Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh Inflation: অশান্ত বাংলাদেশ! জিনিসপত্রের দাম আগুন, চার মাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি

    Bangladesh Inflation: অশান্ত বাংলাদেশ! জিনিসপত্রের দাম আগুন, চার মাসে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতায় আসার পর থেকে হিন্দুদের ওপর লাগাম ছাড়া অত্যাচার শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। দেশের সার্বিক উন্নতির বিষয়ে এই সরকার কার্যকরী কোনও ভূমিকা নেয়নি বলে অভিযোগ। আর যার জেরে মুদ্রাস্ফীতির আশঙ্কা ছিল। এবার সেই মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) চিন্তা বাড়াচ্ছে। একে একে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম।

    মুদ্রাস্ফীতির কী অবস্থা? (Bangladesh)

    পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বরে ১১.৩৮ শতাংশে পৌঁছেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) মুদ্রাস্ফীতি, যা গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রধানত খাদ্যের অগ্নিমূল্যের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের মুদ্রাস্ফীতির বিষয়ে এই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিকস (BBS)। সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, অক্টোবরে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.৮৭ শতাংশ। নভেম্বরে খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১৩.৮০ শতাংশ বেড়েছে, যা এক মাস আগে ছিল ১২.৬৬ শতাংশ। নন ফুড আইটেমের মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবরে ৯.৩৪ শতাংশ থেকে নভেম্বরে ৯.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। অন্তত সেই কথাই বলছে তথ্য। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে (জুলাই ২০২৩ – জুন ২০২৪) দেশের গড় মুদ্রাস্ফীতি ৯.৭৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এটা সেই অর্থবর্ষের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ৭.৫  শতাংশের চেয়ে অনেক বেশি। আগের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯.০২ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    বাংলাদেশে কলকাঠি নাড়ছে পাকিস্তান!

    যে দেশের বর্বর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে, পৃথক বাংলাদেশের (Bangladesh) জন্ম হয়েছিল, তার নাম পাকিস্তান। আর যে দেশের সাহায্য ছাড়া, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম সম্ভব ছিল না, তার নাম ভারত। কিন্তু, আজকের বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা সেই ইতিহাস অবলীলায় ভুলেছে। প্রতিদিন ভারতের বিরুদ্ধে বিষ উগরে দিচ্ছে বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস সরকার। আর এই গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ঢাকায় পাকিস্তানের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করলেন বিএনপি-র প্রধান ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। প্রায় ঘণ্টাখানেক এই বৈঠক চলে। যা দেখে অনেকে বলছেন, এই ছবিতেই স্পষ্ট, ভারত-বিদ্বেষের সুযোগ নিয়ে, বাংলাদেশে কলকাঠি নাড়তে শুরু করে দিয়েছে পাকিস্তান। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, খালেদা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন, বাংলাদেশ যেভাবে পাক-জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছিল, সেই অধ্যায় কি আবার ফিরতে চলেছে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    Bangladesh: সীমান্তে তুরস্কের ড্রোন মোতায়েন করল বাংলাদেশ, সতর্ক ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে তুরস্কে তৈরি ড্রোন (Turkish Drone) মোতায়েন করেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার। এমন খবর পেতেই ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করেছে বিএসএফ। সম্প্রতি ভারতীয় সেনাবাহিনী ভারতে-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মানবহীন ড্রোন (UAVs) বায়রাক্টার টিবি ২ মোতায়েন হওয়ার একটি রিপোর্ট পায়। জানা যায়, এই ড্রোনগুলি পরিচালনা করছে বাংলাদেশের ৬৭ তম সেনাবাহিনী। এরপরই সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করে ভারতীয় সেনা (BSF)।

    কেন মোতায়েন ড্রোন

    বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে তুরস্কে তৈরি ড্রোন মোতায়েনের খবরের পর ভারত সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। মূলত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারির জন্য এই ড্রোনগুলিকে ব্যাবহার করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু এই বিষয়ে বাংলাদেশের দাবি, এই ড্রোনটি প্রতিরক্ষার খাতিরেই মোতায়েন করা হয়েছে। তবে সীমান্ত এলাকায় এত উন্নত প্রযুক্তির ড্রোন মোতায়েনের ব্যাপারটি মোটেও হালকা ভাবে নিচ্ছে না ভারত। ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সীমান্তবর্তী এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বেড়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং চোরাচালানী চক্রগুলো রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় বাহিনীও সতর্কতা জারি করেছে।

