Tag: Bengali news

Bengali news

  • Metro Service: পুজোয় বাড়তি ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও, জেনে নিন সময়সূচি

    Metro Service: পুজোয় বাড়তি ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও, জেনে নিন সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছিল নর্থ-ইস্ট মেট্রো (Metro Service) পরিষেবার সময়সীমা। এবার বাড়ানো হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাও। পুজোর তিনদিন দুপুর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চালু থাকবে মেট্রো পরিষেবা।

    মোট ৭২টি ট্রেন চলবে

    মেট্রোরেল সূত্রে খবর, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্রতিদিন আপ-ডাউন মিলিয়ে ৩৬টি করে মোট ৭২টি ট্রেন চলবে। এই দিনগুলিতে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে প্রথম সেক্টর ফাইভগামী মেট্রো ছাড়বে শিয়ালদহ থেকে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহগামী শেষ মেট্রো রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের দিকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে। প্রথম মেট্রো থেকে শেষ মেট্রো দু’দিকেই ট্রেন চলবে ২০ মিনিট অন্তর।

    বিজয়া দশমীতে চলবে ৪৮টি

    মেট্রোরেলের (Metro Service) তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর তিনদিন ৭২টি করে ট্রেন চললেও, বিজয়া দশমীতে চলবে ৪৮টি। ওই দিন দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো। পুজোর তিনদিনের মতো বিজয়া দশমীতেও প্রথম ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১২টায়। সন্ধ্যায় শিয়ালদহ থেকে সল্টলেকগামী শেষ ট্রেন ছাড়বে ৭টা ৩৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহের দিকের শেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। তবে পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না বলেই মেট্রো রেল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    এদিকে, রবিবার মেট্রোর তরফে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে পেপার বেসড কিউআর কোডযুক্ত টিকিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। আগামী ১১ তারিখ এই করিডরের শিয়ালদহ স্টেশন থেকে চালু হবে নয়া এই টিকিট। এই পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ সফল হবে এই করিডরের সম্পূর্ণ অংশেই ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে টোকেন। পরিবর্তে পুরো ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরেই চালু করা হবে পেপার বেসড কিউআইর কোড যুক্ত টিকিট। তবে পরীক্ষামূলক পর্বে কাগজের টিকিটের পাশাপাশি চালু রাখা হবে টোকেনও।

    প্রসঙ্গত, বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে সাম্প্রতিক কালে তৎপর হয়েছে মেট্রো (Metro Service) কর্তৃপক্ষ। বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে এবার মেট্রোয় উঠছেন টিকিট পরীক্ষকও। সেই অভিযানে ধরা পড়েছে একের পর এক যাত্রী। অভিযোগ, এই যাত্রীর কম দূরত্বের ভাড়ার টোকেন কিনে বেশি দূরত্বে যাত্রা করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: হাতে আইফোন,পায়ে দামী জুতো, বাইক হাঁকিয়ে ত্রিপল নিতে হাজির বিডিও অফিসে!

    Nadia: হাতে আইফোন,পায়ে দামী জুতো, বাইক হাঁকিয়ে ত্রিপল নিতে হাজির বিডিও অফিসে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল দেওয়ার কথা। বিডিও অফিস থেকে সেই ত্রিপল বিলি করার কথা ছিল। কিন্তু, প্রাপকদের পোশাক, চালচলন দেখে হতবাক হয়ে যান নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ বিডিও অফিসের কর্মীরা। ত্রিপল বিলি স্থগিত করে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যাদের বাড়ি, গোয়ালঘর ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ত্রাণ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল। বিডিও অফিস থেকে সেই ত্রিপল বিলি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল বিডিও অফিসে ত্রিপল নেওয়ার প্রাপকের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আর প্রাপকদের তালিকায় এমন অনেকে রয়েছে, যাদের হাতে আইফোন রয়েছে, কেউ দামী বাইক, পায়ে দামী জুতো, ব্রান্ডেড কোম্পানির জামাও অনেকে পড়ে রয়েছেন। কেউ আবার চার চাকা হাঁকিয়ে ত্রিপল নেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে হাজির হয়েছেন। বিডিও অফিসের এক কর্মী বলেন, বহুদিন ধরেই এই বিডিও অফিসে রয়েছি। সামান্য ত্রিপল নেওয়ার জন্য যারা বিডিও অফিসে এসেছিলেন, তাঁদের ত্রাণের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। ফলে, এই অবস্থায় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রিপল বিলি করার কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যাচাই করার পর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হবে।

    কী বললেন করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি?

    নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সাজিজুল হক শা বলেন, গরিব মানুষদের ত্রিপল দেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে শিবির করা হয়েছিল। সেখানে ত্রিপল নেওয়ার জন্য যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের দেখে আমরা তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। দেখে কাউকে গরিব পরিবারে লোকজন মনে হচ্ছিল না। কেন  তারা সামান্য ত্রিপল নেওয়ার জন্য এভাবে বিডিও অফিসে হাজির হলেন তা্ বুঝতে পারলাম না। অগত্যা আমি এ নিয়ে বিডিও সাহেবের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত বিষয়টি বলি। আমাদের বৈঠকের পরে ঠিক হয়েছে, আবেদনপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে দিয়ে যাচাই করানোর পর ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই, ইডি স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তারা তদন্তের কাজ করছে। তাই ভোটের রাজনীতির সঙ্গে তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। পশ্চিমবঙ্গে নেতা-মন্ত্রীদের ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলাটা একেবারেই মিথ্যা। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়নায় ঠিক এইভাবেই তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি।

    হিসাব দিলেই টাকা মিলবে (Purba Bardhaman)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি রায়নায় সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ ও অন্যান্য প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অথচ, তিন বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্র সরকারের কাছে এই কাজের রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্তে এই সরকারের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই কেন্দ্র সরকার প্রকল্পের টাকা রাজ্যকে দিয়ে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসর আগে শেষ ৯ বছরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে  ইউপিএ পরিচালিত কেন্দ্র সরকার যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছিল, এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসর পর, তার থেকে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ২ লাখ ৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা প্রদান করেছে। কাজেই বিজেপি সরকার, রাজ্য সরকারের প্রাপ্য অধিকার থেকে কখনই বঞ্চনা করে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন হিসাব যত তাড়াতাড়ি দেবেন, পাওনা টাকা তত দ্রুত মিলবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  হিসেব নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি।”

    আর কী বললেন?

    বিজেপি সাংসদ পঙ্কজ চৌধুরি পূর্ব বর্ধমানে আরও বলেন, “এছাড়া করোনার সময় রাজ্যকে বিশেষ সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকঠামোর বজায় রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের নেতারা সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর অপচেষ্টা করছে। আন্দোলন, ধর্না গনতন্ত্রের অধিকার। যে কেউ আন্দোলন করতেই পারে। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই। প্রয়োজনে দেশের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। আদালতের কাছে গিয়ে যে কেউ ন্যায় চাইতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: ঝাড়গ্রাম শহরে সেন পরিবারের পুজোয় মহানবমীর অন্নভোগে থাকে এঁচড়ের ডালনা

    Durga Puja 2023: ঝাড়গ্রাম শহরে সেন পরিবারের পুজোয় মহানবমীর অন্নভোগে থাকে এঁচড়ের ডালনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ববঙ্গের জমিদারের পুজোয় মহানবমীতে দেবীর নৈবেদ্যর পাতে থাকত থরে থরে পাকা কাঁঠালের কোয়া। ময়মনসিংহের আকুয়াপাড়ায় সেন পরিবারের বাগানে কাঁঠাল গাছের সংখ্যাও ছিল অগুনতি। আশ্বিন মাস পর্যন্ত ফল মিলত গাছগুলি থেকে। পূর্ববঙ্গের সেই ঐতিহ্যের পুজো (Durga Puja 2023) ঠাঁইনাড়া হয়ে এখন হয় ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবায় সেন পরিবারের উত্তরসূরীদের বাড়ির চণ্ডীমণ্ডপে।

