Tag: Bangladesh

Bangladesh

  • Sheikh Hasina: ভাষা আন্দোলনই স্বাধীনতার পথ দেখায়! ভারত সফরে এসে বাংলার  প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ হাসিনার

    Sheikh Hasina: ভাষা আন্দোলনই স্বাধীনতার পথ দেখায়! ভারত সফরে এসে বাংলার প্রতি গভীর অনুরাগ প্রকাশ হাসিনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঁচ দশক আগে  বাংলা ভাষাই পাকিস্তান (Pakistan) থেকে বাংলাদেশকে (Bangladesh) আলাদা হতে সাহায্য করেছিল। ভারত (India) সফরে এসে এমনই দাবি করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলা ভাষার প্রতি নিজের গভীর ভালবাসা ব্যক্ত করে হাসিনা ( sheikh hasina) জানান, “আমার মাতৃভাষা বাংলা। যখন পাকিস্তান তৈরি হয়, ঠিক সেই সময় থেকে আমাদের উপর উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল। সারা দেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল ভাষা আন্দোলন। বাংলা ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। ভাষা আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতার পথ দেখায়। তৈরি হয় বাংলাদেশ।”

    ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চার দিনের ভারত সফর। আজ, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। পাশাপাশি দু’দেশের শীর্ষ প্রতিনিধি দলের বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জলসম্পদ, যোগাযোগ-সহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক চুক্তিপত্র সই হওয়ার কথা আজকে। 

    আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে ভারতে শেখ হাসিনা, মোদির সঙ্গে বৈঠকে নজরে জলবণ্টন

    সোমবার এক সাক্ষাৎকারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জানান, যে কোনও সম্প্রদায়ের কাছে তার ভাষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এমন একটা দেশ, যা ভাষার অস্তিত্ব রক্ষার্থেই তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি ইংলিশ বলি, কিন্তু স্বচ্ছন্দ নই। এটা আমার কাছে কোনও বিষয় নয় কারণ ইংলিশ বিদেশি ভাষা, আমি আমার ভাষা বাংলাতেই স্বচ্ছন্দ। আমরা কোনও ভাষাকে ছোট করছি না। কোনও ভাষার সঙ্গে আমাদের বৈরিতা নেই। তবে আমাদের কাছে বাংলা ভাষা ভালবাসার এবং গর্বের।”

    নৈশভোজে এ দিন বেশ হাসিখুশি ছিলেন শেখ হাসিনা। জানান, ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েই তিনি দিল্লি সফরে এসেছ‌েন। পুজোর সময়ে এ দেশের মানুষকে এটা তাঁর উপহার। এ দেশের বাঙালিদের বিশেষ করে রাজ্যবাসীর সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্কের কথাও জানান হাসিনা। বাংলা ও বাঙালি তাঁর কাছে বড়ই প্রিয়। হাসিনা বলেন, “যে কোনও নতুন ভাষা শিখতে ভাল লাগে। সব ভাষার নিজস্ব মাধুর্য্য আছে কিন্তু আমার কাছে বাংলাই শ্রেষ্ঠ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bangladesh: নাশকতা কমলেও বাংলাদেশে কমছে না মৌলবাদ, চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে গবেষণায়

    Bangladesh: নাশকতা কমলেও বাংলাদেশে কমছে না মৌলবাদ, চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী হামলা বা নাশকতার সংখ্যার দিক থেকে দেখলে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে সংখ্যাটা বেশ কিছুটা কমেছে। কিন্তু নাশকতার সংখ্যা কমলেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কমছে না বাংলাদেশে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এলো সাউথ এশিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের একটি গবেষণায়।   

