Tag: Bengali news

Bengali news

  • ED: জ্যোতিপ্রিয়র পর হাওড়ায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠর বাড়িতেও হানা ইডির, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ED: জ্যোতিপ্রিয়র পর হাওড়ায় মন্ত্রী ঘনিষ্ঠর বাড়িতেও হানা ইডির, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই রেশন বন্টন দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বাকিবুর রহমানের বাড়িতে ইডি (ED) তল্লাশি চালায়। পরে, তথ্য প্রমাণ হাতে পেয়ে ইডি তাকে গ্রেফতার করে। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই দুর্নীতির সূত্র ধরেই ইডি ফের বৃহস্পতিবার সাত সকালেই বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় হানা দেয়। তারমধ্যে কেন্দ্রীয় সংস্থার অন্য একটি দল পৌঁছে গেল হাওড়ায়।

    হাওড়়ায় কেন হানা দিলেন ইডি আধিকারিকরা? (ED)

    বৃহস্পতিবার হাওড়ার ব্যাঁটরা থানার কদমতলার ভগবান চ্যাটার্জি লেনের একটি বাড়িতে হানা দেন ইডির (ED) ছয় আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। স্থানীয়দের দাবি, যে বাড়িতে ইডি আধিকারিকেরা ঢুকেছেন, সেটি অভিজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের সম্পর্ক রয়েছে। এদিন সাত সকালেই রেশন বণ্টন দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর আপ্তসহায়কের বাড়িতে হানা দেয় ইডি, ঘটনাচক্রে, সে দিনই হাওড়ায় অভিজিতের বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছে ইডি। সেই সূত্রেই স্থানীয়দের অনুমান, জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের খাতিরেই হয়তো অভিজিতের বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। যদিও ইডির তরফে এ ব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি।

    কে এই অভিজিৎ দাস?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে এই অভিজিৎ দাসের পেশা ওষুধের ব্যবসা। তবে, এই ব্যক্তির উত্থান বেশ চমকপ্রদ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে জানা যাচ্ছে, এই অভিজিৎ দাস জীবনের শুরুর দিকে রেলের এক ক্যাটারিং সংস্থায় খাদ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন হেভিওয়েটদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠতে শুরু করেন। মাঝে একটা সময়ে এলাকাবাসীদের কাছে নিজেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্তসহায়ক বলেও পরিচয় দিতেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, পেল্লায় সেই প্রাসাদোপম বাড়ির নীচে মাঝে মধ্যেই খাদ্য দফতরের সরকারি নীল বাতি দেওয়া গাড়িও আসত। তবে, হঠাৎ করে তাঁর বাড়িতে ইডির হানায় কিছুটা হতবাক এলাকাবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এলাকায় ভাল মানুষ হিসেবেই পরিচিতি ছিলেন তিনি।

    ইডির হানার সময় বাড়িতেই ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়

    এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের একাধিক বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি (ED)। দীর্ঘক্ষণ ধরে বাড়ির ভিতরেই রয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, ইডির হানার সময় বাড়িতেই ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। মন্ত্রীর পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তাঁর আপ্তসহায়ক অমিত দে’র নাগেরবাজারের ফ্ল্যাটেও হানা দেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কিন্তু, সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না অমিত। ইডি সূত্রে খবর, রেশন বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বাকিবুর রহমানের গ্রেফতারির পর নাম উঠে এসেছে জ্যোতিপ্রিয়ের। সেই সূত্রেই মন্ত্রী এবং তাঁর আপ্তসহায়কের বাড়িতে অভিযান ইডির। সেই একই সূত্রে হাওড়ার কদমতলায় অভিজিতের বাড়িতেও ইডি অভিযান চালাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Summons Gehlot’s Son: দুর্নীতির অভিযোগে ইডির সমন গেহলট পুত্রকে, ভোটের আগে চাপে কংগ্রেস

    ED Summons Gehlot’s Son: দুর্নীতির অভিযোগে ইডির সমন গেহলট পুত্রকে, ভোটের আগে চাপে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ইডির সমন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্র বৈভব গেহেলটকে (ED Summons Gehlot’s Son)। জানা গিয়েছে, বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তলব করা হয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পুত্রকে। মুখ্যমন্ত্রীর পুত্রকে তলব করার পাশাপাশি সে রাজ্যে চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে অভিযুক্ত কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি গোবিন্দ সিং-এর বাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

