Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Bangladesh: দুর্গাপুজো করলেও সাংস্কৃতিক উৎসব করবেন না বাংলাদেশের হিন্দুরা, কেন জানেন?

    Bangladesh: দুর্গাপুজো করলেও সাংস্কৃতিক উৎসব করবেন না বাংলাদেশের হিন্দুরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে (Bangladesh) শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ কট্টর মুসলিমদের অত্যাচারের শিকার হয়ে চলেছেন। প্রতিবাদে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, রংপুর, বগুড়া এলাকায় হিন্দুরা সম্মিলিত ভাবে গর্জে উঠেছেন। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সনাতনী নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, “দুর্গাপুজো (Durga Puja) আমরা করব, কিন্তু কোনও উৎসবে যোগদান করব না।” উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস, সরকারের ক্ষমতায় বসার পর থেকেই এখনও পর্যন্ত ২০০০-এর বেশি হামলার ঘটনা হিন্দুদের ওপর ঘটেছে।

    পুজোর আয়োজকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে (Bangladesh)

    সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রঞ্জন কর্মকার বলেন, “এবছর আমরা শুধু পুজোটাই (Durga Puja) করব। কোনও উদযাপন হবে না। এটা হিন্দু সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এক ধরনের প্রতিবাদ। এবছরের অগাস্ট থেকে আমাদের সম্প্রদায়ের উপর ক্রমাগত হামলার পর, হিন্দুরা কোনও ধরনের উৎসব করার মতো মানসিকতাতে নেই। তাছাড়া, অনেক পুজোর আয়োজকদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, তোলা চাওয়া হয়েছে। আমরা অত্যন্ত সঙ্কটের মধ্যে রয়েছি।”

    আবার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদয়ের চেয়ারপার্সন বসুদেব ধর বলেন, “দুর্গাপুজোয় এবার কোনও উৎসব বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে না। আমরা সমস্ত পুজো আয়োজকদের ব্যানার প্রদর্শনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছি। এই ব্যানারগুলিতে আমাদের দাবিগুলি তালিকাভুক্ত করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু নিপীড়নের মামলাগুলির ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য একটি নিরপেক্ষ তদন্ত প্যানেল গঠন এবং একটি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন তৈরি করার দাবিও।”

    আরও পড়ুনঃ যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে চুরি নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট! উদ্ধারের দাবি দূতাবাসের

    হিন্দুরা পুজো করলে চাওয়া হচ্ছে তোলা!

    বাংলাদেশে (Bangladesh) মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, লেফটেন্যাণ্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বক্তব্য দিয়ে বলেছিলেন, “মুসলিমদের আজান এবং নামাজের সময় হিন্দুদের দুর্গাপুজোর (Durga Puja) কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখতে হবে। মন্দিরের গান, বাজনা, ঢাক বন্ধ রাখতে হবে।” এই মন্তব্য ওই দেশের হিন্দুদের জন্য অত্যন্ত সঙ্কটের বলে মনে করেছেন মানুষ। ইতিমধ্যে হিন্দুরা পুজো করলে তোলা দিতে হবে, এমনকী চিহ্নিত করে খুন করার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় ওই দেশে। একই ভাবে অস্থির বাংলাদেশে হিন্দু সমাজের উপর অত্যাচার নিয়ে ভারতের একাধিক হিন্দু সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে মোদি সরকারকে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে চুরি নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট! উদ্ধারের দাবি দূতাবাসের

    Bangladesh: যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে চুরি নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট! উদ্ধারের দাবি দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) যশোরেশ্বরী কালী মন্দির (Jashoreshwari Kali Mandir) থেকে চুরি হল নরেন্দ্র মোদির দেওয়া স্বর্ণমুকুট! ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। সেই সঙ্গে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়েছে তাঁরা। ২০২১ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদি, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মন্দির দর্শন করে, কালী ঠাকুরের উদ্দেশে এই মুকুটটি নিবেদন করেছিলেন। ওই মুকুট বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের শাসনে চুরি গিয়েছে। উল্লেখ্য ৫ অগাস্ট থেকে ওই দেশে রাজনৈতিক ভাবে বিরাট সঙ্কট চলছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে ওই দেশের সেনার শাসনও।

