Tag: bangla news

bangla news

  • Daily Horoscope 25 June 2024: বৃষ রাশির জাতকরা ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রম ঘটতে পারে

    Daily Horoscope 25 June 2024: বৃষ রাশির জাতকরা ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রম ঘটতে পারে

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন। নতুন ভাবে আত্মবিশ্বাস সঞ্চার হবে মনে।

    ২) ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    বৃষ

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রম ঘটতে পারে।

    মিথুন

    ১) বাড়িতে অশান্তির কারণে আপনার সম্মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে।

    কর্কট

    ১) আর্থিক টানাপড়েন থাকতে পারে।

    ২) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে সুনাম বৃদ্ধি।

    সিংহ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভাল হবে।

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মে উন্নতি।

    তুলা

    ১) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি ও দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) গুরুজনের শরীর নিয়ে চিন্তা থাকবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে। সামলে উঠবেন তবে।

    ২) বন্ধুর সহায়তায় ব্যবসায় উন্নতি। সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করবেন।

    ধনু

    ১) সহকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে। প্রেমীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়বে।

    মকর

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন। খ্যাতি বাড়বে সমাজে।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা। সতর্ক থাকতে হবে আজ।

    কুম্ভ

    ১) দাম্পত্য জীবনে উদ্বেগ দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পারে।

    মীন

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে। সতর্ক থাকুন।

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।..

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় স্থায়ী কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল! নালিশ শুনলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বিজেপি করায় স্থায়ী কর্মীদের বসিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল! নালিশ শুনলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বিজেপি করার ‘অপরাধে’ চালকলের স্থায়ী কর্মীদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কাজ হারানো বিজেপি কর্মীরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কাছে নালিশও জানিয়েছেন। তৃণমূল কীভাবে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সেই বিষয়ও বিজেপি কর্মীরা তুলে ধরেছেন।

    কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    বর্ধমানে দলীয় কার্যালয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ‘ঘরছাড়া’দের সঙ্গে কথা বলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে ও সংলগ্ন এলাকাতেই বিজেপির দলীয় কর্মীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হয়ে ‘ঘরছাড়া’ তাঁদের অনেকেই। তাঁদের সকলের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। পরে, শুভেন্দু বলেন, “রায়না, জামালপুর, ভাতারের কিছু এলাকায় অভিযোগ শুনলাম। বর্ধমানের মতো ঐতিহ্যশালী শহরেও তৃণমূল অমানবিক। চালকলের যে সব কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকে, বিজেপি করার অপরাধে তাঁদের কর্মীদের কাজকর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমে জেলা চালকল সমিতিকে বিষয়টি জানিয়ে সুরাহার জন্য বলব। তাতে কাজ না হলে আইনের পথে আমাদের যেতেই হবে।” বিজেপির জেলা সভাপতি (বর্ধমান সদর) অভিজিৎ তায়ের দাবি, “অন্তত ৮-১০ জন এমন অমানবিক ঘটনার শিকার হয়েছেন। আমরা তাঁদের পাশে রয়েছি।” বর্ধমান রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, “এই ধরনের অভিযোগের কথা শুনিনি, জানাও নেই। আমাদের এ নিয়ে কোনও চিঠি দিলে নিশ্চিত ভাবে খোঁজ নেব।”

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার বলেন, “বিজেপিই (BJP) ঘরছাড়াদের আটকে রাখছে। ঘরছাড়াদের নিয়ে দিলীপ আর শুভেন্দুর মধ্যে রাজনীতি হচ্ছে। আমরা তো বলেই দিয়েছি, একদম নির্দিষ্ট করে নাম-ঠিকানা দিয়ে আমাদের জানালে সবাইকে বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করে দেব। বিজেপি করে বলে কারও কাজ গিয়েছে, সেটাও ঠিক নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে তালা দিলেন তৃণমূলের সদস্যরা

