Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’, তথ্য তুলে ধরে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  একশো দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা। তৃণমূল জমানায় নানা প্রকল্পে দুর্নীতি সামনে এসেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মিথ্যা দাবি তুলে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই আবহে ফের একবার তথ্য দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘‘বাংলা বঞ্চিত নয়, জনগণকে বঞ্চিত করছে তৃণমূল’’

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘তৃণমূলের মালিকরা বারেবারে বলে বিজেপির জমিদাররা ৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা কর নিয়েছে। ১.৬ লক্ষ কোটি টাকার নায্য পাওনা আটকে রেখেছে। ভারত সরকার ২০১৮-১৯ সাল থেকে ২০২২-২৩ সাল পর্যন্ত ৬.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে দিয়েছে।’’

    কেন্দ্রের সুদের টাকায় মেলা-খেলা 

    তৃণমূল সরকারকে (West Bengal) তীব্র আক্রমণ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ‘‘আসলে এরা আগে সেন্ট্রালের শেয়ার নিয়ে অ্যাকাউন্টে রেখে দিত। তার সুদের টাকায় খেলা-মেলা-দান-ভাতা এসব করতো। কেন্দ্র এটাকে আটকে দিয়েছে। ফাইন্যান্সিয়াল ডিসিপ্লিন চালু করেছে। যার মধ্যে এরা আসতে রাজি নয়। কারণ এটা তো আলাদা রাজ্য। এখানে আলাদা জাতীয় বাংলা সঙ্গীত রয়েছে, আলাদা পতাকা, আলাদা সংবিধান, পুজো-পার্বনের আলাদা নিয়ম।’’

    থমকে একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প

    একাধিক কেন্দ্রীয় প্রকল্প মমতা সরকার বাংলায় চালু করেনি। এনিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এর পাশাপাশি যে প্রকল্পগুলি চলছে, সেগুলির বাস্তবায়ন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মোদিজীর কাছ থেকে ৮২ লক্ষের কাছাকাছি শৌচালয় পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু, কে পেয়েছে শৌচালয় কেউ জানে না। বাংলায় ৮৩ লক্ষের বেশি পিএম কিষাণ পাচ্ছে না। কেন পাঠানো হচ্ছে না নাম? কেন সেন্ট্রাল স্কিমগুলি চালু হচ্ছে না? আপনার কার্ড বাইরে চলে না কিন্তু আপনি কেন আয়ুষ্মান ভারত অন্তত বাইরে চালু করছেন না? বিশ্বকর্মা যোজনা নিয়ে ডিএম-দের দিয়ে মিটিং করাচ্ছেন না। তার কোনও উত্তর নেই।’’

    বাংলা বঞ্চিত নয়, বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে  

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বেলডাঙার এক প্রধান একা ১৭টি বাড়ি নিয়েছেন। কাবিলপুরের প্রধান সাগরদিঘির একা আত্মীয়-স্বজন মিলে ৩৫টি বাড়ি নিয়েছেন। কারণ পঞ্চায়েত মন্ত্রী নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত। এরা বাইরে আছে এটাই আশ্চর্যের। এদের ভিতরে থাকার কথা। প্রত্যেকটা লোক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। বাংলা বঞ্চিত নয়। বাংলার জনগণকে তৃণমূল কংগ্রেস বঞ্চিত করছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ‘‘আশা করব স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে চিন্ময়কৃষ্ণের’’, ঢাকাকে কড়া বার্তা দিল্লির

    Bangladesh: ‘‘আশা করব স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে চিন্ময়কৃষ্ণের’’, ঢাকাকে কড়া বার্তা দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় ইউনূস সরকারের তীব্র নিন্দা করল দিল্লি। একই সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের আইনি অধিকার সুরক্ষিত রাখার আবেদনও জানাল ঢাকার কাছে। শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আশা করব চিন্ময়কৃষ্ণের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ বিচার হবে। তাঁর আইনি অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে।’’

    হিন্দুদের ওপর হামলা, চিন্তিত ভারত সরকার 

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানেই বাংলাদেশের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। এদিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক হয়েছে। ভারত সরকার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। আমরা লাগাতার বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। যদি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও বৈঠকের কথা হয়, তাহলে তা জানানো হবে।’’

    বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি

    রণধীর জয়সওয়ালের (Randheer Jaiswal) মতে, ‘‘ভারতের অবস্থান খুব পরিষ্কার। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। নিরাপত্তার দায়িত্বও নিতে হবে।’’ তবে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে বাণিজ্য চলবে বলে জানিয়েছেন রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যে এখনই এর কোনও প্রভাব পড়ছে না। ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য যেমন চলছিল তেমনই চলবে।’’ উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বার বার সংখ্যালঘু এবং হিন্দুদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটতে থাকে।

    শুক্রবারই সংসদে বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী

    শুক্রবারই বাংলাদেশ (Bangladesh) ইস্যুতে সংসদে লিখিত বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নিজের বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রত্যেকটি ঘটনার ওপরেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দোকান, ঘর, বাড়ি লুট করা হচ্ছে। মন্দিরগুলির ওপরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মস্থলগুলিতেও হামলা চলছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Unrest: ২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেছে ইসলামি ছাত্র শিবির, আইএসআই!

    Bangladesh Unrest: ২ বছর ধরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনেছে ইসলামি ছাত্র শিবির, আইএসআই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের কবল থেকে ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে স্বাধীনতা লাভ করেছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ৫২ বছর পর সেই বাংলাদেশে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ। পাকিস্তানের সেই জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছয়। জাহাজে কী ছিল? জানা যায়নি স্পষ্ট করে। কিন্তু এরমধ্যে হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে দিয়ে লুট হয়েছে গণভবন (Bangladesh Unrest)। আওয়ামি লিগকে বিতাড়িত করে, পেছনের দরজা দিয়ে গদিতে বসেছেন মহম্মদ ইউনূস (Muhammed Yunus)। দেশ এখন সম্পূর্ণ ভাবে জামাত-ই-ইসলামি এবং বিএনপি-র মতো কট্টর মৌলবাদী জেহাদিদের হাতে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে (Anti Hindu Conspiracy)। একই ভাবে ভারতের জাতীয় পতাকা এবং সম্মানকে ক্ষুণ্ণ করার দৃষ্টান্ত নজরে এসেছে সামজিক মাধ্যমে। কীভাবে উপকারীর অপকার করতে হয় তার হয়ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ইউনূস প্রশাসন। তবে, এটা আচমকা শুরু হয়নি। গত ২ বছর ধরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশে হিন্দু-বিরোধী (Anti Hindu Conspiracy) ও ভারত-বিরোধী চক্রান্তের জাল বুনে চলেছে কট্টর মৌলবাদী ইসলামি ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং পাকিস্তানের আইএসআই (Pak ISI)। আসুন জেনে নিই কীভাবে এতকাণ্ড ঘটল।

    ষড়যন্ত্র শুরু হয় ২০২২ সালে

    বাংলাদেশে (Bangladesh Unrest) গভীর ষড়যন্ত্রের প্রথম শুরু হয় ২০২২ সালের একেবারে গোড়ায়। ইসলামিক ছাত্র শিবিরের (Islami Chhatra Shibir) নেতারা তখন ঘনঘন পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে লাগাতার বৈঠক হয়। সেখানেই আন্দোলন এবং পরিকল্পনার রোডম্যাপ তৈরি করা হয়। তবে তারা এক দিনের আন্দোলন নয়, দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের বিষয় স্থির করেছিল। যার প্রথম ধাপে ছিল বিপুল পরিমাণ মানুষকে ক্ষিপ্ত করে রাস্তায় নামানো (Bangladesh Unrest)। এরপর শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করানো। তারপর দ্বিতীয় ধাপে মহম্মদ ইউনূসকে তত্ত্বাবোধায়ক সরকার গঠনে নেতৃত্ব দেওয়া। কারণ ইউনূস এমন ব্যক্তি যিনি ইসালামি আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই কাজ করবেন। আইএসআই স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বাংলাদেশে ইসলামকে সর্বাত্মক কার্যকর করতে হবে। কোনও সংখ্যালঘু (Anti Hindu Conspiracy) যেন আর না থাকে। অত্যাচার, নিপীড়ন, লুট, ধর্ষণ, খুনের বিরাট টার্গেট স্থির করা হয়। পাকিস্তানের মতো যেন বাংলাদেশ হিন্দু শূন্য হয়, এটাই পরিকল্পনা স্থির হয়েছিল। 

