Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Sheikh Hasina: ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি”, অডিও বার্তায় বিস্ফোরক হাসিনা

    Sheikh Hasina: ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়, অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি”, অডিও বার্তায় বিস্ফোরক হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং তার পরবর্তী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামি লিগের সরকারের পতন হয় গত বছরের অগাস্টে। গত ৫ অগাস্ট বোন রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। চলে আসেন ভারতে। সাময়িক আশ্রয় নেন এ দেশে। সেদিনের ঘটনা নিয়ে আওয়ামি লিগের সমর্থকদের উদ্দেশে এক অডিও বার্তায় কেঁদে ফেললেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)।

    হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল (Sheikh Hasina)

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, ‘‘আমাকে হত্যার চক্রান্ত করা হয়েছিল। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি।” শুক্রবার রাতে আওয়ামি লিগের ভেরিফায়েড সমাজমাধ্যম হ্যান্ডল থেকে হাসিনার একটি ছোট অডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়। ৪৯ সেকেন্ডের ওই অডিও ক্লিপে ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়ার সময়ের কথা বর্ণনা করছিলেন তিনি। সেখানে হাসিনা জানান, ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে তিনি এবং তাঁর বোন শেখ রেহানা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে আমরা (হাসিনা এবং রেহানা) মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।” সেখানে হাসিনা আরও জানিয়েছেন, এ বারে তাঁর ‘বেঁচে যাওয়ার’ কথা ছিল না এবং তাঁকে ‘হত্যার পরিকল্পনা’ করা হয়েছিল। এর পরেই দেশছাড়া হওয়ার দুঃখের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন হাসিনা। তিনি বলেন, ‘‘আমার কষ্ট হচ্ছে, আমি আমার দেশছাড়া, ঘরছাড়া। সব কিছু জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভ নাকি অন্ধবিশ্বাস! মেলা প্রাঙ্গণে হিন্দু-বিরোধী পোস্টার ছিঁড়ে জ্বালিয়ে দিলেন নাগা সাধুরা

    হাসিনাকে প্রত্যর্পণ নিয়ে দিল্লির অবস্থান

    এ দিকে আওয়ামি লিগের সরকারের (Sheikh Hasina) পতনের পর দেশজুড়ে হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচার চলছে। ভারত দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছে মৌলবাদীরা। একইসঙ্গে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছে। দেশে হাসিনা-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এই অবস্থায় হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে বিচার সম্পন্ন করতে চাইছে অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক বার্তা (নোট ভার্বাল)-ও পাঠিয়েছে ঢাকা। কূটনৈতিক বার্তার প্রাপ্তিস্বীকার করলেও, হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত এখনও দিল্লির তরফে জানানো হয়নি। 

    হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার আগে কেমন ছিল গণভবন?

    হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ ছাড়ার আগের কয়েক ঘণ্টা কেমন ছিল গণভবনের (বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) পরিস্থিতি, তা নিয়ে গত বছরের অগাস্টে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল সে দেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, হাসিনা চেয়েছিলেন দেশ ছাড়ার আগে জাতির উদ্দেশে একটি ভাষণ সম্প্রচার করতে। কিন্তু, ততক্ষণে আন্দোলনকারীরা বাংলাদেশ ‘গণভবন’-এর দিকে এগোতে শুরু করে দিয়েছিলেন। শাহবাগ, উত্তরা থেকে কাতারে কাতারে ছাত্র-যুব আন্দোলনকারীর ভিড় এগিয়ে আসছিল। গোয়েন্দা সূত্রে সে খবর যায় গণভবনে থাকা বাহিনীর শীর্ষকর্তাদের কাছে। ওই প্রতিবেদন অনুসারে, উন্মত্ত জনতার দূরত্ব যা ছিল, তাতে আনুমানিক ৪৫ মিনিটের মধ্যেই ওই ভিড় গণভবনে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তাই সম্প্রচার করার জন্য হাসিনার ভাষণ রেকর্ডের আর ঝুঁকি নিতে চাননি বাহিনীর শীর্ষকর্তারা। তাঁদের সংশয় ছিল, হাসিনাকে ভাষণ রেকর্ড করার সময় দেওয়া হলে, পালানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় তিনি পেতেন না। তাই ৪৫ মিনিটের মধ্যেই হাসিনাকে দেশ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল বলে ‘প্রথম আলো’-য় প্রকাশ। হাসিনা রাজি হওয়ার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাঁদের প্রথমে হেলিকপ্টার ও পরে বিমানে করে ভারতে পাঠানো হয়।

    হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধি

    এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশ (Bangladesh) সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। আর এরই মাঝে রিপোর্টে দাবি করা হয়, সম্প্রতি নাকি ভারতে থাকার জন্যে শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে ভারত সরকার। জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার রেসিডেন্ট পারমিটের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এরই মাঝে হাসিনাকে সরকারি ভাবে ভারতে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। কারণ, এই সংক্রান্ত কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই ভারতে। তবে, হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করে বৈধভাবে তাঁকে ভারতে থাকতে দিতে সম্মত মোদি সরকার। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নাকি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে সবুজ সংকেত দেয়। এরপরই স্থানীয় ফরেন রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে হাসিনার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    India Bangladesh Relation: সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে আপস নয়, ইউনূস প্রশাসনকে সাফ জানিয়ে দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তের (Border Issue) নিরাপত্তা নিয়ে বাংলাদেশের ইউনূস প্রশাসনকে ফের একবার কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি (India Bangladesh Relation)। এ নিয়ে ছ’দিনের মধ্যে দু’বার।

    বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য (India Bangladesh Relation)

    পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। বিশদে জানতে আমরা নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী হাইকমিশনারকে তলব করেছিলাম। আজ সেই অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করছি।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে অপরাধমুক্ত সীমান্ত তৈরি করতে আমরা দায়বদ্ধ। সে ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ, চোরাচালান, মানব পাচারের মতো বিষয় যাতে বন্ধ করা যায়, তার চেষ্টা করতে হবে। সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা, প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।”

    ভারতের আশা

    জয়সওয়াল বলেন, “ভারত আশা করে, প্রতিটি বিষয়কে বাংলাদেশ বাস্তবায়িত করবে।” বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া, সীমান্তে আলোর ব্যবস্থা করা, প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং গবাদি পশু প্রতিরোধক বেড়া তৈরি – এসব ব্যবস্থাগুলো সীমান্ত সুরক্ষিত করতে গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের আশা, এই বিষয়ে আগের মতো সব সমঝোতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটা সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে এই ধরনের অপরাধ মোকাবিলার ব্যবস্থা করবে (India Bangladesh Relation)।”

    আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ছত্তিশগড়ের বাইগারা, কী বলছেন ‘পিছিয়ে পড়া’রা?

    প্রসঙ্গত, এই সপ্তাহ শুরুর দিকে ভারতের সাউথ ব্লকে তলব করা হয়েছিল বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে। সীমান্ত নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই ডাকা হয়েছিল তাঁকে। বৈঠকের সময়, ভারতীয় সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য পূর্বে সমঝোতা হওয়া সমস্ত পদক্ষেপ বাস্তবায়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়। ভারতও সীমান্তে বেড়া এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রোটোকল ও চুক্তিগুলো মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই চুক্তি দুই দেশের সরকার (Border Issue) এবং বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে হয়েছিল (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Bangladesh: বাদ পড়ছে ধর্মনিরপেক্ষতা! সংবিধান সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারিশ

    Bangladesh: বাদ পড়ছে ধর্মনিরপেক্ষতা! সংবিধান সংস্কারে বাংলাদেশের নাম বদলের সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানের মূল নীতি থেকে কি বাদ দেওয়া হবে ধর্মনিরপেক্ষতাকে? সে দেশের সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ঘিরে সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। বুধবারই প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে সুপারিশ-সহ একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

    সংবিধান থেকে কী কী বাদ দেওয়ার সুপারিশ? (Bangladesh)

    এখন বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবিধানে যে চারটি মূল নীতি রয়েছে, তা গৃহীত হয়েছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে সংবিধান রচিত হওয়ার সময়। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষের আকাঙক্ষা প্রতিফলন হিসেবে পাঁচ মূল নীতির প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিপোর্টে বলা হয়েছে, মূল নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র, জাতীয়বাদ এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত সংবিধানের ৮, ৯, ১০ এবং ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, ধর্মনিরপেক্ষতা-সহ তিনটি মূল নীতি বাদ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

    বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য চারটি মূল নীতির উল্লেখ রয়েছে- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা। হাসিনার সরকারের পতনের পর সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, চার মূল নীতির মধ্যে কেবল গণতন্ত্রকে রাখার সুপারিশ করেছে কমিশন। তার সঙ্গে আরও চারটি নতুন মূল নীতির সুপারিশ করা হয়েছে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত পাঁচটি মূল নীতির মধ্যে রয়েছে- সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ এবং গণতন্ত্র।

    আরও পড়ুন: নিজের বাড়িতেই ছুরি দিয়ে কোপানো হল অভিনেতা সইফ আলি খানকে, ভর্তি হাসপাতালে

    বাংলাদেশের নতুন নাম কী হতে পারে?

