Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bomb Blast in Dattapukur: বাজির পর এবার দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৫ শিশু! কবে হুঁশ ফিরবে?

    Bomb Blast in Dattapukur: বাজির পর এবার দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৫ শিশু! কবে হুঁশ ফিরবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে (Bomb Blast in Dattapukur) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম পাঁচ শিশু। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্যের বাজি কারখানাগুলিতে দেশি বোমার চাষ করা হয়, এই অভিযোগে বারবার বিরোধীরা শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রশাসনের হুঁশ এখনও ফিরছে না। 

    উল্লেখ্য, এই স্থানেই গত অগাস্ট মাসে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবুও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি। এই বছরেই রাজ্য জুড়ে এগরা, বজবজ, পিংলা, দিনহাটা, সামসেরগঞ্জ, ঘুটিয়ারি শরীফ, নানুর, ভাঙ্গড়, কালিয়াচক সহ একাধিক জায়গায় বাজি বিস্ফোরণ তথা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্য বার বার তোলপাড় হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক বিস্ফোরণে মানুষের মৃত্যু যেমন হয়েছে, তেমনি শিশুরা পর্যন্ত বিস্ফোরণের প্রভাব থেকে নিস্তার পায়নি। নিহত এবং আহতের সংখ্যাটা নেহাত কম ছিল না। তাই বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক তৃণমূল দলের প্রত্যক্ষ মদতে এই বাজি-বোমার কারখানাগুলি চলছে। একই ভাবে পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়েও সাধারণ মানুষ সরব হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ফের বোমা বিস্ফোরণে শিশুরা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Bomb Blast in Dattapukur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দত্তপুকুর (Bomb Blast in Dattapukur) থানার কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়কি দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একটি বালতির মধ্যে বোমা রাখা হয়েছিল। আর এই বোমা নিয়ে কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। হঠাৎ একটি সুতলি খুলে গেলে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর দ্রুত ছোট জাগুলিয়ার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুদের। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় আব্দুল হাকিম বলেন, “বাচ্চারা বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। ওরা বেশ কয়েকটি বোমা নিয়ে প্রথমে খেলতে শুরু করে। এরপর হঠাৎ তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ (Bomb Blast in Dattapukur) ঘটে। ইতিমধ্যে ৫ জন বাচ্চা বোমার আঘাতে আহত হয়েছে।” তবে কে বোমা রেখে গিয়েছে, সেই বিষয় সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি তিনি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একটি বড় প্রশ্ন হল, পুলিশ এলাকায় ঠিক করে কর্তব্য পালন করছে না। মাত্র কয়েকদিন আগেই এই দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে ৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল কিন্তু এবার আবার ফের বিস্ফোরণ! আহত ৫ শিশু! তাতেও ঘুম ভাঙছে না প্রশাসনের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের পুজোর ইতিহাসে নরবলি! প্রতিমার গায়ের রং তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা

    Durga Puja 2023: বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের পুজোর ইতিহাসে নরবলি! প্রতিমার গায়ের রং তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়িতে প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই জন্মাষ্টমীর পর দিন দুর্গামণ্ডপে কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপুজোর শুরু হয়। এই বছর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো ৫১৩ বছরে পদার্পণ করবে। রাজ পরিবারের কূলপুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর নিরঞ্জনের পর প্রতিমার মূল কাঠামোকে জল থেকে তুলে রাজবাড়ির মণ্ডপে রেখে দেওয়া হয়। সেই কাঠামোকেই পুজো (Durga Puja 2023) করা হয়। কাঠামো পুজোর পর নান্দোৎসব এবং দধিকাদা খেলা হয়। কাদা খেলার মাটি দিয়েই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়।

