Tag: Bengali news

Bengali news

  • Israel-Hamas War: চলছে ‘অপারেশন বিজয়’, দ্বিতীয় দফায় ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২৩৫ ভারতীয়

    Israel-Hamas War: চলছে ‘অপারেশন বিজয়’, দ্বিতীয় দফায় ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২৩৫ ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত (Israel-Hamas War) ইজরায়েল থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। চলছে ‘অপারেশন বিজয়’। ১১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অপারেশনে তেল আভিভ থেকে দিল্লির বিমানবন্দরে নামল দ্বিতীয় বিমান। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে দ্বিতীয় দফায় ২৩৫ জন ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ইজরায়েল থেকে। এদের মধ্যে দুজন শিশু রয়েছে। ২৩৫ জনের মধ্যে রয়েছেন ৫৩ জন বাঙালি। 

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট বিদেশমন্ত্রীর

    ‘অপারেশন বিজয়’ এর মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায়  ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার ছবি ইতিমধ্যে নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর। শনিবার ভোরেই বিদেশমন্ত্রীর এক্স হ্যান্ডেলে দেখা যায় দ্বিতীয় বিমানের ছবি (Israel-Hamas War)। প্রসঙ্গত প্রথম বিমান থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয় শুক্রবারই। ২১২ জন ভারতীয় কে উড়িয়া আনা হয় প্রথম দফায়।

    ১৮ হাজার ভারতীয় থাকেন ইজরায়েলে

    গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর হামাস জঙ্গিরা রকেট হামলা চালাতেই শুরু হয় ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের যুদ্ধ (Israel-Hamas War)। সেইমতো বুধবার রাত থেকেই অপারেশন বিজয় শুরু হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। সেদিনই বিদেশমন্ত্রী এস জয় শঙ্কর লেখেন, ‘‘ যে সকল ভারতীয় যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইজরায়েল থেকে দেশে ফিরতে ইচ্ছা প্রকাশ করছেন, তাঁদের জন্য অপারেশন বিজয় চালু করা হয়েছে।’’ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ইজরায়েলে বিভিন্ন কাজের সূত্রে থাকেন প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয়। এদের মধ্যে কেউ ছাত্র কেউ বা গবেষক কেউ বা চাকরি করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hamas War: ইজরায়েলের পাশে ইলন! মোছা হল হামাসপন্থীদের ‘এক্স’ অ্যাকাউন্ট

    Israel-Hamas War: ইজরায়েলের পাশে ইলন! মোছা হল হামাসপন্থীদের ‘এক্স’ অ্যাকাউন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাস জঙ্গিদের (Israel-Hamas War) সমর্থনে চলা ‘এক্স’ অ্যাকাউন্টগুলি মোছার কাজ শুরু করল ইলন মাস্কের সংস্থা। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতিও দিয়েছেন ‘এক্স’-এর মালিক ইলন মাস্ক। তাঁর মতে, ‘‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে ‘এক্স’-এর দুনিয়ায় কোনও জায়গা দেওয়া হবে না।’’ এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে, প্রায় ১০০টিরও বেশি অ্যাকাউন্ট যেগুলি থেকে হামাস জঙ্গিদের (Israel-Hamas War) সমর্থনে পোস্ট করা হতো, তা মুছে দিয়েছে ‘এক্স’।

    কী জানাল ‘এক্স’ কর্তৃপক্ষ 

    এ নিয়ে ‘এক্স’-এর এক পদাধিকারী লিন্ডা ইয়াক্যারিনো লেখেন, “কঠিন পরিস্থিতিতে জনগণের মধ্যে কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার কাজে এক্স দায়বদ্ধ। কিন্তু অবৈধ এবং নিষিদ্ধ বিষয়ও যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সে বিষয়ে সজাগ থাকা উচিত।”  তাঁর আরও সংযোজন, “এক্স সন্ত্রাসবাদী এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (Israel-Hamas War) জায়গা নয়। তাই আমরা এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট মুছে দেব তো বটেই, সমর্থকদের অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করা হবে।”

    ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নির্দেশ

    সূত্রের সূত্রের খবর, ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের (Israel-Hamas War) আবহে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান থ্রিয়েরি ব্রেটন ‘এক্স’ কর্তৃপক্ষকে হামাসপন্থীদের অ্যাকাউন্টগুলি মুছে দেওয়ার সুপারিশ করেন। কারণ হিসেবে তারা জানায় যে এগুলি থেকে ভুয়ো তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ইলন মাস্কের সংস্থাকে ২৪ ঘণ্টা সময়সীমাও বেঁধে দেয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। তারপরেই নড়েচড়ে বসে ‘এক্স’ কর্তৃপক্ষ।  জানা গিয়েছে শুধুমাত্র এক্স কর্তৃপক্ষকেই নয়, ইতিমধ্যে জুকেরবার্গের ‘মেটা’কর্তৃপক্ষকেও এমন নির্দেশ দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান।

    আরও পড়ুন: সতর্ক কেন্দ্র, বাড়তি নিরাপত্তা ভারতে বসবাসকারী ইজরায়েলি নাগরিকদের

    ৭ অক্টোবর হঠাৎই ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস

    গত ৭ অক্টোবর হঠাৎই ইজরায়েলের (Israel-Hamas War) ওপর রকেট হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে হামাসের হামলায় ইজরায়েলের ১,৩০০ নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২২২ জন সেনাকর্মী আছেন। অন্যদিকে, ইজরায়েলের পাল্টা জবাবে প্যালেস্তাইনের গাজায় নিহত হয়েছেন ১,৪১৭ জন নাগরিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hamas War: সতর্ক কেন্দ্র, বাড়তি নিরাপত্তা ভারতে বসবাসকারী ইজরায়েলি নাগরিকদের

    Israel-Hamas War: সতর্ক কেন্দ্র, বাড়তি নিরাপত্তা ভারতে বসবাসকারী ইজরায়েলি নাগরিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন (Israel-Hamas War) যুদ্ধের মাঝে ভারতে বসবাসকারী ইহুদি নাগরিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা দিতে উদ্যোগে হল কেন্দ্র সরকার। ভারতে বসবাসকারী কোনও ইজরায়েলের নাগরিকের ওপর যেন আক্রমণ না হয় সেই লক্ষ্যেই সতর্ক রয়েছে মোদি সরকার। কারণ ইতিমধ্যে ইজরায়েলের এক নাগরিকদের ওপর হামলার একটি ঘটনা ঘটেছে চিনে।

    ভারতে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইজরায়েলি নাগরিকদের

    রাজধানী দিল্লির রাস্তাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ইজরায়েলের দূতাবাস এবং ইহুদীদের উপাসনাস্থল গুলিতেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র, হিমাচলপ্রদেশ এবং গোয়ার প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে ইজরায়েলের (Israel-Hamas War) নাগরিক তথা কূটনীতিকদের ওপর কোনও রকমের হামলার ঘটনা না ঘটে। ভারত সহ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি প্যালেস্তাইনপন্থীদের বিক্ষোভ থেকে ইজরায়েলের নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বলে খবর। ইজরায়েলে বসবাসকারী ২১১ জন ভারতীয় নাগরিককে ইতিমধ্যে মোদি সরকার ফিরিয়ে এনেছে দেশে।

    বেজিং-এ হামলা ইজরায়েলের কূটনীতিক-এর ওপর

     ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের (Israel-Hamas War) মাঝে বেজিংয়ের রাস্তায় হামলার শিকার হলেন এক ইজরায়েলের কূটনীতিক। শুক্রবার খবর পাওয়া যায় ইজরায়েল দূতাবাসের এক কর্মী ছুরিকাহত হয়েছেন। চিনের বিদেশমন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের দূতাবাসের ওই কর্মীর বর্তমানে অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইজরায়েলের নাগরিকের ওপরে হামলার ঘটনা চিনের ইজরায়েলি দূতাবাসের তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলের পোস্ট করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    ৭ অক্টোবর হঠাৎই ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস

    গত ৭ অক্টোবর হঠাৎই ইজরায়েলের ওপর রকেট হামলা চালায় প্যালেস্তাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস। শুক্রবার পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে হামাসের হামলায় ইজরায়েলের ১,৩০০ নাগরিক নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ২২২ জন সেনাকর্মী আছেন। অন্যদিকে, ইজরায়েলের পাল্টা জবাবে প্যালেস্তাইনের গাজায় নিহত হয়েছেন ১,৪১৭ জন নাগরিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ১৪/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ১৪/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) কোনও সরকারি কাজ এখনও বাকি থাকলে তা পূর্ণ না-হওয়ায় পর্যন্ত কোনও বরিষ্ঠ আধিকারিকের সঙ্গে বিবাদ করবেন না। কারণ এর ফলে আপনার লোকসান হতে পারে।

