Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh: রাস্তায় আইসিসের পতাকা নিয়ে উল্লাস মিছিল! বাংলাদেশ কি ইসলামিক স্টেটে পরিণত হচ্ছে?

    Bangladesh: রাস্তায় আইসিসের পতাকা নিয়ে উল্লাস মিছিল! বাংলাদেশ কি ইসলামিক স্টেটে পরিণত হচ্ছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রমণের মুখে হিন্দুরা। লাগাতার চলছে অত্যাচার। বাড়িঘর, দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, ভাঙা হচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এমনটাই অভিযোগ। এরইমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে। এখানেই শেষ নয়। এবার অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে হুমকি মৌলবাদীদের। ইসকনের নাম নিলে গলা নামিয়ে দেওয়া হবে— এমনটাই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। উড়ল আইসিসের (ISIS) পতাকা। যা নিয়ে বাংলার দুই পারে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, এই ধরনের ঘটনা প্রমাণ করছে বাংলাদেশ ক্রমশও ইসলামিক স্টেটে পরিণত হতে যাচ্ছে। এই ঘটনা তা প্রমাণ করে দিল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    এতদিন ইউনূস সরকারের (Bangladesh) পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছিল জামাতে-ইসলামি মতো মৌলবাদী শক্তিরা। এবার যতদিন দিন যাচ্ছে সরকারের আসল চেহারা সামনে আসতে শুরু করেছে। এতদিন মুখোশের আড়ালে সবকিছু করলেও এখন ধীরে ধীরে দাঁত, নখ বের হতে শুরু করেছে। হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ থাকা জঙ্গি সংগঠনই এখন নতুন করে মাথা চাড়া দেওয়া শুরু করেছে। যা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের কাছে চরম আতঙ্কের। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উড়ল আইসিসের পতাকা। নামাজের পরে এক হিন্দু ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই মুহূর্তে আইসিস (ISIS)-র পতাকা নিয়ে মিছিল করে মৌলবাদীরা। প্রকাশ্যে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেল তাদের। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে হুমকি, রাস্তায় উড়ল ইসলামিক স্টেটের পতাকা। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে দেখা গেল বাংলাদেশি মৌলবাদীদের।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    কারা করল এই মিছিল?

    বাংলাদেশের (Bangladesh) রাস্তায় কালেমা সহ আইসিসের পতাকা ওড়ানোর ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মিছিল করেছিল নিষিদ্ধ হওয়া জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহেরি। শেখ হাসিনার সরকারের সময়কালে এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। হাসিনা সরকারের পতনের পরই ফের সক্রিয় তারা। আইসিসের পতাকা নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল তাদের। তহবিল জোগাড় করতেও দেখা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পরই, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এই নিষিদ্ধ সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। এই হিজবুত তাহেরির নেতা মাহফুজ আলম বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের একজন উপদেষ্টাও বটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি হিন্দ শূন্য হয়ে যাবে? সম্প্রতি দেশটিতে যেভাবে (ISKCON) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, যেভাবে হিন্দু সন্ন্যাসীদের (ISKCON) মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার পরে স্বভাবিকভাবেই উঠছে এই প্রশ্ন। দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজকে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায় সমাবেশ করছে। তবে তারাও নির্মম দমন-পীড়ন ও হামলার মুখোমুখি হচ্ছে।

    চিন্ময় মহারাজ (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্তও চিন্ময় মহারাজকে আটকে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সনাতনী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাঁর আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করতে গিয়েও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির, জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, হরকা তুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম (হেই)-এর মতো উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সাজাপ্রাপ্ত জিহাদিরা। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় মহারাজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা সনাতনীদের। চিন্ময় মহারাজ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করেছেন, তিনি বিএনপির নেতা। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করার পর পরের দিনই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে।

    হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

    চিন্ময় মহারাজ ছিলেন বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে গ্রেফতার করে হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিতে চেয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থী ও হিন্দু-বিরোধী এলিমেন্টরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। ২৭ নভেম্বর ভোরের দিকে চট্টগ্রাম শহরের মেথরপট্টি এলাকায় মনসা মায়ের মন্দিরে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। হজারিগলিতে কালী মন্দিরেও আগুন লাগিয়ে দেয় ইসলামপন্থী জনতা। হরিজন সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বহু হিন্দু বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলমানদের “ছুরি ধারালো করার” আহ্বান (ISKCON) জানাচ্ছে। তারা যাতে ইসকনের সদস্যদের হত্যা করতে পারে, তাই ছুরি ধারালো করার আহ্বান। চট্টগ্রাম শহরের হিন্দুরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর (Bangladesh Crisis)। এবারের অত্যাচার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    চরমে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার যদি এই হিংসা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে বহু হিন্দু খুন হতে পারেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন হিন্দু মহিলারা। চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর) বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার তুঙ্গে। নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। হামলা চালনো হচ্ছে হিন্দুদের বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুনও। স্থানীয় মিডিয়াকে এই ঘটনাগুলো প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বেশিরভাগই কোনও এক অজানা কারণে নৃশংসতার এই ছবি তুলে ধরা থেকে বিরত থেকেছে।

    বিহারিদের অত্যাচার!

    ‘স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ’ কমিউনিটির সদস্যরা, যারা বিহারি নামেও পরিচিত, তারাও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাধগুলো গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলি অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর কারণ সম্ভবত ইউনূসের প্রভাব এবং বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কানেকশনের কারণে (ISKCON)।

    ক্লিন্টনের কারবার

    দেশে লাগাতার হিন্দু নিধন যজ্ঞ চললেও, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকা সফরের সময় ইউনূসকে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে, বিল ক্লিনটন নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন হিজব-উত-তাহরির-এর নেতা মাহফুজ আলমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠন খিলাফত প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে। সেই সংগঠনেরই হয়ে সাফাই গাইতে দেখা যায় বিল ক্লিনটনকে। হিন্দুদের (Bangladesh Crisis) পীড়ন করার পাশাপাশি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাও শুরু করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। অক্টোবরে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের গায়ে জঙ্গি সংগঠনের তকমা সেঁটে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, সরকার আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

    এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামি শক্তির আধিপত্য। হিন্দু ও খ্রিষ্টান-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। তাই সমালোচনাও হবে না। মৌলবাদীদের পাশাপাশি করেকম্মে (ISKCON) খাবে জঙ্গিরাও (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • RSS: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা, সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তি চাইল আরএসএস

    RSS: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা, সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তি চাইল আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামে ফের একবার তিনটি মন্দিরে হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। এই আবহে সেদেশে হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি, হিন্দুদের ওপর হামলা বন্ধ এবং ইসকনের গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবি তুলেছেন। আরএসএস-র তরফ থেকে দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সকল সংখ্যালঘুদের উপর মৌলবাদীদের হামলা চলছে। বিশেষ করে মহিলাদের উপরে হামলা, খুন, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং অমানবিক অত্যাচারের ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এর তীব্র নিন্দা জানায়।’’

    হিন্দুদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে

    একইসঙ্গে ওই বিবৃতিতে (RSS) আরও বলা হয়েছে, ‘‘লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেখানকার সরকার এই ধরনের হামলা বন্ধ করতে সঠিক পদক্ষেপ করতে পারছে না। শুধুমাত্র তাই নয়, এই হামলা নিয়ে একেবারেই নীরব থাকছে অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের প্রশাসন। সরকারের কাছে সহযোগিতা না পেয়ে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা যখন নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে গর্জে উঠছে, নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামছে, তখন তাদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা চলছে।’’ ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগারে পাঠানো বাংলাদেশ সরকারের অন্যায়। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করে।’’

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের মুখ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বলল আরএসএস (RSS)

    দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale) আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার সন্ন্যাসী পূজ্যশ্রী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহাপ্রভুকে গ্রেফতার করেছে। যিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের অন্যতম মুখ। শান্তি ফেরানোর দাবিতে যিনি আন্দোলন করছিলেন।’’ একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে, যে ধরনের হামলা হিন্দুদের ওপর চলছে তা যেন অবিলম্বে বন্ধ হয় এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে যেন মুক্তি দেওয়া হয়।

    ভারত সরকারের কাছে সঙ্ঘের (RSS) দাবি 

    একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ভারত সরকারের কাছেও দাবি জানিয়েছে যে, সরকার যেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ  করে। আন্তর্জাতিক স্তরে এই ইস্য়ুতে যেন আলোচনা চালায় মোদি সরকার। ওই বিবৃতি অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ মনে করছে বাংলাদেশের এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে সারা বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলির ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশে অত্যাচারিত হিন্দুদের পাশে দাঁড়ানোটা কর্তব্য। সারা বিশ্বে শান্তি এবং সম্প্রীতির স্বার্থে।

    গতকাল শুক্রবারই ইউনূস সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে দিল্লি

    প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় ইউনূস সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে দিল্লি। একই সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনি অধিকার সুরক্ষিত রাখার আবেদনও জানাল ঢাকার কাছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আশা করব চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে। তাঁর আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।’’

    এর আগে, বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই বাংলাদেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র এনিয়ে বলেন, ‘‘বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমরা লাগাতার বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও বৈঠকের কথা হয়, তাহলে তা জানানো হবে।’’

    শুক্রবারই সংসদে বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী

    শুক্রবারই বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে লিখিত বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নিজের বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রত্যেকটি ঘটনার ওপরেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দোকান, ঘর, বাড়ি লুট করা হচ্ছে। মন্দিরগুলির ওপরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মস্থলগুলিতেও হামলা চলছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।

    শুক্রবারও হামলা চলেছে চট্টগ্রামে

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপরে হামলা চলছেই। শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, মৌলবাদীদের একটি দল হামলা চালায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের তিনটি হিন্দু মন্দিরে। প্রত্যেকটি মন্দিরকেই ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চট্টগ্রামের হরিশচন্দ্র মুন্সি লেনে দুপুর আড়াইটা নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির ও তার নিকটবর্তী একটি শনি মন্দির এবং শান্তনেশ্বরী কালীবাড়িতে হামলা করা হয়। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি ভিড় থেকে স্লোগান দিতে দিতে ইট নিয়ে হামলা চালানো হয় মন্দিরগুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: আদালতে ধাক্কা খাওয়া ইউনূস সরকারের নয়া চক্রান্ত, ফ্রিজ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

    ISKCON: আদালতে ধাক্কা খাওয়া ইউনূস সরকারের নয়া চক্রান্ত, ফ্রিজ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসকন (ISKCON) ইস্যুতে বাংলাদেশ কোর্টে জোর ধাক্কা খেয়ছে মৌলবাদীরা। কারণ, অনেক ইসলামপন্থি বাংলাদেশি তাঁদের দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ‘ইসকন’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিতে সরব হয়েছিল। এই মর্মে বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি পিটিশনও দাখিল করা হয়। তবে আদালতে সেই পিটিশন খারিজ হয়ে যায়। আদালত সরকারের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে। আদালতে কাজ হাসিল না হওয়ায় ‘রাগে’ ইসকনের ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিল ইউনূস সরকার। অবশ্য ইউনূসকে সামনে রেখে পিছনে ছড়ি ঘোরানো মৌলবাদীরা ইসকনকে চাপে রাখতে সব রকমের কৌশল নেওয়া শুরু করেছে। এবার মূলত ইসকনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের দিকে ইউনূস সরকারের নজর রয়েছে!