    আরও পড়ুন: জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    ব্রাসেলে (Brussel) সাউথ এশিয়া ডেমোক্রাটিক ফোরামের (South Asia Democratic Forum) একটি আলোচনা সভায় সংস্থার গবেষণা সংক্রান্ত নির্দেশক  ডঃ সিগফ্রায়েড ও ওলফ (Dr. Siegfried O Wolf) জানান, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে কিছুতেই কমছে না ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সমস্যা। ‘হেফাজত-ই-ইসলাম এবং বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের সমস্যা’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে,  হেফাজত-ই-ইসলাম (Hefazat-e-Islam) এই মুহূর্তে বাংলাদেশের (Bangladesh)  সবথেকে বড় সক্রিয় ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী দল।   

    গবেষণায় উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী,  নাশকতার সংখ্যা না বাড়ালেও এই সন্ত্রাসবাদী দল বাংলাদেশে মুক্ত চিন্তা ভাবনার বিকাশকে ব্যাহত করছে। উগ্র ধর্মীয়বাদকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে  দিচ্ছে এই সংগঠন। 
    হেফাজত-ই-ইসলাম,  নিজেদের সামাজিক সংগঠন হিসেবে এই দল তুলে ধরলেও অবিলম্বে এই দলকে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ সরকারের।  

    সাউথ এশিয়ার ডেমোক্রেটিক ফোরাম  দক্ষিণ এশিয়ার  বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকে।  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্কের ওঠানামা এই সংস্থার আলোচনার মূল বিষয়। ব্রাসেলকে কেন্দ্র করে এই গবেষণা দল কাজ করছে।   

    আরও পড়ুন: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    গবেষক ডঃ সিগফ্রায়েড ও ওল্ফ বলেন, “গত এক দশকে বিভিন্ন অশান্তির পর বাংলাদেশ সরকার কড়া অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করেছে। অনেকেই মনে করেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই কড়া অবস্থান বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয়বাদী দলকে নেতৃত্বকে সমস্যায় ফেলেছে। কিন্তু এই ভাবে ভাবলে সমস্যাকে খুবই ছোট করে দেখা হবে। বাংলাদেশে হেফাজত-ই-ইসলামের মতো দল আর্থ-সামাজিক সংগঠনের মোড়কে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ জারি রেখেছে৷ যা নিয়ে সরকারের সচেতন হওয়া উচিৎ।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bangladesh: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    Bangladesh: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানির দাম (Fuel Price) লাগামছাড়া। তার জেরে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। উঠেছে দাম কমানোর দাবিও। আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে শেখ হাসিনার দেশ দ্বারস্থ হয়েছে আইএমএফের (IMF)। বাংলাদেশকে ঋণ দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ। করোনা (Covid 19) সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২ হাজার ৮৪৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এমতাবস্থায় চিনের মাধ্যমে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সতর্ক করলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল। কিছুদিন আগেই ঢাকা সফরে এসে হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তার পরেই কামালের এই ‘সতর্কতা’ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন :দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    কামাল বলেন, বিশ্বজুড়েই বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। তাই এই সময় ঋণ নিলে উন্নয়নের গতি কমে গিয়ে চাপ পড়বে বাজারে। এর পরেই শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গ টানেন তিনি। চিনের কাছেও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। বাধ্য হয়েছিল নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করতে। কামাল বলেন, অন্য গরিব দেশগুলিকে ঋণ দিয়ে আরও চাপে ফেলার আগেই আগামী দিনের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে চিনকে। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির এই হালের জন্য সবাই দায়ী করছে চিনকে। আর এই দায় অস্বীকারও করতে পারে না চিন। কামাল বলেন, শ্রীলঙ্কার এই সঙ্কট দেখার পরে আমাদেরও বেশি এবং ভালো করে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। কারণ কোনও দেশকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রকল্প ভালো করে খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চিনকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    আরও পড়ুন : চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এই জন্যই জ্বালানি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থা। তার পরেই জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার প্রতিবাদে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে বিক্ষোভ।

     

