Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh: অশান্ত বাংলাদেশ! গেদে সীমান্তে রেল লাইনে বাঁশের ব্যারিকেড বিএসএফের

    Bangladesh: অশান্ত বাংলাদেশ! গেদে সীমান্তে রেল লাইনে বাঁশের ব্যারিকেড বিএসএফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ রয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশের রেলপথে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা মৈত্রী এক্সপ্রেস। বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কবে চালু হবে মৈত্রী এক্সপ্রেস, তা স্পষ্ট নয়। চরম সমস্যায় দুই দেশের নাগরিকরা। রেল পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এবং ভারত থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার জন্য দুই দেশের তত্ত্বাবধানে চালু হয়েছিল মৈত্রী এক্সপ্রেস। মূলত কলকাতা থেকে রওনা দিত এই ট্রেন। নদিয়ার গেদে সীমান্ত হয়ে পৌঁছত বাংলাদেশে।

    রেল লাইনে বাঁশের ব্যারিকেড, কড়া নজরদারি বিএসএফের (Bangladesh)

    দিন কয়েক আগে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অরাজনৈতিকভাবে নির্মম অত্যাচার করা হয়। মন্দির এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননা করার ছবি। যার আঁচ এসে পৌঁছায় ভারতে। বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রীতিমতো নিন্দার ঝড় ওঠে ভারতে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন সংগঠনকে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতেও দেখা যায়। ভারতীয়দের দাবি, যারা ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করে সেই সমস্ত ভারতবিদ্বেষী বাংলাদেশিরা কীভাবে ভারতে এসে বিনা মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারে। ভারত সরকারকে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সকলে। বিএসএফ সূত্রে খবর, বহুদিন ধরে রয়েছে এই মৈত্রী এক্সপ্রেস। বর্তমানে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি চলছে, যাতে তার মধ্যে নিরাপত্তা বজায় থাকে সেই কারণে রেললাইনের ওপর বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশ থেকে রেল লাইন ধরে যাতে কেউ না আসতে পারে, তারজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ।

    আরও পড়ুন: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    গেদে সীমান্তবর্তী এলাকার (Bangladesh) বাসিন্দা সাধন মণ্ডল, কার্তিক চন্দ্র ঘোষদের দাবি, মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ হওয়ার কারণে অনেকটাই সমস্যায় পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকরাও। তারা বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসা নিয়ে বিভিন্ন কাজে অনায়াসে রেলপথে যাতায়াত করতেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে। কিন্তু মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সেই সমস্যা অনেকটাই বেড়েছে তাদের। তারাও চাইছেন বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির যত দ্রুত সম্ভব সামাল দিক বাংলাদেশ প্রশাসন। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি মিটে গিয়ে দুই দেশের আভ্যন্তরীণ আলোচনার মধ্য দিয়ে আবার কবে শুরু হয় ট্রেন পরিষেবা, তা নিয়েই দিন গুনছে সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে তালিবানি রাজ! ভারতীয় মিডিয়া বন্ধ করতে আদালতে আর্জি মৌলবাদীদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে তালিবানি রাজ! ভারতীয় মিডিয়া বন্ধ করতে আদালতে আর্জি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমশ কোণঠাসা হচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)! বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারি নিয়ে উত্তাল হয় ইউনূস সরকার। চট্টগ্রামে বিক্ষোভের মাঝে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ক্রমাগত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক ঘিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। আর সেই খবর সম্প্রচারিত হচ্ছে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলে। তাই এবার বদলের বাংলাদেশে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলি এ রিট করেছেন বলে জানান তাঁর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া। আর এই ঘটনাকে তালিবানি শাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন অনেকে।

    ভারতীয় মিডিয়া বন্ধে বাংলাদেশের হাইকোর্টে আর্জি (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া ভারতীয় মিডিয়া বন্ধের আর্জি জানিয়ে আবেদন করেছেন বাংলাদেশের হাইকোর্টে। সেই আর্জিতে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ভারতীয় মিডিয়া বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও সমাজে প্রভাব ফেলছে বলে। আসলে, ভারতীয় মিডিয়াগুলি বাংলাদেশের প্রকৃত চেহারা তুলে ধরেছে। তাতেই ইউনূস প্রশাসনের ঘুম উড়েছে। কারণ, ভারত যা বলে, তা বিশ্ব দেখে, শোনে। এই কারণে, এই পিটিশন দায়ের করা হয়। সেদেশের ‘কেবল টেলিভিশন অপারেশন নেটওয়ার্ক অ্যাক্ট ২০০৬’ এর আওতায় যাতে ভারতীয় টিভি মিডিয়ার সম্প্রচার বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা যায়, তার আর্জি জানিয়েছেন ওই বাংলাদেশের আইনজীবী।