    ইতিহাসে নরবলির কথা

    বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের দুর্গাপুজোর ইতিহাসে নরবলির কথা শোনা যায়। রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা শিষ্য সিংহ পাঁচশো বছর আগে জঙ্গলে শিকারে গিয়ে দেবীর পুজো করার জন্য নরবলির প্রয়োজন মনে করেন। তাঁদেরই এক সঙ্গীকে বলি দিয়ে সেই রক্ত দিয়ে দুর্গার পুজো (Durga Puja 2023) করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতিমার গায়ের রং তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা। এখন চালের মণ্ডকে মানুষের প্রতিকৃতি বানিয়েই প্রতীকী নরবলি দেওয়ার রেওয়াজ আছে।

    শূন্যে রাইফেলের গুলি 

    ইংরেজি ১৫১৫ সালে বৈকুন্ঠপুর রায়কত রাজ এস্টেটের প্রতিষ্ঠাতা শিষ্য সিংহ নরবলি দিয়ে মৃন্ময়ী মা ভগবতীর পুজোর (Durga Puja 2023) সূচনা করেছিলেন। শিষ্য সিংহের ভাই বিশ্ব সিংহ ছিলেন কোচবিহার রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। রাজবাড়ির পুজাকে ঘিরে শহর ও শহরতলির মানুষের ভিড় উপচে পড়ে। স্মরণাতীত কালের প্রথা মেনেই রাজবাড়ির দিঘিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। এমনকি পুরানো প্রথা মেনে শূন্যে ১ বা দুই রাউন্ড রাইফেলের থেকে গুলি ছোঁড়া হয়। রাজবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনের পরেই শহরের অন্যান্য প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

    একচালার প্রতিমা

    দেবী দুর্গা এখানে একচালা (Durga Puja 2023)। এই একচালার মধ্যেই দেবী বিগ্রহের সাথে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, দেবীর বাহন থাকে। দেবীর বাম দিকে সহচরী জয়া, ডান দিকে বিজয়া একচালার বাইরে থাকেন। ডানদিকে শিব, ব্রহ্মা এবং ছোট সিংহাসনে ঘটের সামনে বিষ্ণু বা বৈকুন্ঠনাথ অবস্থিত থাকেন। রাজ পরিবারের সদস্য প্রণত বসু বলেন, রাজ বংশের এই পুজো অতীতের সমস্ত রীতি রেওয়াজ মেনেই নিষ্ঠার সাথে করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • New Town Murder: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল, ৩০ লক্ষ টাকা না মেলাতেই নৃশংস খুন ছাত্রকে?

    New Town Murder: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল, ৩০ লক্ষ টাকা না মেলাতেই নৃশংস খুন ছাত্রকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ টাউনে রেস্তোরাঁ মালিকের খাটের নিচে স্যুটকেস থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রের মৃতদেহ (New Town Murder)। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, সেলোটেপ দিয়ে আটকানো ছিল মুখ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকা না মেলায় খুন করা হয়েছে। ওই রেস্তোরাঁ মালিকের বাড়িতেই ভাড়ায় থাকতেন ওই ছাত্র। 

    মৃত ছাত্রের পরিচয় (New Town Murder)

    এই মৃত ছাত্রের নাম সাজিদ হোসেন। মূলত ডাক্তারি পরীক্ষা এনআইআইটির (নিট) কোচিং নেওয়ার জন্য নিউ টাউনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। মহিষবাথান বক্স ব্রিজের কাছে থাকতেন এই ছাত্র। মালদার কালিয়াচকে তাঁর বাড়ি। মৃত্যুর পর পরিবারে তীব্র শোকের ছায়া।  

    কীভবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল?

    সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপর সহপাঠীরা তাঁর নিখোঁজের কথা বাড়িতে জানান। নিউ টাউনে মূলত ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির পড়াশুনা করছিলেন ওই ছাত্র। ৫ তারিখে নিউ টাউন থানায় মিসিং ডায়েরি করে পরিবার। সূত্রে আরও জানা গেছে, সাজিদের মুখে সেলোটেপ লাগানো এবং হাত-পা বাঁধা একটি ছবি পরিবারকে পাঠানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। পাঠানোর পরে আবার অপহরণকারীরা সেই ছবি ডিলিট করে দেয়। এরপর আজ ভোররাতে উদ্ধার হয় সাজিদের দেহ (New Town Murder)। এই ছাত্রের পরিবার মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাতো। আর এই খবর পেয়ে দুষ্কৃতীরা মনে করে, পরিবারের কাছে প্রচুর টাকা রয়েছে। এরপর পরিকল্পনা করে খুন করা হয় বলে অনুমান। এই ঘটনায় পুলিশ গৌতম নামে এক যুবকের সঙ্গে আরও চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার এই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এল কালিয়াচকের ১৬ মাইল গুরুটোলা এলাকায়। মৃত সাজিদ হোসেনের (New Town Murder) বয়স ১৯ বছর। বাবার নাম মোক্তার হোসেন। বাবা মোক্তার হোসেন বলেন, “সাজিদ নিউ টাউনের তারুলিয়া সেকেন্ড লেন এলাকার গৌতম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থেকে নিটের কোচিং নিচ্ছিল। তার ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু চলতি মাসের ৪ তারিখে সে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে বুঝতে পারি ওর বন্ধুরা মিলে যোগসাজশ করে অপহরণ করেছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু এর মধ্যেই অপহরণকারীরা তাকে খুন করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দুর্গাপুরের হাকিম বাড়ির পুজোয় নবপত্রিকা আনা হয় আগমনী গান গেয়ে

    Durga Puja 2023: দুর্গাপুরের হাকিম বাড়ির পুজোয় নবপত্রিকা আনা হয় আগমনী গান গেয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বৃটিশ ভারতে একজন ইংরাজি শিক্ষায় শিক্ষিত যুবক। নেমে পড়েন বৃটিশদের সঙ্গে ঠিকাদারি ব্যবসায়। প্রচুর অর্থ আয়ের পর তিনি মাত্র ৩৯ বছর বয়সে জমিদারি কেনেন। গড়ে তোলেন বড় দালান আর দুর্গামন্দির। ১২৭৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন দেবী দুর্গার। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দেবী দুর্গা এবার ১৫৬ বছরে পা দিল। গোপালপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার সে যুগ থেকে এ যুগ খুবই অভিজাত এবং শিক্ষিত পরিবার। বৃটিশ ভারতে সেই আমলে আসানসোলে আদালত ছিল। সেই সময় ভারতীয় বিচারকদের সাম্মানিক ভাতা দেওয়া হত। রামশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মধ্যম সন্তান সত্যকিঙ্কর বন্দ্যোপাধ্য্যায় ছিলেন সেই আমলের সাম্মানিক বিচারক। তাই গোপালপুরের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজোকে হাকিম বাড়ির পুজো বলা হয়। অভিজাত এই পরিবারের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে বাস করেন কর্মসূত্রে। তবে পুজোর চারদিন তাঁরা ফিরে আসেন নিজের গ্রামে, নিজেদের পুজোর (Durga Puja 2023) আনন্দ উপভোগ করতে।

    একই হাঁড়িতে ভোগ ১৫৬ বছর ধরে (Durga Puja 2023)

    রামশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রথায় পুজো (Durga Puja 2023) করতেন, আজও সেভাবেই পুজো চলে। শরীকী প্রথায় ভাগ হয়নি এই পুজো। একই হাঁড়িতে ভোগ হয় একসঙ্গে ১৫৬ বছর ধরে। মাটির থালা-বাটি-গ্লাসে ভোগ দেওয়া হয় দেবী দুর্গাকে। ১০৮ পদ্ম দেওয়া হয় অষ্টমীর মাহেন্দ্রক্ষণে। এখনও জমিদারি প্রথা মেনে অষ্টমীর মাহেন্দ্রক্ষণে বলির সময় বন্দুক চালানো হয়। ১৫৬ বছর আগে শুরু হয়েছিল আগমনী গান গেয়ে নবপত্রিকা আনা। আজও সেই প্রথা রয়েছে। কবি নীলকন্ঠ মুখোপাধ্যায় রচিত আগমনী গান গেয়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের নবপত্রিকা আনা হয়। লক্ষ্মী মন্দিরে স্থাপনের পরেই দেবীর নবপত্রিকা মন্দিরে নিয়ে আসা হয়।

