Tag: bangla news

bangla news

  • Pakistan: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    Pakistan: পাকিস্তানের খাইবারে সেনার উপর জঙ্গি হামলা, মৃত পাঁচ জওয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) উত্তর পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে জঙ্গি হানায় ৫ জন পাকিস্তানি সেনার মৃত্যু হল। পাকিস্তান সেনার মিডিয়া বিভাগ ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন জানিয়েছে, জঙ্গিরা কুররাম জেলায় সেনাবাহিনীর গাড়ির উপরে হামলা চালায়। বিস্ফোরণে নষ্ট হয়ে যায় সেনার গাড়ি এবং ওই গাড়ির মধ্যে থাকা পাঁচ জন সেনা সেনার মৃত্যু হয়েছে।

    হামলায় নেপথ্যে টিটিপি, ধারণা প্রশাসনের

    চিনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া তাঁদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে মৃত সৈনিকদের বয়স ২৪ থেকে ৩৩ এর মধ্যে। এখন অবধি কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায়িত্বভার গ্রহণ করেনি। এমনকি (Pakistan) সেনা তরফ থেকেও কোন জঙ্গি সংগঠনকে আধিকারিক ভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান বা আফগান তালিবানের সহযোগী টিটিপি এই ঘটনার জন্য দায়ী। ইতিমধ্যে তালিবানরা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে টিটিপি এই অঞ্চলে হামলা বাড়িয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শিরিফ বলেছেন, “সেনার এই বলিদান ব্যর্থ যাবে না।”

    উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় দমন-পীড়ন

    পাকিস্তানে উপজাতি অধ্যুষিত ফাটা, সোয়াত ও খাইবার পাখতুনখোয়া এলাকায় জঙ্গি দমন অভিযান চালাবার ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ সেনা জঙ্গি দমনের নামে নির্বিচারে সাধারণ মানুষকেও সন্দেহের বশে গুলি করে মারছে। অন্যদিকে কয়েক লক্ষ আফগান শরনার্থীকে থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু আফগান নাগরিককে ধরে ধরে আফগান সীমান্তের ছেড়ে দিয়ে আসা হচ্ছে। এই সব এলাকাতেও বহু আফগানীর বাস। কয়েক প্রজন্ম ধরে তাঁরা এখানে বসবাস করছেন। অথচ জঙ্গি দমন অভিযানের নামে তাঁদের উপরেও অত্যাচার চলছে। এই জেরে পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দানা বাঁধছে। ক্ষোভের জেরে পাল্টা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তেহরিক এ তালিবান পাকিস্তান ওরফে টিটিপি নামে একটি উগ্রপন্থী গোষ্ঠী। মাঝেমধ্যেই তাঁরা সেনাবাহিনীর উপরে হামলা চালাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক এই হামলার জন্য কারা দায়ী তা এখনও জানা যায়নি।

    জঙ্গি সন্দেহে ২২ জন গ্রেফতার (Pakistan)

    জানা গেছে পাঞ্জাব প্রান্ত থেকে পুলিশ ইতিমধ্যে ২২ জন ব্যক্তিকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে। পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রে খবর বিভিন্ন জেলায় ১৫২ টি অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ইসলামিক স্টেট। তেহরিক-এ-তালিবান পাকিস্তান (TTP), লস্কর-এ-তৈয়বা, লস্কর-এ-জাহাঙওয়ী সংগঠনের ২২ জনকে জঙ্গি সন্দেহে ধরা হয়। পুলিশের জঙ্গি দমন শাখার এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী গোটা এলাকা জুড়ে জঙ্গি দমন অভিযান চালানো হচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ সাম্প্রতিক (Pakistan) সেনাবাহিনীর উপরে হামলায় যুক্ত ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গিবাদের প্রভাব

    পাকিস্তান (Pakistan) সেনার একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিয়ে আসছে। জঙ্গিদের মদত করতে করতে এখন এই জঙ্গি সমস্যায় পাকিস্তানের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ জঙ্গিদের পাক সেনার কথা মত কাজ করতে হয়। জঙ্গিদের টার্গেট বাছার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা নেই। মতানৈক্য হলেই জঙ্গিদের খতম করিয়ে দেয় সেনা। ফলে যে সেনাবাহিনী এতদিন তাঁদের সমর্থন করছিল তারাই এখন জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছে। পাল্টা সেনার উপর হামলা করছে জঙ্গিরা। বিশেষ করে পাকিস্তানে উপজাতি অধ্যুষিত সোয়াত, খাইবার ও ফাটা

