Tag: Bengal

Bengal

  • Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    Bengal Violence: ‘অযৌক্তিক মন্তব্য না করে নিজেদের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করুক বাংলাদেশ’, সাফ জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসার আগুনে পুড়েছে মুর্শিদাবাদের (Bengal Violence) বহু হিন্দুর ঘর। ওই হিংসায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের গাড়ি। হিংসা কবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এহেন আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতকে বার্তা দিয়ে বলেন, “মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে রক্ষা করুন, যেখানে তিনজন নিহত ও শত শত জখম হয়েছেন।”

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান (Bengal Violence)

    বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশ যেন অযৌক্তিক মন্তব্য করার পরিবর্তে তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে। এও বলা হয়, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি পক্ষের মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার জন্য এটি একটি খারাপ প্রচেষ্টা। সেখানে এই ধরনের অপরাধের অপরাধীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “অনর্থক মন্তব্য করা ও বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এমন অবস্থান প্রকাশ না করে বাংলাদেশের উচিত নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দেওয়া।” তিনি বলেন, “ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্য খোঁজার এটা একটা অসৎ ও প্রচ্ছন্ন চেষ্টা।”

    হিন্দু নির্যাতন

    প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। বস্তুত, পড়শি দেশের শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ। যে যজ্ঞে বলি হন শয়ে শয়ে হিন্দু। ভাঙচুর করা হয় হিন্দু মন্দির, বিগ্রহ। গ্রেফতার করা হয় একের পর এক হিন্দু নেতাদের (Bengal Violence)। মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকেও।

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ২,৪০০টি অত্যাচারের ঘঠনা ঘটেছে এবং ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২টিতে (Bengal Violence)।

  • Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    Murshidabad Violence: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে,” মুর্শিদাবাদ হিংসায় বললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই (মুর্শিদাবাদের) পরিস্থিতি (Murshidabad Violence) এমন হয়েছে।” শনিবার সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সংশোধিত ওয়াকফ আইন নিয়ে মুর্শিদাবাদে ঘটে চলা হিংসার প্রেক্ষিতে সুকান্তর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য রাজ্যকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “যদি তিনি (মুখ্যমন্ত্রী) ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে রাজ্যে আরও একটা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংসের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।”

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড়! (Murshidabad Violence)

    সুকান্ত বলেন, “পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ রায় দিয়েছে, এবং আমরা তাকে স্বাগত জানাই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অযোগ্যতার কারণেই পরিস্থিতি এমন হয়েছে। হাইকোর্টের আজকের রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালে এক বিরাট থাপ্পড় – যে তিনি রাজ্য শাসনের জন্য প্রস্তুত নন। তিনি এই রাজ্য শাসনের অযোগ্য।”

    মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড়!

    সাম্প্রদায়িক হিংসার সময় রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুকান্তর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। তিনি (Murshidabad Violence) বলেন, “পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ মুসলমানদের জন্য খোলা ছাড় দিচ্ছে। এই সময়ে তারা লুটপাট করতে পারে, মহিলাদের সঙ্গে অসদাচরণ করতে পারে, হিন্দুদের বাড়িঘর ভাঙচুর করতে পারে এবং ইচ্ছেমতো সব করতে পারে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে থাকে। পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল, গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটব্যাংক রাজনীতির জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গকে জিহাদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে কলকাতা হত্যাকাণ্ডের মতো আরও একটি ঘটনা ঘটবে।”

    প্রসঙ্গত, শনিবারই পশ্চিমবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার আইজি কর্নি সিং শেখাওয়াত জানিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশের অপারেশনে সাহায্য করতে তারা পাঁচ কোম্পানি সেনা (BJP) মোতায়েন করেছে। তিনি বলেন, “বিএসএফ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে আরও বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতি রয়েছে।” গত ৮ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Murshidabad Violence)।

  • Bengal Global Business Summit: ‘প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা’, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে তোপ সুকান্তর

    Bengal Global Business Summit: ‘প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা’, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট (Bengal Global Business Summit) রাজ্যের জনগণের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতারণা, প্রহসন এবং প্রদর্শনীর মেলা। বুধবার এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর কথায়, রাজ্যের অবনতিশীল, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিবেশ ঢেকে রাখতেই উদ্যোগ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

    সুকান্তর তোপ (Bengal Global Business Summit)