    TMC Conflict: দলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, পঞ্চায়েতে তালা দিলেন তৃণমূলের সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই প্রধান, উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিলেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। সোমবার অফিস খোলার প্রথম দিনে এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী থাকল পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল ব্লকের খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত। এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েতে মোট সদস্য সংখ্যা ২৩ টি। অধিকাংশ সদস্যই তৃণমূলের। তারমধ্যে ১০ জন তৃণমূলের সদস্য পঞ্চায়েতের দুর্নীতির (TMC Conflict) বিরুদ্ধে এদিন বিক্ষোভ দেখান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।  বিক্ষোভকারী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের বক্তব্য, আমাদের সমর্থনে প্রধান, উপ প্রধান হয়েছে। আর এখন পরিষেবা বলে কিছু নেই। এলাকায় পানীয় জল নেই। বার বার বলার পরও পঞ্চায়েত থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। পঞ্চায়েত সদস্য হিসাবে এলাকার বাসিন্দাদের কাছে অপমানিত হতে হচ্ছে আমাদের। প্রধানকে সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। জল সরবরাহের জন্য টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু, কে টেন্ডার পেয়েছে, কীভাবে পেল, প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তা আমাদের জানানো হয়নি। প্রধান অপর্ণা বাদ্যকর বেলা দুটোর পর পঞ্চায়েত অফিসে আসেন। ফলে, সাধারণ মানুষ পরিষেবা না পেয়ে ফিরে যান। মিটিংয়ে আমাদের মতো পঞ্চায়েত সদস্যকে ডাকা হয় না। প্রধান, উপ-প্রধান নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। পঞ্চায়েতের অনেক কিছুই আমাদের এড়িয়ে করা হয়। তাই, আমরা বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়েছি। আমাদের দাবি পূরণ না হলে আমরা বৃহত্তরও আন্দোলনে নামব।  

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গণেশ বাদ্যকর বলেন, তৃণমূল (Trinamool Congress) শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। সেই দলের পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে এই ধরনের জঙ্গি আন্দোলন করা ঠিক না। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। কোনও সমস্যা হলে আমাদের কাছে এসে বলতে পারত। আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে, সব ভিত্তিহীন। আসলে এসব করে ওরা দলকে হেয় করছে। আমরা বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এই ধরনের আন্দোলন করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হয়। তাছাড়া কাজের কাজ কিছু হয় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    Malda: সামাজিক বয়কটে মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার দলেরই কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল প্রধানের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিবাদ হয়েছিল দলেরই তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে। পরে রাস্তায় ফেলে মারধর করে গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা নিয়ে গ্রামে সালিশি সভা ডাকা হয়। কিন্তু সেই সভা থেকে তৃণমূল প্রধানের স্বামী, দলের এই কর্মীকে সমাজচ্যুত করার নিদান দিয়েছিলেন। এরপর থেকে ওঁই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী প্রাণ ভয়ে আতঙ্কে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। অভিযোগের কাঠগড়ায় স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। ইতিমধ্যে জেলা শাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। দলের নেতাদের দ্বারা মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হয়েছেন যে তৃণমূল কর্মী, তাঁর নাম হাবিবুল রহমান। ঘটনা ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি (Malda) এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিলে (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবিবুলের চাচাতো ভাই কাসিম শেখের পরিবারের সঙ্গে একটি জমি নিয়ে বিবাদ হয়। প্রথমে সালিশি সভায় হাবিবুলের কাছে ৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়। একই ভাবে বাড়ির কিছু অংশ জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হাবিবুল নিজের জমি ছাড়েননি। কিন্তু ইতিমধ্যে আবার সালিশি হলে তাঁকে আবার দেড়লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় তৃণমূল প্রধানের স্বামী সানাউল আবারও সালিশি ডাকলে হাবিবুল জাননি। এরপর সনাউল এবং গ্রামের মোড়ল ভাদু শেখকে ডেকে হাবিবুলকে সামজিক বয়কট করেন। নিদান দেওয়া হয়, গ্রামে তাঁদের একঘরে করা হয়েছে, কোনও দোকান জিনিস দেবে না। অসুস্থ হলে মিলবে না ওষুধও। বন্ধ মসজিদে যাওয়া, এমনকী পরিবারের একজন মারা গেলে কেউ মাটি পর্যন্ত দিতে আসেনি। অবশেষে হাবিবুল থানায় অভিযোগ জানালে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। কিন্তু হাবিবুল বর্তমানে ঘরছাড়া।