    আরও পড়ুন: চিন-পাকিস্তান যোগসাজশ! কাশ্মীরে জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার চিনা টেলিকম সরঞ্জাম

    এলাকায় অনুন্নয়নের জেরে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে। তাঁদের একাংশ হাতে সেনার অত্যাচারে বন্দুক হাতে তুলে জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিচ্ছে। পাকিস্তান সেনা এদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে তাঁদের উপর আরও কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। যার ফলে সেই এলাকায় সেনার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সেনাবাহিনীর কথামত না চললে অনেক ক্ষেত্রেই খুন এবং গুম করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    Emergency: ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মঙ্গলবার ২৫ জুন। ১৯৭৫ সালের এই ২৫ জুন থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ২১ মাসের জন্য কংগ্রেস দ্বারা জারি করা জাতীয় জরুরি (Emergency) অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এই নিয়ে বিজেপি কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বিজেপি জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে সমস্ত আন্দোলনকারীদের এই দিনটিকে স্মরণ করে গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন বলেছে। বিজেপি আরও বলেছে, “ভারতীয় গণতন্ত্র ও রাজনীতির অন্ধকারতম অধ্যায় ছিল এই দিনটি। জরুরি অবস্থা বিরোধী সকল সত্যাগ্রহীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল অভিবাদন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য কুর্নিস জানাই।” সংসদে শপথ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরি অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছেন।

    কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী (Emergency)

    প্রধানমন্ত্রী মোদি সোমবার সংসদে সদস্য হিসাবে শপথ নেওয়ার সাথে সাথে ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার স্মৃতি তুলে ধরেন। দেশের তৎকালীন নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বয়ং এই ঘোষণা করেছিলেন। মোদি বলেছেন, “আগামীকাল সেই কালাদিন। তরুণ প্রজন্ম কখনই ভুলবে না যে কীভাবে গণতন্ত্রকে হরণ করা হয়েছিল। কীভাবে গোটা দেশকে একটি কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। ভারতীয় সংবিধানকে কীভাবে পরিত্যাগ করা হয়েছিল তা দেখে ছিলেন মানুষ। ৫০ বছর পূর্তিতে দেশ প্রতিশ্রুতি দেবে যে এই দিনটি আর কখনই দেখবে না। সংসদের অধিবেশনে কাজে ব্যাঘাত এবং বিশৃঙ্খলা দেখতে চান না সাধারণ মানুষ। কাজের বিষয়ে আলোচনা ও প্রচেষ্টার বিষয়বস্তুকেই মানুষ পছন্দ করেন বেশি। আমি আশা করছি বিরোধী দল জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণ করবে।”

    আরও পড়ুনঃ “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    কেন জারি হয়েছিল জরুরি অবস্থা?

    তৎকালীন সরকার ছিল ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ঘটছে বলে কারণে দেখিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদ। এরপর জাতীয় জরুরি অবস্থা (Emergency) জারি করেন। তিনি ভারতীয় সংবিধানের ৩৫২ নম্বর ধারার অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন। এই জরুরি অবস্থা স্থায়ী হয়েছিল ২৫ জুন, ১৯৭৫ থেকে ২১ মার্চ, ১৯৭৭ পর্যন্ত। আবার এই জরুরি অবস্থার মধ্যে ছিল দেশের গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যহার করা এবং নাগরিকদের স্বাধীনতার পরিসীমাকে সীমিত করা। ফলে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা একক ক্ষমতার অধিকারী হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর পুত্র সঞ্জয় গান্ধীও মানুষের মানবাধিকারকে কেড়ে নিয়ে ব্যাপক অত্যাচার করেছিলেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    Lok Sabha Election 2024: ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান! লোকসভা ভোটে বিরাট ভূমিকায় মুসলিম ভোটারেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে মুসলিম ভোট। পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর হোক বা মহারাষ্ট্রের ধুলে লোকসভা কেন্দ্র, সেখানে মুসলমানরা প্রার্থীদের ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতে। যার ফলে মুসলিম ভোটারদের একটা বড় অংশ এই লোকসভায় বিরাট ভুমিকা নিয়েছে। 

