Tag: bangla news

bangla news

  • Weather Update: সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি হবে! পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের, মাটি হবে পুজো?

    Weather Update: সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি হবে! পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের, মাটি হবে পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসের শেষে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই, মানুষ বৃষ্টি মাথায় করেই কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন। পাড়ায় পাড়ায় প্যান্ডেলের কাজও চলছে পুরোদমে। তার মধ্যেই আশঙ্কার কথা শোনাল আবহাওয়া দফতর (Weather Update)। পূর্বাভাস, গোটা সেপ্টেম্বর মাস জুড়েই বৃষ্টি চলবে। পুজোয় বৃষ্টি হবে। লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস কার্যত দেওয়া হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আবহবিদরা জানিয়েছেন, পুজোয় বর্ষা পুরো ছন্দেই থাকছে। এখনই বর্ষা বিদায়ের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাঁদের মতে, অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে মৌসুমী বায়ু এবং মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় থাকতে পারে। তবে পুজোয় কোন দিন কতটা বৃষ্টি তা সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে নির্দিষ্ট করে জানাতে পারবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    বঙ্গোপসাগরে নতুন নিম্নচাপ

    এদিকে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেতেও নিম্নচাপের বৃষ্টি অব্যাহত বঙ্গে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে (Weather Update)। বুধবার এটি ক্রমশ ও পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। বিকেলের পর সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে এবং ওড়িশা উপকূলে স্থলভাগে প্রবেশ করবে। মঙ্গলবার দিনভর জেলায় জেলায় দফায় দফায় বৃষ্টির পর আজ বুধবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (Heavy Rain Alert) রয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই কলকাতায় আকাশের মুখভার। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েই চলেছে। বৃষ্টির জেরে ফের একবার কলকাতার নিচু এলাকাগুলি নতুন করে জলমগ্ন হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা

    আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট, নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহজুড়ে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও সতর্কতা রয়েছে (Weather Update)। পূর্বাভাস, আগামী ৪৮-ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা— কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। শনি ও রবিবার বৃষ্টি কমলেও সোমবার ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে অনুমান।

    উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি

    অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪-ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায়। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতে আজ প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে (Weather Update)। কম-বেশি বৃষ্টি চলতে পারে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। শুক্রবার ও শনিবারও বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকবে। তবে রবিবার থেকে ফের বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। রবিবার ও সোমবার, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

  • Pakistan Floods: ‘বন্যার জল আল্লার আশীর্বাদ, বাড়িতে সংরক্ষণ করুন’! আজব তত্ত্ব পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    Pakistan Floods: ‘বন্যার জল আল্লার আশীর্বাদ, বাড়িতে সংরক্ষণ করুন’! আজব তত্ত্ব পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুন থেকে লাগাতার বৃষ্টি ও দফায়-দফায় বন্যার জেরে বিধ্বস্ত পাকিস্তান (Pakistan Floods)। বিশেষত জলের তলায় পাক-পাঞ্জাব প্রদেশ। রাস্তায় জল থইথই করছে। অন্তত এক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বন্যা কবলিত হয়ে কার্যত ঘরছাড়া অন্তত ২০ লক্ষ নাগরিক। আবহাওয়া দফতরও পরিবেশ বদলের সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারছে না। তবে, ভয়াবহ এই বন্যা পরিস্থিতিকে ‘আল্লার আর্শীর্বাদ’ বলে মন্তব্য করলেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ (Khawaja Asif)। তাঁর মতে, বন্যার জল ধরে বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখা উচিত।

    বন্যার জল সংরক্ষণ, উপহাস পাকমন্ত্রীর

    স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় আসিফের কাছে পাকিস্তানের বন্যা (Pakistan Floods) পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই বন্যার জলকে ‘আশীর্বাদ’ বলে বর্ণনা করেন আসিফ (Khawaja Asif)। তিনি বলেন, ‘‘আমি তো বলব দেশবাসীর উচিত এই বন্যাকে আল্লার মেহেরবানি হিসেবে ধরে নেওয়া। গোটা বিশ্ব যখন জলের জন্য হাহাকার করছে, তখন পাকিস্তানের এই বন্যা তো শুভ ব্যাপার। কোনও ভাবেই একে বিপর্যয় বলা যায় না। আল্লার কৃপা না-থাকলে এটা হয় না।’’ শুধু তা-ই নয়, বন্যার জল নিয়ে কী করা যায়, তারও সমাধানের খোঁজ দিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়, ‘‘এই জলকে ধরে রাখা উচিত।’’ বন্যার কারণে বেহাল দশার প্রতিবাদে অনেকেই রাস্তায় নেমেছেন। প্রতিবাদ চলছে পাকিস্তানের দিকে দিকে। সেই সব প্রতিবাদীদের উদ্দেশে আসিফ বলেন, ‘‘যাঁরা রাস্তা আটকে বসে আছেন, তাঁদের উচিত জমা জল বাড়িতে নিয়ে যাওয়া এবং তার পরে সেটা কোনও জায়গায় মজুত করে রাখা।’’ পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতে, বন্যার জল সংরক্ষণ করে সেটাকে পরে কাজে লাগানোর জন্য পরিকল্পনা করা উচিত।

