Tag: Bengali news

Bengali news

  • Durga Puja 2023: আসানসোল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আগুরিপাড়ার ৯টি দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: আসানসোল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আগুরিপাড়ার ৯টি দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এখানকার একটি গ্রামের বহু পুরনো দুর্গাপুজোর ইতিহাস (Durga Puja 2023)। আসানসোলেরই গ্রাম আগুরিপাড়ার দুর্গাপুজো তারই সাক্ষী হয়ে রয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, আসানসোল গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা নকড়ি রামকৃষ্ণ রায় এইসব দুর্গাপুজোর পত্তন করেন। আগুরিপাড়ায় মোট ৯টি দুর্গাপুজো হয। যার মধ্যে আটটিতে হয় মূর্তি পুজো এবং একটিতে হয় ঘট পুজো। বলা হয়, আসানসোল শহরের প্রথম জনবসতি এই আগুরিপাড়া। ২৮৯ বছর ধরে এখানে পুজো হয়ে আসছে।

    পুজোর সঙ্গে প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের যোগ (Durga Puja 2023)

    এই পুজো শুরুর সঙ্গে রয়েছে আসানসোল প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের যোগ। কাশিপুরের রাজা সম্পত্তি, জমি এবং গাছপালা রক্ষা করতে নকড়ি রামকৃষ্ণ রায়কে পাঠিয়েছিলেন এখানে। তারপরে তাঁরা আসানসোল গ্রামে বসতি শুরু করেন। সেখানে আসান গাছের আধিক্য থাকায়, নাম হয় আসানসোল। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় এই দুর্গাপুজো। তিনি দুটি দুর্গা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বড় এবং মেজ। সেখান থেকেই পরে আরও পুজোর সূচনা হয়। দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) সময় আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন আসানসোলের বাসিন্দারা। দেখার মতো হয় দোলা বিসর্জন। একসঙ্গে নটি দুর্গা মন্দিরের দোলা একত্রিত হয় নানান বাজনার মাধ্যমে এবং সিঁদুর খেলে রাম শায়রে যায়। এক সময় পুজোয় মহিষ বলি করা হত। সময় বদলেছে, এখন পাঁঠা বলি করা হয়।

    দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন হয় দেখার মতো (Durga Puja 2023)

    এখানকারই একটি পুজোর কোষাধ্যক্ষ শ্রীকান্ত রায় বললেন, যখন বর্গি হানা হয়েছিল, তখন নকড়ি রামকৃষ্ণ রায় এদেরকে রুখে দিয়েছিল। সেই থেকে আমরা উগ্র ক্ষত্রিয় নামে পরিচিত। তিনিই জমিজমা, সম্পত্তি দিয়ে আমাদের এখানে বসবাস শুরু করান। এখানে যত ঠাকুর-দেবতা আছে, যেমন ঠাকুর বুড়ি, শিব মন্দির বা মা কালী, ন’টি দুর্গা প্রতিমা, সব উনিই তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। তখন থেকেই আমাদের পুজোর সৃষ্টি। তারপর থেকেই আমাদের দাদুরা বা পূর্ব পুরুষরা এই পুজো করে আসছেন। এখানে ৯ টি পুজো হয়। তার মধ্যে একটিতে ঘট পুজো হয়। বড় মা, সেজ মা, ছোট মা এইভাবে আমরা নাম দিয়েছি। এখানে কোনও চাঁদা তোলা হয় না। দুর্গা মায়ের যে সম্পত্তি (পুকুর ইত্যাদি) আছে, তা থেকেই এইসব পুজোর অনুষ্ঠান করা হয়। এখন আরও জাঁক জমক করে হচ্ছে। রাম শায়রে নব পত্রিকা আনতে যায় পুরো গ্রাম। কয়েক হাজার লোক হয়। দশমীর দিনও প্রতিমা বিসর্জন হয় দেখার মতো (Durga Puja 2023)। ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ জমা হন। হয় আতশবাজির প্রদর্শনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Top 100 Richest: ফোবর্স র‍্যাঙ্কে ভারতের ১০০ জন ধনীদের মধ্যে নতুন তিন ধনবানের প্রবেশ