    আইএসআই-এর বিরাট ষড়যন্ত্র! (Anti Hindu Conspiracy)

    কার্যত এই পরিকল্পনার স্পষ্ট বাস্তবায়ন আমরা দেখেছি গত ৫ অগাস্টের পর থেকে। একে একে রংপুর, কুমিল্লা, ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রামে হিন্দু মন্দির এবং বাড়ি-ঘরে কীভাবে হামলা হয়েছে (Bangladesh Unrest)। তবে আইএসআই ছাত্র শিবিরকে আশ্বাস দিয়েছিল, আন্দোলনে শোরগোল ফেলতে আরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন হবে। তরুণ মুসলমান যুবকদের ভারত বিরোধী (Anti India Campaign) মগজ ধোলাই করতে সামজিক মাধ্যমে নানা উপকরণ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকৃত তথ্য এবং বিভ্রান্ত খবরের জোগান দিয়ে যুব সমাজের মনকে আকর্ষণ করা হয়। প্রথমে সামজিক মাধ্যমে আবহকে উত্তপ্ত করা হয় এবং এরপর মাঠে-ময়দানে, রাস্তায়  ধাপে ধাপে পরিকল্পনা করে নামানো হয় জনগণকে।

    ছাত্রদের মুখ করতে হবে

    আইএসআই খুব স্পষ্ট ভাবে নির্দেশ দিয়েছিল এই আন্দোলন যেন দেখতে সম্পূর্ণ ভাবে ছাত্র আন্দোলন হয়। ছাত্রদের সামনে রাখলে তবেই আন্দোলন বাস্তবায়ন হবে। উদ্দেশ্য সফল হবে। যে ছাত্র সমাজ কোটা-বিরোধী আন্দোলনে (Bangladesh Unrest) যোগদান করেছিল, তাদের একটা বড় অংশ আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে অন্ধকারে ছিল (Anti Hindu Conspiracy)। বিএনপি এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনৈতিক রং দেয়। বিশ্বের ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে ছাত্র আন্দোলনের নামে যে কোনও স্বার্থকে খুব সহজেই আদায় করা যায়। জামাত শিবির, ইসলামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) এবং আইএসআই তাই এই বৃহৎ পরিকল্পনা করেছিল (Islami Chhatra Shibir Pak ISI Nexus)।

    আরও পড়ুনঃ ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের

    প্রাতিষ্ঠানিক পরিকল্পনা (Bangladesh Unrest)

    প্রায় দুই বছর ধরে ইসালামিক ছাত্র শিবির (Islami Chhatra Shibir) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাহাঙ্গির নগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ একাধিক জায়গায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। জামাতের এই ছাত্র সংগঠনের অনেক সদস্য পাকিস্তানের আইএসআই-এর দ্বারা প্রশিক্ষিত হয়। তবে তারা নিজেরা রাস্তায় না নামলেও পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে রাস্তায় নামতে যুক্তি, কারণ এবং তথ্য প্রদানের কাজ করেছে। ফলে, আজকে বাংলাদেশের যা পরিস্থিতি, তার জন্য আইএসআই ভীষণ ভাবে দায়ী। 

    ভারত বিদ্বেষী প্রচার 

    আইএসআই-এর কাছে হাসিনার সরকারকে টার্গেট করার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ঠিক হয় ভারত বিদ্বেষী (Anti India Campaign) ভাবনার ব্যাপক প্রচার-প্রসার। হাসিনার আমলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৬.৩ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছিল। ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মিত্রতার। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের (Bangladesh Unrest) বাণিজ্য ২০২১ সালে রেকর্ড স্তর ১৪ বিলিয়ন ডালারে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২৩ সালে ১১.৩ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে। অপর দিকে নতুন ইউনূস সরকার জানিয়েছে, দুই দেশের বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না। যদিও বাংলাদেশের থেকে আদানি পাওয়ার সংস্থার ৮০ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে। এখন এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সঙ্গে যাতে বাংলাদেশের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘লুট করা হচ্ছে হিন্দুদের দোকান-বাড়ি’’, বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপরে আক্রমণের ঘটনায় লোকসভায় লিখিত বিবৃতি দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। নিজের বিবৃতিতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার প্রত্যেকটি ঘটনার ওপরেই নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্টও সংগ্রহ করা হয়েছে। হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের দোকান ঘর বাড়ি লুট করা হচ্ছে। মন্দিরগুলির ওপরে হামলা চালানো হচ্ছে এবং অন্যান্য ধর্মস্থলগুলিতেও হামলা চলছে।’’ তিনি মনে করিয়ে দেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।

