Tag: Bengali news

Bengali news

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০৬/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০৬/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) এমন কোনও কাজ করবেন না, যা পূর্ণ হতে বিলম্ব হয়। কারণ এমন কোনও কাজই পুরো হবে না।

    ২) সন্তানের উন্নতি দেখে আনন্দিত হবেন। 

    বৃষ

    ১) বিদেশে বসবাসকারী আত্মীয়ের কাছ থেকে সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ২) সম্পত্তি সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে। এর ফলে অধিক লাভ হবে।

    মিথুন

    ১) জীবনসঙ্গীর জন্য সময় বের করতে পারবেন।

    ২) মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    কর্কট

    ১) সন্তানের তরফে আনন্দদায়ক সংবাদ শুনতে পাবেন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তুষ্ট হবেন।

    সিংহ 

    ১) চাকরি বা ব্যবসায়ে কোনও তর্ক বাঁধলে বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন। না-হলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে।

    ২) সকলের মন জয় করতে সফল হবেন। এর ফলে লাভ হবে।

    কন্যা

    ১) রকারি চাকরিজীবীরা মহিলা বন্ধুর সাহায্যে অর্থ লাভ করতে পারেন।

    ২) আধিকারিকরা আপনার কাজের প্রশংসা করবে।

    তুলা 

    ১) ব্যবসা থেকে কম আর্থিক লাভ হওয়া সত্ত্বেও সন্তুষ্ট থাকবেন এবং দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে পারবেন।

    ২) আধিকারিকদের সঙ্গে চাকরিজীবীদের সম্পর্ক উন্নত হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) বাবার সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। তবে তাঁর কথা শোনা উচিত।

    ২) ছাত্ররা কোনও পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে চাইলে, তা আজ করতে পারেন।

    ধনু

    ১) কাউকে ভুলেও টাকা ধার দেবেন না। কারণ সেই টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    ২) সন্ধ্যাবেলা পাড়ায় কিছু ঘটলে আপনি তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

    মকর

    ১) নিজের সমস্ত কাছ বাদ দিয়ে ধীরগতিতে চলতে থাকা ব্যবসাকে প্রাথমিক গুরুত্ব দিন। তখনই ব্যবসার গতি বাড়বে। এ ক্ষেত্রে ভাইয়ের পরামর্শের প্রয়োজন পড়বে।
     
    ২) চাকরিজীবীরা নিজের কাজে মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) সন্তানের কোনও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এর ফলে দৌড়ঝাপ করতে হবে।

    ২) অংশীদারীর ব্যবসা করলে লোকসান হতে পারে।

    মীন

    ১) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সময় কাটাবেন।

    ২) বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠান হতে পারে।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: মালদায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ প্রশাসন কী করছে?

    Bomb Blast: মালদায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কর্মীর পরিত্যক্ত বাড়িতে আচমকা বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে (Bomb Blast) ওঠে গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে মালদার কালিয়াচক এলাকায়। সার্জেন সেখ নামে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অনুমান, বোমা বা বিস্ফোরক মজুত করা ছিল ওই বাড়িতে। সেটা থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের শালিপুর সাতঘরিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী সার্জেন সেখের বাড়ি। এলাকাবাসীর দাবি, এই সার্জেন শেখ এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে, তৃণমূলে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার সাত সকালে বিকট আওয়াছে কেঁপে ওঠে এলাকা । পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে কেউ থাকত না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সার্জেন শেখ বা তাঁর পরিবারের কেউ এখানে থাকেন না। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এখানে বোমা মজুত করছিল। তা থেকেই বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হতে পারে। যাঁর বাড়িতে বিস্ফোরণ, সেই সার্জেন সেখের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বক্তব্য, গ্রামের জনবহুল এলাকায় ওই বাড়িটি রয়েছে। ফলে, কে বা কারা রাতের অন্ধকারে ওই বাড়়িতে বোমা মজুত করল তা পুলিশের দেখা দরকার। কারণ, অবিলম্বে পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়়বে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    দলীয় কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হওয়ায় সার্জেনকে দলের কর্মী হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, এক সময় কংগ্রেস করত শুনেছি। পরে, দলবদল করেছিল বলে আমার জানা নেই। আসলে  এরা সমাজবিরোধী। মূলত নানা অপরাধ করে রাজনীতির ছত্রছায়ায় আসার চেষ্টা করত। তৃণমূল কর্মী বলে আমাদের জানা নেই।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটি পরিত্যক্ত। কীভাবে এখানে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগে থেকেই এখানে বিস্ফোরক রাখা ছিল। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, সার্জেন শেখের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে কালিয়াচক থানায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে ১২ ঘণ্টা পার, আড়াই কোটির ফ্ল্যাটের হদিশ পেল ইডি