    ইসকনের ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ! (ISKCON)

    বাংলাদেশের ইসকনের (ISKCON) ১৭ জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিল দেশের অর্থনৈতিক কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছেন ধৃত সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসও। প্রথম আলো সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে এই নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের ফিনান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এক মাস এই অ্যাকাউন্টগুলিতে কোনও রকম আর্থিক লেনদেন হবে না, কড়া নির্দেশে জানিয়েছে বিএফআইইউ। বিএফআইইউ ইসকনের ১৭ জনের অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য জানাতে বলেছে ওই ব্যাঙ্ক এবং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে। তিনদিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে বিএফআইইউ-কে।

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    চিন্ময় প্রভু গ্রেফতারি নিয়ে সরব অসকন

    প্রসঙ্গত, ২৫ নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন সনাতনী নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। এই ঘটনার পরপরই বাংলাদেশের ইসকন (ISKCON) বিবৃতিতে চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে। বৃহস্পতিবারও এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমরা সবাই হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আর্জি জানাচ্ছি। ফের শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হোক দেশে। চিন্ময়কৃষ্ণ দাস হিন্দুদের রক্ষার্থে এবং মন্দিরের সুরক্ষার জন্য লড়াই করছেন। অধিকার আদায় এবং স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামের অধিকার তাঁর রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে সমর্থন করা থেকে বিরত হচ্ছি না।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে ইসকন, সুরক্ষার দবিতে রবিবার বিশ্বজুড়ে প্রার্থনাসভার ডাক

    ISKCON: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুদের পাশে ইসকন, সুরক্ষার দবিতে রবিবার বিশ্বজুড়ে প্রার্থনাসভার ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট থেকেই বাংলাদেশে লাগাতার হিন্দু ধর্মের মানুষের উপর ব্যাপক অত্যাচার করছে ওই দেশের উগ্র মুসলিম এবং ইউনূস প্রশাসন। এবার হিন্দুদের নিরাপত্তা চেয়ে ১ ডিসেম্বর, রবিবার বিশ্ব জুড়ে ইসকনের (ISKCON) পক্ষ থেকে শান্তি এবং সুরক্ষার দবিতে কীর্তন করে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন কলকাতা ইসকন কার্যালয়ের মুখপাত্র রাধারমণ দাস। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডলে এই বার্তা দিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে ইউনূস প্রশাসন। এরপর থেকে ভারত সহ সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে মুখ পুড়েছে নোবেল জয়ী ইউনূসের।

    ১৫০টিরও বেশি দেশের অগুনিত শহরে ধর্ম সভা (ISKCON)

    এদিন ইসকনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “সারা বিশ্বজুড়ে ১৫০টিরও বেশি দেশের অগুনিত শহরে লক্ষ লক্ষ ইসকন ভক্ত এই প্রতিবাদ প্রার্থনা সভায় যোগদান করবেন। এই সভার একটাই দাবি, বাংলাদেশের হিন্দুদের ধর্ম পালনের নিরাপত্তা চাই। তাই সকল ভক্তদের আবেদন করা হচ্ছে সকলে আসুন। নিজ নিজ ইসকন (ISKCON) মন্দিরে বা ধর্মসভায় যোগদান করে সম্মিলিত ভাবে সংকীর্তনে যোগদান করুন।” আবার ইসকন সম্প্রতি মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস সম্পর্কে বলেছে, “বাংলাদেশে হিন্দুদের অধিকার এবং তাঁদের ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য চিন্ময় কৃষ্ণের প্রচেষ্টাকে ইসকন সমর্থন করে। তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি।”