    কটাক্ষের মুখে পাক সরকার

    বন্যার (Pakistan Floods) দায় জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে মন্ত্রীর আরও দাবি, ‘ওরাই নদী তীরবর্তী জায়গা জবরদখল করে বসতি গড়েছে। নদী বাধ্য হচ্ছে গতিপথ বদলাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বন্যা তো হবেই!’ স্বাভাবিক ভাবেই মন্ত্রীর মন্তব্য ও আজব সাজেশনে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের তীব্র কটাক্ষের মুখে পাকিস্তান সরকার। পরিকাঠামোগত খামতির কথা স্বীকার করে নিয়েই অবশ্য পাক মন্ত্রী বলেন, ‘অতিরক্ত জল সঞ্চয় করার জন্য আমাদের বড় বাঁধের প্রয়োজন। কিন্তু সেটা এখনই করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই জনগণকে জল জমিয়ে রাখার কথা বলছি।’ যে হেতু সরকারের কাছে বন্যা রোখার কোনও প্রযুক্তি নেই, তাই সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও অমূলক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

    বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান

    বন্যার (Pakistan Floods) জেরে শয়ে শয়ে মানুষের মৃত্যুর মাঝে পাক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য সামনে আসায় জনগণের ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়েছে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরও তীব্র করছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে খোদ পাক সরকারের রিপোর্ট বলছে, গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে পাকিস্তান। অজস্র গ্রাম চলে গিয়েছে জলের নিচে। হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দুর্যোগের জেরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখোয়ায়। শুধুমাত্র এই প্রদেশে হড়পা বান ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০৬ জনের। টানা বর্ষণের জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাঞ্জাব প্রদেশের। শুধু তা-ই নয়, প্রভাব পড়েছে লাহোরেও।

  • Amit Shah: সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Amit Shah: সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ডিটেনশন ক্যাম্প (Detention Camps) গড়ে তুলতে হবে। অনুপ্রবেশকারীদের গতি-প্রকৃতি সীমিত রাখতেই এই ব্যবস্থা করতে হবে। যতক্ষণ না তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে, ততক্ষণ রাখা হবে ওই ক্যাম্পে। মঙ্গলবার এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Amit Shah)। সম্প্রতি পাশ হওয়া অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫ এর প্রেক্ষিতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

    কী বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে (Amit Shah)

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন বা জেলা কালেক্টর অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ জারি করে, কোনও ব্যক্তিকে আইন অনুযায়ী বিদেশি হিসেবে গণ্য করা হবে কি হবে না, সেই প্রশ্নটি কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত বিদেশি ট্রাইবুনালে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবে। এই বিদেশি ট্রাইবুনালে সর্বোচ্চ তিনজন আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ সদস্য থাকবেন, যাঁদের উপযুক্ত মনে করে নিয়োগ করবে কেন্দ্রীয় সরকার। অভিযুক্ত ব্যক্তি বিদেশি নয় বলে তার দাবির সমর্থনে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে এবং তার দাবির সমর্থনে জামিনের ব্যবস্থাও করতে না পারলে, সেক্ষেত্রে তাকে আটক করে হোল্ডিং সেন্টারে রাখা হবে।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে বিদেশিদের ভারতে প্রবেশ বা অবস্থান করতে দেওয়া নাও হতে পারে। এছাড়াও, কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া কোনও বিদেশি ভারতের কোনও পর্বতচূড়ায় আরোহণ করতে পারবেন না বা করার চেষ্টাও করতে পারবেন না। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বেসরকারি খাতে বিদেশিদের নিয়োগের জন্য নির্দেশিকাও দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, “ভারতে কর্মসংস্থানের জন্য বৈধ ভিসা থাকা কোনও বিদেশি ব্যক্তি, দেওয়ানি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বিদ্যুৎ বা জল সরবরাহ অথবা পেট্রোলিয়াম খাতের সঙ্গে যুক্ত কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারবে না। প্রতিরক্ষা, মহাকাশ প্রযুক্তি, পারমাণবিক শক্তি, মানবাধিকার অথবা এ সংক্রান্ত অন্য যে কোনও ক্ষেত্রে যুক্ত কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম অনুমতি ছাড়া কোনও বিদেশিকে নিয়োগ করতে পারবে না।”

    পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে না!

    আর একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নেপাল বা ভুটানের নাগরিকদের স্থলপথে বা আকাশপথে ভারতে প্রবেশের সময় পাসপোর্ট ও ভিসা দেখাতে হবে না। তবে তাদের বৈধ পাসপোর্ট থাকলে এবং তারা নেপাল বা ভুটান ছাড়া (Detention Camps) অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে প্রবেশ বা ভারত থেকে বের হলে, সে ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। তবে চিন, ম্যাকাও, হংকং বা পাকিস্তান থেকে প্রবেশ বা প্রস্থানের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। এই নিয়ম তিব্বতিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, যাঁরা ইতিমধ্যেই ভারতে বসবাস করছেন বা যাঁরা ভারতে প্রবেশ করছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নাম নথিভুক্ত করে নথিপত্র জোগাড় করেছেন, তাঁরা যদি ১৯৫৯ সালের পর কিন্তু ২০০৩ সালের ৩০ মে-র আগে ভারতে প্রবেশ করে থাকেন (Amit Shah)।

    সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ছাড় প্রযোজ্য 

    বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্শি ও খ্রিস্টানরা, যাঁরা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বৈধ নথি থাকুক বা না থাকুক, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য হবে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যাঁরা ভারতে ঢুকেছেন এবং বৈধ নথি ছাড়াই এসেছেন কিংবা বৈধ নথি নিয়ে প্রবেশ করলেও, যার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট ও ভিসা আইন পুরোপুরি কার্যকর হবে না। তবে যাঁরা ছাড়ের আওতায় নেই, তাঁদের কঠোর নিয়ম মানতে হবে (Detention Camps)। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তৈরি ডিটেনশন সেন্টারে তাঁদের আটকে রাখা হবে, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত (Amit Shah)।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। আর এই অনুপ্রবেশকারী ইস্যুতেই ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বাংলাভাষায় কথা বললেই ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের ধরে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদেরও বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে (Amit Shah)।

  • India Russia Defence: আরও ‘সুদর্শন-চক্র’ কিনতে উদ্যোগী ভারত, রাশিয়ার প্রস্তাব ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    India Russia Defence: আরও ‘সুদর্শন-চক্র’ কিনতে উদ্যোগী ভারত, রাশিয়ার প্রস্তাব ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে সদ্যসমাপ্ত এসসিও সম্মেলেনর ফাঁকে নরেন্দ্র মোদি ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে একান্ত আলাপচারিতার ছবি সকলেই দেখেছেন। বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে সম্বোধন করে বরাবরের মতোই হাতে-হাত মিলিয়ে চলার প্রতিজ্ঞা করেন। জবাবে মোদি বলেন, ‘‘কঠিন সময়েও ভারত ও রাশিয়া একে অপরের পাশে থেকেছে।’’ এর ঠিক দুদিন পরই দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্পর্কিত বড় খবর সামনে এল। একদিকে যেমন জানা যাচ্ছে, নয়াদিল্লিকে তেলের দামে আরও ছাড় দিতে চলেছে মস্কো। তেমনই সামরিক (India Russia Defence) ক্ষেত্রেও ভারতকে আরও শক্তিশালী করতে অতিরিক্ত ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ (S-400 Triumf) আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ‘সু-৫৭’ (Su-57) যুদ্ধবিমান নিয়ে কথা চালাচ্ছে রাশিয়া।

    ভারতকে রাশিয়ার প্রস্তাব

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা ৫০ শতাংশ শুল্কের কাছে মাথা নত না করা এবং সেই প্রবল চাপকে উপেক্ষা করে বন্ধু রাশিয়ার থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি জারি রাখার ‘লাভ’ তুলতে চলেছে ভারত! মোদি-পুতিন বৈঠকের পর আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সখ্যতা (India Russia Defence)। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি বিষয়ক এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার তাস সংবাদসংস্থা জানিয়েছে যে, আরও বেশি সংখ্যক এস-৪০০ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম সরবরাহ করা নিয়ে নয়াদিল্লি এবং মস্কোর মধ্যে আলোচনা চলছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার ‘ফেডারেল সার্ভিস ফর মিলিটারি-টেকনিক্যাল কোঅপারেশন’-এর প্রধান দিমিত্রি শুগায়েভ জানিয়েছেন, এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ (S-400 Triumf) আকাশ-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও বেশি কেনার বিষয়ে দুদেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে।

    আরও ‘সুদর্শন চক্র’ কেনার উদ্যোগ

    ২০১৮ সালে ভারত ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে রাশিয়ার সঙ্গে পাঁচটি এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ দূরপাল্লার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কেনার চুক্তি করে। এর মধ্যে প্রথম তিনটি ইউনিট পৌঁছালেও, বাকি দুই ইউনিটের ডেলিভারি একাধিকবার পিছিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শেষ দুটি এস-৪০০ (S-400 Triumf) ইউনিট ভারতকে সরবরাহ করবে রাশিয়া ২০২৬ এবং ২০২৭ সালে। তার মধ্যেই বাড়তি ইউনিটের জন্য মস্কোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিল ভারত, বলে দাবি রুশ সংবাদসংস্থার। এখানে উল্লেখ করা দরকার, ভারতে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম পরিচিত ‘সুদর্শন চক্র’ নামে। গত মে মাসে অপারেশন সিঁদুরের সময় এই সুদর্শন চক্র দিয়ে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করেছে ভারত।

    ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭

    একদিকে রাশিয়ার থেকে অতিরিক্ত এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য যেমন আলোচনা চালাচ্ছে ভারত, তেমনই অন্যদিকে, নয়াদিল্লির সামনে ফের একবার ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সু-৫৭ স্টেলথ যুদ্ধবিমানের প্রস্তাব পেড়েছে মস্কো (India Russia Defence)। সংবাদসংস্থা তাস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়া এখন ভারতেই তাদের অত্যাধুনিক সু-৫৭ ফিফথ-জেনারেশন বা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করার সম্ভাবনা যাচাই করছে। ভারতীয় বায়ুসেনার আধুনিক যুদ্ধবিমানের চাহিদা পূরণের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রস্তাবনার আওতায় কত পরিমাণ বিনিয়োগ লাগবে, তা নিয়ে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ বিস্তারিতভাবে গবেষণা করছে।

    একই কারখানায় সু-৩০ ও সু-৫৭!

