Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Kerosene: দেশের কেরোসিন খরচের ৬৭ শতাংশ লাগে বাংলায়! ব্যবহার না পাচার? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    Kerosene: দেশের কেরোসিন খরচের ৬৭ শতাংশ লাগে বাংলায়! ব্যবহার না পাচার? তৃণমূলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে ক্ষমতা আসার পর পরই মোদি সরকার শুরু করে উজ্জ্বলা যোজনা। এর ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে রান্নার গ্যাসের সুবিধা। তবে এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট কেরোসিন তেলের (Kerosene) চাহিদার মধ্যে বাংলাতেই রয়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ। এ নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিল বিজেপি। এত বিপুল পরিমাণ কেরোসিন তেলের চাহিদা বাংলায় কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতার বক্তব্য, এর কারণ কি দারিদ্রতা, নাকি কালোবাজারি, নাকি অনুপ্রবেশ! তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গকে ৭ লাখ ৪ হাজার ১৬ কিলোলিটার কেরোসিন তেল দেওয়া হয়েছে, বলে সে সময় জানিয়েছিলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। সারাদেশের কেরোসিন তেলের চাহিদা ছিল ১০ লক্ষ ৬০ হাজার ৫২৪ কিলোলিটার অর্থাৎ কেরোসিন তেলের ৬৭ শতাংশই এসেছে শুধু পশ্চিমবঙ্গে। অন্যদিকে, বিহার রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, সেখানে কেরোসিন তেল পৌঁছেছে ৬ শতাংশ।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট  

    এক্স হ্যান্ডলে অমিত মালব্য লেখেন, ‘‘ যদি লজ্জার কোনও তালিকা থাকে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাক শীর্ষে থাকবে। দেশে ব্যবহৃত কেরোসিনের ৬৭ শতাংশ লাগে বাংলায়। এত এলপিজি-র মধ্যেও! কী কারণে এত গ্রাহক (Kerosene)? দারিদ্র্য? কালোবাজারি? নাকি প্রচুর অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, যারা শাসক তৃণমূলের কাছে ভোটব্যাঙ্ক?’’

    কী বলেছিলেন শমীক ভট্টাচার্য? 

    প্রসঙ্গত, বাংলায় (West Bengal) কেরোসিন তেলের (Kerosene) চাহিদা নিয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন করেন সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। জবাবে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, রান্নার কাজ এবং আলোর জন্য এখনও রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে কেরোসিন তেল পাঠায় কেন্দ্র। রেশন দোকানের মাধ্যমে তা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যায়। কেন্দ্রের অভিযোগ, বাংলায় পেট্রোল, ডিজেলের মতো জ্বালানিতে ভেজাল হিসেবে কেরোসিন ব্যবহার করা হয়। কেরোসিনের (Kerosene) অপব্যবহার বন্ধ করার জন্য গত জুন মাসেই পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক রাজ্য সরকারকে চিঠি দেয়। এরপরে সাংবাদিকদের রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বাংলা পিছিয়ে রয়েছে ভাবলে ভুল হবে। এখান থেকে বিপুল পরিমাণে কেন্দ্রের দেওয়া ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন বাংলাদেশে পাচার হয়। খোঁজ করলে এমন পরিবার পাবেন না, যারা বাড়িতে কেরোসিন (Kerosene) ব্যবহার করেন। অনেকে রেশন থেকে কেরোসিন নেনও না। তবু সবটাই বিক্রি হয়ে যায়!’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশকে ভাগ করে পৃথক হিন্দুদেশ গড়ার দাবি ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    Bangladesh: বাংলাদেশকে ভাগ করে পৃথক হিন্দুদেশ গড়ার দাবি ভারতের প্রাক্তন সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্রমাগত অত্যাচার চলছে হিন্দুদের ওপর। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ছবি প্রায় দিনই দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্য হিন্দুদেশ তৈরির দাবি জানালেন প্রাক্তন সেনা কর্তা জেনারেল জিডি বক্সী (General GD Bakshi)। এ নিয়ে তিনি এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করেছেন। নিজের পোস্টে হিন্দুদেশের অঞ্চল কতটা হবে তাও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে ভারত সরকারের পাশাপাশি ব্রিটেন এবং আমেরিকাও যথেষ্ট উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। এবার বাংলাদেশের হিন্দুদের একমাত্র সমাধান হিসেবে হিন্দুদেশ তৈরির দাবি জানালেন জেনারেল জিডি বক্সী। তিনি যে বাংলাদেশের (Bangladesh) মানচিত্রের ছবি পোস্ট করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের উত্তর অংশকে হিন্দুদেশ হিসেবে উল্লেখ করা রয়েছে। মূলত রংপুর এবং দিনাজপুর নিয়েই আলাদা দেশ তৈরির দাবি জানিয়েছেন জিডি বক্সী।