    গান্ধিজির আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি 

    ১৯২৪ সালে ৮ অক্টোবর, গান্ধিজি তাঁর ২১ দিনের অনশন ভাঙার পর, মৌলানা মোহাম্মদ আলীকে লিখেছিলেন, “আপনি আমার কাছে ভাইয়ের চেয়েও বেশি। আপনার এবং আমার মধ্যে এই বন্ধনটি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য বন্ধনে পরিণত হোক। আমাদের নিজ নিজ ধর্মের ভালো, আমাদের দেশের ভালোর জন্য এবং মানবতার ভালোর জন্য।” তবে গান্ধিজির এই ঐক্যের আদর্শবাদী দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিগুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করেছিল। 

    ধর্মের ভিত্তিতে ভোটদান বহরমপুরে

    এবছর লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই দেখা গেল ধর্মের ভিত্তিতেই ভোট (Muslim Voting Pattern) হয়েছে বহরমপুরে। ১৩ মে হয়েছিল লোকসভার ভোটের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এই দিন বাংলার ৭ কেন্দ্র সহ নির্বাচন হয় বহরমপুরেও। গত পাঁচ-পাঁচটি লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) অপরাজেয় ছিলেন অধীর চৌধুরী। ১৯৯৯ থেকে টানা ৫ বার এই কেন্দ্র থেকে জিতে সংসদে গিয়েছেন তিনি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে একদশক কাটিয়ে ফেলেছে তৃণমূল। কিন্তু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল। কিন্তু এবারের ভোটের ফলাফলে প্রকাশ হল অন্য তথ্য। ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল অধীরের গড়ে ফুল ফুটিয়েছে ঘাসফুল শিবির। কারন এবছর বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের অধীরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। ফলে প্রার্থীকে দেখে এককাট্টা হয়ে সব মুসলিম ভোট পড়েছে তৃণমূলের দিকেই। 

    আরও পড়ুন: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    একই ছবি ধুলে লোকসভা কেন্দ্রেও

    এই একই ছবি রয়েছে ধুলে লোকসভা কেন্দ্রেও। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী শোভা বাছাভ দুইবারের বিজেপি সাংসদ সুভাষ ভামরেকে হারিয়েছেন। ধুলে লোকসভা কেন্দ্রে রয়েছে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র: সিন্দাখেদা, মালেগাঁও আউটার, মালেগাঁও সেন্ট্রাল, ধুলে (গ্রামীণ), বাগলান এবং ধুলে শহর। এর মধ্যে মালেগাঁও সেন্ট্রালের মোট জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে এই ভোটের (Lok Sabha Election 2024) ফলাফলের কারন ঠিক কী। 
    এই বিস্ময়কর ফলাফলগুলি ভারতীয় রাজনীতিতে আরও একবার প্রমান করল যে মুসলমানরা প্রার্থীদের (Muslim Voting Pattern) ভোট দেয় ধর্মের ভিত্তিতেই। সে প্রার্থী যতই অনভিজ্ঞ রাজনিতিবিদ হোক না কেন! ফলে গোটা দেশ জুড়ে এই মুসলিম ভোট শক্তিশালী করছে ইন্ডি জোটকে, যার প্রভাব পড়ছে এনডিএ-র ওপর।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    BSF: সীমান্তে গরু পাচারে বাধা, বিএসএফের ওপর পাচারকারীদের হামলা, চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুর্শিদাবাদ জেলায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। যদিও পাচার রুখতে প্রতিনিয়ত কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ (BSF)। আর সীমান্তে এই পাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন বিএসএফ জওয়ানরা। দুদিন আগেই মুর্শিদাবাদের কাহারপাড়া সীমান্তে পাচারে বাধা দেওয়ায় বিএসএফ জওয়ানদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা করে গরু পাচারকারীরা। সীমান্তে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান জওয়ানরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, বিএসএফের তৎপরতার কারণে পাচারকারীরা পিছু হঠতে বাধ্য হয়। হামলার জেরে কয়েকজন জওয়ান জখম হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কাহারপাড়া সীমান্তে বেশিরভাগ অংশেই কোন কাঁটাতার নেই। বিশাল উঁচু পাট ক্ষেত। যার সুযোগ নেয় গরু পাচারকারীরা। বিএসএফ (BSF) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাংলাদেশের দিক থেকে একদল গরু পাচারকারী সীমান্তেই অপেক্ষা করছিল। ভারতের দিক থেকে পাচারকারীরা মাথায় বাক্স নিয়ে সীমান্ত পার করতে যায়। পাচারকারীদের দূরেই বেশ কয়েকটি গরু রাখা ছিল।  সেই সময় জওয়ানরা তাদের দাঁড়াতে বললে উল্টে পাচারকারীরা গালিগালাজ শুরু করে। এরপর জওয়ানরা এগিয়ে গেলে তাঁদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। মূলত, পাচারকারীরা হামলা করার পরিকল্পনা করেই এসেছিল। বেশ কয়েকজন জওয়ানকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে। হামলার খবর পেয়ে অন্যান্য বিএসএফ জওয়ানরা সেখানে হাজির হন। তাঁরা হামলাকারীদের লক্ষ্য করে পরপর গুলি চালান। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বিথারী সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার করছিল পাচারকারীরা। বিষয়টি জানতে পেরে বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে, কাহাড়পাড়া সীমান্তে বিএসএফ এবং পাচারকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির সময় জওয়ানরা পরপর গুলি চালান। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। গুলির আওয়াজ পেয়েই বাংলাদেশি পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালায়। তবে, ধারাল অস্ত্রগুলি সীমান্তে ফেলেই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত পাচারকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • T20 World Cup: বিশ্বকাপ থেকে বিদায় অস্ট্রেলিয়ার! বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