    ভারত ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, তাদের প্রয়োজন অন্তত দুই থেকে তিন স্কোয়াড্রন (৪০-৬০) পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। তার পর থেকেই, রাশিয়া বহুদিন ধরেই ভারতকে সি-৫৭ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য অনুরোধ করে আসছে। রাশিয়ার পেশ করা প্রস্তাব অনুয়ায়ী, বর্তমানে ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) ইতিমধ্যেই নাসিকের কারখানায় লাইসেন্স নিয়ে রাশিয়ার সু-৩০এমকেআই যুদ্ধবিমান উৎপাদন করছে। প্রয়োজনে সেই একই কারখানাটিকে সু-৫৭ (Su-57) যুদ্ধবিমান তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও, ভারতের বিভিন্ন কারখানায় ইতিমধ্যে রাশিয়ান প্রযুক্তির সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদন হয়। যেগুলিকে ব্যবহার করে সু-৫৭ তৈরি করলে খরচ অনেকটাই কমে যাবে বলে অনুমান (India Russia Defence)।

    প্রসঙ্গত, ভারত আগে রাশিয়ার ফিফথ-জেনারেশন ফাইটার এয়ারক্রাফট প্রকল্পের অংশ ছিল। কিন্তু প্রায় ৮-১০ বছর আগে কিছু কারণবশত সেই প্রকল্প থেকে সরে আসে। তবে বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি দেখে এই পুরনো প্রকল্প আবার নতুন করে শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

  • India-Russia Relationship: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা, রাশিয়া থেকে তেল কিনে ভারতের মুনাফা ১২৬০ কোটি ডলার

    India-Russia Relationship: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা, রাশিয়া থেকে তেল কিনে ভারতের মুনাফা ১২৬০ কোটি ডলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে যখন তেলের দাম চড়া, তখন ভারত এক কৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়ে রুশ তেলের দিকে ঝুঁকে পড়ে। পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে রাশিয়া (India-Russia Relationship) থেকেই তেল আমদানি করে ভারত। অন্যদিকে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মস্কোও ভারতকে বড়সড় ছাড়ে তেল (Russian Oil) দিতে শুরু করে। এই সিদ্ধান্তে ভারতের জ্বালানি আমদানির খরচ ৩৯ মাসে কমেছে কমপক্ষে ১৭ বিলিয়ন ডলার। তথ্য-পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট গত সাড়ে তিন বছরে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি করায় বিপুল আর্থিক সাশ্রয় হয়েছে ভারতের। সরকারি সূত্রে খবর, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ৩৯ মাসে রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানি করে অন্তত ১২৬০ কোটি ডলার (প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার কোটি টাকা) মুনাফা করেছে ভারত।

    বিশ্ব-বাজারে ভারতের বড় ভূমিকা

    রাশিয়ার তেল (Russian Oil) কেনায় ভারতের উপর গোঁসা করেছে আমেরিকা। রাশিয়া থেকে তেল কেনার অভিযোগে ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পিটার নাভারোর দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধ আসলে ‘মোদির যুদ্ধ’। তাঁর অভিযোগ, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনে আসলে মস্কোকে সহায়তা করছে ভারত।’ পিটার নাভারোর অভিযোগ ভিত্তিহীন, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, ভারতের তেল কেনার কারণেই বিশ্ববাজারে বড়সড় সঙ্কট এড়ানো গিয়েছে। যদি ভারত রাশিয়ার তেল না কিনত, তাহলে আজ অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ২০০ ডলার ছুঁয়ে যেত। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, ভারত শুধু সরাসরি সাশ্রয়ই করেনি, বরং বিশ্ববাজারে দাম নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত যদি রুশ তেল না কিনত, তাহলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১০-২০ ডলার বেড়ে যেতে পারত, যা ৩৯ মাসে আমদানির খরচ বাড়িয়ে দিত ৫৮ থেকে ১১৬ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত।

    রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বেড়েছে

    ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। তার পরেই আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছিল। যদিও তাতে গুরুত্ব না দিয়ে গত সাড়ে তিন বছর ধরে নয়াদিল্লি-মস্কো বাণিজ্যিক লেনদেন চলেছে সমানতালে। গত অর্থবর্ষের (২০২৪-২৫) ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার সার্বিক বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে পৌঁছেছে ৬৮০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা)। তার মধ্যে ভারত থেকে রাশিয়ায় (India-Russia Relationship) রফতানি করা হয়েছে ৪৯০ কোটি ডলারের (৪২ হাজার কোটি টাকা) পণ্য। আর রাশিয়া থেকে ভারত আমদানি করেছে ৬৩০০ কোটি ডলারের (প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা) পণ্য। যার বড় অংশই সামরিক সরঞ্জাম এবং অশোধিত তেল। বস্তুত ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর অনেক আগে থেকেই রুশ অশোধিত তেলের ক্রেতা ভারত। তবে আগে রাশিয়া থেকে তারা কম তেল আমদানি করত। ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পরে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। তেল আমদানিকারী দেশ হিসাবে সারা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এই মোট আমদানির ৩৫ শতাংশই এখন আসে রাশিয়া থেকে।

