Tag: bangla news

bangla news

  • Bird Flu in Bengal: বার্ড ফ্লু আতঙ্ক বাংলায়, শিশুর শরীরে মিলল ভাইরাস, জানাল ‘হু’

    Bird Flu in Bengal: বার্ড ফ্লু আতঙ্ক বাংলায়, শিশুর শরীরে মিলল ভাইরাস, জানাল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এবার বার্ড ফ্লু (Bird Flu in Bengal) আতঙ্ক। আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের চার বছর বয়সী এক শিশু। জানা গিয়েছে ওই শিশুর শরীরে মিলেছে H9N2 ভাইরাস এবং এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও। জানা গিয়েছে, চার বছর বয়সী শিশুটি বাড়িতে পোল্ট্রির সংস্পর্শে এসেছিল এবং সেখান থেকেই বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। শিশুটির শরীরের জ্বর, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো নানা উপসর্গ দেখা যায়। কিন্তু এমন উপসর্গ তার পরিবারের কারও মধ্যে দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই শিশুটিকে এই সমস্ত উপসর্গের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এরপরেই তার শরীরে নমুনা পরীক্ষা করে বার্ড ফ্লু ভাইরাস ধরা পড়ে।

    বর্তমানে ওই শিশু একেবারে সুস্থ   

    স্বাস্থ্য ভবন জানিয়েছে, শিশুটির বাড়ি উত্তরবঙ্গে। বর্তমানে সে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ। বার্ড ফ্লু সংক্রমণের পরেই তার শরীরে ফুসফুস জনিত কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, তার নাক এবং গলা থেকে নেওয়া নমুনা কলকাতার একটি ভাইরাস রিসার্চ সেন্টারে পরীক্ষা করা হয় এবং সেখানেই মেলে বার্ড ফ্লুর ভাইরাস (Bird Flu in Bengal)। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালেই প্রথম ভারতে মানবদেহে H9N2 ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। এরপরে দ্বিতীয়বারের মতো দেখা গেল শিশুর দেহে।

    সাধারণভাবে এই ভাইরাস পাখিদের আক্রান্ত করে

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, H9N2 ভাইরাস এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস নামে পরিচিত। সাধারণভাবে এই ভাইরাস পাখিদের আক্রান্ত করে এবং বার্ড ফ্লু আক্রান্ত কোনও পাখির সংস্পর্শে যদি কোনও ব্যক্তি আসে তখনই তার শরীরে বাসা বাঁধে এই ভাইরাস (Bird Flu in Bengal)। এর জেরে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তবে মানুষ থেকে মানুষে সেভাবে এই ভাইরাস সংক্রামিত হয় না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বার্ড ফ্লু  ভাইরাস দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে বেশি মেলে। তবে বিগত পাঁচ বছরে দেশে এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য কোনও মানব শরীরে মিলল এই ভাইরাস।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Thakur: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যের কারণেই সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ এগোচ্ছে না’’, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    Shantanu Thakur: ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যের কারণেই সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ এগোচ্ছে না’’, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয়বার জাহাজ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই তৃণমূল সরকারকে তোপ দাগলেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। মঙ্গলবারই তিনি দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যের কারণেই সমুদ্র বন্দর তৈরির কাজ এগোচ্ছে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্র কাজ করতে তৈরি। কিন্তু রাজ্য অনুমতি দিচ্ছে না। আসলে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’

    যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানছে না তৃণমূল সরকার

    তৃণমূল সরকার যে কোনওভাবেই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানতে চায় না তা একাধিকবার সামনে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন বিবৃতি ও কাজে। এ প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে বন্দর তৈরি করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করে চালানো অসম্ভব। রাজ্য সরকারের কাছে অত টাকাই থাকে না। তাই যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে  কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আমরা রাজ্য সরকারের কাছে যৌথ উদ্যোগে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা এনওসি দেয়নি। ফলে গোটা প্রকল্প আটকে গিয়েছে। আমরা কাজ করতে তৈরি। রাজ্য সরকার সম্মতি দিলেই আমরা কাজে নেমে পড়ব।’’

