Tag: bangla news

bangla news

  • Lok Sabha Adjourned: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    Lok Sabha Adjourned: জরুরি অবস্থা নিয়ে স্পিকারের মন্তব্য, হট্টগোলে মুলতুবি লোকসভার অধিবেশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হট্টগোলের জেরে মুলতুবি হয়ে গেল লোকসভার অধিবেশন (Lok Sabha Adjourned)। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন এনডিএর নেতা বিজেপির নরেন্দ্র মোদি। স্পিকার মনোনীত হয়েছেন ওম বিড়লা। স্পিকার হিসেবে বুধবারই ছিল তাঁর প্রথম বক্তৃতা। আর এদিনই বিরোধীদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নয়া স্পিকার।

    ‘জরুরি অবস্থার কালো দিন’ (Lok Sabha Adjourned)

    স্পিকার হিসেবে প্রথম বক্তৃতায়ই ‘জরুরি অবস্থার কালো দিনে’র প্রসঙ্গ টানেন ওম। জরুরি অবস্থার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদদের দু’মিনিট নীরবতা পালন করতেও বলেন। জনগণের জীবনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর স্বৈরাচারী শাসনের ক্ষতিকর প্রভাবও তুলে ধরেন তিনি। স্পিকার বলেন (Lok Sabha Adjourned), “এই হাউস ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থা জারির তীব্র বিরোধিতা করছে। একই সঙ্গে যাঁরা জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেছিলেন, ভারতের গণতন্ত্র রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছিলেন, তাঁদের অ্যাপ্রিসিয়েট করছে।” তিনি বলেন, “১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় হিসেবেই থেকে যাবে।”

    কী বলছেন বিরোধীরা?

    স্পিকারের এহেন বক্তব্যের প্রবল বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। ‘দেশ কো জেল বানা দিয়া হ্যায়’, ‘তানাশাহি বন্ধ কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’-র সাংসদরা। এদিকে, দেশে জরুরি অবস্থা জারির জন্য কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করতে থাকেন এনডিএর সাংসদরা। বাদানুবাদের জেরে চরমে ওঠে হট্টগোল। তখনই এদিনের মতো সভা মুলতুবি করে দেন স্পিকার।

    এদিকে, লোকসভার অধ্যক্ষের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “মাননীয় স্পিকার জরুরি অবস্থার তীব্র নিন্দা করেছেন, সেই সময় ঘটনার বাড়াবাড়িগুলো তুলে ধরেছেন এবং যেভাবে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা হয়েছিল, তারও উল্লেখ করেছেন। এতে আমি আনন্দিত। সেই দিনগুলিতে যাঁরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, তাঁদের সম্মানে নীরবতা পালন করাও দুর্দান্ত পদক্ষেপ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “৫০ বছর আগে জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও, আজকের যুবকদের এই ঘটনা সম্পর্কে জানা উচিত।” তিনি জানান, সংবিধানকে উপেক্ষা করা হলে, জনমতকে দাবিয়ে দেওয়া হলে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হলে কী ঘটে, তার উপযুক্ত উদাহরণ হল জরুরি অবস্থা। তিনি লিখেছেন, “জরুরি অবস্থার সময় যা ঘটেছিল, তা স্বৈরাচারী শাসনের উদাহরণ (Lok Sabha Adjourned)।”

    আর পড়ুন: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Siliguri: তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ফতোয়া! অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    Siliguri: তিলক কেটে ছাত্রীকে স্কুলে না আসার ফতোয়া! অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের পর এবার শিলিগুড়ি (Siliguri)। সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী স্কুলে তিলক কেটে যাওয়ায় এক শিক্ষিকা তাতে আপত্তি করেন। এই ঘটনায় বিতর্ক তৈরি হয়। এই বিতর্ককে সামনে রেখে বুধবার স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়া ব্লকের মেডিক্যাল মোড় ঠিকনিকাটা জুনিয়র হাইস্কুলে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রতিবাদে অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দারা খোল-কর্তাল নিয়ে নাম-সংকীর্তণ করে স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। 

