Tag: Bengali news

Bengali news

  • Fraud: স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত এডিআই

    Fraud: স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত এডিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক তৃণমূল নেতা জেলের ঘানি টানছেন। এর মধ্যেই স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগ উঠল অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এডিআইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আধিকারিকের নাম বনমালী জানা। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিতের (Fraud) নাম রূপা পাঁজা সামন্ত। তাঁর বাড়ি উলুবেড়িয়ার হিরাগঞ্জ এলাকায়। তাঁর স্বামী অচিনকুমার সামন্ত উলুবেড়িয়ার একটি হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তাঁর সঙ্গে বনমালীর পরিচয় ছিল। ২০১৬ সালে তিনি স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে পরীক্ষার ফল বেরোয়। উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে বনমালীর সঙ্গে কথা বলতেই তিনি জেলা অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের ‘কোটা’য় চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ২০২১ সালের প্রথম দিকে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাঁরা। কিন্তু, পুরো টাকা না দিলে নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে বনমালী জানানোয় তাঁরা টাকা ধার করে ও গয়না বিক্রি করে বাকি টাকা জোগাড় করে দেন। ২০২১-এর শেষ দিকে কুলগাছিয়া শ্রীকৃষ্ণপুর চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে সুপারিশপত্র দেন বনমালী। সেই চিঠি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাভ হয়নি। এই ধরনের কোনও নির্দেশ বা চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ পাননি বলে জানান ওই প্রধান শিক্ষক। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ইতিমধ্যেই তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, মহকুমা শাসক ও পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    প্রতারিতের কী বক্তব্য?

    প্রতারিত রূপাদেবী বলেন, সুপারিশপত্রে কাজ হচ্ছে না, বনমালীবাবুকে একথা জানালে তিনি নিজে গাড়ি করে সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে নিয়ে যান। সেখানে নিজে হাতে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। পরে বারবার নিয়োগপত্র পাওয়ার আশ্বাস দেন। শেষে এবার পুজোর পরে নিয়োগপত্র পাব বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু পাইনি। প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি জানতে পেরে এখন বনমালীবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে হুমকি শুনতে হচ্ছে। টাকা নেওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করছেন।

    অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বনমালীবাবুর বক্তব্য, ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল, এই সুযোগ নিয়ে আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু জানা নেই। এই বিষয়ে কোনও কথা বলব না। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় পাল অবশ্য বলেন, বনমালীবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে। তদন্তও শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা! পাচারের আগেই ১০ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত

    BSF: সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা! পাচারের আগেই ১০ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে সোনা পাচারচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে, বিএসএফের কড়া নজরদারির কারণে বার বারই পাচারকারীরা ধরা পড়ছে। এবারও ৬ কেজি ৭০০ গ্রাম সোনার বিস্কুট সহ এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করল বিএসএফ (BSF)। ধৃতের নাম আজর মণ্ডল। তার বাড়ি বাগদার রাজকোল এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার রণঘাট এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারকারী আজর একটি  বাইকে চেপে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দিক থেকে রণঘাট এলাকায় আসছিল। তার কোমরে কাপড়ে বাঁধা ছিল সোনার বিস্কুট। বাগদায় এক ব্যক্তির কাছে সেগুলি তার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। বাগদার রণঘাট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা আগেই খবর পেয়েছিলেন, ওই রাস্তা দিয়ে রাতে বিপুল অঙ্কের সোনা পাচার হবে। স্বাভাবিকভাবে রাস্তায় বাড়ানো হয় নজরদারি। ওই পাচারকারীকে নিরাপত্তা দিতে আরও একটি মোটরবাইকে একজন পিছু নিয়েছিল। রাত ১১টা নাগাদ ওই যুবক রণঘাটের রাস্তা দিয়ে বাগদা রোডের কাছে পৌঁছয়। তখন জওয়ানরা মোটরবাইকটি ঘিরে ফেলেন। ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করছিল। রিভলভার বের করতেই সে ধরা দিতে বাধ্য হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে সোনার বিস্কুটগুলি উদ্ধার করা হয়। তারপর তল্লাশি করতেই যুবকের কোমরে বাঁধা কাপড়ের বেল্ট থেকে ১৭টি সোনার বার উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেও পেট্রাপোল সীমান্তে খালি ট্রাক থেকে ছোট্ট মাপের ৬০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই ট্রাকের চালককে। কিন্তু তাতেও সোনা পাচার কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে সীমান্তবর্তী থানাগুলির ভূমিকা নিয়েও।

