Tag: Bengali news

Bengali news

  • Durga Puja 2023: কান্দির দত্ত পরিবারের পুজোয় অন্ন নয়, মাকে ৩ দিনই দেওয়া হয় লুচি ভোগ

    Durga Puja 2023: কান্দির দত্ত পরিবারের পুজোয় অন্ন নয়, মাকে ৩ দিনই দেওয়া হয় লুচি ভোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দির জজান গ্রামে দত্ত পরিবারের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) এবার ১৮৫ বর্ষে পদার্পণ করল। কথিত আছে, তৎকালীন সময়ে প্রাণকৃষ্ণ দত্ত নামে এক বণিক ভরতপুরের ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে দেবী দশভূজার স্বপ্ন দেখতে পান। তারপরই তিনি এই দুর্গাপুজো শুরু করেন। সেই সময় থেকে এই ২০২৩ সাল পর্যন্ত উমা বন্দনায় মেতে ওঠে গোটা জজান গ্রাম সহ পারিপার্শ্বিক গ্রামগুলি।

    মা দুর্গার বাহন নৃসিংহ (Durga Puja 2023)

    মা দুর্গার বাহন আমরা জানি সিংহ। কিন্তু এখানে মা দুর্গার বাহন নৃসিংহ বা নরসিংহ অবতার। সাবেকি মূর্তিতে প্রথম থেকেই এই দেবীকে পুজো করার রীতি চলে আসছে বলে জানান অসিতকুমার দত্ত। এই পুজোয় আজ পর্যন্ত বনেদিয়ানার ছাপ (Durga Puja 2023) স্পষ্ট। পুজোকে কেন্দ্র করে দত্ত বাড়ির সঙ্গে এলাকার মানুষের উদ্দীপনা থাকে দেখার মতো। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বোধনের দিন থেকে নবমীর দিন পর্যন্ত প্রতিদিন দু’বেলা করে টেকরা বাজে। তাঁদের দাবি, এই ধরনের বাজনা অনেক জায়গায় দেখতেই পাওয়া যাবে না। টেকরা এক ধরনের বাজনা, ওর সঙ্গে থাকে সানাই।

    কোনও অন্ন ভোগের ব্যবস্থা নেই (Durga Puja 2023)

    এই দুর্গাপুজোয় কোনও অন্ন ভোগের ব্যবস্থা নাই। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমী- দু’বেলা মাকে লুচি ভোগ এবং ওর সঙ্গে সাত রকম ভাজা দেওয়া হয়। এখানের পুজো পুরোপুরি বৈষ্ণব মতে হয়। প্রবীর দত্ত নামে এক সদস্য জানান, মায়ের পুজোর এই তিন দিন মা দুর্গাসহ সাত জনকে প্রতিদিন শরবত দেওয়া হয়। তিনি বলেন, কোনও অতিথি বাড়িতে এলে আমরা যেমন প্রথমেই তাঁকে শরবত দিই, ঠিক তেমনি মা বাড়িতে আসার কারণে তাঁদেরকে শরবত দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, বিসর্জনের (Durga Puja 2023) সময় ৩০-৪০ জন মানুষ কাঁধে করে মাকে নিয়ে যাবেন। তারপর সর্বমঙ্গলা মন্দিরের সামনে পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘সেচমন্ত্রী থাকাকালীন বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরামবাগের জন্য কাজ করতে দেয়নি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘সেচমন্ত্রী থাকাকালীন বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরামবাগের জন্য কাজ করতে দেয়নি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলমগ্ন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে খানাকুল ও পুরশুড়া এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কোথাও দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে তাদের অভাব অভিযোগ শোনেন, আবার কোথাও ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন দুর্গতদের হাতে। আর এর মাঝেই বন্যা দুর্গতদের প্রতি বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি।