    এক্স হ্যান্ডেলে সুকান্ত লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ জনগণকে প্রতারণার পুরানো কৌশল এবং ঐতিহ্য বজায় রেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার একটি প্রহসনের আয়োজন করেছেন – বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট – যার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বাংলার জনগণকে বিভ্রান্ত করা।’ তিনি লিখেছেন, ‘২০১৫ সালে শুরু হওয়ার পর থেকে তথাকথিত এই সম্মেলন শুধুমাত্র একটি জাঁকজমকপূর্ণ প্রদর্শনী মেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার মাধ্যমে তৃণমূলের রাজত্বে বাংলার অবনতিশীল, অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক পরিবেশকে ঢেকে রাখার পূর্ণ অপচেষ্টা চরিতার্থ করা হয়েছে।’

    কী বললেন সুকান্ত

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির দাবি, ২০১৫ সালে প্রথম বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে রাজ্যে শিল্প ধ্বংসের পথে এগিয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়েছে। পরিসংখ্যান দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, ‘২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ২১ হাজার ৫২১টি শিল্প ইউনিট বন্ধ হয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গ পরিবেশ দফতরের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট। এই বিশাল সংখ্যক কারখানা বন্ধ হওয়ার ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মহীন হয়েছে।’ তিনি লিখেছেন, ‘একাধিক নামজাদা কোম্পানি বাংলা থেকে শিল্প গুটিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটানিয়ার মতো বড় প্রতিষ্ঠান-সহ ২ হাজার ২২৭টি নিবন্ধিত সংস্থা, যা উৎপাদন অর্থনীতি, কমিশন এজেন্সি ও বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছে। অর্থনৈতিক অবদান হ্রাস পেয়েছে।’ স্ট্যাটিস্টিক্স ও প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৬০-৬১ অর্থবর্ষে পশ্চিমবঙ্গ ভারতের জিডিপিতে ১০.৫ শতাংশ অবদান রেখেছিল এবং তৃতীয় স্থানে ছিল। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে এই হার নেমে এসেছে মাত্র ৫.৬ শতাংশে (Sukanta Majumdar)।

    পশ্চিমবঙ্গের পতন!

    বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, বিনিয়োগকারীদের নজরে ক্রমাগত পতন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের (Bengal Global Business Summit)। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৭০ এর দশকে মুম্বইয়ের পরেই পশ্চিমবঙ্গ কোম্পানির সদর দফতরের জন্য কোম্পানিগুলির জন্য দ্বিতীয় পছন্দের জায়গা ছিল। কিন্তু ২০২১ সালের মধ্যে বাংলার অবস্থান নেমে আসে অষ্টম স্থানে, যেখানে মুম্বই তার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। সুকান্ত লিখেছেন, ‘বিনিয়োগকারীদের ওপর অত্যাচার হয়েছে রাজ্যে। কারণ হল শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা লাগাতার জুলুমবাজি ও হেনস্থার মুখে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে এসে ঠেকেছে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল, আইএফবি এগ্রোর নূরপুর কারখানায় সশস্ত্র হামলা ও তারপর কোম্পানিকে জোর করে ৪০ কোটি নির্বাচনী বন্ড প্রদানের জন্য বাধ্য করা – যা স্পষ্টভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে দুষ্কৃতীরাজের সব চেয়ে বড় উদাহরণ।’ বঙ্গ বিজেপির এই নেতার দাবি, এই তথ্যগুলিই প্রমাণ করে যে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট আসলে জনগণের করের টাকায় পরিচালিত একটি প্রতারণার উৎসব মাত্র। এটি মূলত একটি ধোঁয়াশা সৃষ্টি করার কৌশল, যার মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিথ্যাচারের সরকার জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের আড়ালে বাংলার মানুষকে প্রতিনিয়ত প্রতারিত করে চলেছে।

    আক্রমণ শানালেন শুভেন্দুও

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, “একটা কোম্পানিকে কিছু টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর একটা বাৎসরিক উৎসব হয়। এখনও পর্যন্ত যে কটা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয়েছে, তাতে ১৪ থেকে ১৫ লাখ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। কিন্তু ১৪-১৫ টাকাও বিনিয়োগ হয়েছে দেখতে পাচ্ছেন কোথাও। উল্টো দিকে ২০২১ সালের পরে ডাবরের কারখানা পালিয়েছে। কেশরাম রেয়ন বন্ধ হয়েছে। নৈহাটি, ভদ্রেশ্বর জুটমিল, ডানকুনির বিস্কুট তৈরির কারখানা সব বন্ধ হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন ঘনিষ্ঠ লোক রয়েছে। তাকে এই সম্মেলন আয়োজনের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়। টেন্ডার ছাড়াই বরাদ্দ হয় ৫০ কোটি টাকা। এই টাকা ঝাড়ার জন্য এটা করা হয়েছে।”