    T20 World Cup: বিশ্বকাপ থেকে বিদায় অস্ট্রেলিয়ার! বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন পাওয়ার আফগানিস্তান। সম্ভাবনাময় ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে রশিদ খানরা। প্রথমবার কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে পৌঁছল আফগানিস্তান। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবার টি২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে উঠল তারা। রশিদরা (Afghanistan vs Bangladesh) লিখে ফেলল ইতিহাস। একই সঙ্গে লজ্জার মুখে পড়ল ক্রিকেটের সুপার পাওয়ার অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালেই উঠতে পারল না বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবারের মতো টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল ব্যাগি গ্রিনরা।

    শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়াই 

    ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে জমে উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) আসর। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াই চলল শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। মঙ্গলবার খেলতে নামা আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের যেমন সুযোগ ছিল শেষ চারে ওঠার। তেমনই এই ম্যাচের উপর নির্ভর করছিল অস্ট্রেলিয়ার ভাগ্য। তিন দলের কাছেই সুযোগ ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ১১৫ রান করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে উঠতে হলে সেই রান করতে হত ১২.১ ওভারে। কিন্তু সেটা করতে পারলেন না শাকিব আল হাসানেরা। বৃষ্টির কারণে বার বার বন্ধ হল খেলা। বাংলাদেশের লক্ষ্যও বদলে গিয়েছিল। জয়ের জন্য ১৯ ওভারে ১১৪ রান প্রয়োজন ছিল তাদের। শেষ পর্যন্ত ৮ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। সুপার এইট থেকেই বিদায় নিল বেঙ্গল টাইগার্সরা। ছিটকে গেল ক্যাঙ্গারু বাহিনীও। চার পয়েন্ট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলেন রশিদেরা। 

    আফগানিস্তানের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা

    সুপার ৮-এ ভারতের বিরুদ্ধে হারলেও অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জিতল আফগানিস্তান। সেমিফাইনালে (T20 World Cup) তাঁদের খেলতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। এদিন প্রথমে ব্যাট করে রহমানুল্লাহ গুরবাজের ৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তোলে আফগানিস্তান (Afghanistan vs Bangladesh)। জবাবে বাংলাদেশ দল ১৭.৫ ওভারে ১০৫ রানে গুটিয়ে যায়। আফগানিস্তানের হয়ে অধিনায়ক রশিদ খান ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। শেষ বেলায় ঝটকা দিয়ে নবীন-উল-হকও নেন ৪ উইকেট। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Julian Assange: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    Julian Assange: দোষ কবুল! ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত উইকিলিক্‌‌স প্রধান অ্যাসাঞ্জ, এবার কি আমেরিকার পথে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন আমেরিকার গোপন সামরিক ফাইল ফাঁস করায় অভিযুক্ত, উইকিলিক্‌‌স-এর (Wikileaks) প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange)। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে আমেরিকায় পৌঁছনোর কথা অ্যাসাঞ্জের। এ সপ্তাহেই মার্কিন আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তথ্য বলছে মার্কিন আদালতে তিনি দোষীই সাব্যস্ত হবেন। তবে তাঁর সাজা কমে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও ব্রিটেনের কারাগারে ইতিমধ্যেই সেই ৫ বছর কাটিয়ে এসেছেন তিনি। তাই এবার তিনি মুক্তিও পেতে পারেন। তাঁর জন্মভূমি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়ার অনুমতি পেতেও পারেন অ্যাসাঞ্জ।

    অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) ২০০৬ সালে হুইসেল-ব্লোয়িং ওয়েবসাইট উইকিলিকস (Wikileaks) প্রতিষ্ঠা করেন। আমেরিকার নেতৃত্বে ইরাক এবং আফগানিস্তানে হওয়া সংঘাত সংক্রান্ত পাঁচ লক্ষ গোপন সামরিক ফাইল ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছিল অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে। এই কারণে চরবৃত্তির অভিযোগে আমেরিকাতে তাঁকে অপরাধীও ঘোষণা করা হয়। উইকিলিক্‌‌সের তরফে প্রকাশিত ওই গোপন নথিতে থাকা একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ২০০৭ সালে ইরাকে আমেরিকার হেলিকপ্টার থেকে সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে।  এই নথি প্রকাশ্যে আসার পরেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা বিশ্বে। এর পরে ২০১০ সালেই ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেন সরকার। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাসাঞ্জ পাল্টা দাবি করেন, মার্কিন সরকারের একাধিক গোপন বার্তা ফাঁস করে দেওয়ার জন্যই তিনি চক্রান্তের শিকার। 

    পাঁচ বছর ব্রিটেনের জেলে

    আত্মরক্ষার জন্য ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত অ্যাসাঞ্জ (Julian Assange) ব্রিটেনের ইকুয়েডর দূতাবাসের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সে বছরের এপ্রিলেই ইকুয়েডর সাহায্যের হাত সরিয়ে নেয় এবং দূতাবাসেই গ্রেফতার করা হয় উইকিলিকস (Wikileaks) প্রতিষ্ঠাতাকে। এর পর ব্রিটেনের একটি জেলে অ্যাসাঞ্জ কাটিয়ে ফেলেন পাঁচটি বছর। অ্যাসাঞ্জের তথ্য ফাঁস নিয়ে মামলা শুরু হয় আমেরিকার নর্দার্ন মারিয়ানা আইল্যান্ডের একটি আদালত। ব্রিটেন থেকে তাঁকে আমেরিকার হাতে প্রত্যর্পণ নিয়েও বেশ জলঘোলা হয়। প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া নিরাপদ হবে না বলে মনে করে অ্যাসাঞ্জের অনুগামীরা একে মানবাধিকার বিরোধী বলে তোপ দাগেন। অবশেষে অ্যাসাঞ্জ নিজেই আমেরিকার শর্ত মেনে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হতে রাজি হয়েছেন বলে উইকিলিকস সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Vs Australia: রোহিতের রূপকথা! জয়ের হ্যাটট্রিক, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই শেষ চারে ভারত

    India Vs Australia: রোহিতের রূপকথা! জয়ের হ্যাটট্রিক, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েই শেষ চারে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মার্শ। প্রথম ওভারেই রোহিতের আউটের আবেদন করেছিল অস্ট্রেলিয়া (India Vs Australia)। কিন্তু ব্যাটে লেগে বল মাটিতে ছুঁয়ে ফিল্ডারের হাতে যায়। বেঁচে গেলেন রোহিত। দ্বিতীয় ওভার, হ্যাজলউডের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে আউট কোহলি। ফিরলেন শূন্য রানে। ২ ওভারের শেষে ভারতের রান ৬/১। ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা তখন চুপ। তাহলে এবারও…। দিনের তৃতীয় ওভার আইপিএলে ফাইনালে ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে দুই উইকেট তোলা ২৫ কোটির বোলার মিচেল স্টার্কের হাতে বল। দুরু দুরু বুকে টিভির পর্দায় চোখ ১৪০ কোটির। ৩ ওভারের শেষে ভারতের স্কোর ৩৫/১। স্টার্কের এক ওভারে চারটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি রোহিতের। শুরু রোহিত-রূপকথার।