    Top 100 Richest: ফোবর্স র‍্যাঙ্কে ভারতের ১০০ জন ধনীদের মধ্যে নতুন তিন ধনবানের প্রবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফোবর্স ভারত ২০২৩ সালের ১০০ জনের ধনীর (Top 100 Richest) তালিকা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে তিনজন নতুন ধনবান ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে। এই তিনটি গ্রুপ হল এশিয়ান পেন্টসের দানি পরিবার, রেনুকা জাগতিয়ানির ল্যান্ডমার্ক গ্রুপ, কেপি রামস্বামী এবং কেপিআর মিল পরিবার। উল্লেখ্য, ফোবর্স ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অশ্বিন দানির মৃত্যুর সময় মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৮ বিলিয়ন। মার্চ শেষে আর্থিক বছরের এশিয়ান পেইন্টস ৪.১ বিলিয়ন আয়ের কথা জানিয়েছে। এই আয় পূর্বের আয়ের থেকে ১৯ শতাংশ অধিক বলা হয়েছে। 

    এশিয়ান পেইন্টে্স দানে পরিবার

    মুম্বাইয়ের দানি পরিবার ২০২৩ সালে ৮ বিলিয়ন সম্পত্তির পরিমাণের হিসেবে ধনীদের মধ্যে ২২ তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁদের এই সাফল্য অত্যন্ত অভূতপূর্ব। এই দানি পরিবারের সাফল্যের মূল কাণ্ডারি ছিলেন অশ্বিন দানি (Top 100 Richest)। তিনি এই এশিয়ান পেন্টসের মহানির্দেশক ছিলেন। গত মাসের ২৮ সেপ্টেম্বরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর সময় পর্যন্ত সংস্থার আয় ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এশিয়ান পেন্টসের এশিয়ার সবথেকে বড় কোম্পানির মধ্যে অন্যতম। বাড়িতে গিয়ে গ্রাহকদের পরিষেবাও দিয়ে থাকেন এই পেন্টসের সংস্থা।

    রেনুকা জাগতিয়ানি ল্যান্ডমার্ক গ্রুপ

    রেনুকা জাগতিয়ানি হলেন ল্যান্ডমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান। এই গ্রুপ হল দুবাই কেন্দ্রিক সংস্থা। এই বছর ভারতীয় ধনীদের (Top 100 Richest) মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নেয় এই গ্রুপ। তাঁদের এই বছর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.৮ বিলিয়ন। ফোবর্স ভারতে তাঁদের র‍্যাঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৪৪ তম। এই বছরের মে মাসে কোম্পানির প্রাক্তন চিয়ারম্যান মুকেশ ওয়াধুমাল মিকি জগাতিয়ানীর মৃত্যুর পর কোম্পানির তালিকায় নাম এসেছে। উল্লেখ্য, এই বছর ফোবর্সের ৩৭ তম বার্ষিক বিশ্ব তালিকায় ৫১১ তম স্থান নিয়েছিল এই সংস্থা। এই সংস্থা গত দুই দশক ধরে কর্পোরেট বাজার তৈরিতে বিশেষ সাফল্য রাখতে পেরেছে। প্রয়োজনীয় বাজার তৈরি করতে বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁরা। এই কোম্পানিতে ৫০০০০ হাজার বেশী কর্মচারীরা কাজ করেন। জাগতিয়ান ১৯৯৩ সালে ল্যান্ডমার্ক গ্রুপে যোগদান করেন। বর্তমানের মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় ১১ টি দেশের ২০০ টির বেশী বিপণন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।

    কেপি রামস্বামী এবং কেপিআর মিল পরিবার

    ২০২৩ সালের জন্য ভারতের ১০০ ধনীর (Top 100 Richest) তালিকায় ১০০ নম্বরে রয়েছে কেপি রামস্বামির পরিবার। টেক্সটাইল এবং চিনি প্রস্তুতকারক হলেন কেপিআর মিল পরিবার। কেপি রামস্বামী পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ২.৩ বিলিয়ন। এই সংস্থা মূলত দক্ষিণ ভারতের কোয়েম্বাটোর ভিত্তিক। চিনি এবং ইথানলের সাথে বুননের পোশাক, তুলো এবং পলিয়েস্টার সুতা তৈরি করে থাকে এই সংস্থা। এছাড়াও, এটি ফাসো ব্র্যান্ডের অধীনে পুরুষদের অভ্যন্তরীণ পোশাক তৈরি করে থাকে। এই কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল। ২০১৩ সালে থেকে চিনি উৎপাদনে বিশেষ বৃদ্ধি লাভ করে। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কোম্পানিটি। বর্তমানে প্রতি বছর ১২৮ মিলিয়ন গার্মেন্টস তৈরি করার কাজ করে থাকে তাঁরা। উল্লেখ্য ফোবর্সের রিপোর্ট অনুসারে তামিলনাড়ুর ইরোডে কেপিয়ার মিলস বার্ষিক ৪২ মিলিয়ন পোশাক উৎপাদন করার ক্ষমতা অর্জন করেছে। এই কোম্পানিতে ৩০০০০ জন মানুষ কর্মী হিসাবে কাজ করেন। যাঁর মধ্যে ৯০ শতাংশ হলেন নারী।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেতার

    Paschim Medinipur: বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত ঘাটালে সাংসদ দেব-এর নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সদস্য শংকর দোলুই। যা নিয়ে জেলা জুড়ে সমস্ত মহলে সমালোচনা চলছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Paschim Medinipur)

    বুধবার বিকেলে ঘাটালে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল হয়। মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিকে আক্রমণ করেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সদস্য শঙ্কর দলুই। গলায় প্রকাশ্যে হুমকি। তিনি বলেন, দলের সাংসদকে নিয়ে বিজেপি যা করেছে তা লজ্জার। সাংসদের নামে এভাবে পোস্টার দেওয়ার বিরুদ্ধে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীরা রাস্তা নেমেছে। ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি রাজ্যকে বঞ্চনা করেছে। আর নয়। এরপর যদি তৃণমূলকে নিয়ে কুৎসা কর, তাহলে এবার বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দিতে বাধ্য হব। আর এই মন্তব্যের পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ঘাটালের একসময়ের দাপুটে এই তৃণমূল নেতা গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে পরাজিত হন। আর  তারপর থেকেই শাসকদলের রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। সম্প্রতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)  জেলা পরিষদের আসনে জয় লাভের পর ফের স্বমহিমায় ফের বিজেপিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও এই বিষয়টিকে কোনওরূপ পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কোপাট বলেন, কেন্দ্র সবসময় উন্নয়নের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের টাকা মেলা-খেলায় নষ্ট করছেন। আমরা চাই, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হোক। আর বিজেপিকে এরকম হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই গত বিধানসভায় এই এলাকার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে। লোকসভা ভোটেও আরও একবার প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaza-Israel conflict: ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে দুই বাঙালি গবেষক, উদ্বিগ্ন পরিবার

    Gaza-Israel conflict: ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে দুই বাঙালি গবেষক, উদ্বিগ্ন পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজরায়েলে, উগ্র জঙ্গী সংগঠন হামাসের আচমকা হামলায় বহু মানুষ রাতারাতি অকাতরে প্রাণ হারিয়েছেন। এই গণহত্যা ও আক্রমণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। হামাসের উপর, ইজরায়েলের পালটা জবাবে কার্যত পশ্চিম বিশ্ব রণক্ষেত্রে (Gaza-Israel conflict) পরিণত হয়েছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়েছেন বাংলার ধনেখালির এক গবেষক। তাঁর পরিবারের মধ্যে তীব্র উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে আটকে পড়েছেন উত্তরপাড়ার এক গবেষক দম্পতি। পরিবারের বাবা মা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কবে বাড়ি ফিরবেন! আতঙ্কে প্রহর গুনছেন পরিবার।

    যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আটক ধনেখালির গবেষক (Gaza-Israel conflict)

    সূত্রে জানা গেছে, সাইরেন বাজলেই শেল্টার হোমে ঢুকে পড়তে হচ্ছে। যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়েছেন বাঙালি গবেষক সৌরভ কুমার। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার ধনেখালির ভাণ্ডারহাটিতে। ইজারায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নায়ু বিজ্ঞান অ্যালজাইমার রোগ নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। গত তিন বছর সেখানকার বাণিজ্য নগরী তেল আভিভে থাকছিলেন তিনি। এদিকে স্ত্রী অনিন্দিতা, নিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছেন স্বামীর সঙ্গে। সৌরভ জানিয়েছেন “বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আপাতত থাকছি। হামাসের জঙ্গিরা যখন তখন ঢুকে হামলা চালাচ্ছে (Gaza-Israel conflict)। অনেক বাঙালি এখনে আটকে রয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে। কানে ভেসে আসছে বর্ষণের শব্দ। তীব্র আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।