    আরও পড়ুন: নারী নিপীড়নের ঘটনা ১১০টি, ১০৩টি রাজনৈতিক হিংসা! ইউনূস সরকারের ‘মিথ্যাচার’ ফাঁস

    ভারতের প্রতিক্রিয়া

    বাংলাদেশের অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ইতোমধ্যে উচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং নতুন ড্রোন মোতায়েনের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাছে হেরন টিপি ড্রোনের মতো উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, যা সীমান্ত এলাকায় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সহায়ক। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে, দিল্লি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্রিয় বিএসএফ। ভারত ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ঘরে-বাইরে চাপ! ড্যামেজ কন্ট্রোলে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ইউনূসের

    Bangladesh: ঘরে-বাইরে চাপ! ড্যামেজ কন্ট্রোলে সব ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ইউনূসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। লাগাতার হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। দেশের মধ্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন সংখ্যালঘুরা। হিন্দুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারকে একাধিকবার বার্তা দিয়েছে ভারত। এমনকী, বিশ্ব দরবারে সমালোচিত হচ্ছে ইউনূস সরকার। অবশেষে ঘরে-বাইরে চাপের কাছে নতিস্বীকার করল ইউনূস প্রশাসন। জাতীয় ঐক্য নিয়ে মত বিনিময় করতে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মহম্মদ ইউনূস।

    বৈঠকের পর কী বললেন ইউনূস? (Bangladesh)

    বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের (Md Yunus) ডাকে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান এবং বৌদ্ধ সহ সকল ধর্মের ধর্মীয় নেতারা বৈঠকে যোগ দেন। এদিন বিকালে রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এই বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ইউনূস বলেন, ‘‘আলাদা আলাদা মতামত থাকলেও আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা পরস্পরের শত্রু নই। আমরা সকলেই বাংলাদেশি।” তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কোনও হামলা হলে তৎক্ষণাৎ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।” বাংলাদেশের সকল নাগরিকের সমান অধিকার বলেও বৈঠকে মন্তব্য করেন ইউনূস।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ইউনূস

    এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh) প্রধান উপদেষ্টা। এক বিবৃতিতে ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, জাতীয় ঐক্যের আহ্বান নিয়ে ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক দল ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবেন মহম্মদ ইউনূস। এর মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাত্র নেতাদের সঙ্গে, বুধবার প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউনূস। আর বৃহস্পতিবার ধর্মীয় নেতাদের বৈঠক করলেন। মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সেই বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে আগে দেখা হয়েছে। এখন সবার সঙ্গে দেখা হল, ভালো লাগছে। সরকারের কাছে তারা কী চাইছে, কী আশা করছে, সেগুলো জানতে চাইলাম।” ছাত্র নেতাদের ইউনূস রাষ্ট্রের অভিভাবক উল্লেখ করে বলেন, ‘‘তোমাদের কারণেই আজ বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব আছে রাষ্ট্র যেন ঠিক পথে চলে, যেন বিচ্যুত না হয়।”

    ইউনূসকে চিঠি দিলেন ভারতের বিশিষ্ট মুসলিমরা

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে ইউনূসকে বৃহস্পতিবারই চিঠি দিয়েছেন ভারতের বিশিষ্ট মুসলিমরা। সেই তালিকায় রয়েছেন ভারতের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশি, দিল্লির সাবেক উপরাজ্যপাল নাজিব জং, প্রাক্তন সাংসদ ও নইদুনিয়া কাজের সম্পাদক শাহিদ সিদ্দিকি, দেশের অবসরপ্রাপ্ত উপ সেনাপ্রধান লেফট্যান্যান্ট জেনারেল জামিরউদ্দিন শাহ এবং শিল্পপতি শাহিদ মুস্তাফা শেরওয়ানি। বৃহস্পতিবার ইউনুসকে লেখা চিঠিতে তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনায় মুসলিম হিসেবে আমরা লজ্জিত ও ব্রিবত বোধ করছি। ইসলাম কখনও এই ধরনের হিংসা অনুমোদন করে না। ইসলাম বরং সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাই শেখায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: আগরতলা-কলকাতার ২ কূটনীতিককে জরুরি তলব করল বাংলাদেশ সরকার