    এক্স হ্যান্ডলে কী লিখলেন জিডি বক্সী

    এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি (General GD Bakshi) লেখেন, “মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীনে বাংলাদেশ উগ্র জেহাদি দেশে পরিণত হয়েছে। গণহত্যা করে ওরা সংখ্যালঘু হিন্দুদের তাড়াতে চাইছে এবং যুদ্ধের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। ১৯৭১ সালে ৩৮০০-রও বেশি ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনার জওয়ান প্রাণ দিয়েছিলেন খুনি পাক সেনার হাত থেকে এই দেশকে স্বাধীনতা দিতে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। কতটা অকৃতজ্ঞ হতে পারে…যদি ওরা হিন্দু সংখ্যালঘুদের এভাবেই শেষ করতে চায়, তবে এটাই সম্ভাব্য উপায়”

    হিন্দুদের ওপর বেলাগাম অত্যাচার চলছেই বাংলাদেশে

    গত বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম (Bangladesh) বিভাগের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নিজের বাড়িতে চুমকিরানি দাস নামে এক হিন্দু মহিলাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর ছেলের নাম প্রান্ত দাস। তিনি খাগড়াছড়ির সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক। তাঁকেও খুব মারধর করা হয়। প্রথমে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে মাথায় আঘাত করে চুমকিকে। এরপর একে একে শরীর থেকে গয়না খুলে নেওয়া হয়। গলায় থাকা তুলিসীর মালা পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘরের টাকা পয়সা লুট করে নেওয়া হয়। আরও জানা গিয়েছে, তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্য হিসেবে হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষার দাবি তুলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায়ও নেমেছিলেন। তবে হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করার পর থেকেই প্রতিবাদীদের নানা ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। এবার শিকার হলেন চুমকি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: এবার বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী!

    Bangladesh: এবার বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস জমানায় বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রাথমিক স্কুলের বই থেকে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Bangabandhu Sheikh Mujibur) জীবনী। সূত্রের খবর, তাঁকে নিয়ে লেখা একটি পদ্য এবং তিনটি গদ্য বাদ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে, তৃতীয় শ্রেণির একটি বই সম্পূর্ণভাবে বাদ যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী। এর পরিবর্তে বাংলাদেশের ৪ নেতার জীবনী যোগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে রাসেলকে নিয়ে একটি ইংরেজি গদ্য রয়েছে, সেটিও বাদ দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যসূচি থেকে।  জানা গিয়েছে, ‘মুজিব মানে মুক্তি’ কবিতাটি বাদ দেওয়া হচ্ছে।

    অগাস্ট মাস থেকেই মুজিবর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলতে পদক্ষেপ শুরু করে ইউনূস সরকার 

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাস থেকেই মুজিবর রহমানের (Bangabandhu Sheikh Mujibur) স্মৃতি মুছে ফেলতে পদক্ষেপ শুরু করে ইউনূস সরকার। ১৫ অগাস্ট তাঁর জন্মদিনে আনুষ্ঠানিক ছুটি বাতিল করে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার। গত অগাস্ট মাসেই জামাত-বিএনপির সমর্থকরা প্রথমে একের পর এক হাতুড়ির ঘা মেরে, পরে আর্থ মুভার দিয়ে ভেঙে ফেলে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। বাংলাদেশের ৩২ নম্বর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙে জ্বালিয়ে দেয় মৌলবাদীরা। এবার বাংলাদেশের পাঠ্যবই থেকেও বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা শুরু করল ইউনূস সরকার। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর নাম সব জায়গা থেকে মুছে ফেলতে উদ্যোগী ইউনূস সরকার।