    অপর দিকে সৌরভের স্ত্রী বলেছেন, “পুজোর আগেই বাড়িতে আসার কথা ছিল, কিন্তু এই যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। অত্যন্ত উচাটনের মধ্যে রয়েছি। কবে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারবো, তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে।”

    শুকনো জল খাবার খেয়ে আতঙ্কে উত্তরপড়ার দম্পতি

    ইজরায়েলের হাইফা শহরে থাকতেন উত্তর পাড়ার দম্পতি সমোদয় হাজরা এবং স্ত্রী জয়িতা দত্ত হাজরা। সমোদয় হাজরা নিজে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে গবেষণা করতেন। তাঁর স্ত্রী আইআইটিতে গবেষণা করতেন। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে, নাম সিন্ধিয়া। মেয়ে-স্ত্রীকে নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সমোদয়। তবে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রয়েছে। এই শহরে যুদ্ধের (Gaza-Israel conflict) তেমন আঁচ এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। শহরের স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। যুদ্ধের পরিস্থিতির সম্পর্কে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে বলেন, “আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় খবার মজুত করে রাখা হয়েছে। ধ্বনি বাজলেই বাঙ্কারের মধ্যে ঢুকে পড়তে হচ্ছে। এই বছর কালী পুজোতে দেশে ফেরার কথা ছিল, সেই অনুযায়ী টিকিটও কাটা হয়েছিল। কিন্তু আচমকা যুদ্ধের (Gaza-Israel conflict) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে পড়েছে।”

    যদিও সমোদয়ের বাবা উদয়শঙ্কর হাজরা গত দুই সপ্তাহ আগেই ইজরায়েল থেকে ফিরেছেন। তিনি বলেন, “ওদের বলা হয়েছে জামা কাপড় শুকনো খবার নিয়ে প্রস্তুত থাকতে। এলাকা নিরাপদ হলেও পরিস্থিতি যে কোনও সময় বদলে যেতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে আসার জন্য কথা বলেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: রাত জেগে ঠাকুর দেখা, চোখে নেই ঘুম! শরীর ঠিক রাখতে কী করবেন?

    Durga Puja 2023: রাত জেগে ঠাকুর দেখা, চোখে নেই ঘুম! শরীর ঠিক রাখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব চলছে! পাড়ার গলি থেকে রাজপথ, আলোয় সেজে উঠেছে চারপাশ! রাত বাড়লেই যেমন আলোর রোশনাই বাড়ছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভিড়! ছোট থেকে বড়, সব বয়সীরাই ভিড় ঠেলে এক প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেল যাচ্ছেন (Durga Puja 2023)। আর রাত থেকে ভোর হচ্ছে! রাত জেগে দুর্গা ঠাকুর দেখা এখন পুজোর আরেক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সারা রাত জেগে থাকা, আসলে কতখানি বিপজ্জনক? শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? চিকিৎসকরা কিন্তু জানাচ্ছেন, উদযাপনের জোয়ারে সতর্কতা জরুরি। তা না হলে পুজোর চারদিনের এই লাগামছাড়া আনন্দের মাশুল গুনতে হবে বছরভর!

    কোন ধরনের সমস্যার ইঙ্গিত করছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাত জেগে থাকা একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। শরীরের প্রয়োজন নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম। যেমন শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মমাফিক খাবার, পরিমাণমতো জল জরুরি, তেমনি সময় মতো ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই পুজোর (Durga Puja 2023) সময় রাতভর ঠাকুর দেখেন। ফলে, শরীর প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। এর ফলে একাধিক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। শরীরে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্নায়ুর কার্যশক্তি কমে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখলে একদিকে যেমন ক্লান্তি গ্রাস করে, তেমনি কাজ করার শক্তি কমে। পাশপাশি, মস্তিষ্কের সক্রিয়তাও কমে। ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকতে পারে না। কারণ, রাতে ঘুমের সময়েই আমাদের মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মানুষের স্মৃতিশক্তিকেও বাড়িয়ে দেয়। রাতে অন্তত সাত-আট ঘণ্টা না ঘুমোলে মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না।
    রাত জেগে ঘোরার (Durga Puja 2023) জেরে ত্বকের একাধিক সমস্যা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমোলে ত্বকের বিশ্রাম হয়। যা অত্যন্ত জরুরি। চোখের নীচের কালো দাগ কমানো, ত্বক খসখসে না হতে দেওয়া কিংবা চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যা এড়াতে নিয়ম করে ঘুমোনো জরুরি। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখা ত্বকের সমস্যা বাড়াতে পারে। 
    সারা রাত জেগে থাকলে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে কিডনি আর লিভারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর সময় রাত জেগে শুধু প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেলে ঘোরা হয় না। অধিকাংশের চলে রাতভর ভুরিভোজ। অনেকেই গভীর রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া নানান খাবার খান। ফলে, হজমের সমস্যা দেখা দেয়। একদিকে পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি, আরেকদিকে অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার লিভার এবং অন্ত্রে চাপ তৈরি করে। ফলে, নানান জটিল রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি সময় মতো না ঘুমোলে অন্ত্রের কার্য শক্তি কমে। ফলে, পেটের একাধিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Durga Puja 2023) 