    Bangladesh: আগরতলা-কলকাতার ২ কূটনীতিককে জরুরি তলব করল বাংলাদেশ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে। এই আবহে কলকাতায় বাংলাদেশের (Bangladesh) উপদূতাবাসের প্রধান ও আগরতলায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সহকারী প্রধানকে ডেকে পাঠাল ইউনূস সরকার (Muhammad Yunus)। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। ত্রিপুরার বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার হলেন আরিফুর রহমান এবং কলকাতার এই মুহূর্তে ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশইনার সিকদার মহম্মদ। দুজনেই ইউনূস সরকারের জরুরি তলবে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

    কেন ডেকে পাঠানো হল? (Bangladesh) 

    বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের ঘটনায় ভারতেও বিক্ষোভ শুরু হয়। ত্রিপুরা ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাস ঘিরে চলে বিক্ষোভ। মনে করা হচ্ছে, এই কারণেই ডেকে পাঠানো হল দুই কূটনীতিককে। আবার কোনও কোনও মহলের মতে, ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিশ্রি বাংলাদেশ সফর করতে পারেন আগামী ৯ অথবা ১০ ডিসেম্বর। এখানে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। ভারতের বিদেশ সচিবের সফরের আগে তাই ডেকে পাঠানো হল দুই কূটনীতিককে। 

    প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ভারতের এই দুই দূতাবাসে বিক্ষোভ হওয়ার ঘটিনাটাকে খুব বড় করেই ওই বৈঠকে তুলে ধরা হবে। সেইসঙ্গে ভারত নিরাপদ নয়, সেটাও প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনারের অফিস ‘ক্লোজ’ করে দিয়েছে ইউনূস সরকার (Muhammad Yunus)।

    দূতাবাসে বিক্ষোভের জেরে ব্যবস্থা নেয় ত্রিপুরা সরকার

    গত সোমবার ত্রিপুরায় বাংলাদেশের (Bangladesh) উপদূতাবাসে বিক্ষোভ দেখায় একটি হিন্দু সংগঠন। অভিযোগ, সেই সময় হামলাও চালানো হয় দূতাবাসে। তবে এই ঘটনায় ব্যবস্থাও নিয়েছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে নিলম্বিত করা হয়েছে তিন পুলিশকর্মীকে। ক্লোজ করা হয়েছে এক ডেপুটি পুলিশ সুপারকেও।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা, হিন্দুদের জেগে ওঠার ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাম ছাড়া অত্যাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ মৌলবাদীদের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার পথে নেমেছে সনাতনী সমাজ। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ৫০টি সংগঠনের ডাকে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। আর সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে মঞ্চ থেকেই হিন্দুদের জেগে ওঠার বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা।

    কী বললেন শুভেন্দু ? (Suvendu Adhikari)

    এদিন সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ওপারে যাহা ইউনূস, এপারে তাহাই মমতা। ওপারের মতো এপারেও হিন্দুদের ওপর হামলা। ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, শ্যামপুর, বেলডাঙার মতো ঘটনা ঘটেছে। বিরোধীদের বেলডাঙায় যেতে পর্যন্ত দেয়নি। মমতা ও ইউনূসের মধ্যে পার্থক্য নেই। এই লড়াই বেঁচে থাকার লড়াই। জাগো হিন্দু জাগো।’’ বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ‘গণহত্যা’ হিন্দু নিপীড়নের একের পর এক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সুনামগঞ্জে একের পর এক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর। ভাঙা হয়েছে অন্তত ২টি মন্দির। শুভেন্দু বলছেন, ‘‘এখনও বাঙালি হিন্দুরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। একুশে মমতা আমাকে হারাতে এসেছিলেন, আমি হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে বলেছিলাম। নন্দীগ্রামে ৬৫% হিন্দুকে ঐক্যবদ্ধ করে মমতাকে হারিয়েছিলাম। রাজ্যে ওয়াকফ বোর্ড থাকলে সনাতনী বোর্ড হবে না কেন? কেন লাভ জেহাদ, ধর্মান্তরণের বিরুদ্ধে আইন হবে না? হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এই লড়াই চলবে।’’