    ‘ঢাকা ট্রিবিউন’-এর খবর অনুযায়ী, পিটিশনে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে কেন ভারতীয় টিভি চ্যানেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা যাবে না? বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান আইনজীবী। একলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, ‘‘বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল আইনের বিভিন্ন উপ-ধারা লঙ্ঘন করে চলেছে। এ জন্য তাদের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে রিট করা হয়েছে।

    রিটে বাংলাদেশের তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও পুলিশের আইজিকে বিবাদী করা হয়েছে।’’ মূলত, মামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এর প্রতিনিধির নাম রয়েছে পিটিশনে।

    আরও পড়ুন: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    কোন কোন চ্যানেলে নিষেধাজ্ঞার আর্জি রয়েছে?

    যে সমস্ত ভারতীয় টিভি চ্যানেলে নিষেধাজ্ঞার জন্য আর্জি জানানো হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে জি বাংলা, স্টার জলসা, স্টার প্লাস, রিপাবলিক বাংলা সহ বেশ কিছু চ্যানেল। এরমধ্যে স্টার জলসা বা জি বাংলার মতো চ্যানেল মনোরঞ্জনের ক্ষেত্রে খ্যাতি সম্পন্ন। সেই চ্যানেল ঘিরে এই নিষেধাজ্ঞার আর্জি জানিয়েছে ওই দায়ের করা পিটিশন। এদিকে, অভিযোগ করা হচ্ছে যে, উস্কানিমূলক খবর ভারতীয় চ্যানেলগুলি সরবরাহ করছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশি (Bangladesh) সংস্কৃতি বিরোধী বিষয়বস্তুর অনিয়ন্ত্রিত সম্প্রচার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ভুঁইয়ার আবেদনে আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভারতীয় চ্যানেলগুলো কোনও স্থানীয় নিয়মনীতি না মেনে বাংলাদেশে সম্প্রচারিত হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘চিন্ময় প্রভুর হয়ে সওয়াল করলেই গণপিটুনি’! মৌলবাদীদের সন্ত্রাসে ইস্তফা এপিপি-র

    Bangladesh: ‘চিন্ময় প্রভুর হয়ে সওয়াল করলেই গণপিটুনি’! মৌলবাদীদের সন্ত্রাসে ইস্তফা এপিপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর কত নীচে নামবে? চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy Prabhu) জেলবন্দি করে রাখার ছক বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীদের। হিন্দুদের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠা এই সন্ন্যাসী যাতে ছাড়া না পান, তার জন্য পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করে মৌলবাদীরা। টার্গেট করা হয় চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীদের টার্গেট করে জেহাদিরা। বাড়ি ভাঙচুর থেকে শুরু করে হুমকি কোনও কিছু বাদ যায়নি। এমনকী, তাঁদের গণপিটুনির হুমকিও দেওয়া হয়েছে। জোর করে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে অতিরিক্ত পাবলিক প্রোসিকিউটরকে। 

    গণপিটুনির হুমকি দেন চিন্ময়কৃষ্ণ বিরোধী আইনজীবী!

    চিন্ময় দাসের হয়ে সওয়াল করলে গণপিটুনি দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন চিন্ময়ের বিরোধী পক্ষের আইনজীবী! ওই আইনজীবীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ইসকনের, এই জঙ্গি সংগঠনের নেতা এই চিন্ময় দাসকে যতদিন পর্যন্ত হত্যা মামলায় আসামি করা হবে না, আইনজীবীদের আন্দোলন ততদিন চলবে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় যদি কেউ সাহস করে এই চিন্ময় দাসের পক্ষে এবং চিন্ময় দাসের তোষণের পক্ষে কেউ যদি ওকালতি করতে চায়, কিংবা ওকালতনামা দাখিল করে, সঙ্গে সঙ্গে এই বিল্ডিংয়ে তাকে গণপিটুনি দিতে হবে।’’