    বর্তমানে বাংলাদেশের (Bangladesh) সাংবিধানিক নাম হল ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’। তবে সেই নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করা হল এবার। সংবিধান সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া খসড়ায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন সাংবিধানিক নাম হোক- ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’। উল্লেখ্য, বুধবারই অধ্যাপক আলি রিয়াজের নেতৃত্বধীন সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট জমা দেন বাংলাদেশ অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কাছে। এই খসড়া তৈরি করতে নাকি গত তিন মাস ধরে সাধারণ নাগরিক, রাজনৈতিক দল এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে মতামত সংগ্রহ করেছে কমিশন। সুপারিশ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সংবিধানের ইংরেজি সংস্করণে ‘রিপাবলিক’ ও ‘পিপলস রিপাবলিক অফ বাংলাদেশ’ শব্দগুলি থাকতে পারে। এদিকে এতদিন বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে নাগরিকরা ‘বাঙালি’ হিসেবে পরিচিত হতেন। তবে তা বদলে বাংলাদেশের নাগরিকদের সাংবিধানিক ভাবে ‘বাংলাদেশি’ পরিচিতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।

    ভারতের মতো দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ!

    অপরদিকে ভারত, আমেরিকার মতো বাংলাদেশ (Bangladesh) সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে নিম্নকক্ষকে জাতীয় সংসদ বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বলা হবে। উচ্চকক্ষকে সেনেট বলে ডাকা হবে। সংসদের মেয়াদ ৪ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদে কোনও ব্যক্তি দু’বারের বেশি থাকতে পারবেন না বলে সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে সুপারিশ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সেই নেতা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং সংসদ নেতা হতে পারবেন না।

    নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বয়স ২১ বছর করার সুপারিশ!

    সংসদীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ন্যূনতম বয়স কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে। এদিকে বাংলাদেশি (Bangladesh) নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এদিকে কোনও আসনে যদি মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়ে, তাহলে সেই আসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের সুপারিশ করা হয়েছে।

    গণভোটের সুপারিশ

    সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলি রিয়াজ জানিয়েছেন, সংবিধান সংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁরা গণভোটের সুপারিশ করেছেন। জানা গিয়েছে, এই সুপারিশগুলির প্রেক্ষিতে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, এই সুপারিশগুলি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করবে। আলোচনার মাধ্যমে যে সংস্কারগুলির বিষয়ে ঐক্যমত হবে, সেই সংস্কারগুলি বাস্তবায়নের কথা বিবেচনা করা হবে। এ দিন সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া আরও তিনটি সংস্কার কমিশন নিজেদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইউনূসকে। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মাসে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবে সরকার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: কাঁটাতার বসানোয় বাধাসৃষ্টির পর সীমান্তে ভারতীয় কৃষককে ‘অপহরণ’ বিজিবি-র!

    Bangladesh: কাঁটাতার বসানোয় বাধাসৃষ্টির পর সীমান্তে ভারতীয় কৃষককে ‘অপহরণ’ বিজিবি-র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে উত্তরোত্তর বাড়ছে ভারত-বিদ্বেষ। পাশাপাশি, বিজিবি-র তরফে সীমান্তে লাগাতার উস্কানি দেওয়ার চেষ্টাও চলছে। যার জেরে মালদা ও কোচবিহার সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় কাঁটাতার দিতে বাধা দিচ্ছে বিজিবি। এই নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তৈরি হয়েছে উত্তেজনার পরিবেশ। এই আবহের মধ্যে এবার এক কৃষককে অপহরণ করার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি-র বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার চাপড়ার হৃদয়পুর এলাকায়।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?(Bangladesh)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো হৃদয়পুর গ্রামের চাষি নূর হোসেন মঙ্গলবার সকালে বিএসএফের কাছে তার পরিচয়পত্র জমা দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে জিরো পয়েন্টের কাছে নিজের চাষের (Bangladesh) জমিতে চাষ করতে গিয়েছিলেন। এরপর সন্ধ্যা গড়িয়ে গেলেও আর বাড়িতে ফিরে আসেননি তিনি। এরপরই সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রত্যেকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষীরা ওই কৃষককে অপহরণ করেছে। ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত করলেও এখনো কৃষককে ফিরে পাননি তাঁর পরিবার। চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে ভারতীয় ওই কৃষকের পরিবার। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, নিয়ম মেনেই নিজের জমিতে চাষ করতে গিয়েছিলেন। অন্য সময় বিকেলের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসেন। ২৪ ঘণ্টা হয়ে গেল কোনও খোঁজ নেই। এভাবে বিজিবি কেন একজন চাষিকে অপহরণ করল? আর বাংলাদেশে যে সব ঘটনা ঘটছে, সে সব দেখে আমরা চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমরা চাই, অবিলম্বে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