    নতুন করে নোটও ছাপছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্যাঙ্ক

    অন্যদিকে, নতুন করে নোট ছাপছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ব্যাঙ্ক। আর সেখানে নেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হাসিনা। এরপরেই তাঁর ভাষণের সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে ইউনূস সরকার। অগাস্ট থেকে লাগাতার অত্যাচার চলছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর। এই আবহে এবার পাঠ্যবই থেকে বাদ পড়ল বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গদ্য-পদ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Bangladesh Relation: প্রকাশ্যে স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে বিতর্ক বাড়ালেন কট্টরপন্থী বিএনপি নেতা, নিন্দার ঝড়

    India Bangladesh Relation: প্রকাশ্যে স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে বিতর্ক বাড়ালেন কট্টরপন্থী বিএনপি নেতা, নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য বয়কটের (India Bangladesh Relation) ডাক দিলেন কট্টরপন্থী বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি। এই প্রতিবাদ দেখাতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল অবিমৃষ্যকারীর মতো স্ত্রীর ভারতীয় শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে আন্তর্জাতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে দুই দেশের ভিন্ন আচরণ নিয়ে। একদিকে বাংলাদেশের হাইকমিশন, ডেপুটি হাইকমিশনের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ভারত। দুই দেশের বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব। তখনই হঠকারী আচরণ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি-র এক শীর্ষ নেতার।

    ঘটনায় নিন্দার ঝড়

    ভারত যখন বাংলাদেশে (India Bangladesh Relation) হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ঢাকাকে বার্তা দিচ্ছে, তখন বিএনপি নেতা ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিলেন। স্থানীয় পণ্য ব্যবহার করতে বললেন। সেইসময় একটি লাল শাড়ি দেখিয়ে রিজভি বলেন, “এটি ভারতীয় শাড়ি। আমার স্ত্রীর। তিনি নিজে শাড়িটি আমায় দিয়েছিলেন। আমি আপনাদের সামনে শাড়িটি ছুড়ে ফেলে দিচ্ছি।” অবিমৃষ্যকারীর মতো শাড়িটি ছুড়েও ফেলে দেন তিনি। এরপর দলের কর্মীদের শাড়িটিতে আগুন ধরাতে বলেন। দলীয় কর্মীরাও তাঁর কথা মতো শাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। 

    আরও পড়ুন: সেনার ৫৩তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে না বাংলাদেশ?

    ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে রুহুল বলেন, “ভারতের যে শাড়ি বাংলাদেশের মা-বোনেরা কিনতেন, তা আর কেনা হবে না। তিনি বলেন, ভারতের সাবান, টুথপেস্ট কোনও কিছুই কেনা হবে না। পেঁয়াজ প্রসঙ্গে তিনি সুর চড়া করে বলেছেন, ভারতের পেঁয়াজের চাইতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের ঝাঁঝ বেশি, ভারতের মরিচের থেকে বাংলাদেশের মরিচের ঝাল বেশি। ভারত যা বলবে, শেখ হাসিনা তা শুনতে পারেন আমরা নই।” বিএনপি নেতার মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে বিদ্বেষ বাড়াবে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bangladesh: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    Bangladesh: চট্টগ্রামে বাড়িতে ঢুকে হিন্দু মহিলাকে খুন! ছেঁড়া হয় তুলিসীর মালা, চলে দেদার লুটপাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নিধন অব্যাহত। এবার চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে এক হিন্দু মহিলাকে (Hindu woman) নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে মৃত মহিলা চিন্ময় প্রভুর সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্যা ছিলেন। জামাত, বিএনপি, হিজবুল তাহেরির, ছাত্র শিবির, ইউনূস প্রশাসন এবং সেনা বাহিনী একযোগে অত্যাচার, খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, মন্দির ভাঙা ইত্যাদিতে যে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দিচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এক কথায় পাকিস্তানের মতো এবার বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্যের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়।

    সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্য ছিলেন (Bangladesh)

    গত বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর রাতে চট্টগ্রাম (Bangladesh) বিভাগের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নিজের বাড়িতে চুমকিরানি দাস নামে এক হিন্দু মহিলাকে (Hindu woman) নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর ছেলের নাম প্রান্ত দাস। তিনি খাগড়াছড়ির সনাতন জাগরণ মঞ্চের অন্যতম আহ্বায়ক। তাঁকেও খুব মারধর করা হয়। প্রথমে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে মাথায় আঘাত করে চুমকিকে। এরপর একে একে শরীর থেকে গয়না খুলে নেওয়া হয়। গলায় থাকা তুলিসীর মালা পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘরের টাকা পয়সা লুট করে নেওয়া হয়। আরও জানা গিয়েছে, তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের সদস্য হিসেবে হিন্দু অস্তিত্ব রক্ষার দাবি তুলেছিলেন। তিনি বাংলাদেশে হিন্দু ধর্ম এবং সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায়ও নেমেছিলেন। তবে হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করার পর থেকেই প্রতিবাদীদের নানা ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। এবার শিকার হলেন চুমকি।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    লাগাতার হিন্দু নিধন চলছেই

    জানা গিয়েছে, আগে সামাজিক মাধ্যমেও বেশ কয়েকবার হুমকি দেওয়া হয়েছিল চুমকি দেবীকে। হিন্দু সংগঠনের সব রকম কর্মকাণ্ডকে প্রশাসনিক ভাবে যেমন কঠোর ভাবে দমন করা হচ্ছে, একই ভাবে কট্টর মুসলমান মৌলবাদীরা প্রকাশ্যে হিন্দু নিধনের কর্মযজ্ঞকেও নেতৃত্ব দিচ্ছে। অপর দিকে শান্তির জন্য নোবেল প্রাপক মহম্মদ ইউনূস হিংসাকে প্রশ্রয় দিয়ে উৎসাহদানের কাজ করছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবীদের পর্যন্ত আদালতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। চলছে লাগাতার খুন-ধর্ষণ। এক কথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। 

    উল্লেখ্য মাত্র কিছু দিন আগেই খাগড়াছড়িতে (Bangladesh) মৌলবাদীরা আক্রমণ করে বৌদ্ধ চাকমা এবং হিন্দু ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের উপর হামলা করেছিল। সেখানে দুষ্কৃতীরা ২০০টির বেশি দোকান, বাড়ি, মঠ, মন্দির পুড়িয়ে দিয়েছিল। একই ভাবে ওই অঞ্চলের সংখ্যালঘু ৩ জন বৌদ্ধকে খুনের ঘটনাও ঘটেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ইসলামাবাদের জন্য অবাধ বাংলাদেশ! পাকিস্তানি হলেই মিলবে ভিসা, নয়া নির্দেশিকা ইউনূসের

    Bangladesh: ইসলামাবাদের জন্য অবাধ বাংলাদেশ! পাকিস্তানি হলেই মিলবে ভিসা, নয়া নির্দেশিকা ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার অত্যাচারে চালিয়ে বাংলাদেশকে (Bangladesh) হিন্দুশূন্য করার ছক কষছে মৌলবাদীরা। এই আবহের মধ্যে পাক নাগরিকদের সহজে ভিসা দেওয়ার উদ্যোগ নিল ইউনূস প্রশাসন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশন থেকে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে থাকা পাকিস্তানের নাগরিক ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূতরাও যাতে সহজে বাংলাদেশের ভিসা পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।

    ঢাকা পাক জঙ্গিদের আখড়া! (Bangladesh)

