Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh: পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশের উচিত একাত্তরের গণহত্যার ঘটনার কথা মনে রাখা

    Bangladesh: পাকিস্তানকে বিশ্বাস করার আগে বাংলাদেশের উচিত একাত্তরের গণহত্যার ঘটনার কথা মনে রাখা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবর্তনের মুখে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক পরিস্থিতি। শেখ হাসিনার অপসারণ এবং মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এটি হল পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার একটি ইঙ্গিত। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সেটি হল, বাংলাদেশের নেতারা কি ১৯৭১ সালের রক্তাক্ত ইতিহাস ভুলে যেতে চাইছেন? দীর্ঘদিন ভারতের অকৃত্রিম বন্ধু ছিল বাংলাদেশ। হাসিনা-উত্তর জমানায় বদলাতে চলেছে সেই পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের এই পরিবর্তন শুধুমাত্র আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির জন্য নয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্যও গভীর উদ্বেগের।

    শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা (Bangladesh)

    ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে পূর্ব পাকিস্তানের (অধুনা বাংলাদেশ) জনগণের ওপর পাকিস্তানের নৃশংস সামরিক দমন-পীড়ন ছিল বিংশ শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ গণহত্যা। ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন সামরিক জুন্টা, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামি লিগকে দেওয়া গণতান্ত্রিক রায় মেনে নিতে রাজি হয়নি। এর পরেই “অপারেশন সার্চলাইট” নামের একটি অভিযান শুরু করে। এই অভিযান চলাকালীন ব্যাপক হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক গুম হয়। এই অভিযানে অকালে প্রাণ খোয়ান প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি। বাস্তুহারা হন লাখ লাখ মানুষ। পাক সামরিক বাহিনী, জামাত-ই-ইসলামির মতো স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায়, পরিকল্পিতভাবে বুদ্ধিজীবী, ছাত্র এবং হিন্দু সংখ্যালঘুদের নিশানা করেছিল অত্যাচারীরা। এই অভিযানের উদ্দেশ্যই ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দমন করা।

    বেদনাবিধুর গল্প

    এই সময়ের ক্ষত এখনও (Bangladesh) দগদগে বাংলাদেশের পরিচয়ের সঙ্গে। ঢাকার গণকবর, ধর্ষণ, জীবিতদের সাক্ষ্য এবং পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নৃশংসতায় বিচ্ছিন্ন হওয়া অসংখ্য পরিবারের বেদনাবিধুর গল্প কেবল ইতিহাসের পাতার ফুটনোট নয়, বরং মনে করিয়ে দেয় কেন বাংলাদেশ পাকিস্তানের (Pakistan) দমনমূলক শাসন থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করেছিল। প্রশ্ন হল, ঢাকার নয়া সরকার কি ১৯৭১ সালে লাখ লাখ বাংলাদেশির আত্মত্যাগকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করবে? যে দেশ এক সময় বাংলাদেশের অস্তিত্বটাকেই মুছে ফেলতে চেয়েছিল, তাদের সঙ্গে ফের গড়বে সখ্যতা?

    ক্ষমা চায়নি বাংলাদেশ

    বাংলাদেশে এই গণহত্যার পর পার হয়ে গিয়েছে অর্ধশতকেরও বেশি সময়। তার পরেও পাকিস্তান আজও তাদের নৃশংসতার জন্য ক্ষমা চায়নি। ঐতিহাসিক অপরাধ স্বীকার করার কোনও সদিচ্ছাও তারা দেখায়নি। জার্মানি যেমন তাদের নাৎসি অতীতের মুখোমুখি হয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে পুনর্মিলনের চেষ্টা করেছিল, পাকিস্তান তার বদলে বেছে নিয়েছে অস্বীকারের পথ। একের পর এক পাকিস্তানি সরকার ১৯৭১ সালের গণহত্যাকে একটি সাজানো গল্প হিসেবে উড়িয়ে দিয়েছে, যা বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

    বিদ্বেষের দৃষ্টি

    বাংলাদেশ অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে (Bangladesh) পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। তবে তখনও পাকিস্তানের নেতারা দায় এড়িয়ে গিয়েছিলেন। বরং তারা ১৯৭১ সালের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী সামরিক কর্মকর্তাদের গৌরবান্বিত করেছিল। অতীতের এই অপরাধ স্বীকার করতে অস্বীকার করাটা শুধু ইতিহাসের প্রতি অবমাননাই নয়, বরং পাকিস্তানের অপরিবর্তিত মানসিকতার প্রতিফলন। এই (Pakistan) মানসিকতা থেকে এখনও পাকিস্তান বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে নয়, বরং বিদ্বেষের দৃষ্টিতে দেখে।

    পাকিস্তান-প্রীতির বিপদ

    এর পরেও ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ইসলামাবাদের সঙ্গে উষ্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, পাকিস্তান যদি কখনও তার অপরাধের জন্য অনুতাপ প্রকাশ না করে, তবে আজ বাংলাদেশ কীভাবে আশা করতে পারে যে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য অংশীদার হবে? শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ (Bangladesh) একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিকশিত হয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলির একটি হিসাবে তার জায়গা সুসংহত করেছে। তার সরকারের ভারতের সঙ্গে কৌশলগত জোট বাংলাদেশকে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছে। তবে নয়া প্রশাসনের পাকিস্তান-প্রীতির কারণে এসবই এবার ভেস্তে যেতে পারে।

    ভারতের প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা

    পাকিস্তানের বাংলাদেশকে কাছে টানার প্রয়াস নিঃস্বার্থ নয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা করে আসছে। এটা একমাত্র সম্ভব হতে পারে এই অঞ্চলের অসন্তোষকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে (Pakistan)। যদি বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেকে একীভূত করে, তবে এটি নিজের নিরাপত্তা কাঠামোকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি নেবে। কারণ ইসলামাবাদ ঐতিহাসিকভাবে প্রক্সি গ্রুপ ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ অশান্তি সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে জামাত-এ-ইসলামির মতো চরমপন্থী গোষ্ঠীর পুনরুত্থান বিপদ সংকেত দেয়। এরাই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর পক্ষে ছিল। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের নয়া সম্পর্ক ভারতের পক্ষে বিপদ সংকেত বই কি!

    বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তান (Bangladesh) বরাবর বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে আসছে। বাংলাদেশের জন্মলগ্নের সময় থেকেই তারা ঢাকার রাজনীতিতে মাথা গলানোর চেষ্টা করেছে। হাসিনা জমানায় পাত্তা না পেয়ে বাংলাদেশের কাছে তারা আদতে হয়েছিল ফেউ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেও, পাকিস্তান সক্রিয়ভাবে ঢাকার স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ স্পষ্ট হয়ে ওঠে যখন স্বাধীনতার পরে তারা বাংলাদেশের ন্যায্য আর্থিক সম্পদের অংশ হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। এটি একটি সদ্যোজাত রাষ্ট্রের কাছে বড় অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করেছিল (Pakistan)।

    পাকিস্তান কি আদৌ আন্তরিক

    পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গি নেটওয়ার্কও সমানভাবে উদ্বেগজনক। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স সংস্থা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য জঙ্গি ইসলামি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল। বিশেষ করে, পাকিস্তানি গোয়েন্দারা হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি নামক জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন করেছে। এটি দেশে অশান্তি সৃষ্টির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, পাকিস্তান বারবার কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, বহুপাক্ষিক ফোরামে ঢাকার সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ন করার লক্ষ্যে। এই প্রতারণার ইতিহাসের প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ কেন বিশ্বাস করবে যে পাকিস্তানের “ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের” নতুন আগ্রহটি আদতে আন্তরিক?

    ঐতিহাসিক প্রতিপক্ষ

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ইউনূস প্রশাসন (Bangladesh) পাকিস্তানের সঙ্গে ফের সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী বলে মনে হলেও, তারা তাদের ঐতিহাসিক প্রতিপক্ষ। তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার ভারত। বাংলাদেশ প্রশাসনের এই পাকিস্তান প্রেমের জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক। অথচ বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ভারতই প্রথম দেশ যে তাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিল সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে (Pakistan)। তার পর থেকে বছরের পর বছর ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ক্রমেই পোক্ত হয়েছিল। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নে পরিকাঠামোগত নানা সাহায্য করেছিল। দিয়েছিল নিরাপত্তাও। সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা থেকে শুরু করে জ্বালানি বাণিজ্য পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশ পারস্পরিক লাভজনক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এই ‘মাখামাখি’ আদতে হয়ে দাঁড়াবে আরও একটি আত্মঘাতী পদক্ষেপ। আর যদি তা হয়, তবে তা দুর্বল করে দেবে বাংলাদেশের আঞ্চলিক অবস্থানকে।

    সাধু সাবধান!

    পাকিস্তান তার ইসলামপন্থী এজেন্ট ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছে। ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে সদ্য উষ্ণ সম্পর্ক হয়তো পাকিস্তানের জন্য সেই সুযোগ এনে দিতে পারে, যার মাধ্যমে তারা পূর্বের হারানো প্রভাব ফিরে পেতে পারে (Pakistan)। বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সতর্ক না হলে দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদীয়মান শক্তি হিসেবে যে কয়েক দশকের অগ্রগতি অর্জন করেছে, তা পড়তে পারে (Bangladesh) কুমিরের মুখে।

    অতএব, সাধু সাবধান!

  • India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    India Bangladesh Border: পাকিস্তানের হাত ধরে তুরস্কের ড্রোন বাংলাদেশে! ভারত সীমান্তে মোতায়েন কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) মাধ্যমে তুরস্ক (Turkey) থেকে বিপজ্জনক ড্রোন কিনছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতীয় সীমান্তে সেগুলি মোতায়েন করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তুরস্কের ‘টিবি-২ বায়রাক্টার’ ড্রোন আমদানি করেছে এবং নজরদারি অভিযানের জন্য ভারত সীমান্তের (India Bangladesh Border) কাছে সেগুলো মোতায়েন করছে। ভারত এই এলাকাগুলিতে তাদের কার্যকলাপের উপর সতর্ক নজর রাখার জন্য রেডার স্থাপন সহ সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে সেনা সূত্রে খবর।

    পাক সহায়তাতেই ড্রোন আমদানি!

    মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বাংলাদেশ ক্রমশ পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। পাক যোগসূত্রে তুরস্কের সঙ্গেও সম্পর্ক গাঢ় হচ্ছে বাংলাদেশের। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। ইতিমধ্যে তুরস্ক থেকে বায়রাক্টার টিবি ২ ড্রোন কিনেছে বাংলাদেশ। ভারতের সীমান্তে তা মোতায়েনও করা হয়েছে। পাকিস্তানও তুরস্ক থেকে ওই ড্রোন কিনেছে। মনে করা হচ্ছে পাকিস্তানের পথ দিয়েই তুরস্ক-বাংলাদেশ এই যোগসূত্র গড়ে উঠছে। রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষই নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভারত বিরোধী শক্তির দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ।

    সতর্ক ভারতীয় সেনা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মোতায়েন করা তুরস্কের এই ড্রোন একটানা ২৭ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে। ৮ হাজার ২৩০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত উড়তে পারে। এমনও দাবি করা হচ্ছে যে এই ড্রোন ফাইটার জেটকেও পাল্লা দিতে পারে। বায়রাক্টার টিবি-২ হল মাঝারি উচ্চতায় হাই অল্টিটিউড লং এন্ডুরেন্স ড্রোন এবং এটি তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম বৃহৎ সাফল্য। মানবহীন বিমানটিতে আকাশ-থেকে-ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে, মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রশাসন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমশ বাড়াচ্ছে এবং এমনকি পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির চিকেন নেক করিডরের মতো সংবেদনশীল অঞ্চলে ভারত সীমান্তের কাছাকাছি এলাকা পরিদর্শন করতে তাদের কর্মকর্তাদের স্বাগত জানিয়েছে। এই আবহে ভারতের সীমান্ত তুরস্কের ড্রোন মোতায়েনকে কেন্দ্র করে সতর্ক দিল্লি।

  • Bankrupt Bangladesh: বস্ত্রের পর চিংড়ি, বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিল্প, দেউলিয়ার পথে বাংলাদেশ?

    Bankrupt Bangladesh: বস্ত্রের পর চিংড়ি, বন্ধ হচ্ছে একের পর এক শিল্প, দেউলিয়ার পথে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা জমানায় রকেটের গতিতে উত্থান হচ্ছিল বাংলাদেশের। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় (India) বসেন মহম্মদ ইউনূস। তার পর থেকেই পতন হতে থাকে বাংলাদেশের (Bankrupt Bangladesh) উন্নয়নের পারা। বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের মতে, এভাবে চলতে থাকলে বাংলাদেশেরও অবস্থা হবে পাকিস্তানের মতো। ভিক্ষাপাত্র হাতে বিশ্বের দোরে দোরে ঘুরলেও, সাহায্য মিলবে না। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে উদ্যোগের প্রয়োজন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনূসকে তা নিতে দেখা যায়নি। বরং গদি আঁকড়ে বসে থাকতে যা যা করণীয়, কৌশলে তিনি তা অহরহ করে চলেছেন বলে অভিযোগ।

    অবনতির দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ (Bankrupt Bangladesh) 