    বাংলাদেশের কী বক্তব্য?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, সোনা পাচারকারী সন্দেহেই নূর হোসেন শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিএসএফ-কে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, এ বিষয়ে চাপড়া থানার পুলিশের অবহিত করা হয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, দেশের অভ্যন্তরের পরিস্থিতি থেকে জনগণের নজর ঘোরাতেই কি সীমান্তে লাগাতার উস্কানি দিচ্ছে বাংলাদেশের সরকার? নেপথ্যে কি মৌলবাদীদের প্ররোচনা? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: ইটের বদলে পাটকেল! বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দিল্লিতে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

    India Bangladesh Relation: ইটের বদলে পাটকেল! বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে দিল্লিতে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইটের বদলে পাটকেল! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Relation) কাঁটাতার বিতর্কের মধ্যেই রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিল মহম্মদ ইউনূস প্রশাসন। এবার পাল্টা চাল দিল ভারতও (India)। দিল্লিতে তলব করা হল বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরাল ইসলামকে। সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বের হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

    জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা (India Bangladesh Relation)

    রবিবারই বাংলাদেশের বিদেশসচিব জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেন প্রণয়। পরে তিনি জানান, কাঁটাতারের বিষয়ে দুদেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। সীমান্তে অপরাধ দমনের ক্ষেত্রেও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। প্রণয় বলেছিলেন, “নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে।” প্রণয় জানান, অপরাধমুক্ত (India Bangladesh Relation) সীমান্ত নিশ্চিত করতে ভারতের যে লক্ষ্য রয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশসচিবের সঙ্গে। চোরাচালান, অপরাধীদের আসা-যাওয়া এবং পাচারের চেষ্টা রোখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

    ঢাকার অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ঢাকার অভিযোগ, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের অন্তত পাঁচ জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। ঢাকার অভিযোগ, এই কাজ করে ভারত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভাঙছে এবং ওই এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এই বিষয়ে প্রণয় জানিয়েছিলেন, এই বিষয়টি নিয়ে বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে কথা চলছে। আমরা আশা করছি, সমস্যা মিটে যাবে। সীমান্তে অপরাধ কমানো নিয়ে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করা যাবে।

    আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে ব্যবসা হবে ২ লাখ কোটি টাকার, বিরোধীদের জবাব যোগীর

    সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। মালদায় শুকদেবপুর, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে। সেই আবহেই (India) এবার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব (India Bangladesh Relation) করল বিদেশমন্ত্রক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Assam: ২৫ হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে পারে অসম, রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের

    Assam: ২৫ হাজার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দিতে পারে অসম, রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে অসমে (Assam) অবৈধভাবে বসবাস করছেন প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি (Bangladeshi Intruders)। এঁদের অনেকেই অসমে চলে এসেছেন ১৯৬৬ থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে। কিন্তু, তাঁরা ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করেননি। তাই তাঁদের পরিচয় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী। সম্প্রতি, এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে গুয়াহাটি হাইকোর্ট।

    বেগম জান (Assam)

    সম্প্রতি বেগম জান নামে এক মহিলা ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করার তারিখ বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছিলেন। ২০২০ সালের ২৯ জুন বারপেটা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল তাঁকে বাংলাদেশি বিদেশি ঘোষণা করেছিল। তার পরেও তিনি সময় মতো নাম নথিভুক্ত করেননি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। গুয়াহাটি হাইকোর্টের ৯ ডিসেম্বরের ওই রায়ের ফলে অসমে অবৈধভাবে বসবাসকারী ২৫ হাজারের বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বহিষ্কার করতে পারে।