    কাঁঠালের বদলে এঁচড় (Durga Puja 2023)

    ভাদ্রের পর ঝাড়গ্রামের বাজারে পাকা কাঁঠাল মেলে না। সেনদের চারটি গাছেও এই সময় পাকা কাঁঠাল থাকে না। তাই সাবেক প্রথা ধরে রাখতে কাঁঠালের পরিবর্তে মহানবমীর দিন দেবীকে নিবেদন করা হয় এঁচড়। তবে দক্ষিণ ভারতের সেই এঁচড় কিনে আনা হয় কলকাতার বাজার থেকে। ময়মনসিংহের আকুয়াপাড়ায় সেনবাড়ির দুর্গাপুজোর জাঁক ছিল দেখার মতো। ১২৩৫ বঙ্গাব্দে পুজোটি শুরু করেছিলেন ভূস্বামী রামরতন সেনশর্মা। সেই ঐতিহ্যের পুজো (Durga Puja 2023) ঠাঁইনাড়া হয় দেশভাগের পরে। রামরতনের উত্তরসূরীরা চলে আসেন ঝাড়গ্রামে। পূর্ববঙ্গে পুজো হত একচালার প্রতিমায়। পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় ঝাড়গ্রামে পুজো শুরু হয় ঘটে। প্রায় ছ’দশক পরে ২০১৩ সাল থেকে ফের মূর্তি গড়ে পুজো হচ্ছে। পূর্ববঙ্গের সময় থেকে ধরলে এ বার পুজোর ১৯৬তম বর্ষ। এ ছাড়াও সেনবাড়িতে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজোও হয়। আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও পারিবারিক ঐতিহ্যের পুজো ও অনুষ্ঠান বন্ধ হতে দেননি রামরতনের উত্তরসুরীরা।

    নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া (Durga Puja 2023)

    পরিবারের প্রবীণ সদস্য সুবোধ সেন জানালেন, পূর্ববঙ্গের পুজোর (Durga Puja 2023) দিনগুলিতে হাজার খানেক পাত পড়ত। যাঁরা প্রসাদ গ্রহণ করতেন, তাঁদের সকলকে নতুন কাপড় ও নগদ পঞ্চাশ পয়সা দেওয়া হত। জমিদারের পুজোর সেই জৌলুস আজ ইতিহাস। তবে সেন পরিবারের পুজোয় রয়েছে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার ছোঁয়া। এখনও দর্শনার্থীদের দেবীর প্রসাদ দেওয়া হয়। দেবীপক্ষের প্রতিপদে দেবীর ঘট ওঠে। চণ্ডীপাঠও হয়। সাধ্যমতো আয়োজন হয়। পুজোর সময় পরিবারের কেউই আমিষ স্পর্শ করেন না। পুজোয় বলিদানের প্রথা নেই। সপ্তমী থেকে নবমী তিনদিনই দেবীকে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। প্রথা অনুযায়ী, মহাষ্টমীর নৈবেদ্যে আম এবং মহানবমীর নৈবেদ্যে কাঁঠাল দিতেই হয়।

    পরিবারের সকলকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে পুজো

    সেন পরিবারের আর এক প্রবীণ সদস্য বরুণকুমার সেনের আক্ষেপ, “পূর্ববঙ্গে পুজোর (Durga Puja 2023) সময় কাঁঠাল মিলত। কিন্তু আশ্বিন মাসে ঝাড়গ্রামের বাজারে কাঁঠাল পাওয়া যায় না। সেই কারণে এখন কলকাতা থেকে এঁচড় কিনে আনা হয়। মহানবমীতে দেবীকে অন্নভোগের সঙ্গে এঁচড়ের ডালনা দেওয়া হয়। পরিবারের তরুণ সদস্য দেবব্রত সেন বলেন, “করোনা কালে এঁচড় পেতে খুবই সমস্যা হয়েছিল। তাই সেবার অনলাইনে বেঙ্গালুরুর একটি সংস্থার কাছ থেকে অনলাইনে এঁচড় কেনা হয়।” দেবব্রত জানালেন, পুজোর সময় দূরে থাকা সদস্যরা আসেন। পরিবারের সকলকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে পুজোর চারটে দিন ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিল সিবিআই