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার কারণে এমনিতেই সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এখন আবার দেখা দিয়েছে নয়া সঙ্কট। বন্ধ হওয়ার মুখে বাংলাদেশের চিংড়ি ব্যবসা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণের সিংহভাগ কারখানা। রফতানির পরিমাণ হ্রাস ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কারণে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংসের মুখে চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প।

    কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ

    কথায় বলে, কারও পৌষ মাস তো কারও সর্বনাশ। বাংলাদেশের কাছে যেটা সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটাই ভারতের কাছে হয়েছে পৌষ মাস। কারণ যে যে শিল্পগুলি বাংলাদেশে মুখ থুবড়ে পড়ছে, সেই সেই ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজারে ভারতের কাছে খুলে যাচ্ছে সুযোগের আবারিত দ্বার (Bankrupt Bangladesh)।

    ডেইলি স্টারের রিপোর্ট

    বাংলাদেশের পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, একসময় লাখ লাখ মার্কিন ডলার আয় করা চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এখন তীব্র মন্দার মুখে পড়েছে। রফতানি অর্ধেকে নেমে (India) আসার কারণে অধিকাংশ চিংড়ি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্পে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হত। এটি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ডও ছিল। তবে, কাঁচামালের ঘাটতি, রফতানির পতন, পরিবেশগত পরিবর্তন এবং সরকারের উত্থান-পতনের কারণে এই শিল্প এখন ডুবে যাচ্ছে।

    বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

    বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (BFFEA)-এর মতে, আগে দেশে ১০৯টি চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা ছিল (Bankrupt Bangladesh)। তবে বর্তমানে চালু রয়েছে খুলনায় মাত্র ৩০টি এবং চট্টগ্রামে ১৮টি কারখানা। বাকি সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এসব কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪,০০,০০০ টন হলেও তারা প্রয়োজনীয় চিংড়ি উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশ পাচ্ছে। এই ঘাটতির কারণে অনেক কারখানা ইতিমধ্যেই ঝাঁপ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। কোম্পানিগুলি তাদের প্রয়োজনীয় চিংড়ির মাত্র ২৫-৩০ শতাংশ সংগ্রহ করতে পারছে, যার ফলে বেশ কয়েকটি কারখানা উৎপাদন চলাকালীনই বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    আদতে লাভ হয়েছে ভারতের

    রাজনৈতিক ডামাডোলের বাজারে বাংলাদেশের উন্নয়নের পারদ পতন হওয়ায় আদতে লাভ হয়েছে ভারতের। ভারত চিংড়ির একটি বৃহৎ রফতানিকারক দেশ। ভারতে উৎপাদিত চিংড়ি চলে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ১ লাখ ৭৮১ হাজার ৬০২ মেট্রিক টন চিংড়ি রফতানি করেছে। এই পরিমাণ চিংড়ির মোট মূল্য ৬০,৫২৩.৮৯ কোটি টাকা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারত থেকে আমদানি করেছে ২৯৭,৫৭১ মেট্রিক টন ফ্রোজেন চিংড়ি। বাংলাদেশি চিংড়ি সবচেয়ে বেশি পছন্দ করা হয়। বাংলাদেশ এই চিংড়ি বেশিরভাগ রফতানি করে ইউরোপীয় দেশগুলিতে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশের বেশি চিংড়ি রফতানি হয় ইইউ দেশগুলিতে। বাংলাদেশে এই শিল্পে সঙ্কট দেখা দেওয়ায় এখন ভারত এই দেশগুলিতে রফতানি করতে পারবে। ফলে ভারতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে (Bankrupt Bangladesh)।

    ভ্যানামেই চিংড়ি চাষ

    ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চাষ হচ্ছে ভ্যানামেই চিংড়ি। কয়েক বছর আগে পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে চাষ শুরু হয় এই প্রজাতির চিংড়ির। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে চাষের এলাকার পরিমাণও। স্বাভাবিকভাবেই বাড়তে থাকে বাজার। কম লবণাক্ত জলে এই প্রজাতির চিংড়ি চাষ করে পথ দেখিয়েছে হরিয়ানা। সেখানে দুই মৎস্য বিজ্ঞানীর পরামর্শে ভ্যানামেই চাষ করে প্রথমবারই উৎপাদন হয়েছিল ১০ হাজার টন। সেখান থেকেই এই প্রজাতির চিংড়ি চলে যাচ্ছিল গুজরাট এবং দিল্লির বিভিন্ন বাজারে।

    আগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভ্যানামেইয়ের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে। এই প্রজাতির চিংড়ির স্বাদ বাগদার স্বাদের কাছাকাছি। তবে বাগদার মতো দেখনদারি এর নেই। এর নিজস্ব জৈব (India) গন্ধও তত চড়া নয়। তাই বিশ্বের বাজারে ক্রমেই বাড়ছে এই প্রজাতির চিংড়ির চাহিদা। বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্প মার খাওয়ায় এবার সুবর্ণ সুযোগ ভারতের দুয়ারে (Bankrupt Bangladesh)।

  • Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে শুরু প্রতিরোধ, চট্টগ্রামে গণরোষে মৃত ২ জামাত নেতা

    Bangladesh: ইউনূসের বাংলাদেশে শুরু প্রতিরোধ, চট্টগ্রামে গণরোষে মৃত ২ জামাত নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূসের বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষুদ্ধ জনতার হাতে এবার নিহত দুই জামাত নেতা। পালাবদলের বাংলাদেশে এই দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ ছিল, অবশেষে গণরোষে তাঁদের মরতে হল। জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের (Chittagong) সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়ায়। এখানেই ক্ষুব্ধ জনতা ওই দুই জামাত নেতাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে খবর। নিহত দুই জামাত নেতার নাম নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেহ বলে জানা গিয়েছে। দুজনেরই বয়স প্রায় ৩৫ বছর হবে বলে চট্টগ্রামের পুলিশ জানিয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ৫ জন। যাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে।

    পালাবদলের বাংলাদেশে (Bangladesh) সন্ত্রাস চালাত জামাত নেতারা

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল সোমবার রাত ১০টা নাগাদ সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা ১ নম্বর ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নিহত জামাত নেতা নেজামের দেহের পাশে পড়ে রয়েছে একটি রিভলবার। অভিযোগ, গত বছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামি লিগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ওই এলাকায় নেজাম ও তার সহযোগীরা সন্ত্রাস চালাত। এবার সেই নেজামকেই পিটিয়ে মেরে ফেলল উত্তেজিত জনতা।

    ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ (Bangladesh)