    রোহিতের মধুর বদলা

    ভারত অধিনায়ককে হিটম্যান বলা হয়। অস্ট্রেলিয়ার (India Vs Australia) বিরুদ্ধে তিনি আরও এক বার বোঝালেন তাঁর সেই নামকরণের সার্থকতা। কখনও পুল, কখনও লং অনের উপর দিয়ে আবার কখনও কভারে রোহিত খেললেন অনায়াসে। ১৯ বলে অর্ধশতরান করলেন রোহিত। মাত্র ৮ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর। স্টার্কের হাতেই ৪১ বলে ৯২ রান করে আউট হন তিনি। বিরতিতে সূর্যকুমার বললেন, ‘লাইক আ ড্রিম!’ স্বপ্নই বটে। বিগ বস! সাতটা চার আর আটটা ছক্কায় কোথাও যেন ধরা থাকল আক্রোশ, আমেদাবাদে গত ১৯ নভেম্বর ঝাঁ চকচকে শুরু করেও ৪৭ রানে ট্র্যাভিস হেডের অবিশ্বাস্য ক্যাচে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা। ব্যাগি গ্রিনকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া, রোজ রোজ সমান যায় না। 

    ভারতের দাপট

    একটা সময় মনে হচ্ছিল ভারত হয়তো ২২০ রান তুলে ফেলবে। কিন্তু রোহিত এবং সূর্যকুমার যাদব আউট হতেই রানের গতি কমে যায়। ১৬ বলে ৩১ রান করে সূর্য ফিরতেই ভারতের ২২০ রানের আশা শেষ হয়ে যায়। হার্দিক ও দুবে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা ক্রিজে থিতু হতে হতেই বেশ কিছু বল নষ্ট করেন। ফলে শেষ দিকে বড় শট খেললেও ২০৫ রানেই আটকে যায় ভারতের ইনিংস। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি অজিরা। যে ভাবে সোমবার ট্রেভিস হেড ব্যাট করতে শুরু করেছিলেন, তাতে সাত মাস আগের স্মৃতি ফিরে এসেছিল ভারতীয় সমর্থকদের মনে। যশপ্রীত বুমরারা শেষ পর্যন্ত হতাশ করেননি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফলতম আরশদীপ সিং। ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন তিনি। তবে ম্যাচের মোড় ঘোড়ান কুলদীপ ও বুমরাই। কুলদীপ বল করতে আসার আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারেরা অনায়াসে শট খেলছিলেন। দ্রুত রান করছিলেন। সেটাই আটকে দেন কুলদীপ। বলের লাইন এবং লেংথ বার বার বদলে ব্যাটারদের বোকা বানাচ্ছিলেন তিনি। তাতেই রানের গতি কমে যায়। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে (India Vs Australia) চাপে ফেলে দেন কুলদীপ। বড় শট খেলতে গিয়ে এর পর উইকেট দেন একাধিক অজি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ২৪ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) সেমিফাইনালে ভারত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • OpenAI: “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    OpenAI: “চ্যাটজিপিটির পরবর্তী প্রজন্মের বুদ্ধিমত্তা হবে পিএইচডি ডিগ্রিধারীর সমতুল্য”! দাবি সংস্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নেক্সট জেনারেশন চ্যাটজিপিটির (OpenAI) ইন্টেলিজেন্স লেভেল হবে পিএইচডির।” এক সাক্ষাৎকারে কথাগুলি বললেন মীরা মূর্তি। চ্যাটজিপিটির সিইও স্যাম অল্টম্যানকে অপসারণের পর কোম্পানির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মীরাকে।

    ইন্টেলিজেন্স লেভেল (OpenAI)

    তিনি বলেন, “জিপিটি-৩ এর ছিল টডলার-লেভেল ইন্টেলিজেন্স। জিপিটি-৪ এর ছিল হাইস্কুল পড়ুয়ার ইন্টেলিজেন্স লেভেল। আর স্পেসিফিক ক্ষেত্রে নেক্সট জেনারেশনের ইন্টেলিজেন্স লেভেল হবে পিএইডির সমতুল্য।” তিনি জানান, আগামী দেড় বছরের মধ্যেই নেক্সট জেনারেশন জিপিটি (OpenAI) বাজারে চলে আসবে। মীরা বলেন, “আপনি যখন নেক্সট জেন চ্যাটবটের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন, তখন কখনও কখনও মনে হবে ও আপনার চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট।”

    কী বললেন মীরা?