    ‘‘আমি হাফ প্যান্ট মন্ত্রী হলে রাজ্যের মন্ত্রীরা তো অন্তর্বাস মন্ত্রী’’

    তাঁকে হাফ প্যান্ট মন্ত্রী বলে কটাক্ষ করায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। তিনি বলেন, ‘‘আমি হাফ প্যান্ট মন্ত্রী হলে রাজ্যের মন্ত্রীরা তো অন্তর্বাস মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে দেশের প্রত্যেকটা রাজ্যের মানুষ চেনেন। তিনি গোটা দেশে কাজ করতে পারেন। রাজ্যের মন্ত্রীকে রাজ্যের বাইরে কে চেনে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো অন্যের উন্নতি দেখতে পারেন না। তাই একা রেলমন্ত্রী হয়ে বাকিদের হাফ প্যান্ট মন্ত্রী বানিয়ে রেখেছিলেন। তখন তৃণমূলের একথা মনে ছিল না? কাজ করার ইচ্ছা থাকলে প্রতিমন্ত্রী হয়েও করা যায়। কিন্তু তৃণমূল তো শুধু দুর্নীতি করতে জানে। কাজ করতে জানে না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Naihati: বুথে হেরেছেন পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, শোরগোল

    Naihati: বুথে হেরেছেন পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটে বুথে হেরেছেন পার্থ ভৌমিক। আর তার জেরেই বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নৈহাটির (Naihati) মামুদপুর এলাকায়। রক্তাক্ত অবস্থায় সাধন ঘোষ নামে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে কল্যাণী এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    বুথে হেরেছে পার্থ, তৃণমূলের হামলায় রক্ত ঝরল বিজেপি কর্মীর (Naihati)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈহাটির (Naihati) মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাদারপুর মণ্ডলপাড়া বুথে এবার লিড পেয়েছে বিজেপি। তৃণমূল এই বুথে ধরাশায়ী হতেই শাসক দলের নেতা-কর্মীদের রোষানলে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। কয়েকদিন ধরেই বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া চলছিল। এবার বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সাধন ঘোষ নামে ওই বিজেপি কর্মী টোটো চালিয়ে সংসার চালান। মঙ্গলবার টোটো নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাসের স্বামীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাস দাঁড়িয়ে থেকে হামলার নেতৃত্ব দেন। পরে, আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    বিজেপির (Naihati) জগদ্দল মণ্ডলের সম্পাদক দশরথ সরকার বলেন, এবার বুথের ক্যাম্প অফিস দলীয় কর্মী সাধন ঘোষের বাড়ির সামনে করেছিলাম। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী। ওই বুথে পার্থ ভৌমিক ৬৫ ভোটে হেরে গিয়েছে। আর তার প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। অন্যদিকে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা করবী বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আমার স্বামী সাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। উলটোদিক থেকে সাধন ঘোষ টোটো এনে দাঁড় করিয়ে দেয়। টোটো সরাতে বললে আমার স্বামীকে বেধড়ক মারতে থাকে। বাড়়ির কাছে ওই ঘটনা দেখে আমিও ছুটে যাই। আমাকেও মারধর করে। আমার স্বামী নৈহাটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। দুপক্ষই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purana Qila: পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থের অস্তিত্বের খোঁজে পুরানা কিলায় শুরু হবে খননকার্য

    Purana Qila: পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থের অস্তিত্বের খোঁজে পুরানা কিলায় শুরু হবে খননকার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাভারতে উল্লেখিত পাণ্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থ নগরের খোঁজে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (ASI) দিল্লির পুরানা কিলা (Purana Qila) এলাকায় খনন শুরু করবে। মনে করা হচ্ছে প্রাচীন ইন্দ্রপ্রস্থ নগর ঠিক এই জায়গাতেই ছিল। দিল্লির “পুরানা কিলা” ষোড়শ শতকে প্রাচীন দুর্গের ধ্বংসাবশেষের উপর তৈরি করেছিলেন মুঘল শাসক হুমায়ুন (Humayun) । প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে পাণ্ডবদের (Pandav) ইন্দ্রপ্রস্থের নগরীর যোগ রয়েছে বলে ইতিহাসবিদরা মনে করেন।

    ইন্দ্রপ্রস্থের উপর দাঁড়িয়ে পুরানা কিলা!

