Tag: Bengali news

Bengali news

  • Durga Puja 2023: তালচিনানের পাঠক বাড়ির দুর্গাপুজোয় বিসর্জনেও থাকে অনন্য বৈশিষ্ট্য

    Durga Puja 2023: তালচিনানের পাঠক বাড়ির দুর্গাপুজোয় বিসর্জনেও থাকে অনন্য বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ধি পুজোর আগে নিয়ম করে শূন্যে গুলির আওয়াজে মায়ের আগমনী বার্তা (Durga Puja 2023) জানানোই ছিল এই বাড়ির রেওয়াজ। ২২৯ বছরে পড়ল পাঠক বাড়ির দুর্গাপূজা। এই সাবেকি পুজো চালু করেছিলেন তালচিনানের জমিদার কৃষ্ণকান্ত পাঠক। সূত্র অনুযায়ী, বর্ধমান মহারাজার জনার্দন মন্দিরের সেবাইত ছিলেন পাঠকরা। মহারাজা তাঁদের খুশি হয়ে হুগলির তালচিনান গ্রামের জমিদারির স্বত্ব দেন। কৃষ্ণকান্ত পাঠক হয়ে যান তালচিনানের জমিদার। চুঁচুড়া স্টেশন থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে পোলবা-দাদপুর ব্লকের একটি গ্রাম এই তালচিনান। ওই জমিদার বংশের বংশধর রাজকমল পাঠক জানান, কৃষ্ণকান্ত শুধু তালচিনান নয় এরপর ক্রমশ চাঁদপুর, মহেশপুর, হিরণ্যবাটি তৌজির মালিক হয়ে যান। দশ হাজার বিঘা খাস জমি ছিল তাঁদের। ভাবতে পারা যায়! প্রজাদের দেওয়া খাজনায় চলত জমিদারি।

    কুলদেবতা জনার্দন

    পাঠকদের কুলদেবতা জনার্দন। তাই জমিদারির পাশাপাশি জনার্দনের মন্দিরও গড়ে ওঠে। কৃষ্ণকান্ত জমিদারি পেয়েই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) চালু করেন। তবে জনার্দনের পূজারি হওয়ায় এখানে পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। আজও তালচিনানে পাঠক বাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে ভিড় করেন গ্রামের পর গ্রামের মানুষজন। আসলে এঁরাই ছিলেন এক সময় এই জমিদারের প্রজা। বছরভর এই পাঠকবাড়ি সুনসান থাকলেও পুজোর কটা দিন প্রায় সমস্ত আত্নীয়স্বজন চলে আসেন। ভবনের খান বত্রিশেক ঘর তখন গমগম করে। বাড়ির সামনে বিশাল দুর্গা দালান, সেখানে তিনখিলানের মাঝে একচালা কাঠামোয় দেবী বিরাজ করেন। কথিত আছে এই পুজোর শুরু থেকে আজ অবধি কাঠামোর কোনও পরিবর্তন হয়নি। এখানে বলি হয় তবে আখ, চালকুমড়ো, বাতাবি লেবু, শসা ভিন্ন কিছু নয়। অষ্টমী-নবমীতে কুমারী পুজোর প্রচলনও আছে।

    অদ্ভুত এক মানসিক শান্তি

    এই জমিদার বাড়িতে অদ্ভুত একটা মানসিক শান্তি বিরাজ করে। নিস্তব্ধ নিঝুম মহলের চারপাশে পায়রার বক বকম…। মনটা যেন ফিরে যেতে চায় পিছনে, আরও পিছনে। “আসলে আমি ছাড়া আর কেউ আসে না এই বাড়িতে পুজোর সময়টুকু ছাড়া। প্রত্যেকেই বাইরে থাকেন, কেউ রাজ্যের, কেউ দেশের। সময় কোথায়? তাই আমিই মাঝে মাঝে কলকাতা থেকে ছুটে আসি। কাটিয়ে দিই কয়েকটা দিন।” জানালেন রাজকমল পাঠক। তিনি বলেন, যে রীতি পূর্বপুরুষরা করে গিয়েছিলেন, সেই রীতিই যতটা সম্ভব আমরা পালন করি। যেমন এই জমিদার বাড়িরই নিজস্ব পুকুর থেকে মাটি এনে দেবীর মূর্তি (Durga Puja 2023) গড়া হয়। পুরোহিত বংশ সেই একই। আগে বাড়ির দোনলা বন্দুক থেকে তোপ ফাটানো হত সন্ধিক্ষণে, এখন আমার লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুক থেকে ফাটাই। পুজোর প্রতিটা দিন আমাদের কাছে বিশেষ দিন।