    হাবিবুলের বক্তব্য

    আক্রান্ত হাবিবুল বলেছেন, “আমি থানায় (Malda) অভিযোগ জানানোর পর হামলা করেছে তৃণমূল প্রধানের অনুগামীরা। আমার বাড়িতে হামলা হয়, বাড়ি ভাঙচুর হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ভাঙচুর চালায়। পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে কবরটা দিতেও আসেননি কেউ। আমরা ভয়ে গ্রামছাড়া। এখনও মূল অভিযুক্তরা অধরা। তাই ভয়ে গ্রামে ঢুকতে পারছি না।”

    আরও পড়ুনঃশান্তিপুরে প্রশাসনিক ভবন দখল তৃণমূলের! বিডিও অফিসে বিক্ষোভ বিজেপির

    অভিযুক্ত মোড়লের বক্তব্য

    অভিযুক্ত গ্রামের (Malda) মোড়ল ভাদু শেখ বলেছেন, “ওঁরা সমাজের কোনও কথা শোনেনি। ওঁরা কেবল নিজেদের কথাই বলে। আমাদের কথা শোনেন না। পাঁচ বার সালিশি করেছি। সালিশির নিদান পালন করেননি। আট মাস ধরে এই ঘটনা চলছে এলাকায়। হাবিবুলকে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওঁরা ওদের ভুলটাও স্বীকার করেনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J P Nadda: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    J P Nadda: মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা হলেন নাড্ডা, কে হবেন বিজেপির পরবর্তী সভাপতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা নির্বাচিত হলেন। এর আগে এই পদে ছিলেন বিজেপি (BJP) নেতা পিযুষ গোয়েল। তিনি এবার মুম্বাইয়ের একটি আসন থেকে জয়ী হয়ে লোকসভায় পৌঁছেছেন। এমতাবস্থায় রাজ্যসভায় বিজেপির প্রবীণ নেতা জে পি নাড্ডাকেই (J P Nadda) বিজেপি এই গুরু দায়িত্ব দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুতই তিনি দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিতে পারেন। ফলে তাঁর উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নিয়ে এখন জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।  

    >

    মন্ত্রীর পর রাজ্যসভার দলনেতা (J P Nadda)

    মনে করা হচ্ছে খুব দ্রুতই বিজেপি দল সর্বভারতীয় সভাপতি ঘোষণা করতে পারে। যেহেতু বিজেপিতে এক ব্যক্তি এক পদের নীতি রয়েছে, সে কারণে সর্বভারতীয় সভাপতি এর দায়িত্বে অন্য কেউ আসবেন তা সময়ের অপেক্ষা। বিকল্প হিসেবে সুনীল বনসল, বিনোদ তাওড়ে, অনুরাগ ঠাকুর, রাজনাথ সিং সহ বেশ কয়েকজনের নাম চর্চায় রয়েছে। চলতি বছরেই হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র সমেত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে যেতে পারে। তবে এমনও হতে পারে কিছুদিনের জন্য কেউ ভারপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সভাপতি হলেন। পরবর্তীতে তাঁকে সম্পূর্ণ মেয়াদ ও নতুন কমিটির অধিকার দেওয়া হল।

    কে হবেন পরবর্তী সভাপতি (BJP)

    জে পি নাড্ডা সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার আগে অমিত শাহ এই দায়িত্বে ছিলেন। নাড্ডা (J P Nadda)  ২০২০ সালে সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আসীন হন। বিগত কয়েক বছরে নাড্ডার গুরুত্ব দলে বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের ভরসা রয়েছে তাঁর সঙ্গে। ফলে (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি মন্ত্রী হলেন এবং এবং একইসঙ্গে রাজ্যসভার দলনেতা। দলের অন্দরে নাড্ডার মর্যাদা ধরে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে বিজেপি শিবিরের একাংশের মতে সঙ্ঘ শিবির চাইছে শিবরাজ সিং চৌহান, বা রাজনাথ সিংকে পার্টির দায়িত্ব দেওয়া হোক। যদিও মোদি ও অমিত শাহ শিবির অন্য কাউকে এই পদে দেখতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।  

