Tag: Bengali news

Bengali news

  • Coal Mines death: ফের কয়লা খনিতে ধস, রানীগঞ্জের পর ধানবাদে মৃত্যু ২, কাঠগড়ায় ইসিএল

    Coal Mines death: ফের কয়লা খনিতে ধস, রানীগঞ্জের পর ধানবাদে মৃত্যু ২, কাঠগড়ায় ইসিএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানীগঞ্জে কয়লা খনিতে ধসের ঘটনার পর, এবার ফের ধানবাদের কয়লা খনিতে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু (Coal Mines death) হয়েছে ২ জনের। সোমবার ধানবাদের ইসিএলের কয়লা খনিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এলাকার মুগমা এরিয়ার কাপাসারা খোলামুখ খনিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে একজনের নাম যমুনা রাজবংশী। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায় নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও কিছু মানুষ হয়তো নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। এই ঘটনায় ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কর্তব্যে গাফলতির অভিযোগে তুলে এলাকার মানুষ, মৃতদের পরিবারে জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন ইসিএলের কাছে। উল্লেখ্য গত জুন মাসেও নিরসাতে বিসিসিএলের খোলামুখ কয়লা খনিতে পাঁচজন মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। 

    ধস নেমেছিল রানীগঞ্জেও (Coal Mines death)

    গত বুধবার, রানীগঞ্জের ইসিএল কুনুস্তরিয়া এলাকার নারায়ণকুড়ি এলাকায় ধস নেমেছিল বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু মানুষ সেখানে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। পরে সেখান থেকে মোট তিন জনের মৃতদেহ (Coal Mines death) উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, খনির দেওয়াল ফুটো করে কয়লা সংগ্রহ করতে গিয়ে চাপা পড়ে এই বিপত্তি ঘটে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান বিজেপি বিধায়ক আগ্নিমিত্রা পাল। তিনিও প্রশাসনের অব্যবস্থার দিকে আঙুল তোলেন। এই ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই ফের বিপত্তি ঘটল ধানবাদে।

    প্রশাসনের ভূমিকা?

    এই ইসিএলের খোলামুখ খনিটি ঝাড়খণ্ড পুলিশ প্রশাসনের অধীনে। ধসের পর উদ্ধার কাজের জন্য, ইসিএল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন দ্রুত উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেনি বলে, অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্ত। এই খনিকে প্রশাসন পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল বহুদিন। এখানে কোনও নিরাপত্তা ছিল না, আর তার ফলেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে (Coal Mine death)। অপর দিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও এই মৃত্যুর জন্য কাঠগাড়ায় তুলেছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল (TMC) নেতার অবশেষে দেখা মিলল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। প্রায় চারমাস পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা হলেন, ডাবগ্রামের ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়কের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ ছিল, আত্মহত্যার ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। 

    Jalpaiguri জেলা বিচারক কি বললেন (TMC)?

    সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, জেলার তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আদলাতে উপস্থিত হন। সৈকত বলেন যে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন আর তাই তিনি বিচারকের কাছে গ্রফতার না করার জন্য বিশেষ রক্ষাকবচ চান। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে এই মামলা শোনার কোনও এক্তিয়ার বিচারকের নেই। জেলার সিজিএম আদালতে এই তৃণমূল নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু বারংবার তৃণমূলের এই যুব সভাপতি আবেদন করলেও, বিচারক তাঁর আবেদনকে নাকচ করে দেন। উল্লেখ্য সিজিএম আদালত তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

    মামলা কী ছিল

    সূত্রে জানা গেছে, এই বছরে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এই দম্পতি আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনার পর, জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায়, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং আরও কিছু তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। উল্লেখ্য অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সৈকতকে খুঁজে না পাওয়ায় গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়।