     জানা গিয়েছে, ২০২০ সালেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্রের (ED Summons Gehlot’s Son) বিরুদ্ধে বিদেশী মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন দুইজন ব্যক্তি। তাঁরা প্রত্যেকেই জয়পুরের বাসিন্দা। অভিযোগকারীদের দাবি বৈভব গেহলট শিবনার হোল্ডিংস নামে একটি মরিশাসের কোম্পানির সঙ্গে বেআইনিভাবে টাকা লেনদেন করেছেন। তারপরেই চলতি বছরের শুরুতে এই অভিযোগে ফের  সরব হতে দেখা যায় বিজেপিকে। বিজেপি সংসদ কিরোদি লাল মিনা এ নিয়ে ইডির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সঙ্গে বিজেপি দাবি করে যে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী পুত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। 

    রাজস্থানে ভোটের আগে ব্যাকফুটে কংগ্রেস

    প্রায় তিন বছর আগের সেই পুরনো মামলায় মুখ্যমন্ত্রী পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন জারি করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজস্থানেও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এসেছে। শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এই অভিযোগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতেও এদিন তল্লাশি চালানো হয়। এর আগে প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে রাজস্থানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য বাবুলাল কাটরাতে গ্রেফতারও করে ইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই নাম উঠে আসে কংগ্রেস নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ সিং-এর (ED Summons Gehlot’s Son)। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস সরকার দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ। বিধানসভা নির্বাচন যখন দরজায় কড়া নাড়ছে ঠিক এই সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে চাপে পড়ে গেল কংগ্রেস। এর ফল বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। কয়েকদিন আগেই রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেও তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন। নভেম্বর মাসে হতে চলা রাজস্থানের নির্বাচনে একাধিক সমীক্ষায় ইতিমধ্যেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না,’ কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না,’ কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতারা নিজেদের বাড়িতে টাকা রাখেন না। কেউ বান্ধবী, কেউ আবার আপ্তসহায়কের বাড়িতে টাকা রাখেন, কেউ আবার পরিচিত ব্যবসায়ীর বাড়িতে টাকা রাখেন। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাড়িতে ইডি হানা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, জ্যোতিপ্রিয়বাবুর পার্থবাবুর মত বান্ধবী জোটেনি। সে কারণে আপ্তসহায়ক এর বাড়িতে তিনি টাকা রাখতে পারেন, সেজন্য ইডি তল্লাশি চলছে।

    বাকিবুরের সম্পত্তি নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? (Sukanta Majumdar)

    ইডি তল্লাশি অভিযান নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এটা হবারই কথা ছিল। কারণ, বাকিবুর রহমানের বিপুল সম্পত্তি। অবাক হয়ে যাচ্ছি তার বলে হাজার বিঘার উপর জমি রয়েছে। বাকিবুরের একার জমি নয়, আসল বাকিবুর অন্য জায়গায় বসে আছে সেটা সবাই জানে সেখান দিয়ে জ্যোতি বেরোচ্ছে, জ্যোতি দেখা যাচ্ছে। ইডি-র অনেক আগেই হানা দেওয়া উচিত ছিল। বাকিবুর রহমানের নামে তৃণমূল নেতারা পয়সা খাটায়, এই পয়সা শুধু বাকিবুরের না। অপরাধীদের বাড়িতে বা অফিসে শুধু হানা দিলেই হবে না। অভিযুক্তদের জেলের ভেতরে ঢোকাতে হবে।

     এথিক্স কমিটির তদন্ত নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, লোকসভার এথিক্স কমিটির কাজ হচ্ছে কোনও সংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার। স্বাভাবিকভাবে সেই কমিটি তদন্ত করছে এতে যদি দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে সাংসদ পথ খারিজ হবে। কিন্তু, আমার মনে হয় শুধুমাত্র এইটুকুতেই শেষ করলে হবে না। কারণ এর পেছনে বিদেশি কোনও চক্র কাজ করতে পারে। উদ্দেশ্য ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে টার্গেট করে ভারতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করা। আদানি,আম্বানি নাম শুধুমাত্র উপলক্ষ, প্রধান উদ্দেশ্য ভারতীয় অর্থনীতিকে দুর্বল করা। ভারতীয় জিডিপি ভালো হচ্ছে তা আমাদের শত্রু দেশগুলোর সহ্য হচ্ছে না। তারা এই সমস্ত কাজ করতে পারে, সেই কারণেই বড় মাপের তদন্ত হওয়ার প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির দুর্গাপুজোর কার্নিভালের এ কী হাল! জানলে চমকে উঠবেন