    পুজোর চার দিন একটানা কখনই রাত জাগার পরিকল্পনা করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। নানান হরমোন ভারসাম্য হারবে। ফলে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। একদিনের বেশি পুরো রাত জেগে ঠাকুর দেখার (Durga Puja 2023) পরিকল্পনা বছরভর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরির কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শরীর যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, সে দিকে নজর রেখে উৎসবের পরিকল্পনা করতে হবে। রাত জেগে ঠাকুর দেখলে খাবারে বাড়তি নজর দিতে হবে। রাত দশটার পরে একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া চলবে না। হালকা খাবার খেয়ে একদিন রাত জাগা যেতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পাশপাশি জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। রাত জাগলে হজমের সমস্যা এড়াতে ও ত্বক সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত পরিমাণ জল খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Health: মনের অসুখ জানাতে হাতের কাছেই রয়েছে ‘টেলি-মানস’! সক্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    Mental Health: মনের অসুখ জানাতে হাতের কাছেই রয়েছে ‘টেলি-মানস’! সক্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ নিরাময় অনেক দূরের পথ! রোগ আদৌ আছে কি! সে খবর জানার পথ সবচেয়ে কঠিন। কিন্তু এই পথ পেরতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও অন্ধকার সময় আসতে পারে, এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ভারতের প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার প্রত্যেক ভারতীয়ের মনের হদিশ (Mental Health) জানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    কী বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? 

    সম্প্রতি মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) সচেতনতা দিবস উদযাপন হল। সেই উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয়রা যাতে যে কোনও মানসিক সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি জানাতে পারেন, বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে পারেন, তার জন্য সহজ এক পদ্ধতি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে টেলি মানস। যার সাহায্যে ভারতীয়রা তাঁদের মানসিক রোগ সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন।

    টেলি-মানসের কাজ কী? (Mental Health)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস (নিমহ্যান্স)-এর তত্ত্বাবধানে দেশ জুড়ে ২৩টি কেন্দ্র চালু হয়েছে। যে কোনও মানসিক সমস্যা নিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে এই সব কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যাবে। সেখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়া যাবে। ফলে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সামাজিক ছুৎমার্গ কাটবে। পাশপাশি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হবে। টেলি মানস (Tele Manas) এক ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম। ভারতের যে কোনও প্রান্ত থেকে টেলি মানসে ফোন করে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা যাবে।

    কেন জরুরি হয়ে উঠছে এই ধরনের পরিষেবা? 

    দেশ জুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) পরিষেবা সুনিশ্চিত করা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, ভারতে মানসিক রোগ ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ ভারতীয়র মানসিক রোগের চিকিৎসা হয় না। কোথায় কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে হবে, কোথায় সুচিকিৎসা পাওয়া যাবে, এমনকি কার চিকিৎসার প্রয়োজন, সে সম্পর্কেও অধিকাংশ ভারতীয়র ধারণা নেই। এর ফলে, ভারতীয়দের মধ্যে মানসিক রোগ নিয়ে যেমন নানান সামাজিক ছুৎমার্গ তৈরি হয়, তেমনি রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা হয় না। এর ফলে, মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর তার জেরে সিজোফ্রেনিয়া, আত্মহত্যা, অবসাদের মতো একাধিক রোগ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মানসিক রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হলে, প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হবে। আর টেলি মানসের মতো প্রযুক্তি থাকলে, সেই কাজ সহজ হবে। পাশপাশি রোগ নির্ণয় করে থামলেই চলবে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো জরুরি। অবসাদ, চাপের মতো মানসিক রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে কমে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু রোগ লুকিয়ে রাখলে, চিকিৎসা না হলে, পরিণতি হয় ভয়ানক। তাই যেভাবে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ টেলি-মানস করছে, তা এ দেশে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: সিউড়ির বসাক বাড়িতে দেবী মনসার পুজো শেষ করে তবেই শুরু হয় দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: সিউড়ির বসাক বাড়িতে দেবী মনসার পুজো শেষ করে তবেই শুরু হয় দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের সিউড়ি শহরের বুকে বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজোগুলির (Durga Puja 2023) মধ্যে অন্যতম সিউড়ির বসাক বাড়ির দুর্গাপুজো। শহরের ঐতিহ্যপূর্ণ পুজোর মধ্যে এটি একটি। সব থেকে নজর কাড়ে যে বিষয়টি, সেটি হল এই দুর্গাপুজো মানেই দুই বাংলার মিলন ক্ষেত্র। এর রীতিনীতি পালিত হয়ে আসছে ওপার বাংলার রীতিনীতি মেনেই। পঞ্চমীর দিন থেকেই শুরু হয়ে যায় পুজো।

