Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Mamata Banerjee: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মমতা

    Mamata Banerjee: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশে নিপীড়িত হচ্ছেন হিন্দুরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, যেহেতু একটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের ঘটনা, তাই মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে এতদিন মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

    বিধানসভা নির্বাচন (Mamata Banerjee)

    তবে ‘২৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তাই বাংলাদেশে যারা সংখ্যালঘু, বাংলায় তারাই সংখ্যাগুরু, এবং তাদের ভোট প্রয়োজন, তাই শেষমেশ মুখ খুললেন তিনি। এবং দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েনের আহ্বানও জানান তিনি। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি।

    মৌনব্রত ভঙ্গ

    গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে হিন্দু নির্যাতন উঠেছে তুঙ্গে। সম্প্রতি ইসকনের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশে। তার পরেই মৌনব্রত ভঙ্গ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের পরিবার…সম্পত্তি… এবং প্রিয়জনেরা বাংলাদেশে রয়েছে। এই বিষয়ে ভারত সরকারের যে কোনও অবস্থান আমরা মেনে নিই… কিন্তু আমরা পৃথিবীর যে কোনও জায়গায় ধর্মীয় ভিত্তিতে হওয়া নির্যাতনের নিন্দা করি এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপ করার আবেদন জানাই।”

    আরও পড়ুন: “আমরা জামিন দিই, আর আপনি মন্ত্রী হয়ে যান” মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

    এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, “আমি ইসকনের কলকাতা ইউনিটের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে সহানুভূতি ও সমর্থন জানিয়েছি।” তিনি বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়দের ওপর আক্রমণ করা হয়, তাহলে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা আমাদের মানুষদের ফিরিয়ে আনতে পারি… ভারত সরকার এই বিষয়টি জাতিসংঘের কাছে তুলে ধরতে পারে… যাতে একটি শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠানো যায়।”

    মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, “আমি অন্য একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না।” তিনি বলেন, “যখন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা ভুলবশতঃ ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করেছেন, বা যখন একটি বাংলাদেশি ট্রলার ডুবে গিয়েছিল, তখন আমার সরকার তাঁদের উদ্ধার করেছে এবং ভালোভাবে তাঁদের যত্ন নিয়েছে (Mamata Banerjee)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bangladesh: ভারতের প্রধানমন্ত্রীই ভরসা! মোদির সঙ্গে দেখা করতে চান বাংলাদেশের হিন্দুরা

    Bangladesh: ভারতের প্রধানমন্ত্রীই ভরসা! মোদির সঙ্গে দেখা করতে চান বাংলাদেশের হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্ত বাংলাদেশ। প্রাণভয়ে ঘুম ছুটেছে হিন্দুদের। নানা কাজে ভারতে এসে, সেই উদ্বেগের কথাই শোনালেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। বিশিষ্টজন থেকে ছাপোষা গৃহবধূ বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্তমান পরিস্থিতিতে, আতঙ্কে রয়েছেন সবাই। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে, মুখে অনেক সাফাই দেওয়া হলেও, পরিস্থিতি যে মোটেই ভালো নয়, তা উঠে আসছে ভারতে আসা বাংলাদেশের নাগরিকদের মুখেই। পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়ে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন বাংলাদেশের হিন্দুরা। সেই খবর পেয়েই কি ইসকন ভক্তদের সীমান্ত পারে বাধা দেয় বাংলাদেশ প্রশাসন? এমনই সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে পেট্রাপোল সীমান্তে।

    ইসকন ভক্ত ও সন্ন্যাসীকে সীমান্তে বাধা! (Bangladesh)