    আরও পড়ুনঃ ১১৫ বছরের কলেজ ওয়াকফ সম্পত্তি! বারাণসীতে উত্তেজনা, বসল পুলিশ ক্যাম্প

    শুক্রবার ৩টি মন্দির ভেঙেছে জামাত-বিএনপি

    অপরদিকে, শুক্রবারও বাংলাদেশের চট্টগ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর করা হয়। এরপর আতঙ্কিত হিন্দুরা বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র পালাতে শুরু করেন। শুধু মন্দির নয়, একই ভাবে হিন্দু জনতার দোকান এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রগুলিকেও ভাঙচুর করা হয়। স্থানীয় হিন্দু জনতার অভিযোগ, জামাতে-ইসলামি এবং বিএনপির মিছিল থেকে আচমকা মন্দিরে হামলা চালানো হয়। ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ করার জন্য দাবিও তোলা হয় ওই মিছিলে। এই এলাকায় প্রায় ৯০ শতাংশ হিন্দু। হিন্দু জনতাকে ভয় দেখিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকেই প্রাণের ভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: ‘‘ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: ‘‘ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে বিস্ফোরক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ভারতেও বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। সোমবার সীমান্ত অবরুদ্ধ করার ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই আবহের মধ্যে মহম্মদ ইউনূসকে কড়া বার্তা দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)।

    ইউনূসের নোবেল ফিরিয়ে নেওয়া উচিত (Abhijit Ganguly)

    অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) বলেন, ‘‘অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ সরকার এই নিয়ে বিশেষ কিছু করছে বলে মনে হচ্ছে না। এই ইউনূস, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন, আমার মনে হয়, এই ইউনূস যেভাবে গত ৯০ দিন ধরে চালাচ্ছেন, একটা বেআইনি সরকার চলছে, কারণ তাঁদের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেননি এখনও। যেভাবে অন্য ধর্মের ওপর, বিশেষত হিন্দু ধর্মের ওপর যে আক্রমণ চলছে, তাতে আমি মনে করি নোবেল কমিটির এই মুহূর্তে তাঁর নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। আপনারা হয়ত আমায় জিজ্ঞেস করতে পারেন, নোবেল কমিটির এই রুল আছে কিনা? আমি বলতে পারব না। কিন্তু একটা সাধারণ নিয়ম আছে, কোনও কর্তৃপক্ষ, যদি কোনও একটা কাজ করতে চান, অর্থাৎ কোনও একটা কাজ করানোর ক্ষমতা থাকে, তাহলে তার সেই কাজ নাকচ করানোরও ক্ষমতা থাকে।’’

    আরও পড়ুন: দক্ষিণ ভারতে ধেয়ে আসছে ‘ফেনজল’, ল্যান্ডফল বিকেলেই, কলকাতায় মেঘলা আকাশ

    ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ

    ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদন খারিজ করেছে সেদেশের হাইকোর্ট। সরকারের কোর্টে বল ঠেলে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘দেশের জনগণের প্রাণ ও সম্পত্তি, কারও যেন কোনও ক্ষতি না হয়, এটা সবারই চিন্তা।’’ এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি হিন্দুদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কলকাতায় মিছিল করে, বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে তা চরম আকার নিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। ঢাকাকে বার্তা দিয়েছে দিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! চট্টগ্রামে ফের হামলা ৩ মন্দিরে

    Bangladesh: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! চট্টগ্রামে ফের হামলা ৩ মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপরে হামলা চলছেই। ইতিমধ্যে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে ভারত সরকারও। ঠিক এই আবহে শুক্রবার ২৯ নভেম্বর মৌলবাদীদের একটি দল হামলা চালায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের তিনটি হিন্দু মন্দিরে। প্রত্যেকটি মন্দিরকেই ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের (Bangladesh) বন্দর নগরী বলে পরিচিত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এখানেই গ্রেফতার করা হয় ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

    একটি ভিড় স্লোগান দিতে দিতে হামলা চালায় 

    সে নিয়ে উত্তাল হয় চট্টগ্রাম (Chattogram) আদালত। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চট্টগ্রামের হরিশচন্দ্র মুন্সি লেনে দুপুর আড়াইটা নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির ও তার নিকটবর্তী একটি শনি মন্দির এবং শান্তনেশ্বরী কালীবাড়িতে হামলা করা হয়। বাংলাদেশের (Bangladesh) জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল বিডি নিউজ২৪ এই খবর করেছে। ওই পোর্টালের নিউজ অনুযায়ী, একটি ভিড় স্লোগান দিতে দিতে  ইট নিয়ে হামলা চালায় মন্দিরগুলিতে। 