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের ১২ জায়গায় একযোগে ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সেই একই কায়দায় রবিবার সাত সকালে রাজ্যের ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দেয়। তৃণমূলের বর্তমান চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে তদন্তকারী আধিকারিকরা হানা দেয়।

    কোথায় কোথায় হানা সিবিআইয়ের? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে খবর, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, বারাকপুর, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, কৃষ্ণনগর, টাকি, কামারহাটি, চেতলা, ভবানীপুর সহ ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দেয়। এদিন হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। তিনি ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। রবিবার সকালে অংশুমানের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল। তাঁর বাড়ির আলমারি ঘেঁটে কাগজপত্র বার করে দেখতে থাকেন আধিকারিকেরা। বা়ড়ির অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। কাঁচরাপাড়া পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদমা রায়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালায়। নিউ বারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে তৃপ্তির বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি খতিয়ে দেখতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, দমদম পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহের বাড়িতেও চলে সিবিআইয়ের অভিযান। একইসঙ্গে, কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম রায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। একইসঙ্গে এদিন প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার খবর মেলে। তার পর একে একে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরের আবাসস্থলে সিবিআই অভিযান হয়।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, সিবিআইয়ের (CBI) এই অভিযানের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Landslide: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধস, আটকে আপেলের গাড়ি, বিপাকে পর্যটকরা

    Landslide: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধস, আটকে আপেলের গাড়ি, বিপাকে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল থেকে কিন্নর যাওয়ার রাস্তায় ব্যাপক ধসে (Landslide) অবরুদ্ধ যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তায় আটকে পড়েছে প্রচুর ফলের গাড়ি। চরম দুশ্চিন্তায় পর্যটকরা। ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন অ্যাপেল ব্যবসায়ীরা। উল্লেখ্য, এই বছর বর্ষার অতিভারী বৃষ্টিপাতের প্রভাবে হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ব্যাপক প্রকৃতিক বিপর্যয় নামে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট, দোকান, হোটেল এবং গাছপালা ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ফের একবার ধসের কবলে হিমাচলের সড়ক পথ। চরম দুর্ভোগে অ্যাপেল চাষিরা।

    রাস্তায় ফের ধস (Landslide)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শনিবার হিন্দুস্থান-তিব্বত সড়ক, হিমাচলের শিমাল থেকে কিন্নর যাওয়ার জাতীয় সড়ক ৫ নম্বর ধসের (Landslide) কবলে পড়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েছে সারিসারি গাড়ি। সূত্রে আরও জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কিন্নর প্রবেশের মুখে প্রাকৃতিক সুড়ঙ্গের কাছেই পাহাড় ভেঙে পাথরের বড় বড় চাঁই পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আগত পর্যটকরা ধস জনিত কারণে আটকে পড়েছেন রাস্তায়। হিমাচলে এই সময়টা অ্যাপেলের মরসুম, তাই রাস্তা বন্ধ হওয়ায় বাগানের অ্যাপেল দ্রুত বাজারে পৌঁছাতে বাধার (Landslide) মুখে পড়তে হচ্ছে। ফলে অ্যাপেল চাষকে কেন্দ্র করে চাষি এবং ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত মুশকিলের মধ্যে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

    আগেও নেমেছিল ধস

    গত ৭ই সেপ্টেম্বর রাতে চৌরার কয়েক কিলোমিটার আগে জাতীয় সড়ক ৫ নম্বরে ধস (Landslide) নেমেছিল। এই ধসের স্তূপ অপসারণ করতে প্রশাসনের সময় লেগেছিল দশ দিন। সেই সময়ও পর্যটকরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন। এই কিন্নর জেলায় জনজাতি সমাজের মানুষের সংখ্যায় বেশি। এখানে মূলত অ্যাপেল চাষ হল প্রধান ফসল। এই এলাকার অ্যাপেল সারা ভারতে বিখ্যাত। ধস নামলে রাস্তা অবরোধে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবসায়। 