    দিল্লির পুরানা কিলা (Purana Qila) ঘিরে রয়েছে রয়েছে নানান তত্ত্ব, সংশয় ও অনুমান। ৩১ মার্চ ভারতের পর্যটন মন্ত্রকের ‘এক বিরাসত অপনাও” যোজনার অন্তর্গত “পুরানা কিলা” ডালমিয়া গ্রুপের সভ্যতা ফাউন্ডেশনের হাতে তুলে দেওয়ার আগে এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র দেখানো হয়। এর আগে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া পুরানা কিলার আশেপাশে থেকে খননে যে মাটির বাসন, মুদ্রা ও টেরাকোটার মূর্তি উদ্ধার করেছিল তা ওই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়। সভ্যতা ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে হেরিটেজ অ্যান্ড ইভেন্টসের সিইও অজয় বর্মন বলেন, “ইন্দ্রপ্রস্থ (Indraprastha) নগরীর উপরেই দাঁড়িয়ে আছে পুরানা কিলা। যেভাবে একই জায়গায় সভ্যতার অনেক স্তর পাওয়া যায়, ঠিক সেভাবেই এই এলাকায় মাটির তলায় লুকিয়ে আছে ইন্দ্রপ্রস্থ নগর। আমরা এরপর যে হেরিটেজ ওয়াক করব সবটাই মহাভারত কেন্দ্রিক হবে। মহাভারত কোনও কাল্পনিক গল্প নয়। আমাদের দেশের ইতিহাস। এএসআই একটু চেষ্টা করলেই মাটির তলা থেকে সেই সময়ের স্মৃতিচিহ্ন বের করে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।”

    পুরানা কিলায় (Purana Qila) শুরু হবে সপ্তম খনন

    এই আসন্ন খনন হবে পুরানা কিলায় (Purana Qila) এএসআই দ্বারা পরিচালিত সপ্তম খনন। যা দিল্লি-এনসিআর-এর সবচেয়ে বড় খনন হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হল ,মহাভারতের সঙ্গে দুর্গের সংযোগ সংক্রান্ত প্রমাণ খুঁজে বের করা। এই কাজে ২০১৪ সালে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসে যখন এএসআই প্রত্নতাত্ত্বিকরা রঙ করা মাটির পাত্র, (PGW), জ্যামিতিক নিদর্শন সহ সূক্ষ্ম, মসৃণ ধূসর মৃৎপাত্র উদ্ধার করে করেন।

    আরও পড়ুন: সমীক্ষা শুরুর ৮০ দিনের মধ্যেই ভোজশালায় উদ্ধার হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি

    কার্বন ডেটিং করে যার তারিখ বের হয় প্রায় ১১০০ খ্রিষ্টপূর্ব থেকে ৫০০-৪০০ খ্রিষ্টপূর্ব। এই সময়সীমা মহাভারতের রচনাকালের কিছু অনুমান মেলে। এএসআই খননের পরিচালক বসন্ত স্বর্ণকার আবিষ্কারটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন “আমাদের জন্য, এটি সবচেয়ে মূল্যবান আবিষ্কার।”

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandrababu Naidu: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাশে নিয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চন্দ্রবাবুর

    Chandrababu Naidu: প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পাশে নিয়েই অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চন্দ্রবাবুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন তেলুগু দেশম পার্টির সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chandrababu Naidu)। শপথ গ্রহণ শেষ হতেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে প্রণাম করতে যান চন্দ্রবাবু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। চন্দ্রবাবুর পিঠ চাপড়ে দেন তিনি। 