    ইউনূসের এই নির্দেশিকা সমস্ত বাংলাদেশি (Bangladesh) দূতাবাস এবং ডেপুটি হাই কমিশনগুলির জন্যও জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানিরা যাতে অনায়াসে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই ঢাকার এই পদক্ষেপ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। ইউনূস সরকারের এই পদক্ষেপে বাংলাদেশ ফের পাক জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠবে, আশঙ্কা দিল্লির। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণের পর থেকেই প্রভাব বিস্তার করতে মরিয়া পাকিস্তান। আর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে শুরু করেছেন ইউনূসও। ১৯৭১ সালের পর করাচি থেকে পণ্যবাহী জাহাজ বাংলাদেশে আসেনি। সম্প্রতি করাচি থেকে চট্টগ্রামে এসেছে একটি পণ্যবাহী জাহাজ। পাকিস্তানের সঙ্গে কতটা ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে বাংলাদেশের, এতেই তা স্পষ্ট।

    এছাড়া, গত কয়েক মাস ধরে খালেদা জিয়ার বিএনপি’র সঙ্গেও বন্ধুত্ব বাড়াতে শুরু করেছে পাকিস্তান। সম্প্রতি বিএনপি’র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ। দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলাদেশ যেভাবে পাক জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছিল, সেই দিন কি আবার ফিরে আসছে? সব মিলিয়ে এটা পরিষ্কার, বাংলাদেশজুড়ে যে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে ইসলামাবাদ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    কূটনৈতিক মহলের মতে, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস হলেও, তাঁর হাত-পা বাঁধা রয়েছে জামাত-ই-ইসলাম, হেফাজতে ইসলামের মতো মৌলবাদী দলগুলির হাতে। এই মৌলবাদী দলগুলি দীর্ঘদিন ধরে মদত দিয়ে আসছে পাকিস্তানকে। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকা-ইসলামাবাদের সম্পর্ক যেভাবে গভীর হতে শুরু করেছে, তাতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এটা পরিষ্কার, বাংলাদেশের মাটিকে কাজে লাগিয়ে ভারতকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করবে পাকিস্তান। একই ভাবে সেই চেষ্টা করতে পারে চিনও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Border Guards: ভারতে প্রবেশ করে মন্দির নির্মাণে বাধা! বিএসএফের সক্রিয়তায় পিছু হটল বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী

    Bangladesh Border Guards: ভারতে প্রবেশ করে মন্দির নির্মাণে বাধা! বিএসএফের সক্রিয়তায় পিছু হটল বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসমের (Assam) শ্রীভূমি জেলার সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন এবং সীমান্ত নিয়মাবলী ভেঙে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (Bangladesh Border Guards)। বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একটি দল, কুশিয়ারি নদী পার করে শ্রীভূমি অঞ্চলের একটি মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে আসে। মন্দিরটি কুশিয়ারি নদীর তীরে অবস্থিত। এটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ছিল, সম্প্রতি তার পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি সাংসদ কৃষ্ণানাথ মাল্লার উদ্যোগে, ৩ লক্ষ টাকা ব্যায় করে এই মন্দিরের চূড়া নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। মন্দিরটি নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে এটি বাংলাদেশ থেকেও দেখা যাবে।

    কেন মন্দির নির্মাণে বাধা

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজিবি দল একটি স্পিডবোটে করে কুশিয়ারি নদী পার করে এদিন মন্দিরে পৌঁছয়। তারা এসেই শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। বিজিবি দাবি করে, মন্দিরের দৃশ্যমানতা বাংলাদেশের মুসলমানদের অনুভূতিতে আঘাত হানতে পারে, কারণ ইসলাম ধর্মে মূর্তিপূজা অনুচিত। তারা হুমকি দেয়, কাজ চলতে থাকলে গুলি করা হবে। তাদের দাবি ছিল, মন্দিরের উপস্থিতি বাংলাদেশের মুসলমানদের প্ররোচিত করবে। বিজিবির অনুপ্রবেশের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা মন্দিরের কাছে জড়ো হতে শুরু করে এবং বাংলাদেশ (Bangladesh Border Guards) বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। এরপর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর একটি দল এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তারা বিজিবি সদস্যদের ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেয়। বিএসএফ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মন্দির একটি পুরনো স্থাপনা। এর পুনর্নির্মাণ পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে। এরপর  প্রতিরোধের মুখে পড়ে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে পিছু হটে বিজিবি-র ওই দল।