    ২) দাম্পত্য জীবনে মাধুর্য থাকবে। 

    বৃষ

    ১) কর্মক্ষেত্রের পরিকল্পনায় মনোনিবেশ করবেন।
    আকস্মিক লাভ সম্ভব।

    ২) ব্যবসায় আকস্মিক লাভ হবে।

    মিথুন

    ১) ব্যবসায়ে সারাদিন ছোটখাটো মুনাফার সুযোগ পাবেন।

    ২) চাকরিজীবী জাতকদের আধিকারিকের সঙ্গে বিবাদ চললে, তা সমাপ্ত হবে।

    কর্কট

    ১) অংশীদারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের তর্ক বাঁধতে পারে।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ বাবার সহযোগিতায় যে কাজ করবেন, তাতে অধিক লাভ হবে।

    সিংহ 

    ১) বিবাহযোগ্য জাতকদের জন্য সময় অনুকূল।

    ২) অন্যের কথায় এসে লগ্নি করবেন না, তা না-হলে ভবিষ্যতে বড়সড় সমস্যায় জড়াতে পারেন।

    কন্যা

    ১) রাজনীতির উদ্দেশে কাজ করেন যাঁরা, তাঁরা কোনও আধিকারিকের সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ আকস্মিক লাভের যোগ তৈরি হচ্ছে। তবে চেষ্টার পরই সফল হবেন।

    তুলা 

    ১) জীবনসঙ্গীর পরামর্শ আপনার সহায়ক হবে।

    ২) গত কিছু দিন ধরে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও পরিচিত ব্যক্তির জন্য টাকা জোগাড় করতে হবে।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ আকস্মিক লাভের যোগ তৈরি হচ্ছে। তবে চেষ্টার পরই সফল হবেন।

    ধনু

    ১) নতুন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠতে পারে। ব্যবসায়ে তাঁদের সাহায্য পাবেন।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারে অতিথি আগমন হতে পারে।

    মকর

    ১) ব্যবসায়ে আয়ের নতুন উৎস পাবেন। তাই এবার আলস্য ত্যাগ করুন। না-হলে বড় সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন।
     
    ২) ব্যস্ততার কারণে নিজের জন্য সময় বের করতে পারবেন না।

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক সুখ-সুবিধায় অর্থ ব্যয় হবে।

    ২) সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মীন

    ১) ছাত্রছাত্রীরা কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকলে তাতে জয়ী হবেন।

    ২) স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দেবীপক্ষের আগেই কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! গর্জে উঠল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ

    Siliguri: দেবীপক্ষের আগেই কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! গর্জে উঠল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করে বিতর্কে জড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করার অভিযোগ উঠল। এর প্রতিবাদে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ, শুক্রবার বিকালে শিলিগুড়ির (Siliguri) ভেনাস মোড়ে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত করে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করার অভিযোগে সরব হন এই সংগঠনের সমর্থকরা।

    গর্জন বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের (Siliguri)

    এই মহামঞ্চের সংগঠনের শিলিগুড়ি (Siliguri) শাখার সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, “এখনও পিতৃপক্ষ চলছে, এই সময়কে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ও তর্পণের সময় ধরা হয়। মহালয়ায় পিতৃপক্ষের শেষ হয় আর দেবীপক্ষের সূচনা হয় এবং মঙ্গল কলস স্থাপন হয়। তারপর দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিতৃপক্ষের মধ্যেই, গত বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে একের পর এক পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন। আমরা মনে করি এভাবে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করা হয়েছে।”

    হিন্দু আচারে অজ্ঞ মমতা

    বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একজন হিন্দু। তার থেকেও বড় কথা তিনি ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে। তাহলে তিনি কীভাবে হিন্দু শাস্ত্রকে উপেক্ষা করে এমন কাজ করলেন? তাহলে ধরে নিতেই হবে, উনি অজ্ঞ। যাঁদের পরামর্শে চলেন, তাঁদের কেউ সনাতনী হিন্দু শাস্ত্র সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানের অধিকারী নন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক কারণে তড়িঘড়ি পুজোর মণ্ডপ উদ্বোধন করে, কৃত্রিম পুজোর আবহ তৈরি করতে চেয়েছেন। আর তাঁর এই কাজে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করা হয়েছে।”

    হিন্দুরা কেন নীরব?