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Siliguri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকনিকাটা (Siliguri) জুনিয়র হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রত্না বর্মন ও তার পরিবারের সকলে ইসকনের ভক্ত। মঙ্গলবার স্কুলে রত্না কপালে তিলক কেটে স্কুলে গিয়েছিল। রত্না বলে, শিউলি ম্যাম আমাকে স্কুলে তিলক কেটে আসতে মানা করেন। বাড়িতে গিয়ে মা’কে বলি। তারপর বাবা ও পাড়ার সকলে বিষয়টি জানতে পারে। বাবা-মা,পাড়ার সকলে এবং ইসকনের সদস্যরা বুধবার স্কুলে এসে মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তাই এদিন তিলক কেটে স্কুলে এসেছি। ম্যাম আর কিছু বলেননি। 

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

     অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    এদিন সকালে স্কুল খুলতেই দল বেধে অভিভাবক ও ইসকনের শিষ্যরা জমায়েত হন। অভিযুক্ত শিক্ষিকা শিউলি পালকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। জানতে চান, কেন রত্না বর্মনকে তিলক কেটে আসতে মানা করা হয়েছে। এক অভিভাবক মলয় সরকার বলেন, স্কুলের শিক্ষিকা  এভাবে তিলক কেটে আসতে মানা করায় হিন্দুধর্মের আবেগে আঘাত করেছেন। এর প্রতিবাদ জানাতে এদিন আমরা স্কুলে এসে ওই শিক্ষিকার কাছে জানতে চাই, স্কুলের কোন নিয়মে লেখা রয়েছে যে তিলক কেটে কেউ স্কুলে আসতে পারবে না। শিক্ষিকা এব্যাপারে সদুত্তর দিতে পারেননি। এতে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। শেষে সকলের সামনে তিনি ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

     ক্ষমা চাইলেও অভিযোগ মানছেন না শিক্ষিকা

    শিক্ষিকা শিউলি পাল বলেন, এদিন অভিভাবকরা স্কুলে জমায়েত হওয়ায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিই। তবে, আমি ওই ছাত্রীকে তিলক কেটে আসতে মানা করিনি। রত্নার বাবা নির্মল বর্মন বলেন, আমার মেয়ে মিথ্যা কথা বলে না। নিজেকে বাঁচাতে শিক্ষিকা এখন এসব কথা বলছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: ভোট মিটতেই শওকত -আরাবুল সংঘাত! টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার অভিযোগ

    Arabul Islam: ভোট মিটতেই শওকত -আরাবুল সংঘাত! টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত করেছে আরাবুল।” এবার ভাঙড়ের জেলবন্দি নেতা আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। প্রকাশ্য সভা থেকে শওকতের (Saokat Molla) দাবি, আরাবুলের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন আরাবুল। নিজের ছেলেকে জেলা পরিষদের টিকিট পাইয়ে দিতে তাঁর কাছে দরবার করেছেন।

    শওকত মোল্লার মন্তব্য (Saokat Molla) 

    এ প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে আরাবুল (Arabul Islam)। যে তথ্য সামনে এসেছে, তার প্রত্যেক বিষয়ে তদন্ত হবে। সে বিষয়ে পদক্ষেপও করা হবে। আমাদের সামনে অনেক তথ্য এসেছে। সেগুলো সময় মতো সামনে আনা হবে।” শওকত মোল্লার দাবি, জেলা পরিষদ সদস্য খাদিজা বিবি দলের সঙ্গে গদ্দারি করেছেন। তাঁদেরকে দলের কোনও মিছিলে ডাকা হবে না। প্রশাসনিকভাবে যাতে ওঁরা কোনও সহযোগিতা না পান, সে চেষ্টা করা হবে।

    আগে কী ঘটেছিল? 

    লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নে এক আইএসএফ সমর্থকের মৃত্যুর মামলায় ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে জেলবন্দি রয়েছেন তিনি। এরপর লোকসভা নির্বাচনে ভাঙড় থেকে বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে ভাঙড় কলেজের মাঠে সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেখানে হাজির ছিলেন ওই বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শওকত মোল্লাও। সেখানেই জেলবন্দি আরাবুলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    তৃণমূল বিধায়ক শওকতের (Saokat Molla) দাবি, দিন দুয়েক আগে তিনি একটি চিঠি পান। তাতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি হিসাব পেয়েছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে ৬ লক্ষ, তো কারও কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তোলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য ২৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ সবের মূলে ছিলেন আরাবুল। তিনি বলেন, এসব ছাড়াও আরাবুলের (Arabul Islam) বিরুদ্ধে আরও অনেক অপকর্মের অভিযোগ এসেছে। সমস্ত অভিযোগের তদন্ত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sudha Murty: “কালাম ফোন করেছেন ভাবতেই পারিনি”, কী বললেন সুধা মূর্তি?

    Sudha Murty: “কালাম ফোন করেছেন ভাবতেই পারিনি”, কী বললেন সুধা মূর্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত রাষ্ট্রপত এপিজে আবদুল কালামের ফোন ধরতে চাননি ভারতীয় শিক্ষাবিদ, লেখিকা তথা রাজ্যসভার সাংসদ (Rajya Sabha MP) সুধা মূর্তি (Sudha Murty)। সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। সেদিনের স্মৃতিচারণা করে ট্যুইটও করেছেন সুধা। তিনি ভেবেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি কালাম সে সময় তাঁর স্বামী ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তিকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু পরে জানতে পারেন কালাম তাঁকেই ফোন করেছিলেন। 

    সুধার স্মৃতিচারণা

    সুধা (Sudha Murty) বলেন, “একদিন, আমি একটি কল পেয়েছিলাম যে মিঃ আব্দুল কালাম আপনার সাথে কথা বলতে চান। আমি (অপারেটরকে) বলেছিলাম আব্দুল কালামের সঙ্গে আমার কথা হতে পারে না। ভুল হচ্ছে হয়তো কলটি নারায়ণ মূর্তির জন্য হতে পারে। মিস্টার মূর্তির পরিবর্তে, আপনি মিসেস মূর্তির সাথে সংযোগ করেছেন।” কিন্তু ওই অপারেটর তাঁকে জানান, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাঁর সঙ্গেই কথা বলতে চান। সুধার কথায়, তিনি ভাবতে থাকেন কেন কালাম তাঁকে ফোন করছেন। এরপর তিনি জানতে পারেন তাঁর একটি লেখার প্রশংসা করার জন্যই কালাম তাঁকে ফোন করেছেন।

    সুধার কর্মজীবন

    ভারতীয় শিক্ষাবিদ এবং লেখক সুধা মূর্তিকে (Sudha Murty) সম্প্রতি রাজ্যসভায় সাংসদ (Rajya Sabha MP) হিসাবে মনোনীত করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সমাজসেবা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ইনফোসিসের কর্তা নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী সুধা শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট লেখিকা হিসাবে পরিচিত। ১৯৫০ সালে ১৯ অগস্ট কর্নাটকে জন্মগ্রহণ করেন সুধা। তিনি নিজে এক জন ইঞ্জিনিয়ার। নারায়ণ মূর্তির স্ত্রী তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘টাটা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড লোকোমোটিভ কোম্পানি’তে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তিনি কাজ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, বেঙ্গালুরুর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবেও কাজ করেছেন সুধা। কন্নড়, মারাঠি, ইংরেজি-সহ বিভিন্ন ভাষায় তাঁর ৪০টির বেশিও বই আছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে একাধিক কলম লিখেছেন তিনি। ২০০৬ সালে সুধাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০২৩ সালে তিনি পান পদ্মভূষণ সম্মান। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ৮ বছর আগে যাত্রীর ব্যাগ চুরি, রেলকে লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ কমিশনের

    Indian Railway: ৮ বছর আগে যাত্রীর ব্যাগ চুরি, রেলকে লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে লাগেজ নিয়ে যাওয়ার সময় চুরির ঘটনায় (Indian Railway) রেলকে জরিমানা করল কনজিউমার কমিশন। ২০১৬ সালে এক মহিলা যাত্রীর ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। যাতে ৮০ হাজার টাকা জিনিস ছিল। সেই চুরি যাওয়া ব্যাগ উদ্ধার করে না দিতে পারা এবং যাত্রীর হয়রানির জন্য এবার ওই মহিলা যাত্রীকে ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হল রেল কর্তৃপক্ষকে।

    যাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ (Indian Railway)

    জানা গিয়েছে ঝাঁসি ও গোয়ালিয়ার স্টেশনের মাঝে ২০১৬ সালে ওই ব্যাগ চুরি হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল মালওয়া এক্সপ্রেসে। যাত্রীর অভিযোগ ছিল (Indian Railway) রেল তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব নেয়নি। এমনকি কোন স্টেশনে অভিযোগ জানাতে হবে তা নিয়ে রেল পুলিশ কর্তৃপক্ষ যাত্রীকে সঠিক নির্দেশ দিতে পারেনি। ওই মহিলা নিউ দিল্লী স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন এবং নেমেছিলেন ইন্দোর স্টেশনে। রেল পাল্টা দাবি করে ওই যাত্রীর অবহেলাই ছিল চুরির কারণ। কিন্তু সে কথায় আমল দেয় নি কমিশন।

    চুরির জন্য রেলকেই দায়ী করল কমিশন

    কমিশনের সভাপতি জীত সিং এবং রশ্মি বনসল চুরি এবং যাত্রীর হয়রানির জন্য রেলের কর্মীদের দায়ী করেছেন। এদিকে যাত্রীর অভিযোগ ছিল তিনি এফ আই আর করার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে ঘুরেছেন। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। কোন স্টেশনের কত দূরে এবং কত নম্বর পিলারের কাছে তাঁর ব্যাগ খোয়া যায় তা জানতে এবং সেখানে গিয়ে খুঁজে দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ সব রকম ভাবে রেল পুলিশ তাঁকে হয়রান করে বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য গড়িমসি করে তদন্ত শুরু হয়। কিন্তু সেই ব্যাগ আর ফেরত পাওয়া যায়নি। রেলের (Indian Railway)  বিরুদ্ধে পরিষেবায় ঘাটতি এবং অবহেলার অভিযোগ তোলেন ওই যাত্রী।

    লক্ষাধিক টাকা জরিমানা মেটাল রেল

    দুপক্ষের শুনানির পর কমিশনের নির্দেশ, পরিষেবা বা সুরক্ষায় খামতির অভাবে চুরির ঘটনায় অবিলম্বে ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে (Indian Railway) রেলকে। এছাড়াও মামলা চালাবার খরচ বাবদ ৮ হাজার টাকা দিতে হবে। অতিরিক্ত ২০ হাজার দিতে হবে ক্ষতিপূরণ বাবদ। প্রসঙ্গত রেলের চুরির ঘটনা নতুন কিছু নয়। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি আগের তুলনায় চুরি

    আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় ৪৭টি অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, জানাল হাইকোর্ট

    ছিনতাইয়ের ঘটনা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু এখনও চুরি যে হয় তা মেনে নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে রেলের ডাকাতির ঘটনা অনেকটাই কমেছে আগের তুলনায়। এমন কি এখনও ছোটখাটো চুরির ঘটনায় রেল পুলিশ এফআইআর নিতে গড়িমসি করে বলে অভিযোগ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Temple: ২০২৫ সালের মার্চে রাম মন্দিরের সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হবে, জানাল ট্রাস্ট

    Ram Temple: ২০২৫ সালের মার্চে রাম মন্দিরের সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হবে, জানাল ট্রাস্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দিরের সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। যখন প্রথম এবং দ্বিতীয় দলের কাজ সম্পূর্ণ হবে। চলতি বছরের জুলাই মাসে এবং ডিসেম্বরেই দুই তল নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশাবাদী রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণ কমিটি। সাংবাদিক সম্মেলনে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। তাঁর মতে, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসেই মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং আগামী বছরের মার্চ মাসে মন্দির সম্পূর্ণভাবে নির্মিত হয়ে যাবে।

