Tag: bangla news

bangla news

  • NEET NET Row: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে প্রাক্তন ইসরো প্রধানের নেতৃত্বে কমিটি

    NEET NET Row: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারে প্রাক্তন ইসরো প্রধানের নেতৃত্বে কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে ফাঁস করা হয়েছে প্রশ্নপত্র। নিট কিংবা নেট (NEET NET Row) পরীক্ষাকে ঘিরে গুচ্ছের অভিযোগ। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া দাওয়াইয়ের পথে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রবেশিকা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনিয়ম ও প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে নয়া আইন কার্যকর করবে সরকার।

    অনিয়ম রুখতে কমিটি

    গত ফেব্রুয়ারি মাসেই সংসদে পাশ হয়েছিল পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪ (NEET NET Row)। পরে তা আইনেও পরিণত হয়। সেই আইনই লাগু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতেও সংস্কার ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার করতে গড়া হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে কী কী সংস্কার ঘটানো যেতে পারে তা নিয়ে মতামত জানাবে ওই কমিটি। দু’মাসের মধ্যে জমা দেবে রিপোর্ট।

    কারা রয়েছেন কমিটিতে

    কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে রাধাকৃষ্ণণ। রাধাকৃষ্ণণ আইআইটি কানপুরের বোর্ড অফ গভর্নর্সের চেয়ারপার্সনও। কমিটির সদস্যরা হলেন, এইমসের প্রাক্তন ডিরেক্টর রণদীপ গুরেরিয়া, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ হায়দ্রাবাদের উপাচার্য বিজে রাও, আইআইটি দিল্লির ডিন অফ স্টুডেন্টস  অ্যাফেয়ার্স আদিত্য মিত্তল, আইআইটি মাদ্রাজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক রামামূর্তি কে, শিক্ষামন্ত্রকের যুগ্মসচিব গোবিন্দ জয়সওয়াল এবং কর্মযোগী ভারতের বোর্ড সদস্য পঙ্কজ বনসল। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কর্মপদ্ধতিতে সংশোধন ঘটাতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের কথা বৃহস্পতিবারই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। সেই মতো গড়া হয়েছে কমিটি।

    আর পড়ুন: বাম দুর্গেও ফুটল পদ্ম, কেরল পদ্মময় হতে কত দেরি?

    শনিবারই কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এনটিএ পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতিতে কী কী সংশোধন ঘটানো যায়, তথ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা, পরীক্ষার সমগ্র পরিকাঠামোয় কী কী পরিবর্তন আনা যায়, তা নিয়ে রিপোর্ট দেবে ওই কমিটি। প্রসঙ্গত, পাবলিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতি রুখতে পাবলিক এগজামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) অ্যাক্ট, ২০২৪ লাগু করে কেন্দ্র। এই আইনের আওতায় দোষী ব্যক্তির ১০ বছরের জেলের পাশাপাশি এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। দুর্নীতি রুখতে তিন থেকে পাঁচ বছরের সাজার বিধানও রয়েছে আইনে। সংগঠিতভাবে নকল করার অপরাধে যুক্ত থাকলে হতে পারে পাঁচ থেকে ১০ বছরের জেল এবং ন্যূনতম ১ কোটি টাকা জরিমানা (NEET NET Row)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Anupam Kher: জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবির নেগেটিভ নেই! অনুপম খেরের অফিসে চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ২

    Anupam Kher: জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ছবির নেগেটিভ নেই! অনুপম খেরের অফিসে চুরির ঘটনায় গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা অনুপম খেরের (Anupam Kher) অফিসে চুরির ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। সম্প্রতি আন্ধেরি পশ্চিমে অভিনেতা অনুপম খেরের অফিসে চুরি হয়। সিন্দুক ভর্তি টাকার সঙ্গে চুরি হয় জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘ম্যায়নে গান্ধী কো নেহিঁ মারা’র (Maine Gandhi Ko Nahi Mara) নেগেটিভ। এই ছবির নেগেটিভ চুরি যাওয়ায় ভেঙে পড়েন অভিনেতা।

