Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • ISKCON: ‘‘ চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা, মেনে নিচ্ছি না”, গর্জে উঠল কলকাতার ইসকন

    ISKCON: ‘‘ চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা, মেনে নিচ্ছি না”, গর্জে উঠল কলকাতার ইসকন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) ঘটনায় নতুন করে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী তথা বাংলাদেশের সম্মিলিত জাগরণ জোটের প্রধান মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে পথে নেমেছে বিজেপি। ভারতের পক্ষ থেকে ইউনূস সরকারকে ইতিমধ্যেই হিন্দুদের সুরক্ষা দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবার এই ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন কলকাতার ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষ।

    ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কী বললেন? (ISKCON)

    মঙ্গলবার মুখ খুললেন ইসকনের (ISKCON) ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধা রমণ দাস। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যেভাবে ভারতীয় হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছিল, মহিলাদের অপহরণ করা হচ্ছিল, সেই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। তিনি আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। বিক্ষোভ থামাতেই বাংলাদেশের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। গতকাল চিন্ময় প্রভুর এক সহকারী আমাকে ফোন করে জানান যে চিন্ময় প্রভুকে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিন শুনলাম, তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ মামলা হয়েছে। তারজন্য হিন্দুরা সকলে পথে নেমেছেন। অথচ প্রতিবাদীদের ওপর মৌলবাদীরা আক্রমণ চালাচ্ছে,পুলিশও তাতে মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। আমরা এসব মেনে নিচ্ছি না। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্ব জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিবাদ। কলকাতায়ও চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদ জানানো হবে, নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিও খুব শীঘ্রই নেওয়া হবে। ভারত সরকারের কাছে আবেদন, বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। ”এ বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    ৫১ জন আইনজীবী লড়াই করলেও মেলেনি জামিন

    গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাস সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। নগরীর কোতোয়ালি থানায় সেই মামলা দায়ের করেন ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়। এই ঘটনায় আগেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাঁদের নাম রাজেশ চৌধুরী ও হৃদয় দাস। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে পুলিশ চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। হাজার হাজার হিন্দু পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একটাই দাবি, নিঃশর্তে মুক্তি দিতে হবে সনাতন হিন্দু প্রতিনিধি (ISKCON) চিন্ময় প্রভুকে। কিন্তু মুক্তি দূর অস্ত, তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে দেশদ্রোহের মামলা। মঙ্গলবার ৫১ জন আইনজীবী চিন্ময় প্রভুর হয়ে লড়াই করলেও জামিন মেলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায় হামলা পুলিশের, রণক্ষেত্র বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায় হামলা পুলিশের, রণক্ষেত্র বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের প্রতিবাদ (Hindus Protesting) সভায় হামলা বাংলাদেশ পুলিশের (Bangladesh Crisis)। ফাটানো হল টিয়ার গ্যাসের সেল। করা হল লাঠিচার্জও। এদিন দুপুরে প্রথমে ঘটনাটি ঘটে রাজধানী ঢাকায়। পরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় চট্টগ্রামেও। এদিনই হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছিল ভারত। সেই আর্জির পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি, মঙ্গলবার হামলা হল হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায়।

    শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিচার্জ (Bangladesh Crisis)

    সোমবারই গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ওরফে চিন্ময় প্রভুকে। তিনি ইসকনের সঙ্গে যুক্ত। ঢাকা থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আদালতে তোলা হলে জামিনও মেলেনি চিন্ময়ের। চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন ঢাকা এবং চট্টগ্রামে জমায়েত করেন বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ওই সমাবেশে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে জনতাকে।

    উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    এদিন জামিন খারিজ হওয়ার পর চিন্ময়কে যখন আদালত থেকে ফের জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরেন বাংলাদেশের হাজার দুয়েক হিন্দু। ঘণ্টা দুয়েক ধরে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। যদিও বাংলাদেশ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ওরা (প্রতিবাদীরা) উন্মত্ত আচরণ করছিল। আমাদের দিকে ইট ছুঁড়ছিল। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে আমাদের টিয়ার গ্যাস ছুড়তে হয়েছিল। কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে আমাদের এক কনস্টেবল জখম হয়েছেন। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার আর্জি জানায় সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুঃখজনক বিষয় হল, যখন এসব ঘটনার অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে, তখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে বৈধ দাবি উপস্থাপনকারী এক ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি

    সরকারের পাশাপাশি (Bangladesh Crisis) ভারতের শাসক দল বিজেপির তরফেও চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। পদ্ম-পার্টির তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা যেন চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত মিথ্যা মামলাও সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে গেরুয়া পার্টি।   

    বাংলাদেশের সমস্ত হিন্দু এবং হিন্দু মন্দির যেন সুরক্ষিত থাকে এবং সংখ্যালঘুদের যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করা (Hindus Protesting) হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, দাবি কাউন্সিলের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, দাবি কাউন্সিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Minority Families) ওপর ২ হাজার ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে খুন, যৌন হয়রানি এবং অপহরণের মতো ঘটনাও রয়েছে। এ সবের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৭০৫টি পরিবার (Bangladesh Crisis)। মঙ্গলবার এ খবর জানান মণীন্দ্র কুমার নাথ। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু বুদ্ধিস্ট খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিলের অ্যাক্টিং জেনারেল সেক্রেটারি।

    সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)

    সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশের নিপীড়িত হিন্দুদের নেতা তথা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের ধর্মীয় নেতা ও মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে (চিন্ময় প্রভু নামেই পরিচিত)। সেই প্রেক্ষিতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশে কীভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মণীন্দ্র। তিনি বলেন, “হিংসার ঘটনা ঘটতে থাকলেও, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই ঘটনাগুলির তদন্ত বা দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।” মণীন্দ্র বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক… আমরা দেখেছি যে বাংলাদেশের প্রায় ৬৪টি জেলায়ই হিন্দু জনগণের বিরুদ্ধে এবং খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের বিরুদ্ধেও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, হত্যাকাণ্ড, যৌন হয়রানি এবং অপহরণ-সহ হামলার ২ হাজার ১০টি ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৭০৫টি পরিবার।”

    আরও পড়ুন: চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে অবরোধ হবে, ইউনূসকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    কী বললেন মণীন্দ্র?

    মণীন্দ্র বলেন, “এই অত্যাচারের ফলে দেশের বিভিন্ন শহরে, যেমন ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রামপুরে সাধু ও সন্ন্যাসীরা প্রতিবাদ করছেন। এই প্রতিবাদগুলি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, অংশগ্রহণকারীদেরও নির্যাতন ও আঘাতের শিকার হতে হয়েছে।” তিনি বলেন, “ফলস্বরূপ, সাধু ও সন্ন্যাসীরাও এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে। আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রামপুরে বড় ধরনের প্রতিবাদ দেখেছি। এসব আন্দোলনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, এবং আন্দোলনের সময় লোকজন নির্যাতিত হয়েছে। এমনকি চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পরেও একটি প্রতিবাদসভায় যোগ দিয়ে আহত হয়েছেন।” তিনি বলেন (Bangladesh Crisis), “এই প্রতিবাদগুলির উদ্দেশ্য ছিল সনাতনী জনগণের জন্য আটটি মূল সংস্কারের দাবি জানানো। এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় উৎসবের সময় ছুটি দেওয়া, অত্যাচারের তদন্ত এবং উপাসনাস্থলে প্রার্থনার অধিকার নিশ্চিত করা।” তিনি বলেন, “এই দাবিগুলি (Minority Families) মৌলিক এবং একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি

    BJP: চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন হিন্দুরা। এবার প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ল ভারতেও। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছে বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তারা মিছিল করে। ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় সীমান্তে অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউনূস সরকারকে।

    বিজেপির কী কী কর্মসূচি রয়েছে? (BJP)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেহালায় মশাল মিছিল। বুধবার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও অভিযান রয়েছে। বৃহস্পতিবার শিয়ালদা স্টেশনের কাছে রয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিল। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে মুক্তি না দিলে, সীমান্ত অবরুদ্ধ করবেন সনাতনীরা। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা স্পষ্ট করে দেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন না দিলে পেট্রাপোল সীমান্তে বিক্ষোভ ও অবরোধ করবে হিন্দুরা। বুধবার বাংলাদেশ নিয়ে রাজ্য বিধানসভার সামনে প্রতিবাদ জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    কী বললেন শুভেন্দু?

    বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েও এদিন বিস্ফোরক মন্তব্য করেন (BJP) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল প্রতিবাদ করবে না। ওরা মুসলিম লিগ ২। আমরা করব। বাংলাদেশের হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ের নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুকে মৌলবাদী ডক্টর ইউনূস সরকার গ্রেফতার করেছে। আমরা এই খবর পেয়ে অত্যন্ত বিচলিত ও চিন্তিত। আমরা সকলে ভাবিত। তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি। মুক্তি না দিলে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভ হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্ত পেট্রাপোলে সনাতনীরা ধ্বজা নিয়ে অবরোধ করবে। বাংলাদেশে ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা নিতে দেব না। অবিলম্বে ইউনূস সরকারকে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে মুক্তি দিতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার স্বার্থে লড়াই করছি। তাঁকে দ্রুত না ছেড়ে দিলে আমরা সব পরিষেবা বন্ধ করে দেব। মনে রাখবেন, এখান থেকে কিন্তু সমস্ত পণ্য পৌঁছয় ওপার বাংলায়।” মঙ্গলবার এনিয়ে বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়করা মিছিল করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের হাতের পোস্টারে লেখা, চিন্ময় মহাপ্রভুর নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

    প্রসঙ্গত, ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার করেছে ইউনূস সরকারের পুলিশ। মঙ্গলবার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বাংলাদেশের আদালত। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে না চাওয়ায় তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজি শরিফুল ইসলাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে কড়া প্রতিক্রিয়া রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, সদগুরুর

    Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে কড়া প্রতিক্রিয়া রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত, সদগুরুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল। এই আবহের মধ্যে এবার সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি ঘিরে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। এরপর বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশে। ভারত সরকার প্রতিবাদ জানিয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিতসহ বিভিন্ন ধর্মগুরু। ইসকনের পক্ষ থেকে এই বিষয় নিয়ে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় শুধু বাংলাদেশের মাটিতে থেমে নেই। ভারতে সনাতনীরাও প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। চাপ বাড়ছে বাংলাদেশ সরকারের।

    পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা (Bangladesh)

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের (Bangladesh) প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস বলেন, ‘‘যা হয়েছে অত্যন্ত খারাপ। আমার এটাই মনে হচ্ছে, পাকিস্তান যেমন হিন্দুদের সঙ্গে ব্যবহার করে থাকে বাংলাদেশও তেমনটাই করছে। বাংলাদেশে যাঁরা হিন্দুদের সমর্থন করছেন, তাঁদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে, এটা খুব খারাপ। আমাদের সরকারের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়টিতে নজর দেওয়া। এখনও সরকার যদি কিছু না বলে তাহলে হিন্দুদের ওপর যে অন্যায় অত্যাচার হচ্ছে তা আরও বাড়বে আর এটাই চলতে থাকবে।’’

    সরব হয়েছেন সদগুরু

    ইসকনের-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ‘চিন্ময় প্রভু’ নামে পরিচিত। বাংলাদেশ (Bangladesh) সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের পাশাপাশি, পুণ্ডরীক্ষ ধামের অধ্যক্ষও তিনি। তাঁর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আধ্যাত্মিক শিক্ষক এবং ইশা লিডারশিপ অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সদগুরু। মঙ্গলবার বাংলাদেশে হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারকে অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেছেন তিনি। সদগুরু এক্স হ্যান্ডলে সকল বাংলাদেশি নাগরিককে একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠনের জন্য আহ্বান জানান। তিনি লিখেছেন, ‘‘মুক্ত গণতন্ত্রের মূল্য বোঝা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। ধর্মের ভিত্তিতে নিপীড়ন ঠিক নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের প্রতিবেশি গণতান্ত্রিক নীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব হওয়া উচিত একটি গণতান্ত্রিক জাতি গঠন করা যেখানে সকল নাগরিকের প্রয়োজনীয় অধিকার এবং তাদের চাহিদা ও বিশ্বাস অনুযায়ী জীবন যাপন করার ক্ষমতা থাকবে।’’

    গোয়েন্দা শাখার মুখপাত্র রেজাউল করিম কী বলেছেন?

    সোমবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে হিন্দু সংগঠন সম্মিলিত সনাতনী জোটের নেতা চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের গোয়েন্দা শাখার মুখপাত্র রেজাউল করিমকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে,  নিয়মিত পুলিশের অনুরোধের ভিত্তিতে দাসকে আটক করা হয়েছে। করিম বলেন, ‘‘পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য দাসকে এখন সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।’’

    ভারত সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ ইসকনের

    ইসকন একটি এক্স পোস্টে ভারত সরকারকে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের (Bangladesh) সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে। এক্স পোস্টে লিখেছে, ‘‘বিশ্বের যে কোনও জায়গায় সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসকনের কোনও সম্পর্ক নেই। এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করা নিন্দনীয়। ভারত সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে এবং জানিয়ে দেয় যে আমরা শান্তিপ্রিয় ভক্তি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। আমরা চাই বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দিন। এই ভক্তদের সুরক্ষার জন্য ভগবান কৃষ্ণের কাছে আমাদের প্রার্থনা।’’

    রাস্তায় নেমেছে হিন্দুরা

    হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাসকে আটক করা হয়েছিল। বাংলাদেশ (Bangladesh) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এই আটকের নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে এটি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তিকে প্রভাবিত করতে পারে। প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগে দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। এদিকে দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ বন্দরনগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে রাস্তায় নেমেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘হিন্দুদের সুরক্ষা দিন’’, চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হতেই বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত

    Bangladesh: ‘‘হিন্দুদের সুরক্ষা দিন’’, চিন্ময় প্রভুর জামিন খারিজ হতেই বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ফের উত্তপ্ত বাংলাদেশ (Bangladesh)। এবার ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। ঢাকা-সহ বিভিন্ন জায়গায় মশাল মিছিল, বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। গ্রেফতারির পর থেকেই দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদ হয়েছে ভারতেও। তারপরও মঙ্গলবার চিন্ময় দাসের জামিন খারিজ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর জামিন হতেই বাংলাদেশে থাকা হিন্দুসহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার দাবি জানাল ভারত।

    প্রতিবাদে মশাল মিছিল (Bangladesh)

    সোমবার ঢাকার (Bangladesh) শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করা হয়। চিন্ময় দাস বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ। সম্প্রতি চিন্ময় দাসের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম ও রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের ৮ দফা দাবি নিয়ে কয়েকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জানা গিয়েছে, গত ৩০ অক্টোবর চিন্ময় দাস-সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে এই মামলা করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই মামলাতে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময় দাসকে। চিন্ময় দাসের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও। গ্রেফতারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পথে নামেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। বিভিন্ন জায়গায় মশাল মিছিলও হয়। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন তাঁরা। চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবি জানান।

    আরও পড়ুন: দুয়ারে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, বৈঠকে বিজেপির ইস্তাহার কমিটি

    জামিন খারিজ করে দিল আদালত

    বাংলাদেশে (Bangladesh) ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন খারিজ করে দিল চট্টগ্রামের আদালত। দেশদ্রোহের অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে পেশ করা হয় আদালতে। তাঁর হেফাজত চায়নি পুলিশ। চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে হিন্দুদের ওপর চলছে অত্যাচার। মারধর, ঘরবাড়ি লুট থেকে জোর করে চাকরি ছাড়ানোর মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ। হিন্দুদের একজোট করার কাজ করেছিলেন।

    বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত

    চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রনধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডলে বাংলাদেশে হিন্দু সহ সমস্ত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার আর্জি জানিয়েছেন।

    কী বার্তা দিলেন চিন্ময় প্রভু?

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) আদালত নির্দেশ দিয়েছে, জেলের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ যাতে সমস্ত রকম ধর্মীয় আচার-আচরণ করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে হবে প্রশাসনকে। এ দিন আদালত চত্বরে সংবাদ মাধ্যমকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস বার্তা দেন, পূর্বপরিকল্পিত সমস্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে হিন্দুদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে অবরোধ হবে, ইউনূসকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে অবরোধ হবে, ইউনূসকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের গুরুতর অভিযোগ এনে কড়া বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ইসকনের চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতার হতেই উত্তাল বাংলাদেশ। রাস্তায় নামছেন সেখানকার হিন্দুরা। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি বাংলাদেশের সনাতনীদের আশঙ্কা, ইউনূসের প্রশাসন যা খুশি করতে পারে। এমনকী, প্রশাসনের ওপর চাপ এলে শেষ করেও দিতে পারে। চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুর একটি ভিডিও শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় ভারতের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

    সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে (Suvendu Adhikari)

    চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘সোমবার রাতের মধ্যে চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে ইউনূসের সরকার মুক্তি না দিলে মঙ্গলবার থেকে সীমান্তে সনাতনীরা অবরোধ করবে। ভারত থেকে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে কোনও পরিষেবা বাংলাদেশে ঢুকতে দেব না।’’ একই সঙ্গে কলকাতায় থাকা বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারের অফিসও টানা ঘেরাও অবস্থানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যেভাবে দমন পীড়ন শুরু হয়েছে, তাতে আমরা চিন্তিত, ব্যথিত। এই জিনিস আর বরদাস্ত করা হবে না।’’ বিষয়টি তিনি কেন্দ্রকেও জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের সক্রিয় ইডি, কলকাতার নিউ আলিপুর, জোকায় চলছে অভিযান

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি

    কোটা বিরোধী আন্দোলনের জেরে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। আন্দোলনের জেরে গত অগাস্টে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই বাংলাদেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারে অভিযোগ উঠেছে। চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে একটি টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ঢাকার বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণদাস প্রভুকে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগ আটক করেছে। হিন্দু সংখ্যালঘুদের বাঁচানোর লড়াইয়ে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।

    ১০৮টি দেশে প্রতিবাদের ডাক

    এই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিশ্বের ১০৮টি দেশে প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছে। একাধিক হিন্দু সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ হবে আমেরিকাতেও। এমনকী, মঙ্গলবার থেকে রাজধানী ঢাকা (Bangladesh) সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে আন্দোলন আরও তীব্র করার ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গা থেকে সনাতনীদের মিছিল বের হবে বলে খবর।  বিক্ষোভ থেকে লাগাতার জয় শ্রী রাম-জয় বজরঙ বলির নামে স্লোগান তোলেন সে দেশে বসবাসকারী হিন্দু সংখ্যালঘুরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু (Chinmoy Krishna Das)। ঘটনার প্রতিবাদে ফের পথে নামেন সে দেশের হিন্দুরা। সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইসকন পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি তিনি।

    হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন চিন্ময় (Bangladesh Crisis)

    শুক্রবার রংপুরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন হিন্দুরা। এই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় প্রভু। সেই সময় তিনি হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। চট্টগ্রামে তিনটি মন্দির ভাঙার চেষ্টা হলে স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সেগুলি রক্ষায় হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলেও ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন চিন্ময়। এদিন দুপুরে গ্রেফতার করা হল তাঁকেই। 

    হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মুসলমানরা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে কট্টরপন্থী মুসলমানরা হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তাদের দাবি, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। তা না হলে ধরে ধরে হত্যা করা হবে ইসকন ভক্তদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হুমকির কথা জানিয়ে ভারত ও আমেরিকার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন ইসকনের এক সদস্য। এর আগে গত ৫ নভেম্বর ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রামের এক মুসলমান ব্যবসায়ী। ইসকনকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেন তিনি (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: ‘‘ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি ’’, সাফ জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও বেশ কিছু মন্দির ধ্বংস করার অভিযোগও ওঠে সে দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে। ৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় শতাধিক হিন্দুকে। সেদিন চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে গ্রেফতার করা হল এদিন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজিউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, “তাঁকে (চিন্ময় প্রভুকে) ডিবি গ্রেফতার করেছে।” চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্রকুমার নাথ-সহ অন্যরা। তাঁরা চিন্ময়ের (Chinmoy Krishna Das) দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Awami League: বাংলাদেশে এখনই নিষিদ্ধ নয় আওয়ামি লিগ, কোন আশঙ্কায় পিছিয়ে গেলেন ইউনূস?

    Awami League: বাংলাদেশে এখনই নিষিদ্ধ নয় আওয়ামি লিগ, কোন আশঙ্কায় পিছিয়ে গেলেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপাতত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগকে (Awami League)। আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার আইনি রাস্তায় হাঁটা শুরু করেও তা স্থগিত রাখল মহম্মদ ইউনূসের সরকার। এ জন্য যে আইনটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারের আইন মন্ত্রক, বুধবার ঢাকায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সেটি অনুমোদন করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান বদলের ফলে আওয়ামি লিগ জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত। 