    Siliguri: শিলিগুড়ির দুর্গাপুজোর কার্নিভালের এ কী হাল! জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল পুজো কার্নিভাল। কিন্তু, শিলিগুড়িতে (Siliguri) দ্বিতীয় বর্ষেই মুখ থুবড়ে পড়েছে এই কার্নিভাল। গতবার শহরের ২৬ টি ক্লাবকে নিয়ে এই কার্নিভাল শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার অনেক বুঝিয়ে মাত্র ১০ টি ক্লাবকে এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করাতে সফল হয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। ৭০ হাজার টাকা পুজোর অনুদান দিয়ে ক্লাবগুলিকে সহজেই কার্নিভালে পাওয়া যাবে, এই ভাবনায় জোর ধাক্কা খেয়েছে প্রশাসন তথা তৃণমূল সরকার। শিলিগুড়ি শহর ও তার লাগোয়া এলাকায় পাঁচশোরও বেশি পুজো হয়। এর মধ্যে দু’শোটি বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে। এর মধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলার ও মেয়র পরিষদ সদস্যের পুজোও রয়েছে। সেখানে কার্নিভালে মাত্র ১০টি ক্লাব! কার্নিভাল কার্যত প্রহসনে পরিণত হয়েছে।

    কার্নিভাল থেকে কেন মুখ ফিরিয়েছে ক্লাবগুলি? (Siliguri)

    কার্নিভালে অংশগ্রহণের জন্য বাড়তি এক থেকে দু’দিন প্রতিমা রেখে দিতে হবে। এর জন্য বিশাল বাড়তি খরচ বহন করতে হয়। সেই সঙ্গে কার্নিভালের জন্য  ট্যাবলো ও সাজসজ্জার মোটা টাকা খরচ রয়েছে। পুজো কমিটিগুলির বক্তব্য, এত খরচ করে পুজো করার পর শুধু কার্নিভালে অংশ নেওয়ার জন্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বাড়তি খরচ বহন করা সম্ভব নয়। একাধিক বিগ বাজেটের পুজো কমিটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাড়তি দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা টাকা খরচ করে কার্নিভালে অংশ নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

    কী বলছেন শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মকর্তারা? (Siliguri)

    রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শিলিগুড়িতে এই কার্নিভালের আয়োজক শিলিগুড়ি পুরসভা। পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কার্নিভালের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন মেয়র তথা শিলিগুড়ি পুরসভা।  বিভিন্ন ক্লাবকে প্রথম থেকে বুঝিয়েও মেয়র ও ডেপুটি মেয়র সব ক্লাবকে রাজি করাতে পারেননি। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, আমরা ক্লাবগুলিকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্লাব কার্নিভালের জন্য বাড়তি খরচ বহন করতে রাজি হয়নি। এটা ঠিকই কার্নিভালের জন্য বাড়তি দু’দিন প্রতিমা রেখে দেওয়ার খরচ অনেক।

    কার্নিভাল নিয়ে কী বলছেন বিজেপি বিধায়ক?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, কার্নিভালে অংশ নেওয়ার জন্য ক্লাবগুলিকে নানা ভাবে বোঝানো হয়েছে, চাপও সৃষ্টি করা হয়েছে। ঘুরপথে বাড়তি খরচ তুলে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। তাতেও দশটির বেশি ক্লাব পাওয়া যায়নি। এটা সরকারি ক্ষমতা ও অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India-Canada Conflict: দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কি গলছে? কানাডার ভিসা চালু করল দিল্লি

    India-Canada Conflict: দুই দেশের সম্পর্কের বরফ কি গলছে? কানাডার ভিসা চালু করল দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে কানাডা এবং ভারতের কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছিল গত মাসেই। সে সময় এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডার ট্রুডো সরকার, পাল্টা হিসেবে কানাডার এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ভারতও। বিবাদ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মোদি সরকার কানাডার ভিসা (India-Canada Conflict) পর্যন্ত বাতিল করে। অবশেষে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা নিষেধাজ্ঞা বেশ কিছুটা শিথিল করল কেন্দ্র। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে ২৬ অক্টোবর থেকে এন্ট্রি ভিসা, বিজনেস ভিসা, মেডিক্যাল ভিসা এবং কনফারেন্স ভিসা দেওয়া হবে।

    দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের বরফ কি গলবে?