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতের নামাজের পর ৯টার দিকে অন্তত ২০ জন সশস্ত্র অনুগামীকে নিয়ে স্থানীয় জামাত নেতা নেজাম উদ্দিন এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকায় যান। সেখানে দাঁড়াতেই এলাকার জনগণ স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকে ‘ডাকাত আসছে ডাকাত আসছে’ বলে ঘোষণা করে দেয়। এরপরেই তৈরি হয় ব্যাপক ভিড়। এমন সময় নেজামের সহযোগীরা জনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে। আধঘণ্টা ধরে চলে গোলাগুলি। অবস্থা বেগতিক বুঝে পালাতে যায় জামাত নেতারা। এই আবহে মধ্যেই আরও ১০০ থেকে ১৫০ এলাকাবাসী লাঠিসোটা ও দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ভিড় করে।

    পুলিশও সমীহ করত নেজামকে (Bangladesh)

    নেজাম ও তাঁর সহযোগী আবু সালেহসহ আরও কয়েকজনকে ধরে ফেলে জনতা। ক্ষুব্ধ জনতার মারধরে নেজাম ও আবু সালেহ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় আরও অন্তত পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হলেও ইকবাল ও ওবায়দুল হক নামের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা নেজাম উদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা এলাকায় ফিরে আসেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর থেকে নেজাম ও তাঁর বাহিনী তোলাবাজি শুরু করে। চলতে থাকে সন্ত্রাস। জানা গিয়েছে, ইউনূস জমানায় পুলিশও ওই দুই জামাত নেতাকে সমীহ করে চলত।

  • India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    India Bangladesh Relation: “ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতেই হবে”, অবশেষে মানলেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে (India Bangladesh Relation) কোনও অবনতি ঘটেনি। পদ্মাপাড়ে ক্রমবর্ধমান ভারত বিরোধিতার মধ্যেই এমন দাবি করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। আগামী ৩-৪ এপ্রিল তাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ইউনূস। সেখানেই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান ইউনূস। এমনই অভিমত কূটনৈতিক মহলের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে।”

    কলকাতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল

    ইতিমধ্যেই পাঁচ দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে এলেন ইন্দো-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিভার কমিশনের বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। সোমবার মোট ১১ জন পদস্থ কর্মকর্তা এই সফরে অংশ নিতে এসেছেন। তাঁদের সঙ্গে নয়াদিল্লি থেকে আসা কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। সফরের মূল উদ্দেশ্য হল গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা পরবর্তী সময়ে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশে। এই আবহে সেখানে ভারত বিদ্বেষের হাওয়া যেন প্রবল হয়েছিল। কিন্তু এরই মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুঝতে পারে ভারতকে যে কোনও মূল্যে পাশে দরকার। পদ্মাপাড়ে উন্নয়নের জন্য ভারত নিয়ে এবার সুর নরম করতে বাধ্য হন ইউনূস।

    গঙ্গা-পদ্মা জলচুক্তি নিয়ে আলোচনা

    ১৯৯৬ সালে ভারত ও বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা জলবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর ফলে দুই দেশ গঙ্গার জল ভাগ করে নেওয়ার একটি নির্দিষ্ট কাঠামো তৈরি করে। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, অর্থাৎ ২০২৬ সালে এটি শেষ হবে। আগামী বছর চুক্তির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন করে কিছু পর্যালোচনা ও সংশোধন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ গঙ্গার প্রবাহ ও বণ্টন নিয়ে নিয়মিত বৈঠকে বসে। তবে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ অভিযোগ তুলেছে যে, শুষ্ক মৌসুমে ফরাক্কা ব্যারাজ থেকে তারা পর্যাপ্ত জল পায় না। অন্য দিকে, ভারতের দাবি, জলপ্রবাহের স্বাভাবিক ওঠানামার কারণে কিছু সময় জলের পরিমাণ কমবেশি হয়। তাই নিয়েই ফের আলোচনার জন্য ভারতে এসেছে বাংলার প্রতিনিধি দল।

    কোথায় কোথায় যাবেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা

    প্রতিনিধি দলটি সোমবার ফরাক্কা ব্যারাজ পরিদর্শনে গিয়েছেন। সেখানে তাঁরা গঙ্গা থেকে পদ্মায় প্রবাহিত জলের পরিমাণ ও অবস্থা খতিয়ে দেখেন। ফরাক্কা ব্যারাজ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নদীর জল বণ্টনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গঙ্গা থেকে নির্ধারিত পরিমাণ জল কী ভাবে পদ্মায় প্রবাহিত হচ্ছে, তা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন দুই দেশের বিশেষজ্ঞেরা। এর পর ৭ মার্চ কলকাতায় একটি বিলাসবহুল হোটেলে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। গঙ্গার জলবণ্টন ছাড়াও তিস্তা এবং অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীগুলির বিষয়ে কথাবার্তা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।

    মোদি-ট্রাম্প সুসম্পর্ক

    গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণআন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। পালিয়ে আসেন ভারতে। তাঁর প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এখনও তার উত্তর দেয়নি নয়াদিল্লি। হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ভারত একাধিক বার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফলে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ইউনূস সরকারের জামাত-ঘনিষ্ঠতা এবং ভারত-বিরোধিতা ক্রমে বুমেরাং হয়ে ফিরেছে ঢাকার কাছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অনুদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গেও ভারতকে পাশ পেতে চাইছেন ইউনূস। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে হস্তক্ষেপে রাজি নন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়য়ে মোদি যা করার করবেন। তাই মোদিই বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করবেন এমন আশাও দেখছে ঢাকা, ধারণা কূটনৈতিক মহলের।

    মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে, দাবি ইউনূসের

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক (India Bangladesh Relation) ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক এত ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সেটার থেকে আমরা সরে আসতে পারব না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু মেঘ দেখা দিয়েছে। তা অপপ্রচারের কারণে এসেছে। এই অপপ্রচার কোন শত্রুরা করছে, সেটা বিচার করতে হবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ভারতের। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আমার প্রথমেই কথা হয়ে গিয়েছে।” এখন মোদির হাত ধরেই কি পদ্মাপাড়ে সুদিন ফেরার আশা দেখছেন ইউনূস! প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে

  • Bangladesh Crisis: হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ!