    সোমবার সীমান্ত পার করে বাংলাদেশের (Bangladesh) বেনাপোল থেকে ভারতে ঢোকেন বেশ কয়েকজন হিন্দু। তাঁদের মুখে শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছার কথা। তবে কার সাহায্যে, কীভাবে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে গত শুক্র এবং শনিবার বাংলাদেশের বেনাপোল চেকপোস্টে মোট ৮০ জন ইসকন ভক্ত ও সন্ন্যাসীকে সীমান্ত পার করে ভারতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, কোনও বৈধ নথি না থাকা সত্বেও বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার তাদের সীমান্ত পার করতে বাধা দিচ্ছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। বাংলাদেশের অভিবাসন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, যাদের বাধা দেওয়া হয়েছে তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি অনেকের কাছেই। সোমবার কিছুটা স্পষ্ট হল ইসকন ভক্তদের বাধা দেওয়ার কারণ। সোমবার সকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে পেট্রাপোল সীমান্তে পারাপার। বাংলাদেশ সরকারের বাধা পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে পেরেছেন কয়েকজন বাংলাদেশি হিন্দু ও ইসকন ভক্ত। আর সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানিয়েছেন সে দেশে হিন্দুদের ওপর চরম অত্যাচারের কথা।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা

    এক হিন্দু মহিলা (Bangladesh) বলেন, “আমাদের ওপর ওদেশে চরম অত্যাচার করছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করছে। পুজোআচ্চা বন্ধ করে – দিয়েছে। শঙ্খ বাজানো যাবে না, ঢাক ঢোল বাজানো যাবে না। মুসলমানদের সঙ্গে কথা বলা যাবে না। ঘরে দরজা দিয়ে বসে থাকতে হবে। তার মধ্যেই এদেশে এসেছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বাংলাদেশে হিন্দুদের অবস্থার কথা পৌঁছে দিতে চাই। আশা করি সফল হব।গোপালগঞ্জের বাসিন্দা কাকুতি বৈরাগী। চিকিৎসা করাতে ভারতে এসেছেন। কিন্তু, নিজের দেশকেই আর নিরাপদ মনে করতে পারছেন না তিনি। তাঁর কথায়, ‘চুরি-ডাকাতি এগুলো বেড়ে গেছে অনেকটা। ঘুমানো যায় না। পাহারা দিতে হয়। অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। এই বুঝি মারা যাই। এই বুঝি আগুন দিয়ে দেয় বাড়িতে।’ তিনি বলেন, “ওখানে মুসলমানদেরই বেশি আক্রোশ। দেখেছি মূর্তি ভাঙচুর। রাস্তাঘাটে বেরনো যায় না। ভয়ে থাকতে হয়, মহিলা মানুষ, কী দিয়ে কী হয়ে যায়, এরকম আতঙ্কে আছি।” সবার একটাই প্রশ্ন, কবে আবার শান্ত হবে সোনার বাংলা? সবার একটাই প্রার্থনা, শান্তি ফিরুক বাংলাদেশে। থেমে যাক অশান্তির ঝড়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে  নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী’’, বললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী’’, বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘স্থলবন্দর পরিদর্শন করে বিএসএফের কাছ থেকে খবর নিয়েছি, ওপারের অবস্থা ভালো নয়। ভারত সরকার শুধুমাত্র মেডিক্যাল ভিসা দিচ্ছে। যে কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৫০০ জন যাত্রীর জায়গায় ১৫০ জন পারাপার করছেন। ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে যে পরামর্শ বিএসএফকে দেওয়ার, সেটাই দেওয়া হয়েছে।’’ হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখার পর এমনই মন্তব্য করলেন উত্তর- পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    স্থলবন্দর পরিদর্শনে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar)

    বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar)। পরিদর্শনের সময় স্থলবন্দরে কর্তব্যরত বিএসএফ আধিকারিকদের থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর করেন। জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন তিনি। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সীমান্ত সমস্যা ও দুই দেশের সম্পর্কে অবনতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিয়ে সীমান্তে চলছে অনিশ্চয়তা। এহেন অবস্থায় সীমান্ত পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করেন সুকান্ত মজুমদার। স্থলবন্দরে পৌঁছে সীমান্ত প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়ে বিএসএফ আধিকারিককে সতর্ক করেন উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী। এরপরেই তিনি হিলির চোদ্দো হাত কালীর মেলায় পৌঁছান। সেখানে মন্দিরে পুজো দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলেন বালুরঘাটের সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    কী বললেন সুকান্ত?