    মামলা গড়ায় হাইকোর্টে-সুপ্রিমকোর্টে

    গত বেশ কয়েকমাস এই তৃণমূল (TMC) নেতার খোঁজ না মেলায়, মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এই যুবনেতা নিজে হাইকোর্টে আগাম জামিন জানিয়ে আবেদন করলে, আদলাত তা বাতিল করে দেন। পুলিশ নানান জায়গায় হানা দিয়েও সৈকতের কোনও খোঁজ খবর পায়নি। অবশেষে তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়। অপর দিকে যুবনেতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে বিফল হলে, আবার আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলা আদালতে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করল আরও এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে ওএমআর সিট জালিয়াতির অভিযোগে পার্থ সেন নামে এক ব্যক্তিকে এদিন সিবিআই আটক করেছে। দিন কয়েক আগেই অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। এদিনই পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) সূত্রে খবর, ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন। এই সংস্থায় মূলত প্রোগ্রামিং এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাসিন্দা পার্থ সেনকে এদিনই আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই-এর (CBI) দাবি অনুযায়ী এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও  ওএমআর সিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল। প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই গত মাসে সংস্থার অন্যতম দুই আধিকারিক কৌশিক মাজি এবং সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জাল গোটাচ্ছে সিবিআই-ইডি

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ  দুর্নীতি মামলায় তদন্তে ব্যাপক গতি বাড়িয়েছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) ও ইডি। এই মামলাতেই জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমেত শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ জুলাই এই মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা। সেই শুরু তারপর একে একে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও নেতার নাম উঠে আসতে থাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য যিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন তিনিও জেলে রয়েছেন এই মামলায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nithari Case: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

    Nithari Case: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৬ সালে নিঠারি হত্যা মামলা (Nithari Case) নিয়ে সারাদেশ তোলপাড় হয়েছিল। মনীন্দ্র সিং পান্ধের এবং তার পরিচারক  সুরেন্দ্র কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, যুবতী ও কিশোরীদের ধর্ষণ করে বাড়িতে তাদেরকে হত্যা করার। এরকম ১৯টি নরকঙ্কাল উদ্ধার হয় উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ব্যবসায়ী মনীন্দ্র পান্ধেরের বাড়ি থেকে। এই মামলায় নিম্ন আদালতেররায়ে তাদের ফাঁসি সাজা ঘোষণা হলেও, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এদিন দুইজনেরই ফাঁসির সাজা রদ করল। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেন্দ্রকে বারটি মামলা এবং মনিন্দ্রকে দুটি মামলায় (Nithari Case) বেকসুর ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। তাতেই তাদের ফাঁসির সাজা রদ হল।

    খুন-ধর্ষণের পরে প্রেসার কুকারে মৃতদেহ সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলত অভিযুক্তরা

    ২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ একের পর এক যুবতী,কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে নিঠারিতে। মনীন্দ্রর বাড়ির সামনে ড্রেন থেকে উদ্ধার হয় মাথার খুলি। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর মনীন্দ্রর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি নরকঙ্কাল। তদন্তে উঠে আসে যে এই সমস্ত শিশু এবং কিশোরীদের হত্যা করার পর তাদেরকে ধর্ষণ করে মণীন্দ্র পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলি। শুধু তাই নয় আরও মারাত্মক অভিযোগ, সমস্ত প্রমাণ লোপাটের জন্য হত্যার পরে মৃতদেহ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়েও ফেলেছিল তারা। এই হত্যা মামলায় (Nithari Case) বাঙালি তরুণী পিঙ্কি সরকারেরও কঙ্কাল উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন পিঙ্কি এবং তাঁকেও যৌন নির্যাতনের পর খুন করে মনীন্দ্র এবং কোহলি।

    ১৯টি মামলা দায়ের হয় মনীন্দ্র ও কোহলির বিরুদ্ধে

    মোট ১৯ টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে যায় প্রমাণের অভাবে। কিন্তু বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে ৭টিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় সুরেন্দ্র কোহলিকে। মণীন্দ্র পান্ধের অবশ্য জামিনে ছাড়া পেয়েছিল। পরে পিঙ্কি খুনের মামলায় (Nithari Case) তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তদন্তকারী সংস্থার এও দাবি যে দুই অভিযুক্ত নিজেরাই স্বীকার করেছে যে তারা শিশুদের ধর্ষণ ও খুন করে তাদের মাংস সেদ্ধ করে খেয়েছিল প্রেসার কুকারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: আজ মহাপঞ্চমীর মাহাত্ম্য কী? জানুন দেবী স্কন্দমাতার পৌরাণিক আখ্যান