    শপথ অনুষ্ঠানে চাঁদের হাট

    বুধবার রাজধানী অমরাবতীর তথ্যপ্রযুক্তি পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ করেন চন্দ্রবাবু (Chandrababu Naidu)। উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন অভিনেতা তথা জনসেনা দলের প্রধান পবন কল্যাণ। এ দিন বিজয়ওয়াড়ার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সকালেই অন্ধ্র প্রদেশে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। পাশাপাশি অভিনেতা রজনীকান্ত, সুপারস্টার চিরঞ্জীবী, তেলঙ্গানার প্রাক্তন রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন উপস্থিত ছিলেন। রাজ্যপাল এস আব্দুল নাজির শপথবাক্য পাঠ করান।

    চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী

    চতুর্থবারের জন্য বুধবার মুখ্য়মন্ত্রীর পদে শপথ গ্রহণ করলেন তিনি। এর আগে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন চন্দ্রবাবু। অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে একটানা ক্ষমতায় থাকার রেকর্ডও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। এর আগে ৮ বছর ২৫৬ দিন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভায় ১৭৫টি আসনের মধ্যে ১৩৫টি আসনেই জয়ী হয়েছে টিডিপির নেতৃত্বে থাকা এনডিএ জোট। পবন কল্যাণের দল জনসেনা ২১টি আসন জিতেছে, বিজেপি ৮টি আসন জিতেছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর (Chandrababu Naidu) পাশাপাশি মন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন পবন কল্যাণ। চন্দ্রবাবুর ছেলে তথা টিডিপি-র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক নারা লোকেশও শপথ নেন।  মোট ২৩ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। জনসেনা দল চন্দ্রবাবুর ক্যাবিনেটে ৩টি আসন পেয়েছে। মন্ত্রিসভায় তিনজন মহিলা, আটজন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের নেতা, দুইজন এসসি, একজন এসটি এবং একজন মুসলিম রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Chaitanya Jamai Sasthi: নবদ্বীপে আজ জামাই রূপে পূজো হয় শ্রী চৈতন্যদেবের! ভোগে কী থাকে জানেন?

    Sri Chaitanya Jamai Sasthi: নবদ্বীপে আজ জামাই রূপে পূজো হয় শ্রী চৈতন্যদেবের! ভোগে কী থাকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, জামাইষষ্ঠী। বাংলার ঘরে ঘরে আজ পুত্র-তুল্য জামাইকে বরণ করে নেওয়ার দিন। প্রতিবছর এই বিশেষ দিনে নবদ্বীপে (Nabadwip Dham) চলে মহা আয়োজন। এই বিশেষ দিনটায় জামাই হিসেবেই বরণ করা হয় সনাতন মিশ্রের জামাই মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেবকে (Sri Chaitanya Jamisasthi)। মা বাবা কিংবা সন্তান রূপে ভগবানের পুজো অনেক জায়গায় হয়ে থাকে। কিন্তু জামাই হিসাবে আপন করে নিয়ে ভগবানকে জামাই আপ্যায়নের এই রীতি বোধহয় নবদ্বীপেই প্রথম। এই দিনে মহাপ্রভুকে অনেকেই নিজের সন্তান তুল্য মনে করে বাটা বা ষাটের বাতাস করেন। প্রচুর মানুষ ভিড় করেন নবদ্বীপের মন্দিরে। 

    ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

    মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব (Sri Chaitanya Jamisasthi) পূর্বাশ্রমে বিবাহিত ছিলেন। তখন তার নাম ছিল বিশ্বম্ভর মিশ্র। তাঁর গাত্রবর্ণ গৌর ও স্বর্ণালি আভাযুক্ত ছিল বলে তাঁকে ‘গৌরাঙ্গ’ বা ‘গৌরচন্দ্র’ নামে ডাকা হত। অন্যদিকে, নিম্ব বৃক্ষের নিচে জন্ম বলে তাঁর মা তাঁকে ‘নিমাই’ বলে ডাকতেন তাই নবদ্বীপবাসীও নিমাই পণ্ডিত বলে তাঁকে অভিহিত করতেন। সর্প দংশনে প্রথম স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর বিয়ে হয় সনাতন মিশ্রের কন্যা বিষ্ণুপ্রিয়ার সঙ্গে। সংসার ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিষ্ণুপ্রিয়াকে দিয়ে গিয়েছিলেন নিজের একখানি মূর্তি। বিষ্ণুপ্রিয়া সেবিত মহাপ্রভুর সেই মূর্তিই পূজিত হয় নবদ্বীপ ধামে (Nabadwip Dham)।

    আজও জামাই-রূপে বরণ

    গৃহত্যাগ করে পরে সংসার ধর্ম ত্যাগ করলেও তিনি তার স্ত্রী পরিবারের তরফে ছিলেন জামাই-ই। তার স্ত্রী বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর পরিবার আজও শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুকে জামাই (Sri Chaitanya Jamisasthi) রূপে পুজো করেন। তার জন্য এই দিন বিশেষ আয়োজন করা হয়ে থাকে। নিমাইকে জামাই আদর করেন বিষ্ণুপ্রিয়ার ভাইদের উত্তর পুরুষ। আজ থেকে কয়েকশো বছর ধরে জামাই ষষ্ঠীতে নবদ্বীপের এই মন্দিরে শ্রী চৈতন্যদেবকে জামাই রূপে আরাধনা করার রীতি পালন করা হয়। বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর বাবা ছিলেন সনাতন মিশ্র। ভাই ছিলেন যাদব আচার্য। তার ছেলে হলেন মাধব আচার্য এবং মাধব আচার্যের ছেলে হলেন ষষ্ঠী দাস। এই ষষ্ঠী দাসের আমল থেকেই শ্রীচৈতন্য দেবের জন্য জামাই আদর এর আয়োজন করা হয়। এই ভাবে বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর পরিবার জামাইষষ্ঠীর দিন জামাই আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেন। 

    জামাই-সাজ

    জামাইষষ্ঠীর দিন বেশবাস, ভোগ সবেই থাকে নতুনত্বের ছোঁয়া। এদিন সকালে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কে পরানো হয় নতুন ধুতি পাঞ্জাবি এবং উত্তরীয়। পরানো হয় রজনীগন্ধা, গোলাপের মালা। এরপর এই বংশের বয়স্ক মাতৃস্থানীয়া মহিলারা ধান দূর্বা দিয়ে ষাটের বাতাস করেন। কপালে হলুদের টিপ পরিয়ে হাতে হলুদ মাখানো সুতো বেঁধে শুরু হয় জামাইষষ্ঠীর ব্রত। সন্ধেবেলা নাটমন্দিরে বিশেষ কীর্তনের আয়োজন করা হয়।  উজ্জ্বল আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে মন্দির চত্বর।

    আরও পড়ুন: আজও ঊর্ধ্বমুখী পারদ, তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা! কবে থেকে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে?

    মহাপ্রভুর জামাই-ভোগ

    চৈতন্য মহাপ্রভুর (Sri Chaitanya Jamisasthi) জন্য নবদ্বীপে (Nabadwip Dham) এদিন বিশেষ ভোগেরও আয়োজন করা হয়। সকালে দেওয়া হয় রুপোর রেকাবিতে মরসুমি ফল, রুপোর বাটিতে ক্ষীর, রুপোর গ্লাসে জল। এরপর দেওয়া হয় চিরে, মুড়কি, দই, আম, কাঁঠাল এবং মিষ্টি। মধ্যাহ্নভোজে অন্নের সঙ্গে থাকে কচুর শাক, শুক্তো, মুগ ডাল, ভাজা, মোচার ঘন্ট, থোর, আলু ফুলকপির রসা, বেগুনের পাতুরি, চাল কুমড়োর তরকারি, ছানার ডালনা, ধোকার ডালনা, পোস্ত, পুষ্পান্ন, আমের চাটনি, পরমান্ন, দই এবং রকমারি মিষ্টি। শেষ পাতে থাকে সুগন্ধি মশলা দেওয়া পান। বিকেলে ভোগে দেওয়া হয় ছানা এবং মিষ্টি। রাতে শয়নভোগে দেওয়া হয় ঘিয়ে ভাজা লুচি এবং মালপোয়া। সঙ্গে থাকে রাবড়ি। জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে দেওয়া হয় রুপোর গ্লাসে আম ক্ষীর। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Dev: দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর

    Dev: দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটাল লোকসভায় ফের জয় হাসিল করেছে তৃণমূল। বিশেষ করে কেশপুর বিধানসভায় বিপুল পরিমাণে লিড পেয়েছে শাসক দল। কিন্তু, তৃণমূল সাংসদ দেবের (Dev) আদি বাড়ি কেশপুরের মহিষদায় ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। নিজের গ্রামের বুথে বিজেপি এগিয়ে থাকায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    দেবের গ্রামে কুপোকাত তৃণমূল, বিজেপির ওপর আস্থা মহিষদাবাসীর (Dev)

    দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৯, এই দু’বারই কেশপুরে ভোটের প্রচার শুরুর আগে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন দেব (Dev)। এ বারে অবশ্য তিনি এখানে এসেছিলেন, তবে প্রচারের শেষ পর্বে। বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ও মহিষদায় প্রচারে গিয়েছিলেন। মহিষদার মানুষ হিরণের ওপর আস্থা রেখেছেন। জানা গিয়েছে, কেশপুর বিধানসভায় ২৮২টি বুথের মধ্যে ৩০টিরও বেশি বুথে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা এক থেকে ন’টি। একটি বুথে তো বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা শূন্য! অভিষেকের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে কেশপুর থেকে এক লক্ষ তিন হাজার ভোটের লিড পেয়েছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। আর সেখানেই সাংসদের নিজের গ্রাম মহিষদায় অন্য ছবি ধরা পড়েছে। মহিষদার ১৮৩ নম্বর বুথটি দেবের গ্রামের বুথ। সেখানে ভোট পড়েছে ৬০৮টি। বিজেপি পেয়েছে ৩৩৯টি (৫৫.৭৫ শতাংশ), তৃণমূল ২০৮টি (৩৪.২১ শতাংশ)। বামে গিয়েছে ৩৬টি ভোট, নোটায় ন’টি। এই বিষয়ে কেশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন, “ঘরের ছেলেকেও মান্যতা দেয়নি ওরা। উন্নয়ন কিছু কম হয়নি ওখানে। যে সরকার মানুষের কাজ করবে, মানুষেরও উচিত সেই সরকারের পাশে থাকা। আসলে দেবের গ্রাম মহিষদায় বামের ভোট রামে গিয়েছে। তাই সেখানে তৃণমূল পিছিয়ে পড়েছে।”

    আরও পড়ুন: সুকান্তর গড়ে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে গ্রামীণ ভোটেও থাবা বিজেপির

    বিজেপি নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ অবশ্য বলছেন, “মানুষ বিজেপিকে চেয়েছে। তাই মহিষদার বুথে আমরা এগিয়ে আছি। ঠিকমতো ভোট হলে কেশপুরের সব বুথেই তৃণমূল পিছিয়ে থাকত। মহিষদাতে ভোট লুট করতে পারেনি বলেই সেখানে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • J&K Terror Attack: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হানা, আহত পাঁচ জওয়ান, নিহত এক জঙ্গি