    পরে, এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে এপারের বাঙালিরা দুঃখিত। সেদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চলছে, তা মানবতাবিরোধী। প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সংখ্যালঘুদের ওপর অবিলম্বে আক্রমণ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।” উত্তরবঙ্গে আট জেলার অধীনে থাকা প্রায় ১৯৩৭ কিলোমিটার ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন রয়েছে বিএসএফ। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতার কারণে ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বিএসএফের তরফে। অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েনের পাশাপাশি থার্মাল ক্যামেরা, নাইট ভিশন ক্যামেরা, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সীমান্তে পারাপারে বসানো হয়েছে বায়োমেট্রিক মেশিন। তবে চলতি বছরে জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে মিলন মেলা নিয়ে ধন্দ প্রকাশ করেছেন আইজি। মিলন মেলা আয়োজিত হলে যেন সরকারিভাবে নিয়ম মেনে ও সরকারি অনুমোদনে আয়োজিত হয় সেই কথা জানিয়েছেন আইজি।

    কী বললেন বিএসএফের আইজি?

    অস্থিরতার জেরে ইন্দো-বাংলাদেশ (Bangladesh) সীমান্ত দিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে অনুপ্রবেশ। গত চার মাসে শুধু মাত্র উত্তরবঙ্গে মোতায়েন থাকা বিএসএফের শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের অধীনে অনুপ্রবেশের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে অনুপ্রবেশকারীদের কড়া হাতে প্রতিরোধ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের বিএসএফ আধিকারিকরা। বিএসএফের আইজি সূর্যকান্ত শর্মা বলেন, ‘‘সীমান্তে টানা ও নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। তবে অগাস্ট মাসের পরে ওপার থেকে সংখ্যালঘুদের এপারে আসার একটা চাপ ও প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে খুব দক্ষতার সঙ্গে সেইসব সমস্যা মেটানো হচ্ছে। পাশাপাশি ফেন্সিংয়ের জন্য জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের ভালো সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। ফ্রন্টিয়ারের অধীনে থাকা মোট সীমান্তের ১০ শতাংশে ফেন্সিং নেই। খুব তাড়াতাড়ি সেই জায়গায়ও ফেন্সিং করা হবে।’’

    কত বাংলাদেশিদের গ্রেফতার?

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ইন্দো বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশকারী ১২৭ জন বাংলাদেশি ও ১৭৩ জন ভারতীয়কে গ্রেফতার করে। কিন্তু চলতি বছরে সেই সংখ্যা বেড়ে ১৯৪ জন বাংলাদেশি, ১৯৭ জন ভারতীয়, তিন জন রোহিঙ্গা ও তিন জন অন্য অনুপ্রবেশকারী মিলিয়ে মোট ৩৯৭ জন অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করে। সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল, চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গত চার মাসেই ১৪৯ জন অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে বিএসএফ। যার মধ্যে ৩৫ জন ভারতীয় ও ১১৪ জন বাংলাদেশি রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘কলকাতার এক দিনের ময়লা ফেলে এলেই চাপা পড়ে যাবেন’’, ইউনূসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘কলকাতার এক দিনের ময়লা ফেলে এলেই চাপা পড়ে যাবেন’’, ইউনূসকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞের কড়া প্রতিবাদ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে যে সভার আয়োজন করা হয়, সেখান থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ইউনূস হুঁশিয়ার, শুধু কলকাতায় একদিনে যে আবর্জনা বের হয়, ওটা ফেলে দিয়ে এলেই ঢাকা পড়ে যাবেন আপনি। পাঙ্গা নিতে আসবেন না।’’ বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে কিছুটা দাঁড়িয়ে ইউনূস সরকারকে ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। তিনি জানান, ১৯৭১ সালে ১৭,০০০ ভারতীয় জওয়ান আত্মবলিদান দিয়ে এই বাংলাদেশ তৈরি করে দিয়েছেন। এটা ভুললে চলবে না। কেউ যদি অতীত ভুলে যান, তাঁর ভবিষ্যৎ ভালো হয় না। 