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে ১২ ঘণ্টা পার, আড়াই কোটির ফ্ল্যাটের হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বারাকপুর মহকুমা। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই ইডি (ED) আধিকারিকরা বরানগর, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বা়ড়িতে হানা দেন। সকাল থেকে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চালান। ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই তল্লাশি চলছে। কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক, টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার এক কর্মী মীজানুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তাই ব্যাপক উত্তেজনা।

    অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে পুরসভায় নিয়োগ, তদন্তে ইডি (ED)

    কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ৩০০ কর্মীর নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নিয়োগও এই পুরসভায় হয়। এর আগে অয়নের সংস্থার মাধ্যমে চাকরি হওয়া ৩৩ জন কর্মীকে ইডি আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বরানগর পুরসভায় অয়নের সংস্থার মাধ্যমে ২৮০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা আশিস দে-র ছেলে বরানগর পুরসভায় নিয়োগপত্র পান। জানা গিয়েছে, চাকরি পাওয়ার পরও তিনি বীরভূমের বাড়িতেই থাকতেন। তৃণমূলের রাজ্য নেতার ছেলে বলে কারও তাঁকে ঘাঁটানোর সাহস ছিল না। এদিন ইডি হানা নিয়ে তৃণমূল নেতা আশিস দে-র বা তাঁর ছেলের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে এর আগে ইডি আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান। জানা গিয়েছে, এই বরানগর পুরসভায় কামারহাটির তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। একইভাবে কামারহাটি পুরসভায় বরানগরের তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। এই নিয়োগে দুই পুরসভার চেয়ারম্যানদের ভূমিকা ইডি (ED) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। একইসঙ্গে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার কর্মী মীজানুর রহমানের নিয়োগ দুর্নীতিতে ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ইডি দিনভর তল্লাশি চালায়। একজনের আড়াই কোটি টাকার ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে ইডি আধিকারিকরা। তবে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে ইডি আধিকারিকরা মুখ খুলতে চাননি। 

    কামারহাটি পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যানকে জেরা করলেন ইডি (ED) আধিকারিকরা

    কামারহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর চেম্বারে ঘন্টা দেড়েক জেরা করা হয়। তাঁর মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্টে অয়ন নাম দেখেই সন্দেহের চোখে তাকান ইডি-র (ED) তদন্তকারীরা। জানতে চান, কে এই অয়ন? তুষারবাবু জানান, এটা অয়ন মিত্র। অয়ন শীল নয়। সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ছিলেন অয়ন মিত্র। এরপরে অয়ন শীল নিয়েও বেশ কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির তদন্তকারীরা। তারপরে তুষারকে পুরসভায় তাঁর নিজের ঘরে বসার অনুমতি দেওয়া হয়। এখনও এস্টাব্লিশমেন্ট ডিপার্টমেন্টে এবং পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। ভাইস চেয়ারম্যান অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় কামারহাটি পুরসভায় ব্যাহত পরিষেবা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: রায় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হবে শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে

    Durga Puja 2023: রায় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হবে শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে রায় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা করা হয়। ২২৩ বছর ধরে চলে আসা এই রেওয়াজ আজও অব্যাহত মালদা জেলার পূর্বপ্রান্তে হবিবপুর থানার সিঙ্গাবাদ তিলাসন এলাকায় সিঙ্গাবাদ জমিদার বাড়িতে (Durga Puja 2023)। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের ফলে এই জমিদারির সিংহভাগ অংশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, তথা বর্তমান বাংলাদেশে পড়লেও আজও ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের কাঁটাতার থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত বিশাল রায় জমিদার বাড়ি। সময়ের সাথে জমিদারি চলে গিয়েছে। সুবিশাল বাড়ির বিভিন্ন অংশ জুড়ে ধরেছে ফাটল। কিন্তু এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে ঐতিহ্য।

    বিপ্লবীদের পরামর্শে দেবী দুর্গার আরাধনা (Durga Puja 2023)

    সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে ডালের ব্যবসা করতে বাংলায় এসেছিলেন অবোধনারায়ণ রায়। মালদা জেলার হবিবপুর থানার সিঙ্গাবাদ স্টেশনে ট্রেনে করে এই ডাল নিয়ে আসতেন তিনি। এরপর নৌকাপথে সেই ডাল ঢাকা, রাজশাহী সহ কলকাতার খিদিরপুর বন্দরে বিক্রির উদ্দেশ্যে যেত। ব্যবসার সুবিধার জন্য এই এলাকায় ব্রিটিশ সরকারের কাজ থেকে তৎকালীন প্রায় তিন হাজার টাকায় জমিদারিত্ব ক্রয় করেন তিনি। এরপর এই এলাকায় শুরু করেন বসবাস। পরবর্তীতে তিনজন বিপ্লবীর পরামর্শে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। ২২৩ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জমিদারির সিংহভাগ অংশ চলে যায় সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে অর্থাৎ বাংলাদেশে বাকি অংশ রয়ে যায় ভারতবর্ষে।

    ব্রিটিশ শাসকের আমল থেকেই জনপ্রিয় (Durga Puja 2023)

    ব্রিটিশ শাসকের আমল থেকে এই রায় জমদার বাড়ির পুজো বেশ জনপ্রিয়। হাজার হাজার মানুষ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সীমান্তের ওপর থেকে মানুষ আসতেন এই পুজো দেখতে। কিন্তু বর্তমানে এখন সেই রকম পরিস্থিতি নেই। তবে রয়ে গেছে ঐতিহ্য। রয়েছে ইতিহাস। প্রাচীন এই জমিদার বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরলেও এখনও দেওয়ালে রয়েছে বিশাল কুমিরের ছাল, যা পূর্বপুরুষরা শিকার করেছিলেন। এখনও এই পুজো (Durga Puja 2023) উপলক্ষে চারদিন থাকে পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সীমান্তবর্তী গ্রামে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে আসেন মানুষ।

    ইতিহাসের সাক্ষী

    এই জমিদারির বংশধর রাকেশকুমার রায় জানান, এই বছরও চিরাচরিত প্রথা মেনে সপ্তমীর দিন পুনর্ভবা নদী থেকে পুজোর (Durga Puja 2023) জন্য জল নিয়ে আসা হবে। সেই সময় পাঁচ রাউন্ড শূন্যে গুলি চালিয়ে এই পুজোর সূচনা হয়, এই বছরও তা হবে। এই পুজোতে ভোগ রান্না থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু করেন উত্তরপ্রদেশের মৈথিল ব্রাহ্মণরা। দশমীর দিন এই তিলাসন গ্রামের পাশে পুনর্ভবা নদীতেই প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। তিনি আরও জানান, তাঁর পূর্বপুরুষের আমন্ত্রণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে সিঙ্গাবাদ স্টেশন পর্যন্ত এসেছিলেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেসের এক জরুরি বৈঠকের সূচনা পেয়েই মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। ইতিহাসের অনেক সাক্ষী এই পুজো আজও সমাদরে পালিত হয়ে আসছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: দিল্লি থেকে সোজা রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে রাজ্যপাল, দেখা নেই মুখ্যমন্ত্রীরই!

