Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Pakistan: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    Pakistan: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালের মতো ভাঙতে পারে পাকিস্তান। ঢের আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রায় একইরকম সম্ভাবনার কথা মনে করিয়ে দিলেন তালিবান আফগানিস্তানের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী শের মহম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই। পাকিস্তানকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম দেখেছিল পাকিস্তান। ফের একই অবস্থা হতে পারে।”

    শরণার্থীদের পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ

    গত অক্টোবরের শুরুর দিকে প্রায় ১৭ লক্ষ শরণার্থীকে পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নভেম্বরের এক তারিখের মধ্যেই তাঁদের পাকিস্তান ছাড়তে বলা হয়েছিল। এই শরণার্থীদের সিংহভাগই আফগান। মূলত তার পর থেকেই আফগানিস্তানের তালিবান শাসক ও ইসলামাবাদের বিবাদ তুঙ্গে উঠেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পড়শি দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এহেন আবহেই মিলল হুঁশিয়ারি। আফগানিস্তানে তালিবানের বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী পাকিস্তানই। এক সময় তালিব নেতাদের আশ্রয় দিয়েছে পাকিস্তানই (Pakistan)। সাহায্য করেছে অর্থ দিয়েও। সময় গুণে সেই তালিবরাই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন আফগান মন্ত্রী?

    ১৬ ফেব্রুয়ারি এক জনসভায় শের মহম্মদ বলেন, “আমাদের প্রতিবেশী দেশটি শরণার্থীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে নিষ্ঠুরের মতো। সবাইকে বলা হচ্ছে নিজেদের দেশে ফিরে যেতে।” এর পরেই তিনি বলেন, “যেভাবে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান দু টুকরো হয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে।” আফগান তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আফগান শরণার্থীদের প্রতি পাকিস্তানের এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুুন: হাজার কোটির সাইবার ‘প্রতারণা’! ‘কিংপিন’ কুণালের একাধিক ডেরায় হানা ইডির

    শের মহম্মদ বলেন, “আমরা কখনওই ডুরান্ডকে স্বীকৃতি দিইনি। একে কখনও স্বীকৃতি দেবও না। আজ আফগানিস্তানের অর্ধেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুরান্ড লাইনের অন্য দিকে রয়েছে আরও একটি অংশ। এই ডুরান্ড লাইন টেনেছিল ইংরেজরা। তারা এটা করেছিল আফগানদের বুকের ওপর দিয়ে।” তিনি বলেন, “আর আজ? আমাদের প্রতিবেশী দেশটি (Pakistan) শরণার্থীদের তাড়িয়ে দিচ্ছে নিষ্ঠুরভাবে। তাঁদের বলা হচ্ছে দ্রুত তাঁদের স্বদেশে ফিরে যেতে।” তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই ঔদ্ধত্যের জেরে আরও একবার ভাঙন দেখতে হবে পাকিস্তানকে, যেমনটা দেখতে হয়েছিল ১৯৭১ সালে, বাংলাদেশের জন্মের সময়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • International Mother Language Day: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    International Mother Language Day: আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, দিনটির গুরুত্ব জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২১ ফেব্রুয়ারি। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (International Mother Language Day)। ১৯৯৯ সালে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে। তার পর থেকে ফি বছর যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় দিনটি।

    ভাষা আন্দোলন

    ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় বাংলাদেশে। আন্দোলন দমন করতে অবিভক্ত বাংলাদেশের ওই আন্দোলনে গুলি চালায় পূর্ব পাকিস্তানের খান সেনারা। গুলিতে হত হন চার ছাত্র। তার পর থেকে মাতৃভাষার জন্য আস্ত একটি দিন উৎসর্গ করার দাবি তোলেন বিশ্বনেতাদের একাংশ। যার জেরে ১৯৯৯ সালের নভেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সাধারণ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হয়। পরে একে স্বাগত জানায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ। রাষ্ট্রসঙ্ঘ তার সদস্য দেশগুলিকে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র ও বহুভাষিকতার প্রচারে উৎসাহিত করে।

    মাতৃভাষা দিবসের থিম

    ফি বছর ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জন্য একটি থিম বেছে নেয়। বিগত বছরগুলিতে যেসব থিম বেছে নেওয়া হয়েছিল, সেগুলি হল সীমান্তহীন ভাষা, উন্নয়ন, শান্তি পুনর্মিলনের জন্য আদিবাসী ভাষা গুরুত্বপূর্ণ ও টেকসই করার জন্য ভাষাগত বৈচিত্র ও বহুভাষিকতা উন্নয়ন।চলতি বছরের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের থিম হল, ‘বহুভাষিক শিক্ষা – শিক্ষা আন্তঃপ্রজন্মীয় শিক্ষার (International Mother Language Day) একটি স্তর’। থিমটি আন্তঃপ্রজন্মীয় শিক্ষার প্রচারে বহুভাষিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।