    কতটা সাশ্রয় করল ভারত

    প্রকাশিত রিপোর্ট জানাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারত ১৬২২ কোটি ডলারের তেল আমদানি করেছিল। রাশিয়ার তেল না কিনে অন্য দেশ থেকে কিনলে এই খরচ আরও ৪৮৭ কোটি ডলার বেশি পড়ত। ২০২৩-২৪ অর্থবর্যে রাশিয়ার তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও আমদানি বাড়ায় সাশ্রয় দাঁড়ায় ৫৪১ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ছাড় নেমে আসে মাত্র ২.৮ শতাংশে। এতে সাশ্রয় হয় মাত্র ১৪৫ কোটি ডলার। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষএ ছাড় কিছুটা বাড়ার ফলে প্রায় ৮৪ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকের শেষপর্বে রুশ তেল আমদানি কিছুটা কমলেও অগস্ট থেকে তা বাড়তে শুরু করেছে আবার।

    রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা ভারত

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর আগে রাশিয়া ভারতের মোট তেল আমদানির ২%-এরও কম সরবরাহ করত। এখন সেই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬%, যেখানে প্রতিদিন আমদানি হয় প্রায় ১.৭৮ মিলিয়ন ব্যারেল। এশিয়ায় চিনের পর ভারত এখন রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রেতা। মূলত মার্কিন ও ইউরোপীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়া ভারতকে ছাড়ে তেল দেয়, আর ভারত কৌশলগতভাবে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিপুল সাশ্রয় করে।

    লাভ সাধারণ জনগণের

    ভারতের সরকারি (India-Russia Relationship) হিসাব ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, দেশের এই সাশ্রয় শুধুমাত্র বড় ব্যবসায়ীদের নয়, সাধারণ ভারতীয়দেরও উপকৃত করেছে— মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থেকেছে, রুপি স্থিতিশীল থেকেছে, এবং রিফাইনিং শিল্পে কর্মসংস্থান বজায় রয়েছে। একইসঙ্গে, ভারত এই রফতানিকৃত রিফাইন্ড তেল (বিশেষত রিলায়েন্স ও নয়ারা এনার্জির মাধ্যমে) বিক্রি করে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৯৭.৪৭ বিলিয়ন, এবং ২০২৪-২৫-এ ৬৩.৩৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলের এই কৌশলগত চুক্তি ভারতের অর্থনীতিকে এক বড় ধাক্কা থেকে রক্ষা করেছে।

    দেশের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত

    ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার থেকে তেল (Russian Oil) কেনার ‘শাস্তি’ হিসেবে ভারতীয় পণ্যের উপর জরিমানা-সহ মোট ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা চাপিয়েছে আমেরিকা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের পরেও ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি নরেন্দ্র মোদির সরকার। অদূর ভবিষ্যতে তার কোনও সম্ভাবনাও নেই বলে মনে করছেন কূটনীতি এবং বণিকমহলের অনেকেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, এই তেল আমদানির মাধ্যমে ১.৪ বিলিয়ন ভারতীয়ের জন্য “সাশ্রয়ী জ্বালানি” নিশ্চিত হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, মার্কিন সমালোচনা দ্বিচারিতায় ভরপুর। ইউরোপ এখনও রাশিয়া থেকে পণ্য কিনছে। তাই ভারতকে বাধা দেওয়ার মানেই হয় না। ভারত জানিয়ে দিয়েছে — ‘যেখানে ভালো দাম, সেখানেই আমরা যাব’ — কৌশলগতভাবে নয়, অর্থনৈতিকভাবে।

  • Hospitality Sector: দেশে ঊর্ধ্বমুখী পর্যটন ব্যবসা, ২০৩৪ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লাখ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    Hospitality Sector: দেশে ঊর্ধ্বমুখী পর্যটন ব্যবসা, ২০৩৪ সালের মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লাখ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৪৭ সাল নাগাদ ভারতে ১০ কোটি পর্যটকের আগমনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত ব্যাপক অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং ২০৩৪ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে পর্যটন-নির্ভর শিল্পে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির। এই সময়ের মধ্যেই পর্যটনকেন্দ্রিক শিল্প (Hospitality Sector) থেকে ভারতের জিডিপিতে ৪৩.২৫ লক্ষ কোটি টাকা যুক্ত হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে (GDP)। প্রসঙ্গত, বিগত এক বছরের মধ্যে বিশ্ব পর্যটন র‍্যাঙ্কিং-এ ভারতের অবস্থান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। আগে যেখানে ভারত ছিল ৩৯তম স্থানে, বর্তমানে সেখান থেকে ৩১ ধাপ এগিয়ে অষ্টম স্থানে পৌঁছে গেছে। এই উত্থান স্পষ্ট করে দেয় যে, সারা বিশ্বের মানুষ এখন ভারতকেই অন্যতম প্রধান পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় পর্যটনের প্রসারও স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে।

    বৈদেশিক মুদ্রার আয় বেড়েছে (Hospitality Sector)