    Navaratri 2023: আজ মহাপঞ্চমীর মাহাত্ম্য কী? জানুন দেবী স্কন্দমাতার পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র হলেন দেব সেনাপতি কার্তিক। তাঁর অপর নাম স্কন্দ। স্কন্দমাতা মানে হল কার্তিকের মাতা। দেবী পার্বতীর এই রূপেরই পুজো করা হয় নবরাত্রির পঞ্চমীর দিন। কার্তিকের জন্মবৃত্তান্ত এবং মাতা পার্বতীর স্কন্দমাতা হয়ে ওঠার কাহিনি জানতে হলে অপর একটি পৌরাণিক কাহিনি শুনতে হবে (Navaratri 2023)।

    অসুর-দেবতা যুদ্ধ

    পুরাকালে বজ্রাঙ্গ নামে এক অসুর রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন দিতির পুত্র। দেবতাদের রাজা ইন্দ্রকে বজ্রাঙ্গ সিংহাসনচ্যুত করে বন্দি করেন। দেবতাদের প্রতি বজ্রাঙ্গের এই রোষ আসলে ছিল তাঁর প্রতিশোধ। কারণ ইতিপূর্বে দিতির অসংখ্য পুত্রকে মানে বজ্রাঙ্গের নিজ ভাইদের দেবতারা হত্যা করেছিলেন। বজ্রাঙ্গের হাতে বন্দি ইন্দ্রকে মুক্ত করতে আসেন ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনি। কাশ্যপ মুনি ছিলেন বজ্রাঙ্গের পিতা, অর্থাৎ দিতির স্বামী। ব্রহ্মা এবং কাশ্যপ মুনির অনুরোধে বজ্রাঙ্গ তখনকার মতো ইন্দ্রকে (Navaratri 2023) মুক্ত করেন। 

    দৈত্য হয়েও এমন দয়ার ভাব বজ্রাঙ্গের মধ্যে দেখতে পেয়ে ব্রহ্মা তাঁকে বরদান করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন। বজ্রাঙ্গ তখন তপস্বী হওয়ার বর প্রার্থনা করলেন এবং বাকি জীবন যেন তিনি ধর্মপথে চলতে পারেন, সেই আশীর্বাদ ব্রহ্মার কাছে চাইলেন। ব্রহ্মা তাঁর মানসকন্যা বরাঙ্গীর সঙ্গে বজ্রাঙ্গের বিবাহ দিলেন। বজ্রাঙ্গ এবং বরাঙ্গী বনের মধ্যে কুটির বানিয়ে ধর্মকর্ম করতে লাগলেন। বজ্রাঙ্গ তপস্যায় রত থাকতেন এবং বরাঙ্গী গৃহস্থের কর্ম সম্পাদন করতেন।

    একদিন দেবরাজ ইন্দ্র ওই কুটিরের পাশ দিয়ে যেতে যেতে বরাঙ্গীকে দেখতে পেয়ে পুরনো অপমানের বদলা নিতে চাইলেন। কখনও বানর সেজে, কখনও ভেড়া বা কখনও সাপ হয়ে কুটির লন্ডভন্ড করতে লাগলেন। ক্রন্দনরত অবস্থায় বরাঙ্গী তাঁর স্বামী বজ্রাঙ্গকে এসব বিষয়ে বললে, বজ্রাঙ্গ ব্রহ্মাকে স্মরণ করলেন। ব্রহ্মা প্রকট হয়ে বর দিতে চাইলে বজ্রাঙ্গ বললেন, “আমাকে এমন পুত্র দিন, যে দেবতাদের উপর অত্যাচার করতে সমর্থ হবে।”‌ ব্রহ্মা বজ্রাঙ্গের মনোমতো বরদান করলেন। বরাঙ্গীর গর্ভে জন্ম হল তারক নামের অসুরের‌। 