    মন্দিরের পাশপাশি হামলা চলে আশেপাশের দোকানগুলিতেও

    এ নিয়ে বিবৃতি সামনে এসেছে স্থানীয় কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিমের। তিনি এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। শান্তনেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষের অন্যতম সদস্য তপন দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুক্রবার জুম্মার নমাজের পরে শতাধিক ভিড়ের একটি মিছিল আসে এবং তারা হিন্দু বিরোধী ও ইসকন বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে। এর পরেই হামলা চালানো হয়। মন্দিরের মূল দরজায় আক্রমণ করে। এই সময় অন্য একটি ভিড় পাশের শনি মন্দির ও কালীমন্দিরে হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, বেশ কতগুলি দোকান ঘরেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

    বুধবারই বন্ধ করা হয় ইসকনের এক মন্দির

    বুধবার বাংলাদেশের সোনালি মার্কেটে অবস্থিত ইসকন মন্দির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মৌলবাদী নেতারা আধ ঘণ্টার মধ্যে মন্দির বন্ধ করার এবং ইসকনের সদস্যদের গ্রেফতার করার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ ও সেনারাও সেখানে উপস্থিত ছিল। ইসকনের সমর্থকদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। বেছে বেছে হিন্দুদেরই পুলিশ ধরছে বলে অভিযোগ। হিন্দুদের ওপরে মৌলবাদীদের নেতৃত্বে হামলার লাগাতার অভিযোগ আসছে। বাড়ি-ঘর, দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয়ঙ্কর চিত্রও সামনে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা। তৃণমূল জমানায় নানা প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মিথ্যা দাবি তুলে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই আবহে ফের একবার তথ্য দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূলের মালিকরা বারেবারে বলে বিজেপির জমিদাররা ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর নিয়েছে। ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার নায্য পাওনা আটকে রেখেছে। ভারত সরকার ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে।’’

    কেন্দ্রের সুদের টাকায় মেলা-খেলা 

    তৃণমূল সরকারকে (West Bengal) তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘আসলে এরা আগে সেন্ট্রালের শেয়ার নিয়ে অ্যাকাউন্টে রেখে দিত। তার সুদের টাকায় খেলা-মেলা-দান-ভাতা এসব করতো। কেন্দ্র এটাকে আটকে দিয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন চালু করেছে। যার মধ্যে এরা আসতে রাজি নয়। কারণ এটা তো আলাদা রাজ্য। এখানে আলাদা জাতীয় বাংলা সঙ্গীত রয়েছে, আলাদা পতাকা, আলাদা সংবিধান, পুজো-পার্বনের আলাদা নিয়ম।’’

    থমকে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প

    একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প মমতা সরকার বাংলায় চালু করেনি। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মোদিজীর কাছ থেকে ৮২ লক্ষের কাছাকাছি শৌচালয় পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু, কে পেয়েছে শৌচালয় কেউ জানে না। বাংলায় ৮৩ লক্ষের বেশি পিএম কিষাণ পাচ্ছে না। কেন পাঠানো হচ্ছে না নাম? কেন সেন্ট্রাল স্কিমগুলি চালু হচ্ছে না? আপনার কার্ড বাইরে চলে না কিন্তু আপনি কেন আয়ুষ্মান ভারত অন্তত বাইরে চালু করছেন না? বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে ডিএম-দের দিয়ে মিটিং করাচ্ছেন না। তার কোনও উত্তর নেই।’’

    বাংলা বঞ্চিত নয়, বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে  

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বেলডাঙার এক প্রধান একা ১৭টি বাড়ি নিয়েছেন। কাবিলপুরের প্রধান সাগরদিঘির একা আত্মীয়-স্বজন মিলে ৩৫টি বাড়ি নিয়েছেন। কারণ পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা বাইরে আছে এটাই আশ্চর্যের। এদের ভিতরে থাকার কথা। প্রত্যেকটা লোক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। বাংলা বঞ্চিত নয়। বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘আশা করব স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে চিন্ময়কৃষ্ণের’’, ঢাকাকে কড়া বার্তা দিল্লির