    J&K Terror Attack: জম্মু-কাশ্মীরে ফের জঙ্গি হানা, আহত পাঁচ জওয়ান, নিহত এক জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের ডোডা জেলার চত্তরগলা এলাকায় সেনাবাহিনীর উপরে ফের হামলা (J&K Terror Attack) করল জঙ্গিরা। সেনা বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়। এই আক্রমণ চালানো হয় সেনার অস্থায়ী ছাউনি বা ফাঁড়িতে। এই ঘটনায় একজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর ৫ জন  এবং একজন সরকারি আধিকারিক জখম হয়েছেন। অন্যদিকে, জঙ্গিদের ছোড়া গুলিতে একজন সাধারণ মানুষেরও আহত হইয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে (J&K Terror Attack)

    সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, আহত জওয়ান, স্থানীয় বাসিন্দা ও আধিকারিকদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জঙ্গিরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে হঠাৎ করেই সেনার অস্থায়ী আউট পোস্টে লক্ষ্য করে (J&K Terror Attack) গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। কিছুক্ষণের গুলি বিনিময়ের পর জঙ্গিরা জঙ্গলের দিকে পালাতে শুরু করে। সেই সময় বাহিনীর গুলিতে এক জঙ্গি নিহত হয়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। বুধবার সকালে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়।

    কাঠুয়া জেলার হিরানগরেও বাহিনী জঙ্গি সঙ্ঘর্ষ

    অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার হিরানগর এলাকার সায়েদা সোহেল গ্রামেও সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের (J&K Terror Attack) গুলি বিনিময় হয়। এই অভিযানে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। দুজন সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের হিরানগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রিয়াসি হামলায় এখনও জঙ্গিদের খোঁজে ধরপাকড় ও তল্লাশি অভিযান চলছে। রিয়াসির হামলার ঘটনায় জঙ্গিরা ফেরার পথে গ্রামে একাধিক ঘরে ঢুকে খাবার ও জল চেয়ে বসে। তাঁদের পরিচয় জানতে চাইলে যে উত্তর জঙ্গিরা দেয় তাতে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। এরপর এই গ্রামবাসীরা চিৎকার জুড়ে দিলে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। হিরানগরের একজন গ্রামবাসী জঙ্গির গুলিতে গুরুতর জখম হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: রিয়াসির জঙ্গি হানার নিন্দায় সরব বলিউড

    খবর পেয়ে হিরানগর থানার পুলিশ ও এসডিপিও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। এরপরই তাঁদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। জানা গিয়েছে, পুলিশের উপর গ্রেনেড ছোড়ার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে একটি একে রাইফেল এবং একটি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর আগে জঙ্গিদের ফেলে যাওয়া একটি এম ফোর কার্বাইন বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Drinking water: গরমে বেশি জল খেয়ে বিপদ বাড়ছে না তো? কী সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    Drinking water: গরমে বেশি জল খেয়ে বিপদ বাড়ছে না তো? কী সতর্কবার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের দাপট অব্যাহত। নাজেহাল বঙ্গবাসী। ৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও ৪৫-৫০ ডিগ্রির মতো উত্তাপ অনুভব হচ্ছে। আর এই গরমের মোকাবিলা করতে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বেশি পরিমাণে জল (Drinking water) খেতে হবে। কিন্তু সকলের জন্যই কি এই পরামর্শ চলবে? কিছু এমন শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যাদের দেহে অতিরিক্ত জল বাড়তি বিপদ তৈরি করে। জেলে মেপে না খেলে হতে পারে নানান ক্ষতি।