    এদিন মানব বন্ধনে দাঁড়িয়ে (Siliguri) বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন, তথাকথিত হিন্দুরা নীরব কেন? বিক্রমাদিত্য মণ্ডল আরও বলেন, “সনাতনী হিন্দু শাস্ত্রের তোয়াক্কা না করে কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! এই অপমান নিয়ে সবাই কেন নীরব? যাঁরা হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক, তাঁরা কেন চুপ করে আছেন? এখনও কেন পুরোহিতকুল ও বিভিন্ন আশ্রম এবং মঠের সাধু-সন্ন্যাসীরা নীরব রয়েছেন। তাঁরা কেন পিতৃপক্ষে দেবীপুজোর উদ্বোধন নিয়ে কোনও কথা বলছেন না? তবে কেউ, কোথাও সনাতন হিন্দু ধর্মের বিরোধিতা করলে বা তোয়াক্কা না করলে আমরা গর্জন করবই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় আসানসোল কর্পোরেশনের পুরবোর্ডের সমালোচনা করেন তিনি। পুর নিগম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি খুলে ফেলার কথা বললেন। আসানসোল পুর নিগমের উন্নয়ন খাতে কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে, তাই সেখানে মোদিজির ছবি লাগানোর কথা বলেন। সেই সঙ্গে বলেন, পুর নিগমে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি। 

    ইডি ও সিবিআইয়ের হানা নিয়ে কী বললেন (Asansol)?

    ইডি ও সিবিআই হানার প্রসঙ্গ তুলে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কলকাতায় নেতাদের বাড়িতে ইডি ও সিবিআইয়ের রেড হচ্ছে। এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আসানসোলেও (Asansol) অভিযান হবে।” কয়েকদিন আগে রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে ধসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “সেখানে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন বলছে তিনজন মারা গেছে। কার্যত রাজ্য সরকার মৃত্যুর হিসাব নিয়ে মিথ্যাচার করছে।” তিনি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুরসভা দাবি না মানলে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারির দেন।

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত এদিন বলেন, “রাজ্য সরকার গত আড়াই বছরে এক টাকাও খরচ করেনি আসানসোল পুর নিগমের জন্য। দিল্লি থেকে মোদিজি আসানসোলবাসীর ঘরে ঘরে জল পৌঁছনোর জন্য ৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। অথচ রাজ্য সরকার ঘরে ঘরে পানীয় জলের ব্যবস্থা করছে না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কোনও কর্মী নেই। কেবলমাত্র আসানসোল (Asansol) হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষা হচ্ছে। রাজ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি সংক্রমণের শিকার হয়েছে, তবুও রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমরা খাওয়া এবং চুরিতে বিশ্বাস করি না। তবে যে খাবে, তাকে ঠিক জায়গায় পাঠানোর কাজ বিজেপি করবে। মন্ত্রী মলয় ঘটক নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বাহানা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন না।”

    এদিনের এই বিক্ষোভ সমাবেশে সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জি, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি ও আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোলের (Asansol) মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “কোনও অনুদানে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের একটা ভাগ থাকে। পুরো টাকাটাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ট্যাক্স হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তারপর সেই টাকার একটা অংশ ফেরত দিচ্ছে রাজ্যে। তাহলে এটা কার দেওয়া হল?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Industry: বঙ্গে শিল্পের হাল! তাঁত বন্ধ করে কেউ টোটো চালান, কেউ করেন অন্যের দোকানে দিনমজুরি

    Bengal Industry: বঙ্গে শিল্পের হাল! তাঁত বন্ধ করে কেউ টোটো চালান, কেউ করেন অন্যের দোকানে দিনমজুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও ভোর হলে ঘুম ভাঙে অমিত সরকারের। অবচেতন মনে মাঝে মধ্যে কানে বাজে তাঁত টানার ‘খটা-খট’ শব্দ। যে শব্দের সঙ্গে মিশে রয়েছে বাপ-ঠাকুরদার পারিবারিক তাঁতের ব্যবসার যাবতীয় হিসেবনিকেশ। সে সব এখন অতীত। বাড়ির উঠোনের এক পাশে পড়ে রয়েছে বন্ধ হয়ে থাকা তাঁতের পুরনো কলকব্জা (Bengal Industry)। শাড়ি ছেড়ে মুদির ব্যবসা ধরে তেল, নুনের হিসাবে ব্যস্ত অমিত।