    হাইকোর্টের রায়

    গুয়াহাটি হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী, প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অনুপ্রবেশকারীকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। কারণ প্রায় ৫ হাজার অনুপ্রবেশকারী ও তাঁদের পরিবার নাম নথিভুক্তকরণের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, নাম নথিভুক্ত করেননি (Assam)। হাইকোর্টের বিচারপতিরা সাফ জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত দ্বারা বাধ্য এবং জান-এর মামলায় সময়সীমা বাড়ানোর জন্য তারা অক্ষম। আদালতের রায়ে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের ২০২৪ সালের অক্টোবরের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এটি নাগরিকত্ব আইনের ধারা ৬এ-এর বৈধতা বজায় রেখেছে।

    আরও পড়ুন: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    জান-এর এই মামলা অসমে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি গুরুতর সমস্যাকে তুলে ধরে। এই মামলার রায়ে বাংলাদেশ থেকে অসমে অনুপ্রবেশকারীদের অবস্থান বিশেষভাবে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারা দ্বারা সমাধান করা হয়েছে। ১৯৮৫ সালে অসম চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরে কার্যকর করা হয়েছিল এই আইনটি। প্রসঙ্গত, ৬এ (২) ধারা অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি আগে অসমে আসা বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। ৬এ (৩) অনুযায়ী, ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৭১-এর ২৪ মার্চের মধ্যে আসা ব্যক্তিদের (Bangladeshi Intruders) নাগরিকত্ব দেওয়া হয় (Assam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India Bangladesh Relation: সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    India Bangladesh Relation: সীমান্তে কাঁটাতার বসানো নিয়ে বাংলাদেশকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের, কী বলল নয়াদিল্লি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্ত নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের (India Bangladesh Relation) মধ্যে যে সমঝোতার বিষয়টা রয়েছে, সেটা মেনে চলতে হবে (Indian High Commissioner)। পড়শি দেশকে সাফ জানিয়ে দিল নরেন্দ্র মোদির ভারত। সীমান্তে অপরাধ কমাতে দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন বলেও জানিয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। রবিবার ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানেই ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

    জসিমউদ্দিন-প্রণয়ের বৈঠক (India Bangladesh Relation)

    জসিমউদ্দিন-প্রণয়ের বৈঠক হয় ৪৫ মিনিট ধরে। পরে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, “আমরা আশা করছি, পারস্পরিক বোঝাপড়া লাগু হবে। অপরাধ দমন করতে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকবে।” ভার্মা জানান, অপরাধমুক্ত সীমান্ত তৈরি করতে ভারত কতটা বদ্ধপরিকর, সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ সচিবকে। সীমান্তে চোরাচালান, পাচার, দুষ্কৃতীদের আনাগোনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

    সুরক্ষার স্বার্থে বেড়া সীমান্তে

    সুরক্ষার স্বার্থে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা রয়েছে। বিএসএফ এবং বিজিবি এনিয়ে পারস্পরিক সংযোগ রক্ষা করবে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশছাড়া হওয়ার পর সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিনের বৈঠকে (India Bangladesh Relation) সে প্রসঙ্গও উঠেছে।

    এদিকে, সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করায় বেজায় চটেছে বাংলাদেশ। এদিনের বৈঠকে সেই প্রসঙ্গটিও উত্থাপন করেছে ভারত। বিএসএফের কাজকর্মে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জসিমউদ্দিন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার মতো অবৈধ কাজ করা হচ্ছে। উত্তেজনা ছড়ায় এমন বিষয় থেকে দূরে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। জসিমউদ্দিনের দাবি, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার মতো কাজ পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

    আরও পড়ুন: “আমাদের প্রত্যেকের গর্বের সঙ্গে বলা উচিত, আমরা হিন্দু”, বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় ভারত নিজেদের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলেও, বাধা দেয় বিজিবি। অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এই বলে যে, ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বাধা দেওয়া হবে। এহেন (Indian High Commissioner) আবহেই হল দুই দেশের বৈঠক (India Bangladesh Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bangladesh: “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়”, ইউনূসের দাবিতে নিন্দার ঝড়

    Bangladesh: “সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়”, ইউনূসের দাবিতে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সাম্প্রদায়িক নয়, সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।” অন্তত এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। নোবেলজয়ী এহেন মন্তব্যে নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে।