    জেহাদিদের হুমকির মুখে ত্রস্ত চিন্ময়ের আইনজীবীরা

    বিরোধী আইনজীবী প্রকাশ্যে যদি এই হুমকি দেন, তাহলে চিন্ময়ের হয়ে দাঁড়ানোর সাহস কী করে পাবেন তাঁর আইনজীবীরা। কেবলমাত্র হুমকি দেওয়া নয়। চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীদের ওপর নৃশংস হামলাও চালানো হয়। সোমবার তাঁর অন্যতম প্রধান আইনজীবী রমেন রায়ের ওপর ভয়াবহ হামলা হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। আরেও এক আইনজীবী রিগন আচার্যর চেম্বারেও হামলা চালানো হয়। ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয় সব। ৫০ জনের বেশি আইনজীবী চিন্ময়ের জন্য আদালতে লড়তে রাজি ছিলেন, কিন্তু সন্ত্রাসের জেরে সব আইনজীবী সকলেই এলাকা ছাড়া। কারও ফোন বন্ধ। আতঙ্কে আত্মগোপন করেছেন অনেক আইনজীবী। জেহাদিদের হুমকির ভয়ে চিন্ময় প্রভুর হয়ে কোনও আইনজীবী আদালতে আসার সাহস দেখাননি।

    অতিরিক্ত পিপি-কে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে

    শুধু তাই নয়। এও জানা গিয়েছে, সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষে সওয়াল করতে ওকালতনামা জমা দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের (Bangladesh) আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর। এই কথা জানতে পেরেই তাঁকে ঘিরে ধরে বাংলাদেশের বিরোধী আইনজীবীরা। লাগাতার হুমকি ও নির্যাতন করা হয় তাঁর উপরে। আইনজীবীর কক্ষে চড়াও হয়ে বাধ্য করা হয় অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর পদ থেকে ইস্তফা দিতে। ভাইরাল হয়েছে ওই মুহূর্তের হাড়হিম করা ভিডিও। কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, ‘‘৫১ জনের বেশি আইনজীবী যাঁরা তাঁর হয়ে লড়াই করছেন, সবার বিরুদ্ধে পুলিশ কেস করা হয়েছে। সবার বাড়ি ঘর ভাঙা হয়েছে। আর ওদের মধ্যে অনেকে লুকিয়ে রয়েছে। কারণ ওরাও আতঙ্কে রয়েছে।’’ 

    ইউনূসের আসল চেহারা গোটা বিশ্বের সামনে উন্মোচিত

    এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট, যার মুখপাত্র হলেন চিন্ময়। তারা জোটের তরফে কড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে কোনও আইনজীবীকে দাঁড়াতে না দেওয়ার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। সরকার কী চাইছে? এটা কি স্বাধীন বিচারব্যবস্থার নমুনা? এটা যদি চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশে সনাতনী সহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তাদের প্রশ্ন, এরপর কি আদৌ বলা যায় বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে? প্রশ্ন বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের। তাদের মতে, এই ঘটনা শান্তি-সম্প্রীতি-মানবাধিকারের হয়ে সওয়াল করে নোবেল পুরস্কার পাওয়া মহম্মদ ইউনূসের আসল চেহারা গোটা বিশ্বের সামনে উন্মোচিত করে দিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    Bangladesh: ভীত বাংলাদেশ! ত্রিপুরার উপ-দূতাবাস বন্ধ করল ঢাকা, অমিল ভিসা পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ পেয়ে ত্রিপুরায় এবার বন্ধ হল বাংলাদেশ (Bangladesh) সহকারী হাইকমিশন বা উপ-দূতাবাস। মঙ্গলবার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, আপাতত ভিসা এবং কনস্যুলার কাজ বন্ধ থাকবে। নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণ দেখিয়েই সহকারী হাইকমিশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ভারতের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে ইউনূস সরকার। ত্রিপুরার ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশের পর ট্যুইট করেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদ 

    বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের উপরে নির্বিচারে হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদ হচ্ছে দিকে দিকে। ত্রিপুরার আগরতলাতেও প্রতিবাদ হচ্ছিল। বিক্ষোভ চলাকালীন কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা সহকারী হাইকমিশন চত্বরে ঢোকার চেষ্টা করে। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। ভারত সরকারের তরফেও এই ঘটনার দুঃখপ্রকাশ করা হয়। ভাঙচুরের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ৩ পুলিশ অফিসারকে। বদলি করা হয়েছে পুলিশের আরও এক কর্তাকেও। তবে, এই ঘটনায় ভয় পেয়েছে বাংলাদেশ, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক মহল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, দোষীদের শাস্তি দিয়ে এবং ঘটনার প্রতিবাদ করে সংখ্যালঘুদের কীভাবে নিরাপত্তা দিতে হয়, তা দেখিয়ে দিল ভারত। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বারবার ভারত বার্তা পাঠালেও ইউনূস সরকার তা নিশ্চিত করতে পারছে না, এটাই ফারাক দুই দেশের। 

    প্রতিবাদ অসমেও 

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ এবং ধর্মগুরু চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ত্রিপুরার হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন ঘোষণা করেছে, ব্যবসার ক্ষতি করেও বর্তমানে তারা হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা দেবে না। আগে থেকে যাঁরা হোটেলে ছিলেন, শুধু তাঁদেরই থাকতে দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভ হয়েছে অসমেও। শিলচরে বাংলাদেশের ভিসার একটি ফ্রাঞ্চাইজি কেন্দ্রে বিক্ষোভ হয়। দক্ষিণ অসমের চার জেলা সদরে ধর্না দেয় সনাতনী ঐক্য মঞ্চ। হাফলংয়ে বিক্ষোভ দেখায় ৩০টি সংগঠন। লোক জাগরণ মঞ্চের তরফে ধুবুড়ি, জোরহাট, নলবাড়ি, মাজুলি, বরপেটা, নলবাড়ি, গোলাঘাট, হোজাই-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল হয়। স্মারকপত্র পাঠানো হয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের উদ্দেশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক বিজেপির, কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ

    BJP: বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক বিজেপির, কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হচ্ছে। আর সেই সব জেহাদিরা ভারতে এসে চিকিৎসার সুবিধা নিচ্ছে। আমরা সেই সব ভারত বিদ্বেষীদের কখনওই আমাদের দেশে চিকিৎসা করাতে দেব না। মূলত এই দাবি তুলে বিজেপি (BJP) বিধায়ক অম্বিকা রায়ের নেতৃত্বে কল্যাণী এইমসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন দলের নেতা-কর্মীরা।  

    চিকিৎসকদের কাছে বাংলাদেশি রোগীদের বয়কটের ডাক (BJP)

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন চিন্ময় প্রভু। শুধু মৌলবাদীদের হুমকির জেরে তাঁর পক্ষে কোনও আইনজীবী আদালতে সওয়াল না করায় তিনি জামিন পর্যন্ত পাচ্ছেন না। সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ চলছে। সেখানকার মন্দির ভেঙে দেওয়া হচ্ছে এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন বাংলাদেশের কলেজে গেটের সামনে মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা আঁকানো রয়েছে। আর তার ওপর দিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা। এটা ভারতবাসীর কাছে অপমানের। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ তুলে এদিন কল্যাণী এমস হাসপাতালে গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন কল্যাণী বিজেপি (BJP) বিধায়ক অম্বিকা রায় সহ বিজেপি সমর্থকরা। প্রত্যেকের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি দিতে হবে। এইমস হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে বাংলাদেশি রোগীদের বয়কট করতে হবে।

    আরও পড়ুন: দ্রুত নামবে পারদ! মাঝ-ডিসেম্বর থেকেই শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং, বলছে পূর্বাভাস

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    এ বিষয়ে বিধায়ক (BJP) অম্বিকা রায় বলেন, “কিছু ভারতবিদ্বেষী রয়েছে, যারা ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। অথচ তারাই এসে বিনামূল্যে ভারতের চিকিৎসা সুবিধা নিচ্ছে। ১৪০ কোটি মানুষের এই ভারতবর্ষকে নিয়ে অপমান করার সাহস তারা কোথা থেকে পায়? কিন্তু দেখা যাচ্ছে এ রাজ্য সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আমরা চাই সেই সমস্ত ভারত বিদ্বেষী বাংলাদেশিরা যাতে আমাদের দেশে কোনও চিকিৎসা পরিষেবা না পায় সেই ব্যবস্থা করুক সরকার। সেই কারণেই এদিন আমরা এইমস হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখালাম। আমরা কোনও মতেই ভারত বিরোধী কোনও বাংলাদেশিকে ভারতবর্ষের কোনও সুবিধা পেতে দেব না”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: “মেয়ে-বউকে তুলে নিতে চায় ওরা”, বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন সুনীতা