    কত বছরের পুরনো এই দুর্গাপুজো? কী এর ইতিহাস?

    আনুমানিক কত বছরের পুরনো এই বসাক বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023), তা এখনও সঠিক জানা যায়নি। সিউড়িতে বসাক বাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয় বসাক পরিবারের তৎকালীন প্রধান যামিনী বসাকের হাত ধরে। আজ এই পুজোর ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলেছেন তাঁরই বংশধররা। পরিবারের বর্তমান সদস্য মৌমিতা বসাক জানান, এই পুজোর ইতিহাস বহু বছরের পুরনো। এটি শুরু হয় প্রথমে বাংলাদেশের ঢাকার ধামরাই গ্রামে। পঞ্চমীর দিন থেকেই পুজো শুরু হয়ে যেত, এখনও সেটাই হয়ে আসছে। আগে মাটির মূর্তিতে পুজো হলেও বর্তমানে দেবীর চিরস্থায়ী পিতলের মূর্তিতেই তা হয়ে থাকে। পাঁচদিন ধরে চলত পুজো। আর দশমীতে বিসর্জন করা হত (Durga Puja 2023)। সময় বদলের সাথে সাথে বাংলাদেশের এই পুজোর স্থানও পরিবর্তিত হয়েছে। দেশ ভাগের পর ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় চলে আসেন বসাক পরিবারের তৎকালীন সদস্যরা। আর পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার সিউড়িতে আবার নতুন করে শুরু হয় বাংলাদেশের ধামরাই গ্রামের সেই ঐতিহ্যবাহী পুজো। কিন্তু রীতিনীতিতে কোনও ভেদাভেদ হয়নি আজও। সেই পুরনো নিয়ম ধরে আজও পুজো হয় বসাক বাড়িতে। বাংলাদেশের সেই ধামরাই গ্রামের দুর্গা বেদির আদলেই তৈরি হয়েছে সিউড়ির বসাক বাড়ির দুর্গা বেদি। আর যে মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে, সেটি হুবহু বাংলাদেশের পুরনো মন্দিরটির আদলেই। সামনে আছে একটি বিশাল নাট মন্দির।

    আগেই দেবী মনসার পুজো

    সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি রীতিতে এখানে পুজো শুরু হয়। বসাক পরিবার যখন দেশভাগের সময় এপার বাংলায় আসে, তখন সঙ্গে করে নিয়ে আসে তাদের পূজিতা দেবী মনসার ঘট। আর সেই ঘটকে এই মন্দিরেই প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই থেকে আজও দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশের মন্দিরের মতোই পঞ্চমীর দিন সর্বপ্রথম দেবী মনসার পুজো শেষ করে দুর্গাপুজো আরম্ভ হয়। পুজোর পাঁচটি দিন বীরভূমের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের সমাগম ঘটে এই বসাক বাড়িতে। আগে বাংলাদেশ থেকে বসাক বাড়িতে পরিচিতরা এলেও এখন আর কেউ আসেন না বলেই জানান পরিবারের সদস্যরা। পুজোর কটা দিন আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই। দিন বদল হলেও আজও সেই ঐতিহ্য বহন করে নিয়ে চলেছে এই বসাক বাড়ির প্রাচীন পুজো (Durga Puja 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pithoraghar: দেবভূমি পিথরাগড়ে পুজো দিয়ে একাধিক জনমুখী প্রকল্প উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি

    Pithoraghar: দেবভূমি পিথরাগড়ে পুজো দিয়ে একাধিক জনমুখী প্রকল্প উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভোরে উঠেই উত্তরাখণ্ডে পৌঁছে গেলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ পুজো দেবেন পিথরাগড়ের (Pithoraghar) আদি কৈলাশ এবং যোগেশ্বর ধামে। সকালে মা পার্বতীর মন্দির ধামে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় ধ্যানে বসলেন তিনি। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের লোকসভার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কথা ঘোষণা এবং উদ্বোধন করবেন মোদি।

    উত্তরাখণ্ড সফর মোদির (Pithoraghar)?