    তৃণমূল জমানায় রাজ্যের শিল্পের অবস্থা ক্রমশ খারাপ (Bengal Global Business Summit) হয়েছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এজন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি নীতি। তৃণমূল সরকারের সেজ (SEZ) বিরোধী ও জমি অধিগ্রহণ বিরোধী নীতির ফলে বড় শিল্পপতিরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিমুখ হচ্ছেন। সেই (Sukanta Majumdar) কারণেই দিন দিন ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের যুবকরা (Bengal Global Business Summit)।

    রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সারা দেশে বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৯ লাখ কোটি টাকারও বেশি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগ ১২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ সারা দেশে বিনিয়োগের শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।”

  • Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

    Saline Incident: স্যালাইনের দোসর অক্সিটোসিন! রাজ্যে প্রসূতি মৃত্যু ঘটাচ্ছে ব্যাপক হারে, কেন চুপ সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু স্য়ালাইন (Saline Incident) নয়, দোসর অক্সিটোসিনও। রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির অবস্থা যে কতটা শোচনীয় তা ফের একবার প্রমাণ করেছে মেদিনীপুরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা। এই ছবি, রাজ্যের আরও বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজেরও বলে দাবি চিকিৎসকদের একাংশের। বিষাক্ত স্যালাইনে তিন প্রসূতির অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। সংক্রমণের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধছে না। ঠিক মতো কাজ করছে না ফুসফুস-কিডনিও। এসএসকেএম হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রয়েছেন নাসরিন খাতুন ও মাম্পি সিং। প্রসূতিদের এই পরিস্থিতির জন্য এবার দায়ী করা হল অক্সিটোসিনকে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ভবনে সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্ট জমা পড়েছে। 

    অক্সিটোসিন কী?

    প্রসবের সময় তীব্র রক্তক্ষরণ হয়। সেই রক্তক্ষরণে বন্ধ করে অক্সিটোসিন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে অনেক প্রসূতির মৃত্যু পর্যন্ত হয়। সেই মৃত্যু রোধ করতেই দেওয়া হয়ে থাকে অক্সিটোসিন।

    কীভাবে দায়ী অক্সিটোসিন

    স্বাস্থ্য ভবনের তৈরি করে দেওয়া তদন্ত বোর্ডের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হচ্ছিল রিঙ্গার্স ল্যাকটেট স্যালাইনের কারণে মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। বাকি তিনজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক সেই কারণেই। কিন্তু ফাইনাল রিপোর্ট জমা পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়াল। শুধু বিষাক্ত স্যালাইন নয় দোসর অক্সিটোসিনও। এই অক্সিটোসিনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেই প্রসূতিদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, ওই সাড়ে পাঁচ পাতার রিপোর্টে এও নাকি বলা হচ্ছে যে, কোনও প্রোটোকল না মেনেই পাঁচ রোগীকে অক্সিটোসিনের হাই ডোজ দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত ১০ ইউনিটের বদলে সবাইকে ১৫ থেকে ২৫ ইউনিট অক্সিটোসিন দেওয়া হয়। যার কারণে হু হু করে রোগীদের রক্তচাপ কমে যায়।

    চিকিৎসকদের দাবি

    স্যালাইনের গুণগত মান (Saline Incident) নিয়ে ইতিমধ্যেই সারা রাজ্য উত্তাল। এর মধ্যেই চিকিৎসকমহলে প্রশ্ন উঠেছে অক্সিটোসিন নিয়েও। অক্সিটোসিনের গুণগত মানের জেরে সুস্থ মায়েরও মৃত্যু হয় বলে দাবি সরকারি হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের। তাদের দাবি, অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজে সাপ্লাই করা অক্সিটোসিনের গুণমান যথেষ্ট খারাপ। এতটাই যে, কিছু হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের বাইরে থেকে অক্সিটোসিন কিনে আনতে বলা হয়। ঘটনাটি বেশ কয়েক মাস আগে স্বাস্থ্যসচিবের নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন কিছু চিকিৎসক। বৈঠকের জন্য সময় চাওয়া হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যসচিব সময় দিতে পারেননি।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যসচিব?