    CV Ananda Bose: দিল্লি থেকে সোজা রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে রাজ্যপাল, দেখা নেই মুখ্যমন্ত্রীরই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা হারিয়েছেন ভিটেমাটি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দরকার ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি সে পথে হাঁটেননি। বরং, তাঁর দলের নেতানেত্রীরা এখন রাজভবন অভিযানের নামে রাজনীতি করতে ব্যস্ত। জলপাইগুড়ির দুর্গতদের দেখতে দিল্লি থেকে সরাসরি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। উত্তরবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। তবে, রাজ্যপালের মতো রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গেলেও সেখানে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী যাওয়া তো দূরের কথা জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে দেখা যায়নি। স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা ছিলেন। বিপর্যয়ের সময় শাসক দলের মন্ত্রী থেকে আমলাদের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    দুর্গতদের জন্য এক মাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি হরপা বানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে যান। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সেবক কালিঝোরা সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে করেন। কালিঝোরায় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এই  অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেকোনও সময় আসতে পারে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গেলে এ ধরনের বিপর্যয় ঘটবে। উদ্ধারকার্য চলছে। এখন  সমালোচনা করার সময় নয়।’ পরে, তিনি সোজা জলপাইগুড়ি জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি আটমাইল এলাকায় ধস বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। রাজ্যপাল দুর্গতদের জন্য নিয়ে আসেন মিষ্টির প্যাকেট। সকলকে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। রংধামালি ক্যাম্পে আশ্রিত দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালকে দেখে নিজেদের অবস্থার কথা জানান দুর্গতরা। দুর্গতদের এক হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না সে কথা রাজ্যপালের কাছে দুর্গতরা নালিশ জানান। একশো দিনের কাজ নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। কেন একশো দিনের কাজ বন্ধ? কেনই বা তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যপাল তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। দুই সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবের কাছে বন্যা কবলিত এলাকার রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। বোসের কাছে রিপোর্টও পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। সিকিমের রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেছেন বোস। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল তিস্তার বাঁধ পরিদর্শন করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, দুর্গতদের জন্য তিনি তাঁর এক মাসের বেতন দান করবেন।