    নিরঞ্জনেরও কিছু বৈশিষ্ট্য

    ষষ্ঠীর (Durga Puja 2023) দিন বোধন। ওইদিন পরিবারের সদস্যরা সবাই একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন। সপ্তমীর দিন আমিষ হয়। আগে নিজেদের পুকুর থেকে মাছ ধরে খাওয়ানো হত। এখন পুকুর লিজে দেওয়ার ফলে বাজার থেকেই কাতলা মাছ এনে এই গ্রামের জ্ঞাতি, ব্রাম্ভণরা এখানে ভুরিভোজ করেন একসঙ্গে। অষ্টমীর দিন গ্রামের মহিলারা এখানে দুপুরে লুচি খান। নবমীতে বর্গক্ষত্রিয়রা আসেন। দশমীতে থাকে লুচি, বোঁদে আর সিদ্ধি। ঠাকুর বরণের পর হয় সিঁদুর খেলা। তাতে গ্রামের মহিলারাও যোগ দেন। পাঠকবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনেরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। বাঁশের মাচায় তোলা হলে গ্রামের বর্গক্ষত্রিয় সম্প্রদায়ের মানুষজন কাঁধে করে প্রতিমা গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে স্থানীয় পুকুরে বিসর্জন দেন। পাঠক বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন না হলে গ্রামের অন্য কোনও প্রতিমার বিসর্জন হয় না। এটাই এই গ্রামের রীতি। এটাই পুরনো জমিদারবাবুদের প্রতি গ্রামের মানুষের শ্রদ্ধা। আর এইভাবেই চলে আসছে বাংলার বনেদি বাড়ির পুজো। জমিদারি প্রথা উঠে গেলেও জমিদারি রীতিনীতি এখনও প্রাণপণে রক্ষা করতে মরিয়া উত্তরসূরিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: নবদুর্গার কোন রূপ কোন ভোগে প্রসন্ন হয়? আসুন দেখে নিন এক নজরে

    Navaratri 2023: নবদুর্গার কোন রূপ কোন ভোগে প্রসন্ন হয়? আসুন দেখে নিন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলে এল ২০২৩ সালের শারদীয়া নবরাত্রি (Navaratri 2023)। শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয়, শিখ ও জৈন সমাজের মধ্যেও নবরাত্রি পালনের রীতি দেখা যায়। সারা বিশ্বজুড়ে ভক্তরা ন’দিন শুদ্ধ আচারে মতে ওঠেন মায়ের আরাধনায়। নবরাত্রির দিনগুলিতে আরাধনা করা হয় দেবীর নয় রূপের। দেবীর নয় রূপকে প্রসন্ন করতে এবং আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা ভোগও অর্পণ করেন আলাদা আলাদা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন দিনে কোন কোন ভোগ নিবেদন করা হয়।

    মাতা শৈলপুত্রীর ভোগ

    প্রথম দিনে মাতা শৈলপুত্রীকে (Navaratri 2023) গরুর দুধের তৈরি ঘি অর্পণ করেন ভক্তরা। বিশ্বাস রয়েছে, এতে মাতা শৈলপুত্রী সন্তুষ্ট হন। এছাড়া লবঙ্গ ও এলাচ সহযোগে পানও দেওয়া হয়।

    মাতা ব্রহ্মচারিণীর ভোগ

    নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে মা ব্রহ্মচারিণীকে (Navaratri 2023)  চিনি নিবেদন করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এই ভোগ অর্পণ করলে মাতা দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ প্রদান করেন। এছাড়া মা ব্রহ্মচারিণীকে দুধ নিবেদনের রীতিও দেখা যায়।

    মাতা চন্দ্রঘণ্টার ভোগ

    নবরাত্রির (Navaratri 2023) তৃতীয় দিনে আরাধনা করা হয় মাতা চন্দ্রঘণ্টার। তৃতীয় দিনে দুধের তৈরি খাদ্য অর্পণ করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। ভক্তরা মাখন, ক্ষীর আর ফল দিয়ে এদিন মাতা চন্দ্রঘণ্টাকে ভোগ দেন।

    মাতা কুষ্মাণ্ডার ভোগ

    নবরাত্রির চতুর্থ দিনে পূজিতা হন দেবী কুষ্মাণ্ডা। সারাদিন উপবাসের পরে ভক্তরা মাতাকে পুজো অর্পণ করেন। মাতাকে মালপোয়া অর্পণ করার রীতি দেখা যায়।

    মাতা স্কন্দমাতার ভোগ

    নবরাত্রির (Navaratri 2023) পঞ্চম দিনে উপাসনা করা হয় মাতা স্কন্দমাতার। এদিন ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় কলা থেকে তৈরি যে কোনও রকমের খাবার। ভক্তদের বিশ্বাস এতে মাতা সন্তুষ্ট হন।

    মাতা কাত্যায়নীর ভোগ

    নবরাত্রির (Navaratri 2023) ষষ্ঠ দিনে দেবী কাত্যায়নীর পুজো হয়। এদিন ভক্তরা মাকে আলুর তৈরি সবজি ভোগ দেন। এছাড়াও ভোগ হিসেবে মধু দেওয়ার রীতিও দেখা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস মাতা এতে খুশি হন।

    মাতা কালরাত্রির ভোগ

    নবরাত্রির (Navaratri 2023) সপ্তম দিনে পূজিতা হন দেবী কালরাত্রি। এদিন ভোগ হিসেবে গুড়ের তৈরি খাবার অর্পণ করার রীতি দেখা যায়। গুড়ের খাবার অর্পণে মাতা খুশি হন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের।

    মাতা মহাগৌরির ভোগ

    নবরাত্রির অষ্টম দিনে পূজিতা হন দেবী মহাগৌরী। অষ্টমীতে নারকেলের তৈরি মিষ্টি দেবীকে অর্পণ করা হয়।