    আরও পড়ুন: আজাদ ময়দানে চাঁদের হাট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ

    বাংলাদেশের পতাকা অবমাননায় গ্রেফতারি নিয়ে সরব

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘ভারতের পতাকার অবমাননা হতে দেখলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও পদক্ষেপ করেন না। কিন্তু বাংলাদেশের (Bangladesh) পতাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জনানোয় ৩ জনকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মুক্তি না দিলে আমরা বারাসতেও আন্দোলন করব।’’ জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে ভারতের পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় বারাসত স্টেশনে বাংলাদেশের পতাকা পায়ে মাড়াতে দেখা যায় ৩ যুবককে। আর্য দাস, সুবীর দাস এবং রিপন চট্টোপাধ্যায় নামে ওই তিন যুবককে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে বারাসত থানার পুলিশ। ধৃতরা বজরং দলের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবেশদ্বারে ভারতীয় পতাকা এঁকে রাখা হয়েছে। তার ওপর দিয়েই যাতায়াত করছেন ছাত্রছাত্রীরা। ভারতীয় জাতীয় পতাকার এই অবমাননার অভিযোগে এখনও সেদেশে কেউ গ্রেফতার হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি।

    শৌর্য দিবস পালনের ডাক

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘১৯৭১-এ পাকিস্তানকে সরাতে দেড় বছর লেগেছিল। আমাদের জন্যই বাংলাদেশ তৈরি হয়েছে। ভারতীয় সেনা বাংলাদেশের জন্য কী করেছিল, মনে নেই? বিএনপি নেতা তাঁর স্ত্রীর শাড়ি পোড়াচ্ছেন! ভারতীয় পণ্য বয়কটের কথা বলছেন।’’ আগামীকাল ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার শৌর্য দিবস পালনের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। শ্যামবাজার থেকে সিঁথির মোড় পর্যন্ত মিছিল রয়েছে। বাংলাদেশে লাগাতার হামলার প্রতিবাদ করায় এবার আক্রান্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুশলবরণ চক্রবর্তী। বেধড়ক মারধর করা হয় অধ্যাপককে, ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।

    বাংলাদেশে কি তালিবান-শাসনের ছায়া?

    এদিকে বাংলাদেশে কি তালিবান-শাসনের ছায়া? এমনই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের। ভিডিও পোস্ট করে অগ্নিমিত্রা লিখেছেন, ‘‘আফগানিস্তানের অত্যাচারী শাসনের সমান্তরালে বাংলাদেশে নারীদের বিরুদ্ধে একটি জঘন্য ফতোয়া ঘোষণা করা হয়েছে। সবথেকে বিস্ময়কর বিষয় হল, এটা ঘটেছে গোপালগঞ্জে। যে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়ি। গোপালগঞ্জের গোহরডাঙায় কট্টরপন্থী মুসলিমরা মহিলাদের বাজারে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হচ্ছে যে ফতোয়া। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক একটি জেলায় এই ধরনের পশ্চাদপসরণমূলক বিধিনিষেধ আরোপ করা লজ্জাজনক এবং উদ্বেগজনক।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে মমতার সঙ্গে তুলনা টানলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে মমতার সঙ্গে তুলনা টানলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকারকে ‘তালিবানি’ আখ্যা দিয়ে, তার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা টানলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে ইউনূস সরকারের সময়সীমা জানুয়ারি পর্যন্ত বেঁধে দেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বাংলাদেশে তালিবানি সরকার চলছে। পাকিস্তানকে সরাতে দেড় বছর সময় লেগেছে ১৯৭১ সালে। এখন তো মাত্র চার মাস হয়েছে এই সরকারের। জানুয়ারির শেষ অবধি অপেক্ষা করুন। তালিবানি সরকার সংবিধান বদলানোর চেষ্টা করছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আমাদের আজ রানি রাসমণিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হচ্ছে। ওপারের সরকার যা, এপারের রাজ্য সরকার তা।’’