    বাংলাদেশ সরকারকে সতর্কবার্তা

    সনাতনী হিন্দু সংগঠনের ডাকে এদিন দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্তের মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। অরাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। সেখান থেকে হিন্দুদের জোট বাঁধার ডাক দেন তিনি। এর পর হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে জিরো পয়েন্টের দিকে পদযাত্রা করেন। সেখানে কালো বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ দেখান। তার পর প্যাসেঞ্জার টার্মিনাস ধরে অভিবাসন কেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। সকাল থেকেই এই চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন প্রচুর মানুষ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু। হাতও মেলান। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, “হাজার হাজার মানুষ জমায়েত করেছে। এরা কোনও বিজেপি নয়। হিন্দুরা জোট বাঁধছে। সকাল ছটা থেকে সীমান্তে বাণিজ্য বন্ধ।” শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “একদিনেই টাইট হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: আরও শক্তিশালী নৌসেনা! ফ্রান্স থেকে ২৬ রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান আসছে ভারতে, চুক্তি শীঘ্রই

    এটা ট্রেলার

    বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন এই সভার আয়োজন করা হয়। এখানে সমবেত সাধুরা বলেন, ‘‘সনাতনীদের এক হতে হবে। বাংলাদেশে অবিলম্বে হিন্দুনিধন যজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। পরের শুনানিতেই চিন্ময় প্রভুকে মুক্তি দিতে হবে।’’ এই সভায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, “এটা ট্রেলার দেখিয়ে গেলাম। অত্যাচার বন্ধ না হলে পরের সপ্তাহে আমরা পাঁচদিন ধর্না দেব। তারপর ২০২৫ সালে আমরা লাগাতার বন‍্‍ধ করব। ওরা আলু, পেঁয়াজ কীভাবে খায়, সেটা দেখিয়ে দেব। আমাদের নাম ভারতবর্ষ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh Relation: বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১৩৫ কোটি! টাকা চেয়ে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি ত্রিপুরার

    India-Bangladesh Relation: বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ১৩৫ কোটি! টাকা চেয়ে ঢাকাকে হুঁশিয়ারি ত্রিপুরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশ (India-Bangladesh Relation) সরকারের কাছে বকেয়া ১৩৫ কোটি টাকা চাইল ত্রিপুরা সরকার। বিদ্যুৎচুক্তি নিয়ে গৌতম আদানির মালিকানাধীন শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে টালবাহানার মধ্যেই ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশকে বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলেছে। প্রসঙ্গত, এমন একটা সময় ত্রিপুরা সরকারের তরফে বাংলাদেশের কাছে বকেয়া চাওয়া হয়ছে, যখন ঢাকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বাংলাদেশের মধ্যে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বকেয়া বাড়ছে নিয়মিত

    বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে ভারতের ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন’-এর সঙ্গে বাংলাদেশ (India-Bangladesh Relation) সরকারের চুক্তি হয়েছিল। ‘বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেড’-এর মাধ্যমে এই চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক, প্রতি ইউনিটের জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থ ধার্য করেছিল ত্রিপুরা সরকার। সেই অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠায় তারা। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে, বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ অনেক টাকা বকেয়া পড়ে গিয়েছে। ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন নাথ জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ বাবদ প্রতি ইউনিটের হিসাবে ৬ টাকা ৬৫ পয়সা করে নেয় ত্রিপুরা সরকার।

    অশান্ত বাংলাদেশ

    গত কয়েক দিন ধরে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের একাংশে। একাধিক সংখ্যালঘু নেতা, সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারের ফলে বাংলাদেশের কিছু জায়গায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ শামিল হয়েছেন। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। অভিযোগ উঠেছে যে, ভারত-বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে বাংলাদেশে। এমনকী বাংলাদেশে ত্রিপুরা-কলকাতাগামী বাসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে বাংলাদেশকে কোনও রকম ছাড় দিতে নারাজ ভারত। 

    আরও পড়ুন: আরও শক্তিশালী নৌসেনা! ফ্রান্স থেকে ২৬ রাফাল মেরিন যুদ্ধবিমান আসছে ভারতে, চুক্তি শীঘ্রই

    আদানির কাছে ধার

    আদানিদের সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে সমস্যা চলছে বাংলাদেশ সরকারের। ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার আমলে আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎচুক্তির বিষয়ে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়। এর পাশাপাশি ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারও আদানি-সহ ছ’টি সংস্থার সঙ্গে হওয়া বিদ্যুৎচুক্তি খতিয়ে দেখছে। সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়ে জানায়, বিদ্যুতের বকেয়া বিল বাবদ ৮০ কোটি ডলার বকেয়া রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশের জেলে বন্দি ৯৫ ভারতীয় মৎস্যজীবী, আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারের

    Bangladesh: বাংলাদেশের জেলে বন্দি ৯৫ ভারতীয় মৎস্যজীবী, আতঙ্কে দিন কাটছে পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্রমাগত রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার ৯৫ জন ভারতীয় জেলেদের ভাগ্যের ওপর দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে। সামুদ্রিক সীমানা অতিক্রমের অভিযোগে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেফতার হওয়া এই জেলেরা বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। আতঙ্কে পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ ও নামখানার (Bangladesh) জেলেদের আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৩ অক্টোবর, যখন ৩১ জন জেলেকে আটক করা হয়। একইসঙ্গে দুটি নৌকা, ‘মা বাসন্তী’ এবং ‘জয় জগন্নাথ’  কে আটক করা হয়। এরপর ১৪ অক্টোবর ‘অভিজিৎ’, ‘অভিজিৎ-৩’ ও ‘নারায়ণ’ নামের তিনটি নৌকাসহ আরও ৪৮ জেলেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর নভেম্বর মাসে ফের নতুন করে আরও ১৬ জন মৎস্যজীবীকে (Indian Fishermen) গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, গত ১৫ নভেম্বর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য রওনা দিয়েছিল ‘এফবি ঝড়’ নামক ট্রলারটি। কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট এলাকা থেকে এটি যাত্রা শুরু করেছিলেন মৎস্যজীবীরা। এরপর ২২ নভেম্বর তাদের আটক করা হয়। ধৃত সব মৎস্যজীবীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের বাসিন্দা।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    কাকদ্বীপের (Bangladesh) পশ্চিম গঙ্গাধরপুর এলাকার বাসিন্দা তেজেন্দ্র মাঝিকে আটক করেছে বাংলাদেশের প্রশাসন। বিষয়টি জানতে  পেরে উদ্বেগে রয়েছেন পরিবারের লোকজন। কাকদ্বীপের অক্ষয় নগর বসন্তপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ দাসও বাংলাদেশের জেলে রয়েছেন। তিনি পরিবারের একমাত্র কর্মঠ ছিলেন। ছোট্ট একটি দরমার ঘরে কোনও ক্রমে ত্রিপল ঘিরে মা-বোনকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন। হঠাৎ করে বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে আটকে পড়ে প্রসেনজিৎ সেই খবর পরিবারের কাছে এসে পৌঁছাতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। হাউ হাউ করে কাঁদছেন প্রসেনজিতের মা। কিছু বলতে পারছেন না। অক্ষয় নগর বসন্তপুরের বাসিন্দা রাধা দাস। মাসখানেক আগেই তাঁর স্বামী মাছ ধরতে গিয়ে আটকে পড়েন বাংলাদেশ প্রশাসনের হাতে। এবার তাঁর ভাই অভি দাস গিয়েছিলেন মাছ ধরতে, তিনিও আটকে পড়েন বাংলাদেশের জেলে। স্বামী ও ভাই দুজনে আটকে পড়ায় এখন দিশেহারা এই পরিবার।

    মৎস্যজীবি শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি কী বললেন?

    দক্ষিণ ২৪-পরগনা জেলার জেলেদের সংগঠন সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবি শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি সতীনাথ পাত্র বলেন, ‘‘আমরা জেলেদের মুক্তির জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যাইহোক, আমরা জানতে পেরেছি যে তাদের (বাংলাদেশে বন্দি জেলেদের) বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগপত্র দেওয়া হয়নি। জেলেদের আইনি সহায়তা দিতে আমরা আমাদের লোক পাঠিয়েছি বাংলাদেশে (Bangladesh)। কিন্তু সেখানে বর্তমান প্রশাসনের ভূমিকা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে আক্রান্ত কলকাতাগামী বাস, ভারতীয়দের প্রাণনাশের হুমকি! প্রতিবাদ ত্রিপুরার