    প্রশাসনের বক্তব্য

    কিন্নরের কৃষি বিভাগের ডেপুটি নির্দেশক অজয় কুমার ধিমান বলেন, “২০২২ সালে ৪০ থেকে ৪২ লক্ষ বাক্স অ্যাপেল উত্তোলন করা হয়। এই বছর অতি বৃষ্টিপাতের জন্য উৎপাদন কমে গেছে। এই বছরে খারাপ আবহাওয়ার কারণে আনুমানিক ৩০ লক্ষ বাক্স অ্যাপেল উত্তোলন করা হতে পারে। এই ধসের কারণে ফল বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যা (Landslide) তৈরি হয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোন নম্বর সামনে এনেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড দলের কর্মীদের নিদানও দিয়েছিলেন যে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে যেন রাজ্যের দাবি মতো টাকাও চাওয়া হয়। এবার হুগলির এক সাধারণ লোকের (পরিচয় জানা যায়নি,মাধ্যম অডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি) সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোনের কথোপকথন সামনে এল। সেখানে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দাদা (সুকান্ত মজুমদার) একটাই অনুরোধ আপনার কাছে, কোনও টাকা যেন না আসে চোরেদের কাছে। পাশাপাশি ঐ ব্যক্তি আরও বলছেন, ওরা নিজেদের ইচ্ছা মতো জব কার্ডের টাকা নয়ছয় করেছে। আমাদের এলাকার সর্বনাশ করেছে তৃণমূলের নেতারা।’’ ফোনে ওই ব্যক্তিকে দাবি করতে শোনা যায়, অভিষেকের ঘোষণার পরেই তিনি সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর পেয়েছেন।

    নিজের ফেসবুক পোস্টে কী লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই রেকর্ডিং সামনে আনেন এবং তিনি লেখেন, ‘‘জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের হিসাব দিন, আমরা জনগণের টাকা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ বালুরঘাটের সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ওরফে ভাইপো আমার নম্বর পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণ আমাকে ফোন করে চোরেদের টাকা দিতে বারণ করছেন।’’ পাশাপাশি এদিন ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে কতটাকা তৃণমূল আত্মসাৎ করেছে তাও জানতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তৃণমূলের নাটকবাজি

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক করতে দেখা যায় অভিষেক ও তাঁর দলবলকে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অফিসের সামনে ধরনায় বসে পড়েন অভিষেক। অভিষেকের দাবি, ৪০ জনকে একসঙ্গে ঢুকতে দিতে হবে অফিসে। প্রসঙ্গত, গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর অফিস থেকে ৫ জনের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হলেও তা মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। বেআইনিভাবে মন্ত্রীর অফিসে ধরনার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তৃণমূলের নেতৃত্বকে সেই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপরেই রাজ্যে ফিরে রাজভবন ঘেরাও করেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব? নাকি বাজার গরম করা এবং সস্তার রাজনীতিই তাঁদের উদ্দেশ্য? এই ইস্যুতে কলকাতায় এসে রীতিমতো তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি কলকাতাতেও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বসতে রাজি। তবে তারা বসবে না আমি জানি।’’ ওয়াকিবহাল মহলের বলছে, সত্যিই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকলে, কোর্টের রাস্তা খোলা রয়েছে। সে পথে কেন হাঁটছেন না অভিষেক ও তাঁর দলবল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: কাঁথির কিশোরনগর রাজবাড়িতে হোমের আগুন জ্বালানো হয় সূর্যের আলোতে!