    আরও পড়ুুন: রেল মানচিত্রে জুড়ল কাশ্মীর ও জম্মু, দেশের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

    রাষ্ট্রসঙ্ঘের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, বহুভাষী ও বহু সাংস্কৃতিক সমাজগুলি ভাষা সংরক্ষণের মাধ্যমে উন্নতি লাভ করে, যা ঐতিহ্যগত জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বহন করে। তবে ভাষাগত বৈচিত্র আরও বেশি ভাষা বিলুপ্ত হওয়ার কারণে হুমকির সম্মুখীন হয়। বিভিন্ন গবেষণা শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষা ব্যবহার করার সুবিধার বিষয়ে কথা বলে। আত্মসম্মান ও সমালোচনামূলক চিন্তা দক্ষতা বৃদ্ধি করে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দান। অথচ বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষই নিজস্ব ভাষায় পড়াশোনা (International Mother Language Day) করার সুযোগ পান না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ ঢাকার কাপড়ের দোকানে! ধৃত বিশ্বজিতের ইডি হেফাজত

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতির টাকা বিনিয়োগ ঢাকার কাপড়ের দোকানে! ধৃত বিশ্বজিতের ইডি হেফাজত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় (Ration Scam) গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিৎ দাসকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।  শুক্রবার এই নির্দেশ দেন বিশেষ ইডি আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক শুভেন্দু সাহা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শংকর আঢ্যর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের কলকাতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি৷ এর পর বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করেন ইডির আধিকারিকরা। গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশে ছিলেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ফেরেন মঙ্গলবারই। বিমানবন্দরে তাঁকে পাকড়াও করে ইডি। শুধু তাই নয়, প্রতিবেশী রাষ্ট্রে কাপড়ের ব্যবসায় বিশাল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগও করেছেন রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) ধৃত বিশ্বজিৎ দাস, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাদের৷ 

    বিশ্বজিৎকে জেরা করে কী জানতে পারলেন গোয়েন্দারা?

    বিশ্বজিৎকে জেরা করে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, ঢাকায় বিশ্বজিতের একটি বড় কাপড়ের দোকান রয়েছে৷ এখানেই জোরালো হচ্ছে হাওয়ালার মাধ্য়মে (Ration Scam) দুর্নীতির টাকা বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশ্বজিতের ভূমিকা। তদন্তকারীদের দাবি, শুধু দুবাইতে নয়, বাংলাদেশে কাপড়ের ব্যবসার মাধ্যমেও রেশন দুর্নীতির টাকা পাচার হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হন বনগার তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্য৷ তাঁকে জেরা করেই বিশ্বজিতের নাম পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা৷

    টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড বিশ্বজিৎ

    ইডির দাবি, বিশ্বজিৎ দাসই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের (Ration Scam) বিপুল টাকা বিদেশে পাচার করতেন৷ তাঁর হাতেই কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পাচার করেছে৷ গোয়েন্দাদের মতে, কালো টাকা পাচারের ক্ষেত্রে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এমন কয়েকজন ব্যবসায়ীকে বেছে নিয়েছিলেন। যাঁদের আন্তর্জাতিক কারবার ও বিদেশেও একাধিক ব্যবসা আছে৷ ইডির সন্দেহের তালিকায় রয়েছে এমন আরও চার ব্যবসায়ী। আগামী সপ্তাহে তাঁদেরও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন গোয়েন্দারা। তদন্তের জাল ক্রমশই গুটিয়ে আনছে ইডি।

     

    আরও পড়ুন: মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা লোকসভা ভোট! রাজ্যে নোডাল অফিসার নিয়োগ কমিশনের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ! গ্রেফতারির আগে সেখানেই ছিলেন বিশ্বজিৎ