    ভারত-কানাডার কূটনৈতিক ভারসাম্য (India-Canada Conflict) ফেরানোর জন্য রবিবারই বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর। তবে কানাডার কূটনীতিকরা ভারতের নানা বিষয় হস্তক্ষেপ করছে বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেন তিনি। ঠিক এই আবহে আংশিকভাবে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করল দিল্লি। এতে গলবে কি বরফ? এমনটাই প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলের। কারণ ইতিমধ্যে বেশ কিছু ক্ষেত্রে অকাট্য প্রমাণ মিলেছে, কানাডা প্রশাসনের সঙ্গে খালিস্তানি জঙ্গিদের যোগাযোগ নিয়ে। নিহত খালিস্তানি জঙ্গি নেতা নিজ্জরের ছেলে (India-Canada Conflict) একথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকার করেছে।

    কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব

    প্রসঙ্গত, গত মাসের ২১ সেপ্টেম্বরে কানাডা নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল বিদেশ মন্ত্রক। কানাডার খালিস্তানি (India-Canada Conflict) জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনের ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ আনেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।  সে সময়ে এক ভারতীয় কূটনীতিককে ‘র’-এর এজেন্ট আখ্যা দিয়ে বহিষ্কারও করে কানাডার ট্রুডো সরকার। পাল্টা হিসাবে সেদেশের কয়েকজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে ভারতও। এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ৪১ জন কূটনীতিককে ভারত থেকে সরানোর কথা বলে কানাডা। এই কূটনীতিকদের পরিবারের ৪২ জন সদস্যকে সরিয়েও নেওয়া হয়। কানাডার বিদেশমন্ত্রী জোলি সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Dacoits: কর্পোরেটের কায়দায় গ্যাং চালাত পুরুলিয়ার ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড, কীভাবে জানেন?

    Dacoits: কর্পোরেটের কায়দায় গ্যাং চালাত পুরুলিয়ার ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ডের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড রবি গুপ্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের হাতে যে সব তথ্য সামনে এসেছে তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। চলতি মাসের ১৯ তারিখ ধৃত মাস্টারমাইন্ড রবি গুপ্তাকে এই মামলায় গ্রেফতার করে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলেও বুধবার তা সামনে আনে পুলিশ। তার ১৪ দিন পুলিশ হেফাজত হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়ার নামোপাড়ায় ওই সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় এই মাস্টারমাইন্ড সমেত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    কর্পোরেটের কায়দায় গ্যাং চালাত  ডাকাতি (Dacoits) কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড

    ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিহারের বেযুর জেলে বসে এই অপরাধ সংগঠিত করত। ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত চালানোর পর মাস্টারমাইন্ডকে ধরতে পারল পুলিশ। কাজাখস্তান ও আমেরিকায় ব্যবহৃত নম্বরের কোড হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করে কথাবার্তা বলত ধৃত। একইভাবে তার সহযোগীরাও বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের মতো বিভিন্ন দেশের নম্বর ব্যবহার করে এই অপরাধ সংগঠিত করত। এই বেয়ুর জেল দেশজুড়ে বড়সড় সোনার দোকানের ডাকাতির কার্যত আঁতুড়ঘর। পরিকল্পনা থেকে অপারেশনের নির্দেশ এই জেল থেকেই যেত। এই গ্যাং লুটের জিনিসপত্র অন্য দেশের মার্কেটে বিক্রি করত। কাজের জন্য টাকাপয়সা কীভাবে দেওয়া হবে তার নকশা জেলে বসেই সাজিয়ে আসছিল রবি। যারা অপারেশন করবে তাদের মোবাইলে লোকেশনের লিঙ্ক পর্যন্ত দিয়ে দিত। ধৃতের অধীনে প্রায় ৭০০-র মতো দুষ্কৃতী কাজ করত। তারা কোনও কারণে ধরা পড়ে গেলে তাদের জামিন-সহ আদালতের সমস্ত খরচ বহন করত রবির ‘কর্পোরেট গ্যাং’। এই ধরনের অপারেশন চালাতে গিয়ে কোনও কারণে কারও মৃত্যু হয়ে গেলে তার পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে বলে ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে। যাতে অপরাধের বিষয়ে কোনও ভাবেই কেউ মুখ না খোলে। ধৃতের অধীনে প্রায় ৭০০-র মতো দুষ্কৃতী কাজ করলেও তারা একে অপরকে সেভাবে চেনে না। এতটাই গোপনীয়ভাবে কাজ হয়, যাতে কেউ গ্রেফতার হলেও অপরাধের লম্বা শৃঙ্খল কোনওভাবেই পুলিশের সামনে না আসে।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

    পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিহার পুলিশ, সেখানকার আদালত সকলের সঙ্গে কথা বলে গয়নার দোকানে লুটের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে আমরা নিজেদের হেফাজতে নিতে পেরেছি। ধৃত মাস্টারমাইন্ড জেলে বসেই এই অপরাধ সংগঠিত করে। এই কাজ করার জন্য কাজাখস্তান ও আমেরিকার দুটি নম্বরের সাহায্যে তার হোয়াটসঅ্যাপ সক্রিয় করে। যা ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Economy: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের, প্রকাশ রিপোর্টে

    Indian Economy: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি ভারতের, প্রকাশ রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি (Indian Economy) হতে যাচ্ছে ভারতের। এমনটাই প্রকাশ পেয়েছে অর্থ মন্ত্রকের এক রিপোর্টে। গত ২৩ অক্টোবর এই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি সেপ্টেম্বরের অর্থনীতির বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে পৃথিবীব্যাপী এক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে অর্থনীতিতে এবং এই মুহূর্তে তেলের দামও বাড়তে চলেছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৪ আর্থিক বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেটের ব্যাপক পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এমনটা হয় তবে সে ক্ষেত্রে তার প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়বে।  

    দ্রুত বর্ধনশীল ভারতের অর্থনীতি

    এর পাশাপাশি ওই রিপোর্টের জোর দেওয়া হয়েছে যে ভারতের ম্যাক্রো-অর্থনীতি ২০২৩-২০২৪ ফিসক্যাল বছরে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেতে চলেছে।  এর পাশাপাশি ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ভারতবর্ষে এরকম অবস্থায় বিনিয়োগের চাহিদাও যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ আর্থিক বছরে (Indian Economy) শিল্পের বিকাশ এবং আগামী রবিশস্যের সময় ভালো ফলনেরও কথা বলা হয়েছে।

    অর্থমন্ত্রকের বিবৃতি

    ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে যে ভারত পৃথিবীর মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি (Indian Economy) হতে চলেছে ২০২৪ সালে। আইএমএফ-এর এই রিপোর্টও উল্লেখ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড এর ২০টি বিন্দু মাপকাঠি থাকে যার দ্বারা অর্থনীতির বিকাশকে পরিমাপ করা হয়। দেখা যাচ্ছে ২০২৪ এই অর্থনৈতিক বছরে পৃথিবীব্যাপী অর্থনীতির বৃদ্ধি ৩ শতাংশেই অপরিবর্তিত থাকছে। সেখানে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হচ্ছে চলতি অক্টোবরে ৬.৩ শতাংশ। অর্থমন্ত্রকের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে,‘‘ এই রিপোর্টের দ্বারাই বোঝা যাচ্ছে ভারতের অর্থনীতি কীভাবে শক্তিশালী হচ্ছে পৃথিবীর নিরিখে। ভূ-রাজনৈতিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতেও সক্ষম হচ্ছে ভারতের অর্থনীতি।’’

    মোদি জমানায় বাড়ছে অর্থনীতি

    দেখা যাচ্ছে করোনাকালীন সময়ে এবং তার পরবর্তীকালে ভারতের অর্থনীতি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ সাল নাগাদ এই বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালেও এই ধারা বজায় রয়েছে। চলতি আর্থিক বছর শেষ হবে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জিডিপির পরিমাণ অনেকটাই বাড়তে চলেছে বলে খবর। সেই পরিমাণ হতে চলেছে ৬.২ থেকে ৬.৩ শতাংশ পর্যন্ত। ২০২২ সালে ভারতের (Indian Economy) জিডিপির পরিমাণ ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের থেকে অনেকটাই বেড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Raiganj: ‘ডাইনি’ অপবাদে আদিবাসী বধূকে বেধড়ক মার, বাড়িতে তাণ্ডব, পুলিশ কী করছে?

    Raiganj: ‘ডাইনি’ অপবাদে আদিবাসী বধূকে বেধড়ক মার, বাড়িতে তাণ্ডব, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর পিছনে রয়েছে ডাইনি। সেই ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক আদিবাসী বধূকে বেধ়ড়ক মারধর করে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raiganj) পশ্চিম মনোহরপুরের ঋষিপুর গ্রামে। বুধবার সন্ধেয় আতঙ্কিত ওই আদিবাসী দম্পতি নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। স্থানীয় মিঠুন হেমব্রম-সহ পাঁচ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত আদিবাসী দম্পতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Raiganj)

