Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bad Road In WB: পুজোয় ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা না দিয়ে রাস্তা মেরামত করলেন বাবা-মায়েরা

    Bad Road In WB: পুজোয় ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা না দিয়ে রাস্তা মেরামত করলেন বাবা-মায়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চালু হয়েছে পথশ্রী প্রকল্প। শাসক দলের মতে, সর্বত্র রাস্তাঘাটে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা পুরোপুরি আলাদা। পঞ্চায়েত-পুরসভা ভোটের আগে শাসক দল রাস্তার উন্নয়ন নিয়ে চড়াম চড়াম ঢাক পেটালেও, বাস্তবে উন্নয়ন রাস্তার খানা-খন্দের মধ্যে আটকে রয়েছে। এবার এলাকার বাবা-মায়েরা, ছেলে-মেয়েদের পুজোয় নতুন জামা কাপড় না দিয়ে, সেই টাকায় রাস্তা মেরামত (Bad Road In WB) শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই নদিয়ার শান্তিপুরে এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামতের কাজ করেছিলেন। ফলে রাজ্যের শাসক দল উন্নয়নের জোয়ারে রাস্তা মেরামত নিয়ে কতটা চিন্তিত, সেই বিষয়ও এলাকার মানুষের কাছে বড় প্রশ্ন উঠেছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Bad Road In WB)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বোগপোতা এলাকায় প্রশাসন রাস্তা (Bad Road In WB) মেরামতিতে উদাসীন হলে, এলাকার অবিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের জন্য পুজোর জামাকাপড়ের খরচে রাশ টেনে, রাস্তা সারাই করার কাজ শুরু করেছেন। এই রাস্তা মহেশতলার আশুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সীমা পর্যন্ত গেছে। লম্বায় প্রায় ১০০ ফুট। রাস্তার পরিস্থিতি ভীষণ খারাপ, রাস্তায় বড় বড় গর্ত, খানাখন্দে ভরা, এলাকায় গাড়ি চালাচল করতে পারছে না। বয়স্ক মানুষের জন্য এই রাস্তা অত্যন্ত অনুপোযুক্ত। তাই পুজোর আগে অভিনব এই প্রচেষ্টা, সরকারের ভূমিকাকে বার বার কাঠগড়ায় তুলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার বাসিন্দা প্রেমাংশু রায় বলেন, “রাস্তার (Bad Road In WB) জন্য এলাকায় কয়েক হাজার টাকার রাবিশ ফেলা হয়েছে। পুজোর আগে মানুষ টাকা পাবেন কোথায়। সন্তানদের বঞ্চিত করেই আমরা রাস্তা সারাইয়ের কাজ করলাম। পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে আমরা গিয়েছিলাম। উত্তর এসেছে নিজেরা টাকা তুলে রাস্তা ঠিক করে নিন।” এলাকার আরও এক বাসিন্দা দীপঙ্কর জানা বলেন, “এই ভাঙা রাস্তায় (Bad Road In WB) এক বয়স্ক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পঞ্চায়েতে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে আমরা নিজেরাই ব্যবস্থায় নেমেছি। ”  

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তৃণমূলের আশুতি ২ পঞ্চায়েতের সদস্য সুরজিৎ নস্কর বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনেছি, খুই দ্রুত সমস্যার সমাধান করব।” তবে কবে থেকে রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে তা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cyber fraud: অল্প বিনিয়োগে বিপুল মুনাফার ফাঁদ, সামনে এল ৮৫৪ কোটির প্রতারণা, গ্রেফতার ৬

    Cyber fraud: অল্প বিনিয়োগে বিপুল মুনাফার ফাঁদ, সামনে এল ৮৫৪ কোটির প্রতারণা, গ্রেফতার ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে রিটার্ন পাওয়া যাবে এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা! প্রতারণার (Cyber fraud) এই ফাঁদে পড়েই লাখ লাখ টাকা হারালেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যে অনলাইন এই প্রতারণায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে। জানা গিয়েছে, মোট প্রতারণার টাকার অঙ্ক ৮৫৪ কোটি। শনিবার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয় বেঙ্গালুরু থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমেই চলত প্রতারণা। জানা গিয়েছে সারা দেশেই সক্রিয় ছিল এই চক্র। কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে এই প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে ৮৫৪ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র পাঁচ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছে পুলিশ। বাকি টাকা কোথায় রয়েছে তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    কীভাবে টোপ দেওয়া হত?