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ! গ্রেফতারির আগে সেখানেই ছিলেন বিশ্বজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে (Ration Scam) দু’দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছে শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাস। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে গ্রেফতারির আগে এই ব্যবসায়ী বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ৷ আর এই তথ্য সামনে আসতেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ রয়েছে বলে মনে করছে ইডি ৷ তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাই চলে যেত টাকা। সেই লিঙ্কই এখন খুঁজছে ইডি। বালু ও শঙ্করের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতে কি ভূমিকা নিতেন বিশ্বজিৎ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। পাশাপাশি ইডি-র আরও সন্দেহ এ রাজ্যের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে সে দেশের (বাংলাদেশ) ব্যবসায়ীরাও (Ration Scam) যুক্ত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে আদালতে জানিয়েছে, বালুর ২০০০ কোটি টাকা শঙ্করের মাধ্যমে দুবাই পাঠানো হয়েছে, সেই টাকার একটা অংশ দুবাইয়ে গিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।

    মঙ্গলবার বিশ্বজিৎ-এর বাড়িতে হানা দেয় ইডি

    মঙ্গলবার বিশ্বজিতের বাড়িতে তল্লাশি (Ration Scam) অভিযান চালায় ইডি। এর পাশাপাশি অভিযান হয়েছিল বড়বাজারের আর একটি স্থানেও। জানা গিয়েছে, সেখান থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছে ইডি। নথিপত্র ঘেঁটে ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ চলতি সপ্তাহের বুধবার সকালে বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে ইডি। তবে গ্রেফতারির আগের মুহূর্তে যে বিশ্বজিৎ বাংলাদেশে ছিলেন তা জানতে পারেন গোয়েন্দারা। আর তাতেই দানা বাঁধছে সন্দেহ। রেশন দুর্নীতিতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যোগ ছিল কিনা তা এবার খতিয়ে দেখছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷

    হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট বিশ্বজিৎ বাড়িতে

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) বিশ্বজিৎ দাসের হাওয়ালা যোগ আদালতে আগেই জানিয়েছিল ইডির তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, বিশ্বজিৎ বাড়ি ও অফিস থেকেও উদ্ধার হয়েছে হাওয়ালার লেনদেনের চিরকূট। বাড়িতে ইডি হানার খবর পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশ থেকে কলকাতা উড়ে আসেন বিশ্বজিৎ। দীর্ঘক্ষণ ধরে তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিশ্বজিৎ-কে। তারপরেই আটক করা হয় তাঁকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SAFF U19 Women’s Championship: বিতর্ক, বিবাদ, পাঁচ ঘণ্টার নাটকের শেষে সাফ-ফুটবলে যুগ্ম জয়ী ভারত ও বাংলাদেশ

    SAFF U19 Women’s Championship: বিতর্ক, বিবাদ, পাঁচ ঘণ্টার নাটকের শেষে সাফ-ফুটবলে যুগ্ম জয়ী ভারত ও বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯০ মিনিটের খেলা, বড়জোর ১২০ মিনিটের ম্যাচ। সেই খেলা গড়াল পাঁচ ঘণ্টায়। অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা সাফ কাপের ফাইনালে নানা বিতর্কের সাক্ষী থাকল ফুটবল বিশ্ব। এই প্রথম বার এমন একটা চূড়ান্ত নাটকীয় ও বিতর্কিত ফাইনাল দেখা গেল। যা নিয়ে দীর্ঘদিন চর্চা চলবে। আর সব চর্চার শেষে থাকবে যে এ বারের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে (SAFF U19 Women’s Championship) যুগ্ম জয়ী হয়েছে ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)।

    ম্যাচে ভারতের দাপট

    গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের কাছে হেরেছিল ভারত। ফাইনালে তারা এগিয়ে যায়। মাত্র ৮ মিনিটে শিবানী দেবীর গোলে ভারত এগিয়ে যায়। এরপর নির্ধারিত সময়ে আর দুই দলের কোনও ফুটবলার গোল করতে পারেননি। ইনজুরি টাইমে গিয়ে বাংলাদেশের হয়ে সমতা ফেরান সাগরিকা। যে কারণে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ ড্রতে। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। এই অবধি সব ঠিকই ছিল। টাই-ব্রেকারে কোনও দলই পেনাল্টি নষ্ট করেনি। প্রত্যেকেই গোল করেন। দু’দলের সব ফুটবলারেরা শট মারার পরেও ম্যাচের মীমাংসা না হওয়ায় রেফারি টস করার সিদ্ধান্ত নেন। টস জেতেন ভারতের অধিনায়ক। স্বাভাবিকভাবেই এরপর উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন ভারতীয় ফুটবলাররা। 