    পরবর্তীতে তারকাসুরের উপর ব্রহ্মার বরদান ছিল যে- “একমাত্র শিবের বালকপুত্র ছাড়া, কারও হাতে তিনি হত হবেন না।” ব্রহ্মার বরদানে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন তারকাসুর। কারণ তিনি জানতেন শিব কখনও বিবাহ করবেন না এবং ত্রিভুবনে ব্রহ্মার বরদানে তাঁকে হত্যা করতে পারে, এমন ক্ষমতা কোনও দেবতা, মানুষ বা জীবজন্তুর নেই। তারকাসুর দেবলোক নিজের দখলে আনেন। দেবরাজ ইন্দ্র সিংহাসনচ্যুত হলেন। বিতাড়িত দেবতারা বুঝতে পারলেন শিবের বিয়ে দিতে পারলে তবে তাঁর পুত্রই তারকাসুরকে বধ করতে পারবেন।

    শিব-পার্বতীর বিবাহ

    আয়োজন শুরু হল শিব-পার্বতীর বিবাহের। সেখানেও তারকাসুরের আক্রমণ হল। পার্বতী দেবী, মাতা চন্দ্রঘণ্টার রূপধারণ করে অসুরদের বিতাড়িত করলেন। এরপর সুসম্পন্ন হল শিব-পার্বতীর বিবাহ। জন্ম হল কার্তিকের। মাতা পার্বতী তখন হলেন স্কন্দমাতা অর্থাৎ কার্তিক জননী। দৈববাণী পেয়ে দেবরাজ ইন্দ্র কার্তিককে সেনাপতি নিযুক্ত করলেন। এক প্রবল যুদ্ধে কার্তিকের হাতে তারকাসুর হত হলেন। দেবতারা তাঁদের হৃত স্বর্গরাজ্য পুনরায় নিজেদের দখলে আনলেন। এমনটাই লেখা রয়েছে “স্কন্দ পুরাণে”।

    স্কন্দমাতার বিবরণ

    স্কন্দমাতার অপর নাম কার্তিকেয়। ত্রিনয়নী মাতার কোলে তাঁর শিশুপুত্রকে দেখতে পাই আমরা। এই শিশুপুত্রই হলেন স্কন্দ বা কার্তিক। স্কন্দমাতা স্নেহ, মায়া, সন্তান বাৎসল্য-এর প্রতীক। মাতার ভক্তরা মনে করেন দেবীর পুজো করলে সমস্ত মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়, জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর হয়, অশুভ শক্তি বিনষ্ট হয়, সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে জীবন। দেবী পদ্মাসনা। তাঁর বাহন সিংহ। তাঁর দুই হাতে দুটি পদ্ম। একহাতে কার্তিককে ধরে থাকেন। অপর হাত বর-মুদ্রার ভঙ্গিতে থাকে। যার দ্বারা ভক্তদের উদ্দেশে সর্বদাই আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। স্কন্দমাতার পুজো করলে শত্রু বিনাশ হয়, শক্তি বৃদ্ধি হয়, এমনটাই মনে করেন ভক্তরা। স্কন্দমাতার পুজোতে সাদা রঙের পোশাক পরলে মাতা প্রসন্ন হন, এমনটাই প্রচলিত ধারণা রয়েছে। দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা নৈবেদ্যতে কলা বা কদলী ভোগ দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই কলকাতায় পা রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের (Amit Shah)  এই সফরকে সুন্দর এবং সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করতে আলোচনাতেও বসে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এবারের থিম রাম মন্দির। সেই পুজোরই উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বিমানবন্দর থেকেই অমিত শাহের সফরসঙ্গী হবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উপলক্ষে মানুষের ঢল নামতে দেখা গিয়েছে মহালয়া ঠিক পরের দিন থেকেই। রবিবার ব্যাপক ভিড় দেখা যায় প্যান্ডেলে। ২০২৪ সালের জানুযারিতে উদ্বোধন হতে চলেছে রামমন্দির, তার আগেই খাস কলকাতায় দেখা যাবে রামমন্দিরের এক ঝলক। এনিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে কৌতূহল তুঙ্গে।