    স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, এই ধরনের মৃত্যু তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করা হয়। কিন্তু কোন ডাক্তাররা কবে কথা বলতে চেয়েছেন, তা তাঁর পক্ষে মনে রাখা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য অধিকর্তা বা স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারতেন বলেও জানান স্বাস্থ্যসচিব।

    স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি

    সংক্রমিত স্যালাইন (Saline Incident) ব্যবহারের জেরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় গোটা রাজ্য। স্বাস্থ্য ভবনের তরফে জানানো হয়েছে আগে থেকেই ওই সংস্থার একাধিক পণ্য ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতির মৃত্যুর পরও একাধিক হাসপাতালে নিষিদ্ধ সংস্থার স্যালাইন ব্যবহারের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল নামে ওই সংস্থার স্যালাইন ব্যবহার করে নভেম্বর মাসে কর্নাটকে কয়েকজন প্রসূতির মৃত্যু হয়েছিল। এর পর ওই সংস্থার কারখানা পরিদর্শন করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এর পর ওই সংস্থার ১৪টি পণ্য তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। সঙ্গে রাজ্যের হাসপাতালগুলি যাতে ওই সংস্থাকে কোনও পণ্যের বরাত দিতে না পারে সেজন্য সরকারি পোর্টালে পণ্যগুলিকে কালো তালিকাভুক্ত হয়েছিল। তাও সেই সংস্থার স্যালাইনেই এবার প্রসূতি মৃত্যু হল রাজ্যে। স্বাস্থ্য দফতরের এই গাফিলতি কেন প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই?

    আরও পড়ুন: বন্দিদের মধ্যে মোবাইলের রমরমা! কেন্দ্রের পরামর্শে রাজ্যের জেলগুলিতে বসছে ৫জি জ্যামার

    প্রসূতি মৃত্যুর পরিসংখ্যান

    সুস্থ সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন সুস্থ মা। কিন্তু এর পরেই একাধিক অঙ্গ বিকল। যার জেরে কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু (Saline Incident)। চমকে ওঠার মতো মৃত্যুর পরিসংখ্য়ান। দৃশ্যটি শুধু যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের তা নয়। অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, ১৮ বছর বয়সের কমবয়সি প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রসূতিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১২ শতাংশ। গত কয়েক মাসে শহর এবং প্রত্যেক জেলার কোনও না কোনও মেডিক্যাল কলেজ বা জেলা সদর হাসপাতালে সিজারের পরে অনেক প্রসূতির অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ছে এবং মৃত্যুও ঘটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Militant: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল! জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান গোয়েন্দারা

    Militant: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল! জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান গোয়েন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের জাল বিস্তৃত করেছে জঙ্গিরা! সেই জালের মধ্যে থাকা একের পর এক জঙ্গিকে (Militant) গ্রেফতার করতে শুরু করেছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, জেল থেকে জঙ্গিদের একাংশ আনসারুল্লা বাংলা টিমের নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করে এখনও। বিষয়টির গভীরে যেতে জেলবন্দি জঙ্গিদের নতুন করে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। তাদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করে ফেলেছেন গোয়েন্দারা। এই জঙ্গিদের জেরা করতে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তদ্বির করতে শুরু করেছেন।

    বাংলায় নাশকতার ছক!(Militant)

    সূত্রের খবর, রাজ্যের নানা জেলে জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) প্রায় ৪০ জন বন্দি আছে। তাদের মধ্যে আছে খাগড়াগড় এবং বিহারের বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্তরাও। এদের পাঁচজন বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলায় (Militant) এরা নাশকতা করতেই জড়ো হয়েছিল। ত্রিপুরা, অসম, বিহার থেকে এখানে এসে নাশকতা করার ছক কষেছিল জঙ্গিরা। ক্যানিং থেকেও ধরা পড়েছে জঙ্গি। তাকে জেরা করা হয়েছে। সেখান থেকে নানা তথ্য হাতে এসেছে। আবার সুন্দরবনের উপকূল এলাকায় লস্কর-ই- তৈবার জঙ্গিরা ঘাঁটি গেড়েছে বলে গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছেন।