    Bangladesh: বাংলাদেশে আক্রান্ত কলকাতাগামী বাস, ভারতীয়দের প্রাণনাশের হুমকি! প্রতিবাদ ত্রিপুরার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু নির্যাতনের ঘটনায় যখন বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের তীব্র সমালোচনা চলছে নানা মহলে, ঠিক তখনই ত্রিপুরা লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কলকাতাগামী একটি বাস ঘিরে যাত্রীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ত্রিপুরা থেকে কলকাতাগামী বাসে হামলা চালানোর অভিযোগ। বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় ইচ্ছাকৃতভাবে কলকাতাগামী ওই বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার বাসে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক, এমনটাই জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনায় অল্প আঘাত পান যাত্রীরা। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীও বাংলাদেশের হামলার কড়া নিন্দা করেন। হামলা না থামালে কড়া পদক্ষেপের কথাও বলেন তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, ৩০ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা থেকে কলকাতা (Kolkata) আসছিল শ্যামলী পরিবহণের বাস। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিশ্ব রোডে হঠাৎ বাসটিকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি বড় ট্রাক। কোনওমতে ব্রেক কষে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ান বাসের চালক। গোটা ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরই বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। ভারত বিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ত্রিপুরা সরকার। ত্রিপুরার পরিবহণমন্ত্রী সুশীল চৌধুরী বলেন, ‘‘ত্রিপুরা থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবেড়িয়ায় আক্রান্ত হয়েছে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস। বাসটি রাস্তার এক ধার ধরে যাচ্ছিল। হঠাৎ বাসটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনার কবলে ফেলার জন্য ধাক্কা দেয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক। একই সময় রাস্তায় থাকা একটি অটো বাসের সামনে চলে আসে এবং শ্যামলী – বাসটির সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন – বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের ক্রমাগত হুমকি দিতে থাকেন। ভারত- বিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে এবং কটু মন্তব্য করে যাত্রীদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আর বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রশাসনকে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’’

    সরব হয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী

    ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ভারতীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রশাসনকে এই বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এরকম ঘটনা ঘটতে পারে তা ভাবা যায়নি। বাংলাদেশে যা চলছে তা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না। ওরা যদি নিজেদের শুধরে না নেয়, তাহলে ফল ভুগতে হবে। ওখানে যা হচ্ছে তা মোটেও ভালো নয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘ওখানে সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলছে, তা গোটা বিশ্ব দেখছে। আমি আশা করছি, আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রীয় নেতারা পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাচ্ছেন। সঠিক সময়ে তাঁরা নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। যেহেতু ত্রিপুরার তিন দিকে বাংলাদেশ সীমান্ত তাই আমরা নজরদারির জন্য বিএসএফ এবং ডিজিপির সঙ্গে কথা বলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ভারতীয় হিন্দু জানতেই খুনের চেষ্টা ঢাকায়! বেলঘরিয়ার যুবক ফিরলেন প্রাণ হাতে করে

    Bangladesh: ভারতীয় হিন্দু জানতেই খুনের চেষ্টা ঢাকায়! বেলঘরিয়ার যুবক ফিরলেন প্রাণ হাতে করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) গিয়ে আক্রান্ত হলেন উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার যুবক। অভিযোগ, ভারতীয় হিন্দু পরিচয় (Indian Hindu Assaulted) প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর ওপর চড়াও হন বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা। টাকা, মোবাইল ছিনতাইয়ের পাশাপাশি তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়। এলোপাথাড়ি কিল, চড়, ঘুষির সঙ্গে মুখে ছুরি দিয়ে এবং মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। জখম যুবকের মুখে দু’টি এবং মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। এমনকী, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছেন সঙ্গে থাকা মুসলিম বন্ধুও। হামলাকারীরা সেই বন্ধুর মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকী, যুবকের অভিযোগ, বাংলাদেশের পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সাহায্য তো মেলেইনি, উলটে কোথাও কোনও অভিযোগ জানালে তাঁদের খুন করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bangladesh)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ভারতীয় যুবকের (Bangladesh) নাম সায়ন ঘোষ (২২)। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার (Belghoria) ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেশপ্রিয় নগর এলাকায়। ২৩ নভেম্বর ঢাকায় বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার কথা ছিল নভেম্বরের ২৬ তারিখ। অভিযোগ, ফেরার আগের দিন বন্ধুর সঙ্গে ঢাকার বাজারে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সায়ন। সে সময়ই আচমকা এক দল লোক এসে তাঁদের ঘিরে ধরেন। শুরু হয় ‘জেরা’। ভারত থেকে গিয়েছেন এবং হিন্দু পরিচয় (Indian Hindu Assaulted) জানতে পেরেই নাকি তাঁর ওপর চড়াও হন তাঁরা। শুরু হয় মারধর। প্রকাশ্য রাস্তায় এমন ঘটনা দেখেও এগিয়ে আসেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত ওই বন্ধুর তৎপরতায় দুষ্কৃতীরা পিছু হটে। তবে তত ক্ষণে রক্তে ভেসে যাচ্ছে সায়নের গোট শরীর।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    আক্রান্ত যুবক কী বললেন?