    শনিবার থেকেই মণ্ডপ চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    অমিত শাহের (Amit Shah)  সোমবারে সফরকে ঘিরে, শনিবার থেকেই মণ্ডপ চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের এই সফর ঘণ্টা দুয়েকের, তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে রাজ্যের দুর্নীতি এবং আইন-শৃঙ্খলা সহ নানা বিষয়ে রিপোর্ট তুলে দিতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে শাহি বৈঠকেরও।

    আরও পড়ুুন: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    সোমবার ঠিক দুপুর দুটো নাগাদ অমিত শাহ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন

    সোমবার ঠিক দুপুর দুটো নাগাদ অমিত শাহের (Amit Shah)  কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে। এরপর চপারে তিনি ফোর্ট উইলিয়ামের কাছে একটি মাঠে নামবেন। এরপর শাহি কনভয় যাবে মণ্ডপের কাছে। সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ফের দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি আগামী ২০ অক্টোবর জেপি নাড্ডার পুজোর উদ্বোধনে আসার কথা রয়েছে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর অন্যতম আয়োজক বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ভার্চুয়ালি নয়। সশরীরে এই পুজোর উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১৬/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১৬/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) কাজ ও ব্যবসায় দুপুর পর্যন্ত যে পরিশ্রম করবেন, সন্ধ্যার পর তার ফলাফল পাবেন।

    ২) আকস্মিক সুসংবাদে উৎসাহিত হয়ে পড়বেন। 

    বৃষ

    ১) আকস্মিক দুর্ঘটনা বা অন্য কারণে শারীরিক কষ্ট হতে পারে। হাত-পায়ে দুর্বলতা থাকবে, যে কারণে দৈনন্দিন কাজ প্রভাবিত হবে।

    ২) ব্যবসায়িক কাজে অধিক পরিশ্রম করতে হবে, তবে দেরিতে লাভ অর্জন করবেন।

    মিথুন

    ১) ঋণের টাকা ফিরে পেতে পারেন।

    ২) সরকারি বা পৈতৃক কাজ পুরো করার চেষ্টা করুন, লাভ হবে।

    কর্কট

    ১) অসুস্থতার কারণে অফিসের কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বুকে সংক্রমণ হতে পারে।

    ২) দায়িত্বপূরণ করতে না-পারায় বয়স্করা ক্ষুব্ধ হবেন।

    সিংহ 

    ১) লোকদেখানো স্বভাবের জন্য পরিবারের সুখ-সুবিধায় ব্যয় করবেন। পরবর্তীকালে আর্থিক সমস্যায় জড়াতে পারেন।

    ২) পারিবারিক শান্তি ভঙ্গ হবে।

    কন্যা

    ১) যে কাজ করার চিন্তা করবেন তাতে কোনও না-কোনও বাধা আসায় চিন্তিত থাকবেন।

    ২) আর্থিক লেনদেনে স্পষ্টতা রাখুন, যা করার পাকাপাকি করুন।

    তুলা 

    ১) ভবিষ্যতের জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন।

    ২) বাড়িতে কোনও না-কোনও কারণে অধিক দৌড়ঝাপ করতে হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কঠিন পরিশ্রমের পর কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

    ২) মহিলাদের বাড়ির কাজে অধিক দৌড়ঝাপ করতে হবে। সকলে তাঁদের ত্রুটি বের করবেন।

    ধনু

    ১) নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ না-করায় ব্যবসা ও পরিবারে বিবাদ বাঁধতে পারে।

    ২) কাজের চেয়ে বেশি আনন্দকে গুরুত্ব দিলে লোকসান হতে পারে।

    মকর

    ১) কোনও কথায় তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া জানাবেন না, এর ফলে পরিবেশ নষ্ট হবে।
     
    ২) ছোটখাটো কথায় আঘাত পেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসায়ীরা অংশীদারের সঙ্গে পুরনো বিবাদ ভুলে নতুন ভাবে কাজ শুরু করুন।