    Bangladesh Crisis: হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) দেশে ফেরাতে (Bangladesh Crisis) ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার বিকেলে ঢাকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল হোসেন।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Bangladesh Crisis)

    ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে।” তিনি জানান, ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে এ বিষয়ে চুক্তি রয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন তাজুল। বাংলাদেশের সরকারি আইনজীবী তথা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর বলেন, “হাসিনা-সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মামলার তদন্ত রিপোর্ট আমরা মার্চ মাসের মধ্যেই হাতে পেয়ে যাব বলে আশা করছি। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে ওই রিপোর্ট পেয়ে যাই, তাহলে এক-দেড় মাসের মধ্যেই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।”

    বিরতি ছাড়াই চলবে বিচার

    তিনি বলেন, “কতদিন ধরে তা চলবে, এখনই বলা সম্ভব নয়। নথির পরিমাণ, সাক্ষীদের বয়ান বিচার করে আদালত সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের দিক থেকে যত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার কাজ এগোনো যায়, সেই চেষ্টা করব। কোনও বিরতি ছাড়াই চলবে ট্রাইব্যুনালের বিচার।” তাজুল বলেন, “ইন্টারপোলের মাধ্যমে হাসিনাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। আওয়ামি লিগ সরকারই তা স্বাক্ষর করেছিল। আশা করছি, এই চুক্তির শর্ত মেনেই ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে দেবে।”

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি কোনও সাধারণ খুনের ঘটনা নয়। এগুলি মানবতাবিরোধী অপরাধ। যার বিস্তৃতি ৫৬ হাজার বর্গমাইল। দু’হাজারেরও বেশি মানুষ এতে শহিদ হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ২৫ হাজারেরও বেশি। আমরা দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা করছি।” প্রসঙ্গত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে আসেন হাসিনা। তাঁকে ফেরত চেয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠিও দিয়েছে ঢাকা (Sheikh Hasina)। সেই চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করলেও, ভারত এখনও তার জবাব দেয়নি (Bangladesh Crisis)।

  • Amit Shah: দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ নির্দেশ শাহের

    Amit Shah: দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান, বিশেষ নির্দেশ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজধানীতে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই কঠোর পদক্ষেপের কথা জানান শাহ। দিল্লিতে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নবনির্বাচিত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত, দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশিস সুত, দিল্লি পুলিশের কমিশনার সঞ্জয় আরোরা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (MHA) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

    দিল্লিতে অনুপ্রবেশ রুখতে শাহ-নামা

    বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতে, অমিত শাহ স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন যে দিল্লিতে অবৈধ বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গা অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ, ডকুমেন্টেশন এবং বসবাসের নেটওয়ার্কটি অবিলম্বে ভেঙে ফেলা উচিত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘অবৈধ অনুপ্রবেশ জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এটি কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে হবে। শহরে অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত করে তাদের বহিষ্কার করা উচিত।’’ তিনি আরও বলেন যে, ‘‘উপর থেকে নীচ পর্যন্ত একটি পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে অবৈধ বসবাসের সমস্যা সমাধান করা যায়।’’ তিনি এই অভিযানে শুধুমাত্র অভিবাসীদের নয়, বরং যারা তাদের অবৈধ বসবাসে সহায়তা করেছে, তাদেরও কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। দালালি, ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি বা সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে, বলে জানান শাহ।

    দ্রুত গতিতে কাজ

    এই বৈঠকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন, যিনি ফেব্রুয়ারি ২০ তারিখে দিল্লির চতুর্থ মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন। অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকারের “ডবল গতিতে” কাজ করার কথা বলেন তিনি। দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসী, অপরাধমূলক গ্যাং এবং প্রশাসনিক অদক্ষতা দূর করতে একযোগভাবে কাজ করার কথাও বলেন। রেখার কথায়, ‘‘দিল্লির জনগণ যেন নিশ্চিন্ত থাকে যে নতুন সরকার অবৈধ বসবাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার ডাবল গতিতে কাজ করবে।’’

    অবৈধ অভিবাসন রুখতে সক্রিয় পুলিশ

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দিল্লি পুলিশের কাছে আন্তঃরাজ্য গ্যাংগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘‘রাস্তায় অপরাধ মানুষের নিরাপত্তার অনুভূতিতে সরাসরি প্রভাব ফেলে। দিল্লি পুলিশকে এই গ্যাংগুলো নির্মূল করতে কোনও অনুরোধের সুযোগ ছাড়াই কাজ করতে হবে।’’ দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, বর্তমানে এমন কিছু কলোনি চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গা জনগণের সংখ্যা বেশি। সেখানকার একটি বিস্তারিত নিরীক্ষণ চলছে এবং অবৈধ বাসিন্দাদের উৎখাত করা হবে।

    অবৈধ অভিবাসী খুঁজতে অভিযান

    ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে এ দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। দিল্লির কোথায় কত অভিবাসী অবৈধ ভাবে বসবাস করছেন, তার খোঁজে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ডিসেম্বর থেকে লাগাতার সেই অভিযান চলছে। স্থানীয় থানাগুলির পুলিশকর্মী এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ দলও। বিভিন্ন বস্তি এলাকা এবং শ্রমিক কলোনিতে ঘুরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে সেই দল। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

    মহারাষ্ট্রেও অভিযান

    শুধু দিল্লিতেই নয়, মহারাষ্ট্র থেকেও সম্প্রতি অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ধরা পড়েছেন। তাঁদের থেকে পাওয়া গিয়েছে জাল নথিপত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের বেশির ভাগই ভুয়ো আধার কার্ড ব্যবহার করে এ দেশে থাকতে শুরু করেছিলেন। কেউ অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করে এ দেশে এসেছেন, আবার কেউ অন্য কোনও উপায়ে ভারতে এসেছেন। তবে পুলিশি অভিযানে তাঁদের কারও থেকেই ভারতে থাকার কোনও বৈধ নথি পাওয়া যায়নি। ধৃতদের মধ্যে অনেকেও এ দেশে জাল নথি দেখিয়ে ভুয়ো পরিচয়ে শ্রমিকের কাজে বা অন্য কোনও কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের পাকড়াও করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

    দিল্লি পুলিশকে শাহি নির্দেশ

    অমিত শাহ দিল্লি পুলিশ স্টেশনের তেমন কাজ না করা থানাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, পুলিশিংকে আরও সক্রিয় ও প্রো-একটিভ করতে হবে এবং ডিসিপি-লেভেল কর্মকর্তাদের নিয়মিত জনশুনানি এবং অভিযোগ নিরসন করতে হবে। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গা সম্পর্কিত দীর্ঘকালীন আইনি প্রক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে অমিত শাহ নির্দেশ দেন যে, দিল্লি সরকার যেন বিশেষ পিপি নিযুক্ত করে যাতে দাঙ্গা সম্পর্কিত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয় এবং আইনি ঝামেলা কমে।

    মেট্রো-ব্যস্ততা, জলের সমস্যা

    অমিত শাহ দিল্লির ট্রাফিক জটের স্থানে জরিপ করারও নির্দেশ দেন। এছাড়া, বর্ষাকালে জলের সমস্যা মেটানোর জন্য দিল্লি সরকারকে একটি “বর্ষাকাল পরিকল্পনা” প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, তিনি ঘোষণা করেন যে দিল্লি পুলিশ এখন থেকে নির্মাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমোদন দেবে না। শহরের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে, এমন সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

  • Bangladesh: ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা! নয়া দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত?