    সায়নের অভিযোগ, থানায় (Bangladesh) গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রথমেই পুলিশ চিকিৎসা করে আসতে বলে। কিন্তু সে ব্যাপারে কোনও সাহায্য করেনি। তার পর আহত অবস্থাতেই একের পর এক হাসপাতালে ঘুরেছেন সায়ন এবং তাঁর বন্ধু। কেউই সায়নের চিকিৎসা করতে রাজি হননি। শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে এসে চিকিৎসা হয় তাঁর। অভিযোগ, সায়নের কাছে থাকা মোবাইল এবং টাকাপয়সা সব কেড়ে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ওই অবস্থাতেই ভয়ে কোনও মতে প্রাণ হাতে করে গেদে সীমান্ত থেকে চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে চলে আসেন সায়ন (Indian Hindu Assaulted)। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন সায়ন। সোমবার তিনি বিষয়টি নিয়ে কলকাতায় বাংলাদেশ (Bangladesh) ডেপুটি হাইকমিশনের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Unrest: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    Bangladesh Unrest: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে পেট্রাপোল সীমান্তে আজ প্রতিবাদ-সভা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তি ও হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবিতে আজ সোমবার ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে প্রতিবাদ সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) এই সভায় উপস্থিত থাকবেন বিজেপির একাধিক বিধায়ক এবং বহু সাধু, গোসাঁইদের। প্রসঙ্গত, এই সভা হবে সনাতনী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে। সভা নিয়ে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেন, ‘‘সভায় বিজেপির কোনও পতাকা, ব্যানার থাকবে না। সভা হচ্ছে সনাতনী ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে।’’ প্রসঙ্গত, গতকালই বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পথে ৫৪ ইসকন ভক্তকে আটকে দেয় সেদেশের প্রশাসন। এনিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই আবহে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, শুভেন্দুর প্রতিবাদ সভার জেরে পেট্রাপোল সীমান্ত অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।

    বাংলাদেশিরাও (Bangladesh Unrest) ক্ষোভ উগরে দেন ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে 

    সে কারণে রবিবারই আরও বেশি করে বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে দেখা যায়। বাংলাদেশ (Bangladesh Unrest) যাওয়ার আগে ইউনূসের সরকারের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন অনেকেই। বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে মতুয়া ভক্ত গোলক বলেন, ‘‘গুরুধামে আরও কয়েক দিন থাকার কথা ছিল। কিন্তু জীবনের আশঙ্কায় দ্রুত ফিরে আসতে বাধ্য হলাম।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারতীয়দের এখন ওই দেশে দেখলেই গালিগালাজ করা হচ্ছে। ওষুধের দোকান থেকে ভারতীয় বলে আমাকে ওষুধ পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছিল না। অনেক অনুরোধ করে এক পাতা ওষুধ কিনতে পেরেছি।’’

    আটকে দেওয়া হয় ৫৪ জন ইসকন ভক্তকে

    অন্যদিকে, ইসকনের ৫৪ জন সদস্যকে রবিবার বেনাপোল সীমান্তে আটক করে বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) ইমিগ্রেশন পুলিশ। বৈধ কাগজপত্র থাকলেও আটক করা হয় তাঁদের যশোরে বাংলাদেশের বেনাপোল চেকপোস্ট পেরিয়ে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের পর আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। ইউনূস সরকারের এমন আচরণেই বোঝা যাচ্ছে, সেদেশে সংখ্যালঘুরা ঠিক কতটা অসুরক্ষিত। বেনাপোলে বাংলাদেশ সরকারের ইমিগ্রেশন বিভাগের অফিসার ইমতিয়াজ আহসানুল কাদের ভুঁইয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসকন সদস্যদের কাছে বৈধ পাসপোর্ট, ভিসা থাকলেও বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষ সরকারি অনুমতি ছিল না। অন্যদিকে, সৌরভ তপনদার চেলি নামে এক ইসকন সদস্যের বক্তব্য, বিশেষ সরকারি অনুমতির বিষয়টি তাদের কাছে স্পষ্ট করেনি ইমিগ্রেশন অফিসার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Iskcon: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্বের ১৫০ দেশের ৮০০ মন্দিরে শান্তিপ্রার্থনা ইসকনের