    ২) সহকর্মীরা আপনার ব্যবহারে তুষ্ট থাকবেন। এর ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ পূর্ণ করতে পারবেন।

    মীন

    ১) শেয়ার ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পে লগ্নি করলে চটজলদি ফল পাবেন।

    ২) বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা বাড়বে।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Passport Scam: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    Passport Scam: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরিব মহিলাদের পাচার করে পাঠানো হত মধ্যপ্রাচ্যে। জাল পাসপোর্ট (Passport Scam) কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। গতকাল নকশালবাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়ে রাশি রাশি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে বরুণ সিং রাঠোর নামক এক ব্যক্তি। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে। একাধিক রাজ্য থেকে নারীপাচার হতো বলে অনুমান সিবিআইয়ের। 

    আন্তর্জাতিক নারীপাচারের সঙ্গে যোগসূত্র (Passport Scam)

    সূত্রের খবর, টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথির মাধ্যমে পাসপোর্ট (Passport Scam) তৈরি করে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর সূত্র ধরে শিলিগুড়ি, গ্যাংটকের নানান জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রমাণ মেলে এই চক্রের সঙ্গে নেপাল যোগের কথা। পাসপোর্টের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচারের যোগসূত্র রয়েছে। মূলত বিভিন্ন এলাকার পিছিয়ে থাকা গরীব মহিলাদের টার্গেট করা হতো।

    গ্রেফতার এক ব্যক্তি

    শনিবার নকশালবাড়ি এলাকা থেকে পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে বরুণ সিং রাঠোর নামক এক ব্যক্তিকে গ্রফতার করা হয়, ইতিমধ্যেই তাকে সিকিমের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। এরপর তাকে আপাতত দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে, আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার কাছে অনেক জাল পাসপোর্টে উদ্ধার করা হয়েছে। এই জাল পাসপোর্টগুলি ডেলিভারি দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলমাত্র সে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশের নানা রাজ্যে থেকে পাসপোর্ট তৈরি করত বলে জানা গেছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, গরিব মহিলাদেরকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে, টাকা নিয়ে জাল পাসপোর্ট দিয়ে, মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে দিত সে। ফলে এই জাল পাসপোর্টের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচারের সম্পর্ক রয়েছে।

    তদন্তে সিবিআই

    সূত্রে জানা গেছে, এই ভুয়ো পাসপোর্ট (Passport Scam) মামলাটি অন্য রাজ্যের মামলা। সম্প্রতি সিবিআই মোট এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই সূত্র ধরেই পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। একসঙ্গে ৫০ টির বেশী জায়গায় হানা দেয় বলে জানা গেছে। বরুণ সিং নিজে এক সরকারি দফতরে চাকরি করত কিন্তু বেআইনি কাজের জন্য তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সে এই নকল পাসপোর্টের কারবার শুরু করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: পুজোর আনন্দ কী, তা জানেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা! কোথায় সেই গ্রাম জানেন?

    Durga Puja: পুজোর আনন্দ কী, তা জানেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা! কোথায় সেই গ্রাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মধ্যে জীবন কাটিয়ে, পুজোর (Durga Puja) আনন্দ কী জিনিস, তা ভুলেই গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিধানপল্লি গ্রামের বাসিন্দারা। পুজোর দিনগুলিতে যখন আপামর বাঙালি আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে,পুজোর ক’টা দিন ঘরে বসেই দিন কাটে গ্রামবাসীদের।