    আরও পড়ুন: গড়চিরৌলিতে মাওবাদ শেষের পথে, মাওবাদি দম্পতির আত্মসমর্পণ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • LIC: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    LIC: এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাইলস্টোন ছুঁল লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এলআইসি)। বৃদ্ধি পেয়েছে এলআইসির (LIC) গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ। জানা গিয়েছে, গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ৫০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, এটি পাকিস্তানের জিডিপির দ্বিগুণ। এলআইসির এইউএম-এর পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫০ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি।

    এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ (LIC)

    শতাংশের হিসেবে এক বছরে ১৬.৪৮ বেড়ে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ হয়েছে ৫১ লাখ ২১ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। মার্কিন ডলারে এর পরিমাণ হল ৬১৬ বিলিয়ন। ২৩ অর্থবর্ষে এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৪৩ লাখ ৯৭ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। এক বছরে এই টাকার পরিমাণই ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫০ লাখ কোটি টাকার গণ্ডি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের মূল্য ৩৩ হাজার কোটি ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় এর মূল্য ২৯ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি। আর ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার (LIC) গচ্ছিত অর্থরাশির পরিমাণ এর দ্বিগুণ।

    ছাপিয়ে গেল কয়েকটি দেশের অর্থনীতিকে

    কেবল পাকিস্তান নয়, এলআইসির গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছে আরও দুই দেশের অর্থনীতিকেও। এই দুটি দেশের একটি রয়েছে এশিয়ায়, অন্যটি ইউরোপে। এশিয়ার দেশ সিঙ্গাপুর। এদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ ৫২ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। ইউরোপের ডেনমার্কের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের পরিমাণ ৪১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এই দুই দেশের অর্থনীতিকেই ছাপিয়ে গিয়েছে এলআইসি। ভারতের এই রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থার এইউএম-এর পরিমাণ পাকিস্তান-সহ ভারতের তিন পড়শি দেশের সম্মিলিত অর্থনীতির চেয়েও বেশি। এই লিস্টে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। বর্তমানে শ্রীলঙ্কার জিডিপি ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। আর নেপালের মোট অর্থনীতির পরিমাণ ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।

    আর পড়ুন: “জনতা কাজ চায়, স্লোগান নয়”, লোকসভা অধিবেশনের আগে বললেন মোদি

    জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতির মোট পরিমাণ ছিল ৪৩ লাখ কোটি টাকা। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যখন জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল দুই থেকে তিন শতাংশ, তখন গত এক বছরে ভারতের জিডিপি বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। অর্থনীতিবিদদের মতে, এলআইসির এই গচ্ছিত অর্থ বৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে শেয়ার বাজারে তার অগ্রগতি। তথ্য বলছে, গত এক বছরে স্টক থেকে এলআইসি রিটার্ন পেয়েছে ৭১.৭৪ শতাংশ। এতে সুনিশ্চিত হয়েছে সংস্থার নির্ভরযোগ্যতা ও বৃদ্ধি। যা আকর্ষণ করেছে বিনিয়োগকারীদের। তার ফলেই চড়চড়িয়ে বেড়েছে অর্থনীতির পারদ (LIC)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir: সন্ত্রাস দমনে আরও কঠোর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, প্রয়োগ করা হবে শত্রু এজেন্ট আইন

    Jammu Kashmir: সন্ত্রাস দমনে আরও কঠোর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, প্রয়োগ করা হবে শত্রু এজেন্ট আইন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় বাসিন্দারা যদি সন্ত্রাসকে মদত দেন বা বিদেশি সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেন, তাঁদের সহযোগিতা করেন তাহলে তাঁদের ওপর শত্রু-এজেন্ট আইনের প্রয়োগ করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu Kashmir) পুলিশের ডিজিপি আরআর সোয়েন রবিবার এই কথা বলেন। গত দুই সপ্তাহে জম্মু ও কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক এই মত ব্যক্ত করেন।