    Iskcon: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্বের ১৫০ দেশের ৮০০ মন্দিরে শান্তিপ্রার্থনা ইসকনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) আক্রান্ত একের পর এক ইসকন মন্দির। সে দেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন হিন্দুরা। গ্রেফতার করা হয়েছে ইসকনের একাধিক সন্ন্যাসীকে (Iskcon)। এই আবহে গতকাল রবিবারই বিশ্বের দেড়শোটি দেশে প্রার্থনা-কীর্তনের মাধ্যমে প্রতিবাদের আয়োজন করেছিল ইসকন। আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ মহাদেশের ১৫০টি দেশে ইসকনের প্রায় ৮০০-এরও বেশি মন্দিরে স্থানীয় সময় অনুসারে বাংলাদেশ ইস্য়ুতে কর্মসূচির আয়োজন করা হয় রবিবার। কোথাও শান্তিপ্রার্থনা কোথাও আবার কীর্তনের আয়োজন করেন ইসকন ভক্তরা। একটাই প্রার্থনা করা হয় সর্বত্র, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা।

    রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থনার মাধ্যমে প্রতিবাদ (Iskcon)

    রবিবার এদেশেরও একাধিক বড় শহরে প্রতিবাদ জানায় ইসকন (Iskcon)। রাজ্যের মধ্য়ে কলকাতা, শিলিগুড়ি, মায়াপুর, রাজস্থানের জয়পুর, অসমের গুয়াহাটি, ওড়িশার ভুবনেশ্বর, কর্নাটকের বেঙ্গালুরু সহ দেশের একাধিক জায়গাতে ইসকনের মন্দিরগুলিতে প্রার্থনা ও কীর্তনের মাধ্যমে শান্তি প্রার্থনা করা হয়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচার চলছে সেই অত্যাচারের প্রতিবাদ জানানো হয়। ইসকনের সন্ন্যাসীদের হাতে পোস্টার দেখা যায়, ‘আমরা সন্ত্রাসী নই’, ‘আমাদের মন্দিরকে রক্ষা করো বাংলাদেশে’। একইসঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিও জানান তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে পথে নেমে প্রতিবাদ জানান ইসকনের ভক্তরা। রবিবারে আসানসোলের বার্নপুরে ত্রিবেণী মোড় থেকে এক পদযাত্রা করা হয়। ইসকনের ওই পদযাত্রায় সামিল হতে দেখা গিয়েছে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে। প্রসঙ্গত, একইভাবে প্রতিবাদ দেখা গেছে এ রাজ্যের দুর্গাপুরেও। সেখানে প্রতিবাদ জানায় বিশ্ব সনাতনী হিন্দু একতা সঙ্ঘ নামের একটি সংগঠন।

    মায়াপুরের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবাদ

    অন্যদিকে, ইসকনের (Iskcon) মায়াপুর আন্তর্জাতিক প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তার দাবি নিয়ে প্রার্থনা সভা কীর্তন হয়। রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত ইসকনের এই প্রার্থনা চলে। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানিয়েছে, অশান্ত বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতেই এমন আয়োজন। মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দিরে রাধামাধব বিগ্রহের সামনে অসংখ্য কৃষ্ণ ভক্তরা জমায়েত হন রবিবার এবং বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ক্রমাগত নির্যাতনের প্রতিবাদে তাঁরা নাম সংকীর্তন শুরু করেন। প্রসঙ্গত, ইসকনের সন্ন্যাসীর মুক্তির দাবিতে মায়াপুরেও প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে বিক্ষোভ দেখায় বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। এরপরে তারা বিক্ষোভ সভাও করে সেখানে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share