    বিএসএফের আধিকারিক কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের এক আধিকারিক বলেন, ‘সোনা পাচারের সময় একজনকে ধরা হয়েছে। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। পাচারকারীর মোটরবাইকটি আটক করা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: ধীরে ধীরে শীতের চাদরে মুড়ছে বাংলা, মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা আরও নামবে

    Weather Report: ধীরে ধীরে শীতের চাদরে মুড়ছে বাংলা, মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা আরও নামবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধীরে ধীরে শীতের চাদরে মুড়তে চলেছে বাংলা। আবহাওয়া দফতর (Weather Report) ইতিমধ্যে জানিয়েছে, মেঘলা আকাশ আর দেখা যাবে না। ধীরে ধীরে নামতে থাকবে তাপমাত্রার পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের মতে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েক দিনে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।

    আগামীকাল থেকেই কমবে তাপমাত্রার পারদ

    মঙ্গলবার রাত থেকেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Report) নামতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের মতে, পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বুধবারের মধ্যেই ২০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাবে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম জেলার তাপমাত্রা ১৮ থেকে ১৯ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করবে। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে নতুন করে একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ৭ নভেম্বর রাত থেকে পশ্চিম হিমালয় অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীর, গিলগিট, বালতিস্থান, হিমাচলপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বাংলাতে কোনও প্রভাব সেরকম পড়বে না। রবিবার কলকাতায় আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯২ শতাংশ ছিল, সর্বনিম্ন ৬১ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়নি। আপাতত বৃষ্টিরও কোনও পূর্বাভাসও দেয়নি হাওয়া অফিস। রবিবারই কলকাতা এবং তার আশেপাশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২ ডিগ্রি বেশি। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা এবং শহর কলকাতায় স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি নেমেছে।

    উত্তরবঙ্গেও শীতের অনুভূতি

    উত্তরবঙ্গের পাঁচটি জেলাতেও থাকবে শীতের অনুভূতি (Weather Report)। রাতের তাপমাত্রা উত্তরবঙ্গে নামতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে শীত। ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ অনেকটাই বেড়েছে জেলাগুলিতে। দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে, এমনটাই পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে এই মুহূর্তে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শীতের আমেজ ক্রমশ বাড়বে উত্তরবঙ্গে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: এবার কার পালা? রেশন দুর্নীতির তদন্তে ভয়ে কাঁপছেন বালুঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী-কাউন্সিলাররা

    Ration Scam: এবার কার পালা? রেশন দুর্নীতির তদন্তে ভয়ে কাঁপছেন বালুঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী-কাউন্সিলাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে নেমে প্রতিদিনই ইডির হাতে উঠে আসছে নতুন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে যে টাকা আসত, সেই টাকা অন্য প্রভাবশালীদের কাছেও কি যেত? এবার এই প্রশ্নের উত্তর পেতে খোঁজ চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে দুদিন আগেই রাজ্যজুড়ে ফের অভিযানে নামে ইডি। রেশন দুর্নীতি মামলায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ এবং নদিয়ার মন্ত্রীঘনিষ্ঠ তিনজন ব্যবসায়ীর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সূত্রের খবর, ইডির নজরে রয়েছে আরও ডজন খানেক ব্যবসায়ী। আবার সল্টলেকের এক ব্যবসায়ীও রয়েছে ইডির আতসকাচের তলায়। সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীর বিলাসবহুল বাড়িতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রায়ই আসতেন।

    নগদেই হত কোটি কোটি টাকা লেনদেন 

    ইডি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বাকিবুর রহমান প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছে যে টাকা পাঠাতেন, সেটার কোনও ব্যাঙ্ক লেনদেন হত না এবং পুরোটাই নগদে করা হত। কোটি কোটি টাকা লেনদেন এভাবেই নগদে করতেন ধৃত বাকিবুর। নগদ টাকা কোথায় যেত তা জানার চেষ্টা করছে ইডি। অন্যদিকে, বাকিবুরের কোম্পানির মতোই আরও একটি কোম্পানি রয়েছে ইডির তদন্তকারী সংস্থার নজরে। সেটি অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড। ইডির দাবি, ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার কাছ থেকে শস্য বাকিবুরের মতোই অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের কাছেও যেত।