    ভারতীয় দূতাবাসের তদন্তের দাবি (Bangladesh)

    বাংলাদেশের (Bangladesh) একাধিক সংবাদ মাধ্যম ইতিমধ্যে এই কালী মায়ের মুকুট (Jashoreshwari Kali Mandir) চুরি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এনেছে। ওই দেশের ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, “২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকালে সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে যে মুকুট উপহার দেওয়া হয়েছিল, সেটি চুরি হয়ে যাওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। অবিলম্বে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করার আবেদন জানাই। তদন্ত করে মুকুটটিকে উদ্ধারের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানাই।”

    মাত্র ৩ মিনিটে চুরি, ভাইরাল ভিডিও

    এদিকে এই যশোরেশ্বরী (Bangladesh) কালী মন্দির থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণমুকুটকে নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম মাধ্যম যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, সাদা রঙের গেঞ্জি পরা এক যুবক মন্দিরে ঢুকছে, ঠিক তারপর মা কালী মূর্তির পর্দা সরিয়ে এগিয়ে যায়। এরপর মায়ের মূর্তিতে রাখা মুকুটটিকে তুলে জামার পিছনে গুঁজে নেয়। শেষে মন্দির থেকে চোর যুবক বের হয়ে যায়। সম্পূর্ণ ঘটনা মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যায়। ওই দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়ছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো ৪৭ মিনিট থেকে ৫০ মিনিটের সময় ব্যবধানে এই চুরি ঘটেছে।

    আরও পড়ুনঃ “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    বিশ্বের হিন্দুদের যন্ত্রণা দিয়েছে

    ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম বাংলাদেশের (Bangladesh) সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী (Jashoreshwari Kali Mandir) মায়ের সোনার মুকুটটি কাল চুরি হয়েছে। ২০২১ সালে মার্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মা যশোরেশ্বরী দর্শনে গিয়ে এটি উপহার দিয়েছিলেন। দুর্গাপুজোর সময়ে মায়ের মূর্তির এই অবমাননা সারা বিশ্বের হিন্দুদের যন্ত্রণা দিয়েছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এ পারে আরও বলিষ্ঠভাবে নিজেদের সংস্কৃতি-উপাসনা পদ্ধতি রক্ষার জন্য একজোট হতে হবে। না হলে পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিম বাংলাদেশ হওয়ার পথে। তা হতে দেব না, এটাই হোক দুর্গাষ্টমীর শপথ। জয় মা যশোরেশ্বরী।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    India-Bangladesh Relation: “ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না”, বললেন ইউনূস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিকল্প হতে পারে না। দুই দেশের স্বার্থে উভয়ের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকা খুবই জরুরি। সম্প্রতি এমনই অভিমত  প্রকাশ করলেন বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গত অগাস্ট মাসেই বাংলাদেশে পতন হয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের। তারপর থেকে পদ্মা পাড়ে ভারত বিরোধী মনোভাব মাথা চাড়া দিয়েছে। এই আবহে ইউনূস ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কথা বললেন। তাঁর দাবি, এই সম্পর্ক হতে হবে স্বচ্ছতা এবং সমতার ভিত্তিতে। এই সম্পর্ক দুই দেশের কাছেই প্রয়োজনীয়।

    ইউনূসের মত

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বললেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নত করতেই হবে। কারণ বাংলাশের চাহিদা এবং ভারতের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক এবং আমাদের মধ্যে অনেক কিছুর মিল রয়েছে। আমাদের একটি পারস্পরিক ইতিহাস আছে। তাই আমাদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের ওপরও জোর দেন ইউনূস।” তিনি বলেন, “সীমান্তের ওপারে জল বণ্টন ও মানুষের চলাচলের সমস্যার সমাধান করতে হবে।  আমাদের প্রশাসন এই সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য ভারতের সঙ্গে একসাথে কাজ করবে। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং এসব সমস্যা সমাধানের আন্তর্জাতিক উপায় রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে।” সার্ক গোষ্ঠীকে পুনরায় শক্তিশালী করার কথাও বলেন ইউনূস।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটভাগের হিসেবে এগিয়ে বিজেপি, বেড়েছে আসনও