    Bangladesh: ‘‘আশা করব স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে চিন্ময়কৃষ্ণের’’, ঢাকাকে কড়া বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় ইউনূস সরকারের তীব্র নিন্দা করল দিল্লি। একই সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনি অধিকার সুরক্ষিত রাখার আবেদনও জানাল ঢাকার কাছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আশা করব চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে। তাঁর আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।’’

    হিন্দুদের ওপর হামলা, চিন্তিত ভারত সরকার 

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই বাংলাদেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমরা লাগাতার বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও বৈঠকের কথা হয়, তাহলে তা জানানো হবে।’’

    বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি

    রণধীর জয়সওয়ালের (Randheer Jaiswal) মতে, ‘‘ভারতের অবস্থান খুব পরিষ্কার। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। নিরাপত্তার দায়িত্বও নিতে হবে।’’ তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে বাণিজ্য চলবে বলে জানিয়েছেন রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যে এখনই এর কোনও প্রভাব পড়ছে না। ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য যেমন চলছিল তেমনই চলবে।’’ উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বার বার সংখ্যালঘু এবং হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকে।

    শুক্রবারই সংসদে বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী

    শুক্রবারই বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে সংসদে লিখিত বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নিজের বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রত্যেকটি ঘটনার ওপরেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দোকান, ঘর, বাড়ি লুট করা হচ্ছে। মন্দিরগুলির ওপরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মস্থলগুলিতেও হামলা চলছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Unrest: ২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেছে ইসলামি ছাত্র শিবির, আইএসআই!

    Bangladesh Unrest: ২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেছে ইসলামি ছাত্র শিবির, আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কবল থেকে ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে স্বাধীনতা লাভ করেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ৫২ বছর পর সেই বাংলাদেশে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ। পাকিস্তানের সেই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছয়। জাহাজে কী ছিল? জানা যায়নি স্পষ্ট করে। কিন্তু এরমধ্যে হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে দিয়ে লুট হয়েছে গণভবন (Bangladesh Unrest)। আওয়ামি লিগকে বিতাড়িত করে, পেছনের দরজা দিয়ে গদিতে বসেছেন মহম্মদ ইউনূস (Muhammed Yunus)। দেশ এখন সম্পূর্ণ ভাবে জামাত-ই-ইসলামি এবং বিএনপি-র মতো কট্টর মৌলবাদী জেহাদিদের হাতে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে (Anti Hindu Conspiracy)। একই ভাবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করার দৃষ্টান্ত নজরে এসেছে সামজিক মাধ্যমে। কীভাবে উপকারীর অপকার করতে হয় তার হয়ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইউনূস প্রশাসন। তবে, এটা আচমকা শুরু হয়নি। গত ২ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী (Anti Hindu Conspiracy) ও ভারত-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনে চলেছে কট্টর মৌলবাদী ইসলামি ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং পাকিস্তানের আইএসআই (Pak ISI)। আসুন জেনে নিই কীভাবে এতকাণ্ড ঘটল।

    ষড়যন্ত্র শুরু হয় ২০২২ সালে

    বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) গভীর ষড়যন্ত্রের প্রথম শুরু হয় ২০২২ সালের একেবারে গোড়ায়। ইসলামিক ছাত্র শিবিরের (Islami Chhatra Shibir) নেতারা তখন ঘনঘন পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে লাগাতার বৈঠক হয়। সেখানেই আন্দোলন এবং পরিকল্পনার রোডম্যাপ তৈরি করা হয়। তবে তারা এক দিনের আন্দোলন নয়, দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের বিষয় স্থির করেছিল। যার প্রথম ধাপে ছিল বিপুল পরিমাণ মানুষকে ক্ষিপ্ত করে রাস্তায় নামানো (Bangladesh Unrest)। এরপর শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানো। তারপর দ্বিতীয় ধাপে মহম্মদ ইউনূসকে তত্ত্বাবোধায়ক সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেওয়া। কারণ ইউনূস এমন ব্যক্তি যিনি ইসালামি আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই কাজ করবেন। আইএসআই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বাংলাদেশে ইসলামকে সর্বাত্মক কার্যকর করতে হবে। কোনও সংখ্যালঘু (Anti Hindu Conspiracy) যেন আর না থাকে। অত্যাচার, নিপীড়ন, লুট, ধর্ষণ, খুনের বিরাট টার্গেট স্থির করা হয়। পাকিস্তানের মতো যেন বাংলাদেশ হিন্দু শূন্য হয়, এটাই পরিকল্পনা স্থির হয়েছিল। 