    হামলার চলছে গত অগাস্ট মাস থেকে 

    গত অগাস্ট মাস থেকে এই ঘটনা চলছে বলে লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর আক্রমণ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান জানতে চেয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুরের বিজেপি সাংসদ অরুণ কুমার সাগর। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনারই রিপোর্ট রয়েছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ঘটনাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকার কাছে নিজেদের উদ্বেগও প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠল ব্রিটিশ সংসদেও

    উৎসবেও চলেছে হামলা 

    এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) নিজের লিখিত বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উৎসবের সময়ও মন্দির ও পুজো মণ্ডপগুলিতে হামলার ঘটনা চোখে পড়েছে।’’ প্রসঙ্গত চলতি বছরে দুর্গাপুজোর সময়ে ঢাকার তাঁতিবাজারে পুজো মণ্ডপে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় বিগ্রহ। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার যশোরের কালীমন্দিরেও চুরির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রসঙ্গত, বিদেশমন্ত্রী নিজের বিবৃতিতে আরও জানিয়েছেন, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বিদেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু সহ সকল নাগরিকদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার সরকারের দায়িত্ব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে কীর্তনের আয়োজন কলকাতা ইসকনের

    ISKCON: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পাশে থাকার বার্তা দিতে কীর্তনের আয়োজন কলকাতা ইসকনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারের ঘটনায় ভারতের একের পর এক ধর্মগুরু নিন্দায় সরব হয়েছেন। ভারত সরকার বাংলাদেশকে কড়়া বার্তা দিয়েছে। কলকাতা ইসকন (ISKCON) কর্তৃপক্ষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার ইসকন স্বেচ্ছাসেবকরা একটি কীর্তন সভার আয়োজন করেছে।

    ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট কী বললেন? (ISKCON)

    ইসকন (ISKCON) কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বলেন, ‘‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা হয়ত মনে করছেন যে, বিশ্ব তাঁদের ভুলে গিয়েছে এবং কেউ তাঁদের যত্ন নিচ্ছে না। আমরা তাঁদের জানাতে চাই যে, তাঁরা সবাই আমাদের হৃদয়ে এবং প্রার্থনায় বাস করেন এবং আমরা তাঁদের জন্য প্রার্থনা করছি। আর তাই কীর্তন সভার আয়োজন করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। কারণ, আলোচনা চলছিল– যেমন বাংলাদেশ ইসকনকে নিষিদ্ধ করবে। কিন্তু, সেখানকার হাইকোর্ট বলেছে যে এই বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তাই আমরা এর থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    প্রতিবাদে সরব হাসিনা

    ইসকনের (ISKCON) পাশপাশি বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের নিন্দা করেছেন এবং তাঁর অবিলম্বে মুক্তর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি সংখ্যালঘু এবং তাঁদের উপাসনালয়ে হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের একজন সিনিয়র নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আমি তার অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি। চট্টগ্রামে মন্দিরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এর আগে, মসজিদ, মাজার, গির্জা, মঠ এবং আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সকল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে হেফাজতে পাঠিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নিধনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর লাগাতার কট্টরপন্থী মুসলমানদের আক্রমণের ফলে সাধারণ জনজীবন অত্যন্ত সঙ্কটের মুখে। ওই দেশের অন্তর্বর্তী ইউনূস সরকারের প্রশাসন এবং সেনা শাসন যৌথ ভাবে হিন্দু নিধনে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য প্রতিবাদ জানিয়ে সারা ভারত জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (Vishva Hindu Parishad)। বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দুদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর, সম্পত্তি দখল, মঠ-মন্দির ভাঙচুর, ধর্মগুরুদের মিথ্যা মামলায় জেলে বন্দি করা, খুন-ধর্ষণ হত্যার কথা তুলে ধরে বিরাট কর্মসূচির আয়োজন করেছে এই হিন্দু সংগঠন। একই ভাবে সেখানে হিন্দুদের জন্য ন্যায় বিচার এবং আঞ্চলিক স্বার্থকে সুনিশ্চিত করার দাবিও তোলা হয়েছে।