    ১ কোটি ৭৫ লাখ ভক্ত রাম মন্দির দর্শন করেছেন

    জানা গিয়েছে, রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে রাজস্থান থেকে আনা মাকরানা মার্বেল পাথর। উদ্বোধনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭৫ লাখ ভক্ত রাম মন্দির (Ram Temple) দর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি। সাংবাদিকদের সামনে নৃপেন্দ্র মিশ্র যে বিবৃতি দিয়েছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন, গড়ে প্রতি দিন ১ লাখ করে ভক্তের পা পড়েছে অযোধ্যায়। এটি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকেই। এর পাশাপাশি ভক্তদের জন্য ডিজিটাল গ্যালারি শুরু করার কথাও তিনি জানিয়েছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। চলতি বছরের ১৫ জুলাই থেকে তা শুরু হতে পারে। যেখানে রামকথা সিনেমা দেখানো হবে।

    মন্দিরের বিদ্যুতের লাইনগুলি বেয়ে জল ভিতরে চলে আসছে

    অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি, সরঞ্জাম বা অন্য কোনও ত্রুটি নেই বলে দাবি করেছেন নৃপেন্দ্র মিশ্র। প্রসঙ্গত, বর্ষার শুরুতেই রামলালার গর্ভগৃহের ছাদ থেকে বৃষ্টির জল চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেছে বলে সোমবার জানান রাম মন্দিরের (Ram Temple) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। এর প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার, অযোধ্যায় শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র মঙ্গলবার বলেন, ‘‘রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে মানের সঙ্গে কোনও আপস করা হয়নি। কিন্তু মন্দিরের বিদ্যুতের লাইনগুলি বেয়ে জল ভিতরে চলে আসছে। আর সেটাই চুঁইয়ে পড়ছে।’’  প্রধান পুরোহিত সোমবার বলেছিলেন, ‘‘প্রথম বৃষ্টিতেই রামলালার মূর্তি স্থাপন করা গর্ভগৃহের ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে। বিষয়টিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং কী ঘাটতি রয়েছে তা খুঁজে বার করে মেরামত উচিত।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩, শোরগোল

    Coal Scam: কয়লা পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা পাচারকাণ্ডে (Coal Scam) গ্রেফতার ইসিএল-র প্রাক্তন জিএম সহ ৩ জন। জানা গিয়েছে, নিজাম প্যালেসে দফায় দাফায় জেরা করার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসিএলের কাজোরা অঞ্চলে জেনারেল ম্যানেজার নরেশ কুমার সাহা এবং অপর দিকে দুই কয়লা ব্যবসায়ী বাপি ঠাকুর ও বিদ্যা দাস কেও গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। বাপি ঠাকুর আসানসোলের জামুড়িয়ার কেন্দা এলাকার বাসিন্দা এবং বিদ্যা দাস রানীগঞ্জের বাসিন্দা। তবে মিডিল ম্যান হিসাবে অশ্বিনী কুমার যাদবের নাম উঠে এসেছে। ঘটনায় কয়লা পাচারকাণ্ডে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    সিবিআই সূত্রে খবর (Coal Scam)

    জানা গিয়েছে, ধৃত এই কয়লা (Coal Scam) মাফিয়াদের মাধ্যমে রাজ্যের প্রভাবশালীর কাছে টাকা পৌঁছাত। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের সঙ্গে কয়লা পাচারের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। এই পাচার কাণ্ডে ধৃত ইসিএলের ম্যানেজার। ইসিলের ভিতরেই কয়লা পাচার! অবাক তদন্তকারী অফিসারেরা। নিজাম প্যালেসে এই ধৃতদের প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা হয়। এরপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। ফলে যাঁদের রক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরাই এখন ভক্ষকের আচরণ করছে। কয়লা পাচারের অভিযোগে পদস্থকর্তা গ্রেফতার হওয়ায় এই প্রশ্ন এখন ঘোরাফেরা করছে সর্বত্র। একই ভাবে আজ তাঁদের সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সিবিআই জানিয়েছে, ইসিএলের ভিতরে এখন সমান ভাবে সক্রিয় রয়েছে কয়লা পাচার চক্র।

    আরও পড়ুনঃ “কখনও শিখ কখনও সন্ন্যাসী, জরুরি অবস্থায় ছদ্মবেশে কাজ করতাম”, বললেন মোদি

    ২০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়!