    Bangladesh: “মেয়ে-বউকে তুলে নিতে চায় ওরা”, বাংলাদেশ থেকে ফিরে বললেন সুনীতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের পর থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার চলছে। বাংলাদেশের (Bangladesh) কী পরিস্থিতি, কী ভয়ানক অবস্থায় রয়েছেন সেখানকার হিন্দুরা, সেই অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন বাংলাদেশ থেকে এপারে আসা বাসিন্দারা। প্রত্যকের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।

    ভালো ভালো বউকে, মেয়েকে ওরা তুলে নিতে চায়! (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, দিন দশেক আগে বাংলাদেশের (Bangladesh) দিদি-দাদার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন বনগাঁর হরিদাসপুরের সুনীতি মৃধা। বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার চোখেমুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। তিনি বলেন, “একদিন আমাকে এসে সেখানকার এক মুসলিম বলল, তোমরা নমঃশূদ্ররা ভারতে চলে যাও, নাহলে তোমাদের একটাকেও আস্ত রাখব না। “কী অবস্থা চলছে সেখানে? প্রশ্ন করতেই তিনি বললেন, “উরি বাবা, সে বলা যাবে না। বিশাল হামলা চলছে ওখানে। ভালো ভালো বউকে, মেয়েকে ওরা তুলে নিতে চায়। জামাতের দল আর খালাদের দল। মায়ের কাছ থেকে বাবার কাছ থেকে মেয়ে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ঘরে আগুন দিচ্ছে। জমি জমা দখল করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।” সুনীতির বক্তব্য, “দিনটা যা হোক করে কাটছে, কিন্তু রাতটা ভয়ঙ্কর। ওখানকার মানুষের প্রাণটা ধুকধুক করছে। ছেলেদের ধরে নিয়ে গিয়ে মারছে। আমাদের ভারতে যদি মুসলিমরা আসে চিকিৎসা করাতে, তাহলে আমি বলব ঘেঁটি ধরে বার করে দেওয়া উচিত। চাল গম, তেল কিচ্ছু পাঠানো যাবে না।”

    ইন্ডিয়ায় হয় না, বাংলাদেশে কেন?

    বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে আসা এক মুসলিম ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা যারা ইন্ডিয়ায় আসি এখানকার পুলিশ প্রশাসন এখানকার মানুষ কোনওদিন কোনও প্রবলেম করে না। সবাই সাহায্য করে। কিন্তু,আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে ভাবে বাংলাদেশিরা অত্যাচার করছে সেটা দুঃখজনক।ওখানে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের ঘর থেকে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধের সময় যেমন হত। এটা বেশিরভাগ করছে আমাদের দেশের মৌলবাদীরা। ওই ব্যবসায়ী বলেন, আমি ধর্মে মুসলিম। এতদিন ধরে ইন্ডিয়ায় আসি, আমার ওপর কোনও দিন কোনও অত্যাচার হয়নি। তাহলে আমাদের দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর এই অত্যাচার কেন?” প্রশ্ন ওই ব্যবসায়ীর।

    শুভেন্দুর আন্দোলন বাংলাদেশে প্রভাব!

    শুভেন্দু অধিকারীর আন্দোলন যে বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রভাব ফেলছে, সেকথাও বললেন বাংলাদেশ থেকে এদেশে আসা বাসিন্দারা। পেট্রাপোলে অরাজনৈতিক ব্যানারে প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি। সোমবারই তাতে শামিল হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হিন্দু বাঁচাও, সনাতনীদের রক্ষা করার সুর চড়ান তিনি। চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবি যাতে এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায়ও পৌঁছে যায়, তার দাবিতে বেলুন ওড়ান তিনি। বাংলাদেশে অশান্তি যারা পাকাচ্ছে, তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভারত বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্র। সীমান্তে অনেকগুলো শব্দদানব রাখা রয়েছে। দুটি যদি ঘুরিয়ে দেয় না ভারতের বীর সেনা, ছুটে পালিয়ে যাবে মোল্লার দল।” কিন্তু শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি যে সে বাংলায় প্রভাব ফেলছে, সে কথাও বললেন বাংলাদেশ থেকে আসা এই প্রৌঢ়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘ছুরির ধারে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ’! হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে নিন্দার ঝড় ব্রিটিশ সংসদে