    মাতা সিদ্ধিদাত্রীর ভোগ

    নবরাত্রির নবম দিনে পূজিতা হন দেবী সিদ্ধিদাত্রী। এদিন দেবীকে হালুয়া পুরী ও ছোলার খাবার দেওয়ার রীতি দেখা যায়। এছাড়া তিল দেওয়ারও রীতি রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নদিয়ার রাইস মিল সহ পাঁচ জায়গায় হানা দিল ইডি

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নদিয়ার রাইস মিল সহ পাঁচ জায়গায় হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কয়েকদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ ১২টি জায়গায় ইডি (ED) হানা দিয়েছিল। সেই ঘটনার পর পরই সোমবার ৯ অক্টোবর নদিয়া জেলায় হানা দিয়েছিল। এর আগে কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহার বাড়ি গিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। বেশ কিছু তথ্য বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার এই দুর্নীতি কাণ্ডের যোগ সূত্র মিলল রাইস মিলে। সেখানেও বুধবার সাত সকালে পৌঁছে গেল ইডি। শান্তিপুর সহ পাঁচ জায়গায় হানা দিল ইডি।

    চালকলে কেন হানা দিল ইডি? (ED)  

    গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগের সূত্র ধরে তদন্তকারী আধিকারিকরা বীরভূমের বোলপুরে রাইস মিলে হানা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। এবার পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে তদন্তকারীরা (ED) জানতে পেরেছেন, দুর্নীতির টাকার একটা অংশ ওই চালকলে বিনিয়োগ করা হয়েছে। পুর-নিয়োগ মামলায় নদিয়ার শান্তিপুরে হানা দিল ইডি। শান্তিপুরে একটি রাইস মিলে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। বুধবার সকালে আচমকা ওই রাইস মিলে হানা দেন ইডির গোয়েন্দারা। আপাতত ওই চালকলের গেট বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গোটা চালকল ঘিরে রয়েছে কেন্দ্ৰীয় বাহিনী। পাশাপাশি আরও কয়েকটি জায়গায় ইডি হানা দিয়েছে বলে খবর।

    কোন কোন জায়গায় ইডি হানা দেয়?

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডি (ED) আধিকারিকরা নদিয়া জেলায় যান। পাঁচটি আলাদা দল ভাগ হয়ে তাঁরা জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় একযোগে হানা দেন। জানা গিয়েছে, এদিন  শুধু নদিয়া জেলাতেই বুধবার সকালে একযোগে পাঁচ জায়গায় হানা দিয়েছে তাদের পাঁচটি দল। শান্তিপুর, ধুবুলিয়া, রানাঘাট, কৃষ্ণনগরে ইডি আধিকারিক তল্লাশি চালায়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি মহাতীর্থ তারাপীঠ ঘুরে আসতে পারেন সহজেই

    Tarapith: সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি মহাতীর্থ তারাপীঠ ঘুরে আসতে পারেন সহজেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ তথা সমগ্র ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় হিন্দু তীর্থক্ষেত্র বীরভূম জেলার তারাপীঠ (Tarapith)। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তারাপীঠ এক অন্যতম শক্তিপীঠ বলেই পরিচিত। সাধক শিরোমণি বামাক্ষ্যাপার তপস্যাভূমি এই মহাতীর্থ। মূলত ভক্তজনেরা এখানে আসেন তারা মায়ের কাছে পুজো দিয়ে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার অভিপ্রায়ে। তারাপীঠের তারা মায়ের মন্দিরটি প্রায় ২০৪ বছর আগে নির্মাণ করেন জগন্নাথ রায়। মন্দিরে রয়েছেন বিবিধ অলংকারে ভূষিতা তারা মা। এছাড়াও আছে কষ্টি পাথরের মাতৃমূর্তি। মহাকাল মহাদেবকে স্তন্যদুগ্ধ পান করাচ্ছেন দেবী। তবে এই মূর্তির দর্শন সর্বদা মেলে না।

    সেই বিখ্যাত শ্মশানঘাট

    দেখে নিন তারাপীঠের (Tarapith) সেই বিখ্যাত শ্মশান ঘাটটি, যেখানে বসে সাধক শ্রেষ্ঠ বামাক্ষ্যাপা সাধনা করেছিলেন। তিনি ছাড়াও বহু সিদ্ধ পুরুষ এই শ্মশানে সাধনা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বশিষ্ঠদেব, রাজা রামকৃষ্ণ প্রমুখ। এখানে রয়েছে বামাখ্যাপার মন্দির। প্রতি বছর শ্রাবণ মাসের ২ তারিখ বামাখ্যাপার তিরোধান দিবসে এখানে পুজো এবং উৎসব হয়। এছাড়াও দেখে নিন বামাখ্যাপার জন্মস্থান আটলা গ্রাম।

    ঘুরে নিতে পারেন নলহাটি, বক্রেশ্বর

    ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন রামপুরহাট থেকে প্রায়  ১২-১৩ কিমি দূরে ৫১ সতীপীঠের অন্যতম নলহাটি থেকেও। বাস যাচ্ছে সরাসরি এই পথে। রামপুরহাট থেকে নলহাটি যেতে বাসে সময় লাগে প্রায় ২৫-৩০ মিনিট। কথিত, এখানে সতীর কন্ঠ পতিত হয়েছিল। এখানে দেবী ললাটেশ্বরী নামে পূজিতা। ললাটেশ্বরী মন্দিরটি আকারে ছোট। সিঁদুর মাখানো পাথরের খন্ডের ওপর রূপোর চোখ, নাক, অধর বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে দেবীর মুখাবয়ব। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই মন্দির এক পরম পবিত্র স্থান। এছাড়াও তারাপীঠ (Tarapith) থেকে ঘুরে নেওয়া যায় বীরভূম জেলারই আর এক পবিত্র স্থান, বিখ্যাত শৈব তীর্থ “বক্রেশ্বর” থেকেও।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন

    যাতায়াত–কলকাতা থেকে ট্রেনে এলে নামতে হবে রামপুরহাট ষ্টেশনে। যাচ্ছে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস, সরাইঘাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, হাওড়া-মালদা টাউন এক্সপ্রেস, হাওড়া-রামপুরহাট এক্সপ্রেস, কলকাতা-হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-রামপুরহাট এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন। রামপুরহাট থেকে তারাপীঠের দূরত্ব প্রায় ৮ -৯ কিমি। যেতে হবে অটো অথবা ট্রেকারে। আর কলকাতার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে তারাপীঠ (Tarapith)। থাকা খাওয়া –তারাপীঠে থাকা খাওয়ার জন্য আছে বহু হোটেল, লজ প্রভৃতি। দাম ও মান অনুযায়ী এগুলোর মধ্যে থেকে পছন্দমত একটি বেছে নেওয়া যেতেই পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: ঢাকে কাঠি পড়তেই জমিয়ে ভুরিভোজ? স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছেন তো?

    Durga Puja Food: ঢাকে কাঠি পড়তেই জমিয়ে ভুরিভোজ? স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেছেন তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছরভর নানা উৎসব আর উদযাপন চললেও, বছরের এই ক’দিন সবার থেকে আলাদা। আট থেকে আশি, সব বয়সের জন্যই দুর্গাপুজোর চারদিন বিশেষ দিন! আর বিশেষ উৎসব উদযাপনে খাওয়া-দাওয়াও বিশেষ হয় (Durga Puja Food)। কিন্তু এই লাগাতার জমিয়ে ভুরিভোজ স্বাস্থ্যের জন্য কতখানি বিপজ্জনক, সে নিয়ে দুশ্চিন্তা তো থাকেই। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর বিশেষ খাবারেও থাকুক সুস্বাস্থ্যের ছোঁয়া, তবেই সুস্থ শরীরে উৎসব উদযাপন সম্ভব।

    পুষ্টিবিদরা কোন ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন? (Durga Puja Food)

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, দূর্গাপুজোর চারদিন কমবেশি সকলেই একটু অন্যরকম খাবার খেতে চান। কিন্তু স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, উৎসবের মরশুম হলেও সকালের জলখাবার বাদ দেওয়া যাবে না। অনেকেই রাত পর্যন্ত ঠাকুর দেখেন। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ ছুটির মরশুমে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমোন। ব্রেকফাস্ট বাদ পড়ে। একেবারেই দুপুরে জমিয়ে খাওয়া হয়। অনেক সময়েই দিনের প্রথম খাবার হয় কোনও রেস্তোরাঁর অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার। আর এতেই বিপদ বাড়ে। হজমের গোলমাল কিংবা পেটের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই পুজোর সময় পুষ্টিসমৃদ্ধ জলখাবার খাওয়া দরকার। দুধ, কর্নফ্লেক্স, ড্রাই ফ্রুটস কিংবা ডিম সেদ্ধ, ফল বা রুটি, সব্জির মতো খাবার জলখাবারের মেনুতে থাকলে পাকস্থলী সুস্থ থাকবে। হজমের সমস্যার ঝুঁকি কমবে। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দুপুর-রাত একদিনে দুবেলা বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। উৎসবের মরশুমে অনেকেই রেস্তোরাঁয় খাওয়া পছন্দ করেন। কিন্তু দুবেলা বাইরের খাবারে নানান শারীরিক জটিলতা তৈরি করতে পারে।
    খাবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের (Durga Puja Food) খেয়াল রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাড়ির খাবারের মেনুতে থাকুক নানান রকমের স্যালাড, বেকড খাবার। পুজোর দিনে নানা রকমের ফল দিয়ে নতুন নতুন স্যালাড বানানো যেতে পারে। এতে স্বাদ বদল হয়। আবার পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। আবার মাছ কিংবা চিকেনের নানান বেকড আইটেম রান্না করা যায়। যাতে খুব কম পরিমাণ তেল আর মশলার ব্যবহার হয়। অথচ অন্যরকম খাবারে মন ভরে। শরীর ভালো থাকে।

    কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়া জরুরি? (Durga Puja Food)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পুজোর মরশুমে দেদার খাবার খাওয়ার সময়, স্থূলতা আর হৃদরোগের বিষয় ভুলে গেলে চলবে না। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাই, পিৎজা, বার্গার, হটডগ, কিংবা অতিরিক্ত ভাজা খাওয়ার জেরে অনেকের মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে যায়। আর স্থূলতা নানা রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই কী খাওয়া যাবে, সে বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। পাশপাশি এই সময় অনেকেই লাগামহীন চর্বিযুক্ত খাবার খান। ফলে, কোলেস্টেরল আর রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই হৃদরোগে আক্রান্তের ঝুঁকিও বাড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, বিরিয়ানি, মোগলাই কিংবা পিৎজার মতো খাবার খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। 
    তবে, খাবারের পাশপাশি পানীয়ের বিষয়েও সচেতনতা দরকার। পুজোর সময়ে অনেকেই প্যাকেটজাত নরম ঠান্ডা পানীয় খান। অতিরিক্ত প্যাকেটজাত নরম ঠান্ডা পানীয় কিন্তু স্থূলতার কারণ বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাছাড়া, আইসক্রিম আর নরম ঠান্ডা পানীয়ের জেরে আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক ইনফেকশনের ঝুঁকিও বাড়ে বলে জানাচ্ছেন বক্ষঃরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই অতিরিক্ত ঘাম হলে কিংবা রোদের মধ্যে লাগাতার ঘুরলে আইসক্রিম, নরম ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    পুজোর সময়ে আবার উদযাপনের অংশ হিসাবে অনেকেই মদ্যপান করেন। চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, মদ্যপান শরীরের একাধিক ক্ষতি করে। লিভার, কিডনি, হৃদযন্ত্রে নানান রোগের কারণ মদ্যপান। তাই প্রয়োজন সচেতনতার। 
    শরীর সুস্থ রাখতে সতর্ক ও সচেতনভাবে ভুরিভোজ (Durga Puja Food) হোক। তবেই দুর্গাপুজোর উদযাপন সুন্দর হবে, এমনই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Cooch Behar: পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছ কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম জয়দীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রয়েছে তাঁর। তারপরও বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    মঙ্গলবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি সেরে জয়দীপবাবু গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন। শুকারুরকুঠি থেকে দিনহাটায় ফেরার পথে নটকোবারি বাজার এলাকায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোচবিহারের এই বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। জয়দীপ ঘোষের গাড়ি নটকোবারি বাজার এলাকায় ঢুকতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলের অদূরেই পুলিশকর্মীরা থাকলেও, পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন বিজেপি নেতা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা?

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার বিজেপি নেতা জয়দীপ ঘোষ বলেন, কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে কিছু মানুষ জমায়েত হয়ে আক্রমণ করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। তারা ভাবছে, এভাবে বিজেপিকে আটকাবে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। যে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে, তারা তৃণমূল আশ্রিত। কোনওভাবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে বেরিয়ে এসেছি। থানায় অভিযোগ করেছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণ মানুষরা একশো দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না, তাঁদের ক্ষোভ-রাগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মহিলারা হাতে ঝাঁটা নিয়ে বিজেপির নেতাকে তাড়া করেছেন। আর ওই বিজেপি নেতা এসব ঢাকতে ওই বিজেপি নেতা তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: হাওড়ায় এই বাড়ির দুর্গাপুজোতেই আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী

    Durga Puja 2023: হাওড়ায় এই বাড়ির দুর্গাপুজোতেই আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ‍্য হাওড়ার ২৮ নম্বর কালী কুণ্ডু লেনের প্রাচীন বন্দ‍্যোপাধ্যায় পরিবারের বাড়িটির কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সেই একই রয়ে গিয়েছে মন্দির এবং চাতাল নিয়ে উঠোনটি, যে মন্দিরে সাবেকি আদলে ১১৫ বছর ধরে পূজিতা হচ্ছেন মৃন্ময়ী মা দুর্গা। এই পুজোর (Durga Puja 2023) প্রতিষ্ঠাতা বিংশ শতাব্দীর এক ঋজুদেহী, পৌরোহিত‍্যে মৌলিকতার অনুষঙ্গী বিজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়। হুগলির বাসিন্দা বিজয়কৃষ্ণই হাওড়ার কালি কুণ্ডু লেনে নিবারণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই পুজো প্রতিষ্ঠা করেন। ব্রিটিশ ভারতে অখণ্ড বঙ্গদেশের অন্তত দশ-দশটি জেলার পুণ‍্যার্থীরা আসতেন এই পুজো দেখতে। আসতেন প্রতিষ্ঠিত ব‍্যক্তিরাও। যেমন আসতেন ঠাকুরবাড়ির সরলা দেবী চৌধুরানী। রবীন্দ্রনাথের ভাগ্নী ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৪ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কখনও দুর্গাপুজোয়, কখনও জগন্মাতা পুজোয় উপস্থিত হতেন।

    সরলা দেবী চৌধুরানীর পরিচয়

    এই বাড়িতে ‘জগন্মাতা’ পুজোও হয়ে এসেছে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত। পরে সেটি স্থানান্তরিত হয় কালী ব‍্যানার্জি লেনের ‘মাতৃ মন্দিরে’। যে সরলা দেবী স্বদেশি যুগে পঞ্জাবের শ্বশুরবাড়ি থেকে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত‍্যাকাণ্ডের বিবরণ নিজের গানের স্বরলিপির মধ‍্যে সুকৌশলে এই বাংলায় পৌঁছে দেন, যিনি মা স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘সখি সমিতি’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল’ গঠনে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছিলেন, সকল মহিলাদের অন্তঃপুরে থেকেও ক্ষমতাবান করে তোলার প্রচেষ্টায় যিনি নিয়ত থেকেছেন, যিনি নিরাকার ব্রাহ্ম আবহে মানুষ হওয়া ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ঠাকুরবাড়ির বিদূষী প্রতিনিধি, তিনি কেমনভাবে সাকার দেবীর পুজোয় অংশগ্রহণ করেন, তা এখনও অনেকের কাছে বিস্ময় বলে মনে করেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অনুপম মুখোপাধ্যায়। যিনি ৭২ বছর বয়সেও নিয়মিত এই পুজোয় (Durga Puja 2023) অংশ নেন। অনুপমবাবু বলেন, আদপে ওই মাথা উঁচু করে চলা সরলা দেবী ১৯৩৫ সালেই জীবনবোধের কিছু মূল প্রশ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এই দুর্গাপুজোর প্রবর্তকের কাছে। যিনি প্রতি বছর এই পুজোতে হাজির হতেন ও লিখে রাখতেন বিজয়কৃষ্ণের উপদেশাবলী ও বিজয়কৃষ্ণের দুর্গাপুজো পদ্ধতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার হাত থেকে বাঁচাতে শ্রুতিলিখনে সংগৃহীত সেই উপদেশাবলী লুকিয়ে রেখেছিলেন ব‍্যাঙ্কের ভল্টে। পরে যেগুলি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয়।