    নিজাম প্যালেসে ডাকার পর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর জানা যায়, অশ্বিনীর মাধ্যমে কয়লা (Coal Scam) পাচারের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নরেশের কাছে গিয়েছে। আসানসোলের আদালতে পেশ করার পর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এদিন তাঁদেরকে নিজেদের হেফাজতে চায়। সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে ধৃতদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। একই ভাবে ধৃতদের আইনজীবীদের পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল আদালতে। তবে ২০২১ সালে নরেশের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে সেই সময় মোবাইল ছাড়া আর কিছু উদ্ধার হয়নি। কয়লাকাণ্ডের এই ঘটনায় আরেকবার চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    Basirhat: কমিশনে ভুল তথ্য দিয়েছে তৃণমূল! বসিরহাটে নির্বাচন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে রেখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাট (Basirhat) কেন্দ্রে নির্বাচন বাতিলের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। গত লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হওয়া প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কমিশনে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির প্রার্থী। একই সঙ্গে ঘাসফুল শিবির জালিয়াতি করে নির্বাচনে জিতেছে বলেও দাবি তাঁর। আদালত তাঁর মামলা গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন সন্দেশখালির লড়াকু নেত্রী? (Basirhat)

    রেখা পাত্র বলেন, “নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্রের হলফনামার সঙ্গে নো ডিউজ সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশনে জমা দেননি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভায় জয়ী হওয়া হাজি নুরুল ইসলাম। এই বিষয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগ জানানো হলেও কমিশন কোনও গুরুত্ব দেয়নি। তারা পক্ষপাতিত্ব করেছে। আর সেই সুযোগে নির্বাচনেও জালিয়াতি করে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে হাজি নুরুল ইসলাম যে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, সেখানে ভুল রয়েছে। যে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাতেও ভুল আছে। লোকসভা নির্বাচনেও তিনি অন্যায়ভাবে জিতেছেন। এটা কোনওভাবেই আমরা মেনে নিচ্ছি না। কারণ, উনি অন্যায় করেছেন। আমরা এর বিচার চাই। সত্যি কী তা মানুষের সামনে আসুক। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী যদি বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। তবে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কেন মামলা হবে না? বিচার সবার প্রতি সমান হওয়া চাই। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। মানুষ সবটা এমনিতেই জানতে পেরেছে। আরও একটু পরিষ্কার করে বিষয়টি জানতে পারে যাতে তারজন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: ২০ টাকায় রাজি হয়নি! পুলিশের তোলাবাজি থেকে বাঁচতে দুর্ঘটনার কবলে পিকআপ ভ্যান

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পয়লা জুন লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল বসিরহাটে। ৪ জুন ফল প্রকাশ পেতে দেখা যায় বিজেপির রেখা পাত্রকে প্রচুর ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাজি নুরুল ইসলাম। তারপর থেকেই জালিয়াতি করে ঘাসফুল শিবির ভোটে জিতেছে বলে দাবি করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। এবার বিচার চাইতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় ৪৭টি অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, জানাল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় ৪৭টি অভিযোগ, কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৪৭টি মামলায় কোনও রকমের পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ। বুধবার শুনানিতে এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিনই বিচারপতি অমৃতার সিনহার এজলাসে এ সংক্রান্ত মামলাটি ওঠে। সেখানে বিচারপতি জানান, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের আশ্বাস অনুযায়ী আপাতত ওই এফআইআরের প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। এর পাশাপাশি হাইকোর্ট ওই সমস্ত এফআইআরগুলি নিয়ে রাজ্যের কাছে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টও চেয়েছে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিনই রাজ্যকে রিপোর্ট জানাতে বলেছে হাইকোর্ট।

    কী বললেন শুভেন্দুর আইনজীবীরা?