    Durga Puja 2023: কাঁথির কিশোরনগর রাজবাড়িতে হোমের আগুন জ্বালানো হয় সূর্যের আলোতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে কাঁথির কিশোরনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো অন্যতম। আনুমানিক ১৭১৭ সালে প্রথম এই পুজো শুরু হয়। স্বর্গীয় রাজা যাদবরাম রায় দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশে পুজো শুরু করেন। বর্তমানে পুজোর (Durga Puja 2023) বয়স ৩০০ বছরের বেশি।

    পুজোর বেশ কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য (Durga Puja 2023)

    রাজাও নেই, রাজত্বও নেই। তবুও বিগত তিন শতাব্দী ধরে ধর্মীয় সকল রীতিনীতি ও পরম্পরা মেনে আজও কিশোরনগর রাজবাড়িতে পুজো হয়ে আসছে। রাজকীয়তা বা জৌলুস কমলেও দিনে দিনে রাজবাড়ির পুজো ঘিরে বেড়েছে মানুষের টান ও ভালোবাসা। কিশোরনগর রাজবাড়ির পুজোর বেশ কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন, এখানে মায়ের ঘট পশ্চিমমুখী। এছাড়াও পুজোয় হোমের আগুন জ্বালানো হয় সূর্যের আলোতে, আতস কাচ ব্যবহার করে। যদি বৃষ্টির কারণে আতস কাচ কাজ না করে, তবে ব্যবহার করা হয় বিশেষ চকমকি পাথর। এক সময় এখানে মায়ের কাছে বলি দেওয়ার প্রথা থাকলেও এখন আর তা হয় না। পশু বলির পরিবর্তে আখ ও চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় (Durga Puja 2023) রীতি মেনে। এখানে মায়ের প্রসাদ হিসেবে কাজুবাদাম দিয়ে তৈরি এক বিশেষ ধরনের ভোগপ্রসাদ দেওয়া হয়।

    হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন (Durga Puja 2023)

    কিশোরনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন ঘটোত্তলনের মধ্য দিয়ে। ঠাকুর এখানে এক চালার। মন্দির পাকা হলেও ঐতিহ্য মেনে মায়ের মন্দিরে মায়ের মাথার উপরে আজও রয়েছে খড়ের চালা। নিয়ম মেনেই মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, সন্ধিপুজো, মহানবমী এবং দশমীর পুজো ও বিসর্জন হয়। মহাষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়ার জন্য মানুষজন ভিড় করে রাজবাড়ির দালানে। নিয়ম মেনেই সন্ধিপুজো হয় একশোটি প্রদীপ জ্বালিয়ে। পুজোর (Durga Puja 2023) দিনগুলিতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন রাজবাড়ির পুজো দেখতে, পুষ্পাঞ্জলি দিতে, প্রসাদ খেতে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হাজার হাজার মানুষ ছাড়াও পাশের রাজ্য ওড়িশা থেকে বহু মানুষ আসেন কাঁথির কিশোরনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে। রাজবাড়ির গড় বা ময়দানে নবমীর দিন বসে বিশাল আখের মেলা। ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার সময় মানুষজন কিনে নিয়ে যান আখ। লক্ষ লক্ষ টাকার আখ বিক্রি হয় এই মেলায়। আজও এখানে পরম্পরা মেনে প্রতিমা কাঁধে চাপিয়েই বিসর্জন হয়। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সামিল হন কাঁথি শহরের শত শত মানুষ।

    মন্দির হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র

    রাজকীয়তা বা জৌলুস কমলেও কিশোরনগর রাজবাড়ির পুজো (Durga Puja 2023) ঘিরে মানুষের আগ্রহ কিন্তু কমেনি। কর্মসূত্রে বা বৈবাহিক সূত্রে সারা দেশে বা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রাজ বাড়ির সদস্যরা মিলিত হন পুজোর দিনগুলিতে। রাজবাড়ির সদস্যরা, তাঁদের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনরা সকলে মিলিত হন পুজো উপলক্ষ্যে। কিশোরনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর মন্দির হয়ে ওঠে এক মিলনক্ষেত্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navratri 2023: কাল থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি, কেন এবং কীভাবে পালন করা হয় জানেন?