    কী বলছে অন্তর্বর্তী সরকার

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে গত ১৮ নভেম্বর সরকারের তরফে আইন সংশোধনের যে খসড়া জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কোনও রাজনৈতিক দল বা সংগঠন খুন, গুম, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিল করা যাবে। কিন্তু বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে বলেন, ‘‘আদালত যদি মনে করে, তা হলে মানবতা বিরোধী অপরাধে কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু সরাসরি কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।’’ ওয়াকিবহাল মহলের খবর, আওয়ামি লিগকে (Awami League) নিষিদ্ধ করার দাবি পূরণের জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে বারে বারে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তা বাস্তবায়নেই ওই আইনটি সংশোধনের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ইউনূস প্রশাসন আপাতত ওই পথে হাঁটছে না।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে নকল টাকা এনে মহাকুম্ভে ছড়ানোর চক্রান্ত, বাংলার জাকিরের খোঁজে পুলিশ

    কেন পিছিয়ে গেলেন ইউনূস?

    বিএনপি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগে আপত্তি তুলেছে। বিএনপি-সহ অন্য দলগুলির আশঙ্কা, শেখ হাসিনার পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হলে তাতে আওয়ামি লিগের (Awami League) পুনরুজ্জীবন সহজ হয়ে যেতে পারে। অন্য নাম নিয়ে তারা নির্বাচনের ময়দানে বাকিদের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে ভয়ে আছে ইউনূস সরকারের। ট্রাম্প প্রশাসন কিছুতেই আওয়ামি লিগের মতো প্রতিষ্ঠিত পুরনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগে সায় দেবে না অনুমান করে পিছিয়ে গেলেন ইউনূস। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস আগেই জানিয়েছেন, তিনি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নন। নির্বাচনে মানুষ তাদের বর্জন করলে তারা রাজনীতি করতে পারবে না। বিষয়টি দেশবাসীর উপর ছেড়ে দেওয়াই ভালো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ইউনূসের পাকপ্রীতি! ইসলামাবাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    Bangladesh: ইউনূসের পাকপ্রীতি! ইসলামাবাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা দেশ (Bangladesh) ছাড়ার পর ভাঙা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। দাবি উঠেছে, জিন্নাকে ‘জাতির পিতা’ ঘোষণার। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় জিন্নার মৃত্যুদিনে উর্দু শের-শায়েরি-বক্তৃতার আয়োজন দেখেছে ঢাকা। এবার একদা পাকসেনার গণহত্যার অপরাধের সাক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামাবাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরাম সিন্ডিকেটের এক বৈঠকে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বরের ওই সিদ্ধান্ত সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ- উপাচার্য? (Bangladesh)

    হাসিনার জমানায় (Bangladesh) ২০১৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তৎকালীন উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘পাকিস্তান ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে টানা ন’মাস ধরে এ দেশে বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়েছে, এবং তা পরবর্তীকালে অস্বীকার করেছে। যত দিন না পাকিস্তান গণহত্যা এবং নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে, ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠান কোনও ধরনের সম্পর্ক রাখবে না।” তিনি জানান, ‘‘নতুন করে  বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবে না। পাকিস্তানে কোনও পড়ুয়াকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠনের সুযোগ দেওয়া হবে না।” সোমবার সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University) সহ- উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা বলেন, ‘‘এক সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান, ফলে অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চায়। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এর ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানে ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়শোনা করতে পারবে।

    আরও পড়ুন: বন্ধু মাক্রঁ ও স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাত মোদির, জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে কী নিয়ে আলোচনা?

    আলি জিন্নার প্রথম বিরোধিতা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে

    পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পরে কায়েদ-এ-আজম মহম্মদ আলি জিন্নাকে প্রথম বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Bangladesh)। উর্দু চাপিয়ে দেওয়ার সরকারি নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে কার্জন হলে জিন্নার উপস্থিতিতেই ছাত্রছাত্রীরা আওয়াজ তুলেছিলেন-রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। মাতৃভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবোধের সেই প্রথম বহিঃপ্রকাশই পরবর্তীকালে পাথেয় হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। পাকিস্তান সেনার অত্যাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, বাঙালি সেনা আর আমজনতার মরণপণ লড়াই বদলে দিয়েছিল এশিয়ার মানচিত্র। জন্ম নিয়েছিল নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ। পালাবদলের বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে সে সবই এখন অতীত। নিন্দায় সরব মুক্তি যোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share