    দুর্গাপুজোর আগে দম ফেলার সময় মিলত না

    “ভোর থেকে ২৫ জন তাঁতশিল্পী কাজ করতেন। দুর্গাপুজোর আগে দম ফেলার সময় পেতাম না। সে ব্যবসা শেষ হয়ে গেল!”, বলছিলেন ঠ্যাঙাপাড়ার অমিত সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ঠ্যাঙাপাড়া, মহারাজপুর, বোরডাঙি আগে ছিল তাঁতশিল্পের আঁতুড়ঘর (Bengal Industry)। ঠ্যাঙাপাড়ার প্রত্যেক বাড়িতে তাঁতের কল ছিল। ভোর বেলা এই এলাকা দিয়ে যাবার সময়ে ‘খটা খট’ শব্দ শুনে পথিকরা বুঝতেন, এটা ঠ্যাঙাপাড়া। তাঁদের তৈরি ‘আশীর্বাদ’, ‘রাঙা বউ’, ‘জন্মভূমি’, ‘অজন্তা, ‘জনতা”, “মালা’ শাড়ি একটা সময়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে জনপ্রিয় ছিল। নদিয়া জেলার নবদ্বীপ থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এই শাড়ি কিনে নিয়ে যেতেন। শুধু পুজোর সময়ই ৮-১০ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। কয়েক হাজার মানুষের রুজিরুটি জড়িয়েছিল এই তাঁতের সঙ্গে। আর কয়েক দিন পরেই পুজো। অথচ, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে কাপড় বোনার তাড়া নেই। কারণ, সে ব্যবসা ছেড়ে এখন কেউ মাছের ব্যবসা করেন, কেউ টোটো চালান, কেউ অন্যের দোকানে দিনমজুরের কাজ করেন। গঙ্গারামপুরের পশ্চিম হালদারপাড়ার বাসিন্দা সুমন দাস নিজের ১০টি তাঁত বন্ধ করে টোটো চালান। গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ির বাসিন্দা বাবু সরকার তাঁত ছেড়ে মুদির দোকানের হকারি করছেন। ২৬টি তাঁতের মালিক কালীতলার বাসিন্দা মঙ্গল দাস মাছের ব্যবসা ধরেছেন।

    তাঁত ছেড়ে অন্য পেশায় (Bengal Industry)

    ২০১০ সালের সরকারি হিসেব বলছে, এখানে ৩৬ হাজার তাঁত ছিল। ২০১৮ সালের সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২,৮০০টিতে। বর্তমানে এখানে সাকুল্যে হাজার চারেক তাঁত রয়েছে বলে তাঁতশিল্পীদের দাবি। ‘গঙ্গারামপুর তাঁত মালিক ও তাঁত শ্রমিক যৌথ কমিটি’র সভাপতি উৎপল গোস্বামী বলেছেন, “এখনও তাঁতশিল্পী অনেক আছেন। কিন্তু আধুনিক বাজার ধরার মতো শাড়ি তৈরির কোনও প্রশিক্ষণ না থাকায়, তাঁত (Bengal Industry) ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন শিল্পীরা।”

    ধুঁকছে এই কুটির শিল্প (Bengal Industry)

    দক্ষিণ দিনাজপুর ছাড়া মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও কোচবিহারে কিছু তাঁত কল ছিল। ওই জেলাগুলিতেও তাঁতশিল্প উঠে যাওয়ার মুখে। পুরাতন মালদহের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিপাড়ায় এখন মাত্র ২০ থেকে ২৫টি পরিবার তাঁত বুনছেন। গামছা, সাধারণ শাড়িই শুধুই বোনা হচ্ছে (Bengal Industry)। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির দোমহনাতে এক সময়ে অনেক তাঁত কারখানা ছিল। এখন তাঁতিরা পেশা বদল করে অন্য পেশায় ঢুকেছেন। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে মাথাভাঙার নিশিগঞ্জের-বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁতকল ছিল। সেখানেও ধুঁকছে এই কুটির শিল্প। ‘তুফানগঞ্জ হ্যান্ডলুম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সম্পাদক বিবেক দাস বলেন, “পনেরো হাজারের মতো তাঁত শিল্পী ছিল এই মহকুমায়। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা এক হাজারের মতো।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কাজে গিয়ে সিকিমে নিখোঁজ ৫ শ্রমিক, উৎকণ্ঠায় বন্ধ গ্রামের দুর্গাপুজো