    আমরা হিন্দুদের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ (Bangladesh)

    বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) জাতীয় মুখপাত্র বিনোদ বানসাল বাংলাদেশের হিন্দুদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রসঙ্গ তুলে এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দল লাগাতার বাংলাদেশে হওয়া হিন্দু নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাজপথে অবতরণ করবে। বাংলাদেশে মুসলমানরা হিন্দুদের ধন-সম্পত্তি, মঠ-মন্দির, মূর্তি নিরন্তর ভেঙে চলেছে। হিন্দুধর্মের মা-বোনরা কেউ সুরক্ষিত নন। বাংলাদেশের হিন্দু সাধু-সন্তদের টার্গেট করে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। আগামিকাল সারা ভারতে বিক্ষোভে নামব জেহাদি মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় বংশ উদ্ভূত, মানবিক মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার জায়গায় থেকে আমরা হিন্দুদের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সকলে হিন্দু আমরা সকলে এক। সকল মানুষকে একত্রিত হয়ে আমাদের বিক্ষোভে যোগদানের আহ্বান জানাই।”

    ভিএইচপি এবং বজরং দলের দাবি

    বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (Vishva Hindu Parishad) পক্ষ থেকে বলা হয়-

    ১> বাংলাদেশে (Bangladesh) নৃশংস অত্যাচারের নিন্দা করা দরকার। উগ্র মুসলমান কট্টরপন্থীরা যে ভাবে হিন্দু জনজীবনকে নিধন করছে, তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অবিলম্বে পাশবিক অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।

    ২> বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করতে হবে। হিন্দু সুরক্ষার বিষয় তুলে ধরে লাগাতার বাংলাদেশের উপর চাপবৃদ্ধি করতে হবে ভারত সরকারকে।

    ৩> ভারতের মধ্যে হিন্দু সমাজের সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে সকলকে একত্রিত হতে হবে। বাংলাদেশের দুর্দশাকে তুলে ধরে আন্তর্জাতিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে।

    গত ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। ‘কোটা’ বিরোধিতার নামে আন্দোলন করে জামাত শিবির এবং বিএনপি হাসিনার গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করেছে। এরপর ওই দেশের অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছেন মহম্মদ ইউনূস। তারপর থেকেই ওই দেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার আক্রমণ চলছে মৌলবাদীদের। সম্প্রতি হিন্দু ধর্মগুরু চিন্ময় কৃষ্ণ মহারাজকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করেছে এই সরকার। এরপর থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠল ব্রিটিশ সংসদেও

    Bangladesh: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ও চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠল ব্রিটিশ সংসদেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের সংসদে সরব হলেন কনজারভেটিভ পার্টির এমপি বব ব্ল্যাকম্যান। বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ ও চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর গ্রেফতারির ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। বব ব্ল্যাকম্যান (Bob Blackman) বলেন, “বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, জেলে ভরা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে, সেসবের তীব্র নিন্দা করছি। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে বাংলাদেশের হাইকোর্টে যেভাবে মামলা দায়ের হয়েছে, সেটাও যথেষ্ট উদ্বেগের। বিশ্বের সমস্ত দেশেই ধর্মপালনের স্বাধীনতা থাকা উচিত।”

    ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর এমন নির্যাতন মোটেই বরদাস্ত করা যায় না

    বব ব্ল্যাকম্যান (Bob Blackman)  আরও বলেন, “বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের হত্যা করে তাঁদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে মন্দির। বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারে যাই পরিবর্তন হয়ে থাকুক না কেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর এমন নির্যাতন মোটেই বরদাস্ত করা যায় না। গোটা ঘটনায় দায় রয়েছে আমাদেরও, কারণ বাংলাদেশকে স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিল ব্রিটেন।”

    ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে দু’হাজারের বেশি হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে

    প্রসঙ্গত, গত বুধবারই বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রিপোর্ট পেশ করে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্স-এর বহুদলীয় গোষ্ঠী ‘অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ ফর দ্য কমনওয়েলথ’। ওই রিপোর্টে বলা হয়, “ইউনূস সরকারের আমলে বাংলাদেশে দু’হাজারের বেশি হিংসার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার বদলা নিতে বিচার ব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে। আইনকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সংস্কৃতি অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA: আনসারুল্লা বাংলা জঙ্গিদের আশ্রয়, তিন বাংলাদেশিকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিল এনআইএ আদালত