    এই প্রজন্ম বলি প্রথার বিরুদ্ধে (Durga Puja 2023)

    আগে নবমীর দিনে (Durga Puja 2023) গ্রামের তিন দেবতার কাছে ছাগ বলি দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এই প্রজন্ম বলি প্রথার বিরুদ্ধে বলে। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে দেবীর উদ্দেশ্যে বলি দেওয়া হয় চালকুমড়ো। দশমীর দিনে সিঁদুর খেলার প্রচলন রয়েছে। দেবীকে নিরঞ্জনের সময় বরণ করেন পরিবারের গৃহবধূরা। আগে দেবীর নিরঞ্জনের সকালে অর্থাৎ দশমীর সকালে নীলকন্ঠ পাখি ছাড়া হত কৈলাসে বার্তা দেওয়ার জন্য, উমা বাপের বাড়ি থেকে শিবের কাছে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন নীলকন্ঠ পাখি আর মেলে না, তাই সেই প্রথা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 
    বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য সিদ্ধার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১৫৫ পার হয়ে এবার ১৫৬ বছরে পা দিয়েছে রামশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত দেবী দুর্গা এবং এখনও যৌথ পারিবারিক পুজো হয়ে আজও জেলার মধ্যে আলাদা বৈশিষ্ট্য ধরে রেখেছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Black fever: ডেঙ্গির প্রকোপের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট! রোগীমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ! 

    Black fever: ডেঙ্গির প্রকোপের মাঝেই কালাজ্বরের দাপট! রোগীমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে রোগের দাপট। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডে কাবু রাজ্যবাসী। তার মাঝেই নতুন উদ্বেগ হাজির। কালাজ্বরের (Black fever) দাপট ক্রমশ রাজ্যে বাড়ছে। ফলে, রাজ্যের মানুষের জন্য আরও এক বিপদ ক্রমশ জটিল হচ্ছে বলেই আশঙ্কা করছে চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে কালাজ্বরে (Black fever) আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১২ জন। মালদহ, বর্ধমান সহ একাধিক জেলায় কালাজ্বরের দাপট রয়েছে। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে কালাজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৪৭ বছর বয়সি এক ব্যক্তি দিন কয়েক আগে মারা গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওঁই ব্যক্তি মালদহের বাসিন্দা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটে। তিনি মারা যান। এই ঘটনায় উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কারণ, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটলে, তা নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। কারণ, এই ধরনের রোগে সংক্রমণের প্রকোপ বোঝা জরুরি, পাশপাশি কোন ধরনের সমস্যা থাকলে রোগীর পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে, সে সম্পর্কেও স্পষ্ট ধারণা করা দরকার। তা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে যায়।

    কীভাবে বুঝবেন কালাজ্বর (Black fever)? 

    চিকিৎসরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের কিছু নির্দিষ্ট উপসর্গ রয়েছে। শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। বারবার জ্বর হলে, শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে সতর্ক হতে হবে। পাশপাশি পেটে যন্ত্রণা হয়। কালাজ্বরের অন্যতম উপসর্গ হল পেটের উপরের অংশে যন্ত্রণা। পেট ফুলে যাওয়া আর শরীরের ওজন দ্রুত কমে গিয়ে হাত-পা লিকলিকে রোগা হয়ে যাওয়া কালাজ্বরের অন্যতম উপসর্গ বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এছাড়া, কালাজ্বর হলে ত্বকে কালো ছোপ দেখা দিতে পারে। জ্বর হলে শরীরের কোন অংশের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা নজরে রাখা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। এছাড়া, কালাজ্বরের (Black fever) অন্যতম উপসর্গ হল ডায়ারিয়া। জ্বরের সঙ্গে পেটের সমস্যা মারাত্মক বাড়লে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। না হলে বড় বিপদের আশঙ্কা বাড়তে থাকে।