    বিশ্লেষকরা ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানাচ্ছেন— ১৯৯৯ সালে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা আয় ছিল মাত্র ০.১৩ লক্ষ কোটি টাকা। সেই আয় ২০১৯ সালে বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছায় ২.১২ লক্ষ কোটি টাকায়। তবে এরপর ২০২০ সালে করোনা মহামারী শুরু হওয়ায় এবং লকডাউনের ফলে পর্যটন শিল্পে ধস নামায়, এই আয় ২০২০-২১ অর্থবছরে নেমে আসে মাত্র ০.৫০ থেকে ০.৬৫ লক্ষ কোটি টাকায়। তবুও, করোনা-পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় ভারতের পর্যটন খাত।

    ফলে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে বৈদেশিক মুদ্রা আয় আবার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭৮ লক্ষ কোটি টাকায়। এই পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট, বিশ্বের মানুষ এখন ভারতে আরও বেশি করে আসছেন। ফলে ভারতের পর্যটনকেন্দ্রিক ব্যবসা ও পরিষেবা খাতে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভারতের পর্যটন (Hospitality Sector) এখন আর কেবলমাত্র ছুটি কাটানোর মাধ্যম নয়— এটি হয়ে উঠছে অর্থনৈতিক গতিশীলতার এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকা শক্তি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী পর্যটন প্রতিযোগিতায় ভারত দ্রুতই অন্যান্য দেশকে ছাপিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    এ প্রসঙ্গে এমপি ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস এলএলপি-র প্রতিষ্ঠাতা মহেন্দ্র পাতিল বলেন, “পরবর্তী দশকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা যত বেশি পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ করব এবং পর্যটকদের জন্য যত বেশি সুবিধা ও বিকল্প অভিজ্ঞতা তৈরি করব, তত বেশি উন্নতি হবে ভারতের পর্যটন খাতে।”

    ভারতের আধ্যাত্মিক পর্যটন

    ভারতে আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় পর্যটন ক্ষেত্রও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী— ২০২১ সালে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা ছিল ৬৭.৭ কোটি, যা ২০২২ সালে বেড়ে হয়েছে ১৪৩.৯ কোটি। রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৩৪ লক্ষ কোটি টাকায় এবং তৈরি হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান। ভারতের পর্যটন এখন কেবলমাত্র একটি খাত নয়— এটি হয়ে উঠেছে দেশের উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ, যেখানে অর্থনীতি, সংস্কৃতি, কর্মসংস্থান সবকিছুর মেলবন্ধন দেখা যাচ্ছে (Hospitality Sector)।

  • Edible Mushrooms: নিয়মিত মেনুতে থাকে মাশরুম! নয়া প্রজন্মের এই পছন্দের খাবার শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    Edible Mushrooms: নিয়মিত মেনুতে থাকে মাশরুম! নয়া প্রজন্মের এই পছন্দের খাবার শরীরে কী প্রভাব ফেলে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের পছন্দের খাবারের তালিকায় থাকছে মাশরুম! কম বয়সিদের স্বাদের খবর পেয়েই শহরের নানান নামীদামী রেস্তোরাঁয় মাশরুমের হরেক পদ তৈরি হচ্ছে। ইতালি-চিন-জাপানের পদ থেকে ভারতীয়, নানান মশলা আর রান্নার ধরনে তৈরি হচ্ছে মাশরুম। তবে পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, শুধু স্বাদে নয়, স্বাস্থ্যের জন্য ও এই খাবার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। মাশরুম নিয়ম মাফিক রান্না করে খেলে, তা শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। একাধিক অঙ্গের সুস্থতার সঙ্গে মাশরুম খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    মাশরুম কেন খাওয়া দরকার?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাশরুম এক ধরনের উদ্ভিদ জাতীয় খাবার। কিন্তু এই খাবারে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও থাকে নানান খনিজ পদার্থ। যা শরীরে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরের সহজেই ভিটামিন এবং প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। পাশপাশি পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়ামের মতো একাধিক প্রয়োজনীয় উপাদানের জোগান ও হয়। বিশেষত যারা প্রাণীজ প্রোটিন খেতে চান না, তাদের জন্য বিকল্প খাবার হিসাবে মাশরুম খুবই উপকারি‌। ক্যান্সার থেকে হৃদরোগ, একাধিক জটিল অসুখের ঝুঁকি কমাবে মাশরুম। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    শরীরের কোন রোগ রুখতে সাহায্য করে মাশরুম?

    ক্যান্সার রুখতে পারে!

    সাম্প্রতিক এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় চিকিৎসক-গবেষকেরা জানাচ্ছেন, সপ্তাহে দুই থেকে তিন কাপ মাশরুম খেলে ক্যান্সারের ঝুকি ৪৫ শতাংশ কমে। তাঁরা জানাচ্ছেন, জাপান সহ পৃথিবীর একাধিক দেশে ক্যান্সার চিকিৎসায় মাশরুম ব্যবহার করা হয়। এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়, যাতে মাশরুমের উপাদান ক্যান্সার রোগীর শরীরে পৌঁছয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাশরুমে থাকে গ্লুটাথিওয়ান এবং এরগোথিওয়ানাইন নামে দুই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এই দুই উপাদান ক্যান্সারের কোষ নষ্ট করতে বিশেষ সাহায্য করে। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে এই দুই উপাদানের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই সপ্তাহে অন্তত দু-তিনদিন মাশরুম খেলে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগকেও দূরে রাখা যাবে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    অ্যালজাইমারের ঝুঁকি কমাতে পারে!