  • Sheikh Hasina: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    Sheikh Hasina: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর বিশেষ দিনে বাংলাদেশের হিন্দুদের বিশেষ বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এদিন তিনি বলেন, “এদেশে আমার যতটা অধিকার আছে ততটা অধিকার আপনাদেরও আছে।“ এদিন কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন হাসিনা এবং বলেন, এদেশে কারও নিজেকে সংখ্যালঘু মনে করার কোনও কারণ নেই। মুসলিম প্রধান দেশ হলেও বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষই সমান। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিজেদের সংখ্যালঘু না ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকার।’

    জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং চট্টগ্রামের জেএন সেন হলের জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এদিন তিনি বাংলাদেশের হিন্দুদের জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়কে বলব, আপনারা নিজেদেরকে সংখ্যালঘু মনে করবেন না। আপনাদেরও সমানভাবে দেশের নাগরিক হওয়ার অধিকার আছে এবং আমরাও সেইভাবে আপনাদেরকে দেখতে চাই।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে যদি চলতে পারেন তাহলে আর খারাপ লোকেরা কোনও ক্ষতিসাধন করতে পারবে না। আর খারাপ লোক সবধর্মেই রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি এটাও বলেন, বাংলাদেশে দুর্গা পুজোর সময় যত মণ্ডপ তৈরি হয়, পশ্চিমবঙ্গেও তা হয় না। তিনি সে দেশের হিন্দুদের মনে করিয়ে দেন, দুর্গাপুজোয় ঢাকায় যে সব মণ্ডপ হয়, তার অনেকেরই উচ্চতা, জাঁকজমক পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও বেশি হয়।

    আবার তিনি জানিয়েছেন, অনেক সময় সেখানে হিন্দু সম্প্রদায় নানা অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, কিন্তু এর জন্য আফসোস হয় তাঁর। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সরকার এবং আওয়ামি লিগ কোনও ধর্ম-সম্প্রদায়কেই ছোট মনে করে না, সবাইকেই সে দেশে অধিকারের সঙ্গে থাকার থাকার আহ্বান জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু বাংলাদেশ-চিনের যৌথ প্রকল্প? বেজিংয়ের দাবি ওড়াল ঢাকা 

     

  • India Bangladesh: জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    India Bangladesh: জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিস্তা (Teesta), গঙ্গা (Ganga) সহ অন্যান্য নদীর জলবণ্টন (Water Sharing) চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বসল ভারত (India) ও বাংলাদেশ (Bangladesh)। ভারতের কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত (Gajengra Singh Shekhawat) এ কথা জানান। বৃহস্পতিবার ওই বৈঠক হয়েছে।

    ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্রচুর নদী। সেই কারণে গঠিত হয়েছে জয়েন্ট রিভার্স কমিশন। এই কমিশন আয়োজিত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গেল এদিন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বৈঠকে তাঁর নেতৃত্বে যোগ দেন ১৭ জন প্রতিনিধি। তাঁরাই বৈঠক করেন শেখাওয়াতের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, জয়েন্ট নদী কমিশনের এটি ৩৮তম বৈঠক। বৈঠক শেষে ট্যুইট করেন শেখাওয়াত। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, বিভিন্ন নদীর জল বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল গঙ্গা এবং তিস্তাও। জলশক্তি মন্ত্রী বলেন, জল বণ্টন সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে দু দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। গঙ্গা এবং তিস্তা ছাড়াও আরও ছটি নদী নিয়েও আলোচনা হয়েছে এদিন।

    আরও পড়ুন : প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বোঝাপড়া শক্তপোক্ত করতে ফের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশ

    প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে জয়েন্ট রিভার্স কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। তার পর সব মিলিয়ে হয়েছে ৩৮ তম বৈঠক। সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখে ভারত সফরে আসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিনের ভারত সফরে আসছেন তিনি। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক সুস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা তাঁর। হাসিনার সফরের আগে আগেই জল সম্পদ নিয়ে দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। মঙ্গলবারই হয়েছে জয়েন্ট রিভার্স কমিশনের দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক। দুই দেশের আলোচনায় উঠে এসেছে তিস্তা জল বণ্টন ইস্যুও। এই তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও  আলোচনা হয়েছিল হাসিনার। তার পরেও তিস্তার জল বণ্টন নিয়ে জট কাটেনি দু দেশের।