    Dakshin Dinajpur: কাজে গিয়ে সিকিমে নিখোঁজ ৫ শ্রমিক, উৎকণ্ঠায় বন্ধ গ্রামের দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর সিকিমের একেবারে চিন সীমান্তে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে কাজে গিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) পাঁচজন শ্রমিক এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ। উৎকণ্ঠায় ওই পরিবারগুলিতে উনুন পর্যন্ত জ্বলছে না। তাই পুরো গ্রাম ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে চেয়ে, এবারে গ্রামের দুর্গাপুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এবারে পুজো নেই বালুরঘাট ব্লকের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী অধ্যুষিত পশ্চিম কৃষ্ণপুরে।

    বন্ধ দুর্গা পুজো

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) ব্লকের ভেরেন্ডা মোড় হয়ে বোল্লা যাওয়ার পকেট রুট ধরে এগিয়ে যাওয়ার পর, একেবারে ফাঁকা মাঠের মাঝখান দিয়ে ঢালাই রাস্তা চলে গিয়েছে, একেবারে দ্বীপের মতো পশ্চিম কৃষ্ণপুর গ্রামে। ছোট্ট ওই গ্রামে প্রতিটি বাড়ি যেন একে অপরের সাথে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বারোয়ারি কমিটির মাধ্যমে লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতীপুজো, কালীপুজো, দুর্গাপুজোয় একসাথে ওই গ্রামের মানুষ আনন্দ করে। প্রথমে, এবারের দুর্গাপুজো ছোট করে হলেও গ্রামের সকলে একসঙ্গে মিলেমিশে আয়োজন করবে বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু আচমকা সিকিমের বন্যা যেন তাঁদের সব আয়োজন লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। একই গ্রামের পাঁচ জন শ্রমিক, সিকিমের ভয়াবহ বন্যার দিনের পর থেকে নিখোঁজ হয়ে রয়েছেন। আর তাঁদের দুশ্চিন্তায় পরিবারদের খাওয়-দাওয়া প্রায় উবে গিয়েছে। সেই সঙ্গে চরম উৎকণ্ঠায় গোটা গ্রাম।

    উৎকণ্ঠায় পরিবার

    এদিন গ্রামে (Dakshin Dinajpur) গিয়ে দেখা গেল, গৃহবধূ সুজাতা বেসরার এক বছর বয়সী পুত্র সন্তানকে কোলে নিয়ে, কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর স্বামী বোদন সরেন ও ছেলে বিক্রম সরেন একসাথে কাজে গিয়ে ছিলেন সিকিমে। দুজনেই বর্তমানে নিখোঁজ। দুশ্চিন্তায় পরিবার।

    সুজাতার দিদি ছবি বেসরা বলেন, “আমাদের বাড়িতে উনুন জ্বলছে না কয়েকদিন ধরে। রাতে ঘুমায় না কেউ। শুধু কান্না করে করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সকলে। কিছুতেই ওঁদের বোঝানো যাচ্ছেনা। আমার একমাত্র যুবক ছেলে নয়ন মার্ডিও নিখোঁজ। তার বাবা বিষন মার্ডি যেন পাগল হয়ে গিয়েছেন।”

    ৮ মাসের গর্ভবতী শিউলি সরেনর স্বামী জয়ন্ত মূর্মুও নিখোঁজের। তিনি ইতিমধ্যেই শিলিগুড়ি রওনা হয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বামীর খোঁজে। আবার পাশের বাড়ির সুজয় টুডুও নিখোঁজ। সুজয়ের স্ত্রী আরবিন সরেনও শিলিগুড়ি গিয়েছেন। গ্রামের প্রায় সব পরিবারেই উৎকণ্ঠা। ওই নিখোঁজরা ভালোভাবে ফিরে আসুন, এটাই চায় সকলে।

    দুশ্চিন্তার মধ্যে পুজো কীভাবে সম্ভব?