    জেলবন্দি বাংলাদেশি জঙ্গিদের জেরা

    গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতেই এবিটি’র প্রধান জসিমুদ্দিন রহমানির নির্দেশে সক্রিয় হয় জঙ্গিরা। তাদের বাকি পরিকল্পনা জানতেই এবার জেলবন্দি বাংলাদেশি জঙ্গিদের (Militant) জেরা করতে চাইছেন গোয়েন্দারা। বাংলার জেলে এখন বন্দি আছে খাগড়াগড় ও বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণে অভিযুক্ত বাংলাদেশ নাগরিক রহমতুল্লা ওরফে সাজিদ, জাহিদুল ওরফে কওসর, তারিকুল ওরফে সুমন, লিয়াকত ওরফে রফিক। এদের মধ্যে তারিকুল এখন বহরমপুর জেলে বন্দি। আর তারিকুলের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া এবিটি’র জঙ্গি মিনারুল শেখ ও আব্বাস আলির যোগ রয়েছে। সেই প্রমাণ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তাই গোয়েন্দারা তারিকুলকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে চান। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত ১২ জন এখন সাজা শেষ করে বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। তারা আবার নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিনা সেটার খোঁজও শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।

    গোপনে বাংলায় সংগঠন এবিটি-র!

    গোয়েন্দাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খাগড়াগড় কাণ্ডের পরেও বাংলায় জঙ্গি (Militant) নেটওয়ার্ক নির্মূল হয়নি। ২০২২ সালে অসম এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে এবিটি’র কয়েকজন জঙ্গি গ্রেফতার হতেই জানা যায়, গোপনে বাংলায় সংগঠন তৈরি করেছে আল-কায়দার উপমহাদেশীয় শাখা এবিটি। এবার অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া নূর ইসলাম মণ্ডলকে জেরা করে উঠে এসেছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের আগে বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছিল সে। ২০২৪ সালে বাংলার নানা জায়গায় ঘুরেছিল নূর। আব্বাস এবং মিনারুলের সঙ্গে বৈঠকও করেছিল নূর। গোয়েন্দারা এবার সব বিষয়টা খুঁজে বের করতেই এখন জেলে গিয়ে জঙ্গিদের জেরা করতে চান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santosh Trophy 2024: ফুটবলে ফের ভারতসেরা বাংলা, ছ’বছর পর রবি হাঁসদার গোলে সন্তোষ ট্রফি জয়

    Santosh Trophy 2024: ফুটবলে ফের ভারতসেরা বাংলা, ছ’বছর পর রবি হাঁসদার গোলে সন্তোষ ট্রফি জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুটবলে ফের ভারতসেরা বাংলা। ছ’বছর পর কেরলকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি (Santosh Trophy 2024) চ্যাম্পিয়ন সঞ্জয় সেনের ছেলেরা। এই নিয়ে ৩৩ বার ট্রফি এল বাংলায়। ২০১৭-১৮ এবং ২০২১-২২ মরসুমে সন্তোষ ট্রফি ফাইনালে কেরলের কাছে হেরে গিয়েছিল বাংলা। দু’বারই টাইব্রেকারে হারতে হয় বাংলাকে (Bengal Football Team)। এ বার সেই কেরলকে হারিয়েই ট্রফি এল ঘরে।

    জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বাংলা

    ২০১৬-১৭ মরসুমের পর আবার ফুটবলে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হল (Santosh Trophy 2024) বাংলা। কোভিডের জন্য দু’বছর প্রতিযোগিতা হয়নি। সেই হিসাবে ছ’বছর পর মঙ্গলবার ফাইনালে কেরলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল বাংলা। কঠিন পরিশ্রমের ফলও আদায় করে নিল বাংলা। আম বাঙালি মেতে উঠেছেন বর্ষবরণের উৎসবে। বাংলার ফুটবল প্রেমীদের কাছেও এই জয় একটা উৎসব। কোনও তারকা নয়, একঝাঁক পরিশ্রমী ফুটবলারকে বেছে নিয়েছিলেন সঞ্জয় সেন। তাঁকে নিয়ে অবশ্য বিতর্কও হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে প্লেয়ার বেছেছেন, এমন প্রশ্নও উঠেছিল। বাংলার কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর সঞ্জয় সেন এ সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর কাছে লক্ষ্যটা পরিষ্কার ছিল। ট্রফি জিততে পারলে যে সব প্রশ্নই অতীত হয়ে যাবে, ভালোভাবেই জানতেন ময়দানের অন্যতম সফল কোচ। আর সেটাই করে দেখালেন। ভরসা রাখলেন তাঁর বেছে নেওয়া ফুটবলাররাও।