    আরও পড়ুন: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    ঘটনার তদন্তের নির্দেশ

    শ্রীভূমি জেলার অতিরিক্ত জেলা কমিশনার উদয় শঙ্কর দত্ত জানান, জেলা প্রশাসন এ ঘটনায় একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রস্তুত করছে, যা রাজ্য সেক্রেটারির কাছে পাঠানো হবে। মন্দিরের পুনর্নির্মাণ কাজে কোনো বাধা দেওয়া যাবে না, এবং এলাকার নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ ও বিএসএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনা বিজিবির (Bangladesh Border Guards) আগ্রাসী মনোভাবের উদাহরণ বলে মনে করছে স্থানীয়রা। বিজিবির বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Inflation: অশান্ত বাংলাদেশ! জিনিসপত্রের দাম আগুন, চার মাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি

    Bangladesh Inflation: অশান্ত বাংলাদেশ! জিনিসপত্রের দাম আগুন, চার মাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুদের ওপর লাগাম ছাড়া অত্যাচার শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। দেশের সার্বিক উন্নতির বিষয়ে এই সরকার কার্যকরী কোনও ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ। আর যার জেরে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা ছিল। এবার সেই মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) চিন্তা বাড়াচ্ছে। একে একে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।

    মুদ্রাস্ফীতির কী অবস্থা? (Bangladesh)

    পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বরে ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) মুদ্রাস্ফীতি, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রধানত খাদ্যের অগ্নিমূল্যের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে এই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (BBS)। সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবরে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.৮৭ শতাংশ। নভেম্বরে খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১৩.৮০ শতাংশ বেড়েছে, যা এক মাস আগে ছিল ১২.৬৬ শতাংশ। নন ফুড আইটেমের মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবরে ৯.৩৪ শতাংশ থেকে নভেম্বরে ৯.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। অন্তত সেই কথাই বলছে তথ্য। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে (জুলাই ২০২৩ – জুন ২০২৪) দেশের গড় মুদ্রাস্ফীতি ৯.৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এটা সেই অর্থবর্ষের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫  শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। আগের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯.০২ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    বাংলাদেশে কলকাঠি নাড়ছে পাকিস্তান!

    যে দেশের বর্বর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে, পৃথক বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্ম হয়েছিল, তার নাম পাকিস্তান। আর যে দেশের সাহায্য ছাড়া, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম সম্ভব ছিল না, তার নাম ভারত। কিন্তু, আজকের বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা সেই ইতিহাস অবলীলায় ভুলেছে। প্রতিদিন ভারতের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিচ্ছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকার। আর এই গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঢাকায় পাকিস্তানের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিএনপি-র প্রধান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। প্রায় ঘণ্টাখানেক এই বৈঠক চলে। যা দেখে অনেকে বলছেন, এই ছবিতেই স্পষ্ট, ভারত-বিদ্বেষের সুযোগ নিয়ে, বাংলাদেশে কলকাঠি নাড়তে শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, বাংলাদেশ যেভাবে পাক-জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছিল, সেই অধ্যায় কি আবার ফিরতে চলেছে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    Bangladesh: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে তুরস্কে তৈরি ড্রোন (Turkish Drone) মোতায়েন করেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। এমন খবর পেতেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে বিএসএফ। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতে-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মানবহীন ড্রোন (UAVs) বায়রাক্টার টিবি ২ মোতায়েন হওয়ার একটি রিপোর্ট পায়। জানা যায়, এই ড্রোনগুলি পরিচালনা করছে বাংলাদেশের ৬৭ তম সেনাবাহিনী। এরপরই সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করে ভারতীয় সেনা (BSF)।