    বয়স পঞ্চাশ কিংবা ষাটের চৌকাঠে পৌঁছলেই স্মৃতিশক্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আধুনিক জীবনে প্রৌঢ়কালের সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অ্যালজাইমারের মতো রোগ। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমছে। স্মৃতিশক্তি থাকছে না। ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমাতে পারে মাশরুম। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন বি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুই উপাদান মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। মস্তিষ্কের স্নায়ুর উপরেও প্রভাব ফেলে। এর ফলে অ্যালজাইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমে। আবার স্মৃতিশক্তিও ভালো থাকে। গবেষক-চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সপ্তাহে দু’কাপ পরিমাণ মাশরুম খেলে মস্তিষ্কের বিকাশ বেশি হয়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমার ঝুঁকিও অর্ধেক হয়ে যায়।

    হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়!

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ব্যালেন্স রাখতে মাশরুম বিশেষ সাহায্য করে। তাই এই খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাঁরা জানাচ্ছেন, দেশ জুড়ে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই মাশরুম খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হবে। হৃদপিণ্ডের প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সহজেই পেয়ে যাবে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।

    হাড়ের ক্ষয় রোগ রুখতে পারে!

    হাড় ক্ষয়ের রোগ বাড়ছে। বিশেষত ভারতে মহিলাদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। হাড়ের দুর্বলতা ও ক্ষয়রোগের জেরে হাঁটাচলা এমনকি বসে থাকাও কষ্টকর হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি-র অভাবেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের একাংশ ও ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগছেন। যার জেরে অনেকেই কোমড় ও হাঁটুর যন্ত্রণায় কাবু হচ্ছে।‌ পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, খুব কম খাবারেই পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকে। যে কয়েকটি খাবার থেকে শরীর সহজেই ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করতে পারে, তাদের মধ্যে রয়েছে মাশরুম। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ হয়। এতে হাড় ক্ষয়ের মতো রোগ সহজেই আটকানো‌ যায়।

    অন্ত্রের জন্য উপকারি!

    ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজের পাশপাশি মাশরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই মাশরুম নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়ে। অন্ত্রের জন্য ও এই খাবার বিশেষ উপকারি।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Daily Horoscope 03 September 2025: বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    Daily Horoscope 03 September 2025: বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে এই রাশির জাতকদের

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসায় সমস্যা ও খরচ বৃদ্ধি পাবে।

    ২) চক্ষুরোগ দেখা দিতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    বৃষ

    ১) সম্পত্তির অধিকার নিয়ে বিবাদ হতে পারে।

    ২) কপালে অপমান জুটতে পারে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    মিথুন

    ১) বাড়তি খরচের জন্য চিন্তা বাড়বে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হতে পারে।

    ৩) বাণীতে সংযম রাখুন।

    কর্কট

    ১) শেয়ার বাজার নিয়ে চিন্তা বাড়তে পারে।

    ২) পেটের কষ্ট বাড়তে পারে।

    ৩) চিকিৎসকের কাছে যেতে হতে পারে।

    সিংহ

    ১) শরীরে জড়তা বাড়তে পারে।

    ২) মাথার যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) গৃহে আনন্দের পরিবেশ।

    কন্যা

    ১) প্রেমের ব্যাপারে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) বাড়তি আয় করতে গেলে বিপদ ঘটতে পারে।

    ৩) ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

    তুলা

    ১) রাজনীতির লোকেদের একটু চিন্তার কারণ দেখা দিতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশযাত্রার সুযোগ আসতে পারে।

    ৩) প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটান।

    বৃশ্চিক

    ১) প্রেমের অশান্তি মিটে যেতে পারে।

    ২) কোনও কারণে মনে ভীষণ সংশয় বা ভয় কাজ করবে।

    ৩) দিনটি প্রতিকূল।

    ধনু

    ১) কাউকে কোনও ব্যাপারে কথা দেবেন না।

    ২) আধ্যত্মিক বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী হয়ে উঠবেন।

    ৩) বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান।

    মকর

    ১) গবেষণার কাজে সাফল্য লাভ।

    ২) খুব নিকট কোনও মানুষের জন্য দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হতে পারে।

    ৩) ভালো-মন্দ মিশিয়ে কাটবে।

    কুম্ভ

    ১) সখ মেটাতে বাড়তি খরচ হতে পারে।

    ২) কোনও বন্ধুর জন্য বিপদ থেকে উদ্ধার লাভ।

    ৩) ধর্মস্থানে ঘুরে আসুন।

    মীন

    ১) মহিলাদের জন্য নতুন কিছু শুরু করার ভালো সময়।

    ২) কল্যাণকর কাজে কিছু অর্থ ব্যয় হতে পারে।

    ৩) আধ্যাত্মিকতায় মনোনিবেশ।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 458: ঠাকুর ভাবে আবার বলছেন, “আমি লুচি আর খাব না”

    Ramakrishna 458: ঠাকুর ভাবে আবার বলছেন, “আমি লুচি আর খাব না”

    শ্রী রামকৃষ্ণ (ভাবস্থ) — মা! তাকে টেনে নিও, আমি আর ভাবতে পারি না!! (মাস্টারের দিকে) তোমার সম্পত্তি — তার দিকে একটু মন আছে।

