভ্যস্ত হলে আয়রনের ঘাটতি কমবে। রোগ মোকাবিলা সহজ হবে‌ (Iron deficiency)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amarnath Yatra 2024: পুজো দিয়ে অমরনাথ যাত্রার সূচনা করলেন জম্মু-কাশ্মীরের এলজি মনোজ সিনহা

    Amarnath Yatra 2024: পুজো দিয়ে অমরনাথ যাত্রার সূচনা করলেন জম্মু-কাশ্মীরের এলজি মনোজ সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা, শুক্রবার সকালে জম্মুর বেস ক্যাম্প থেকে অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra 2024) তীর্থযাত্রীদের পতাকা দেখিয়ে শুভ সূচনা করেছেন। অমরনাথ যাত্রায় এই প্রথম ধাপের যাত্রার সূচনার আগে মন্দিরে পুজো দিয়ে পুণ্যার্থীদের জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন এই এলজি। এদিকে অমরনাথ যাত্রার আগে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী জম্মুতে এসে পৌঁছেছেন। প্রথম পর্বের এই যাত্রায় একটি কনভয়ে করে কড়া নিরাপত্তায় জম্মু থেকে পাহলগাম এবং বালতাল বেস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর যেখান থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু করবেন তীর্থযাত্রীরা। একই সঙ্গে তীর্থযাত্রীরা অমরনাথ যাত্রায় অংশ নিয়ে “ভম ভম ভোলে” ধ্বনি দিতে থাকেন। সকলের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    কী বললেন এলজি মনোজ সিনহা (Amarnath Yatra 2024)?

    প্রথম পর্বের শুভারম্ভের পর, একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এলজি মনোজ সিনহা বলেছেন, “অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra 2024) তীর্থযাত্রীরা প্রথম ধাপে জম্মু থেকে রওনা দিয়েছেন শুক্রবার। গত ৩-৪ বছরে, যাত্রার জন্য অনেক ব্যবস্থা করা হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। একই সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে। যাত্রায় সকলকে আমার শুভকামনা জানাই।”

    উপ-কমিশনারের বক্তব্য

    উধমপুরের উপ-কমিশনার সালোনি রাই বলেছেন, “নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। জাতীয় সড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। উধমপুর থেকে বানিহাল পর্যন্ত প্রায় ১০টি সিসিটিভি পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে, যেখানে ক্রমাগত নজরদারি করা হবে। ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা দিলে আমরা তা সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করব। অমরনাথ যাত্রার (Amarnath Yatra 2024) তীর্থযাত্রীরা খাবার, জল এবং বিদ্যুৎ সহ সমস্ত সুবিধা যাতে পান সেই দিকেও আমরা নজর রেখেছি।”

    আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই বুলেট ট্রেনের প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করবে, জানালেন দ্রৌপদী মুর্মু

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    এদিকে, বিজেপি নেতা দেবেন্দর সিং রানা বলেছেন, “আমরা আশা করি ভোলে শঙ্করের কৃপায়, এই বছরও যাত্রা (Amarnath Yatra 2024) আনন্দ নিয়ে আসবে। প্রত্যেক তীর্থযাত্রীদের কাছে একটি ভাল অভিজ্ঞতা হবে। প্রতি বছরের মতো এই বারেও পুণ্যার্থীদের এই যাত্রা শুভ এবং মঙ্গলময় হবে। পুণ্যার্থীরা জম্মু ও কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ভালবাসা, স্নেহ এবং যত্ন পাবেন। সারা দেশের মানুষ, ভগবান শিবের আশীর্বাদ পাবেন। সমগ্র ভারত এবং জম্মু ও কাশ্মীর উন্নয়নের পথ অটল থাকবে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সব আয়োজন করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup 2024: চোখে জল রোহিতের! কোহলির ওপর আস্থা, দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক

    T20 World Cup 2024: চোখে জল রোহিতের! কোহলির ওপর আস্থা, দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র সাত মাস আগে দেশের মাটিতে স্বপ্নপূরণ হয়নি। এবার আবার কাপ থেকে এক কদম দূরে দল। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) ফাইনালে ভারত উঠতেই সাজঘরে আবেগ চাপতে পারলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। 

    চোখে জল

    মাঠ থেকে সাজঘরে ফেরার সময় হঠাতই চেয়ারে বসে পড়লেন রোহিত। তাঁর চোখে তখন জল। বাঁ হাত তুলে চোখ ঢাকলেন। চেষ্টা করলেন নিজেকে সামলে নেওয়ার। তিনি অধিনায়ক তো। কয়েক সেকেন্ড পরে হাত নামালেন। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, ফাইনালে উঠে, আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন তিনি। এই ইংল্যান্ডের কাছেই দু বছর আগে হেরে বিদায় নিয়েছিল ভারত। এবার তার বদলা নেওয়া গেল। তাঁর অধিনায়কত্বে ২২৬ দিন পরে ভারত আরও একটি ফাইনালে। সেই সব কথাই হয়তো ভাবছিলেন তিনি। কিছু ক্ষণ পরে বিরাট কোহলি সাজঘর থেকে বেরিয়ে রোহিতের সামনে দাঁড়ালেন। তাঁর গায়ে হাত রেখে কথা বললেন। হাসানোর চেষ্টা করলেন। কিছু ক্ষণ পরে হাসি দেখা গেল রোহিতের মুখেও। 

    দলের উপর আস্থা

    ম্যাচ শেষে দলের উপর পূর্ণ আস্থা রেখে অধিনায়ক (Rohit Sharma) বলেন,  “আমরা দল হিসাবে খুব পরিশ্রম করেছি। এই জয়ে সবার যোগদান রয়েছে। আমাদের কাছে এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সেটা আমরা জিতেছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছি আমরা। সেটাই তফাত গড়ে দিয়েছে।” স্পিনারদের প্রশংসা শোনা গিয়েছে রোহিতের মুখে। তিনি বলেন, “অক্ষর ও কুলদীপ খুব অভিজ্ঞ স্পিনার। ওরা বুদ্ধি করে বল করে। পরিকল্পনা কাজে লাগায়। আমি জানতাম, ওদের বিরুদ্ধে খেলা সহজ হবে না। সেটাই হল। এই জয় আমাকে খুব স্বস্তি দিয়েছে।” কোহলির ফর্ম নিয়েও চিন্তায় নেই মুম্বইয়ের রাজা। তাঁর কথায়, “বিরাট কেমন ক্রিকেটার তা আমরা সবাই জানি। সবার কেরিয়ারেই খারাপ সময় আসে। ও জাত ক্রিকেটার। সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময় কেটে যায়। ওর রান করার কতটা তাগিদ রয়েছে সেটা দেখা যাচ্ছে। ফাইনালেও ওই ওপেন করবে।”

    ফাইনালের হ্যাটট্রিক

    টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে পর্যুদস্ত করেছে ভারত। ম্যাচ জিতেছে ৬৮ রানে। আর এই জয়ের ফলে অনন্য নজির গড়ে ফেলেছেন রোহিতরা। ১০ বছরের খরা কেটে গেছে ভারতের জন্য। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল উঠেছে ভারত। পরপর তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার নজিরও গড়ে ফেললেন রোহিতরা। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ এবং টি-২০ বিশ্বকাপ, পরপর এই তিনটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে ভারত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share