    প্রসঙ্গত, যখন তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা হচ্ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংহ। ২০১১ সালে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। সেই সময়ই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে স্বাক্ষরিত হয়নি ওই চুক্তি। অবশ্য তিস্তা চুক্তি না হলেও, ১৯৯৬ সালে হয় গঙ্গা জল বণ্টন চুক্তি। ২০১৬ সালে ওই চুক্তি রিনিউয়াল হওয়ার কথা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Pak naval ship Taimur: পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    Pak naval ship Taimur: পাক রণতরীকে নোঙর করতে দিতে অস্বীকার বাংলাদেশের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ অনুমতি না দিলেও পাকিস্তানের রণতরীকে বন্দরে ঠাঁই দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল শ্রীলঙ্কা। চিনের প্রযুক্তিগত সহায়তায় নির্মিত পাকিস্তানের যুদ্ধজাহাজ পিএনএস তৈমুর সাংহাই বন্দর থেকে পাকিস্তান অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। চলতি মাসেই জাহাজটিকে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত করার কথা রয়েছে। জাহাজটির পোতাশ্রয় হিসাবে প্রথমে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরকে বেছে নেওয়া হলেও এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি মেলেনি। পাকিস্তানি এই রণতরীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলম্বো। আগামী ১২ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত চিনা মিাসাইলবাহী যুদ্ধজাহাজটি কলম্বো বন্দরে থাকবে বলে সূত্রের খবর। এর আগে চিনা গুপ্তচর জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং-৫’-এর শ্রীলঙ্কা সফরে রাশ টেনেছিল রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার।

    আরও পড়ুন: এবার আস্তিন গুটিয়ে চিনের পাল্টা মহড়ায় নামল তাইওয়ানও

    তৈমুর গভীর সমুদ্রে লড়াই করতে পারা এক বিশেষ ধরনের যুদ্ধজাহাজ। মালয়েশিয়ার লুমুট বন্দর থেকে বেরোনোর পর সাত থেকে ১০ অগস্টের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল তৈমুর। কিন্তু গোটা অগস্ট মাসকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুমাস হিসাবে স্মরণ করে থাকে বাংলাদেশ। অগস্ট মাসকে বাংলাদেশ সরকার ‘শোকের মাস’ বলেও অভিহিত করে থাকে। এই কারণ দেখিয়েই পাকিস্তানি রণতরীকে আশ্রয় দিতে চায়নি বাংলাদেশের হাসিনা প্রশাসন।

    আরও পড়ুন: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?

    চিনা যুদ্ধজাহাজ প্রবেশে হাসিনা সরকারের অনুমতি না দেওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে নয়াদিল্লি সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কেই তুলে ধরা হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বেশ ভালো। চিনা যুদ্ধজাহাজকে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রবেশের অনুমতি দিলে, সেক্ষেত্রে দু‘দেশের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে আশঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর হত্যার পিছনে পাক মদতের রয়েছে অভিযোগ। ২০০৪ সালে আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার ছক কষেছিল কট্টরপন্থী ইসলামিক শক্তিগুলো। সেই কারণেই, পাক নৌবাহিনীতে যোগ দিতে চলা চিনা যু্দ্ধজাহাজকে বাংলাদেশ বন্দরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

  • Amit Shah on CAA: সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    Amit Shah on CAA: সিএএ কবে থেকে লাগু হবে জানেন? কী বললেন অমিত শাহ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএএ (CAA) কবে লাগু হবে? প্রশ্ন গোটা দেশেই। এবার তার উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার তিনি জানান, দেশে কোভিড-১৯ (Covid-19) টিকাকরণ (Vaccination) শেষ হলেই লাগু হবে নাগরিকত্ব আইন। পাকিস্তান (Pakistan), বাংলাদেশ (Bangladesh) ও আফগানিস্তানের (Afghanistan) নিপীড়িত অ-মুসলিম সংখ্যালঘু বাসিন্দা যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দিতেই ওই আইন লাগু হবে।

    এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পার্লামেন্ট হাউসে তিনি শাহের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তাঁকে এই আশ্বাস দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। বঙ্গ বিজেপির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি গিয়েছেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার দেখা করেন শাহের সঙ্গে। তখনই সিএএ নিয়ে এই আশ্বাস পান।

    আরও পড়ুন :২০২৪-এ প্রধানমন্ত্রী মোদি-ই! জানুন কী বললেন অমিত শাহ

    করোনার কারণে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। নিখরচায় দেশবাসীকে টিকা দিয়েছে মোদি সরকার। প্রথম দুটি ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। বাকি ছিল বুস্টার ডোজ। করোনার ভ্রুকুটি দেখা দিতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বুস্টার ডোজ প্রদানও। এটিও মিলছে মুফতে। এই বুস্টার ডোজ প্রদান শেষ হলেই সিএএ লাগু হবে।

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর শুভেন্দু জানান, করোনার টিকাকরণ চলছে। এই কাজ শেষ হলেই শুরু হবে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সিএএ লাগুর কাজ। তিনি জানান, টিকাকরণ শুরু হয়েছে এপ্রিলে। শেষ হতে মাস নয়েক লাগবে। সিএএ লাগু করতে সরকার যে পিছপা হবে না, তা নিউ জলপাইগুড়ির একটি অনুষ্ঠানে চলতি বছরের মে মাসেই জানিয়ে দিয়েছিলেন শাহ। সেদিনও তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা টিকাকরণ শেষ হলেই সিএএ লাগুর দিকে পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির হারের পর এটাই ছিল শাহের প্রথম বাংলা সফর।

    সিএএর মূল লক্ষ্যই হল পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে নিপীড়িত সংখ্যালঘু হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্শি এবং খ্রিস্টান যাঁরা এদেশে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিত্ব দেওয়া। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাশ হয়েছে সিএএ। যার জেরে দেশজুড়ে হয়েছে বিক্ষোভও। তার পরেও সরকার যে সিএএ লাগু করতে চায়, এদিন শাহের কথায় ফের মিলল তার প্রমাণ।

    আরও পড়ুন : “তৃণমূলের ১০০ জনের নাম তুলে দিয়েছি…”, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর শুভেন্দু

     

  • Partition Painful: দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    Partition Painful: দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশভাগ খুব বেদনাদায়ক। পূর্ব এবং পশ্চিম জার্মানির ( East Germany and West Germany) মতোই যদি আবার বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) সঙ্গে ভারত (India) এক হয়ে যায়, তাহলে স্বপ্নপূরণ হবে।  এমনই মন্তব্য করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী (Haryana Chief Minister) মনোহরলাল খট্টর (Manohar Lal Khattar)। ঐক্যবদ্ধ ভারত এক স্বপ্ন বলে জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: আগামী ৭৮ বছরে জনসংখ্যা হ্রাস পাবে ৪১ কোটি ! জানুন কী বলছে সমীক্ষা

    সোমবার গুরুগাঁওয়ে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ভারতের একতার কথা বলতে গিয়ে খট্টর টেনে আনেন দেশভাগের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘‘যখন পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানি এক হতে পারে, তখন পাকিস্তান ও বাংলাদেশও ভারতের সঙ্গে জুড়ে এক হতে পারে। খুব বেশি দিন আগে তো নয়। এই তো ১৯৯১ সালে বার্লিন প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তেমনি ভারতও আবার অখণ্ড হতে পারে।’’ তাঁর সংযোজন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় ‘দেশভাগ খুব যন্ত্রণার।’ এর মাধ্যমেই ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করা হয়। এর পর দেশে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে খট্টর বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের ‘সংখ্যালঘু’ তকমা দেওয়ার কারণ ছিল। যাতে তাঁরা ভয়ে এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে না থাকেন, তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’’