    তদন্তে পুলিশ

    অভিনেতা অনুপম খেরের (Anupam Kher)  অফিসটি যে বাড়িতে সেটি পুরনো বলে পাশের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্য নেয় পুলিশ (Mumbai Police)। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানা যায়, দু’জন ব্যক্তি এই চুরির সঙ্গে জড়িত। মুম্বইয়ের যোগেশ্বরী এলাকা থেকে মজিদ শেখ এবং মহম্মদ দালের বাহরিম খান নামে ওই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তির অপরাধমূলক ইতিহাস রয়েছে এবং তারা অপরাধ করার জন্য অটোরিকশা ব্যবহার করে। এরা মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকায় চুরি করেছে এর আগেও। চোরেরা রাতে জোর করে অনুপম খেরের অফিসে প্রবেশ করে এবং প্রায় ৪ লাখ টাকার নগদ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি যাওয়া জিনিস উদ্ধার হয়েছে কি না সে বিষয়ে পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি।

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    অনুপমের উদ্বেগ

    সমাজমাধ্যমে বিপর্যস্ত অফিসের ছবি পোস্ট করেন অনুপম (Anupam Kher) নিজেই। থানায় অভিযোগ দায়ের করে অভিনেতা সমাজমাধ্যমে লেখেন, “অফিসের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ (Mumbai Police) জানিয়েছে, খুব দ্রুত তদন্ত হবে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তারা সব জিনিস নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটি অটোতে উঠে পড়ে। ঈশ্বরের কৃপায় ওদের মতিগতি ঠিক হোক।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে জেতার জন্য বালুরঘাটবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি তৃণমূলকে চোর ও কাটমানির দল বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানকে চোর বলে কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    পুর চেয়ারম্যানকে তোপ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান নিজেকে নবাব মনে করেন। তিনি বালুরঘাটবাসীকে ঘোলা জল খাওয়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি তো চোর। এই চোরেদের নিজেদের সিংহাসন ছেড়ে দেওয়া উচিত। এক সংস্থার কাছ থেকে বকেয়া বিলের টাকা দেবার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ খেয়েছেন। এটা আমরা বলছি না, বলছেন সেই ঠিকাদার সংস্থার মালিক। নিজেরা নিজেদেরকে চোর প্রমাণিত করছে, আর ভোটেও এই ভাবে চুরি করার চেষ্টা করেছিল। এই পুরসভার  চেয়ারম্যান বালুরঘাটবাসীকে যে নোংরা, ঘোলা জল খাইয়েছে আমরাও সেই জল চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে চেয়ারম্যানকে খাওয়াবো। ঠিকাদারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা কাটমানি নেওয়া প্রসঙ্গে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, ওই ঠিকাদার মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আমরা আইন অনুযায়ী নোটিস পাঠিয়েছি।

    আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে স্কুল চলাকালীন পড়ুয়ার ব্যাগে মিলল আগ্নেয়াস্ত্র, আতঙ্ক

    তৃণমূল নেতারা তো চরিত্রহীন-তোলাবাজ হবেন

    এইদিকে দুর্গাপুরে স্বামীর চাকরি ফিরে পেতে তৃণমূল নেতাদের কুপ্রস্তাব প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতারা এমন না করে তাহলে তৃণমূল নেতা কি করে হল। তৃণমূল নেতারা চরিত্রহীন হবে, লম্পট হবে, চোর হবে এইটা তো তৃণমূল নেতাদের চিহ্নিত করার বৈশিষ্ট্য। কুণাল ঘোষ এক বৈঠকে তোলাবাজি নিয়ে কাউন্সিলরদের সতর্ক করেছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,তৃণমূল তো তোলাবাজি করবেই। তৃণমূলের এক একজনের কাউন্সিলরদের সম্পত্তি দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে। আমাদের এই ছোট শহরের বাসিন্দাদের যত  সম্পত্তি আছে, তত সম্পত্তি যোগ করলে কলকাতার এক একজন কাউন্সিলরদের সম্পত্তি আছে। রেজিনগর স্কুলে পিস্তল নিয়ে দাপিয়ে বেরাচ্ছে দুই ছাত্র। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,গোটা রাজ্য তো এখন আগ্নেয়াস্ত্র বানানোর কুটির শিল্প হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kanchanjungha Accident: কীভাবে ঘটল কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনা, কী বললেন মালগাড়ির সহকারী চালক?