    কেন এই অবস্থা এই গ্রামের? (Durga Puja)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামটিতে বসতি গড়ে উঠেছিল ১৯৪৯ সালে। এককালে ছোট নদীটি পারাপারের জন্য কাঠের সেতু ছিল একটি। কিন্তু, পরে তা ভেঙে যায়। কয়েক বছর আগে নতুন করে একটি কাঠের সাঁকো বানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটিও ভেঙে গিয়েছে। এখন চাষের ক্ষেতের পাশ দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটারের আল পথ ধরে হেঁটে গিয়েই তাঁদের রাস্তায় উঠতে হয়। মূলত যোগাযোগের কারণে কার্যত বিচ্ছিন্ন এই গ্রাম। গ্রামে ঢোকা ও বেরনোর জন্য একটি মূল রাস্তা আছে। কিন্তু, সেখানেও প্রায় দেড় কিলোমিটার জমির আল পথ পেরোতে হয়। এরপর একটা ছোট্ট নদী, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলে কাঁদর। সেই ছোট নদী পেরিয়ে, তারপর বড় রাস্তা। নদী পারাপার করার ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা। অল্প কিছু ছোট ছোট ডিঙি আছে। সেগুলিও আবার নিজস্ব মালিকানাধীন। মালিকদের অনুরোধ করলে, নদী পার করে দেয়। যোগাযোগের এই সমস্যার কারণেই গ্রামে দুর্গাপুজো হয়ে ওঠে না। দুর্গা প্রতিমা নিয়ে গ্রামে ঢোকার ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামের ছোট থেকে বড় সকলেই বঞ্চিত পুজোর (Durga Puja) আনন্দ থেকে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুজোর (Durga Puja) আনন্দ এই গ্রামে হয় না। প্রতিমা নিয়ে আসার মতো অবস্থা নেই। ফলে, গ্রামে কোনও পুজো হয় না। এত বছর কেটে গিয়েছে, যোগাযোগ ঠিক করার বিষয়ে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। তাঁদের আমাদের গ্রামে আলাদা করে পুজোর আনন্দ নেই।

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস বলেন, দ্রুত গ্রামে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নদীর উপরে যে সাঁকোটি ছিল, সেটিও নতুন করে তৈরি করে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Student Death: দুর্গাপুরের গবেষক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু সুইডেনে! পরিবারের দাবি খুন

    Student Death: দুর্গাপুরের গবেষক ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু সুইডেনে! পরিবারের দাবি খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুইডেনে রহস্য জনক ভাবে মৃত্যুর (Student Death) ঘটনা ঘটল দুর্গাপুরের এক গবেষক ছাত্রীর। পরিবার, এই মৃত্যুর পিছনে খুনের অভিযোগ তুলেছেন। ছাত্রীর সঙ্গে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শেষ কথা হয় বাড়ির লোকজনের। আর এরপর থেকে এই গবেষক ছাত্রীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে হঠাৎ ১৩ অক্টোবর তারিখে মৃত্যুর খবর দেয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পরিবারে শোকের ছায়া।

    কে এই ছাত্রী গবেষক (Student Death)

    দুর্গাপুরে বেশ মেধাবী ছাত্রী হিসাবে পরিচিত ছিলেন এই ছাত্রী। তাঁর নাম রোশনি দাস (Student Death), বয়স হয়েছিল ৩২। তিনি ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজির ছাত্রী ছিলেন। গবেষণার জন্য সুইডেনে কাজ করতে গিয়েছিলেন। সুইডেন দূতাবস থেকে ভারতীয় দূতাবাসকে খবর দেওয়া হয় যে রোশনির মৃত্যু হয়েছে। এরপর স্থানীয় পুলিশ পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানায়। তবে পরিবারের দাবি, রোশনির মৃত্যু সাধারণ ভাবে হয় নি। রীতিমতো তাঁকে খুন করা হয়েছে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি তোলেন পরিবার। 

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত রোশনি দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, “গত ২৯ সেপ্টেম্বরে ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়। এরপর থেকে ওর সঙ্গে মোবাইলে সংযোগ করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। বাড়িতে গত ১৩ অক্টোবরে পুলিশ এসে মৃত্যুর (Student Death) খবর দিয়ে যায়।” মৃত ছাত্রীর মা বলেন, “ওকে সেখানে খুন করা হয়েছে। এমনি এমনি আমার মেয়ের মৃত্যু হতে পারে না।” সূত্রে আরও জানা গেছে যে এই মৃত্যুর পর সুইডেন পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যে এক সন্দেহজনক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে রোশনির দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এলাকার সাংসদের কাছে দারস্থ হয়েছেন পরিবার। কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে ইতিমধ্যেই দেহ ফেরানোর জন্য আর্জি করা হয়েছে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share