    দিল্লির দাবি

    বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সুসম্পর্কের কথা বললেও ভারত মনে করে, ঢাকায় অন্তর্বর্তী সরকারের চলতি পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রাণই বিপন্ন করছে না, বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও বিপদের মুখে ফেলছে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রশ্নে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সমাজের সব রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সরকার ও প্রশাসনের অংশ করা। বাংলাদেশ সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ণ বন্ধ হলে, সন্ত্রাস থামলে, তবেই দুই দেশের একসাথে গিয়ে চলা সম্ভব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Haryana: হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক! ‘‘সত্যের জয় হয়েছে গীতার ভূমিতে’’, মন্তব্য মোদির

    Haryana: হরিয়ানায় হ্যাটট্রিক! ‘‘সত্যের জয় হয়েছে গীতার ভূমিতে’’, মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আনুষ্ঠানিকভাবে হরিয়ানার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হল। সকাল থেকেই কংগ্রেস এগিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ যাওয়া মাত্রই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায় ট্রেন্ড। কংগ্রেসকে অনেক পিছনে ফেলে ছুটতে থাকে বিজেপি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজেপি ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় ৪৮টি আসনে জয়লাভ করেছে এবং কংগ্রেসকে থামতে হয়েছে ৩৭টি আসনে। ‘‘সত্যের জয় হয়েছে গীতার ভূমিতে’’, হরিয়ানায় (Haryana) দলের জয়কে এই ভাবেই সম্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    হরিয়ানায় (Haryana) প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে পর পর তিনবার সরকার গড়ছে বিজেপি

    প্রসঙ্গত, পরপর তিনবার হরিয়ানার মসনদ দখল করতে সম্ভব হল বিজেপি। প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল হিসেবে হরিয়ানায় বিজেপি তিনবার ক্ষমতায় ফিরল। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যাচ্ছে যে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৫০টি আসনে। হরিয়ানা (Haryana) নির্বাচনে বেশিরভাগ জনমত সমীক্ষাতে (Haryana Election Results 2024) উঠে আসে যে কংগ্রেস সেখানে সরকার করতে চলেছে, কিন্তু সেই জনমত সমীক্ষাকে ধুলিস্যাৎ করে তৃতীয়বারের জন্য সেখানে সরকার তৈরি করতে সক্ষম হল ভারতীয় জনতা পার্টি। কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামানো হয় অলিম্পিকস ফেরত ক্রীড়াবিদ ভিনেস ফোগাটকে, তিনি জুলানা সিট থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতেছেন। হরিয়ানা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়াও আম আদমি পার্টি, জননায়ক জনতা পার্টি, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

    জম্মু-কাশ্মীরেও উল্লেখযোগ্য ভালো ফল বিজেপির 

    অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে অধিকাংশ আসনেই গণনা সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক ভাবে সব আসনের ফলপ্রকাশ এখনও পর্যন্ত করেনি নির্বাচন কমিশন। জয় পাওয়া কিংবা এগিয়ে থাকার নিরিখে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর ঝুলিতে ৪২টি আসন গিয়েছে। এনসি-র সঙ্গে জোট বেঁধে কংগ্রেস পেতে চলেছে মাত্র ৬টি আসন। জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেসের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে, একথা বলাই যায়। অন্যদিকে, বিজেপির ঝুলিতে আসতে চলেছে ২৯টি আসন। পিডিপি মাত্র ৩টি আসনে জয়ী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সিপিএম এবং আপ একটি করে আসনে জয়ী হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস কনফারেন্স জয়ী হয়েছে একটি আসনে। আর নির্দল প্রার্থীরা ৭টি আসনে জয়ী হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় আগের চেয়ে বাড়ল ছুটি