    কালাজ্বর কি সংক্রামক রোগ? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বর (Black fever) ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগ। তবে, কালাজ্বর মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এলাকার কেউ কালাজ্বরে আক্রান্ত হলে, অন্যদের সতর্ক হতে হবে। সচেতনতা না বাড়লে এই রোগ প্রতিরোধ কঠিন হয়ে উঠবে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কালাজ্বরের ওষুধ বহু বছর আগেই আবিষ্কার হয়েছিল। কালাজ্বর (Black fever) হলে তার থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাছাড়া, কালাজ্বরের নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তাই কালাজ্বর হলে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চললে দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। কিন্তু কালাজ্বর ঠেকাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরে বাড়তি নজরদারি জরুরি। বর্ষাকালে পেটের অসুখ, ডায়ারিয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এই সময় একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া উচিত নয়। বিশেষত জল খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি নজরদারি জরুরি। পরিশ্রুত জল খেতে হবে। বাচ্চাদের বাড়তি নজরদারি করতে হবে। যাতে তাদের কোনও ভাবে পেটের সমস্যা না হয়। তাহলেই সংক্রমণ রোগ ঠেকানো সহজ হবে। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরে সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে হড়পা বানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়লেন পর্যটকরা। বীরভূম থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) বেড়াতে গিয়ে একই পারিবারের দুই শিশু, মহিলা সহ ৮ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। অপর দিকে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা বিপর্যয়কে অতিক্রম করে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা নিয়েও চরম আতঙ্কের ছায়া দেখা গেছে কলকাতা-হাওড়ার বেশ কয়েকটি পরিবারের মধ্যে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পরিজনরা। পাশাপাশি বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে।

    বীরভূমের নিখোঁজ ৮ জন (Sikkim Disaster)

    সিকিমে (Sikkim Disaster) গিয়ে বীরভূমের একই পারিবারে নিখোঁজ ৮ জন। ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক মহম্মদ মহফুজ রহমান, তাঁর ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-সহ একই পরিবারের ৮ জন সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। ১ অক্টোবর বোলপুর থেকে তাঁরা সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ সিকিমের লাচেন এলাকায় একটি হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে, অর্থাৎ ৩ অক্টোবর থেকে ওই ৮ জনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। নিখোঁজদের নাম হল, সোহান রাজভি (৬), রেহা তানভি (১০), রায়না জাহান (৪), রায়সা জাহান (১৩), এসথাউদ্দিন শেখ (৪২), নাজিয়া খাতুন (৩৭), মুজাফফর আহমেদ (৪০), রেবিকা মণ্ডল (৩৪)। পরিবারের তরফে সংশ্লিষ্ট ইলামবাজার থানায় জানানো হয়। তবে একই পরিবারের ৮ জন নিখোঁজ থাকায় রীতিমতো ঘুম উড়েছে পরিবারের বাকি সদস্যদের। প্রশাসন যাতে সিকিমে থাকা পরিজনকে খুঁজে বের করে, সেই জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    হোটেলবন্দি হাওড়া-কলকাতার পর্যটকরা

    রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) প্রায় তিন হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েছেন। পুজোর আগে অনেক মানুষ সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তবে সিকিমের পাহাড় থেকে সমতলে অনেকে নামতে পারলেও, বেশিরভাগ মানুষ এখনও আটকে রয়েছেন বিপর্যয়ে। গত ২ অক্টোবর কসবার বাসিন্দা পেশায় ডাক্তার, ভাবনী প্রসাদ নিজের পরিবারকে নিয়ে সিকিমে বেড়াতে গেলে বিপর্যয়ের কারণে হোটেলে আটকে পড়েছেন। ভবানীপ্রসাদবাবু ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নানারকম খবর শুনছি এবং সেই সঙ্গে আতঙ্কে ভুগছি। পরিবারের সকলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। বাড়িতে পরিজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। আপাতত সকল প্রোগ্রাম বাতিল করে বাড়ি ফেরার চেষ্টায় রয়েছি।” সিকিমে ঘুরতে যাওয়ায় নিজের পরিজনদের খবর না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। একই ভাবে হাওড়ার কৌশিক হাজরাও সিকিমে ঘুরতে গিয়ে হোটেলে আটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। পরিবার তাঁদের ফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    বিশেষ পরিষেবা