    প্রধানমন্ত্রী আজ উত্তরাখণ্ডে (Pithoraghar) গিয়ে মন্দির ধামে পুজো দিয়ে বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪২০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্পের সূচনা করবেন মোদি। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৭৬ কোটি টাকার গ্রামীণ রাস্তা, ২৫ টি সেতু। রাজ্যের মধ্যে ১৫টি ব্লকে বিডিও অফিসের উদ্বোধন করবেন তিনি। সেই সঙ্গে রয়েছে আকর্ষণীয় আরও কিছু জনমুখী প্রকল্প। লোকসভা ভোটের আগে উত্তরাখণ্ডে মোদি এখন কল্পতরু বলে মনে করছেন রাজ্যের একাংশের মানুষ।

    মোদি কি বলেন?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে (Pithoraghar) যাওয়ার কথা নিজের এক্স ট্যুইটারে ট্যুইট করে বলেন, “দেবভূমি উত্তরা খণ্ডে যাচ্ছি, এই পাহাড়ি রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার দৃঢ় প্রতিবদ্ধ। ঘোষণা হবে বেশ কিছু সরকারি প্রকল্প। দেবদর্শন এবং পূজাপাঠের মধ্যে দিয়ে আজকের দিনটি কাটবে।”

    গুরুত্ব পাবে মূর্তি শিল্প 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে পার্বতী কুণ্ড মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর, মোদি মন্দিরে বেশ সময় ধ্যান করেন। যোগেশ্বর ধাম দর্শন নিয়ে বেশ উৎসাহী ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে দেশের কোনও প্রধানমন্ত্রী এই মন্দিরে প্রবেশ করেননি। তিনি পৌঁছে ঠাকুরের কাছে পুজো দিয়ে মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেছেন। এরপর সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে পিথরাগড়ের গুঞ্জ গ্রামে (Pithoraghar) পৌঁছান মোদি। স্থানীয় এই এলাকার অনেক মানুষ তামা দিয়ে মূর্তি তৈরির কাজ করে থাকেন। স্থানীয় মানুষের পেশা এবং শিল্প কর্মের প্রধান কাজ হল ধাতব মূর্তি নির্মাণ শিল্প। এরপর তিনি একটি প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। আজ এখানে তাঁকে তামার তৈরি মূর্তি উপহার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। মোদির এই যাত্রায় মূর্তি শিল্প আরও উজ্জীবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে দেবভূমিতে ভক্ত সমাগম আরও বৃদ্ধি পাবে। 

    এছাড়াও ইন্দো-তিব্বত সীমান্তে ইন্দো-তিব্বত পুলিশ এবং সীমান্ত সড়ক সংস্থার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী চম্পাওয়াতে একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের বিশেষ ব্লক, নৈনিতালের হলদওয়ানি স্টেডিয়ামে অ্যাস্ট্রোটার্ফ হকি গ্রাউন্ড এবং রুদ্রপুরে একটি ভেলোড্রোম স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সাত সকালে মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় হানা দিল ইডি

    ED: সাত সকালে মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-সিবিআই একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। পুরমন্ত্রী থেকে খাদ্যমন্ত্রী সকলের বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বৃহস্পতিবার সাত সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিল ডিয়ার লটারির উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের প্রিন্টিং অফিসে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তিনটি গাড়িতে করে পৌঁছান মাইকেল নগরে। সকাল আটটা থেকে চলছে মাইকেলনগরের অফিসে তল্লাশি। এদিন দুপুরে এখনও পর্যন্ত তল্লাশি জারি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। ইডি (ED) ও সিবিআই এর আগেও এই সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছিল উদ্ধার হয়েছিল বেআইনি কোটি কোটি টাকা। সংস্থার কর্ণধারদের দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার ডিয়ার লটারির অফিসে তল্লাশি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বেশ কিছু প্রশ্ন।