    Kanchanjungha Accident: কীভাবে ঘটল কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনা, কী বললেন মালগাড়ির সহকারী চালক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেন দুর্ঘটনার (Kanchanjungha Accident) দায় প্রথম থেকেই মালগাড়ী ট্রেন চালকের দিকে চাপানো হয়েছে। রেলের তরফ থেকেও চালকের দিকেই আঙুল তোলা হচ্ছিল। এই সব কিছুর মধ্যে ‘যৌথ পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে। রেলের নিয়ম অনুযায়ী কাগুজে সিগন্যাল পাওয়ারে ধীর গতিতে মালগাড়ি চালানোর কথা ছিল চালকের। কিন্তু ট্রেন দ্রুত গতিতে চলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার দিনে চালক এবং সহকারী চালকের মৃত্যু ঘটেছে বলে রেল জানালেও, পরে জানা গিয়েছে চালক মারা গিয়েছেন কিন্তু সহকারী চালক মনু কুমার এখনও বেঁচে আছেন। মনু জানিয়েছেন, “আমরা জানতামই না একই লাইনে আরও একটি ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে।”

    কী বলেন সহকারী চালক (Kanchanjungha Accident)?

    সহকারী চালক মনু কুমার বলেছেন, “রেল লাইনে বাঁক ছিল। আর তাই দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসটি আমাদের নজরে আসেনি। ফলে সময় মতো ট্রেনে ব্রেক কষে দুর্ঘটনা (Kanchanjungha Accident) এড়ানো সম্ভব হয়নি। যেই ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে, তার ২০০ মিটার আগে লাইনটি বাঁক খেয়েছে। এদিকে আবার দুর্ঘটনার সময় পাশের ট্র্যাকে অন্য একটি ট্রেন যাচ্ছিল। এই সব মিলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি নজরে পড়েনি আমাদের। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নজরে আসতেই জরুরি ব্রেক কষেছিলেন চালক। কিন্তু ব্রেকের গতি টেনে সামনের দিকে নিয়ে যায়।”

    আরও পড়ুনঃ চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী বক্তব্য

    যদিও রেলের সেফটি কমিশনারের তদন্তকারী অফিসারেরা মনুর বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখেছেন। তাঁর মানসিক পরিস্থিতি এবং শারীরিক চিকিৎসা বিষয়ে খতিয়ে দেখছেন। যৌথ রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, “নিয়ম অমান্য করে বেশি গতি নিয়ে চলায় এই দুর্ঘটনা (Kanchanjungha Accident) ঘটেছে।” কমিটির একজন চিফ লোকো ইন্সপেক্টর অবশ্য ভিন্ন মত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “ভোর থেকে অটোমেটিক সিগন্যাল খারাপ হওয়ায় এই গোটা সেকশনে ‘অ্যাবসোলুট ব্লক’ করা উচিত ছিল। একটা সময়ে এই লাইন দিয়ে একটি ট্রেনকেই পার করার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল।” রাঙ্গাপানি স্টেশন মাস্টার কাগুজে সিগন্যাল দিয়েছিলেন। প্রতি অটোমেটিক সিগন্যালে ১ মিনিট করে অপেক্ষা করতে হবে। গতিবেগ থাকবে ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। তবে ট্রেনের গতি যেন ১৫ কিমির বেশি না হয়। এমনকী দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে খুব ধীরে মালগাড়ি চালানোর কথা ছিল। কিন্তু গতি বেশি থাকায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং, সিগন্যালিং, মেকানিকাল এবং ট্রাফিক দফতরের বাকি আধিকারিকরা এই দুর্ঘটনার দায় চাপিয়েছেন মালগাড়ির মৃত চালকের ঘাড়েই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kerala Lok Sabha Election: বাম দুর্গেও ফুটল পদ্ম, কেরল পদ্মময় হতে কত দেরি?