    শত্রু-এজেন্ট আইন কী

    রিয়াসি, ডোডা এবং কাঠুয়া জেলায় ৯ থেকে ১২ জুনের মধ্যে চারটি জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় শিব খোরি মন্দির থেকে ফিরে আসা সাতজন তীর্থযাত্রী এবং একজন সিআরপিএফ জওয়ান সহ দশজন নিহত এবং আরও অনেক লোক আহত হয়েছেন। কাঠুয়ায় একটি এনকাউন্টারে দুই পাকিস্তানি জঙ্গিও নিহত হয়েছে। শত্রু এজেন্ট আইন হল বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের চেয়ে অনেক বেশি কঠোর, এই আইনে একজন অভিযুক্তের শাস্তি হল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড।

    এই ধারায় শাস্তি

    এই আইনটি ইউএপিএ-এর চেয়ে কঠোর। ডিজিপি আরআর সোয়েনের মতে যখন জঙ্গিরা এনকাউন্টারে নিহত হবে, তখন তাদের সাহায্যকারীদের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরে কঠোরতম আইনের প্রয়োগ করা হবে। এই আইনে ধৃতদের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত গঠন করা হবে।

    আরও পড়ুন: হিজাব নিষিদ্ধ হয়ে গেল মুসলিম দেশ তাজিকিস্তানে!

    ব্যর্থ অনুপ্রবেশের চেষ্টা

    জম্মু ও কাশ্মীরে ফের ব্যর্থ হল অনুপ্রবেশের চেষ্টা (Infiltration bid foiled)। সেনা তৎপরতায় খতম হল কমপক্ষে দু-জন জঙ্গি। ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরের (Uri sector) লাইন অফ কন্ট্রোলে। সূত্রের খবর, শনিবার উত্তর কাশ্মীরের (Jammu Kashmir) উরি সেক্টরের গোহাল্লান এলাকায় অবস্থিত লাইন অফ কন্ট্রোলে সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন সীমান্তে কর্তব্যরত সেনা জওয়ানরা। কয়েকজন সীমান্তের ওপার থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বুঝতে পেরে হুঁশিয়ারি দেন। সেই সময় আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেন সেনা জওয়ানরাও। দু-পক্ষের গুলি ছোঁড়াছুড়িতে কমপক্ষে ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    South 24 Parganas: তৃণমূলের সন্ত্রাসে বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট, আতঙ্কে পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মথুরাপুরে। এই লোকসভার শ্রীধরনগরে শাসক দলের সন্ত্রাসে শম্ভু চরণ প্রধান নামে এক বিজেপি কর্মী পরিবার নিয়ে ঘরছাড়া। বর্তমানে জয়নগর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে আছেন ওই বিজেপি কর্মী। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিআইজি, সুন্দরবনের পুলিশ সুপার, কাকদ্বীপের এসডিপিওকে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই বিজেপি কর্মী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের ফল বের হওয়ার পরই ওই বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মী শম্ভুচরণবাবু বলেন,”এলাকায় নিজেদের দাপট দেখাতেই তৃণমূলের লোকজন আমাদের মারধর করার পাশাপাশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। থানায় অভিযোগ জানানোর পর এফআইআর তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে আমার কাছে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত ওই পরিবার গ্রাম ছেড়েছি।” অভিযোগের তালিকায় নাম আছে গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার ওসি চন্দন পণ্ডিত ও সিভিক ভলান্টিয়ার তাপস মাইতির। তারা নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ। সুন্দরবন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। 

    আরও পড়ুন: সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী বিজেপি, তুলকালাম নন্দীগ্রাম

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, এই ধরনের মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তৃণমূলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। উল্টে লোকসভা ভোটের সময় বিজেপি কর্মীরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট দিতে দেয়নি। এখন ভোটে হেরে গিয়ে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ করছে। এসব করে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তিকে কখনও নষ্ট করা যাবে না। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার বিপ্লব নায়েক বলেন, শুধুমাত্র পাথরপ্রতিমা নয়, গোটা মথুরাপুর জুড়েই ভোটের পরে এই ভাবেই সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিছুদিন আগেও কাকদ্বীপে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে মিথ্যে মামলা দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আইনের শাসন যাদের হাতে, সেই পুলিশ অফিসার এখন তৃণমূলের ক্যাডার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তারা বিজেপি কর্মীদেরকে ভয় দেখাচ্ছে। তৃণমূলের কথা না শুনলেই মিথ্যে মামলা দিচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Highway Network: ২২ লক্ষ কোটি টাকার পরিকল্পনা! আরও ৩০ হাজার কিমি বাড়বে দেশের হাইওয়ে