    Bangladesh: ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা! নয়া দলের আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক দল। ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এই নয়া দল। ছাত্রদের এই নতুন রাজনৈতিক দলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (Jatiyo Nagarik Party)। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাই তৈরি করেছেন এই নয়া দল। বাংলাদেশে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন দলের আহ্বায়ক বা নেতা হয়েছেন নাহিদ ইসলাম। দলের সদস্যসচিব হয়েছেন আখতার হোসেন। জানা গিয়েছে, তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নতুন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক পদে এসেছেন সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব। সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব পদে নিযুক্ত হয়েছেন তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার (নিভা)। অন্যদিকে দলের প্রধান সমন্বয়কারী পদে থাকছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। যুগ্ম সমন্বয়ক পদে এসেছেন আবদুল হান্নান মাসউদ। হাসনাত আবদুল্লাকে মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) ও সারজিস আলমকে মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে খবর। নতুন রাজনৈতিক দলের হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।

    কেন ইউনূসে বিরক্ত ছাত্ররা (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত গত অগাস্ট মাসেই শুরু হয় বাংলাদেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একটা সময় দেখা যায় এই আন্দোলন হিংসাত্মক রূপ নেয়। পরে তা সাম্প্রদায়িক হিংসাতেও পরিণত হয়। নিজের বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আশ্রয় নেন ভারতে। এরপরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মহম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ভেবেছিলেন যে অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া ইউনূস বাংলাদেশকে উন্নতি শিখরে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন। কিন্তু ইউনূস জামানায় বাংলাদেশের অর্থনীতি শুধু নয়, ভেঙে পড়েছে গোটা শাসন ব্যবস্থাও। দেশ জুড়ে চলছে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব। শান্তি ও ঐক্যের বাংলাদেশ গঠনে বারবার তাঁর কাছে আবেদন জানিয়েছে নাগরিক সমাজ। প্রতি পদক্ষেপেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ইউনূস সরকার। সত্যি কথা বলতে তা জামাত ও বিএনপির হাতের পুতুলই হয়ে গিয়েছে। ইউনূসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে সবথেকে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপরে হামলা। সেই হামলা বন্ধ করতে ইউনূস সরকার যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনই বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনও হিন্দুদের বিপক্ষে কাজ করছে। একাধিক সাধু সন্ন্যাসীকে পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, ইউনূস সরকারের ওপর সেদেশের জনগণের ক্ষোভ যে বাড়ছে তা ক্রমে অনুধাবন করতে শুরু করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। অবস্থা খুবই খারাপ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিও হচ্ছে না, বেসরকারি সংস্থাগুলিতে কর্ম ছাঁটাই চলছে। বিশেষত পোশাকশিল্পে এবং আইটি সেক্টরে। সারা দেশ জুড়ে এক হতাশার পরিবেশ তৈরি হয়।

    এবার ইউনূসের কী হবে (Bangladesh)

    সব জায়গা থেকেই বর্তমানে একটি বড় প্রশ্ন উঠছে যে এবার ইউনূসের কী হবে? নতুন রাজনৈতিক দল তো ঘোষণা করে দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা করে দিল যে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই জামাত-ই-ইসলামী অথবা তার ছাত্র সংগঠন ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সঙ্গে। কিন্তু ইউনূসও এই দুই মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এই জামাতের সঙ্গে বৈঠকের পরেই পাকিস্তানিদের তিনি দেশে ডেকে এনেছেন। পাক কূটনীতিকদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করেছেন। এই অবস্থাতে পাকিস্তানের ভিসা ফ্রি হয়েছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। শুধুমাত্র জামাত এবং তার ছাত্র সংগঠনের চাপে পড়েই আনসার বাংলা টিমের একাধিক নেতাকেও ছেড়ে দিয়েছে ইউনূস সরকার। আনসার বাংলা টিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে পরিচিত এবং তারা আল-কায়েদার হয়ে কাজ চালায় বলেই সবাই জানে। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা কোনওভাবেই ইউনূস হচ্ছেন না। অনেকে তাই মনে করছেন, এবার হয়তো ইউনূস সামাজিক কাজেই ফিরে যাবেন।

    আওয়ামি লিগ-বিএনপির কী হবে

    এই আবহে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি’র কি হবে? এই প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত বর্তমানে দেশ ছাড়ার পরেও বাংলাদেশে (Bangladesh) বেশ প্রাসঙ্গিকই আছেন শেখ হাসিনা। নিয়মিতভাবে ভার্চুয়ালি তিনি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আওয়ামি লিগের ফেসবুক পেজ থেকে তিনি লাইভও আসেন। তিনি তাঁর সমর্থকদের ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি তিনি দেশে ফিরবেন এবং যেভাবে অচলাবস্থা চলছে তা তিনি সামাল দেবেন। এই আবহে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে শেখ হাসিনা আসলে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার দিকে তাকিয়ে। কিন্তু কেউ কেউ মনে করছেন তাঁর অনুপস্থিতিতে আওয়ামি লিগের পক্ষে নির্বাচন লড়া কঠিন হয়ে যাবে। অন্যদিকে, হাসিনার বিরুদ্ধে রয়েছে শতাধিক মামলা। তাই নির্বাচনের আগে দেশে ফিরলে তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। অন্যদিকে, ইউনূসের কাজকর্মে বিএনপি নেতারাও ব্যাপক হতাশ হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে আওয়ামি লিগ এবং বিএনপি নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়া বন্ধ করেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই চাইছেন যে ইউনূস সেদেশের নির্বাচনকে ঘোষণা করুন। আওয়ামি লিগ ও বিএনপির সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে জুড়ল আর এক নয়া দল।

    ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কী ইঙ্গিত

    নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে ভারতের বিদেশ নীতি কি প্রভাবিত হবে? এমন চর্চাও শুরু হয়েছে। গত অগাস্ট মাসের পর থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। বাংলাদেশের প্রতি হতাশার কথাও অভিব্যক্ত করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর। প্রসঙ্গত, নতুন যে রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করেছে, তারা স্পষ্ট ঘোষণা করেছে তাদের বিদেশ নীতি নীতির ক্ষেত্রে ফোকাস করা হবে মূলত অর্থনীতিকেই। একইসঙ্গে, স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক বিশ্বাসের মাধ্যমেই তাঁরা বিদেশে নীতি তৈরি করবেন বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক বরাবর ভালো। তবে, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ভারতে তাঁর আশ্রয় নেওয়ার পর সেই সম্পর্কে খানিক পরিবর্তন এসেছে, তা বলাই যায়। এই আবহে ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়বে ভারতের সঙ্গে সে দেশের বাণিজ্য, দ্বি-পাক্ষিক এবং নিরাপত্তার সম্পর্কে। এই আবহে বাংলাদেশের ওপর কড়া নজর রেখে চলেছে ভারত।

  • Islamic State: দুই বাংলা, উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে ‘আইএস বেঙ্গল প্রভিন্স’ গড়ার ভয়াবহ ছক করছে আইসিস!