    Navratri 2023: কাল থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি, কেন এবং কীভাবে পালন করা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশ্বিন এবং চৈত্র মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকে পরের ন’দিন অবধি মা দুর্গার নয়টি অবতারের পুজো নবরাত্রি (Navratri 2023) নামে পরিচিত। আরও সরল ভাষায় বলতে গেলে শরৎকালের নবরাত্রি মহালয়ার পরদিন থেকে শুরু হয়। ন’দিন ধরে মা দুর্গার ন’টি অবতারের পুজো দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধুমধাম করে হয়। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয়, শিখ এবং জৈন সমাজের মধ্যেও নবরাত্রি পালনের রীতি দেখা যায়।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মা দুর্গার এই ন’টি অবতার কী কী—

     ‘শ্রী বরাহপুরাণে’ হরিহর ব্রহ্মা ঋষির দ্বারা রচিত দেবী কবচে লেখা রয়েছে-
    প্রথমং শৈলপুত্রী চ
     দ্বিতীয়ম্ ব্রহ্মচারিণী ।
    তৃতীয়ং চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম্ ।।
    পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি,
     ষষ্ঠম্ কাত্যায়নীতি চ।
    সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমং।।
    নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ
     নবদুর্গা প্রকীর্তিতাঃ ।।

    মাতা শৈলপুত্রী: নবরাত্রির (Navratri 2023) প্রথম দিনে মাতা শৈলপুত্রীর পুজো করা হয়। দেবীর নামের অর্থ “পাহাড়ের কন্যা”। তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা শৈলপুত্রীর আশীর্বাদ স্বরূপ সুস্থ, রোগমুক্ত জীবন পাওয়া যায়। মাতার নৈবেদ্যতে খাঁটি ঘি অর্পণ করা হয়। এই দেবীর আরাধনায় মূলাধার চক্র শুদ্ধ হয়।

    মাতা ব্রহ্মচারিণী: নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে এই দেবীর পুজো হয়। ব্রহ্মচারিণী মাতাকে খুশি করতে ভক্তরা চিনি নিবেদন করে থাকেন। বিশ্বাস মতে, মাতা তাঁর ভক্তদের দীর্ঘায়ু প্রদান করেন। এই দেবীর উপাসনার দ্বারা সাধিস্তান চক্র শুদ্ধ হয় হয় বলে ভক্তরা মনে করে।

    মাতা চন্দ্রঘণ্টা: তৃতীয় দিনে মাতা চন্দ্রঘণ্টার প্রতি ভক্তি নিবেদন করা হয়। এই দেবীর বাহন বাঘ। উগ্র মূর্তি এই দেবীকে ক্ষীর ভোগ অর্পণ করেন ভক্তরা। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং যাবতীয় বাধা-বিঘ্ন দূর করেন।

    মাতা কুষ্মান্ডা: চতুর্থ দিনে মাতা কুষ্মান্ডার প্রতি ভক্তি নিবেদিত হয়‌। শাস্ত্র মতে, এই দেবী মহাবিশ্বের স্রষ্টা। তিনি তাঁর ভক্তদের জ্ঞানদানের দ্বারা বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটান এবং কর্মক্ষেত্রে জটিলতা দূর করেন। দেবীকে মালপোয়া ভোগ অর্পণ করা হয়।

    মাতা স্কন্দমাতা: নবরাত্রির (Navratri 2023) পঞ্চম দিনে মাতা স্কন্দমাতার আরাধনা করেন ভক্তরা। ভগবান কার্তিককে কোলে নিয়ে উপবিষ্ট এই দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা কলা নিবেদন করেন। দেবীর আশীর্বাদে ভক্তের জীবনে পরম সুখ ও শান্তি আসে বলে বিশ্বাস।

    মাতা কাত্যায়নী: ঋষি কাত্যায়নের কন্যা, শক্তির প্রতীক তথা যোদ্ধা দেবী কাত্যায়নী মাতার পুজো নবরাত্রির (Navratri 2023) ষষ্ঠ দিনে সম্পন্ন হয়। ভক্তদের তিনি শক্তি, ধর্ম ও জাগতিক সুখ প্রদান করেন বলে বিশ্বাস। তাঁকে ভক্তদের মধু নিবেদনের রীতি চালু রয়েছে।