    Bangladesh: ‘ছুরির ধারে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ’! হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে নিন্দার ঝড় ব্রিটিশ সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুললেন ব্রিটেনের সাংসদ প্রীতি প্যাটেল এবং ব্যারি গার্ডিনার। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গার্ডিনারের মন্তব্য যে, বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তা ‘ছুরির ধারে’র ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবারই বসেছিল ব্রিটেনের সংসদ অধিবেশন। সেখানেই বক্তব্য রাখেন গার্ডিনার। নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারী চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সরকার, অথচ মন্দিরে যারা হামলা করছে তাদের ধরতে পারছে না ইউনূস প্রশাসন।

    মন্দিরে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি ইউনূস সরকার

    গার্ডিনার নিজের বক্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘যখন বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুরা, তখনই তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মতো অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাঁদের জামিন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কিন্তু মন্দিরগুলিতে যারা হামলা করছে, তাদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি ইউনূস সরকার।’’ এর পাশাপাশি বাংলাদেশের শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি জোরদার সওয়াল করেন ব্রিটিশ সংসদে। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি ছুরির ধারের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’

    সেক্রেটারি অফ স্টেট, ক্যাথরিন ওয়েস্টের বিবৃতি

    ব্রেইন্ড ওয়েস্টের এমপি তথা লেবার পার্টির নেতা ব্যারি গার্ডিনার ব্রিটেনের বিদেশ মন্ত্রককে অনুরোধ জানান যে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর চলমান হামলার ওপর বিবৃতি দিতে। এরই জবাবে ব্রিটেনের কমনওয়েলথ বিষয়ক বিদেশসচিব ক্যাথরিন ওয়েস্ট আশ্বস্ত করেন যে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতিমধ্যে বিষয়টি (সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা) জানানো হয়েছে। ক্যাথরিন আরও বলেন, ‘‘তারা (বাংলাদেশ সরকার) জানিয়েছে যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থনেই তারা চলবে।’’ ক্যাথরিন ওয়েস্ট নিজের বক্তব্যে বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূসের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে আমরা সম্পূর্ণভাবে আলোচনা করেছি এবং যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল বাংলাদেশি হিন্দুদের সুরক্ষা। কারণ ব্রিটিশ সরকার সবসময় মনে করে, ধর্মীয় স্বাধীনতা অধিকার প্রত্যেকের থাকা উচিত।’’ নিজের বক্তব্যে ক্যাথরিন ওয়েস্ট আরও বলেন, ‘‘ওই বৈঠকের সময়ে আমাকে ইউনূস সরকার আশ্বস্ত করেছিল, বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্যতম প্রধান উৎসব, দুর্গাপুজোর আগে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যা সমস্যা হয়েছে তা মিটিয়ে নেওয়া হবে। আমরা তখন খুশি হয়েছিলাম ও লক্ষ্য করেছিলাম যে মণ্ডপ এবং হিন্দু মন্দিরগুলোতে সুরক্ষার জন্য বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা ছিল।’’

    হিন্দু সন্ন্যাসী গ্রেফতার উদ্বেগ প্রকাশ গার্ডিনারের (Attacks on Hindus)

    অন্যদিকে, ব্রিটিশ সংসদে বক্তব্যের সময় লেবার পার্টির নেতা গার্ডিনার হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, ‘‘একজন হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন ইসকনের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘ইসকন হল হিন্দু ধর্মের একটি বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্ম। আমাদের দেশেও অনেক ইসকনের ভক্ত রয়েছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা উত্তর পশ্চিম মন্ডলের আশেপাশেও দেখা যায়।’’

    বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রতিষ্ঠিত হোক আইনের শাসন

    তিনি (গার্ডিনার ) আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকারের উচিত সেদেশে আইনের শাসনকে প্রতিষ্ঠা করা এবং শান্তি-শৃঙ্খলাকে ফিরিয়ে আনা। আমরা এখন যা দেখছি তাতে বোঝা যাচ্ছে যে সেখানকার হিংসা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে।’’ অন্যদিকে, কনজারভেটিভ পার্টির এমপি প্রীতি প্যাটেলের উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং গার্ডিনারের বক্তব্যকে সমর্থন করে তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিংসা আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আমরা এখন তা লক্ষ্য করছি। আমরা দেখছি বাংলাদেশের মানুষজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।’’ একইসঙ্গে প্রীতি প্যাটেল ব্রিটিশ সরকারের উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষার অধিকার, হিংসা প্রতিরোধ— এ সমস্ত বিষয় নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের কী আলোচনা হয়েছে তার বিবরণ মন্ত্রী কি দেবেন?’’