    NIA: আনসারুল্লা বাংলা জঙ্গিদের আশ্রয়, তিন বাংলাদেশিকে ৫ বছর কারাদণ্ড দিল এনআইএ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আল-কায়দার সহযোগী সংগঠন বলে পরিচিত আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে (Bangladeshi Infiltrators) পাঁচ বছরের জন্য কারাবাসের সাজা দিয়েছে মুম্বইয়ের এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত।আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT) হল বাংলাদেশের একটি জঙ্গি সংগঠন এবং উপমহাদেশে তারা আল-কায়দা সহযোগী সংগঠন হিসেবে কাজ করে। আনসারুল্লা বাংলা টিমের ওই আশ্রয় দানের জন্য ওই তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হল মহম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব (ওরফে রাজ জেসুব মণ্ডল), হান্নান আনোয়ার হুসেন খান (ওরফে হান্নান বাবুরালি গাজী), এবং মহম্মদ আজরালি সুবহানাল্লাহ্ (ওরফে রাজা জেসুব মণ্ডল)।

     

    আনসারউল্লা বাংলা টিমকে সাহায্য করত ধৃতরা

    এনআইএ (NIA) যে প্রেস বিবৃতি দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে আনসারুল্লা বাংলা টিমের সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করা, তাদেরকে বিভিন্ন কাজে সাহায্য করা, নকল ভারতীয় পরিচয় পত্র বানিয়ে দেওয়া এবং তাদেরকে পুণেতে থাকার বন্দোবস্ত করে দেওয়া। এটা নতুন বা প্রথম কিছু নয়। এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরেও দুই বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi Infiltrators), রিপেন হোসেন (ওরফে রুবেল) এবং মহম্মদ হাসান আলি মহম্মদ আমের আলিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

    মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে 

    প্রসঙ্গত, এই মামলার (NIA) তদন্ত শুরু হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। তখনই পুণে পুলিশ জানতে পারে, সে শহরে অবৈধভাবে বসবাস করা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে। গোপন সূত্রে তখন উঠে আসে আনসারুল্লা বাংলা টিমের নামও। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় মহম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব নামের একজনকে। মহারাষ্ট্রের ধোবিঘাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরে একে একে অভিযান চালিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।

    ২০১৮ সালের মে মাসে মামলা যায় এনআইএ-র (NIA) হাতে

    ২০১৮ সালের মে মাসে মামলাটি মহারাষ্ট্র পুলিশের হাত থেকে যায় এনআইএ-র হাতে। তখনই এনআইএ তদন্তে উঠে আসে যে অভিযুক্তরা বেআইনিভাবে এবং জালিয়াতি করে ভারতে প্রবেশ করেছিল। তাদেরকে প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড- সমস্ত কিছু বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attacks on Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    Attacks on Hindus: বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্র, আজ সংসদে বিবৃতি দেবেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু তথা সংখ্যালঘুরা (Attacks on Hindus)। প্রতিদিনই নতুন নতুন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন হিন্দুরা। সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে। পদ্মাপাড়ের (Bangladesh) এই অবস্থায় উদ্বিগ্ন ভারত। বারবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েও ফল মিলছে না। এবার কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে মোদি সরকার। শুক্রবার এই নিয়েই সংসদে আলোচনা করার কথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। ইতিমধ্যেই ভারত সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে হবে বাংলাদেশের সরকারকে।  

    কড়া জবাব ভারতের

    সম্প্রতি বাংলাদেশে (Bangladesh) সাধু চিন্ময়কৃষ্ণ দাস গ্রেফতারের পরেই ফের উত্তাল হয়ে উঠেছে পদ্মাপাড়। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে বার বার প্রশ্ন উঠেছে। সংখ্যালঘু এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা (Attacks on Hindus) নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া বার্তা দিয়ে চিঠি লেখা হয়েছিল বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারকেও। বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র 8 শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কিন্তু ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাঁদের সুরক্ষা। প্রায় ২ হাজারের বেশি হামলার সম্মুখীন হয়েছে সংখ্যালঘুরা অন্তত ১৭০০-র বেশি সংখ্যালঘু পরিবার আক্রান্ত হয়েছে। এই আবহে ফের বাংলাদেশ সরকারকে সচেতন করল ভারত। রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, ‘‘ঢাকা শহরের তান্তিবাজার পুজা মণ্ডপে হামলা এবং সাতক্ষীরার জেসোরেশ্বরী কালী মন্দিরে চুরি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সেখানকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর লাগাতার হামলা চলছেই! জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