    Bangladesh: বাংলাদেশে দুর্গাপুজোয় আগের চেয়ে বাড়ল ছুটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের দুর্গাপুজোতে ছুটি বাড়ছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। প্রসঙ্গত, এতদিন পুজোর (Durga Puja) সময়ে শুধুমাত্র একদিন করেই সরকারি ছুটি দেওয়া হত। কিন্তু এবছরে পুজোতে টানা চারদিন সরকারি ছুটি থাকছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার এবং শনিবার সরকারি ছুটি। এর পরদিন, রবিবার, দুর্গাপুজোয় বিজয়া দশমী উপলক্ষে থাকবে ছুটি। এছাড়া বৃহস্পতিবার সপ্তমীর দিনও ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কার্যালয় সরকারের নির্বাহী আদেশে বৃহস্পতিবার এই ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

    আগে শুধু বিজয়া দশমীতে পুজোর ছুটি থাকত (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, শেখ হাসিনার আমলে পুজোর সময়ে শুধুমাত্র বিজয়া দশমীর দিনেই সরকারি ছুটি দেওয়া হত। চলতি বছরে এই ছুটি অন্তত তিন দিন করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু সংগঠনগুলি সাংবাদিক বৈঠকও করে। এই আবহে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী ইসলাম সংগঠনগুলিকে দুর্গাপুজোর বিরোধিতা করে রাস্তায় নামতেও দেখা যায়। অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনও নেমে আসে ব্যাপকভাবে। এরই মাঝে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার পুজোতে একদিন অতিরিক্ত ছুটি বাড়াল।

    কী বলছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) সরকারি অধিকর্তা?

    সেদেশের সরকারি অধিকর্তা মাহফুজ আলম এনিয়ে বলেন, ‘‘হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির পরিদর্শন করার সময়ই এই কথা জানান মাহফুজ আলম। অন্যদিকে, এবারের পুজো খুব ভালোভাবে হবে এবং কোনও অসুবিধা হবে না বলে আবার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী । পুজোর (Durga Puja) নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    Bangladesh: দুর্গাপুজোর আগে হিন্দুদের অধিকার রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে বার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাপঞ্চমীতে এপার বাংলায় দুর্গাপুজোয় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। আর ওপার বাংলায় দুর্গাপুজো করা নিয়ে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছেন হিন্দুরা। এমনিতেই বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয় বলে সেখানকার হিন্দুদের অভিযোগ। পাশাপাশি মৌলবাদীরা লাগাতার হিন্দুদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এই আবহের মাঝে বাংলাদেশকে বার্তা পাঠাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই দেশে হিন্দুরা যাতে নিরাপদে দুর্গাপুজো পালন করতে পারে, তা দেখার জন্যই ইউনূস সরকারকে কড়়া বার্তা দিয়েছে মার্কিন মুলুক।

    কী বার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র? (Bangladesh)

    বাংলাদেশে (Bangladesh) দুর্গাপুজো করতে গিয়ে হিন্দুরা মৌলবাদীদের হুমকির মুখে পড়ছেন। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, “অবশ্যই, আমরা বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চাই। সারা বিশ্বে যা সত্য।” প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং অগাস্টে তাঁর ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই বিবৃতি এসেছে। মূলত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার সুরক্ষিত দেখতে চায়, কারণ হিন্দুরা তাদের সব চেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজো উদযাপন করে।

    আরও পড়ুন: সংজ্ঞাহীন অবস্থায় নির্যাতিতাকে ধর্ষণ! চার্জশিটে উল্লেখ করল সিবিআই

    উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    এমনিতেই বাংলাদেশে (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মুসলমান সংগঠনগুলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর অনুমতি দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি অনুমতি। এমনকী, পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে কিশোরগঞ্জের বত্রিশ গোপীনাথ জিউয়ের আখড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কুমিল্লা জেলাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। লুট করা হয়েছে মন্দিরের দান বাক্স। নারায়ণগঞ্জ জেলার মিরপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয় একটি দুর্গা মন্দিরে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে দুর্গাপুজো হওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশি হিন্দুরা যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো তথা শারদোৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য সেদেশের প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। শান্তিপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ভারত। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লিগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর বাংলাদেশে সহিংস বিক্ষোভের সময় হিন্দুসহ ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: অজুহাত নিরাপত্তা! বাংলাদেশে বহু পুজোর অনুমতি দিল না ইউনূস সরকার, উদ্বিগ্ন ভারত