    বাংলাদেশের ঘটনাবলীর ওপর নজর রাখছে ব্রিটিশ হাইকমিশন

    এর জবাবে ক্যাথরিন ওয়েস্ট বলেন, ‘‘বাংলাদেশে অবস্থিত আমাদের হাইকমিশন অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে এবং প্রতিটি ঘটনার উপরে গুরুত্বপূর্ণভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে যখনই ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় বিশ্বাস চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে, আমরা সেখানে সেই সমস্ত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অধিকারের পক্ষে সওয়াল করব।’’

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলছেই, হল না চিন্ময় প্রভুর শুনানি

    প্রসঙ্গত, আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে ছিল চিন্ময় প্রভুর মামলার শুনানি। সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর (Chinmoy Krishna Das) হয়ে সওয়াল করার কথা ছিল আইনজীবী রমেন রায়ের। কিন্তু তাঁর ওপর নৃশংস হামলা চালায় মৌলবাদীরা। বর্তমানে, সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে রমেন রায়। ফলে, আশঙ্কা ছিলই যে, আজ, মঙ্গলবার চিন্ময়ের হয়ে আদালতে সওয়াল কে করবেন? সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রাণের ভয়ে কোনও আইনজীবী হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে আদালতে সওয়াল করলেন না। এর ফলে পিছিয়ে গেল সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলা। মঙ্গলবার আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন বিশ্বজুড়ে হিন্দুরা। কিন্তু এদিন কোনও আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায়, পিছিয়ে গেল সেই মামলা। আপাতত ১ মাস জেলেই থাকতে হবে (Bangladesh) সনাতনী সন্ন্যাসীকে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: আইনজীবী আইসিইউতে, ‘ভয়ে’ দাঁড়ালেন না অন্য কেউ, আরও ১ মাস জেলে চিন্ময় প্রভু

    Bangladesh: আইনজীবী আইসিইউতে, ‘ভয়ে’ দাঁড়ালেন না অন্য কেউ, আরও ১ মাস জেলে চিন্ময় প্রভু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর (Chinmoy Krishna Das) হয়ে সওয়াল করার কথা ছিল আইনজীবী রমেন রায়ের। তাঁর ওপর নৃশংস হামলা চালায় মৌলবাদীরা। বর্তমানে, সঙ্কটজনক অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে রমেন রায়। ফলে, আশঙ্কা ছিলই যে, আজ, মঙ্গলবার চিন্ময়ের হয়ে আদালতে সওয়াল কে করবেন? সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রাণের ভয়ে কোনও আইনজীবী হিন্দু সন্ন্যাসীর হয়ে আদালতে সওয়াল করলেন না। এর ফলে পিছিয়ে গেল সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের (Chinmoy Krishna Das) জামিন মামলা। মঙ্গলবার আদালত কী রায় দেয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন বিশ্বজুড়ে হিন্দুরা। কিন্তু এদিন কোনও আইনজীবী উপস্থিত না হওয়ায়, পিছিয়ে গেল সেই মামলা। আপাতত ১ মাস জেলেই থাকতে হবে (Bangladesh) সনাতনী সন্ন্যাসীকে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি।

    চট্টগ্রাম আদালতের ১১৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা 

    এদিন শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ আরও বাড়ল বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দুদের, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এমনিতে, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল শুনানিকে কেন্দ্র করে। সূত্রের খবর, চট্টগ্রাম আদালতে ১১৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এরাই মূলত চিন্ময় দাসের (Chinmoy Krishna Das) হয়ে মামলায় লড়ছিলেন। এর মধ্যে অনেকেই আহত, তাঁদের চিকিৎসা চলছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, যাঁদের এদিন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের হয়ে মামলায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল, তাঁদের প্রায় সকলেই সকাল থেকে তাঁদের মোবাইল বন্ধ করে রেখেছেন (Bangladesh)। এমনটাই জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ইসকন প্রবর্তক মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাস।

    ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার হন চিন্ময়কৃষ্ণ (Chinmoy Krishna Das)