    মাতা কালরাত্রি: সপ্তমী পুজো হয় এই দেবীর। দেবী ত্রিশূলধারী। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতাকে গুড় নিবেদন করা হয়।

    মাতা মহাগৌরী: উজ্জ্বল সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী অষ্টমীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন। মাতা মহাগৌরীর একহাতে ত্রিশূল ও অপর হাতে ডমরু থাকে। তাঁর নৈবেদ্যতে নারকেল রাখার রীতি রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে, মাতার আশীর্বাদ স্বরূপ ভক্তদের ভালো বিবাহ হয়।

    মাতা সিদ্ধিদাত্রী: নবরাত্রির (Navratri 2023) শেষদিনে পুজো হয় এই দেবীর। তিনি ভক্তদের জীবনে সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট করেন এবং সাফল্য আনেন বলে ভক্তদের ধারণা। মাতা সিদ্ধিদাত্রীকে ভক্তরা তিল নিবেদন করে থাকেন।

    দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নবরাত্রি

    নবরাত্রি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে পরিচিত রয়েছে। যেমন নভরাত্রি, নঔরাত্রি, নবরাহত্রি, নবরাতম, নঔরাতম ইত্যাদি। আচার, অনুষ্ঠান, রীতি, প্রথা মেনে পালিত হওয়া নবরাত্রিতে ভক্তরা ন’দিন যাবৎ উপবাস রাখেন। তার সঙ্গে ইন্দ্রিয় সংযমের বিধিও পালন করা হয়। এসময় তামসিক খাবার যথা মাছ, মাংস, ডিম ভক্তরা খান না। ক্ষৌরকর্ম করেন না, প্রত্যহ ভোরবেলায় উঠে স্নান করে দেবীকে ভক্তরা নৈবেদ্য নিবেদন করেন। সনাতন সংস্কৃতির ধারক, বাহক ও পালক হল এই নবরাত্রি ব্রত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার অপরাধ! প্রায় এক মাস ধরে নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায়। এ যেন হাতে না মেরে জলে ডুবিয়ে মারার পরিকল্পনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্নপূর্ণা হালদার নামে গৃহবধূ বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি পরাজিত হন। গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বর্তমান শাসকদলের মদতে জল নিকাশি ব্যবস্থা হঠাৎ করে এক তৃণমূলের এক নেতা মাটি ফেলে বন্ধ করে দেন। তাঁদের দাবি জায়গাটি ছিল তাঁদের, দীর্ঘদিন মামলা করে তাঁরা জয়ী হন। যার ফলে তারা এই পথ দিয়ে আর জল যেতে দেবেন না। আর তার ফলেই প্রায় এক মাস ধরে জলের তলায় ওই বিজেপি প্রার্থীদের তিনটি পরিবার সহ+ বিরোধী রাজনৈতিক দলের আরও ১৯ টি পরিবার। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। বাড়ির উঠান থেকে ঘরের মেঝেতে পর্যন্ত প্রায় এক হাঁটু জল, অনেক বাড়িতে ভেড়ি দিয়ে জল তুলতে হচ্ছে প্রতিদিন। এমনকী গরুর গোয়াল, মুরগির খোঁয়ার পর্যন্ত জলে ডুবে আছে। প্রতিদিন বাড়ির বয়স্ক মানুষ থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জলে অসহায়ের মত দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।

    কী বললেন বিজেপি কর্মী?

    বিজেপি কর্মী অন্নপূর্ণা হালদার বলেন, পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ। তারজন্যই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল এই কাজ করেছে। প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হচ্ছে না। এলাকায় যে ভাবে জল জমে রয়েছে তাতে ডেঙ্গির উপদ্রব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ মৌলি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ, এই ধরনের নোংরা রাজনীতি তৃণমূল করে না। জল নিকাশি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share