    চ্যাট জিপিটি অবিশ্বাস্যভাবে বুদ্ধিমান হলে মানুষের কী হবে? এ প্রশ্নের উত্তরে মীরা বলেন, “আমরাও এ নিয়ে বিশদে চিন্তাভাবনা করছি। এআই সিস্টেমের চেয়ে এটা নিশ্চিতভাবেই রিয়েল হবে। এর এজেন্ট ক্যাপাবিলিটিও থাকবে, ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযোগ করতে পারবে, পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলতে পারবে, এজেন্টরা পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে, এক সঙ্গে কাজও করতে পারবে। আজ আমরা নিজেরা যেমনভাবে কাজ করছি এআই নিয়েও তেমন ধরনের কাজ করব।”

    আর পড়ুন: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    তিনি বলেন, “নিরাপত্তার শর্তে, সুরক্ষার স্বার্থে এই কাজের একটা সামাজিক প্রভাব রয়েছে। আমার মনে হয়, এগুলো তখন আর থাকবে না। এটা এমন হতে পারে যে আপনি কিছু ধরনের প্রযুক্তি ডেভেলপ করলেন, তখনই এসব ইস্যু নিয়ে কীভাবে কাজ করতে হবে তা ভাবতে পারবেন।” তিনি বলেন, “এসব ইস্যু নিয়ে কাজ করতে হলে বরাবর প্রযুক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। একে ঠিকঠাকভাবে কাজে লাগাতে হলে করতে হবে প্রযুক্তি এমবেড।” মীরা বলেন, “সক্ষমতা এবং নিরাপত্তা এরা পৃথক কোনও ডোমেনস নয়। এরা হাত ধরাধরি করেই চলে। স্মার্টার সিস্টেমকে নির্দেশ দেওয়াটা অনেক সহজ। কেবল বলতে হবে, এগুলো করো না। তাদের প্রয়োজন কম বুদ্ধি সম্পন্ন সিস্টেমের নির্দেশনা দান।” তিনি বলেন, “এটা অনেকটা কোনও একটা স্মার্টার কুকুর বনাম বোবা কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো। তাই বুদ্ধি এবং সুরক্ষা হাত ধরাধরি করে চলে (OpenAI)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Shubman Gill: ভারতের নয়া অধিনায়ক শুভমন,  জিম্বাবোয়ে সফরে দল ঘোষণা

    Shubman Gill: ভারতের নয়া অধিনায়ক শুভমন,  জিম্বাবোয়ে সফরে দল ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যেই জিম্বাবোয়ে সফরের জন্য ভারতীয় দল (Team India) ঘোষণা করা হল সোমবার। জিম্বাবোয়ে সফরে ভারতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত হলেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। দলের কোচ হয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। দলে রয়েছেন কেকেআর তারকা রিঙ্কু সিং। বাংলার পেসার মুকেশ কুমারকেও দলে রাখা হয়েছে।  টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর এটাই ভারতীয় দলের প্রথম সিরিজ।

    বিশ্রাম রোহিত-বিরাটদের

    ভারতীয় দলে রাখা হয়নি রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ, যশপ্রীত বুমরা, কুলদীপ যাদবদের। তাঁদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে নেই শ্রেয়স আইয়ার ও ঈশান্ত শর্মাও। তাঁরা যে এখনও বোর্ডের গুডবুকে আসতে পারেননি, এই দল নির্বাচনই তার প্রমাণ। দলে প্রথম বার ডাক পেলেন অভিষেক শর্মা, রিয়ান পরাগ, নীতীশ রেড্ডি, ধ্রুব জুরেল এবং তুষার দেশপাণ্ডে। এঁদের মধ্যে ধ্রুব টেস্ট ক্রিকেট খেললেও টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পেলেন প্রথম বার। টি ২০ বিশ্বকাপের দলে রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে ছিলেন আবেশ খান ও খলিল। তাঁরা জিম্বাবোয়ে সফরে যাবেন নিয়মিত সদস্য হিসেবে। 