    বন্যা নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    এদিন প্রথমে পুরশুড়ার দিগরুই ঘাট এলাকায় যান তিনি। সেখানে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়ার পর খানাকুলের হানুয়া এলাকায় যান তিনি। সেখানেও পথসভা পাশাপাশি দুর্গতদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন তিনি। পাশাপাশি জলমগ্ন এলাকায় গিয়ে জলে নেমে জলবন্দি মানুষদের সঙ্গেও কথা বলন। বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, রাজ্য সরকার চায় খানাকুল ও পুরশুড়ায় বন্যা হোক। কোটি কোটি টাকা বাঁধ সংস্কারে খরচ না করে ভোটের সময় মানুষের হাতে অল্প টাকা তুলে দিলেই ভোট পাবে বলে মনে করে বর্তমান শাসক দল। আর সেই কারণেই কোথাও কোনও সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী এই দুর্যোগে রাজ্য নেতাদের কারও দেখা নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, তৃণমূল সাংসদ খানাকুলে বন্যা মানুষদের বিস্কুট দিতে গিয়েছিলেন সেখানের লোক তাকে তাড়া করেছিলেন।

    মমতা-অভিষেককে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

     আরামবাগের পুরশুড়ার দিগড়ুইঘাটে বন্যা কবলিত দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে এসে বিরোধী দোলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বলেন, আমাকে সিবিআই যখন ডেকেছিল আমি গিয়েছিলাম, কিন্তু, ভাইপোর মতো হাইকোর্টে আমি যাইনি। তিনি আরও বলেন, মুখমন্ত্রীর অনেক হেলিকপ্টার আছে তাও তিনি একবারও বন্যা দুর্গতদের দেখতেও আসেননি। এছাড়াও আমি সেচমন্ত্রী থাকাকালীন আমাকে বন্যা নিয়ন্ত্রণে আরামবাগ মহকুমার জন্য কিছু কাজ করতে দেয়নি। মূলত, নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি আক্রমণ করলেন। রাজ্য সরকার ভোট পাওয়ার জন্য ইচ্ছে করেই আরামবাগে নদীগুলি নিয়ে কিছু কাজ করেনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। এছাড়াও বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে তাদের জিজ্ঞাসা করেন, সরকারি কোনো সাহায্য পেয়েছেন কিনা।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ১০/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ১০/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে দূরের যাত্রা করতে পারেন।

    ২) চাকরিজীবীরা বরিষ্ঠদের প্রশংসা লাভ করবেন।

    বৃষ

    ১) ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় মনোনিবেশ করতে হবে। তখনই লাভ অর্জন করতে পারবেন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা টাকা ফিরে পাবেন।

    মিথুন

    ১) বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টায় সময় কাটাবেন।

    ২) ব্যবসায় ছোটখাটো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীর সমালোচনায় মনোনিবেশ করবেন না। তা না-হলে সমস্যায় পড়তে পারেন।

    ২) সন্তানকে ভালো কাজ করতে দেখে সন্তুষ্ট হবেন।
      
    সিংহ 

    ১) নতুন কাজে কোনও তাড়াহুড়ো করবেন না।

    ২) তাড়াহুড়ো ও আবেগপ্রবণ হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যার কারণ দেখা দিতে পারে। 

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় আটকে থাকা টাকা সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে পেতে পারেন।

    ২) বাড়ি চাকরি ও ব্যবসায় বিপরীত পরিস্থিতি উৎপন্ন হবে।

    তুলা 

    ১) অংশীদারীত্বের ব্যবসায়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা আপাতত বাতিল করুন।

    ২) ব্যবসায়িক উন্নতি দেখে আনন্দিত হবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায়ে উন্নতির জন্য যে চেষ্টা করছেন, তাতে কোনও তাড়াহুড়ো করবেন না। তা না-হলে লোকসান হতে পারে।