    কারা আসতেন এই পুজোয়? (Durga Puja 2023)

    সরলাদেবীর সঙ্গে কোনওবার হায়দরাবাদ নিজামের প্রধান সরকারি কর্মচারী, কোনওবার কলকাতার বিজ্ঞান সভায় যোগ দিতে আসা বিদেশি বিজ্ঞানীরা চলে আসতেন এই পুজো প্রাঙ্গনে পুজো দেখতে। যেমন স্বতন্ত্রভাবে আসতেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি, সেরাইকেলার রাজারা, বিখ্যাত ডাক্তার থেকে মহিলা শিল্পীরা, ঢাকার বিখ্যাত পরিবার ভাগ‍্যকুলের রায়েরা কিংবা ব্রিটিশ পুলিশের জাঁদরেল আইবি অফিসার। ঘটনাচক্রে ওই প্রাঙ্গনেই হাওড়ার জাতীয়তাবাদী অনুশীলন সমিতির সদস‍্যরাও অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে পুজো নিবেদন করতেন ধরা পড়ার ভয়ে। সাত ঘড়া পবিত্র জলে মৃন্ময়ী দেবীকে স্নান করানো হত, যা এখনও হয়। এই পুজোর প্রতিষ্ঠাতা বিজয়কৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় নিজেই পুজো (Durga Puja 2023) করতেন তাঁর সৃষ্ট সংস্কৃত মন্ত্র ও সঙ্গে বাংলা তর্জমায়। যা বিজয়কৃষ্ণের থেকে শুনে পরবর্তীকালে বই আকারে লিখে রেখেছিলেন সরলা দেবী। এখনও সেই বই মেনেই পুজো হয় এখানে।

    বাসন্তী রঙের ত্রিনয়নী মূর্তি (Durga Puja 2023)

    বিংশ‍ শতাব্দীর প্রথম দশকে বিজয়কৃষ্ণের গীতার যৌগিক ব‍্যাখ‍্যা সাড়া ফেলেছিল বঙ্গ যুবদের মধ‍্যেও। তৎকালীন বাংলা পারিবারিক ইতিহাসেও তা মুদ্রিত হয়েছিল। এই বংশের বর্তমান সদস্য বিজয়কৃষ্ণের সুযোগ্য শিষ্য দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাতি চণ্ডীদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজয়কৃষ্ণ একজন পণ্ডিত মানুষ ছিলেন। যিনি হুগলি জেলার বাসিন্দা হলেও কলকাতায় চাকরি সূত্রে হাওড়ায় থাকতেন। দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা নিবারণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সদর ঘরে প্রতিদিন গীতা পাঠ করতেন। সেখানেই তিনি প্রথমে ঘটপুজো চালু করেন। পরে নিবারণবাবুর স্ত্রী শরতসুন্দরী দেবীর চোদ্দ টাকা আর্থিক সাহায্যে মাটির প্রতিমা এনে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু করেন। বর্তমানে একই ধরনের জটাধারী বাসন্তী রঙের ত্রিনয়নী মূর্তি প্রতি বছর পুজো হয়। পুজোর মাস খানেক আগে থেকেই শুরু হয় মূর্তি তৈরির কাজ। প্রতিমাকে চার দিনই স্নান করিয়ে নতুন বেনারসি কাপড় পরানো হয় এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়। সন্ধি পুজোয় মাকে চামুন্ডা কালী রূপে পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan Mission: পুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে ইসরো, কবে পাড়ি দেবে গগনযান?

    Gaganyaan Mission: পুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে ইসরো, কবে পাড়ি দেবে গগনযান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর মাঝেই ফের মহাকাশ অভিযানে নামছে ইসরো। মহাকাশচারীদের নিয়ে কবে রওনা দেবে গগনযান (Gaganyaan Mission)? তারই দিনক্ষণ প্রকাশ করল ইসরো। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গগনযান মিশন দুটি ধাপে হবে, প্রথমেই কোনও মহাকাশচারী থাকবে না গগনযানে (Gaganyaan Mission)। প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হবে গগনযানকে। মহাকাশে পাঠিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্য মিললে আগামী বছরেই মহাকাশে পাড়ি দেবে মানুষ সমেত গগনযান। আগামী ২১ অক্টোবর পরীক্ষামূলকভাবে গগনযানকে উৎক্ষেপণ করা হবে। গগনযান ফিরে আসার পরে তা বঙ্গোপসাগরে নামবে এবং সেই মতো ভারতের উপকূল রক্ষাবাহিনীও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। গগনযানের এই প্রকল্পে মহাকাশচারীরা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পৌঁছাবেন। সেখান থেকেই নিরাপদ ভাবে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরেও আসবেন।