    Islamic State: দুই বাংলা, উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে ‘আইএস বেঙ্গল প্রভিন্স’ গড়ার ভয়াবহ ছক করছে আইসিস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিস জঙ্গি সংগঠনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল খিলাফতকে প্রতিষ্ঠা এবং সারা বিশ্বব্যাপী ইসলামের রাজত্ব কায়েম করা। কিন্তু বর্তমানে বেশ কোনঠাসা এই জঙ্গি সংগঠন (Islamic State)। তারা সেই অবস্থায় নেই যে সারা পৃথিবীর জুড়ে খিলাফত ঘোষণা করতে পারে। সেই জন্য তারা চিহ্নিত করেছে পৃথিবীজুড়ে বেশ কিছু অঞ্চল, যেগুলিতে তারা প্রবেশ করতে পারবে, সংগঠনের জাল ছড়াতে পারবে এবং নিজেদের খিলাফতের আদর্শকে তারা স্থাপন করতে পারবে। প্রসঙ্গত, আগেই এই জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেছিল যে তারা খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেছে ইরাক এবং তার প্রতিবেশী অঞ্চলগুলিতে। এর পাশাপাশি, তারা আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কিছু দেশেও খিলাফত প্রতিষ্ঠার কথা বলে।

    বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর-পূর্ব ভারত টার্গেট আইসিসের!

    ২০২৫ সালের জানুয়ারির শুরুতেই খবর ভেসে আসে অল বেঙ্গলি মিডিয়া থেকে। এখানেই বার্তা দেওয়া হয় যে তারা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুতি চালাচ্ছে ‘ইসলামিক স্টেট বেঙ্গল প্রভিন্স’ গড়ে তোলার জন্য। যে বার্তা দিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন তা হালকা ভাবে নিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। কারণ এই ধরনের যে পরিকল্পনা অল বেঙ্গলি মিডিয়া প্রচার করেছে, তা নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এখানে প্রতিফলিত হচ্ছে তাদের দীর্ঘদিনের যে উদ্দেশ্য সেটাই। ইসলামিক স্টেট বেঙ্গল প্রভিন্সে কোন কোন অঞ্চল থাকবে তাও তারা ঘোষণা করে দিয়েছে। এখানে থাকবে সম্পূর্ণ বাংলাদেশ (Bangladesh), পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি। অল বেঙ্গলি মিডিয়ার মতে, এই সমস্ত অঞ্চলগুলিতে আগামী দিনে খিলাফত প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। খিলাফতের পথে যে কোন ধরনের বাধা এলে তা প্রতিরোধ করতেও প্রস্তুত তারা বলে দাবিও করা হয়েছে অল বেঙ্গলি মিডিয়ায়।

    কী বলছেন গোয়েন্দা কর্তা (Islamic State)

    ভারতের গোয়েন্দা দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক (Islamic State) অর্গানাইজার পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে, এদের পরিকল্পনাই হল বিভিন্ন মডিউল গড়ে তোলা। এই জঙ্গি মডিউলগুলির মাধ্যমে তারা কাজ চালাতে চায়। এরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অঞ্চলকে তাদের ইসলামিক স্টেট বেঙ্গল প্রভিন্স-এর অংশও বানাচ্ছে। তবে এদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশকে তাদের ইসলামিক স্টেট প্রভিন্স গড়ে তোলা। ইতিমধ্যে তারা এই বার্তাও দিতে শুরু করেছে যে যদি বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনগোষ্ঠী এক হয়ে যায়, তাহলে তারা এটা করতে পারবে।

    বাংলাদেশের অচলাবস্থায় সুযোগ নিতে চাইছে জঙ্গি গোষ্ঠী

    এই আবহে ইসলামিক স্টেট (Islamic State) জঙ্গিগোষ্ঠী মনে করছে যে বর্তমানে সবচেয়ে ভালো সময় চলছে তাদের। কারণ বাংলাদেশের এই অচলাবস্থা। এই অচলাবস্থাকেই তারা কাজে লাগাতে চাইছে। সবার আগে, বাংলাদেশে ফিলাফত কায়েম করা। তার পর সেখান থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে তারা মৌলবাদকে সর্বদাই ছড়িয়ে দেওয়া। বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে ইসলামি মৌলবাদ এবং জিহাদিদের আয়ত্তে চলে যাচ্ছে, তার প্রমাণ মিলেছে সাম্প্রতিককালে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পাকিস্তানিদের জন্য ফ্রি ভিসা পাস চালু করেছে। এর ফলে বাংলাদেশে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির কাজ আরও সহজ হয়েছে। ধরা যাক, কোন জঙ্গি বা মৌলবাদী সংগঠনের কেউ ভারতে অপরাধ সংঘঠিত করল। তারপরে চোরা পথে তারা বাংলাদেশে চলে গেল। সেখানে গিয়ে তারা শান্তিতে ঘুমাল এবং পরবর্তীকালে ভিসা নিয়ে তারা পাকিস্তান বেরিয়ে গেল। অর্থাৎ জঙ্গিগোষ্ঠীদের ভারতে প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক দিক থেকে একটি সেফ করিডোরে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।

    সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসেন ডোভাল

    ইতিমধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংস্থাগুলি এ নিয়ে যথেষ্ট ভাবনা চিন্তা করছেন। কারণ গত অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জিহাদিদের মুক্তাঞ্চলে (Islamic State) পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে একের পর এক উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। হামলার খবর আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সফর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। উচ্চ পর্যায়ের একটি মিটিংয়ে তিনি অংশগ্রহণ করেন। তাঁর ওই মিটিংয়ে মালদা, বীরভূম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু মাদ্রাসাকে নিয়ে তারা আলোচনা করেন। এই মাদ্রাসাগুলির গতিবিধির সন্দেহজনক এবং এগুলি দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট বিপজ্জনক।

    আইসিসের কাজ দেখার দায়িত্বে কে?