    কবে কবে ম্যাচ

    জিম্বাবোয়ে সফরে ভারতীয় দল (Team India) খেলবে পাঁচ ম্যাচের টি ২০ সিরিজ। ৬ জুলাই থেকে, সিরিজের শেষ ম্যাচ শুভমনরা (Shubman Gill) খেলবেন ১৪ জুলাই। গিলকে চলতি টি ২০ বিশ্বকাপের দলে রাখা হয়নি। তিনি দেশের নতুন অধিনায়ক হিসেবে বড় দায়িত্ব পেলেন। ৬ জুলাই প্রথম ম্যাচ খেলার পর দিনই দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ভারত। বাকি তিনটি ম্যাচ ১০, ১৩ ও ১৪ জুলাই। ১০ জুলাইয়ের ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি সব ম্যাচই ভারতীয় সময় দুপুর ১টা থেকে শুরু। ১০ তারিখের ম্যাচ শুরু সন্ধ্যা ৬টায়।

    নির্বাচিত দল: শুভমন গিল (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সোয়াল, সঞ্জু স্যামসন, ঋতুরাজ গায়কোয়াড, অভিষেক শর্মা, রিঙ্কু সিং, ধ্রুব জুরেল, নীতীশ রেড্ডি, রিয়ান পরাগ, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিষ্ণোই, আবেশ খান, খলিল আমেদ, মুকেশ কুমার ও তুষার দেশপাণ্ডে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indias Overseas Port Operations: চাবাহার-সিটওয়ের পর এবার ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর, কেন জানেন?

    Indias Overseas Port Operations: চাবাহার-সিটওয়ের পর এবার ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বন্দর দখল যুদ্ধে’ চিনকে টেক্কা দিতে চাইছে ভারত! ইতিমধ্যেই ইরানের চাবাহার বন্দর এবং মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের অপারেশনাল অধিকার পেয়েছে ভারত (Indias Overseas Port Operations)। এবার নয়াদিল্লির লক্ষ্য বাংলাদেশের মংলা বন্দর পরিচালনার রাশ হাতে নেওয়া। কৌশলগতভাবে অবস্থিত এই বন্দরের রাশ নিতে দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিনের শি জিনপিংয়ের সরকার। এই বন্দরেরই রাশ হাতে নিতে কোমর কষে নামছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

    মংলা বন্দরের গুরুত্ব (Indias Overseas Port Operations)

    বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মংলা ও প্রসুর নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত মংলা বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। ২০১৬ সালে শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের সময় চিন ও বাংলাদেশ যে ২৭টি প্রকল্পে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছিল, তার মধ্যে ছিল এই মংলা বন্দরের(Indias Overseas Port Operations) উন্নয়ন পরিকল্পনাও। বাংলাদেশের এই মংলা বন্দর সে দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বন্দর। যদিও এর ট্রাফিক ও কার্গো হ্যান্ডেলিং ক্ষমতা এখনও চট্টগ্রাম বন্দরের তুলনায় ঢের কম। তা সত্ত্বেও বন্দরটির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। কারণ বন্দরটিকে আন্তর্জাতিক শিপিং হাব হিসেবে গড়ে তোলার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণেই বর্তমানে বেজিং এবং নয়াদিল্লির শ্যেন দৃষ্টি এই বন্দরের ওপর।

    ভারতের লাভ

    মংলা বন্দরের রাশ ভারতের হাতে এলে প্রভূত উপকার হবে দুই দেশের। কারণ বন্দরটি দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিতে হবে সহায়ক। বন্দরটির সুবিধাজনক অবস্থানও ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরটি কলকাতা বন্দরের কাছে অবস্থিত। জল-বাণিজ্যের জন্য এটি হবে একটি বিকল্প সমুদ্র পথ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেনাপোল ও পেট্রাপোলের অভ্যন্তরীণ কন্টেনার ডিপোয় যানজট এড়াতেও এই বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। কলকাতা ও মংলা বন্দরের মধ্যে জলপথে যোগাযোগ দুই দেশের মধ্যে থাকা উপকূলীয় শিপিং চুক্তি থেকেও সর্বাধিক সুবিধা পেতে সাহায্য করবে ভারতকে।

    আর পড়ুন: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    এখানেই শেষ নয়, মংলা বন্দরটিকে ভারত তার স্থলবেষ্টিত উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিকে উন্নত বাণিজ্য ও যোগাযোগের জন্য সমুদ্রে প্রবেশাধিকার দিতে ব্যবহার করতে পারে। এতে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্যের যোগাযোগ হবে অনায়াস। তখন সহজেই এড়ানো যাবে ‘চিকেনস নেক’ নামে খ্যাত শিলিগুড়ি করিডরকে (Indias Overseas Port Operations)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share