    Kerala Lok Sabha Election: বাম দুর্গেও ফুটল পদ্ম, কেরল পদ্মময় হতে কত দেরি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বার কেন্দ্রে সরকার গড়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ (Kerala Lok Sabha Election)। অষ্টাদশ লোকসভায় নির্বাচন হয়েছিল ৫৪৩টি আসনে। তার মধ্যে এনডিএর ঝুলিতে পড়েছে ২৯৩টি আসন। এর মধ্যে আবার বিজেপি একাই পেয়েছে ২৪০টি কেন্দ্রের রাশ। অথচ এনডিএকে মাত দিতে কীই না করেছেন বিরোধীরা!

    মোদির রেকর্ড (Kerala Lok Sabha Election)

    পদ্ম বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। জোটের নাম ‘ইন্ডি’। তার পরেও বল্গাহীনভাবে এগিয়েছে এনডিএর জয়যাত্রা। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদি (Kerala Lok Sabha Election)। যে রেকর্ড ছিল কেবলমাত্র দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর। আজ পদ্ম পার্টি যে রেকর্ড গড়েছে, তা ছুঁতে পারেননি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও। কংগ্রেস তাঁকে সব চেয়ে শক্তিশালী প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করত। মোদির এই সাফল্যকে অবশ্য ছোট করে দেখছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টিগুলি।

    বামদুর্গেও পদ্ম

    ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর এবার এই ২০২৪ সালের নির্বাচনে আরও একটি রেকর্ড গড়েছে গেরুয়া পার্টি। সেটি হল বামদুর্গ বলে খ্যাত কেরলেও এবার ফুটেছে পদ্ম। আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যে লোকসভা আসন রয়েছে ২০টি। এই আসনগুলির মধ্যে একটিতে এবার পদ্ম ফুটিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সুরেশ গোপী। কেরলে দীর্ঘকাল যাবৎ বিজেপি- বিরোধী প্রচার চালিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট। তার পরেও সুরেশ পেয়েছেন চার লাখের কিছু বেশি ভোট। তিনি জয়ী হয়েছেন ৭৪ হাজার ভোটে। ত্রিশূর কেন্দ্রে জিতেছেন তিনি। তিনি পেয়েছেন ৩৭.৮ শতাংশ ভোট। ৩১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন বাম প্রার্থী। কংগ্রেস পেয়েছে ৩০.১ শতাংশ ভোট। ২০০৪ সালে কেরলে জিতেছিলেন এনডিএ পার্টি। তখন কেরল কংগ্রেস ছিল এনডিএতে। তার পর এতদিন পরে রাজ্যে ফের ফুটল পদ্ম।

    আর পড়ুন: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    বামদুর্গ কেরলে ক্রমেই বাড়ছে বিজেপির ভোট। ত্রিশূরে যে কেবল বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন, তাই নয়, থিরুভানন্তপুরমে দ্বিতীয় হয়েছেন পদ্ম-প্রার্থী। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের শশী থারুরের বিরুদ্ধে লড়ে মাত্র ১৬ হাজার ৭৭ ভোটে হেরেছেন বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেরলে বিজেপি পেয়েছিল ১৫.৫৬ শতাংশ ভোট। পাঁচ বছর পরে এবার সেই ভোটের হার বেড়ে হয়েছে ১৯.২৪ শতাংশ। ভোট কমেছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টের। লোকসভা নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কেরলের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রথম হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের আটটি কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গেরুয়া পার্টি।

    আরব সাগরের তীরের এই রাজ্য পদ্মময় হতে কী খুব বেশি দেরি আছে (Kerala Lok Sabha Election)?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ! এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও

    SSC Scam: ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে নিয়োগ! এসএসসি দুর্নীতিতে যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি নিয়োগের (Recruitment Case) ক্ষেত্রে এক দফতর থেকে অন্য দফতরে কী ভাবে ইমেল চালাচালির মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করা হত, তা জানতে পেরেছে ইডি। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি,  ভুয়ো সুপারিশ পত্রের মাধ্যমে এসএসসিতে (SSC Scam) প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে সিবিআই জানিয়েছে শুধু মন্ত্রী, বা সরকারি আধিকারিক নয় রাজ্য় জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন বহু শিক্ষকও। অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এরকম বহু শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের নাম পেয়েছে সিবিআই।

    আদালতে ইডির দাবি

    আদালতে ইডি দাবি করেছে, এসএসসিতে (SSC Scam) প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল ভুয়ো সুপারিশপত্র। এর পর সেই সুপারিশপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল মধ্য শিক্ষা পর্ষদ (ডব্লিউবিবিএসই)-এর কাছে। সেই দফতরের কয়েক জন কর্মীর মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থীদের ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশিত হত। ইডির দাবি, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার নির্দেশে এই ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরির কাজটি করেছিলেন দফতরের অস্থায়ী কর্মী সমরজিৎ আচার্য। ইডির দাবি, এই সুপারিশগুলো এসেছিল মূলত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নকুমার রায়ের থেকে। তাঁর হয়ে আবার কাজ করতেন প্রদীপ সিং ওরফে ছোটু।

    কীভাবে করা হত সুপারিশ

    ইডি দাবি করেছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এজেন্টদের সঙ্গে যোগ ছিল প্রসন্নের। ওই এজেন্টদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতেন প্রসন্ন। তার পর বেআইনি ভাবে তাঁদের চাকরির সুপারিশ করতেন শান্তিপ্রসাদের কাছে। সমরজিৎকে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করে যে ইমেল করেছিলেন ছোটু, তা হাতে এসেছে ইডির। ইডি জানিয়েছে, একটি মেল ২০২০ সালের ১৬ জুন সমরজিৎকে করেছিলেন প্রদীপ। মেলের সঙ্গে ‘একাদশ-দ্বাদশ অ্যালটেড স্কুল-২১’ নামাঙ্কিত একটি ‘অ্যাটাচমেন্ট’ পাঠানো হয়েছে। তাতে ২১ জন প্রার্থীর নাম পাঠানো হয়েছিল। ইডির আরও দাবি, সমরজিৎ এই সুপারিশপত্রের প্রিন্ট করিয়ে পাঠিয়ে দিতেন পর্ষদের দফতরে। সেখানে রাজেশ লায়েক নামে এক কর্মী নিয়োগপত্র (Recruitment Case)  প্রিন্ট করাতেন। সেই কাজটা করতেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নিয়োগপত্র প্রিন্ট করাতেন রাজেশ।

    আর পড়ুন: হিন্দুজা পরিবারের চারজনকে কারাবাসের সাজা সুইৎজারল্যান্ডের আদালতের

    যুক্ত শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীরা

    অন্যদিক, ২০১৬ সালের এসএসসি-র প্যানেলে (SSC Scam) অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, অযোগ্য় চাকরিপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ৩৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। এর মধ্য়ে রয়েছে বিভিন্ন সকুলে কর্মরত ১১ জন শিক্ষক ও ২ জন অশিক্ষক কর্মীর নাম। অযোগ্য়দের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ায় কি ভূমিকা ছিল শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের? সরাসরি টাকার লেনদেনেও যুক্ত ছিলেন তাঁরা? জানতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রের খবর, সোমবার থেকে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী সহ ৩৭ জনকে তলব করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা! রিজার্ভেশন সিট দখল করলে টিটিই এসে খালি করে দেবে, জানুন নিয়ম