    আরও পড়ুন: ‘ভারতে গরীব শুধু স্বপ্ন দেখে না, পূরণও হয়

    বিজেপি নেতার দাবি, মোদি (Modi) সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘‘ভারত সব সময় চায়, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক।’’ কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বরাবর সঙ্ঘের নামে মিথ্যা ভয় দেখিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু মানুষ এখন সত্যিটা বুঝতে পারছে। কংগ্রেসের আদর্শ ধরা পড়ে গিয়েছে। চিরকাল সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভোটের রাজনীতি করেছে কংগ্রেস দাবি মনোহর লাল খট্টরের। সেখানে বিজেপির লক্ষ্য় ”সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস।” 

  • Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    Draupadi Murmu: রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীর জয়ের আনন্দে মাতল বাংলাদেশও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েছেন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসবে মেতেছেন উত্তর ও দক্ষিণের আদিবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলির মানুষ। গঙ্গার এপারে যেমন চলছে উৎসব, তেমনি উৎসব হয়েছে পদ্মার ওপারেও। এদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদের সামনে ধামসা মাদল নিয়ে নাচে গানে মেতে ওঠেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ।

    সোমবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে দ্রৌপদীকে শপথবাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (NV Ramana)। শপথ নেওয়ার আগে রাজঘাটে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান দ্রৌপদী। বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। পরে কোবিন্দের সঙ্গেই সংসদ ভবনে পৌঁছান দ্রৌপদী। তার পরেই নেন শপথ।

    আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর

    পঞ্চদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএর প্রার্থী ছিলেন বিজেপির দ্রৌপদী। বিজেপি বিরোধী সতেরটি দলের সম্মিলিত প্রার্থী ছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট যশবন্ত সিনহা। যশবন্তকে বিপুল ভোটে পরাস্ত করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হলেন ময়ূরভঞ্জের প্রত্যন্ত এক গ্রামের দ্রৌপদী। দ্রৌপদী রাইসিনা হিলসে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হল আরও একটি ইতিহাস। তিনিই ভারতের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের মহিলা, যিনি হলেন দেশের এক নম্বর নাগরিক।

    আরও পড়ুন : ইতিহাস রচনা করল ভারত! দ্রৌপদী হবেন ‘মহান রাষ্ট্রপতি’, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

    এদিন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিঞা অ্যাভেনিউতে জড়ো হন আদিবাসী ও জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রচুর মানুষ। জয়েনশাহি আদিবাসী ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল, ঢাকা ওয়াংলা সেলিব্রেশন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি জনজাতি সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন এদিনের উৎসবে।  বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ড্রং বলেন, জনজাতি সম্প্রদায়ের কোনও মহিলার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করা ভারতের পক্ষে ভালো খবর। কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের পক্ষেও এটি একটি সুখবর। এটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পক্ষেও গর্বের বিষয়। দ্রৌপদীকে সে দেশে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকেও অনুরোধ করেন তিনি।

    এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক মেসবাহ কামাল। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষের জন্য এটি একটি আনন্দের দিন। এটি নিঃসন্দেহে সমাজের দুর্বল শ্রেণির মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের আইন প্রণেতা ও পরিচালকদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে ভূমিকা পালন করবে।

     

  • Bangladesh Load Shedding: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    Bangladesh Load Shedding: চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থের অভাবে সঠিক মতো উৎপাদন করা যাচ্ছে না বিদ্যুৎ। ফলে দেশে চরম আকার নিয়েছে ঘাটতি। মোকাবিলা করতে এবার নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এতেই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন, পদ্মা সেতু তৈরি করতে গিয়ে কি দেউলিয়ার পথে হাসিনা প্রশাসন!

    কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর (Padma Setu) উদ্বোধনে উদ্বেলিত হয়েছিল দু’পার বাংলার বাসিন্দারা। বাংলাদেশ তো বটেই, এপারেও কিছু মানুষজনও পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পালন করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে অজস্র পোস্ট। এমন নয় যে পদ্মা সেতু ভারত-সংযোগকারী কোনও সেতু, বা এটি পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কোনও স্থাপত্যের নিদর্শন। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের পদ্মা সেতু নিয়ে মাতামাতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    মুক্তিযুদ্ধের (Mukti Juddho) গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে সেতু নির্মাণকে তুলনা করতে দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশে। কোনও বিদেশি সাহায্য ছাড়াই নিজের দমে তারা এই সেতু বানিয়েছে বলেও বার বার দাবি করেছে বাংলাদেশ। যদিও, এত বিপুল অর্থ বরাদ্দ কোথা থেকে হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার খানিকটা উত্তর পাওয়া গেল সোমবার। দেখা যাচ্ছে, বিগ বাজেট সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে কার্যত ভাঁড়ার শূন্য হয়েছে বাংলাদেশের। ফলে, চরম বিদ্যুৎ সংকটে ডুবেছে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ। বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ কমাতে দেশে নিয়মিত এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের (Power Cut) ঘোষণা করল শেখ হাসিনার সরকার।

    সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, লোডশেডিং (Load Shedding) হতে পারে দিনে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত। আর এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রল পাম্প। খরচ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। বিষয়টি জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী। 

    তৌফিক ই এলাহি চৌধুরী বলেন, “খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আজ থেকে সাময়িক বন্ধ থাকবে। এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্বের পরিস্থিতির  উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসা হবে।”

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশে! ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক      

    তিনি আরও বলেন, “পৃথিবীতে একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে। ইউক্রেনে যে যুদ্ধ চলছে, তা ইউক্রেনের একার নয়। ওই যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে আমাদের ওপর।” তিনি আরও বলেন, “যাদের অর্থের অভাব নেই, তারাও কিন্তু লোডশেডিং করছে। যুক্তরাজ্যে হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে। ডিজেলের বিদ্যুৎ উৎপাদন আপাতত স্থগিত করলাম, তাতে খরচ অনেকটা কমবে। ডিজেলের দাম আকাশচুম্বী হয়ে গেছে।” 

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পিটিয়ে খুন হিন্দু শিক্ষককে, জুতোর মালা অন্যকে         

    তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বলেন, “আমাদের ধারণা, এক থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি হবে। এতে দিনে এক থেকে দেড় ঘণ্টা এবং কোনও কোনও জায়গায় দু’ঘণ্টাও লোডশেডিং হতে পারে। কিন্তু  দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং পৃথিবীর এই খারাপ সময়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”  

    বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “কোন এলাকায় বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে, তা আগে থেকে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে। আমরা সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি শিল্পক্ষেত্রকে।” তিনি আরও বলেন, আগামী এক সপ্তাহে এক থেকে দু’ঘণ্টা লোডশেডিং করা হবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    প্রতিমন্ত্রী এদিন বলেন, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সারা দেশে এক দিন পেট্রল পাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে বন্ধ রাখা হবে, সেটা পরে জানানো হবে।বন্দর এলাকায় সপ্তাহে দু’দিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান নসরুল হামিদ। এমনকি সরকারি অফিসগুলোয় কীভাবে সময় কমিয়ে আনা যায়, সেকথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

    পদ্মা সেতু যে বাংলাদেশকে কপর্দকশূন্য করে ছেড়েছে তা এক প্রকার স্পষ্ট। সেতু উদ্বোধনের খুশির রেশ কাটতে না কাটতেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিপুল টোল চাপিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসন।এবার সেখানে ঝুপ করে নেমে এল নিকষ কালো অন্ধকার। পদ্মা সেতু আলোকিত রাখতে গিয়ে এখন সাময়িকভাবে অন্ধকারে থাকতে হবে সেদেশের বাসিন্দাদের।
     

LinkedIn
Share