    Bangladesh: অজুহাত নিরাপত্তা! বাংলাদেশে বহু পুজোর অনুমতি দিল না ইউনূস সরকার, উদ্বিগ্ন ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় দুর্গাপুজো। এমন সময় বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং মুসলমান সংগঠনগুলি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর (Durga Puja) অনুমতি দেয়নি। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব এবং হুমকির কথা উল্লেখ করে দেওয়া হয়নি অনুমতি। যেসব কমিটি পুজো করছে, নমাজ আদায়ের সময় তাদের নীরবতা বজায় রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এমনকী, পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও বিভিন্ন জায়গায় হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    চলছে প্রতিমা ভাঙচুর (Bangladesh)

    এদিকে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিমা ভাঙচুর। কিশোরগঞ্জের বত্রিশ গোপীনাথ জিউয়ের আখড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। কুমিল্লা জেলাতেও ভাঙচুর করা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা। লুট করা হয়েছে মন্দিরের দান বাক্স। নারায়ণগঞ্জ জেলার মিরপাড়া এলাকায় ভাঙচুর করা হয় একটি দুর্গা মন্দিরে।

    জিজিয়া কর

    বাংলাদেশ সরকারের এক শীর্ষ সূত্রের খবর, দুর্গাপুজোর আগে ৯ অক্টোবর থেকে পুজো কমিটিগুলির প্রত্যেক সদস্যকে ৫ লাখ টাকা করে জিজিয়া কর (অ-মুসলমানদের কাছ থেকে মুসলমানরা ধর্ম পালনের জন্য যে কর আদায় করে) দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই জিজিয়া করের ভয়ে অনেক উদ্যোক্তাই পুজো বন্ধ করে দিয়েছেন (Bangladesh)। শুক্রবার ভোরে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় তিনটি দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুজোর আয়োজন করলে এলাকাছাড়া করা হবে বলে হিন্দুদেরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিনের নাকের ডগায় হাই-অল্টিটিউড আর্টিলারি ফায়ারিং রেঞ্জ গড়ল ভারত

    গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    দুর্গাপুজোর আগে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে আসায়, গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। বাংলাদেশি হিন্দুরা  (Bangladeshi Hindus) যাতে শান্তিতে এবং নির্বিঘ্নে দুর্গাপুজো তথা শারদোৎসব পালন করতে পারেন, তার জন্য সেদেশের প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় যদি কোনও (অনভিপ্রেত) ঘটনা ঘটে, তাহলে সেটা ভালো কথা নয়। দুর্গাপুজো সবসময়েই শুভ বার্তা বয়ে আনে এবং এই উৎসব উপলক্ষে আমি সকলকে আমার শুভ কামনা জানাচ্ছি।’’ রণধীর আরও বলেন, রণধীর বলেন, ‘‘ভারত সরকার আশা করছে, বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এমনকী, এই বিষয়টি সর্বোচ্চ স্তরেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রণধীর।’’

    ইউনূস প্রশাসনের আশ্বাসই সার

    বাংলাদেশের আইজিপি মহম্মদ ময়নুল ইসলাম জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে কেউ যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে, সেজন্য বাড়ানো হয়েছে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা। তাঁদের সতর্ক থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রোধে পুলিশের সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে (Bangladesh)। প্রয়োজনে সে দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অথবা স্থানীয় থানায় যোগাযোগের জন্য বলা হয়েছে উদ্যোক্তাদের। তার পরেও অবশ্য দিব্যি চলছে পুজো উদ্যোক্তাদের হুমকি দেওয়ার কাজ, চলছে প্রতিমা (Durga Puja) ভাঙচুরের কাজ। আদায় করা হচ্ছে জিজিয়া করও (Bangladesh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electricity Trade Deal: ভারত-নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হল