    সংসদে আলোচনা

    ভারত সরকার বাংলাদেশের (Bangladesh) কাছে অনুরোধ করেছে তারা যেন হিন্দুদের নিরাপত্তা (Attacks on Hindus) নিশ্চিত করে। তাদের উপাসনাস্থলগুলোর সুরক্ষার দায়িত্ব নেয়। শুক্রবার অশান্ত বাংলাদেশ নিয়ে সংসদে আলোচনা করার কথা রয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। বদলের বাংলাদেশে এখন তীব্র অরাজক পরিস্থিতি। হাসিনা বিদায়ের পর থেকেই সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা নানাভাবে কোণঠাসা হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় তাদের উপর নির্যাতন মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। সরকারের তরফে এ নিয়ে বিবৃতিও দেওয়া হতে পারে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: ‘‘ইসকন জঙ্গি গোষ্ঠী নয়, কেন নিষিদ্ধ করার কথা উঠছে?’’ প্রশ্ন সন্ন্যাসী রাধারমণের

    ISKCON: ‘‘ইসকন জঙ্গি গোষ্ঠী নয়, কেন নিষিদ্ধ করার কথা উঠছে?’’ প্রশ্ন সন্ন্যাসী রাধারমণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের চরমে উঠেছে সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলা। এই আবহে ইসকন (ISKCON) প্রতিবাদ জানাতেই সেই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি তুলছে জামাত ও বিএনপি সদস্যরা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার অনৈতিকভাবে গ্রেফতার করেছে ইসকন সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসকে। এই ইস্যুতে উপমহাদেশের রাজনীতি সরগরম। এমন সময় কলকাতার ইসকনের অন্যতম কর্মকর্তা রাধারমন দাস একাধিক প্রশ্ন তুললেন। কেন হঠাৎ করে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে? কেনই বা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইসকনের তুলনা হবে? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ইউনূস তো শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন, তাহলে তাঁর আমলে বাংলাদেশের এহেন অবস্থা কেন? এই সমস্ত প্রশ্নই বৃহস্পতিবার তুলললেন কলকাতার ইসকনের এই কর্মকর্তা।

    আতঙ্কে গত দুই দিন ঘুমোতে পারিনি

    বর্তমানে বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন রাধারমন দাস (Radharaman)। বৃহস্পতিবারই তিনি একটি নিউজ পোর্টালকে সাক্ষাৎকার দেন। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে যে ধরনের অত্যাচার চলছে, তাতে তিনি উদ্বিগ্ন ও ব্যথিত। তিনি বলেন, ‘‘ইসকনকে (ISKCON) বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে। অত্যাচার করা হচ্ছে। আতঙ্কে গত দুই দিন ঘুমোতে পারিনি। শরীরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমার।’’

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হয়রানির শিকার আরও এক হিন্দু সন্ন্যাসী, এবার গ্রেফতার সন্ত মহারাজ স্বরূপ দাস

    আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা

    রাধারমণ (Radharaman) বলেন, ‘‘এর আগেও ২০২১ সালে বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দিরে আক্রমণ করা হয়েছিল। তখনও আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম, কীর্তনের মাধ্যমে। এখনও একইভাবে আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তারপরও আমরা নাকি টেররিস্ট?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হাসিনা দেশ ছাড়ার পর শেষ ১০০ দিনে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়েছে। সংখ্যালঘুরা আতঙ্কিত। ওরা হামলার পর আতঙ্ক ছড়াতে সগর্বে সেই ভিডিও সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কতটা নৃশংস হলে এমনটা হয়!’’ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ইসকনের (ISKCON) অন্যতম কর্মকর্তার প্রশ্ন, ‘‘ইউনূস তো শান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন? এই তাঁর আচরণ?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share