    আইএসআই-এর বিরাট ষড়যন্ত্র! (Anti Hindu Conspiracy)

    কার্যত এই পরিকল্পনার স্পষ্ট বাস্তবায়ন আমরা দেখেছি গত ৫ অগাস্টের পর থেকে। একে একে রংপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রামে হিন্দু মন্দির এবং বাড়ি-ঘরে কীভাবে হামলা হয়েছে (Bangladesh Unrest)। তবে আইএসআই ছাত্র শিবিরকে আশ্বাস দিয়েছিল, আন্দোলনে শোরগোল ফেলতে আরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। তরুণ মুসলমান যুবকদের ভারত বিরোধী (Anti India Campaign) মগজ ধোলাই করতে সামজিক মাধ্যমে নানা উপকরণ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকৃত তথ্য এবং বিভ্রান্ত খবরের জোগান দিয়ে যুব সমাজের মনকে আকর্ষণ করা হয়। প্রথমে সামজিক মাধ্যমে আবহকে উত্তপ্ত করা হয় এবং এরপর মাঠে-ময়দানে, রাস্তায়  ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে নামানো হয় জনগণকে।

    ছাত্রদের মুখ করতে হবে

    আইএসআই খুব স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিয়েছিল এই আন্দোলন যেন দেখতে সম্পূর্ণ ভাবে ছাত্র আন্দোলন হয়। ছাত্রদের সামনে রাখলে তবেই আন্দোলন বাস্তবায়ন হবে। উদ্দেশ্য সফল হবে। যে ছাত্র সমাজ কোটা-বিরোধী আন্দোলনে (Bangladesh Unrest) যোগদান করেছিল, তাদের একটা বড় অংশ আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল (Anti Hindu Conspiracy)। বিএনপি এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক রং দেয়। বিশ্বের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে ছাত্র আন্দোলনের নামে যে কোনও স্বার্থকে খুব সহজেই আদায় করা যায়। জামাত শিবির, ইসলামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং আইএসআই তাই এই বৃহৎ পরিকল্পনা করেছিল (Islami Chhatra Shibir Pak ISI Nexus)।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের

    প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা (Bangladesh Unrest)

    প্রায় দুই বছর ধরে ইসালামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক জায়গায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। জামাতের এই ছাত্র সংগঠনের অনেক সদস্য পাকিস্তানের আইএসআই-এর দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়। তবে তারা নিজেরা রাস্তায় না নামলেও পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে রাস্তায় নামতে যুক্তি, কারণ এবং তথ্য প্রদানের কাজ করেছে। ফলে, আজকে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, তার জন্য আইএসআই ভীষণ ভাবে দায়ী। 

    ভারত বিদ্বেষী প্রচার 

    আইএসআই-এর কাছে হাসিনার সরকারকে টার্গেট করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিক হয় ভারত বিদ্বেষী (Anti India Campaign) ভাবনার ব্যাপক প্রচার-প্রসার। হাসিনার আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৬.৩ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছিল। ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মিত্রতার। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) বাণিজ্য ২০২১ সালে রেকর্ড স্তর ১৪ বিলিয়ন ডালারে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে ১১.৩ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে। অপর দিকে নতুন ইউনূস সরকার জানিয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না। যদিও বাংলাদেশের থেকে আদানি পাওয়ার সংস্থার ৮০ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে। এখন এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সঙ্গে যাতে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share