    ২) সন্ধ্যাবেলা শত্রুর সঙ্গে বিবাদ হলে, ধৈর্য ধরতে হবে আপনাদের।

    ধনু

    ১) ছোট ব্যবসায়ীরা নগদ টাকার অভাব অনুভব করবেন।

    ২) শ্বশুরবাড়ির তরফে সম্মানিত হবেন।

    মকর

    ১) কিছু অনাবশ্যক ব্য়য়ের মুখোমুখি হতে পারন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও এই ব্যয় করতে হবে।
     
    ২) ব্যবসার জন্য বড়সড় প্রকল্পে মনোনিবেশ করতে হবে। তখনই বড় মুনাফা হবে।

    কুম্ভ

    ১) বাড়ি ও চাকরির জন্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে নিন। তা না-হলে উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি হবে।

    ২) টাকা ধার নেওয়ার পরিকল্পনা করলে আজকের দিনটি তা এড়িয়ে যান। কারণ তা শোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

    মীন

    ১) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হাসিঠাট্টায় সময় কাটাবেন।

    ২) বাড়িতে কোনও পুজোর ব্যবস্থা করতে পারেন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: আবেদনে সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী! ৩ কিমি রাস্তা চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিশ্বভারতীর

    Visva Bharati: আবেদনে সাড়া দেননি মুখ্যমন্ত্রী! ৩ কিমি রাস্তা চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি বিশ্বভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামান্য তিন কিলোমিটার রাস্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েও সাড়া মেলেনি। এবার উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা ফেরত পাওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু-র হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এর আগে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা-সহ বিভিন্ন ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানগুলির সামনে থেকে টোটো এবং বিভিন্ন খাবারের দোকানগুলিকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা, টোটোগুলিকে ছাতিমতলা ও উপাসনা গৃহসংলগ্ন স্থান থেকে সরিয়ে দেন। একইসঙ্গে শান্তিনিকেতনের উপাসনা গৃহের সামনে থেকে সংগীত ভবন পর্যন্ত পর্যটকদের নিয়ে টোটোর যাতায়াতও নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। বিশ্বভারতীর এই পদক্ষেপ সঠিক বলে মনে করছেন শান্তিনিকেতনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের একাংশ।

     চিঠিতে উপাচার্য কী লিখেছেন? (Visva Bharati)

    মূলত ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা রক্ষায় যান নিয়ন্ত্রণের জন্য ৩ কিলোমিটার রাস্তাটি বিশ্বভারতীকে (Visva Bharati) দেওয়া হোক, এই মর্মে গত মাসেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাস্তা ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন উপাচার্য। কিন্তু, আবেদন জানিয়েও উত্তর না মেলায়, বিশ্বভারতীর পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি পাঠালেন উপাচার্য। ওই চিঠিতে উপাচার্য লেখেন, ‘আমরা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ চিঠি পাঠিয়ে বিশ্বভারতীর রাস্তা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করেছি, যদিও কোনও উত্তর নেই। তাই বিশ্বভারতীকে রাস্তাটি পুনরায় দিতে আপনার হস্তক্ষেপ ও প্রচেষ্টা প্ৰাৰ্থনা করছি। ঐতিহ্য রক্ষায় সহযোগিতা করেন।’

    প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত এই জায়গাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করার পর খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়ে সমস্তমহলেই। তার আগে ২০২১ সালের অগাস্ট মাসে বিশ্বভারতী (Visva Bharati) শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে আসে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির একটি প্রতিনিধিদল। সেই দলেরই মতামতের ভিত্তিতে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় নাম ওঠে শান্তিনিকেতনের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Forest Man: “প্রকৃতির স্বভাবকে না মানলে উত্তর-পূর্ব ভারতও সিকিম হবে”, সতর্কবার্তা ‘ফরেস্ট ম্যানের’

    Forest Man: “প্রকৃতির স্বভাবকে না মানলে উত্তর-পূর্ব ভারতও সিকিম হবে”, সতর্কবার্তা ‘ফরেস্ট ম্যানের’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতও হতে পারে সিকিমের মতন হড়পা বানের শিকার। সময়ে যদি সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সামনে ঘটতে পারে বড় বিপদ। প্রকৃতির স্বভাবকে না মানলে বিপর্যয়, বন্যা, হড়পা বান ইত্যাদি হতে পারে। উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রকৃতির ভারসাম্যের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। জলপাইগুড়িতে এসে সতর্ক করলেন পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত ‘ফরেস্ট ম্যান’ যাদব পায়েং (Forest Man)।

    কী বললেন ফরেস্ট ম্যান (Forest Man)?