    Indian Railways: যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা! রিজার্ভেশন সিট দখল করলে টিটিই এসে খালি করে দেবে, জানুন নিয়ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রী সুবিধার্থে এবার এক দারুন উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। এবার থেকে আর ট্রেনে নিজের সংরক্ষিত সিটে (Reservation Seat) বসা নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। সম্প্রতি রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কারও কনফার্ম রিজার্ভেশন টিকিটে অন্য কেউ এসে বসে, তাহলে একেবারে টিটিই(TTE) এসে ওই সিট খালি করে দেবেন। কেবল আপনাকে একটি মেসেজ করতে হবে। মেসেজে কীভাবে করতে হবে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    কী জানিয়েছে রেল? (Indian Railways)

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কারও কনফার্ম রিজার্ভেশন টিকিটে (Reservation Seat) অন্য কেউ এসে বসে, তাহলে মেসেজে ইংরেজি বড় অক্ষরে কেবল SEAT লিখুন। কিছুটা স্পেস দিয়ে PNR নম্বর, স্পেস কোচ নম্বর, সিট নম্বর এবং তারপর OCCUPIED BY UNKNPWN PASSENGER লিখে পাঠিয়ে দিন ১৩৯ নম্বরে। ১৩৯ নম্বরে মেসেজ পাঠানোর পরই টিই নিজে আসবেন এবং আপনার সিট খালি করে দেবেন। এরপর আপনি আপনার সিটে বসে স্বচ্ছন্দে যেতে পারবেন। এছাড়া ট্রেনে অন্য কোনও সমস্যা বা সাহায্যের প্রয়োজন হলেও এই নম্বরে মেসেজ করে জানাতে পারেন বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে। 
    তবে কেবল মেসেজ নয়, ১৩৯ নম্বরে ফোনও করেও ট্রেন সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য, পিএনআর স্টেটাস এবং টিকিট মিলছে কি না, তাও জানা যাবে। এছাড়া ট্রেন কোন স্টেশনে রয়েছে, কখন কোন স্টেশনে ঢুকবে, পিএনআর নম্বর দিয়ে সেটাও জানা যাবে। এমনকি রিজার্ভেশন সম্পর্কিত তথ্যও পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    কেন এই সিদ্ধান্ত? 

    মাঝেমধ্যেই রেলের (Indian Railways) যাত্রীদের একাংশ অভিযোগ করেন যে তাঁদের রিজার্ভ করা সিটে অন্য কোনও ব্যক্তি জবরদখল করে বসে রয়েছেন। সেই যাত্রীকে সেখান থেকে তুলতে গিয়ে গন্ডগোল, হাতাহাতি-মারামারিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ার খবর মেলে। কনফার্ম টিকিট (Reservation Seat) থাকা সত্বেও প্রায়শই এই প্রকট সমস্যার সম্মুখীন হন একটি বড় অংশের যাত্রী। তাই এবার যাত্রী সুবিধার্থে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    Uttar Dinajpur: চোপাড়ায় চা বাগান দখল করতে শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি তৃণমূল নেতার! আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চা বাগান দখলকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ। পুলিশের সামনে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুজন স্থানীয় ব্যক্তি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার চোপড়ার নীচাখালি গ্রামের ডানকান-এর আনারকলি চা বাগানে। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় চোপড়া থানার পুলিশ। এরপর আহতদের চোপড়া দলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছে। তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Uttar Dinajpur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭০ বিঘার এই আনারকলি চা বাগান (Uttar Dinajpur) লাভজনক না হওয়ায় বেশ কয়েকবছর আগে বাগান ছেড়ে চলে যায় ‘ডানকান’ সংস্থা। চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন বাগানের শ্রমিকরা। শ্রমিকরা তাই বাগানের একাংশে চাষ করে কোনক্রমে সংসার চালাচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে এই বাগান নিজেদের কব্জায় আনতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন চোপড়া ব্লকের ভবানীপুর এলাকার তৃণমূল নেতা হাসিবুল ইসলাম সহ তাঁর সঙ্গীরা। হাসিবুল ইসলাম স্থানীয় দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। বাগানের শ্রমিকদের উচ্ছেদ করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাঁধে। বিবাদ মেটাতে চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের বাড়িতে সালিশী সভা বসলেও তাতে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপর শনিবার সকালে হাসিবুল ইসলামের সহযোগিরা বাগান দখল করতে এলে, বাগান দখলে থাকা শ্রমিকরা তাঁদের বাধা দেন। শুরু হয় দুই পক্ষের সংঘর্ষ। এরপর চলে গুলি।