    গ্রামের (Dakshin Dinajpur) একমাত্র সরকারী কর্মী বাবলু সরেন বলেন, “গত সেপ্টেম্বর মাসের ২২ তারিখে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার ২৭ জন শ্রমিক একসাথে শিলিগুড়ির এক ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে উত্তর সিকিমের জিরো পয়েন্ট এলাকায় কাজে গেছিল। তাঁদের সেখানে ভারতীয় সেনার হয়ে চীন সীমান্তে বাঙ্কার নির্মাণের কাজ করানো হচ্ছিল। গত ৪ অক্টোবর সিকিমের ভয়াবহ বন্যার পর থেকে সকল শ্রমিকরা নিখোঁজ। এর মধ্যে আমাদের গ্রামের পাঁচজন রয়েছেন। এই প্রতিটি পরিবারই প্রবল দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। প্রায় প্রতিটি পরিবারের সদস্যরাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা গ্রামবাসীরা সকলেই তাঁদের পাশে রয়েছি। তাই এবারে আমরা পুজো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি ষষ্ঠির আগের দিনও সুস্থ ভাবে বাড়ি ফিরে আসে, তাহলে আমরা ফের দুর্গাপুজোয় ঝাপিয়ে পড়ব। কিন্তু বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে পুজো করা কি সম্ভব?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2023: নতুন বউ দেখতে নয়, সেদিন গ্রামের লোক ভিড় জমিয়েছিল রেডিওয় মহালয়া শুনতে!

    Mahalaya 2023: নতুন বউ দেখতে নয়, সেদিন গ্রামের লোক ভিড় জমিয়েছিল রেডিওয় মহালয়া শুনতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিয়ের পর গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির ভিতর থেকে বেজে উঠেছিল ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জির…’। পাঁচ দশক আগে মহালয়ার এই সুর শুনে ছুটে এসেছিলেন গ্রামের আট থেকে আশি। সেই সময় বাড়ির নতুন বউ দেখতে কেউ আসেননি। এসেছিলেন আকাশবাণীর বেতর তরঙ্গে মহালয়া (Mahalaya 2023) শুনতে আলিপাত্রর বাড়িতে। একথা মনে পড়লে এখনও মনের মধ্যে যেন কিছুটা আক্ষেপ হয় বৃদ্ধা মালতিদেবীর।
     
    শুনুন সেদিনকার কথা
     
    প্রায় ৬০ বছর আগের কথা। মালতি আলিপাত্র বিয়ে করে ঘর বেঁধেছিলেন নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের শীতল গ্রামে। বিয়ের যৌতুক হিসাবে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলেন একটি রেডিও। মহালয়ার ভোরে সেই রেডিও থেকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে ভেসে এসেছিল ‘আশ্বিনের শারদ প্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির…’। এই সুর শুনেই আলিপাত্র’র বাড়িতে ছুটে এসেছিলেন গ্রামের আবালবৃদ্ধ। অবস্থাপন্ন সেই বাড়িতে তখন পা রাখার জায়গা নেই। মালতিদেবীর আক্ষেপ, “আমি সে সময় নতুন বউ হয়ে বাড়িতে এসেছি। কিন্তু গ্রামের কেউ আমাকে দেখতে আসেননি। এসেছিলেন রেডিওতে মহালয়ার (Mahalaya 2023) গান শুনতে। কারণ তখন গ্রামে রেডিও বলতে শুধু আমাদের বাড়িতেই ছিল।” এরপর থেকে শুধু মহালয়ার দিনই নয়, রেডিওতে খবর, যাত্রা শুনতেও ভিড় জমাতেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানের কারণে রেডিওর চল কমেছে। এখন ইন্টারনেটের যুগে হাতের মুঠোয় দুনিয়া। ইউটিউবে গেলে পুজোয় নয়, সব সময়েই মহালয়ার সুর ভেসে আসে। ফলে বাড়িতে রেডিও বাজালে নাতি-নাতনিরা বন্ধ করে দেয়। তবে মহালয়ার (Mahalaya 2023) ভোরে রেডিওর কদর আজও বেড়ে যায়”।
     