    বাংলাদেশের বিরোধিতা

    বাংলাদেশের ফুটবলাররা টসের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন। ম্যাচ কমিশনারের কাছে অভিযোগও জানায় বাংলাদেশ শিবির। এরপর ম্যাচ কমিশনার টসের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। বলা হয় আবার সাডেন ডেথ হবে। পুরো পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতীয় ফুটবলাররা। রেফারি জানিয়েছিলেন, আধ ঘণ্টার মধ্যে ভারত মাঠে না ফিরলে বাংলাদেশকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এক ঘণ্টা হয়ে গেলেও ভারত মাঠে আসেনি। 

    যুগ্ম-জয়ী

    প্রায় ৫ ঘণ্টার নাটক শেষে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান, সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হকের উপস্থিতিতে ভারত এবং বাংলাদেশকে যুগ্মভাবে এই টুর্নামেন্টের জয়ী ঘোষণা করা হয়। ভারতের অধিনায়ক এবং সহ অধিনায়ক ছাড়া আর কেউ পুরস্কার গ্রহণ করতে আসেননি। পুরস্কার নিয়ে ছবি তুলেই তাঁরা মাঠ ছাড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India-Bangladesh: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    India-Bangladesh: মায়ানমার নিয়ে যৌথ পদক্ষেপের ঘোষণা, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ডোভালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাসান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। মায়ানমারের গৃহযুদ্ধে ঘরছাড়া কয়েক হাজার সাধারণ নাগরিক আশ্রয় নিয়েছেন মিজোরাম-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যে। মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় কামানের গোলায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের। জুন্টা সমর্থক সেনা এবং বিদ্রোহী জোটের লড়াইয়ে পড়ে নাজেহাল সেখানকার বাসিন্দারা মায়ানমার ছাড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমার নিয়ে ভারতের সঙ্গে বৈঠক করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    মায়ানমার প্রসঙ্গ

    বুধবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকের পরে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে মায়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে ভারত-বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। এ বিষয়ে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। পরে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে।’’ বিদ্রোহী জোটের অগ্রগতি রুখতে ইতিমধ্যেই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় নির্বিচার বিমানহানা শুরু করেছে মায়ানমার বায়ুসেনা। পাশাপাশি ভারত এবং বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন প্রদেশের বেশ কিছু জনপদে ভারী কামান থেকে গোলাবর্ষণও চলছে। ফলে সীমান্ত এলাকার সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লি এবং ঢাকার। ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, নাগাল্যান্ড এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার–বান্দরবান এলাকার সঙ্গে মায়ানমারের সীমান্ত রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচাতে মায়ানমারের নাগরিকরা পালিয়ে চলে আসছেন দু’দেশেই। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জও।

    দিল্লির মসনদে মোদিকেই চান হাসিনা

    মায়ানমার প্রসঙ্গ ছাড়াও এদিন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী জানান, দুই দেশের ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারতের মসনদে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদিকেই দেখতে চায় বাংলাদেশ। হাছান মাহমুদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি রক্ষার বিকল্প নেই। “

    বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পনেরো বছর এবং ভারতে মোদির দশ বছরের শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক বোঝাপড়া ছাড়াও পরিকাঠামো বিনিময়ে নজিরবিহীন অগ্রগতি হয়েছে।  দুই দেশ একে অপরকে তাদের বন্দর, রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। ফলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দু’দেশের নেতৃত্বই তাই মনে করেন, এই বিষয়ে অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে হলে নিজ নিজ দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Elections 2024: হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কী বললেন জানেন?

    Bangladesh Elections 2024: হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের, কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডবল সেঞ্চুরি পার আওয়ামি লিগ। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুশোর বেশি আসনে জয়ী (Bangladesh Elections 2024) হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল। হাসিনার জয়ে উচ্ছ্বসিত ভারত। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে হাসিনাকে জানান ভার্মা।

    হাসিনা-ভার্মা বৈঠক

    বস্তুত ভার্মাই প্রথম দূত, যিনি হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং সাধারণ নির্বাচনে জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আওয়ামি লীগ সরকারের নয়া ইনিংসে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভার্মা। দুই দেশই তাদের জাতীয় উন্নয়নে সাহায্য করবে বলেও আলোচনা হয়েছে হাসিনা-ভার্মা বৈঠকে। ভারত যে সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে, বৈঠকে তাও জানান ভার্মা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানান, বাংলাদেশ যাতে স্থায়ী, উন্নত ও সমৃদ্ধশালী একটি দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে, সেজন্য সাহায্যের হাত (Bangladesh Elections 2024) বাড়াবে ভারত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যেভাবে ভারত পাশে ছিল, দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে বন্ধুত্ব, তাও অটুট থাকবে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে দেন ভার্মা।