    ইডির নজরে একাধিক কাউন্সিলার 

    ইডির নজরে রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনার একাধিক কাউন্সিলার। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের তালিকাও তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আগামী সপ্তাহ থেকেই এই কাউন্সিলারদের (Ration Scam) তলব করা হতে পারে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর বর্তমান আপ্ত-সহায়ককে জেরা করে এ বিষয়ে একাধিক তথ্য নাকি সামনে এসেছে। বরানগর, দমদম, বনগাঁ, মধ্যমগ্রাম সহ উত্তর চব্বিশ পরগনার একাধিক পুরসভার কাউন্সিলারের দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! মহুয়া ইস্যুতে রিপোর্ট জমা দিতে মঙ্গলবার বৈঠক এথিক্স কমিটির

    Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! মহুয়া ইস্যুতে রিপোর্ট জমা দিতে মঙ্গলবার বৈঠক এথিক্স কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া ইস্যুতে রিপোর্ট তৈরি করতে চলেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। এনিয়ে মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর ফের বৈঠক বসছে কমিটির। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ রয়েছে মহুয়ার বিরুদ্ধে। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্টের খসড়া তৈরি হতে পারে মঙ্গলবারই। ইতিমধ্যে মহুয়াকে (Mahua Moitra) এথিক্স কমিটির সামনে তলব করা হয়েছিল গত ২ নভেম্বর।

    আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে

    অভিযোগ, প্যানেলের সদস্যদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করেছেন মহুয়া। প্যানেলকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরের অভিযোগ, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ (Mahua Moitra)। অপর প্যানেল সদস্যা অপরাজিতা সারঙ্গি জানান, সমস্ত রকমের শিষ্টাচারের মাত্রা লঙ্ঘন করেছেন মহুয়া মৈত্র। প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে দু’পয়সার সাংবাদিক বলে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন। এতে তাঁকে বয়কট করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। মহুয়ার ঔদ্ধত্য যে একেবারেই বদলায়নি, তা এথিক্স কমিটির কথাতেও পরিষ্কার হয়েছে। এথিক্স কমিটির সামনে কেমন আচরণ করছিলেন মহুয়া? বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গির মতে, ‘‘হাবেভাবে খুবই উদ্ধত ছিলেন তিনি। খুবই রুক্ষ ছিলেন। তিনি ভুয়ো বক্তব্য তৈরি করে দেশের মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন। নিজেকে হেনস্থার শিকার হিসাবে তুলে ধরেছেন।’’ এর আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য শুনেছে এথিক্স কমিটি। অর্থাৎ ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে দুপক্ষের বক্তব্যই ইতিমধ্যে শোনা হয়ে গিয়েছে কমিটির। এবার সংসদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এথিক্স কমিটি।

    টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া?

    মহুয়ার বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। গত মাসেই নিশিকান্ত দুবে এ নিয়ে চিঠি লেখেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। এরপরই লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, হীরানন্দানি শিল্পগোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। পরবর্তীকালে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি নিজের হলফনামায় সে কথা স্বীকারও করেন। মোট ৬৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৫০টি প্রশ্নই সাজিয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ০৬/১১/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ০৬/১১/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    বৃষ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথা গরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    মিথুন

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২)  ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    কন্যা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায়ীরা চোখ বন্ধ করে অংশীদারকে বিশ্বাস করলে লোকসানের শিকার হতে পারেন।

    তুলা

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) সংসারের ব্যয় অনেকটাই বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ধনু

    ১) আপনার ব্যবহারের কারণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    মকর

    ১) আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বদনাম থেকে সবাই খুব সতর্ক থাকুন।

    কুম্ভ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) ভিটামিনের অভাবে শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।  

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ছিটে বেড়ার বাড়ি থেকে অট্টালিকা! উল্কার গতিতে উত্থান রেশন ডিলার নিতাইয়ের