    India Highway Network: ২২ লক্ষ কোটি টাকার পরিকল্পনা! আরও ৩০ হাজার কিমি বাড়বে দেশের হাইওয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও প্রসারিত হবে ভারতের হাইওয়ে (India Highway Network)। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক প্রায় ৩০,৬০০ কিলোমিটার জুড়ে একটি বিস্তৃত মহাসড়ক উন্নয়ন (Expand Highways) পরিকল্পনায় ২২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের জন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন চেয়েছে। তবে এই বিনিয়োগের প্রায় ৩৫ শতাংশ বেসরকারি খাত থেকে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে অনুমতি মিললে ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের রুপ নেবে। ভারতের সড়ক নেটওয়ার্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করার লক্ষ্যেই এই চিন্তা ভাবনা করেছে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক। 

    কী কী রয়েছে এই প্রস্তাবনায়? (India Highway Network)

    সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের এই প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ১৮,০০০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে এবং উচ্চ-গতির করিডোর নির্মাণ। এছাড়াও শহরগুলির চারপাশে ৪,০০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়কের যানজট দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক রাস্তার উন্নয়ন। 
    মহাসড়ক উন্নয়নের এই মহাপরিকল্পনা মূলত দুই ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রসঙ্গে রোড ট্রান্সপোর্ট সেক্রেটারি অনুরাগ জৈনের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক চলাকালীন, আধিকারিকরা ২০২৮-২৯ সালের মধ্যে ফেজ-১ এর অধীনে সমস্ত প্রকল্পের টেন্ডার এবং ২০৩১-৩২ সালের মধ্যে বাকি প্রকল্প সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। এই প্রকল্প (Expand Highways) বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ বাজেট বার্ষিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধির অনুরোধ করেছে মহাসড়ক মন্ত্রক। তবে অন্তর্বর্তী বাজেটে, সরকার মন্ত্রণালয়ে ২৭৮,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, যা আগের আর্থিক বছরের তুলনায় ২.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।  

    ধাপে ধাপে এগোবে প্রকল্পের কাজ 

    প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে তবেই দ্বিতীয় পর্যায়ের জন্য আর্থিক প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে অতিরিক্ত ২৮,৪০০ কিলোমিটার বিকাশ করার পরিকল্পনা (India Highway Network)রয়েছে। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী আশা করা হচ্ছে যে, ফেজ ২-এর অধীনের প্রকল্প গুলি ২০৩৩-৩৪ সালের মধ্যে শুরু হয়ে, ২০৩৬-৩৭ সালের মধ্যে নির্মাণ শেষ হবে৷ এই পরিকল্পনাটি (Expand Highways) ভারতের যেকোনো অংশ থেকে ১০০-১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে উচ্চ-গতির করিডোর নির্মাণে প্রাধান্য দেবে। 

    আরও পড়ুন: পরনে লাল বেনারসী, সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে লাল আলতা! রিসেপশনে সাবেক সাজে সোনাক্ষী

    উচ্চ-গতির করিডোর চালুর পরিকল্পনা 

    বর্তমানে, দেশে মাত্র ৩,৯০০ কিলোমিটার উচ্চ-গতির করিডোর (India Highway Network) চালু রয়েছে। তবে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের পরামর্শ অনুযায়ী দেশের পরিবহণের চাহিদাগুলি কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য এখনও প্রায় ৫০,০০০ কিলোমিটার উচ্চ-গতির করিডোর প্রয়োজন। যদিও অনুমান করা হচ্ছে ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে প্রায় ১১,০০০ কিলোমিটার উচ্চ-গতির করিডোর বৃদ্ধি পাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Darknet: ডার্কনেট কী? কেনই বা একে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?