    বাংলাদেশ ইস্যুতে গতকালই মমতাকে তোপ দাগেন শুভেন্দু

    গতকালই শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) পেট্রাপোলের সভা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘ওরা বাংলাদেশিদের খাবার বন্ধ করতে গিয়েছে।’’ তারই জবাবে চাঁচাছোলা ভাষায় মমতাকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘ভারতের পতাকায় যারা পা দিয়েছে, শুধু খাবার না, তাদের আর কী কী বন্ধ করি আপনারা দেখুন। ওদের চিকিৎসাও বন্ধ করে দেব। দেশ আগে। মুখ্যমন্ত্রী দেশের মর্ম বোঝেন না বলে এই ধরণের কথা বলেন।’’ এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘আমার পরিবারের বিপিন অধিকারী স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে ৮ বছর জেলে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের কেউ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেননি। আমার মা ৬০ সালে বরিসাল থেকে এখানে এসেছিলেন। আমি অত্যাচার জানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে স্বাধীনতার মর্ম বুঝবেন?’’

    গত অগাস্ট  থেকে বেড়েছে হিন্দুদের ওপর হামলা

    গত অগাস্ট মাস থেকেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়েই চলেছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট চলেছে। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। চলছে ধর্মান্তকরণ। এই আবহে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। ভারত সমেত আমেরিকা-ব্রিটেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হাসিনার বক্তব্য নাকি ‘বিদ্বেষমূলক’! সম্প্রচার নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল

    Bangladesh: হাসিনার বক্তব্য নাকি ‘বিদ্বেষমূলক’! সম্প্রচার নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাসিনার (Sheikh Hasina) বাক স্বাধীনতাতেই হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে পদক্ষেপ করল বাংলাদেশের (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার বক্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ করতে চাইছে ইউনূস সরকার। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর হওয়া অত্যাচার নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন হাসিনা। তাঁকে খুন করতে চেয়েছিল ইউনূস সরকার, এমন অভিযোগও তোলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। নিজের ভাষণে ইউনূসকে ‘অত্যাচারের মাস্টারমাইন্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন হাসিনা। এবার হাসিনার কণ্ঠরোধ করতে চেয়ে, তাঁকে ‘বিদ্বেষমূলক’ ভাষণ না দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    হাসিনার কণ্ঠরোধের চেষ্টা 

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে যাবতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে তাঁর (হাসিনার) ভাষণ সরিয়ে দিতে বাংলাদেশ (Bangladesh) টেলিযোগাযোগ মন্ত্রককে নির্দেশ দিয়েছে ওই আদালত। প্রসঙ্গত, হাসিনা ওই আদালতে বিচারাধীন একাধিক মামলায় অভিযুক্ত। একটি মামলাতে তাঁকে আদালতে পেশ করার জন্য বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশকে আগেই নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। সম্প্রতি, ভার্চুয়াল মাধ্যমের একাধিক ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। হাসিনার ওই বক্তব্যকেই দেশ বিরোধী তকমা দিয়েছে ইউনূস সরকার। শেখ হাসিনার কোনও ধরনের বক্তব্য যাতে সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার না করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    নির্দেশ দেন বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদার 

    বৃহস্পতিবারই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ আদেশ দেয় শেখ হাসিনা বিদেশে বসে, দেশের নিন্দামন্দ করতে পারবেন না। আদালতে সরকার পক্ষের হয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলে, তা কীভাবে দেশদ্রোহিতা হতে পারে? আদালতের যুক্তি, জুলাই মাসে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা সহ আওয়ামি লিগের একাধিক নেতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রাক্তন শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যার মতো অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই কারণেই নাকি হাসিনার মুখ বন্ধ করতে চাইছেন তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: মহিলারা বাজারে যেতে পারবেন না! ফতোয়া মৌলবাদীদের, আফগানিস্তানের পথে বাংলাদেশ?