    ED: ছিটে বেড়ার বাড়ি থেকে অট্টালিকা! উল্কার গতিতে উত্থান রেশন ডিলার নিতাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই রাজ্যের একাধিক জায়গার পাশাপাশি রানাঘাটে রেশন ডিলার নিতাই ঘোষের চালকলে ইডি (ED) হানা দেয়। শুধু চালকল নয়, রানাঘাট শহরের ওল্ড বহরমপুর রোডের পাশে থাকা অট্টালিকার মতো বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিতেই নিতাই ঘোষকে নিয়ে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।

    কে এই নিতাই ঘোষ? (ED)

    ছোট একটা বেড়ার ঘরে বাবার সঙ্গে গরুর গাড়ির চাকা তৈরির কাজ করতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় রানাঘাট শহরের রেশন ডিলার বিশ্বনাথ পালের দোকানের কর্মী ছিলেন নিতাই। অল্প দিনের মধ্যেই পাল পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করেন তিনি। তারপর রেশন ডিলারের লাইসেন্সও হাতে আসে নিতাইয়ের। শুরু হয় রেশন সামগ্রীর ব্যবসা। এক সময়ে বিশ্বনাথ ও নিতাই যৌথ ভাবে ব্যবসা করতেন। পরে নিতাই নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন ও ব্যবসা বাড়িয়ে অন্যান্য রেশন ডিলারদের নিজের ছত্রচ্ছায়ায় নিয়ে আসেন। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, যৌথ ভাবে ব্যবসা করার সময় থেকেই রেশন সামগ্রী কালোবাজারি করার কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় খাদ্য সরবরাহ দফতরের দেওয়া রেশন সামগ্রীর বদলে নিম্নমানের সামগ্রী উপভোক্তাদের দেওয়ার অভিযোগ ছিল। রাস্তার পাশে তাঁদের গরুর গাড়ি চাকা তৈরি করার ভাঙাচোরা ঘরটা এখনও রয়েছে। তার পাশেই উঠেছে তিনতলা বাড়ি। বছর আটেক আগে আনুলিয়ায় চালকল তৈরি করে ব্যবসার পরিধি বাড়ান নিতাই। রানাঘাট রেল বাজারে তাঁর পাইকারি মুদির দোকানও রয়েছে। বর্তমানে রেশন সামগ্রীর ব্যবসা ছাড়াও চালকলের মালিক সেই নিতাই ঘোষই। এমনকী তিনি এখন পশ্চিমবঙ্গ এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের রানাঘাট শাখার সম্পাদকও।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রেশন সামগ্রী নিয়ে অবৈধ কারবার করার জন্য বাম জামানা থেকেই পুলিশ, প্রশাসন ও নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। সরকার বদলের পর শাসক দলের নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। তবে, তিনি কখনও কোনও দলের সামনে আসতেন না। টাকার জোগান দিয়ে নেতাদের মুঠোয় রাখতেন তিনি। ফলে, তাঁকে খুব বেশি কেউ চিনত না। তবে, সামান্য রেশন দোকানের কর্মী থেকে তাঁর উল্কার গতিতে উত্থান নিয়ে এলাকায় চর্চা ছিল। ইডি (ED) তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই তিনি ফের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য! ভেঙে পড়তে পারে দুই রাজ্যের সংযোগকারী সেতু, হুঁশ নেই প্রশাসনের

    Birbhum: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য! ভেঙে পড়তে পারে দুই রাজ্যের সংযোগকারী সেতু, হুঁশ নেই প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই বীরভূম (Birbhum) জেলায় ঝাড়খন্ড লাগোয়া সেতুর কাছেই নদী থেকে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। ফলে, ফাঁকা হয়ে গিয়েছে সেতুর পিলারের নিচের অংশ। পিলারের তলা থেকে বালি ও মাটি সরে যাওয়ায় বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বাংলা ও ঝাড়খন্ডের সংযোগকারী সেতু। সেতুটি ভেঙ্গে পড়লে সমস্যায় পড়বেন পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে যেকোনও সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