    কেন মোতায়েন ড্রোন

    বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে তুরস্কে তৈরি ড্রোন মোতায়েনের খবরের পর ভারত সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। মূলত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারির জন্য এই ড্রোনগুলিকে ব্যাবহার করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু এই বিষয়ে বাংলাদেশের দাবি, এই ড্রোনটি প্রতিরক্ষার খাতিরেই মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় এত উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন মোতায়েনের ব্যাপারটি মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত। ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং চোরাচালানী চক্রগুলো রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বাহিনীও সতর্কতা জারি করেছে।

    আরও পড়ুন: নারী নিপীড়নের ঘটনা ১১০টি, ১০৩টি রাজনৈতিক হিংসা! ইউনূস সরকারের ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    বাংলাদেশের অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ইতোমধ্যে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং নতুন ড্রোন মোতায়েনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হেরন টিপি ড্রোনের মতো উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, যা সীমান্ত এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সহায়ক। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, দিল্লি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় বিএসএফ। ভারত ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ঘরে-বাইরে চাপ! ড্যামেজ কন্ট্রোলে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ইউনূসের

    Bangladesh: ঘরে-বাইরে চাপ! ড্যামেজ কন্ট্রোলে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। লাগাতার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। দেশের মধ্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন সংখ্যালঘুরা। হিন্দুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারকে একাধিকবার বার্তা দিয়েছে ভারত। এমনকী, বিশ্ব দরবারে সমালোচিত হচ্ছে ইউনূস সরকার। অবশেষে ঘরে-বাইরে চাপের কাছে নতিস্বীকার করল ইউনূস প্রশাসন। জাতীয় ঐক্য নিয়ে মত বিনিময় করতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনূস।

    বৈঠকের পর কী বললেন ইউনূস? (Bangladesh)

    বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) ডাকে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ সহ সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতারা বৈঠকে যোগ দেন। এদিন বিকালে রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ইউনূস বলেন, ‘‘আলাদা আলাদা মতামত থাকলেও আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমরা সকলেই বাংলাদেশি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও হামলা হলে তৎক্ষণাৎ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।” বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন ইউনূস।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ইউনূস

    এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা। এক বিবৃতিতে ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান নিয়ে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন মহম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র নেতাদের সঙ্গে, বুধবার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। আর বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের বৈঠক করলেন। মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আগে দেখা হয়েছে। এখন সবার সঙ্গে দেখা হল, ভালো লাগছে। সরকারের কাছে তারা কী চাইছে, কী আশা করছে, সেগুলো জানতে চাইলাম।” ছাত্র নেতাদের ইউনূস রাষ্ট্রের অভিভাবক উল্লেখ করে বলেন, ‘‘তোমাদের কারণেই আজ বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব আছে রাষ্ট্র যেন ঠিক পথে চলে, যেন বিচ্যুত না হয়।”

    ইউনূসকে চিঠি দিলেন ভারতের বিশিষ্ট মুসলিমরা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে ইউনূসকে বৃহস্পতিবারই চিঠি দিয়েছেন ভারতের বিশিষ্ট মুসলিমরা। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি, দিল্লির সাবেক উপরাজ্যপাল নাজিব জং, প্রাক্তন সাংসদ ও নইদুনিয়া কাজের সম্পাদক শাহিদ সিদ্দিকি, দেশের অবসরপ্রাপ্ত উপ সেনাপ্রধান লেফট্যান্যান্ট জেনারেল জামিরউদ্দিন শাহ এবং শিল্পপতি শাহিদ মুস্তাফা শেরওয়ানি। বৃহস্পতিবার ইউনুসকে লেখা চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনায় মুসলিম হিসেবে আমরা লজ্জিত ও ব্রিবত বোধ করছি। ইসলাম কখনও এই ধরনের হিংসা অনুমোদন করে না। ইসলাম বরং সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাই শেখায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share