    Electricity Trade Deal: ভারত-নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাঠমান্ডুতে গত ৩ অক্টোবর ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ত্রিদেশীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর ফলে তিন দেশের আন্তঃসীমান্ত বিদ্যুৎ বাণিজ্যে (Electricity Trade Deal) আরও গতি আসবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। প্রসঙ্গত, এই চুক্তির মাধ্যমে ভারতবর্ষে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎকে রফতানি করতে পারবে নেপাল। দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি সহযোগিতার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    এর ফলে নেপাল প্রতি বছর ৯২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে

    এই চুক্তির মাধ্যমে প্রতি বছর বর্ষাকালে, বিশেষত ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত নেপাল, বাংলাদেশে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ (Electricity Trade Deal)  করতে পারবে। ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া ধলকেবর-মুজাফফরপুর ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে বাংলাদেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করবে নেপাল। প্রসঙ্গত, এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে নেপাল প্রতিবছর ৯২ লাখ মার্কিন ডলার আয় করতে পারবে। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় হাজির ছিলেন নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (এনইএ) আধিকারিক কুলমান ঘিসিং, ভারতের এনটিপিসি-র সিইও ডিনো নারান এবং বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহম্মদ রিজওয়ান করিম। এছাড়াও হাজির ছিলেন নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী দীপক খাডকা এবং বাংলাদেশের জ্বালানিমন্ত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

    আগেই স্বাক্ষরিত হত, তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যায়

    বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নেপাল (Nepal), ভারত ও বাংলাদেশের জন্য এই চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ এর মাধ্যমে শুধু অর্থনৈতিক সম্পর্কই নয়, তার সঙ্গে এই তিন দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাও (Electricity Trade Deal)  শক্তিশালী হবে। নেপাল তার অতিরিক্ত জলবিদ্যুৎ বিক্রি করতে পারবে। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসের ২৮ তারিখে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তখনকার মতো তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এর পরবর্তীকালে তিন দেশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা কাঠমান্ডুতে বিস্তারিত আলোচনা করেন এই নিয়ে। তারপরেই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ নিয়ে পরবর্তীকালে তিন দেশের আধিকারিকদের মধ্যেই মউ সাক্ষরিত হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: দুর্গাপুজোর মুখে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা অব্যাহত, ৬ দিনে ১৬টি মূর্তি ভাঙচুর

    Bangladesh: দুর্গাপুজোর মুখে বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মস্থানে হামলা অব্যাহত, ৬ দিনে ১৬টি মূর্তি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকেই বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ নেমে আসে। সে দেশের সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয় সাম্প্রদায়িক হিংসায়। দিকে দিকে হিন্দুদের ধর্মস্থানগুলিতে হামলা চলতে থাকে। এই আবহে দুর্গাপুজো কতটা শান্তিতে হবে, সেই প্রশ্ন তখনই উঠতে শুরু করে। জামাত-বিএনপি কলকাঠি নাড়ছে যেখানে, সেই ইউনূস সরকারের আমলে দুর্গাপুজো (Durga Puja) যে শান্তিতে হবে না, তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গত ৬ দিনে বাংলাদেশে মোট ১৬টি হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং তিনটি মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে।

    মন্দিরে হামলা (Bangladesh)  

    গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের (Bangladesh) ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে হামলা চালায় জেহাদিরা। এরপরে ১ অক্টোবর মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে একই ধরনের হামলা চালানো হয়। এই দুই জায়গাতেই দুর্গাপ্রতিমা সহ দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। জানা গিয়েছে, এই দুটি পুজোমণ্ডপই বাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলাতে অবস্থিত। ঋষিপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপে মোট চারটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়। অন্যদিকে মানিকাদি পালপাড়া পুজোমণ্ডপে (Durga Puja) পাঁচটি মূর্তি ধ্বংস করা হয়। এই ঘটনার পরেই হিন্দুরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হিন্দুদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ও বাংলাদেশের সেনা অধিকর্তারা ওই দুই মন্দিরই পরিদর্শন করেছেন, বলে জানা গিয়েছে।

    মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরে দুর্গাপুজো ৯ অক্টোবর শুরু হচ্ছে। সুজানগর উপজেলায় ৫১টি মন্দিরে দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মানিকাদি পালপাড়া বারোয়ারি পুজোমণ্ডপের সভাপতি বিজন পাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ১ অক্টোবর রাতে মন্দির থেকে বের হওয়ার সময়ও তিনি প্রতিমাগুলিকে ঠিকঠাক অবস্থায় দেখেছিলেন। পরের দিন সকালে মন্দিরে এসে দেখেন, মূর্তিগুলি ভাঙা হয়েছে। অন্যদিকে সুজানগর উপজেলার প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দোষীদের খুঁজে বের করে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রচেষ্টা করছে। এর পাশাপাশি প্রতিটি মন্দিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় লোকেদের নিয়ে একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।

    হাসিনার পদত্য়াগের পর থেকে হিন্দুদের ওপর হামলা ২০৫টি

    ঠিক এই আবহে গত বৃহস্পতিবার ৩ অক্টোবর গোপীনাথ জিউ-র পুজোমণ্ডপে হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙচুর করার খবর মিলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) কিশোরগঞ্জে। জানা গিয়েছে, মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রক্ষীরা যখন ঘুমাচ্ছিলেন, তখনই গভীর রাতে এই ভাঙচুর চালানো হয়। পরবর্তীকালে প্রশাসন স্থানীয় হিন্দু সমাজের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসে এবং যারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দেয়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকেই (Bangladesh) হিন্দু মন্দির, হিন্দুদের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখে চট্টগ্রামে কদম মোবারক এলাকায় গণেশ উৎসবের সময় মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর শহরেও দেবী দুর্গা ও অন্যান্য হিন্দু দেবদেবীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা সামনে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh: নয়াদিল্লির হাই কমিশনার, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি-সহ পাঁচ কূটনীতিককে ঢাকায় তলব

    India-Bangladesh: নয়াদিল্লির হাই কমিশনার, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি-সহ পাঁচ কূটনীতিককে ঢাকায় তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে বাংলাদেশের (India-Bangladesh) হাই কমিশনার মহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানকে অপসারণ করল মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মুস্তাফিজুর-সহ মোট পাঁচ জন উচ্চপদস্থ কূটনীতিককে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রক (Delhi-Dhaka Relation)। 

    কাদের কাদের সরানো হল

    বাংলাদেশে (India-Bangladesh) শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই জল্পনা চলছিল কৃটনীতিকদের সরানো নিয়ে। অবশেষে, মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ নাজমুল হক পাঁচ কূটনীতিককে অপসারণের ওই নির্দেশিকা জারি করেছেন বলে খবর। এঁরা হলেন রাষ্ট্রপুঞ্জে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মহম্মদ আব্দুল মুহিত, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় নিযুক্ত হাই কমিশনার আল্লামা সিদ্দিকি, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসানসালেহ এবং পর্তুগালের লিসবনে রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ। এই প্রত্যেকেই পূর্বতন সরকারের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত। তবে, ভারতে নিয়োজিত হাইকমিশনারসহ যেসব রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছে তাদের অনেকেই রাজনৈতিকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত নন বলে খবর।

    আরও পড়ুন: ইউনূস শিখণ্ডি মাত্র! বাংলাদেশ চালাচ্ছে ২৮ বছরের এক যুবক, বিস্ফোরক তসলিমা

    ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

    বাংলাদেশে (India-Bangladesh) ইউনূস পরিচালিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর অগস্টের চতুর্থ সপ্তাহে দুই কূটনীতিক, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে কর্মরত শাবান মাহমুদ এবং কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনে কর্মরত রঞ্জন সেনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তার পর ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে বাংলাদেশের (Delhi-Dhaka Relation) হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার আরও কৃটনীতিকদের সরানো হল। ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে বিক্ষোভের মুখে গত অগাস্টের শুরুতে শেখ হাসিনা প্রশাসনের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক যখন তলানিতে ঠেকেছে, তখন এই ঘটনা দিল্লি-ঢাকা সম্পর্ককে আরও বিষাদ করবে বলেই অনুমান কূটনৈতিক মহলের। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বুধবার বাংলাদেশের ডি ফ্যাক্টো পররাষ্ট্রমন্ত্রী তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share