    প্রকৃতির স্বভাবকে অমান্য করলে প্রকৃতিক বিপর্যয় ঘটবেই। নদীর জলে প্রকৃতি সুলভ ধারাকে বাঁধ দিয়ে বাধা প্রদান করলে, সিকিমের মত ঘটনা ঘটবেই। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্যে প্রশাসনকে সতর্ক করলেন ফরেস্ট ম্যান (Forest Man)। জলপাইগুড়িতে পরিবেশ কর্মীদের এক অনুষ্ঠানে যোগদান করে ‘ফরেস্ট ম্যান’ যাদব পায়েং বলেন, “ সিকিম হল প্রত্যক্ষ উদাহরণ, যেখনে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে বাঁধ নির্মাণ করেছে। অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ নির্মাণ করায় সিকিমে বন্যা বিপর্যয় ঘটেছে। এমন ঘটনা আগে হিমাচল প্রদেশেও ঘটেছে। এইরকম চলতে থাকলে উত্তর-পূর্ব ভারতে এমন বিপর্যয় ফের নামতে পারে। অসমের হাফলং স্টেশন তৈরি করতে গিয়ে প্রচুর বৃক্ষ কাটা হয়েছিল। আজ তার ফল ভোগ করছে অসম।”

    প্রকৃতিপ্রেমী ফরেস্ট ম্যান

    জলপাইগুড়িতে পরিবেশ ভাবনার উপর কাজ করেন ফরেস্ট ম্যান যাদব পায়েং। ২০১১ সালে ভয়াবহ বিষক্রিয়ায় করলা নদীর মাছ ক্রমশ কমে যাচ্ছিল। এই সময় থেকেই প্রকৃতিপ্রেমী নামক এক সংগঠন জলপাইগুড়িতে পরিবেশ রক্ষার কাজ শুরু করেছে। এই সংস্থার ডাকেই ‘ফরেস্ট ম্যান’, আজ বিশেষ অনুষ্ঠানে এসে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সেই সঙ্গে নদীতে মাছ ছাড়লেন এবং বৃক্ষরোপণ করলেন। ১৯৮০ সাল থেকে অসমের কলিকামুখের ঔনামুখ চাপরিতে অরণ্য গড়ে তোলেন তিনি। তাঁর সৃষ্ট সেই জঙ্গলে বর্তমানে শতাধিক হাতি, গণ্ডার সহ বেশ কিছু বন্যপ্রাণী রয়েছে। জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ‘ফরেস্ট ম্যান অফ ইন্ডিয়া’ উপাধিতে ভূষিত করে। পরবর্তী কালে তাঁকে ভারত সরকার পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করে।

    বানভাসি সিকিম

    কয়েকদিন আগেই সিকেমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বানভাসি হয় তিস্তানদী। জলের প্রবল গতির স্রোতে ভেসে গেছে নদীর পাড়ের এলাকা। মানুষের বাড়ি ঘর, দোকান, হোটেল, বাজার সব কিছু নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। মারা গেছেন অনেক মানুষ। এর প্রভাব পড়েছে তিস্তা সংলগ্ন জলপাইগুড়ি জেলাতেও। রোজ ভেসে আসছে মৃতদেহ। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন এখনও। নিখোঁজ অনেকেই। জাতীয় সড়ক ভেঙে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতি যাতে না ঘটে, তাই প্রকৃতি নিয়ে সতর্ক করলেন ফরেস্ট ম্যান (Forest Man)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train accident: রেলে কাটা পড়ে দুই খণ্ড দেহ, তবুও কথা বলছেন! তীব্র চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে

    Train accident: রেলে কাটা পড়ে দুই খণ্ড দেহ, তবুও কথা বলছেন! তীব্র চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনের ধাক্কায় লাইনের কাটা পড়ার কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে এবার ট্রেনে কাটা (Train accident) পড়ার পরও অদ্ভূত ঘটনা ঘটল। শুনেই অবাক কাণ্ড! ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়ে শরীর দুই টুকরো হয়ে গেছে। এই অবস্থায়ও দুর্ঘটনায়গ্রস্ত ব্যক্তি দিব্যি কথা বলেছেন। এলাকার মানুষ ঘটনাস্থলে এসে ভিড় জমান, এরপর তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। এই রেলে কাটার পরও বেঁচে থাকার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে।

    ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানার বাসুদেবপুর স্টেশনে। তবে ব্যক্তির পরিচয় কী তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আশ্চর্য ব্যাপার যে রেলে কাটা পড়ার পরেও সেই ব্যক্তি বেঁচে রয়েছেন। খবর পেয়ে ওই স্থানে দ্রুত পুলিশ পৌঁছায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

    কীভবে ঘটল ঘটনা (Train accident)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে চাপতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান রেলের লাইনে এক ব্যক্তি। জামালপুর থেকে কাটোয়াগামী ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। এরপর ট্রেনের চাকায় দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল ব্যক্তির দেহ। তাঁর কোমরের উপর দিয়ে চলে যায় রেলের চাকা। লাইনের একপাশে পড়ে যায় দুই পায়ের অংশ এবং অপর দিকে পড়ে যায় কোমরের উপরের অংশ। তবুও ব্যক্তি কথা বলছিলেন!

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তি কামাল মণ্ডল বলেন, “ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ পা ফস্কে স্টেশন থেকে লাইনে পড়ে যান। শরীর দুই খণ্ড (Train accident) হয়ে যায়। ট্রেন চলে গেলে, আমরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলে, তাঁর কথাও শুনতে পাই। এরপর উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথেম স্থানীয় সামশেরগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে  যাওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতির কথা ভেবে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানেই তাঁর বর্তমানে চিকিৎসা চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের তদন্তে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের তদন্তে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের ঘটনার মামলায় ৮ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিশিকান্তের পরিবারের লোকজন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

    কী বলেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    জমি আন্দোলনের নেতা নিশিকান্তের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডল বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। অনেকে আদালতের এই রায়ের জন্য নিশিকান্তের পরিবারের লোকজনের দিকে আঙুল তুলেছেন। অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। রবিবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই সত্যজিৎ মণ্ডলকে পাশে বসিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনার ঝড় সামলানোর চেষ্টা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জমি আন্দোলনে নিশিকান্তের ভূমিকা তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, ‘কামদুনি কাণ্ডের ওই রকম রায়ের পর এবার নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা মামলার অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল। যারা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। আদালতের এই রায়ের জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাড়ে ৩ বছরের জেল খাটা এক তৃণমূল নেতার অঙ্গুলিহেলনে সবটা হয়েছে।’  তবে, আদালতের এই রায় মাথা পেতে নেওয়ার পক্ষে তাঁর মত নেই। বরং, সঠিক বিচারের জন্য তিনি বলেন, ‘আগামীদিনে আমার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

    আন্দোলনের ডাক বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, হলদিয়া আদালতে রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন জানানো হবে। তার পর নিশিকান্তর পরিবারের তরফে কলকাতা আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হবে। সেই সঙ্গে কালো পতাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙাবেড়া থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। ফলে, এই ইস্যুতে পথে নেমে সোচ্চার হওয়ার কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডলও এ দিন দাবি করেন, সঠিক ভাবে তদন্ত করা হলে এ রকম রায় হত না। উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করব।

    সরকারি আইনজীবী কী বলেছিলেন?