    (গিরিশের প্রতি) — “তুমি মালামাল, খাবার কথা, অনেক বল; তা হউক, ওসব বেরিয়ে যাওয়া‌ই ভালো। বদরোগ কাকের কাকর আছে। যত বেরিয়ে যায় ততই ভালো। “উচ্চারিত নামের সময়ই শব্দ হয়। কাঁঠ পোড়াবার সময় চড়চড় শব্দ করে। সব পুড়ে গেলে আর শব্দ থাকে না। “তুমি দিন দিন শুভ হবে। তোমার দিন দিন খুব উন্নতি হবে। লোকে দেখে অবাক হবে। আমি বেশি আসতে পারব না, — তা হউক, তোমার এমনি হবে।” ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের ভাব আবার ঘনীভূত হইতেছে। আবার মার সঙ্গে কথা কহিতেছেন, “মা! যে ভাল আছে তাকে ভাল করতে যাওয়া কি বাহাদুরি? মা! মরারকে বাঁচাইতে হইবে? যে খাদ্য হয়ে রয়েছে তাকে খাওলে তবে তো তোমার মহিমা!” ঠাকুর কিন্তু স্থির হইয়া ঠাঁই একটুখানি উচ্চঃস্বরে বলিতেছেন — “আমি দক্ষিণেশ্বর থেকে এসেছি। যাচ্ছি গো মা!!”

    যেন একটি ছোট ছেলে দূর হইতে মার ডাক শুনিয়া উত্তর দিতেছে! ঠাকুর আবার নিঃস্পন্দ দেখ, সমাধিস্থ বসিয়া আছেন। ভক্তেরা অনিমেষনয়নে নিঃশব্দে দেখিতেছেন।

    ঠাকুর ভাবে আবার বলছেন, “আমি লুচি আর খাব না।”

    পাড়া হইতে দুই-একটি গোস্বামী আসিয়াছিলেন — তাহারা উঠিয়া গেলেন।

    পরবর্তী পরিচ্ছেদ

    চতুর্দশ পরিচ্ছেদ
    ১৮৮৫, ৬ এপ্রিল
    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ দেবেন্দ্রের বাটীতে ভক্তসম্ভাষণে

    ঠাকুর ভক্তসম্ভাষে আনন্দে কথাবার্তা কহিতেছেন। চৈত্র মাস, বড় গরম! দেবেন্দ্র কুলপি বরফ তৈয়ার করিয়াছেন। ঠাকুরকে ও ভক্তদের খাওয়াইতেছেন।
    ভক্তগণও কুলপি খাইয়া আনন্দ করিতেছেন।

  • VVIP: মাঝ-সেপ্টেম্বরে মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    VVIP: মাঝ-সেপ্টেম্বরে মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বা ১৪ সেপ্টেম্বর মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জাতিগত হিংসার ঘটনায় দীর্ণ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটি। গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে জল্পনা তীব্র হয়েছে। এ নিয়ে আরও জোরালো ধারণা তৈরি হয়েছে মণিপুরের সাধারণ প্রশাসন বিভাগের এক সরকারি নোট প্রকাশের পর।

    সরকারি নোট (VVIP)

    ওই নোটে বলা হয়েছে, “প্রথমেই মণিপুর সরকারের মুখ্যসচিব প্রস্তাবিত ভিভিআইপি (VVIP) সফর (সেপ্টেম্বর ২০২৫) উপলক্ষে প্রস্তুতি বৈঠকে উপস্থিত সকল সদস্য ও কর্মকর্তাকে স্বাগত জানান।” নোটে আরও বলা হয়েছে, “এই সফরকে জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করতে হবে। তাই সাধারণ প্রশাসন বিভাগের সচিবকে আলোচনা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।” নোটে ইম্ফলের কাংলা ও চূড়াচাঁদপুরের পিস গ্রাউন্ডকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভিভিআইপির নাম স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

    কী বলছে প্রশাসন?

    প্রশাসনের তরফে কেউ কিছু না বললেও, রাজ্যের শাসক দলের এক বিধায়ক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সফর প্রায় নিশ্চিত।” প্রসঙ্গত, মেইতেই ও কুকি-জো উপজাতিদের মধ্যে জাতিগত সংঘাত এবং তৎপরবর্তী হিংসায় ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু ও প্রায় ৬০ হাজার মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথম মণিপুর সফর। মাস কয়েক হল হিংসা থেমেছে। কিন্তু দু’বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, রাজ্য জাতিগতভাবে বিভক্তই রয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যে এখনও (PM Modi) মেইতেই ও কুকি-জো উপজাতিরা একে অন্যের এলাকায় যেতে পারেন না। রাজ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের পরেও মণিপুর সফরে না যাওয়ার জন্য বহুবার প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেছে কংগ্রেস (VVIP)।

    মণিপুর সফর সেরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন অসমেও। সেখানে তিনি ৫১.৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বাইরাবি–সাইরাং রেললাইনের উদ্বোধন করবেন। অসমে প্রধানমন্ত্রী ভারতরত্ন ভূপেন হাজারিকার শতবর্ষব্যাপী উদযাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন (VVIP)।

LinkedIn
Share