    বিপুল ভোটে জয়ী হাসিনা 

    রবিবারই হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছিল খালেদা জিয়ার বিএনপি। যদিও তাতে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশের নাগরিকরা। নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি বাদে সে দেশের সব রাজনৈতিক দলই। বহু নির্দল প্রার্থীও ছিলেন নির্বাচনী ময়দানে। গোপালগঞ্জ-৩ কেন্দ্রে বিপুল ভোটে জয়ী হন আওয়ামি লীগ সুপ্রিমো হাসিনা। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ঊনপঞ্চাশ হাজার ৯৬২টি ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহম্মদ আতিকুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ৯৯৯টি ভোট। প্রধানমন্ত্রীর আর এক প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুর মোল্লার ঝুলিতে পড়েছে মোটে ৪২৫টি ভোট।  

    আরও পড়ুুন: সাসপেন্ড নয়, তিন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে হবে, মলদ্বীপকে জানিয়ে দিল ভারত

    এনিয়ে হাসিনা সংসদে গেলেন পাঁচ বার। হাসিনার দল জয়ী হয়েছে ২২৩টি আসনে। রবিবার ভোটগ্রহণ শেষেই শুরু হয় গণনা। প্রথম থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন হাসিনার দলের প্রার্থীরা। গণনা শেষে দেখা যায় ২২৩টি কেন্দ্রে জয় পেয়েছে আওয়ামি লীগ। ফল বের হওয়ার ঢের আগেই হাসিনা দলীয় নেতা-কর্মীদের কোনওরকম প্ররোচনার ফাঁদে পা দিতে নিষেধ করেন। কোনও দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যাতে তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা মারপিটে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারেও সর্তক করে দিয়েছিলেন (Bangladesh Elections 2024) হাসিনা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Election: ৭ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েন বাংলাদেশে

    Bangladesh Election: ৭ জানুয়ারি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সেনা মোতায়েন বাংলাদেশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭ জানুয়ারি, রবিবার সাধারণ নির্বাচন বাংলাদেশে (Bangladesh Election)। নির্বাচনী ময়দানে দেশের শাসক দল শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগ হাজির থাকলেও, খালেদা জিয়ার দল ডাক দিয়েছে ভোট বয়কটের। দেশের অন্য দলগুলি অবশ্য যথারীতি রয়েছে ভোট-ময়দানে। যেহেতু জিয়ার দল বিএনপি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না অশান্তির আশঙ্কা। এহেন প্রেক্ষিতেই অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাটাই কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সে দেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই কারণে গুচ্ছ পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বুধবার থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীও।

    সেনা থাকবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত    

    নির্বাচনোত্তর (Bangladesh Election) অশান্তি এড়াতে বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই বাহিনী কীভাবে কাজ করবে, কী কী দায়িত্ব পালন করবে, তাও জানিয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য বিধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জারি করা বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হবে এই সশস্ত্র বাহিনী। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট সহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনীর সদস্যদের। কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করতেই মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

    কী বলছে কমিশন?

    বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গির আলম বলেন, “রিটার্নিং অফিসার ও সহকারি রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শ করে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে সেনা। প্রতিটি আসনের বিভিন্ন নোডাল পয়েন্টে থাকবে তারা। কোনও ধরনের অশান্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে তারা যাবে ঘটনাস্থলে। কাজ করবে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ মতো।” তিনি জানান, কোন কেন্দ্রের কোথায়, কতগুলি নোডাল পয়েন্ট থাকবে, তা ঠিক করবে স্থানীয় প্রশাসন। আর সেনা কোথায় মোতায়েন করা হবে, তা ঠিক করবেন রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

    আরও পড়ুুন: “জ্যোতিপ্রিয়র জ্যোতি নিভে যাচ্ছে, রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ নেই”, কটাক্ষ সুকান্তের

    ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের ৩৮৮টি উপজেলায় ৩৫ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছিল। এবার নিয়োগ করা হয়েছে তার চেয়েও বেশি। জানা গিয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মহানগর এলাকা, এলাকার বাইরে ও পার্বত্য এবং দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৬ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬-১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে এই সংখ্যা বাড়াতে পারবেন রিটার্নিং অফিসাররা (Bangladesh Election)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    BSF: মানবিক বিএসএফ! সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম লিয়াকত মণ্ডল। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার হরিহরপুরে। বেশ কয়েকবছর আগে বাংলাদেশের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন। মেয়ে এখন বাংলাদেশের নাগরিক। অসুস্থতার কারণে লিয়কত সাহেবের মৃত্যু হয়। বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় মৃত বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পেলেন সীমান্তের ওপারে থাকা মেয়ে। সাদা কাপড়ে মোড়া বাবার দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। বিএসএফের মানবিক মুখ দেখলেন সকলে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (BSF)