    আদালতে রায় বের হওয়ার পর সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘উপযুক্ত সাক্ষ্যের অভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে মামলা চলার পর জমি আন্দোলন পর্বে তৃণমূল নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা মামলার ৮ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছে। এমনকী, মৃত নিশিকান্তের পরিবারের লোকেরাও জোড়াল সাক্ষ্য দেননি।’ এসব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলেকে পাশে বসিয়ে আদালতের রায় নিয়ে ঠিক কী অবস্থান তা জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের প্যাড ব্যবহার করে ভুয়ো নিয়োগপত্র, শোরগোল

    Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের প্যাড ব্যবহার করে ভুয়ো নিয়োগপত্র, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গ্রুপ সি পদে একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা জানে না। পরে, খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University)। ভুয়ো নিয়োগপত্র ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিয়োগপত্রটি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj University)

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, (Raiganj University) রেজিস্ট্রার দূর্লভ সরকারের প্যাডে নিয়োগের তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। সেখানে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর এবং সিল পর্যন্ত রয়েছে। যে নিয়োগপত্র ঘিরে এই বিতর্ক, সেখানে পবন মহলদার নামে একজনের নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ঠিকানার জায়গায় লেখা রয়েছে, বোগ্রাম, কর্ণজোড়া। তাঁকে গ্রুপ সি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। ২৭ শে সেপ্টেম্বর এই নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। অথচ এই ধরনের কোনও নিয়োগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি সামনে আসতে কর্তৃপক্ষ চরম বিড়়ম্বনায় পড়েছে।

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার?

    সামাজিক মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পেরেছেন রেজিস্ট্রার। পুরোটাই জাল বলে দাবী করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই, পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সোমবার সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, এই নিয়োগপত্রটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এমন কেউ নিয়োগের আবেদন নিয়ে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University) আসেননি। তবে, বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, কোনও চক্র এই কাজ করছে। যে বা যারা এর পিছনে রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। নাহলে এই ধরনের কাজ তারা আরও করবে। পুলিশকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি, পুলিশ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, এর আগেও পূর্ববর্তী উপাচার্যের আমলেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় বঙ্গ থেকে পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুরের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে পদ্ম ফুল যাচ্ছে বিদেশে। তবে, তাদের চাষ করা পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে যেমন গর্বিত পদ্মচাষিরা। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টিতে পদ্মচাষে ক্ষতিও হয়েছে এবছর। মিলছে না ন্যায্য মজুরি, আক্ষেপ পদ্মচাষি থেকে মহাজন সকলের।

    বীরভূম (Birbhum)  থেকে কোন কোন দেশে পাড়ি দিচ্ছে পদ্ম?

    গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে পুকুর, ছোট জলাশয় সর্বত্রই পদ্ম চাষ হয়ে থাকে। বীরভূমও (Birbhum) পদ্ম চাষের অনুকূল। আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। আর এই দুর্গাপুজোর উপকরণগুলির মধ্যে অন্যতম পদ্ম ফুল। বীরভূমের আহমদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে এবার পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিদেশেও। এখান থেকে কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই প্রভৃতি জায়গায় পদ্ম যাচ্ছে। এমনকী, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজোতেও মেট্রো শহরগুলি পদ্ম ফুল যায় বীরভূমের আহমদপুর থেকে।

    বিদেশে একটি পদ্মের কত দাম?