    প্রশ্ন হল, হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়প্রভুকে মিথ্যা মামলা, হিন্দু (Minority Hindu) মন্দির ভাঙচুর, হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ, খুন, বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি সবটাই শুধু রাজনৈতিক চক্রান্ত? কেন দুর্গাপুজোর সময় এবং বিসর্জনের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখার ফাতোয়া জারি করেছিল ইউনূস প্রশাসন? কেন উত্তরায় দুর্গাপুজা করলে মিছিল করে মৌলবীরা খুনের স্লোগান দিয়েছিল? কেন ইসকন মন্দিরে জগন্নাথদেবকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল? কেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকায় হিন্দুদের পিষে মারার নিদান দেওয়া হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের ভিত্তি কি সাম্প্রদায়িক, নাকি কেবল রাজনৈতিক? অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তার সঠিক বিশ্লেষণ দেওয়া হয়নি। ফলে শাক দিয়ে মাছ যে ঢাকা যায় না, তা ইউনূস প্রশাসন আরও একবার প্রমাণ করল বলেও ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    শুধুমাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে (Bangladesh)!

    বাংলাদেশ (Bangladesh) নিউজ আউটলেট ঢাকা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পুলিশ তদন্তে জানিয়েছে দেশে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মোট হামলা ও ভাঙচুরের রিপোর্ট করা ১৪১৫টি ঘটনার মধ্যে ৯৮.৪ শতাংশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। শুধুমাত্র ১.৫৯ শতাংশ ঘটনা সাম্প্রদায়িক কারণে ঘটেছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রচার বিভাগের মুখপাত্র সূত্রে পুলিশের অনুসন্ধানের এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৭৬৯টি হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৪১৫টি ঘটনার তদন্ত শেষ হয়েছে। ৩৫৪টি মামলার তদন্ত এখনও চলছে। তদন্ত করা মামলাগুলির মধ্যে ১২৫৪ টি প্রমাণিত হয়েছে এবং ১৬১টি ক্ষেত্রে প্রমাণে তথ্যের অভাব রয়েছে। তবে মোট মামলার মধ্যে ১৪৫২টি ঘটনা ঘটেছিল এক দিনেই।”

    ৩ দিনের ২০৫টি হামলা (Bangladesh)!

    আসুন তাহলে দেখে নিই, কীভাবে হামলার পরম্পরা চলেছে ওই দেশে। বাংলাদেশ (Bangladesh) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জানিয়েছে ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসার মোট ২০১০টি ঘটনা ঘটেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ঘটনার সংখ্যা আরও অনেক বেশি। হাসিনাকে বিতাড়িত করার পর ৩ দিনের মধ্যে হিন্দু মন্দির, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে উগ্র মুসলিমরা। ৬০ জনের বেশি হিন্দু শিক্ষক, অধ্যাপককে জোর করে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এবং ব্লগার আসাদ নূর বলছেন, “হিন্দুদের জামাতে-ইসলামী-তে যোগদান করতে বাধ্য করা হচ্ছে।” আবার বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা নাসরিন একাধিক বার হিন্দু নির্যাতন নিয়ে তোপ দেগেছেন। তাঁর দাবি, বিএনপি, হিজবুল তেহেরির এবং জামাত শিবির বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করতে চাইছে। ৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে গণেশ ঠাকুরের শোভাযাত্রায় হিন্দু (Minority Hindu) ভক্তদের ওপর হামলা করা হয়েছিল। দুর্গাপুজোর সময় ময়মনসিংহে ইয়াসিন মিয়া নামক এক ব্যক্তি গৌরীপুর শহরের পুজোয় হামলা চালায়। ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজো মণ্ডপে, মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারিতে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ১ অক্টোবর কট্টর মুসলমানরা হামলা করেছিল। দুর্গার পুজোর অষ্টমীতে ঢাকার তাঁতি বাজার এলাকায় পেট্রোল বোমা মারা হয়েছিল পুজো মন্দিরে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময়। এক কথায়, সাম্প্রদায়িকতার আগুনে হিন্দু জীবন চূড়ান্ত বিপর্যস্ত।

    মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে আক্রমণ জেহাদিদের

    ৩রা অক্টোবর, বাংলাদেশের (Bangladesh) ঢাকা বিভাগের কিশোরগঞ্জে গোপীনাথ জিউর আখড়া দুর্গাপূজো মণ্ডপে হিন্দু দেবদেবীর ৭টি মূর্তি ভাঙা হয়। ৫ নভেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের হাজারি গলিতে হিন্দুদের ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। ২৯ নভেম্বর, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার পাথরঘাটায় হিংস্র মুসলিম জনতা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করে ৩টি মন্দির ভেঙে দেয়। মুসলমানরা যে হিন্দু ধর্মীয় স্থানগুলোকে টার্গেট করেছিল তার মধ্যে রয়েছে শান্তনেশ্বরী মাতৃ মন্দির, শনি মন্দির এবং কালীবাড়ি মন্দির। শুক্রবার নমাজের পরপরই ওখানে হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ঢাকার কারওয়ান বাজার থেকে মুন্নি সাহা নামে বিশিষ্ট হিন্দু সাংবাদিককে পুলিশ মিথ্যা মামলায় আটক করেছিল। তাঁর দোষ, হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। ১৩ ডিসেম্বর একদল জেহাদি মহাশ্মশান কালী মাতা মন্দিরে আক্রমণ করেছিল। সেখানে ৭টি দেবতার মূর্তি ভাঙচুর করে তারা। চুরি করেছিল মন্দিরের বিগ্রহের সোনার গয়না। 

    আরও পড়ুনঃ ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    গুজব রটিয়ে ও ইসলামকে অবমাননার অজুহাতে আক্রমণ

    ১৯ ডিসেম্বর, ময়মনসিংহ (Bangladesh) জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় আলাল উদ্দিন নামে একজন মুসলিম ব্যক্তি পলাশকান্দা কালী মন্দিরে একটি মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। এখানকার আজহারুল নামে এক ৩৭ বছর বয়সী মুসলিম ব্যক্তি বেশ কয়েকটি দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। একই ভাবে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু এবং তাঁর  সহযোগীদের সাম্প্রতিক সময়ে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে ইউনূস প্রশাসন। সকল হিন্দু সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা এবং ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ মামলা দিয়ে হিন্দু বিক্ষোভ দমন করার কাজ তীব্র গতিতে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। একই ভাবে আবার গুজব রটিয়ে এবং ইসলামকে অবমাননার অজুহাতে হিন্দুদের ওপর হামলার একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। হৃদয় পাল, উৎসব মন্ডল, পার্থ বিশ্বাস পিন্টু, আকাশ দাস এবং উত্সব কুমার গায়নের ওপর সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি হিন্দু নিপীড়নের উজ্জ্বল উদাহরণ। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসা, ভুয়ো মামলা দিয়ে কঠিন নির্যাতন করা হচ্ছে প্রতিদিন।

    মহিলা অন্তর্বাস হাতে নিয়ে উল্লাসে মেতেছিল জামাত!

    গত ৫ অগাস্ট থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। ‘কোটা’ বনাম ‘মেধাবী’ আন্দোলনের অন্তরালে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের গণভবন লুট করেছে কট্টর মৌলবাদীরা। একই ভাবে একজন ৭৫ বছরের মহিলা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ‘অন্তর্বাস’ হাতে নিয়ে উল্লাস করেছে ওই দেশের জামাত শিবিরের সমর্থকেরা। বঙ্গবন্ধুর মূর্তি ভাঙচুর এবং মাথায় মূত্র ত্যাগের ঘটনায় বিরাট নিন্দার ঝড় উঠেছিল। আন্দোলনের আড়ালে ছিল ক্ষমতা দখলের অসৎ উদ্দেশ্য। হাসিনাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করে ক্ষমতায় বসেছেন মহম্মদ ইউনূস। এরপর থেকেই আওয়ামি লিগ এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ হয়ে চলছে। অপরদিকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে লাগাতার চট্টগ্রাম বন্দরের মালামাল আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, গোপনে অস্ত্র আমদানি করেছে ইউনূস প্রশাসন। দেশের অভ্যন্তরে ঢাকায় ভারতবিরোধী ভাবনার স্পষ্ট উচ্চারণ হচ্ছে। সীমান্তে বিজিপি ভারতের বিএসএফের সঙ্গে আচরণ বদলে ফেলেছে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং ভারতের জমি দখলের চেষ্টা করছে জেএমবির জঙ্গিরা। আর ঢাকা সহ একাধিক জেলায় মন্দির ভাঙচুর, লুটপাট, ধর্ষণ, খুন, হত্যা (Minority Hindu) ইত্যাদি ঘটে চলেছে। তবুও নির্লজ্জ ইউনূস নিজের কৃতকর্মের জন্য কোনও অনুতাপ করেননি।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ফের টার্গেট হিন্দু! বাংলাদেশের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুট চালাল মৌলবাদীরা