    প্রতিদিন নদী থেকে কত গাড়ি বালি তোলা হয়? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবুনি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ব্রাহ্মনী নদী। নদীর ওপারে ঝাড়খন্ডের পাকুড় জেলার পাখুড়িয়া থানার বেড়াশিমপুর গ্রাম। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খন্ডের যোগাযোগ করার জন্য ব্রাহ্মনী নদীর উপর গড়ে তোলা হয়েছে ব্রাহ্মনী সেতু। সেতু নির্মাণের সময় থেকেই দুই রাজ্যের প্রশাসন পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী বক্ষ থেকে বালি ও মাটি তোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু, সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। এলাকাবাসীদের দাবী প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার থেকে ১২০০ ট্রাক্টর বালি তোলে মাফিয়ারা। ব্রাহ্মনী নদীর সেই বালি পাচার হচ্ছে রামপুরহাটের বিভিন্ন এলাকায়। দিনের বেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে বালি মাফিয়াদের রমরমা থাকলেও রাতের অন্ধকারে তাদের দাপট আরও বেড়ে যায়। বড় বড় ডাম্পারে করে রামপুরহাট থানার শালবুনী থেকে নারায়ণপুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে বালি বোঝায় গাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সেতুর কাছে থেকে বালি তুলতে বারণ করলেও আমাদের কথায় আমল দেয় না বালি মাফিয়ারা। উল্টে তাদের রক্তচক্ষুর শিকার হতে হয়। এরাজ্যের বালি মাফিয়াদের এতটাই দাপট যে তারা ঝাড়খন্ডের পুলিশের উপরেও চড়াও হতে পিছু পা হয় না। সেতুর কাছ থেকে বালি তোলা রুখতে আসা ঝাড়খন্ডের পাখুরীয়া থানার ওসির উপরেও বীরভূমের (Birbhum) শালবুনী এলাকার বালি মাফিয়ারা চড়াও হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে বালি মাফিয়াদের দাপটে মুখ বুজে থাকতে হয় আমাদের। তাছাড়া মাফিয়াদের পিছনে শাসকদলের মদত রয়েছে। ফলে, জেলার পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়। আমাদের দাবি, দুই রাজ্যের প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করে সেতুটিকে রক্ষা করুক।

    স্থানীয় বিধায়ক কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নদী থেকে বালি তোলার বিষয়টি  আমি জানি। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। নাহলে সেতুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সব স্তরে জানাব। প্রয়োজনে সেচমন্ত্রীকে বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GPS Anklet: ‘জিপিএস বেড়ি’ পরানো হল জঙ্গির পায়ে, ইতিহাস তৈরি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের

    GPS Anklet: ‘জিপিএস বেড়ি’ পরানো হল জঙ্গির পায়ে, ইতিহাস তৈরি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবার জঙ্গিদের গতিবিধি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে! সাধারণভাবে জিপিএস সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় কোনও বস্তুর অবস্থান এবং গতিবিধি। এবার এই সিস্টেমকে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, তাও আবার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনের ক্ষেত্রে। জামিনে মুক্তি পাওয়া এক জঙ্গির গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য তার পায়ে পরানো হল ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet)। 

    কী এই ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’?

    আদতে ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet) হল অনেকটা নুপূরের মতো। পায়ের গোড়ালিতে তা পরিয়ে দেওয়া হয়। এই যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় ওই ব্যক্তি কোথায় যাচ্ছে? কী তার গতিবিধি রয়েছে? ইত্যাদি। কোনও ব্যক্তি যদি এটা খুলে ফেলতে চায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সংকেত চলে আসে পুলিশের কাছে। যে স্থানে সে এটা খুলছে, সেই অবস্থানও জানতে পারে পুলিশ। জামিনে মুক্তি পাওয়া গুলাম মহম্মদ ভাটের পায়ে শনিবারই জিপিএস পরিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আগামী দিনে এই যন্ত্রের আরও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে ভূ-স্বর্গের প্রশাসন। ভারতে এই যন্ত্র প্রথমবারের জন্য ব্যবহার করা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে জামিনে মুক্ত আসামিদের কিংবা গৃহবন্দীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে জিপিএস সিস্টেম (GPS Anklet) ব্যবহার করা হয়।