    বাংলায় রবি-উদয়

    শক্তিশালী কেরলের বিরুদ্ধে ঘর সামলে আক্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করে দল নামিয়েছিলেন বাংলার কোচ। সেই মতো হায়দরাবাদের বালাযোগী স্টেডিয়ামে শুরু থেকে প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলেন চাকু মান্ডি, শেখ আবুসুফিয়ানরা। খেলা গড়ানোর সঙ্গে ধীরে ধীরে মাঝমাঠের দখল নিতে শুরু করেন তাঁরা। মাটিতে বল রেখে নিজেদের মধ্যে পাস খেলার চেষ্টা করেছেন বাংলার ফুটবলাররা। বলের নিয়ন্ত্রণ অধিকাংশ সময় নিজেদের পায়ে রাখলেও কেরলের রক্ষণ ভাঙতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে বাংলার ফুটবলারদের। প্রথমার্ধে গোলের তেমন সুযোগ পায়নি কেরলও। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথম ৪৫ মিনিটের লড়াই। ম্যাচের অ্যাডেড টাইমে বাংলার হয়ে জয়সূচক গোল করেন রবি হাঁসদা। টুর্নামেন্টে (Santosh Trophy 2024) সব মিলিয়ে একডজন গোল করলেন রবি। বাংলার ফুটবলে হল রবি-উদয়। রবি হাঁসদা ভেঙে দিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তী মহম্মদ হাবিবের রেকর্ডও। ম্যাচের সেরা, টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলারও রবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলা দিয়েই সারা ভারতে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা (Rohingyas)।” রবিবার ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে এমনই অভিযোগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন মুম্বইয়ের দাদরে বিজেপি অফিসে প্রবাসী বাঙালিদের সামনে বক্তব্য রাখেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানেই তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে তুলোধনা করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে।

    শুভেন্দুর অভিযোগ (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দুর অভিযোগ, কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য বিএসএফকে জমি দেয়নি রাজ্য সরকার। শুভেন্দু বলেন, “বাংলাদেশ সীমান্তের ৭২টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। জমি না পাওয়ায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার বললেও, বাংলার সরকার বিএসএফকে জমি দেয়নি। এসব সীমান্ত দিয়ে দলে দলে বাংলায় ঢুকছে রোহিঙ্গারা। তারপর ছড়িয়ে পড়ছে সারা ভারতে।”

    রোহিঙ্গারা ঢুকছে ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রেও

    তিনি বলেন, “বাংলা দিয়ে রোহিঙ্গারা ঢুকে ঝাড়খণ্ড-মহারাষ্ট্রেও ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলার ডেমোগ্রাফি চেঞ্জ করছে। এটা ঝাড়খণ্ডে হচ্ছে, মহারাষ্ট্রেও চেষ্টা চলছে।” শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এরা আপনাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে রেশন, জমি, কাজ সব নিয়ে নিচ্ছে।” বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে, তাও জানান শুভেন্দু। তিনি বলেন, “বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করা হবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “বাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার তৈরি করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ভারতকে সুরক্ষিত করব, বাংলাকে সুরক্ষিত করব।”

    আরও পড়ুন: শীতের পরেই জম্মু-কাশ্মীরে পঞ্চায়েত নির্বাচন, ইঙ্গিত উপরাজ্যপালের কথায়

    শুভেন্দুর মতে, মহারাষ্ট্রের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রবাসী বাঙালিদের কাছে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। বাংলার বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডি জোটের কংগ্রেস মাত্র ৯৯টি আসন পেয়েছে। ইন্ডি জোটের মোট আসন এনডিএ জোটের চেয়ে কম। তার পরেও ওরা যে ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছিল, তাতে যারা ভারতীয় সংস্কৃতিকে ভালোবাসি, সম্মান করি, আমরা যারা সনাতনী, তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম।” শুভেন্দু বলেন, “কাশ্মীরে বিজেপি সব চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে। গতবার ২৫টি পেয়েছিল, এবার (Rohingyas) পেয়েছে ২৯টি। এককভাবে বিজেপি ২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে।” তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “দেশ এগোচ্ছে বিকশিত ভারতের দিকে। মহারাষ্ট্রে অনেক আসনে বাঙালিরা নির্ণায়ক শক্তি। আপনাদের প্রতিটি ভোট দেশকে সমৃদ্ধ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! খোদ কলকাতার ঢাকুরিয়ার ঘটনা। মামলা লঘু করে দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। তার পরেই বাংলায় নারী (Women In Bengal) সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলাকে লঘু করার অপরাধে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ।