    বাবার মৃত্যুর খবর বাংলাদেশে থাকা মেয়ের কাছে পৌঁছেছিল। কিন্তু, পাসপোর্ট জটে আটকে কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে আসতে পারেননি বাংলাদেশের বাসিন্দা মেয়ে। আর দ্রুত পাসপোর্ট ভিসা তৈরি করে তাঁর পক্ষে আসা সম্ভব ছিল না। বিজিবি- বিএসএফের (BSF) কাছে তাঁর কাতর আবেদন ছিল, যেন একবার বাবাকে শেষ দেখা দেখতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়ে আসতে চেয়েছিলেন পৈতৃক ভিটেতে। তাঁর ইচ্ছা ছিল, বাবার মৃতদেহ শেষবার দেখার। লিয়াকত সাহেবের পরিবারের লোকজন হরিহরপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যকে বিষয়টি জানান। পঞ্চায়েত সদস্য মধুপুর ক্যাম্পের বিএসএফ কর্তাদের অনুরোধ করেন, লিয়াকত সাহেবের মেয়েকে যাতে শেষবারের মতো বাবাকে দেখতে দেওয়া হয়। এরপরই বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিজিবি-র মাধ্যমে মেয়েকে দু’দেশের জিরো পয়েন্টে আনার কথা বলা হয়। এরপরই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে লিয়াকতের মৃতদেহ আনা হয়। ওপার থেকে মেয়েও আসেন। শেষমেশ বিএসএফের (BSF) সহযোগিতায় জিরো পয়েন্টে লিয়াকত সাহেবের দেহ আনা হয়। বাবাকে শেষ দেখার পাশাপাশি শেষ শ্রদ্ধাও জানান মেয়ে।

    বিএসএফ নিয়ে কী বললেন বাংলাদেশের বধূ?

    লিয়াকত সাহেবের মেয়ে বলেন, ‘বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে মন ছটফট করছিল। কিন্তু, দুদেশের আইনি জটে সীমান্ত পেড়িয়ে আসা সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু, বিএসএফ (BSF) উদ্যোগী হওয়ায় বাবার সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারলাম। বিএসএফের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Polls: “জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব”, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি হাসিনার

    Bangladesh Polls: “জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব”, ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নির্বাচনে জিতলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলব।” বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে এমনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Polls) হবে ৭ জানুয়ারি। বুধবার ইস্তাহার প্রকাশ করে শেখ হাসিনার দল। সেখানেই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হাসিনা।

    ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক

    হাসিনার দল আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের কথার উল্লেখ করে লেখা হয়েছে, “ভারতের সঙ্গে স্থল সীমানা নির্ধারণ ও ছিটমহল বিনিময়ের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এর ফলে ভারতের সঙ্গে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে উৎসাহিত করেছে।” বিদেশনীতি প্রসঙ্গে ইস্তাহারে (Bangladesh Polls) বলা হয়েছে, “আন্তর্জাতিক যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত অংশীদারিত্ব ও ন্যায়সঙ্গত জল বণ্টন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবেশি দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

    ‘যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী’

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশ তার ভূখণ্ডে জঙ্গি, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর উপস্থিতি ঠেকাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আওয়ামি লিগ সরকার সমগ্র অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিকে নির্মূল করতে দক্ষিণ এশিয়া টাস্ক ফোর্স গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।” ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাসিনা বলেন, “যুদ্ধ নয়, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। জাতির পিতা নির্দেশিত ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’, এই নীতিকে ধারণ করে আওয়ামি লিগের সফল বিদেশনীতির কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক শক্তিশালী ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত হলে সকল দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা চলমান থাকবে।”

    আরও পড়ুুন: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের

    আওয়ামি লিগের ইস্তেহারে মোট ১১টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু স্বার্থেও কিছু ঘোষণা। এই ঘোষণায় খুশি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বৃহত্তম সংগঠন ‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ’। এই পরিষদের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, “যেহেতু গত পাঁচ বছরে কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ হয়নি এবং এবারও সেই একই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাই এটি মন্দের ভাল। তবে এই প্রতিশ্রুতি যেদিন বাস্তবায়িত হবে, সেদিন (Bangladesh Polls) আমরা আন্তরিকভাবে খুশি হব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share