    এই গরমে অতিরিক্ত পানীয় কাদের জন্য বিপজ্জনক? (Drinking water)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হার্ট কিংবা কিডনির সমস্যায় আক্রান্তদের শরীরে অতিরিক্ত জল বাড়তি বিপদ তৈরি করে। এঁদের শরীরে দু’লিটারের বেশি জল ইনটেক বিপজ্জনক। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের পরিমাণে হেরফের হতে পারে। এর জেরে রক্ত সঞ্চালনের সময়েও সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে অতিরিক্ত জল। যাঁরা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের অতিরিক্ত পানীয় (Drinking water) কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। এর জেরে নানান শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, এই গরমে কিডনি ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রায় ১৮ থেকে ২০ শতাংশ রোগীভর্তি বেড়েছে। হৃদরোগ কিংবা কিডনির সমস্যার পাশাপাশি রক্তের জটিল রোগে আক্রান্তদের জন্যও বিপদ বাড়াচ্ছে এই ভয়ানক গরম। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যাওয়ার জেরে রক্তের ঘনত্ব বাড়ছে‌। এর জেরে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হচ্ছে। আবার, রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Drinking water)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরমে সব বয়সীদের জন্য নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ডায়েরিয়া থেকে অ্যাজমা রোগী, সকলের হয়রানি বাড়াচ্ছে অস্বস্তিকর এই আবহাওয়া। তবে, হৃদরোগ ও কিডনি রোগীদের জন্য বাড়তি বিপদ। তাই তাদের এই সময়ে দরকার বিশেষ যত্ন। বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবেন, তার জন্য দরকার চিকিৎসকের ঠিকমতো পরামর্শ। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই রোগীর নিয়মিত ওষুধের ডোজ পরিবর্তন করা হয়। যাতে এই গরমে তাঁদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে।

    তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে। তাই যাদের কম জল খেতে হয়, তাদের ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। তাই কতখানি জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো যাবে, সে ব্যাপারেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজন হলে তরমুজ, ডাবের মতো রসালো ফল কতটা খাওয়া যাবে, সে নিয়েও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই এই গরমে এক থেকে দেড় লিটার অতিরিক্ত জল (Drinking water) খাওয়া যেতে পারে। কারণ, রোগীর যাতে ডিহাইড্রেশন না হয়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: আজও ঊর্ধ্বমুখী পারদ, তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা! কবে থেকে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে?

    Weather Update: আজও ঊর্ধ্বমুখী পারদ, তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা! কবে থেকে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই তাপমাত্রার পারদ ঊর্ধ্বমুখী। গরমে নাজেহাল  শহর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal)। বেলা বাড়লে রোদে বেড়নো দায়। ঘরে থাকলে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিতে ভুগতে হচ্ছে। সারাদিন এসির ভিতরে থাকলেই ভাল নতুবা পাখার তলায়। আজ জামাইষষ্ঠীর দিন, বুধবার খাওয়া-দাওয়ার চেয়ে পাখার বাতাসই যেন বেশি আরাম দায়ক। দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা (Rainfall in Kolkata) ঢুকবে তা বলতে পারছে না হাওয়া অফিস (Weather Update)।

    তাপপ্রবাহের সতর্কতা

    এদিন তীব্র তাপপ্রবাহের (Heatwave) কমলা সতর্কতা (Orange Warning) জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও হুগলিতেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা (Weather Update) জারি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি, আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনাতেও তাপমাত্রার পারদ থাকবে ওপরের দিকে। কলকাতায় এদিন ৩৭ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা থাকতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২.১ ডিগ্রি বেশি। বুধবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।  

    আরও পড়ুন: জাল নথি সহ গ্রেফতার চার বাংলাদেশি, কোথায় লুকিয়ে ছিল জানেন?

    স্বস্তির বৃষ্টি কবে

    বৃহস্পতিবার শহর  কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের (Rainfall in Kolkata) সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। আগামী শুক্রবার ১৪ জুন, দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার বহু এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার বিকেল থেকে পারদ নামতে পারে। তবে এই বৃষ্টি সাময়িক স্বস্তি দিলেও এটি বর্ষার মতো হবে না। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বা বর্ষা আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি দক্ষিণবঙ্গে আসতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের (Weather Update)। তার আগে গঙ্গা পাড়ে দক্ষিণা বাতাসের দেখা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।

    বৃষ্টিস্নাত উত্তরবঙ্গ

    দক্ষিণে যখন গরম উত্তরে তখন বৃষ্টিভেজা সকল। বুধবার কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে  ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং সহ পার্বত্য সব এলাকাতেই ভারী বৃষ্টি সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share