    অমিতের ট্যুইট-বাণ (Amit Malviya)

    এই প্রসঙ্গেই অমিতের ট্যুইট-বাণ। তিনি লিখেছেন, “বন্দুকের নলের সামনে দুদিন ধর্ষণের শিকার হন একজন আইএএসের স্ত্রী। এক মহিলা থানায় গেলে পুলিশ অপরাধীকে বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও লোপাট করার চেষ্টা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এভাবেই মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত।” এই বিজেপি নেতার দাবি, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং বাংলায় নারীর প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।” তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি কলকাতায় একজন প্রভাবশালী আইএএস অফিসারের স্ত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিকরা কতটা দুর্বল, তা কল্পনা করা যায়?’ অমিতের বক্তব্য, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর, বাংলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

    হাইকোর্টের পদক্ষেপ

    গত ১৫ জুলাই লেক থানা এলাকায় এক আইএএসের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ। মহিলার বয়ানের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পান অভিযুক্ত। তার আগাম জামিনও মঞ্জুর করে (Amit Malviya) আদালত। যদিও নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন ও আগাম জামিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা হস্তান্তর করা হল লালবাজারে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তিনি এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হবেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে লেক থানার ওসি, এক সাব ইনস্পেক্টর, একজন সার্জেন্ট ও তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় আদালত।

    জানা গিয়েছে, এফআইআর দায়ের করার পরেই অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিগৃহীতাকে চাপ দেওয়ার জন্যই এদের নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে তাঁর জামা-কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ বাড়িতে যায় বলে দাবি নিগৃহীতার। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি, অভিযুক্ত যে বাড়িতে ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। নিগৃহীতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি তদন্তকারী আধিকারিক। নিগৃহীতা নিজেই সরকারি হাসপাতালে যান এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট দেন তদন্তকারী আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    কী বলছে আদালত

    এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশে জানান, লেক থানার পুলিশ আধিকারিক সুজাতা বর্মণ, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় ও কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা ও তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে (Women In Bengal) বলে মনে করছে আদালত (Amit Malviya)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগপত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় বসে হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও কোনও তদন্ত হয়নি। এছাড়াও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিশ।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট, রাজ্যে (Amit Malviya) কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সন্দেশখালি কিংব অন্যত্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেই তৃণমূলের দলদাস পুলিশ কর্মীরা ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করে। কোথাও এফআইআরে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয় না, তো কোথায় আবার নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় না। কোথাও আবার শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও, তা ঘটনার পরে পরেই নয়, বেশ কয়েকদিন পরে। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এসব করা হয়। ঢাকুরিয়ার বধূর ক্ষেত্রেও কী তাই করার চেষ্টা করেছিল রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন (Amit Malviya)।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flood Situation In Bengal: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    Flood Situation In Bengal: জল ছাড়া নিয়ে ‘অসত্য’ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী, ফাঁস করে দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর অভিযোগ, রাজ্যকে না জানিয়েই বিপুল পরিমাণ জল ছেড়েছে ডিভিসি। তাই বানভাসি হয়েছে বাংলার (Flood Situation In Bengal) একাংশ। এই অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তিনি (Nabanna) দুটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ডিভিসির সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার হুমকিও দিয়েছিলেন ‘সস্তা রাজনীতি’ করতে অভ্যস্ত (নিন্দকরা বলে) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে ‘মিথ্যে’ বলেছেন, তা ফাঁস করে দিল কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক। তারা সাফ জানিয়েছে, রাজ্য ও ডিভিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটিই ঠিক করে কখন এবং কতটা জল ছাড়া হবে। তাই রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছাড়া হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যে দাবি করছেন, তা  অসত্য।

    জল ছাড়ার কথা সকলেই জানত (Flood Situation In Bengal)

    ডিভিসিরও দাবি, জল যে ছাড়া হবে, তা সকলেই জানতেন। রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের একটি মেমো থেকেও স্পষ্ট, জল ছাড়ার কথা আগে থেকেই জানত রাজ্য। ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে প্রথম চিঠি লেখেন মমতা। এর ঠিক তিনদিন আগে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর-সহ আটটি জেলাকে সতর্ক করেছিল নবান্ন। মেমোতে এও উল্লেখ করা হয়েছিল (Flood Situation In Bengal), ডিভিআরআরসি এবং সিডব্লিউসি জানিয়েছে, আবহাওয়ার কারণে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধারে জলস্তর বাড়ছে দ্রুত।