    Bangladesh: ফের টার্গেট হিন্দু! বাংলাদেশের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুট চালাল মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালাবদলের পর থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh) গঠনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচারের যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে, দাবি একাংশের। ধর্মান্তকরণের চাপ জাঁকিয়ে বসেছে সেদেশের সংখ্যালঘুদের মাথায়। ঢাকা-সহ দেশের একাধিক জায়গায় চলেছে মন্দির ভাঙচুর। আর নতুন বছরের শুরুতে ফের বাংলাদেশে মৌলবাদী তাণ্ডব। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ৩টি মন্দিরে হামলা। দেদারে চলল লুট। খোয়া গেল মন্দিরের প্রণামী বাক্সে থাকা হাজার পঞ্চাশেক টাকা, গয়না, নিত্য পুজোর জিনিসপত্রও। ফলে, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়মিত হয়ে চলেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    ঠিক কী  ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) হাটহাজারি এলাকায় শ্রী বিশ্বেশ্বরী মন্দির, শ্রী সত্যনারায়ণ সেবাশ্রম-সহ একাধিক মন্দিরে হামলা ও লুট চালায় দুষ্কৃতীরা। এর আগেও একই প্রকার সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। গত বছরের শেষ মাসেই নাটোরের শ্বশানকালী মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। চলে লুটপাট। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি তারা। হাত-পা বেঁধে খুন করা হয় মন্দিরের পুরোহিতকেও। এমনকি নতুন বছর থেকে মৌলবাদী কোপ পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। অভিযোগ তিতুমির কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি ঘিরে সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা। ধর্মকে আধার করেই সংখ্যালঘু অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে চলছে হুমকি, হুঁশিয়ারি।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    হামলা নিয়ে সরব কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট

    লালমোহন হাটে (Bangladesh) স্থানীয় জমিদার তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ির ভবতারিণী কালী মন্দির চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মৌলবাদের উত্থান ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তিনি। মন্দিরের হামলা নিয়ে রাধারমণের পোস্টে দাবি, শুক্রবার পুজো করতে যখন পুরোহিত আসেন, তখনই তিনি দেখতে পান যে, মন্দিরের দরজা ভাঙা। বিগ্রহ উধাও। নেই কোনও সোনার অলংকার, ঠাকুরের মূর্তি বা পুজোর সামগ্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু নির্যাতনের প্রসঙ্গ তুলে সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ ও একজোট হওয়ার ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুক্রবার রানিগঞ্জের নতুন এগরার সভায় তাঁর (Suvendu Adhikari) দাবি, “সনাতনী হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও তাঁরা পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন। দেশছাড়া হতে হবে তাঁদের। ”আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার রানিগঞ্জের নতুন এগরায় এদিন বিকেলে ‘সংকল্প রামরাজ্য’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সভামঞ্চ থেকে সনাতনীদের একতার বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি নানা ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

    হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে একটা সময় হিন্দু, শিখ ও পার্সিদের সংখ্যা অনেক ছিল। তাঁদের প্রচুর সম্পত্তি ছিল। কিন্তু তাঁদের সব কিছু ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে। বাংলাদেশের কথাই ধরুন না। ১৯৪৭ সালে ওই দেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের সংখ্যা ৩৩ শতাংশ। ১৯৭১ সালে তা হয় ২২ শতাংশ। আর এখন সাড়ে ৭ শতাংশ। ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দু মেরেকেটে ২ কোটি হবে। তাই বলছি, সব হিন্দুরা একজোট হন।” পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি বিরোধী দলেনতা বলেন, “এখন রাজ্যের সব হিন্দু এককাট্টা হয়েছেন। বাঙালি হিন্দুরাও বুঝতে পেরেছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল আর সরকারে আসবে না।” এদিনের সভায় ছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল সহ একাধিক বিধায়ক ও জেলা নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফের সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ (Suvendu Adhikari) করেন, বেআইনি কয়লা ও বালি কারবারের। তিনি বলেন, “আসানসোল, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, বারাবনি, পাণ্ডবেশ্বরে অবৈধ খননের জেরে মাটির নীচে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। যে কোনও সময় ধসে পড়বে। বৈধর থেকে দশগুণ অবৈধ খনি রয়েছে।” তাঁর দাবি, “কিছু দিন কয়লা চুরি বন্ধ ছিল। ৩ জানুয়ারি থেকে আবার রমরমা কারবার শুরু হয়েছে। এ ছাড়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে নদী এবং আসানসোলে অজয় ও দামোদর নদে বালি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যন্ত্রের সাহায্যে বালি তোলার মতো বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে জাতীয় পরিবেশ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এ নিয়ে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক (অগ্নিমিত্রা) লাগাতার আন্দোলন করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share