    Darknet: ডার্কনেট কী? কেনই বা একে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডার্ক নেট বা ডার্কনেট (Darknet) হল ইন্টারনেটের মধ্যে একটি ওভারলে নেটওয়ার্ক যা কেবল নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যার, কনফিগারেশন অনুমোদনের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। এই প্রায়ই একটি অনন্য কাস্টমাইজড যোগাযোগ প্রোটোকল ব্যবহার করে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে জার্মান প্রশাসন ডার্কমার্কেট বন্ধ করে দেয়। ডার্কনেটের মধ্যে এটিই ছিল সম্ভবত সব চেয়ে বড় অবৈধ মার্কেটপ্লেস।

    ‘ডার্কনেট’

    ‘ডার্কনেট’ শব্দটি প্রথম চালু হয় ১৯৭০ সালে, কিছু নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ককে আলাদা করতে। এই নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে রয়েছে আরপানেট-ও। ডার্কনেটের (Darknet) ঠিকানাগুলি আরপানেট থেকে ডেটা গ্রহণ করবে। তবে এটি সাধারণ নেটওয়ার্কের অধীনে তালিকাভুক্ত হবে না বা কোনও পিংয়ের উত্তর দেবে না। ১৯৭০ সালে শব্দটি (Darknet) চালু হলেও, জনপ্রিয়তা লাভ করে ২০০২ সালে। মাইক্রোসফ্টের চার কর্মচারী পিটার বিডল, পল ইংল্যান্ড, মার্কাস পেইনাডো এবং ব্রায়ান উইলম্যানের একটি গবেষণাপত্র ‘দ্য ডার্কনেট অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ কন্টেন্ট  ডিস্ট্রিবিউশন’ প্রকাশ্যে আসার পর। তাঁদের যুক্তি, ডার্কনেট প্রযুক্তির বিকাশের পক্ষে হুমকি স্বরূপ। এটি কপিরাইট লঙ্ঘনকে অনিবার্য করে তুলেছিল। ডার্কনেটকে যে কোনও ধরনের সমান্তরাল নেটওয়ার্ক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি এনক্রিপ্ট করতে পারে। এটি অ্যাক্সেস করার জন্য ইউজারের প্রয়োজন হয় একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকলের।

    ডার্কনেটের সুবিধা

    ডার্কনেট গণ নজরদারি থেকে নাগরিকদের গোপনীয়তার সুরক্ষা দেয়। হ্যাকিং, ফিশিং সহ নানা সাইবার ক্রাইম করতে সাহায্য করে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ভিন্নমতাবলম্বীদের সুরক্ষা দেয়। পাবলিক ডোমেনে শ্রেণিবদ্ধ তথ্যের হুইসেলব্লোয়িং এবং খবর ফাঁসে সাহায্য করে। অবৈধ পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। নেটওয়ার্ক সেন্সরশিপ, বিষয়বস্তু-ফিল্টারিং সিস্টেম ও সীমিত ফায়ারওয়াল নীতিগুলিকে বাইপাস করে।

    আর পড়ুন: “জনতা কাজ চায়, স্লোগান নয়”, লোকসভা অধিবেশনের আগে বললেন মোদি

    ডার্কনেটের সঙ্গে ডিপওয়েবের পার্থক্য রয়েছে। বিশ্বের সিংহভাগ ডিজিটাল কন্টেট ভায়া ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন অ্যাক্সেস করে না। অন্যদিকে, ডিপওয়েবে রয়েছে কলোসাল অ্যামাউন্ট অফ ইনফর্মেশন। এতে অনলাইনের প্রায় সব ধরণের কাজ করা যায়। ডিপওয়েবকে ডেইলি রুটিনের অঙ্গীভূত করা যায়। ইমেল অ্যাকাউন্ট লগইন করা, অনলাইন ব্যাঙ্কিং ডিটেইলস চেক করা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা – এসবই করা যায় ডিপওয়েবে। ডিপওয়েবের উপাদানগুলি হল ডেটাবেস, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ, অনলাইন ব্যাঙ্কিং, ইমেল, ইন্টারনেট, ফোরাম, পেওয়াল প্রোটেকটেড কনটেন্ট। মনে রাখতে হবে, ডার্কওয়েবের অরিজিনে কেউ পিনপয়েন্ট করতে পারে না (Darknet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share