    গুলাম মহম্মদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, জঙ্গি গুলাম মহম্মদ ভাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সন্ত্রাসবাদীদের আড়াই লাখ টাকা তহবিল দেওয়ার। সেই টাকা দিতে যাওয়ার আগেই অবশ্য গ্রেফতার করা হয় গুলাম মহম্মদকে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগসূত্রের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, গুলাম মহম্মদ সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের। ওই সংগঠনের নির্দেশেই সে সন্ত্রাসবাদকে ফান্ডিং করত বলে অভিযোগ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং নাশকতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দিল্লির পাতিয়ালা হাউসের এনআইএ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর গুলাম মহম্মদ জামিনের আবেদন করে। সেই মামলার শুনানি মুলতবি থাকাকালীন সে অন্তবর্তী জামিনে মুক্তি চায়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। তবে শনিবার তাকে মুক্তি দেওয়ার সময়ই ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet) পরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার পায়ে।

    কী বলছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন?

    জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, সম্প্রতি এনআইএ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইউএপিএ আইনে জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর শর্তাবলী আরোপ করার। মুক্তির পরেও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর কড়া নজর রাখা উচিত বলে পর্যবেক্ষণে জানায় আদালত। তারপর এনআইএ আদালতের নির্দেশেই অভিযুক্তের পায়ে জিপিএস পরানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জঙ্গি দমনে নতুন প্রযুক্তির (GPS Anklet) ব্যবহার দেখা গেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল! প্রাণ কাড়ল চারজনের, বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Cooch Behar: দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল! প্রাণ কাড়ল চারজনের, বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতির হানায় বেঘরোরে প্রাণ গেলে চারজনের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি ও মাথাভাঙা এলাকায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির হামলায় যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন বুদেশ্বর অধিকারী (৫৯), আনন্দ বিশ্বাস (৬৫), জয়ন্তী সরকার (৪৬) এবং রেখারানি রায় (৬৮)। বুদেশ্বর ও আনন্দের বাড়ি শীতলকুচির টাউরিকাটা ও ভানুরকুঠিতে। বাকি দু’জনের বাড়ি মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের উনিশবিশায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    বন দফতরের অনুমান, জলদাপাড়া বা চিলাপাতার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তোর্সা নদী পেরিয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ঢুকে পড়ে হাতির দলটি। রাতভর চেষ্টা চালিয়েও হাতিগুলিকে ফেরাতে পারেননি বনকর্মীরা। পরে, দিনহাটা থেকে শীতলকুচিতে পৌঁছয় হাতির দলটি। সাতসকালে শীতলকুচি ব্লকের বড় গদাইখোড়া এলাকায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে হাতির হামলার মুখে পড়েন আব্দুল মজিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি। শিবপুরে হাতির হামলায় মহম্মদ আলি নামে এক ব্যক্তি জখম হন । প্রত্যেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর পরে, গদাইখোড়া থেকে গাংধর হয়ে মাথাভাঙা ১ ব্লকের শিবপুরে ধরলা নদীর কাছে ছ’টি হাতির দল তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক সঙ্গে চারটি হাতি এক দিকে যায়। বাকি দু’টি দু’দিকে চলে যায়। এর পরেই মাথাভাঙা ২ ব্লকে ওই হাতির হামলায় দু’জনের মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, রেখারানি বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন। সে সময় হাতি তাঁকে পিষে দেয়। জয়ন্তী সরকার ছেলেকে ডাকতে বাইরে বেরিয়ে হাতির মুখে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাতির হামলায় এক জন বনকর্মীও জখম হয়েছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    হাতির তাণ্ডবের কারণে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এমনভাবে হাতি কোচবিহারের (Cooch Behar) গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনা খুব কম। তাই আরও পরিকল্পিত ভাবে মাঠে নামতে হত বন দফতরকে। পাশাপাশি, হাতির গতিপথ ধরে গ্রামে-গ্রামে সতর্কবার্তা দিতে হত। তা হলে বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু, বন দফতর তা করেনি। এই মৃত্যুর জন্য বন দফতরের গাফিলতি দায়ী।

    কী বললেন কোচবিহারের এডিএফও?

    কোচবিহারের এডিএফও বিজন নাথ বলেন, আচমকাই হাতির দলটি ঢুকে পড়ে কোচবিহারের (Cooch Behar) গ্রামে। অল্প সময়ে সব রকম চেষ্টা চালানো হয়েছে। তার পরেও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। নিয়ম মেনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share