    প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের সময় এবং তার আগে ও পরে নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। বিজেপির অভিযোগ যে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাদের কর্মীদেরকে। এরপরে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল। শুভেন্দুর আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া এবং বিল্বদল ভট্টাচার্য আদালতে সওয়াল করেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে ওই এলাকার বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে এতগুলি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এক জন ব্যক্তিই ৩৪টি অভিযোগ করেছেন! তার ভিত্তিতে এফআইআরও দায়ের হয়।’’

    নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত

    প্রসঙ্গত, গত ৪ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ওই এফআইআরগুলি করা হয়েছে বলে জানান মামলাকারীর আইনজীবীরা (Calcutta High Court)। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। তাঁদের আর্জি, ওই সব এফআইআরের তদন্ত সিবিআইকে দিয়ে করানো হোক। অন্যদিকে, এই মামলায় রাজ্যের বক্তব্য, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনেই বিচারপতি অমৃতা সিনহা তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যের কাছে। সেই সঙ্গে এজির আশ্বাসের ভিত্তিতে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন, এখনই এফআইআরে নাম থাকা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madhya Pradesh: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    Madhya Pradesh: আয়কর দিতে হবে মন্ত্রীদেরই, বড় সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রদেশ সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয় করেন মন্ত্রীরা। আর আয়কর দেয় সরকার। এতদিন এটাই দস্তুর ছিল মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh)। তবে ১৯৭২ সালের এই আইন বাতিল করতে চলেছে সে রাজ্যের বিজেপি সরকার। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যিনি আয় করবেন, ট্যাক্সের বোঝাও বইতে হবে তাঁকেই। মঙ্গলবার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বেতন ও ভাতা বাবদ যে অর্থ মন্ত্রীরা রোজগার করবেন, তার ওপর আয়কর দিতে হবে তাঁদেরই।

    কী বললেন বিজয়বর্গীয়? (Madhya Pradesh)

    আরবান অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মন্ত্রী বিজেপির কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, “মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব এই পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছেন।” তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে এই করগুলি রাজ্য সরকারের দেওয়ার বদলে মন্ত্রীদেরই উচিত তাঁদের বেতন ও ভাতার ওপর আয়কর দেওয়া। রাজ্যকে এই কর দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার নিয়মটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা (Madhya Pradesh)।”

    মধ্যপ্রদেশ মিনিস্টার অ্যাক্ট

    মধ্যপ্রদেশ মিনিস্টার অ্যাক্টের ৯ কে ধারা অনুযায়ী, ‘কোনও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদীয় সচিবের ওপর তাঁদের প্রদেয় সমস্ত ভাতার জন্য একটি সাজানো গোছানো সুবিধার জন্য কোনও আয়কর ধার্য করা হবে না। ভাড়া দিতে হবে না এই শর্তেই বাসস্থান দেওয়া হয়েছে। এবং এই আইনের অধীনে তাঁরা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। একজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদীয় সচিব কর্তৃক প্রদেয় সর্বোচ্চ হারে কর প্রদান করবে রাজ্য সরকার।’

    আর পড়ুন: ফের গুলির লড়াইয়ে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ! এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

    এই আইনের বিলোপ ঘটলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ, বলছেন আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, মন্ত্রীদের আয়কর বাবদ যে টাকা সরকারকে দিতে হয়, তা বাঁচলে উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও জনসেবাগুলির জন্য আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক আধিকারিক বলেন, “মন্ত্রীরা আয়কর প্রদান করে একজন দায়িত্ববান নাগরিকের কর্তব্যের সংস্কৃতি গড়ে তুলবেন। যা সরকারের স্বচ্ছতার সঙ্গে মেলে। এটি রাজ্যের বাজেট থেকে অপ্রয়োজনীয় ব্যয়ও হ্রাস করবে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরিষেবা ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে আরও বেশি করে অর্থ বরাদ্দ করা সম্ভব হবে।” তিনি বলেন, “বর্তমানে রাজ্য আর্থিক বোঝার মধ্যে রয়েছে।”

    ২০১৯ সালে পথ দেখিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। ২০২২ সালের একই পথে হাঁটে হিমাচলপ্রদেশের মন্ত্রিসভাও। এবার এই দুই রাজ্যের পদাঙ্ক অনুসরণ করল পদ্ম-শাসিত মধ্যপ্রদেশও (Madhya Pradesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share