    আরও পড়ুন: “ট্রেনে অন্তর্ঘাত দূর করতে রেলওয়ে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে”, বললেন বৈষ্ণব

    মেমোতেও উল্লেখ করা হয়েছে 

    এই পরিস্থিতিতে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ডিভিআরআরসি আড়াই লাখ কিউসেক জল ছাড়বে। তার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে যা মোকাবিলার যাবতীয় ব্যবস্থাও নিয়ে রাখতে বলা হয় ওই মেমোতে। প্লাবিত হতে পারে এমন এলাকার মানুষকে প্রয়োজনে যেন নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়, তাও বলা হয়েছিল মেমোতে। মেমোতে আরও বলা হয়েছিল, কংসাবতী বাঁধ থেকেও জল ছাড়া হতে পারে। তেমন হলে পূর্ব মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে। কংসাবতী বাঁধের সঙ্গে ডিভিসিও জল ছাড়ায় হলদি ও রূপনারায়ণের জলস্তর বাড়বে। ডিভিসির এক কর্তা বলেন, “প্রয়োজন হলে জল ছাড়তেই হয়। সেটা কমিটিই ঠিক করে।” বিজেপির রাজ্য সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আরজি করকাণ্ডের বিরুদ্ধে (Nabanna) আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই (মুখ্যমন্ত্রীর) এই অপচেষ্টা (Flood Situation In Bengal)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • By Election : হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ২টি আসন পেল বিজেপি, বাংলায় চারটি আসনে জয়ী তৃণমূল

    By Election : হিমাচল প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ২টি আসন পেল বিজেপি, বাংলায় চারটি আসনে জয়ী তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাতটি রাজ্যের ১৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রে উনির্বাচনের (By Poll Election) ফল ঘোষণা হল শনিবার। বাংলায় রায়গঞ্জ মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, চার কেন্দ্রেই জয় পেয়েছে শাসকদল তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস জোট সেই শূন্যেই। দেশের নিরিখে পাঞ্জাবের জলন্ধরে জয়ী আপ। হিমাচলের দুটি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস শিবির। বিজেপি জিতেছে মধ্যপ্রদেশ ও হিমাচলের আর একটি আসনে।

    বাংলায় উপনির্বাচনের ফল(By Poll Election)

    রায়গঞ্জে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন বিজেপি-র মানস কুমার ঘোষ। তিনি ৩৬ হাজার ৪০২ ভোট পেয়েছেন। কংগ্রেসের মোহিত সেনগুপ্তর প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ১১৬। কৃষ্ণকল্যাণী ৮৬ হাজার ৪৭৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। রানাঘাট দক্ষিণে মুকুমণি ১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৩৩ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি-র মনোজ বিশ্বাস পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৪৮৫ ভোট। সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম বিশ্বাস ১৩ হাজার ৮২ ভোট পেয়েছেন। বাগদায় মধুপর্ণা ১ লক্ষ ৭ হাজার ৭০৬ ভোট পেয়েছেন। বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাস ৭৪ হাজার ২৫১ ভোট পেয়েছেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের গৌর বিশ্বাস ৮ হাজার ১৮৯ ভোট পেয়েছেন উপনির্বাচনে। মানিকতলায় ৬২ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন সুপ্তি। বিজেপি-র কল্যাণ চৌবে ১৫ হাজার ১৭৯ এবং সিপিএম-এর রাজীব মুজমদার ৭ হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন।

    আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকাই প্রথম নয়! আর যারা রাজকীয় বিয়ের আসর বসিয়েছিলেন

    বিজেপি জয়ী মধ্যপ্রদেশে (By Poll Election)

    হিমাচল প্রদেশে দুটি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। উত্তরাখণ্ডের দুটি আসনে জয়ী (By Poll Election) তারা। পাশাপাশি পাঞ্জাবে আপ একটি আসনে এবং তামিলনাড়ুর একটি আসনে জিতেছে ডিএমকে। হিমাচল প্রদেশের হারিমপুরে জয় পেয়েছে বিজেপি। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ এবং মঙ্গলৌর থেকে জয়লাভ করেছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের আমারওয়ারা কেন্দ্রে জয়লাভ করেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share