    আরও পড়ুনঃ শিয়ালদায় আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম থেকে চলবে ১২ কামরার ট্রেন, উঠতে পারবেন হাজারেরও বেশি যাত্রী

    আহত শ্রমিকদের বক্তব্য

    আহত শ্রমিক হামিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বললেন, “পুলিশের উপস্থিতিতেই হাসিবুলের লোকজন আমাদের উপর গুলি চালিয়েছেন। স্থানীয় (Uttar Dinajpur) পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।” আক্রান্ত আনোয়ারা আরও বলেন, “তৃণমূল নেতা হাসিবুল, শাহিন, সামসুল সকলে মিলে আমাদের উপর পাথর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেন। বাগানের মালিক কোম্পানি অনেকদিন আগে চলে গিয়েছে, আমরা কোনও ক্রমে কাজ করে খাচ্ছিলাম। কিন্তু এটাই তৃণমূলের গুন্ডাদের সহ্য হচ্ছিল না। ওঁরা এসে গুলিও করেছেন।” ঠিক এরপর থেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব হন স্থানীয় চা শ্রমিকেরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandrababu Naidu: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    Chandrababu Naidu: ‘কথা’ রাখলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয়েই অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ফিরলেন চন্দ্রবাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবারকে অপমান করার অভিযোগে বিধানসভা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)। সেদিনই বলেছিলেন, যেদিন মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সেদিন ফিরবেন এই ভবনে। ‘কথা’ রাখলেন তিনি। বিধানসভায় ফিরলেন শুক্রবার, ৩১ মাস পরে এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়েই। আড়াই বছরেরও বেশি সময় বিধানসভার বাইরে থাকার পর এদিন সভায় পা রেখেই খানিক আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন চন্দ্রবাবু। বিধানসভায় তাঁকে স্বাগত জানান তেলগু দেশম পার্টির বিধায়ক এবং জোটসঙ্গীরা।

    চন্দ্রবাবুর ‘প্রতিজ্ঞা’

    ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর মহিলাদের ক্ষমতায়ন নিয়ে আলোচনা চলছিল অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায়। এই সময় তৎকালীন শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছিলেন চন্দ্রবাবু। সেই সময় আচমকাই জগন্মোহন রেড্ডির দলের বিধায়করা চন্দ্রবাবুর স্ত্রীকে নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ (Chandrababu Naidu)। প্রতিবাদে বিধানসভা ছেড়ে চলে যান। সজল চক্ষে বলে যান, “এর পর আমি আর কোনও অধিবেশনে যোগ দেব না। আবার যখন মুখ্যমন্ত্রী হব, তখন বিধানসভায় পা রাখব।” তৎকালীন বিধানসভাকে ‘কৌরবদের সভা’ বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।

    প্রতিজ্ঞা পূরণ হওয়ায় বিধানসভায়

    উনিশের বিধানসভা নির্বাচনে অন্ধ্রপ্রদেশের কুর্সিতে বসেছিলেন জগন্মোহন। চব্বিশের ভোটে পাশা উলটেছে দক্ষিণের এই রাজ্যে। বিজেপি এবং জনসেনা পার্টির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই নির্বাচনে লড়েছিল টিডিপি। তাতেই উলটে যায় পাশার দান। ১৭৫ আসনের অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভায় ১৩৫ আসনে জয়ী হয় টিডিপি। ২১টি আসনে জেতে জন সেনা পার্টি। রাজ্যের আটটি বিধানসভা কেন্দ্রে ফোটে পদ্ম। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন টিডিপি সুপ্রিমো। এই নিয়ে চতুর্থবার। শুক্রবার পা রাখেন বিধানসভায়।