    হড়পা বানে সিকিমের (Sikkim Disaster) সঙ্গে উত্তরেবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ অবনতি ঘটেছে। ঘুরপথে পাহাড় থেকে শিলিগুড়িতে নামতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগছে। গাড়িতে বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে পর্যটকদের। এই অবস্থায় মানুষকে বিপর্যয় স্থল থেকে উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবার কথা ঘোষণা করেছে। সংগঠনের সচিব মিলন সরকার বলেন, “পর্যটকদের বিনামূল্যে নিরাপদে পৌঁছে দিতে পারলে আনন্দিত হব। আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি পরিষেবা প্রদান করার জন্য।”

    বিপদগ্রস্ত পর্যটকরা 9734144375 বা 9832388425 নম্বরে যোগাযোগ করে যে কোনও সাহায্য চাইতে পারবেন। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: মর্মান্তিক! জলের তোড়ে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মৃত্যু শিশুর

    Sikkim Disaster: মর্মান্তিক! জলের তোড়ে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মৃত্যু শিশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মর্মান্তিক মৃত্যু হল একজনের। ঘটনায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা অঞ্চলে। মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে সিকিমের সিংথামের সেনাবাহিনীর একটি ছাউনি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় (Sikkim Disaster)। সেখানে থাকা সেনাবাহিনীর গোলাবারুদও জলের তোড়ে ভেসে যায়। যার মধ্যে বেশ কিছু মর্টারও ছিল। তার জেরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।

    হাতুড়ি দিয়ে খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণ

    বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানা এলাকার বাকালি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি মর্টার (Sikkim Disaster)। পাশাপাশি ক্রান্তি এলাকা থেকেও বেশ কয়েকটি মর্টার মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠ ধরতে গিয়ে সেগুলি দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেগুলির মধ্য থেকেই একটিকে হাতুড়ি দিয়ে খুলতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় আইনুর রহমান নামে এক সাত বছরের শিশুর। আহত হন আরও কয়েকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের প্রায় প্রত্যেকের গোটা শরীর ঝলসে গেছে। জলপাইগুড়ি থেকে সঙ্গে সঙ্গে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    শোকের ছায়া (Sikkim Disaster)

    ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপরই ঘটনাস্থলে আসেন সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিক এবং জওয়ানরা। তাঁরা সেগুলিকে সেখান থেকে নিয়ে যান। ঘটনায় আতঙ্কের পাশাপাশি শোকের ছায় নেমে এসেছে গোটা রাজাডাঙ্গা এলাকায় (Sikkim Disaster)। অন্যদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এমন ঘটনা যে ঘটবে সেটা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। অবুঝ শিশু কাঠ ধরতে গিয়ে ওই বস্তুটি নিয়ে আসে। তার পরিণতি যে এমন হবে, সেটা তাঁরা আন্দাজ করতে পারেননি। ওই এলাকার কেউই আর কোনওদিন তিস্তা থেকে কিচ্ছু আনতে যাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Roads of Bengal: রাস্তার ‘উন্নয়ন’ এমনই যে পুজোর মুখে আস্ত অটো রুটই বন্ধ হয়ে গেল