    প্রসঙ্গত, গত মাসের ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। তাঁর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম এবং রংপুরে প্রবল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সংখ্যালঘু হিন্দুরা। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy Krishna Das) চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়। সেই সময় বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sheikh Hasina: “বাংলাদেশে গণহত্যা ও হিন্দুদের টার্গেট করার মূল পরিকল্পনাকারী ইউনূস’’, তোপ হাসিনার

    Sheikh Hasina: “বাংলাদেশে গণহত্যা ও হিন্দুদের টার্গেট করার মূল পরিকল্পনাকারী ইউনূস’’, তোপ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশজুড়ে গণহত্যা ও বিশেষত সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করার মূল পরিকল্পনাকারী মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)।” অন্তত এমনই অভিযোগ করলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি নিউইয়র্কে আওয়ামি লিগের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। সেই সময়ই তিনি নিশানা করেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ইউনূসকে। মন্দির, গির্জা এবং ইসকনের ওপর হামলার জন্য তিনি কাঠগড়ায় তোলেন ইউনূসকে।

    কী বললেন হাসিনা? (Sheikh Hasina)

    বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ইউনূস ছাত্র সমন্বয়কারীদের নিয়ে একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাসিনার এহেন মন্তব্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশে। সেই সময় তিনি নিশানা করলেন ইউনূসকে। গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান হাসিনা (Sheikh Hasina)। আশ্রয় নেন ভারতে। বলেন, “আজ আমায় গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাস্তবে, মহম্মদ ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কারীদের নিয়ে সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন।”

    গণহত্যা চাইনি

    তিনি বলেন, “আমার কট্টর বিরোধী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান লন্ডন থেকে বলেছেন যে, যদি মৃত্যুর ঘটনা চলতে থাকে তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বেশি দিন টিকবে না।” হাসিনা বলেন, “আমি কোনও গণহত্যা চাইনি। আমি যদি ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইতাম, তাহলে তা ঘটতে পারত।” তিনি বলেন, “যখন মানুষ নির্বিচারে মারা যাচ্ছিল, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি চলে যাব, ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন নেই। যদি নিরাপত্তা কর্মীরা গুলি চালাত, তাহলে গণভবনে অনেক মানুষ মারা যেত। আমি তা চাইনি।”

    আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বাংলাদেশে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রমেন রায়

    প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একদল সশস্ত্র লোক গণভবনে এসেছিল। আমাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যেভাবে আমার বাবা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই।” তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, “২৫-৩০ মিনিটের মধ্যেই আমি দেশ ছেড়েছিলাম। আমার নিরাপত্তা কর্মীদের বলেছিলাম গুলি চালাবেন না (Muhammad Yunus)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বাংলাদেশে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রমেন রায়

    Bangladesh: চিন্ময় প্রভুর আইনজীবীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা বাংলাদেশে, মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন রমেন রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ৮ দিন ধরে জেলবন্দি বাংলাদেশের (Bangladesh) সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das)। এবার তাঁর আইনজীবী রমেন রায়ের ওপরও হামলা চালাল মৌলবাদীরা। হামলা চালানোর এমন অভিযোগ সামনে এনেছেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। মৌলবাদীরা রমেন রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করেছে, নৃশংসভাবে মারধর করেছে। আঘাত এতটাই গুরুতর যে আইসিইউ-তে ভর্তি করতে হয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন আইনজীবী, এক্স হ্যান্ডলে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা ইসকনের সন্ন্যাসী রাধারমণ দাস। আইনজীবীর ছবিও পোস্ট করেছেন রাধারমণ দাস।

    আইনজীবী-সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭০ জন সংখ্যালঘু আইনজীবী এবং চট্টগ্রামের ২ জন হিন্দু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। জানা গিয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দেশি বোমা বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুরের মতো আজব অভিযোগ এনেছে ইউনূস সরকার। 

    ভিত্তিহীন মামলা তোলার আবেদন

    বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মামলায় আইনি সাহায্য এবং সংবাদ সম্প্রচারে বাধা দেওয়ার জন্যই এই মামলা করা হয়েছে। একদল মানুষ নিজেদের স্বার্থে এই মামলা দায়ের করেছেন। এই ধরনের ঘটনা পুরোপুরি মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের বিরোধী, দাবি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের। সরকারের কাছে এই ধরনের ভিত্তিহীন মামলা তুলে নেওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share