    আর পড়ুন: রেশন দুর্নীতিতে ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি! আদালতে নয়া তথ্য ফাঁস ইডির

    প্রসঙ্গত, ১২ জুন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন চন্দ্রবাবু। সেদিন কৃষ্ণা জেলার গান্নাভারম বিমানবন্দরের কাছে কেসারাপল্লি আইটি পার্কে বিশাল মঞ্চে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। আগামিদিনে অমরাবতীকেই রাজ্যের রাজধানী করা হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী (Chandrababu Naidu)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Madras High Court: দুই পার্টনারের একজন বিবাহিত হলে, সেই লিভ-ইন বৈধ নয়, জানাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    Madras High Court: দুই পার্টনারের একজন বিবাহিত হলে, সেই লিভ-ইন বৈধ নয়, জানাল মাদ্রাজ হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিতে গিয়ে সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court) জানিয়েছে, একজন বিবাহিত পুরুষ অপর মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে থাকলে তাকে কখনও লিভ-ইন বলা যাবে না এবং ওই মহিলাকে উপপত্নী হিসেবেই চিহ্নিত করা হবে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের আরও পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কগুলির বৈশিষ্ট্য, বিবাহের যে বৈশিষ্ট্য তার সঙ্গে মেলে না। তা একমাত্র মেলে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে। এই ধরনের সম্পর্ক হল পুরুষ ও তার উপপত্নীর সম্পর্ক। সম্প্রতি এই রায় দিয়েছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি আরএমটি টীকা রমন।

    মামলাটি হল ২০১৬ সালের

    জানা গিয়েছে মামলাটি হল ২০১৬ সালের। মামলার একপক্ষ হলেন জয়চন্দ্রন। জয়চন্দ্রনের বিবাহ হয় স্টেলা নামের একজন মহিলার সঙ্গে। দম্পতির ৫টি সন্তানও রয়েছে। পরবর্তীকালে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জয়াচন্দ্রন প্রবেশ করেন। জনৈকা মার্গারেট আরুলমোঝির সঙ্গে জয়চন্দ্রন লিভ-ইন শুরু করেন। মার্গারেট ছিলেন ছিলেন মামলাকারী (Madras High Court) ইসুরান্থিনামের কন্যা। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকাকালীন ২০১০ সালে জয়চন্দ্রন তাঁর সম্পত্তির বড় অংশ প্রদান করেন মার্গারেটকে। একটি ডিড তৈরি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে মার্গারেটই হল তার পত্নী। পরবর্তীকালে দেখা যায় মার্গারেটের মৃত্যু হয় ২০১৩ সালে। মৃত্যুর পরে তাঁর পিতা ইসুরান্থিনাম একটি মামলা দায়ের করেন এবং সেখানে ঘোষণা করেন যে সম্পত্তির উপর তাঁর কন্যারই অধিকার। ভারতীয় উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী ওই সম্পত্তি তাঁর কন্যা পেয়েছেন বলে দাবি করেন মার্গারেটের বাবা।

    লিভ-ইন-সম্পর্ককে কখনও বিবাহের মতো সম্পর্কে আনা যায় না

    যদিও এখানে মাদ্রাজ হাইকোর্ট স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, জয়চন্দ্রনের সঙ্গে স্টেলার বিবাহ একমাত্র বৈধ এবং মার্গারেটের সঙ্গে সম্পর্ক কখনও বৈধ নয়। তাকে লিভ-ইনও বলা যায় না। এদিন মামলার রায় প্রদানের সময় মাদ্রাজ হাইকোর্ট উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী একটি মামলার (Madras High Court) রায়েরও। যেখানে বলা হয়েছিল যে সমস্ত লিভ-ইন সম্পর্ককে কখনও বিবাহের মতো সম্পর্কে আনা যায় না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share