    অধিকাংশ রেডিওর ঠাঁই এখন মিউজিয়ামে 
     
    শুধু মহালয়া নয়, মালতি দেবী আজও নিয়মিত রেডিওতে খবর শোনেন। তবে এখন আর ভিড় করেন না গ্রামবাসীরা। এখন মালতি দেবী এবং তাঁর বাপের বাড়ি থেকে দেওয়া রেডিও একাকি দিন কাটান। তবে মহালয়ার দিন (Mahalaya 2023) কাছে এলেই মুখে হাসি ফোটে রেডিও মেরামতের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের। গ্রামের রেডিও কারিগর নারায়ণ দত্ত বলেন, “মোবাইলের যুগে রেডিও এখন অতীত। গ্রামে দু-একটা রয়েছে। সেগুলো মহালয়ার আগে মেরামতের জন্য আমাদের কাছে আসে। তবে এখন রেডিওর সব যন্ত্রাংশ পাওয়া যায় না। ফলে অধিকাংশ রেডিও এখন মিউজিয়ামে ঠাঁই করে নিয়েছে”।
     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: পাহাড়ে অনলাইনে হোটেল বুক করে পর্যটক দেখছেন, তার অস্তিত্বই নেই!

    Darjeeling: পাহাড়ে অনলাইনে হোটেল বুক করে পর্যটক দেখছেন, তার অস্তিত্বই নেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে হোটেল বুক করে এসে পর্যটকরা দেখছেন, তাঁদের নামে সেই হোটেলে কোনও বুকিং হয়নি। আবার কোনও ক্ষেত্রে সেই হোটেলের অস্তিত্বই নেই। গত ১০ মাসে দার্জিলিং জেলা পুলিশে মোট পাঁটশোরও বেশি এ ধরনের প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারপরেও এই প্রতারণা বন্ধ হয়নি। অভিযোগকারীদের অধিকাংশই টাকা ফেরৎ পাননি। এই সাইবার ক্রাইম প্রতারণা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

    প্রতারিত পর্যটকদের অভিজ্ঞতা

    অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে এম ভিট্টাল নামে এক ব্যক্তি গত ২৩ জুন দার্জিলিং (Darjeeling) ও গ্যাংটক ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন। গুগল সার্চের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তিনি ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রতারিত হন। এনিয়ে তিনি গত ১৩ জুন অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল রায় নামে এক ব্যক্তি ফোনে যোগাযোগ করার পর হোয়াটসঅ্যাপে সব কিছু আদান-প্রদান হয়। তারপর তার কথামতো একটি ব্যাঙ্কে ফোন-পে করে তাকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জমা করি। তার সব প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার সাত দিন পর তার ফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি। এসএমএসেরও কোনও উত্তর মেলেনি। 

    গত ২৩ সেপ্টেম্বর এরকমই প্রতারণার অভিযোগ করেন তানিয়া সুলতানা। তাঁর অভিযোগ, গুগল সার্চ করে দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) হোটেল বুক করেছিলাম। সেই মতো ফোন-পে’তে টাকা পাঠাই। কিন্তু সপরিবারে দার্জিলিঙে এসে দেখি আমাদের নামে কোনও হোটেল বুকিং হয়নি। একের পর এক অভিযোগ জমা পড়লেও পুলিশ এর কুলকিনারা করতে পারেনি। এতে দার্জিলিঙে ঘুরতে আসা নিয়ে বাইরের পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যা দার্জিলিংয়ের পর্যটন ব্যবসাকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটররা। পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকায় কার্যত তারা হতাশ।

    কী  বলছে পুলিশ প্রশাসন (Darjeeling)

    দার্জিলিং জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ প্রকাশ বলেন, বিভিন্ন সময়ে পর্যটকদের অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় হোটেল, রিসর্ট মালিকদের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনায় বসে অ্যাপ ও কিউ আর কোড চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তা কার্যকর করা হয়েছে। এই অ্যাপ এবং কিউআর কোডের সাহায্যে গুগল সার্চে গিয়ে পর্যটকরা দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে গাড়ির যাবতীয় তথ্য ও সহযোগিতা পাবেন। যে কোনও সমস্যায় প্রশাসনের সহযোগিতাও পাবেন পর্যটকরা।

    আশার আলো দেখছেন না ট্যুর অপারেটররা 

    হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, অ্যাপ ও কিউআর কোডের সাহায্যে পর্যটকরা হোটেল সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবেন। এ ধরনের অ্যাপে পর্যটকদের (Darjeeling) সঙ্গে প্রতারণার ঘটনা বন্ধ হবে না। সাইবার ক্রাইম শাখাকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share