    কেন হানা? (ED)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ইডি (ED) আধিকারিকরা শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সহ পাঁচ জায়গায় হানা দেয়। তালিকায় রাইস মিলও ছিল। মূলত, এই দুর্নীতির টাকা এসব জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে বলে তদন্তকারীদের হাতে তথ্য প্রমাণ এসেছে। সেই তথ্য প্রমাণ কতটা সঠিক তা খতিয়ে দেখতেই তদন্তকারীরা এই হানা দেয়। এবার মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় ইডি হানা দেয়। এমনিতেই ডিয়ার লটারির টাকা গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। একজনের কাছে সেই টাকা কিনেছিল বলে জলঘোলাও হয়েছিল। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক অনেক তথ্য হাতে পেয়েছে। তবে, কেষ্ট ছাড়াও একাধিক তৃণমূল নেতার অ‍্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। কারও কারও অ‍্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা হয়েছে। ইডির সন্দেহ  লটারির সঙ্গে এই কারখানায় ছাপা লটারির যোগসূত্র আছে। তার তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় ইডি অফিসাররা তল্লাশি চালাচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: আসানসোলের গ্রামে সুপ্রাচীন ‘আদি দুর্গাপুজো’ চলে টানা ১৫ দিন ধরে!

    Durga Puja 2023: আসানসোলের গ্রামে সুপ্রাচীন ‘আদি দুর্গাপুজো’ চলে টানা ১৫ দিন ধরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আকাশে বাতাসে পুজোর ছোঁয়া। দেবীপক্ষ শুরুর অপেক্ষায় মানুষ। তার মধ্যে শুরু গেল দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। আসানসোলের গাড়ুই গ্রামে শুরু হয়ে গেল আদি দুর্গাপুজো। টানা ১৫ দিন ধরে চলবে এই পুজো। এমনই রীতি চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কৃষ্ণ পক্ষের নবমী থেকে গাড়ুই গ্রামে এই পুজো শুরু হয়। পুজো চলে মহা নবমী পর্যন্ত।

    গ্রামের সবচেয়ে প্রাচীন পুজো (Durga Puja 2023)

    কয়েক শতাব্দী ধরে এই পুজো চলে আসছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা অনিমেষ মুখার্জি বলেন, এটি গ্রামের সবচেয়ে প্রাচীন পুজো (Durga Puja 2023)। তাঁদের জন্মের আগে থেকে এই পুজো চলে আসছে। পূর্ব পুরুষরা এই পুজো করে আসছেন। এই পুজোর ইতিহাস সঠিকভাবে বলতে না পারলেও, তিনি জানিয়েছেন, কৃষ্ণপক্ষের নবমী থেকে এই পুজো শুরু হয়ে যায়। চলে ১৫ দিন ধরে। ১৫ দিন ধরে হয় পুজোপাঠ, চণ্ডীপাঠ। গ্রামের সকলেই এই পুজোর প্রতি ভক্তিশীল বলেও তিনি জানিয়েছেন। পুজোর যাবতীয় রীতিনীতি যতটা সম্ভব মেনে চলা হয়।

    আনন্দে মেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন (Durga Puja 2023)

    এই পুজোর পুরোহিত বিপত্তারণ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, পুজোটি (Durga Puja 2023) প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো। এটি একটি সাবেকি পুজো। সর্বজনীন যে সব পুজো হয়, এটা কিন্তু সেরকম নয়। এই পুজোর অনেকজন সেবাইত আছে, তারাই এই পুজোটা করে। এই পুজোর বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। নিষ্ঠা ভরে এই পুজো করতে হয়। এটি তাঁদের কাছে কোন উৎসব নয়। এটি শুধু তাঁদের কাছে পুজো। এই পুজোয় নবম্যাদি কল্পারম্ভ হয়। অর্থাৎ কৃষ্ণপক্ষের নবমী থেকে মহা নবমী পর্যন্ত এই পুজো চলে। প্রতিদিনই ভোগ হয়, আরতি হয়। দেবীপক্ষ শুরু হওয়ার আগে থেকেই গাড়ুই গ্রামের এই আদি দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে ওঠেন স্থানীয় মানুষজন। তবে আগে এই মন্দির পুরনো ছিল। পরে সবাই মিলে এর সংস্কার করেছে। ছোঁয়া লেগেছে আধুনিকতার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share