    সপ্তমী থেকে রায়গঞ্জের (Raiganj) পশ্চিম মনোহরপুরের ঋষিপুর গ্রামে বিভিন্ন অসুখে একাধিক বাসিন্দা আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটছেন। এই অবস্থায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের ধারণা, গ্রামে ‘ডাইনি’ এসেছে’। তার জন্যই অসুস্থ হচ্ছে্ন গ্রামের বাসিন্দারা। তারপর দুদিন আগে এক অসুস্থ মহিলার চিকিৎসার জন্য এক ওঝা গ্রামে আসেন। মূলত তারপরই ঘটনার সূত্রপাত। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন আদিবাসী বধূ। সেইসময় হঠাৎ হুড়মুড় করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় বধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তবে, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এদিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

    নির্যাতিতা বধূর কী বক্তব্য?

    নির্যাতিতা আদিবাসী বধূর বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা যেভাবে বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা ভাঙচুর করে, আমার হাতে, পিঠে আঘাত করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, তার পর থেকে আর ঘরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। আমরা পুরোপুরি সুস্থ, অথচ আমাদের জন্য নাকি গ্রামের বিভিন্ন লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দুদিন আগে এক ওঝা এসে আমার বউদিকে বলেছে। তার পর থেকেই জ্যাঠার ছেলেমেয়েরা ও বউদি আমাদের ডাইনি বলে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে। খুন করার চক্রান্ত করছে। এই অবস্থায় নিজের বাড়িতে থাকতেই ভয় করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের (Shantipur) বড় জিয়াকুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অধীর সরকার। তিনি বিজেপির বুথ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় শান্তিপুর (Shantipur) ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু দুর্গা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়, আর সেখানেই অংশগ্রহণ করেছিলেন ওই বিজেপি কর্মী অধীরবাবু। শোভাযাত্রা শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই বড় জিয়াকুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎই দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে, ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। শান্তিপুর থানার পুলিশ গিয়ে আহত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাসপাতালের ভিতরেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরবর্তীতে মৃত বিজেপি কর্মীকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে শান্তিপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর রাতেই মৃতদেহ মর্গে পাঠানো নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ফের পুলিশের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপর পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সহকারী সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, অধীর আমাদের দলের ভালো সংগঠক। স্থানীয় বুথ কমিটির সহ সভাপতি। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য ফিরে পেতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে গোটা শান্তিপুর জুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করা হবে। কারণ, এভাবে দলীয় কর্মীদের খুন করে বিজেপিকে শেষ করা যাবে না। অন্যদিকে, বিজেপির আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

    Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় রাজ্য। অভিযোগ, র‌্যাগিং-এর নামে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল ওই ছাত্রকে। এই ঘটনায় যৌন হেনস্তারও অভিযোগ সামনে আসে। এবার যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, আলিপুর আদালতে জমা দেওয়া ওই  চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, পক্সো এবং র‍্যাগিং-এর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে যদি আরও কিছু উঠে আসে, তখন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশের আবেদনও করা হয়েছে।

    কলকাতা পুলিশ জমা দিল চার্জশিট

    পুলিশের দেওয়া ওই চার্জশিট অনুযায়ী, হস্টেলে প্রথম দিন থেকেই প্রথম ওই পড়ুয়াকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। যার জেরেই প্রথম বর্ষের (Jadavpur University) ওই ছাত্র আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটি চলায় বিচারকের কাছে এখনও পর্যন্ত চার্জশিট পৌঁছায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, চার্জশিট হাতে পেয়ে প্রথমে বিচারক গ্রহণ করেন এবং পরে মামলার শুনানি শুরু হয়। ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় আলিপুরের বিশেষ পক্সো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই চার্জশিট  পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে সমস্ত অভিযোগ ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন অথবা ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।

    ২৫০ পাতার চার্জশিটে রয়েছে ৪০ জনের সাক্ষ্য

    চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুরে (Jadavpur University) হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। সেখান থেকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরের দিন ভোরেই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় র‍্যাগিং-এর অভিযোগ ওঠে মেন হস্টেলের বর্তমান পড়ুয়া এবং প্রাক্তনদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে পুলিশ তদন্তে নেমে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত ১২ জনই আদালতের নির্দেশে এখনও জেলেই রয়েছেন অগাস্ট মাস থেকে। প্রত্যেক অভিযুক্তই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আবাসিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ১২ জনের মধ্যে ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনী রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিট ২৫০ পাতারও বেশি বলে জানা গিয়েছে। তাতে প্রায় ৪০ জন সাক্ষীর বয়ান রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share