    তবে, এবার দুর্গাপুজোয় এখান থেকে পদ্ম যাচ্ছে আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল, ভূটান প্রভৃতি দেশে। পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত পদ্ম চাষিরা। পাশাপাশি তাদের আক্ষেপ, এবছর অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে পদ্ম চাষে। তাই পদ্ম বিদেশে গেলেও সেই অনুযায়ী দাম মিলছে না। অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছেন মজুতদারেরা। আর মুনাফা পাচ্ছেন না পদ্ম চাষিরা। এক একটি পদ্ম ফুল মাত্র আড়াই থেকে ৩ টাকায় পদ্ম চাষিদের কাছ থেকে কেনেন মহাজনেরা। সেই পদ্ম তারা দোকানে দেন ৫ থেকে ৬ টাকায়। দোকান থেকে এই বাংলায় এক একটি পদ্ম ফুল বিক্রি হয় ৭ থেকে ১০ টাকায়। বাংলার বাইরে মেট্রো শহরগুলিতে এক একটি পদ্মের দাম হয় ১৩ থেকে ১৫ টাকা, কোথাও ২০ টাকা। আর বিদেশে পাড়ি দিলেই সেই পদ্ম ২ থেকে ৫ ডলারে বিক্রি হয়। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

    পদ্মচাষিদের কী বক্তব্য?

    পদ্মচাষি ও মহাজনেরা বলেন, বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুর থেকে প্রতি বছরই দূরে দূরে পদ্ম ফুল পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোয় পদ্ম যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্গাপুজোয় পদ্ম পাড়ি দেয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পদ্ম যাচ্ছে। আর আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল ভূটানে পদ্ম যাচ্ছে। তবে, বাংলা থেকে বিদেশে পদ্ম পাড়ি দিলেও আমাদের মতো ফুল চাষিরা থাকেন সেই তিমিরেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো, কিন্তু ডেঙ্গির ভয়াবহতা কমছে না। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue Death) নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক দিন এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই। সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভাগুলি কার্যত মুখে কুলুপ দিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ। ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য যেমন নেই, তেমনি রোগ সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। নেই কোনও সামজিক দায়িত্ব। তাই সাধারণ মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছে প্রশাসনের নিরুদ্ধে।

    গত ৫ অক্টোবর নদিয়ায় মাত্র পনেরো বছরের এক কিশোরের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়। বিষয়টি গতকাল প্রকাশ্যে এসেছিল। ইতিমধ্যে আজ মুর্শিদাবাদে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। রাজ্য জুড়ের ডেঙ্গির থাবায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে বার বার উঠছে প্রশ্ন।

    মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গিতে মৃত্যু (Dengue Death)

    মুর্শিদাবাদের সুতি দফাহাট এলাকায় ডেঙ্গিতে (Dengue Death) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ৫০-এর আরতি সাহা নামে এক গৃহবধূর। জানা গেছে, গত ৩ দিন আগে শরীরে অসহ্য ব্যথা ও জ্বর নিয়ে আরতি সাহাকে মহিশাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে পরিবার। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার পর ধরা পড়ে ডেঙ্গি পজেটিভ। কিন্তু রোগীর অবস্থার অবনতি হতেই গতকাল স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর হাসপাতালে। এরপর গভীর রাতে চিকিইসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এখনও শরীরে জ্বর ও ব্যথা নিয়ে মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ফলে পুজোর আগে নতুন ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও হেলদোল নেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের। দেখা মেলেনি প্রশাসনের কোনও জনপ্রতিনিধিদের। তাই এলাকার মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    নদিয়ায় কিশোরের মৃত্যু ডেঙ্গিতে

    সূত্রে জানা গেছে, নদিয়ার গাংনাপুরে পশ্চিম গোপীনগরের বাসিন্দা রনি দেবনাথের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে (Dengue Death)। গত ৩ অক্টোবর তার ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। শরীরে সেই সঙ্গে ছিল প্রচুর জ্বর। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে চাকদা, এরপর বনগাঁ হাসপাতাল এবং শেষে বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্লেটলেট নামতে থাকায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। আর এরপর মৃত্যু হয় তার।

    বেসরকারি সূত্রে খবর

    বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার জন মানুষ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮। অধিকাংশ পুরসভা কোনও রকম হেল্প লাইন প্রকাশ করেনি। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীদের বদলে নতুন কর্মী নিয়োগ করেনি। ফলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে লোকের অভাবে সঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনও সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share