    Bangladesh: মহিলারা বাজারে যেতে পারবেন না! ফতোয়া মৌলবাদীদের, আফগানিস্তানের পথে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্ষমতায় আসার পর থেকে মৌলবাদীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বকলমে তারা সরকার চালাচ্ছে। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছে। চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারেরক পর থেকে উত্তাল রয়েছে গোটা দেশ। এই আবহের মাঝে এবার তালিবানি (Taliban) ফতোয়া দিল মৌলবাদীরা। আফগানিস্তানের পথে হেঁটে মহিলার ওপরে ফতোয়া জারি করা হল। তাও আবার খোদ বঙ্গবন্ধু মুজিবরের জেলায়। যা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী ফতোয়া জারি করেছে মৌলবাদীরা? (Bangladesh)

    মহিলাদের ওপরে ফতেয়া জারি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) গোপালগঞ্জ জেলায় গহরডাঙ্গা এলাকায়। এই গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনার বাড়ি। শেখ মুজিবর রহমানের বাড়ি, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। এই ফতোয়া গহরডাঙ্গা দিয়ে শুরু, পর্যায়ক্রমে পুরো বাংলাদেশ জারি হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে কট্টরপন্থীরা। বাজারে এসে কট্টরপন্থীরা মাইক নিয়ে ঘোষণা করছেন যে মহিলাদের বাজারে আসা নিষিদ্ধ। কোনও মহিলা বাজারে এসে জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবেন না। মার্কেটে তাদের প্রবেশ নিষেধ। কোনও জিনিসের প্রয়োজন হলে, বাড়ির পুরুষদেরই আসতে হবে বাজারে। দোকানে মহিলারা আসতে পারবেন না। তাদের কাছে কোনও জিনিস বিক্রি করাও যাবে না। মহিলারা বাজারে এলে তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই সঙ্গেই দোকানের সামনে রাখতে হবে পর্দা এবং সেটা নমাজের সময় নামিয়ে দিতে হবে। নমাজের সময়ে কোনও দোকানেই বেচাকেনা করা চলবে না। এ বার এই ফতোয়া জারি করা হয়েছে বাংলাদেশে।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    বাংলাদেশকে ‘জিহাদিস্তানে’ পরিণত!

    এই রকমই একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। তাঁর দাবি, বাংলাদেশকে ‘জিহাদিস্তানে’ পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী ব্যক্তি বাজার এলাকায় মাইকিং করছেন। যদিও কোন বাজারের (Bangladesh) এই মাইকিং করা হয়েছে তার উল্লেখ করা হয়নি। সেখানেই বাজারে দোকান চালু রাখতে হলে কী কী নিয়ম মানতে হবে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দোকানদাররা মহিলাদের কাছে কিছু বিক্রি করতে পারবেন না। ‘দিন-ই-মাহফিলের’ পরিবেশ বজায় রাখার জন্যই তা করা হবে বলেও তাদের ওই ঘোষণায় জানানো হয়েছে। তসলিমার অভিযোগ, চিন্ময়কে জেলে রাখা এবং তাঁর মানবাধিকার লঙ্ঘন করার উদ্দেশ্য হল বাংলাদেশে ‘হিন্দু জাগরণকে নস্যাৎ করা’। এই লেখিকার দাবি, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য করে জিহাদিস্তানে পরিণত করতে চাইছে জিহাদিরা। এই লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: খালেদার সঙ্গে বৈঠক পাক কূটনীতিকের, ফের জঙ্গি আখড়া হবে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Crisis: খালেদার সঙ্গে বৈঠক পাক কূটনীতিকের, ফের জঙ্গি আখড়া হবে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি ফের আখড়া হয়ে উঠবে জঙ্গিদের? অন্তত এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। এহেন প্রশ্নের কারণ, সম্প্রতি ঢাকায় পাকিস্তানের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি সুপ্রিমো বেগম খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, খালেদা জমানায় যেভাবে পাক-জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ, ফের কি তেমন অবস্থায় ফিরতে চলেছে ইউনূসের দেশ?