    তিস্তায় ভেসে এল ১৫টি দেহ, হতবাক এলাকাবাসী

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তার জলে ভেসে আসতে শুরু করেছে দেহ। জেলায় মোট ১৫ টি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। ময়নাগুড়ি থানা এলাকা থেকে ১২ জন, মালবাজার থানা এলাকা থেকে ১ টি এবং ক্রান্তি ফাঁড়ি এলাকা থেকে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিন সকালে ময়নাগুড়ি দক্ষিণ ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দারা তিস্তার চর এলাকায় নিজেদের কাজে গিয়ে মৃত দেহগুলি দেখতে পান। তারাই খবর দেন পুলিশে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে। সেগুলিকে ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দা শ্যামল রায় বলেন, দেহগুলি দেখে তাদের অত্যন্ত খারাপ লাগছিল। এই মৃতদেহ গুলির মধ্যে কিছু দেহ সেনাবাহিনীর নিঁখোজ হওয়া জওয়ানদের রয়েছে। বাকীরা সাধারণ নাগরিক। এদিন মোতিয়ার চর এলাকা থেকে তিনটি  রকেট লঞ্চার উদ্ধার হয়। সেগুলিকে  তিস্তা নদীতেই পুঁতে দেওয়া হয়। তিস্তার ঘোলাটে জল গ্রাস করেছে সব কিছু।  চটি, জামাকাপড়, বাসনপত্র, রান্নার গ্যাসের অর্ধেক সিলিন্ডার। তিস্তা পাড়ের দু’পাড়ের বাসিন্দাদের জীবিকা মূলত নির্বাহ হয় চাষাবাদ আর চা বাগানে কাজ করে। সঙ্গে বাড়িতে থাকা পোষ্য গরু, ছাগল, হাঁস পালন করে। এখন সবই তিস্তার গ্রাসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে থাকতে পারেন, রাজভবন তো নিয়ে চলে আসেননি। রাজভবন ওখানেই আছে। রাজভবনের সামনে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করবেন, চলে আসবেন। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের রাজভবন অভিযানকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলের সাংসদদের দেখা করার কথা বললেও তাঁদের দেখা করার সাহস হয়নি। রাজ্যপাল রাজভবনের ভেতরে থাকেন। তৃণমূল বাইরে রাস্তায় কী কীর্তন করল, তা তো আর রাজ্যপাল দেখতে যাবেন না, শুনতেও যাবেন না। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খারাপ। তৃণমূল হয়তো উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দেয় না, তাই তৃণমূলের নেতারা আন্দোলন করছেন দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু, রাজ্যপাল যে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে উত্তরবঙ্গে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ হিসেবে আমরা সবাই ওনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হানা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হানা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কর্পোরেশন এবং পুরসভাগুলিতে যে নিয়োগ হয়েছিল, সেই নিয়োগে চুরি করেছে তৃণমূল। টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করেছে। রথীনবাবু চালাক লোক, প্রচুর সম্পত্তির মালিক। কিন্তু, মানুষকে বুঝতে দেন না। চুপচাপ থাকেন, খুব সহজ সাধারণ থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ইডির চোখে এইভাবে ধূলো দেওয়া যাবে না। ইডি মাত্র ৬ জন অফিসার নিয়ে যেভাবে কাজ করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমার বিশ্বাস, ইডি এই চোরগুলোকে উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেবে।

    সিকিম বিপর্যয় নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) কী বক্তব্য?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সিকিমের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যেভাবে তিস্তা ফুলেফেঁপে উঠেছে, তাতে আমরা চিন্তিত। আমি পার্টির তরফ থেকে সিকিমের পর্যবেক্ষক ছিলাম। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমার সম্পূর্ণভাবে সহানুভূতি এবং সব রকম সমর্থন থাকল। আমাদের বিজেপি সিকিম ইউনিটের সভাপতি সহ বিভিন্ন কর্মীরা উদ্ধারকার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে লেগে রয়েছেন। দ্রুত ভালো হয়ে উঠুক সিকিমের পরিস্থিতি। তার জন্য আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এনডিআরএফ থেকে শুরু করে সমস্ত সাহায্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

     তৃণমূলী হামলা নিয়ে থানায় অভিযোগ বিজেপির

    গতকাল রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে হিলি থানায় অভিযোগ করতে চলেছে বিজেপি। এমনটাই জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Corruption: মোদি জমানায় রাজ্যের বরাদ্দ বেড়েছে কয়েক গুণ, তারপরেও দিল্লিতে দরবার!

    TMC Corruption: মোদি জমানায় রাজ্যের বরাদ্দ বেড়েছে কয়েক গুণ, তারপরেও দিল্লিতে দরবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে তৃণমূল (TMC Corruption) নাটকবাজি করছে, এমন অভিযোগ বারবার উঠেছে। বাস্তবেও দেখা যাচ্ছে, আসল তথ্য অন্য কথা বলছে। বিগত ইউপিএ জমানার থেকে এ রাজ্যে ফান্ডের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মোদি জমানায় পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ৫.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ-২ সরকার রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করেছিল ৮৯ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। মনমোহন সরকারের থেকে মোদি জমানায় রাজ্যের উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ যে অনেক বেশি, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। পরিসংখ্যান বলছে, বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৪৭৪ শতাংশ বেড়েছে মোদি সরকারের আমলে। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তাহলে কীসের ভিত্তিতে দিল্লিতে বাজার গরম (TMC Corruption) করতে গেলেন অভিষেক ও তাঁর দলবল?

    কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিতে দরাজ হস্ত

    কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, বরাদ্দের পরিমাণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাসক দলের (TMC Corruption) নেতাদের দুর্নীতি পরিমাণও। কেন্দ্রীয় টিমও বিভিন্ন সময় রাজ্যে এসে হদিশ পেয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতির। ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে যে আগামী তিন বছরে রাজ্যকে উন্নয়নের জন্য ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ওই ঘোষণায় এও বলা হয়, বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত দু’ লাখ কোটি টাকা রাজ্য সরকার পাবে, যদি প্রকল্পের কাজে জমি অধিগ্রহণ এবং পরিকাঠামো রাজ্য দেখাতে পারে (TMC Corruption)।

    আরও পড়ুন: বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ রাজ্য, বঞ্চিত পরিযায়ী শ্রমিকরাও, বলছে রিপোর্ট

    সড়ক নির্মাণেও ঢেলে বরাদ্দ

    এরাজ্যে সড়ক নির্মাণে ঢেলে বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিপোর্ট বলছে, ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ১,৮৬৮ কিলোমিটার সড়কপথ নির্মাণের জন্য। ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ৩,২৬২ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ করেছে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে, ‘স্কিম ফর স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু স্টেটস ফর ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট’ প্রকল্পে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PMAY Scam: বঞ্চিত প্রকৃত গরিব, শাসক দলের কর্মীরাই পায় আবাস যোজনার বাড়ি! উল্লেখ রিপোর্টে

    PMAY Scam: বঞ্চিত প্রকৃত গরিব, শাসক দলের কর্মীরাই পায় আবাস যোজনার বাড়ি! উল্লেখ রিপোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে বিক্ষুব্ধ জনতাকে তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করতেও দেখা যায় কাটমানি ইস্যুতে। আবাস যোজনায় (PMAY Scam) কাটমানির পরিমাণ জেলায় জেলায় অবশ্য আলাদা। কোথাও ৫০ হাজার তো কোথাও আবার ২৫ হাজার। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক করতে দেখা গেল তৃণমূল নেতৃত্বেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট বলছে, ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ১১ লাখ ৩৭ হাজার বাড়ি বানানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয় পশ্চিমবঙ্গের জন্য। এই খাতে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৮,২০০ কোটি টাকা। বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।

    কেন্দ্রীয় রিপোর্ট কী বলছে 

    শুধুমাত্র শাসকদলের কর্মী হওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY Scam) ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে এমন অজস্র অভিযোগ জমা পড়তে থাকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। শুধু তাই নয়, ভুতুড়ে নামও উঠে এসেছে এই প্রকল্পের উপভোক্তা হিসেবে। তালিকাতে দেখানো হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের যিনি উপভোক্তা, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তাঁর দোতলা বাড়ি। কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সঠিক উপভোক্তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে। পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদে আসল দাবিদাররা ঘর পায়নি, এমন সংখ্যা ১০ শতাংশেরও বেশি। সবক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে উপভোক্তারা আসলে শাসক দলের অনুগ্রহপুষ্ট। দিন কয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY Scam) তৈরি ঘর দোকানঘর হিসেবে ভাড়া দিয়ে বিপাকে পড়েন শাসক দলের এক নেতা।