    Roads of Bengal: রাস্তার ‘উন্নয়ন’ এমনই যে পুজোর মুখে আস্ত অটো রুটই বন্ধ হয়ে গেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে দুর্গাপুজো। আর এই সময়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল চন্দননগর-রাজারবাথান রুটের অটো। এর জন্য একমাত্র ভিলেন হল বেহাল রাস্তা। চন্দননগর স্টেশন থেকে ১৩ টি অটো চলাচল করে রাজারবাথান পর্যন্ত। এই রাজারবাথান জায়গাটি হল চন্দননগর স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে দিল্লি রোডকে ভেদ করে সিঙ্গুরের দিকে। প্রায় ৯ কিমি দীর্ঘ রাস্তার মধ্যে দিল্লি রোড ছাড়িয়ে বাকি ৫ কিলোমিটারের অবস্থা খুব খারাপ (Roads of Bengal)। এলাকাটি সিঙ্গুর ব্লকের বৈঁচিপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। ওই রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে অটো রুটও বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। মহা সমস্যায় পড়েছেন অটোচালক থেকে ব্যবসায়ী, স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।

    ডেপুটেশন নেওয়ারও কেউ নেই (Roads of Bengal)

    এ ব্যাপারে ওই অটোচালকরা বৈঁচিপোতা পঞ্চায়েত অফিসে যান ডেপুটেশন দিতে। কিন্তু সেখানে গিয়েও দেখা মেলেনি প্রধান বা উপপ্রধানের। দুজনের কেউ অফিসে আসেননি। এবিষয়ে ওই অটো রুটের সম্পাদক যীশু চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা খারাপ (Roads of Bengal)। যাতায়াতের অযোগ্য। গাড়ির চাকা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পাশ দিয়ে কেউ গেলে তার গায়ে কাদা ছিটকে লাগছে। আমরা গালমন্দ খাচ্ছি। তাই গাড়ি বন্ধ রেখে আমরা অটোচালকরা এসেছিলাম পঞ্চায়েতে। কিন্তু কোনও পদাধিকারীর দেখা মিলল না। উপপ্রধানকে ফোন করলে তিনি জানালেন, রাস্তা যতদিন না ঠিক হবে গাড়ি বন্ধ থাকবে। পুজোর মুখে কঠিন সমস্যায় অটোচালকরা। এখন কী করবে তারা, ভেবে পাচ্ছে না। বলতে হয় পেটের ভাত বন্ধ হয়ে গেল। এদের একটাই প্রশ্ন, আমরা কোথায় যাব। কী খাব।

    সেই আশ্বাস (Roads of Bengal)

    এ ব্যাপারে বৈচিপোঁতা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার বাগকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটির টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। মালপত্রও এসে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। রোদ উঠলেই আমরা কাজ (Roads of Bengal) শুরু করে দিতে বলেছি। জানি এলাকার মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আরেকটু ধৈর্য্য ধরতে অনুরোধ করছি। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। যতদিন না হচ্ছে, ততদিন অটো বন্ধ রাখতে বলেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Disaster: সিকিমের বিপর্যয়ে তিস্তায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ

    North Bengal Disaster: সিকিমের বিপর্যয়ে তিস্তায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনের অতি ভারী বর্ষণে উত্তর সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে (North Bengal Disaster) ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বানভাসি হয়েছে তিস্তা নদী। জলের তোড়ে সিকিমে আরও এক হ্রদে ভাঙন দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। তিস্তার জল কমতেই বেরিয়ে আসছে নানা হৃদয় বিদারক দৃশ্য।

    ময়নাগুড়িতে তিস্তায় ভেসে আসছে দেহ (North Bengal Disaster)

    ময়নাগুড়িতে (North Bengal Disaster) তিস্তা নদীর জল দুকূল ছাপিয়ে ভয়াবহ আকার নিলে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের বাড়িঘর, চাষের জমি ইত্যদি ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়। নদীর জলে ভেসে আসছে বেশ কিছু মৃতদেহ। এখানকার ব্লকের তিস্তার চর ধর্মপুরে হেলাপাকড়ি এলাকা থেকে ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও অনেক মৃতদেহ জলে আটকে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতদেহগুলিকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় সেনাবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি মিলিয়ে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে চারজন সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং দুজন সাধারণ নাগরিক। এই সংখ্যা যত সময় যাচ্ছে, বাড়ছে।