    মাথাচাড়া দিয়েছে মৌলবাদীরা (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়েছে মৌলবাদীরা। হিন্দুদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে, মেরেধরে, মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করছে মৌলবাদীরা। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার রাতে খালেদার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। বৈঠক চলে ঘণ্টাখানেক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাদেশে অশান্তির পরিবেশে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে পাকিস্তান। সেই কারণেই খালেদার সঙ্গে বৈঠক। প্রসঙ্গত, হাসিনার সঙ্গে যেমন ভারতের সম্পর্ক, খালেদার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কও ঠিক তেমনই। প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তান যে বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির সুযোগ নেবে, তা বলাই বাহুল্য।

    খালেদা জমানা

    ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশের মসনদে ছিলেন খালেদা। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের এই পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়েছিল ভারত-বিরোধী নানা শক্তি। এই পর্বে ঢাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। আইএসআই মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভায়া বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকে নাশকতা চালিয়ে ফিরে যেত বাংলাদেশে। হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার মুক্তি দেয় খালেদাকে। তার পরেই (Bangladesh Crisis) সক্রিয় হয়েছেন খালেদা।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তানও। তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ গত ১৩ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কোনও পণ্যবাহী জাহাজ পাকিস্তান থেকে এল বাংলাদেশে। কেবল পাকিস্তান নয়, চিনও বাংলাদেশে শক্ত করছে পায়ের নীচের মাটি। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর খালেদার দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আগমগীরের সঙ্গে বৈঠক (Khaleda Zia) করেন চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • India Foreign Secretary: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    India Foreign Secretary: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে (Bangladesh) তুঙ্গে উঠেছে হিন্দু নির্যাতন। তা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও লিখেছিলেন সে দেশের এক হিন্দু কিশোরী। তার পরেও সরাসরি কোনও পদক্ষেপ করেনি ভারত। তবে, এবার বড় পদক্ষেপ করল মোদি সরকার। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে যেতে পারেন ভারতের বিদেশ সচিব (India Foreign Secretary)। অন্তত, তাঁঁর বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছে ইউনূস প্রশাসনের বিদেশ উপদেষ্টা। এর পর থেকেই ভারত নিয়ে সুর নরম বাংলাদেশের। ঢাকার মুখে এখন দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা। 

    বাংলাদেশ সফরে ভারতের বিদেশ সচিব (India Foreign Secretary)

    সম্প্রতি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে তপ্ত হয়েছে ভারতের পূব দিকের এই প্রতিবেশী দেশে। নিত্যদিন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সে দেশের হিন্দুরা। হিন্দু-সহ বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বারংবার বার্তা দিয়েছে ভারত। তার পরেও থামেনি হিন্দু নির্যাতন। চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে। এহেন আবহে এবার বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি (India Foreign Secretary)। ১০ ডিসেম্বর ঢাকা যেতে পারেন তিনি।

    কী বলছে বাংলাদেশ?

    ভারতের তরফে অবশ্য বিদেশ সচিবের এই ঢাকা সফর নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে ইউনূস প্রশাসনের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশে আসবেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।” তাঁর সঙ্গে ভারতের এক প্রতিনিধি দলেরও ঢাকায় যাওয়ার কথা। ঢাকায় বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসীমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বিক্রম।

    ভারতের বিদেশ সচিবের (India Foreign Secretary) আসার খবরে সুর নরম বাংলাদেশের। এদিন তৌহিদের মুখে শোনা গিয়েছে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার সুর। তিনি বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের স্বার্থেই দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। দু’পক্ষকেই তার জন্য উদ্যোগী হতে হবে।”

    আরও পড়ুন: “মুসলিম তোষণ করতেই সাম্ভালে যাওয়ার চেষ্টা রাহুলের”, তোপ বিজেপির

    ভারত-বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিদেশ সচিব পর্যায়ের (India Foreign Secretary) বৈঠকে আলোচনা হতে পারে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ এবং বাংলাদেশিদের ভারতের ভিসা দেওয়া নিয়েও হতে পারে আলোচনা। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করেছে হাসিনার নামে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তিও রয়েছে। ভারতের তরফে হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হবে ওই বৈঠকে (Bangladesh)। চিন্ময়কৃষ্ণের গ্রেফতারির বিষয়টিও উঠতে পারে দুপক্ষের আলোচনায় (India Foreign Secretary)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share