    খবরের শিরোনামে  আবাস যোজনার দুর্নীতি

    শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় রিপোর্টেই নয়, জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমগুলির শিরোনামেও উঠে এসেছে তৃণমূলের এমন দুর্নীতির কথা। ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ এর প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ইতিমধ্যে এনিয়ে চিঠিও লিখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। চিঠির বিষয় হল, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PMAY Scam) রূপায়ণে কেন্দ্রীয় টিম পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। এই চিঠি সংক্রান্ত খবর ছাপাও হয়েছে চলতি বছরের ৪ অগাস্ট ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর প্রতিবেদনে। অন্যদিকে ১৯ অগাস্ট ২০২৩-এ ‘ইন্ডিয়া টুডে’-এর প্রতিবেদনে ছাপা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার নারায়ণীতলা গ্রামের কথা। এই গ্রামে কীভাবে প্রকৃত উপভোক্তাদের বঞ্চিত রেখে শাসকদলের অনুগতদের ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে সেই কথাই উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। তবে শুধু ১০০ দিনের কাজের টাকাতে বা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরের দুর্নীতি নয়, এমন অসংখ্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতির সামনে আসছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনার সঙ্গে রাজ্যকে সংযুক্ত করতে ব্যর্থ হয়। যার ফল ভোগ করছেন প্রায় ৭০ লাখ কৃষক। ২০১৯ সালে যাঁদের জন্য ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: শঙ্খচিলের ডাকে হত অষ্টমীর বলি! ভোগে কাঁচকলা দিয়ে শুক্তো আর কচুশাক 

    Durga Puja 2023: শঙ্খচিলের ডাকে হত অষ্টমীর বলি! ভোগে কাঁচকলা দিয়ে শুক্তো আর কচুশাক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান জেলার বুদবুদ থানার খাণ্ডারী গ্রাম। এখানকারই অভিজাত পরিবার চট্টরাজ পরিবার। এই পরিবারে দেবী দুর্গার পুজো (Durga Puja 2023) হয় মহা ধুমধাম করে। আজও প্রাচীন রীতি মেনে দুর্গার আরাধনা হয় চট্টরাজ পরিবারে। খাণ্ডারীর চট্টরাজ পরিবারের দেবী দুর্গার প্রতিষ্ঠা হয় ১৫২৬ সালে। এ বছর চট্টরাজ পরিবারের দেবী দুর্গা ৪৯৭ বছরে পা দিল। সাবেক বর্ধমান জেলার (বর্তমানে দুই বর্ধমান জেলা) প্রাচীন দুর্গাপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম একটি দুর্গাপুজো হল খাণ্ডারী গ্রামের চট্টরাজ পরিবারের দুর্গাপুজো। পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন চট্টরাজ পরিবারের বৈদ্যনাথ চট্টরাজ।

    অষ্টমীর বলির প্রথা (Durga Puja 2023)

    চট্টরাজ পরিবারের দেবীর আরাধনায় (Durga Puja 2023) অষ্টমীর বলির একটি প্রথা ছিল। প্রাচীন কালের এই প্রথা এখন আর মেনে চলা সম্ভব হয়নি। কারণ, আকাশে এখন আর শঙ্খচিল দেখা যায় না। প্রাচীন কালে আকাশে উড়ত শঙ্খচিল। আর সেই শঙ্খচিল ডাকলে তবেই অষ্টমীর মাহেন্দ্রক্ষণে বলি হত। এখন আর অবশ্য সেই প্রাচীন প্রথা মেনে চলা সম্ভব হয় না।

    ভোগেও ব্যতিক্রমী ছোঁয়া (Durga Puja 2023)

    চট্টরাজ পরিবারের দেবীর আরাধনায় ভোগের মধ্যেও বেশ ব্যতিক্রমী ছোঁয়া রয়েছে। চট্টরাজ পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, বহুকাল আগে কোনও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি পুজোর সময় দেবী দুর্গার মন্দিরের সামনে একটি ছাগল, এক কাঁদি কাঁচকলা আর কচু শাক রেখে দিয়ে যায়। অদ্ভুদভাবে চট্টরাজ পরিবারের এক কর্তা দেবীর স্বপ্নাদেশ পান, নবমীর দিন ছাগলটিকে বলি দিতে হবে এবং এবং সেই ছাগলের মাংস ভোগে দিতে হবে ও তার সাথে কাঁচকলা দিয়ে শুক্তো আর কচুশাক রান্না করে দিতে হবে। নবমীর দিন দেবীর নির্দেশ মতো ছাগ বলি দেওয়া এবং তার মাংস ভোগে দেওয়া এবং কাঁচকলা দিয়ে শুক্তো ও কচু শাক দেওয়া হয়। সেই প্রাচীন প্রথা (Durga Puja 2023) আজও মেনে চলে চট্টরাজ পরিবার। সিঁদুর খেলারও রেওয়াজ রয়েছে এই পরিবারের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Flood: বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি, বহু পুজোমণ্ডপ জলের তলায়! দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা

    Flood: বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি, বহু পুজোমণ্ডপ জলের তলায়! দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো শুরু হতে আর দু’সপ্তাহ বাকি। এখনও আকাশের মুখ ভার হয়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বীরভূমে জারি রয়েছে লাল সতর্কতা। পাশাপাশি দক্ষিণের বাকি সব জেলায় জারি কমলা সতর্কতা। বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যেই এদিন বেলা ১১টা নাগাদ ডিভিসি-র মাইথন থেকে ৩০ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। এদিকে ইতিমধ্যেই বন্যার (Flood) জলে ভেঙে পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের জমিনদারি বাঁধ। পশ্চিম মেদিনাপুর, হুগলি সহ একাধিক জেলায় পুজোমণ্ডপ জলের তলায়। জল না নামলে পুজো কীভাবে হবে, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় উদ্যোক্তারা।

    জলমগ্ন পুজোমণ্ডপ! (Flood)

    নিম্নচাপের লাগাতার বৃষ্টিপাত ও ডিভিসির ছাড়া জলে আরামবাগ মহকুমায় কয়েক হাজার হেক্টর কৃষিজমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। তাতেই মাথায় হাত এলাকার কৃষকদের। এরই মধ্যে মেদিনীপুর থেকে আরামবাগ, রাজ্যের একাধিক প্রান্তে ভারী বর্ষণের জেরে তৈরি হয়েছে বন্যা (Flood) পরিস্থিতি। একই অবস্থা পাশের এলাকা জাঙ্গিপাড়ারও। দামোদর নদের জলে প্লাবিত হুগলির জাঙ্গিপাড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতেও মিলছে না সরকারি সহযোগিতা। এমনই অভিযোগ বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের। জাঙ্গিপাড়া ব্লকের রশিদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আকনা, সেনপুর, হরিহরপুর এবং পশপুর গ্রাম জলমগ্ন। পাশাপাশি রাজবলহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ছিটখোলা গ্রামও চলে গিয়েছে জলের তলায়। এই সব এলাকার একাধিক মণ্ডপ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের কলমিজোড় এলাকায় জলস্তর বিপদসীমায় পৌঁছেছে। ঘাটাল মহকুমার বাঁকা, গদাইঘাট, গোপিগঞ্জ, কলমিজোড়, রানিচক প্রভৃতি এলাকায় প্রায় বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে যথাক্রমে শিলাবতী ও রূপনারায়ণে। কেলেঘাই, কপালেশ্বরীর ভয়ঙ্করী রূপে কপাল পুড়তে পারে বেলদা-নারায়ণগড় থেকে গোটা সবং-পিংলার। ঘাটালের হরিশপুর থেকে বন্দর যাওয়ার খেয়াঘাট সহ রূপনারায়ণের প্রায় সব খেয়াঘাট বন্ধ। জলের তলায় কয়েকশো হেক্টর চাষযোগ্য জমি। ফুঁসছে কপালেশ্বরী নদী। নন্দপুরা, চক খুনখুনিয়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এই সব এলাকায় মণ্ডপ তৈরির জন্য বাঁশের কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। সেই মণ্ডপও এখন জলমগ্ন হয়ে রয়েছে।

    পুজোর উদ্যোক্তারা কী বললেন?

    পুজোর এক উদ্যোক্তা বললেন, মণ্ডপ থেকে জল কবে নামবে, তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। কারণ, পুজোর প্যান্ডেল আদৌ করা যাবে কি না তা বুঝতে পারছি না। নতুন করে বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। প্লাবিত এলাকায় জল নামতে কতদিন সময় লাগবে তা নিয়ে ধন্দে রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share