    কী বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও ইসরো প্রধান

    এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, ‘‘গগনযানের (Gaganyaan Mission) টেস্ট ভেহিকল স্পেস ফ্লাইট (TV-D1) আগামী ২১ অক্টোবর উৎক্ষেপণ করা হবে। অবতরণের সময় কী ভাবে এই গগনযান থেকে মহাকাশচারীরা বেরিয়ে আসবেন সেটির পরীক্ষা করা হবে এই টেস্ট স্পেস ভেহিকলে।’’ গগনযান সম্পর্কে ইতিমধ্যে বিবৃতি সামনে এসেছে ইসরোর প্রধান সোমনাথের। তিনি বলেন, ‘‘গগনযান মিশনের মূল লক্ষ্য হল মহাকাশচারীদের নিরাপদে নিয়ে যাওয়া ও তাঁদের ফিরিয়ে আনা। এর জন্য ব্যবহার করা হবে একটি লঞ্চ ভেহিকল। মহাকাশে ক্রুদের জন্য পৃথিবীর মতো পরিবেশ তৈরি জরুরি। জরুরি অবস্থায় যাতে মহাকাশচারীরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে পৃথিবীতে ফিরতে পারেন তার ব্যবস্থা থাকবে ও সেই মতো মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। বিষয়গুলি সম্বন্ধীয় আরও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের দিকে নজর রয়েছে আমাদের।’’

    শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণ পর্বও

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে মহাকাশচারীদের প্রশিক্ষণের দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক গগনযানে (Gaganyaan Mission) কোনও মানুষ থাকছে না তবে আগামী বছরের মহাকাশচারী সমেত যে গগনযান পাড়ি দেবে সেখানে তিন জন নভোশ্চরকে দেখা যাবে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দুজন মহাকাশচারীকে জিমে শরীর চর্চা করতে দেখা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই স্বামীর, সিকিমের পথে জলপাইগুড়ির বধূ

    Sikkim Disaster: বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই স্বামীর, সিকিমের পথে জলপাইগুড়ির বধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমের লোনাক লেক বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর বিপন্ন সেখানকার জনজীবন। মঙ্গলবার পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে সব মিলিয়ে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। সেই সংখ্যাটা ঠিক কত, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছে না প্রশাসন। তবে আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে জোরকদমে। নিখোঁজের তালিকায় নাম রয়েছে জলপাইগুড়ির রাঙালির বাসিন্দা ঋষিকেশ রায়ের। তিনি সিকিমে কর্মরত। সিকিমে বিপর্যয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযাগ করতে পারছেন না স্ত্রী খুশি রায়। স্বামীর খোঁজে রওনা দিয়েছেন সিকিমের পথে।

    শেষ কথা ৩ অক্টোবর, সাতদিন ধরে নিখোঁজ (Sikkim Disaster)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খুশির স্বামী ঋষিকেশ থাকেন মঙ্গানে। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর স্বামী সিকিমে অবস্থিত ওই সংস্থায় কর্মরত। তিস্তা উর্জা লিমিটেড নামে সংস্থায় কর্মরত তিনি। রোজ দিন পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা হত তাঁর। সিকিমে বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) আগে শেষ বার কথা হয়েছে তাঁদের। কিন্তু ঋষিকেশের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওদের কোম্পানির ১৪ জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলে জানতে পেরেছে পরিবারের লোকজন। তবে, ঋষির কোনও খোঁজ নেই। শেষ কথা হয়েছিল ৩ অক্টোবর, রাত ১২টা ১৫ মিনিটে। তার পর সাত সাতটি দিন পেরিয়ে গিয়েছে। বার বার ফোন করে গিয়েছেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু সিকিমে কর্মরত ঋষিকেশ রায়ের কোনও খোঁজ পাননি তাঁরা। নানা ভাবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

    কী বললেন নিখোঁজ যুবকের স্ত্রী?

    বাড়িতে বসে থেকে ফোনে এ ভাবে আর পারছেন না। চোখেমুখে উদ্বেগ নিয়ে সিকিম রওনা দিলেন জলপাইগুড়ির রাঙালির বাসিন্দা খুশি। বাসে করে সিকিমের পথে রওনা দেন। তিনি বলেন,  ৩ অক্টোবর প্রায় মাঝ রাত পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তখনও টের পাইনি সিকিমের এই বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) কথা। তাই রাস্তা একটু ঠিকঠাক হয়েছে শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছি। আমার বিশ্বাস, ও ভাল আছে। ওখানে তাঁকে ঠিক খুঁজে বের করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahalaya 2023: পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    Mahalaya 2023: পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষের মিলনক্ষণ মহালয়া! এই দুই পক্ষ আসলে কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়া (Mahalaya 2023) মানেই বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী দিয়ে শুরু হয়েছে সকাল। মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, দেবীপক্ষের সূচনা হয়। এদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে। চাঁদের হ্রাস ও বৃদ্ধির ফলে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে শুক্লপক্ষ ও কৃষ্ণপক্ষ। চাঁদ যে পক্ষে হ্রাস পায়, সেটি হল কৃষ্ণপক্ষ। এই পক্ষে চাঁদ ক্ষয় হতে থাকে এবং অমাবস্যায় সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। অন্যদিকে যে পক্ষে চাঁদ বৃদ্ধি পায়, সেটি হল শুক্লপক্ষ। এই পক্ষে চাঁদের আকার ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে এবং পূর্ণিমায় পূর্ণচন্দ্রে পরিণত হয়।

    পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ

    বছরের ১২ মাসে মোট ২৪টি পক্ষ রয়েছে, তার মধ্যে ২টি পক্ষ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই পক্ষ দুটি হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ। ভাদ্র পূর্ণিমার পরের কৃষ্ণ পক্ষকে বলা হয় পিতৃপক্ষ। এই পক্ষের অমাবস্যাকে বলা হয় মহালয়া। মহালয়ার পরের পক্ষকে বলা হয় দেবীপক্ষ। অর্থাৎ মহালয়া (Mahalaya 2023) হচ্ছে পিতৃপক্ষ ও দেবীপক্ষ নামক পক্ষ দুটির মিলনক্ষণ। পিতৃপক্ষ হল স্বর্গত পিতৃপুরুষের উদ্দেশে পার্বণ শ্রাদ্ধ ও তর্পণাদির জন্য প্রশস্ত এক বিশেষ পক্ষ। সনাতন শাস্ত্র মতে, সূর্য কন্যারাশিতে প্রবেশ করলে পিতৃপক্ষ সূচিত হয়।

    পুরাণে পিতৃপক্ষ

    মহালয়ায় তর্পণের সঙ্গে পুরাণেরও যোগ রয়েছে। মহাভারতে কর্ণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সূর্য-পুত্র দানধ্যান করলেও তা ছিল স্বর্ণ, রত্ন, মণিমাণিক্য। তিনি পিতৃপুরুষের পরিচয় না জানায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে কখনও জল বা খাদ্য দান করেননি। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে মৃত্যুর পর স্বর্গে গেলে খাদ্য হিসেবে তাই তাঁকে দেওয়া হয় শুধুই সোনা-রত্ন। জীবিত অবস্থায় যা দান করেছেন তারই অংশ। তখনই কর্ণকে দেবরাজ ইন্দ্র জানান, পিতৃপুরুষকে কখনও তিনি জল দেননি বলেই মৃত্যুর পরে তিনি জল পাবেন না। এই ভুল সংশোধনের জন্য এক পক্ষকাল মর্ত্যে ফিরে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিয়ে পাপস্খলন করেন কর্ণ। সেই এক পক্ষ কালই পিতৃপক্ষ। যার শেষ মহলয়ায় (Mahalaya 2023)।

    আরও পড়ুন: কান্দির দত্ত পরিবারের পুজোয় অন্ন নয়, মাকে ৩ দিনই দেওয়া হয় লুচি ভোগ

    রামায়ণে দেবীপক্ষ 

    রামায়ণ অনুসারে ত্রেতা যুগে শ্রীরামচন্দ্র অসময়ে অর্থাত্‍ সূর্যের দক্ষিণায়ন চলার সময় দেবী দুর্গার আরাধনা করেছিলেন লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করার জন্য। শাস্ত্র মতে দুর্গাপুজো বসন্তকালে হওয়াই নিয়ম। শ্রীরামচন্দ্র অকালে দুর্গাপুজো করেছিলেন বলে একে অকাল বোধন বলা হয়। সনাতন ধর্মে কোনও শুভ কাজের আগে প্রয়াত পূর্বপুরুষের উদ্দেশে অঞ্জলি প্রদান করতে হয়। লঙ্কা বিজয়ের আগে এমনটাই করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। সেই থেকে দুর্গাপুজোর আগে মহালয়ায় (Mahalaya 2023) তর্পণ অনুষ্ঠানের প্রথা প্রচলিত বলে মনে করা হয়। আর দেবী পুজোর এই পক্ষই হল দেবীপক্ষ।

    দেবী দুর্গার মর্ত্যে আবির্ভাব

    শ্রী শ্রী চণ্ডীতে রাজা সুরথের কাহিনি রয়েছে। সুরথ যবনদের কাছে পরাজিত হয়ে মনের দুঃখে বনে চলে যান। সেখানেই দেখা হয় মেধা ঋষির সঙ্গে। সেখানে তিনি শোনেন মহাময়ার কাহিনি। বলা হয়, মহালয়ার দিনে তর্পণ করে সমাধি নদীর তীরে তিন বছর তপস্যার পরে দুর্গাপুজো শুরু করেন রাজা সুরথ। পিতৃপক্ষে আত্মসংযম করে দেবী পক্ষে শক্তি সাধনায় প্রবেশ করতে হয়। দেবী শক্তির আদিশক্তি, তিনি সর্বভূতে বিরাজিত। তিনি মঙ্গল দায়িনী করুণাময়ী। সাধক সাধনা করে দেবীর বর লাভের জন্য, দেবীর মহান আলয়ে প্রবেশ করার সুযোগ পান বলেই এ দিনটিকে বলা হয় মহালয়া (Mahalaya 2023)। পুরাণ মতে এই দিনেই দেবী দুর্গা মর্ত্যলোকে আবির্ভূতা হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share