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি (Islamic State) সংগঠনের কাজ চালানোর জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে মহম্মদ সাইফুল্লাহ উজাকি ওরফে আবু ইব্রাহিম আল হানিফকে। সূত্রের খবর, এই ব্যক্তি একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম। প্রথম জীবনে তাঁর নাম ছিল সজীবচন্দ্র দেবনাথ এবং তিনি একজন অর্থনীতিবিদ ছিলেন। কিন্তু বিশ্বাস রাখতেন ইসলামিক স্টেট-এর আদর্শে। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে তিনি বেশ কয়েকমাস সিরিয়াতে চলে যান এবং সেখানেই প্রশিক্ষণ নেন। পরবর্তীকালে তাঁকে বাংলাদেশের কাজ দেখার দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি ফিরে আসেন। ২০১৬ সালের ঢাকা হামলার অন্যতম চক্রান্তকারী বলে মনে করা হয় তাঁকে।

  • India Bangladesh Relation: ভারতই ভরসা! থমকে একাধিক রেল প্রকল্প, দিল্লির টাকার দিকে তাকিয়ে ঢাকা

    India Bangladesh Relation: ভারতই ভরসা! থমকে একাধিক রেল প্রকল্প, দিল্লির টাকার দিকে তাকিয়ে ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল সাইট থেকে ঢাকার অলিগলি— বাংলাদেশে এখন ভারত-বিদ্বেষ (India Bangladesh Relation) চূড়ান্ত। যে ভারতের হাত ধরে বাংলাদেশের সৃষ্টি, সেই ভারত-বৈরিতা এখনকার বাংলাদেশ সরকারের বৈশিষ্ট্য। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ভারতের (India) সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। কিন্তু ভারত ছাড়া বাংলাদেশ যে কতটা অচল, তা স্পষ্ট হল বাংলাদেশ রেলওয়ের (Bangladesh Railway) সাম্প্রতিক প্রকাশিত তথ্যে। জানা গিয়েছে, অর্থ সংকটের কারণে বাংলাদেশে রেলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থমকে রয়েছে। বাংলাদেশের অভিযোগ, ভারত সরকার ছ’বছর আগে এইসব প্রকল্পের জন্য ঋণ (Loan) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও অর্থ বরাদ্দ করেনি। এর ফলে, প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন শুরু করা সম্ভব হয়নি।

    কেন সাহায্য করবে ভারত?

    ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছয় বছর আগে বাংলাদেশ রেলের একাধিক প্রকল্পের জন্য ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিন্তু আজ অবধি সেই টাকা পায়নি ঢাকা। এর ফলে ওই প্রকল্পগুলির কাজ থমকে গিয়েছে। এই বিষয়ে একাধিক বার নরেন্দ্র মোদি সরকারকে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। যদিও পালটা প্রশ্ন উঠছে, হাসিনা পরবর্তী সময়ে যে ভারতকে কথায় কথায় বিষোদগার করছে মহম্মদ ইউনূস সরকার এবং পদ্মাপাড়ের রাজনৈতিক দলগুলি, কোন ভরসায় তাদের অর্থসাহায্য করবে ভারত?

    সাতটি রেল প্রকল্প আটকে

    বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) এই মূহূর্তে সাতটি রেল প্রকল্প রয়েছে যা ভারতের টাকায় হওয়ার কথা। যার মধ্যে রয়েছে খুলনা-দর্শনা রেল লাইন প্রকল্প, সিরাজগঞ্জ-বগুরা ন্যারো এবং ব্রড গেজ লাইন প্রকল্প। ভারত এখনও ঋণ না দেওয়ায় এই দুই প্রকল্পের কাজ শুরুই করা যায়নি। তবে আরও দুটি প্রকল্পে কাজ চলছে ভারতের ঋণের টাকায়। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা-টঙ্গি তৃতীয় এবং চতুর্থ লাইনের কাজ, ৩৮ শতাংশ এই কাজ এগিয়েছে। সেই সঙ্গে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়েছে ৫১ শতাংশ। এখানেই শেষ নয়, ভারতের টাকায় বাংলাদেশে খুলনা-মোংলা রেলপথ এবং আখাউড়া-আগরতলা লাইনের কাজ হওয়ার কথা ছিল। এই কাজ অনেকটা এগোলেও শেষ হয়নি। রেলের কাজের সঙ্গে নিযুক্ত ভারতীয় শ্রমিকরা এখনও ফেরেননি বাংলাদেশে। সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে না ভারতের টাকাও, তাই মাথায় হাত বাংলাদেশের। প্রকল্পগুলি আদৌ কী ভাবে শেষ হবে সেই নিয়েই চিন্তায় বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া, দিনাজপুর-কাউনিয়া রেলপথের জন্য ভারত ঋণ বরাদ্দ করলেও কাজ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

    ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে

    শেখ হাসিনা পরবর্তী সময় বাংলাদেশে ক্রমাগত ভারত বিদ্বেষ বাড়ছে। সে দেশের ক্ষমতায় থাকা কিছু নেতা বারবার নয়াদিল্লিকে (India Bangladesh Relation) নিশানা করছেন। কখনও যুদ্ধের জিগির তুলছেন তো কখনও দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার জন্য দায়ী করছে ভারতকে। বিষয়গুলি নিয়ে এতদিন ‘চুপ’ থাকলেও সম্প্রতি ঢাকাকে কড়া বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ, তা স্পষ্ট করতে হবে, দ্বিচারিতা চলবে না। একদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনূস বলছেন, “ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই।” অন্যদিকে তাঁরই সরকারের অন্য়ান্য উপদেষ্টারা নয়াদিল্লিকে নিশানা করছেন। বারবার অসম্মান করছেন। দেশে ক্রমাগত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। এভাবে চলতে পারে না বলে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ভারতের প্রতি তাদের সরকারি অবস্থান স্পষ্ট করুক বাংলাদেশ। দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করতে হলে, হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। ভারত-বিরোধী মন্তব্যও বন্ধ করতে হবে বলে জানান বিদেশমন্ত্রী।

    বিকল্প অর্থায়নের উপায় খুঁজুক বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ (India Bangladesh Relation) রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকা-টঙ্গি এবং কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্পের জন্য ভারত আদৌ টাকা দেবে কি না, তা জানতে চেয়ে গত ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও উত্তর আসেনি। অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, বর্তমান রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভারত হয়তো অর্থ বরাদ্দ নাও করতে পারে। আসলে, ঢাকার দ্বিচারিতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে কূটনৈতিক মহলে। যে বাংলাদেশ নিয়মিত ‘ভারত বিদ্বেষ ছড়ানো অভ্যেস করে ফেলেছে, সেখানে রেল প্রকল্পে অর্থসাহায্য করবে কেন নয়াদিল্লি! এমনকী যেখানে প্রতিবেশী দেশ দখল করারও হুঁশিয়ারি দেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতারা, সেখানে কোন ভরসায় ফিরবেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকরা? এই অবস্থায়, বিকল্প অর্থায়নের উপায় খুঁজতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে।

LinkedIn
Share