    সিকিমে ভাঙল আরও এক হ্রদ

    সূত্রের খবর, সিকিমের লাচেনের উপরে থাঙ্গু উপত্যকা থেকে ১২৩ কিমি উপরে সাকচু হ্রদের আশেপাশে ব্যাপক বিপর্যয় নেমেছে। হ্রদে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরে স্যাটেলাইটে ছবি ধরা পড়ছে না বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কী হতে পারে তা বলা মুশকিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা করেছে প্রশাসন। মহানন্দা অভয়ারণ্য সংলগ্ন তিস্তার ললটাং, গাজলডোবার (North Bengal Disaster) নিচু এলাকা থেকে অনেক মানুষকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গতরা। আগামী দিনগুলি যে কী হবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না কেউ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Flood In Bengal: খাবার নেই, নেই পানীয় জল! তৃণমূল সাংসদ যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বানভাসিরা

    Flood In Bengal: খাবার নেই, নেই পানীয় জল! তৃণমূল সাংসদ যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বানভাসিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টিতে ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসছে হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুল। মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর, দ্বারকেশ্বর ও রূপনারায়ণের জল ঢুকে খানাকুলের ১ ও ২ ব্লকের ২৪টির মধ্যে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু মাটির বাড়ি জল ঢুকে পড়ে গেছে (Flood In Bengal)। বহু পাকা বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। এলাকায় পানীয় জলের কলগুলি বন্যার জলে ডুবে গিয়ে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার একর চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বহু মানুষ নিচু এলাকা ছেড়ে অন্যত্র উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ রয়েছেন বাড়ির ছাদে, কেউ আবার ত্রাণ শিবিরে। এখনও জল যেভাবে বাড়ছে, বড়সড় বন্যার আশঙ্কা করছেন খানাকুলের বন্যাদুর্গত মানুষ।

    ত্রাণ মিলছে না (Flood In Bengal)

    মানুষের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে তাঁরা জলযন্ত্রণায় ভুগছেন। অথচ প্রশাসনের দেখা নেই। এমনকি জনপ্রতিনিধিদেরও সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি। অনেকেই জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বাড়ির মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না। ফলে পানীয় জল ও বাচ্চাদের খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। এমনকি রাস্তাঘাট ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাঁদের নৌকাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এলাকায় কোনও নৌকাও এসে পৌঁছায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনকে বললেও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন খানাকুলের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। জলযন্ত্রণায় (Flood In Bengal) ভুগছেন বানভাসি সাধারণ মানুষ।

    অপরূপাকে ঘিরে ক্ষোভ (Flood In Bengal)

    বৃহস্পতিবার সেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সাংসদকে। দুপুরে খানাকুলের সুলুট গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এলাকাবাসী তাঁদের বিভিন্ন দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও বানভাসি মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়ে অপরূপা দাবি করেন, বাড়ির টাকা আনতেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসছে টাকা দিতে হবে না, দাবি সাংসদের। আর এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও অপরূপা বলেন, বিজেপি নেতারা ডিভিসিকে বলে জল ছাড়ছে। সে কারণেই খানাকুল ডুবছে (Flood In Bengal)। বিক্ষোভের দাবি উড়িয়ে অপরূপা পোদ্দার বলেন, “কোনও বিক্ষোভই নেই। বিজেপির বিধায়করা তো ভোটের সময় আসেন, মানুষের বিপদে তো আসেন না। আমরা সবসময় মানুষের পাশেই থাকি।

    সাংসদ তো আসেনই না, তোপ বিজেপির

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আরামবাগের সাংসদ তো এলাকায় আসেনই না। খানাকুলের কী পরিস্থিতি উনি তো জানেনই না। উনি আসতেই মানুষ তাঁদের বহুদিনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ঠাকুরানিচক, ঘোষপুর, কিশোরপুর-১, কিশোরপুর-২ প্রভৃতি এলাকায় মানুষ ত্রাণ (Flood In Bengal) পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত প্রধানরা ফিরিয়ে দিচ্ছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share