    বিপুল মুনাফার হাতছানি (Cyber fraud) এবং টাকার বিনিয়োগের পরিমাণ অল্প, তাই সেই বিশ্বাসে সকলেই এক থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে রেখেছিলেন এবং সেই মতো তাঁরা রিটার্নও পান। রিটার্ন পাওয়ার পরেই বহু মানুষের বিশ্বাস জন্মায় সংস্থার উপর। তাঁরা বেশি বেশি করে টাকা সেখানে বিনিয়োগ করতে থাকেন। পুলিশ সূত্রে খবর, পরবর্তীকালে প্রত্যেকের বিনিয়োগের পরিমাণ এক থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায়। এভাবেই বাজার থেকে তোলা হয় ৮৫৪ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, যে টাকা সংগ্রহ করা হত, তা একটি মূল অ্যাকাউন্টে জমা হত এবং পরবর্তীকালে তা বিভিন্ন গেমিং অ্যাপে মজুত (Cyber fraud) হতে থাকে।

    কী বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা?

    প্রসঙ্গত এ নিয়ে একাধিকবার সাধারণ মানুষকে সচেতনও করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। অল্প সময়ে বেশি রিটার্ন পাওয়ার লোভে কোথাও টাকা রাখতে নিষেধ করেন তাঁরা। অল্প সময়ে বেশি রিটার্নের (Cyber fraud) কথা আসলে যে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়, তাও বলেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। এসত্ত্বেও মানুষের অজ্ঞানতার সুযোগ নিয়ে প্রতারকরা সব সময় সক্রিয় থাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: এবার বন্দে ভারতে মিলবে স্লিপার কোচের সুবিধা, কবে থেকে জানেন?

    Vande Bharat: এবার বন্দে ভারতে মিলবে স্লিপার কোচের সুবিধা, কবে থেকে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধুনিকতা, গতি, বিশ্বমানের সুবিধা এসব কিছুর কারণে বন্দে ভারত নিয়ে চর্চা সারা বছর ধরেই চলে। বেশ কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে স্লিপার কোচ আসছে! যা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কৌতূহলের সীমা নেই। এবার এ সংক্রান্ত খবরে সিলমোহর দিল ভারতীয় রেল (Vande Bharat)। অর্থাৎ বন্দে ভারতে আর শুধু চেয়ার কারই থাকছে না, জুড়ছে স্লিপার কোচও। যাত্রী মহলের একাংশের মতে, নতুন এই ফিচার বন্দে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হলে জার্নি আরও বেশ আরামদায়ক হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, স্লিপার কোচ বন্দে ভারতে জুড়লে দূরপাল্লার ট্রেন হিসেবেও বন্দে ভারতকে ব্যবহার করা যাবে।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    বন্দে ভারতে স্লিপার কোচ

    জানা গিয়েছে সম্প্রতি ভারতীয় রেল (Vande Bharat) এ নিয়ে চুক্তিও সেরে ফেলেছে রাশিয়ার সংস্থা কিনেট রেলওয়ে সলিউশনের সঙ্গে। সূত্রের খবর রাশিয়ার ওই সংস্থা ১২০টি বন্দে ভারত তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, চুক্তি অনুযায়ী ৩৫ বছর ধরে সেগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে এই রাশিয়ান সংস্থা। এক্ষেত্রে ভারতের রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড ও রাশিয়ার লোকোমোটিভ ইলেকট্রনিক সিস্টেম যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানা যাচ্ছে। 

    প্রকল্প নিয়ে আশাবাদী রাশিয়ান সংস্থা

    অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার বেশ কিছু কোম্পানি প্রতিষ্ঠান এবং প্রযুক্তি নির্মাতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকা। ঠিক এই আবহে ভারতে রাশিয়ার কাছ থেকে স্লিপার কোচের নির্মাণ করা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যে সংস্থা এই স্লিপার কোচ গুলি নির্মাণ করবে সেই কিনেট রেলওয়ে সলিউশন অবশ্যই সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে। এই প্রকল্প যে সফল হবে সে নিয়েও আশাবাদী কিনেট রেলওয়ে সলিউশন। তবে কবে নামবে স্লিপার কোচের (Vande Bharat) এই ট্রেন? জানা যাচ্ছে দু বছরের মধ্যে প্রথম স্লিপার ট্রেন ছুটবে ট্রাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South Dumdum Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু তরুণীর, তীব্র আতঙ্ক, ক্ষোভ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে

    South Dumdum Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু তরুণীর, তীব্র আতঙ্ক, ক্ষোভ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদম (South Dumdum Dengue) এলাকার এক তরুণীর। এলাকার মানুষের অভিযোগ, তৃণমূলের কাউন্সিলার কেবলমাত্র টাকা চেনে। অপর দিকে তৃণমূলের কাউন্সিলার দু’দিন আগেই পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ বলেছেন। প্রশাসন জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭। এইসব টানাপোড়েনের মধ্যেই মানুষ ডেঙ্গির আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    আবারও মৃত্যু ডেঙ্গিতে (South Dumdum Dengue)

    দক্ষিণ দমদমে (South Dumdum Dengue) ডেঙ্গির থাবায় প্রাণ হারালেন বছর ২০ বয়সের সমাপ্তি মালিক। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন এই তরুণী বি কম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই নাগেরবাজারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে এবং গতকাল রাতে অবস্থার আরও অবনতি হলে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    ডেঙ্গিতে মৃত্যুর (South Dumdum Dengue) ঘটনায় পরিবারে মধ্যে শোকের ছায়া। মা অপর্ণা মালিক বলেন, “প্রথমে নাগেরবাজার হেলথ কেয়ারে ভর্তি করি। কিন্তু জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট ছিল ওর। বুকে সংক্রমণ হয়েছিল। পরে সেখান থেকে আরজিকর নিয়ে যাই। প্রচণ্ড বুকে ব্যথা ছিল সমাপ্তির। শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এলাকায় কোনও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই, আমরা এলাকায় ব্লিচিং পাউডার দিচ্ছি। প্রশাসন উদ্যোগী হলে এই ভাবে আমার মেয়ের মৃত্যু হত না।”

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    ডেঙ্গিতে মৃত্যুর (South Dumdum Dengue) ঘটনায় পুরসভা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় পুরসভার কোনও কাজ হয় না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলার এই গলিতে কোনও দিন আসেনই না। নামেই কাউন্সিলার, কোনও কাজ করেন না তিনি। আগের কাউন্সিলার যদিও বা কিছু করেছে বর্তমান কাউন্সিলার একেবারেই নিষ্ক্রিয়। একটি বাড়িতে আক্রান্ত মোট তিনজন। এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর।

    তৃণমূল কাউন্সিলারের বক্তব্য

    যদিও গত দু’দিন আগেই এই এলাকার কাউন্সিলার দক্ষিণ দমদম (South Dumdum Dengue) পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেঙ্গি প্রসঙ্গে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, “পুরসভার চেয়ারম্যান ডেঙ্গি প্রতিরোধের পুরোপুরি ব্যর্থ”।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: উলুবেড়িয়া থেকে মা দুর্গা সপরিবারে পাড়ি দিচ্ছেন দুবাই ও লুক্সেমবার্গ 

    Durga Puja 2023: উলুবেড়িয়া থেকে মা দুর্গা সপরিবারে পাড়ি দিচ্ছেন দুবাই ও লুক্সেমবার্গ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরৎকাল মানেই কাশফুলের সমাহার ও আগমনীর বার্তা। শরতের নীল আকাশে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘের ভেলা। নদীর পাড়ের কাশ ফুলের সমাহার যেন সর্বত্র পুজো পুজো গন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর হাতে অল্প কটা দিন। তাই ব্যস্ততাও এখন চরমে। শেষ মুহূর্তের পুজো (Durga Puja 2023) প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। সময় থাকতেই রাজ্যে বিভিন্ন ক্লাব, সংগঠন ও বাড়ির পুজোর জন্য প্রতিমার বায়না সারা হয়ে গিয়েছে। প্রতিমা শিল্পীরাও এখন শেষ মুহূর্তের কাজ সারতে ব্যস্ত। এই সবের মধ্যেই এই বছর কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতীকে সঙ্গে নিয়ে উলুবেড়িয়ার ময়রাপাড়া থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে পাড়ি দিতে প্রস্তুত দেবী উমা। উচ্চতায় ২০ ইঞ্চির এই মাটির দুর্গা প্রতিমা এই সপ্তাহেই বিমানে করে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে। উলুবেড়িয়ার ময়রাপাড়ার মৃৎশিল্পী সঞ্জীব চন্দ্র প্রতিমাটি তৈরি করেছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই বরাত (Durga Puja 2023)

    মৃৎশিল্পী বলেন, ‘মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আমি এই বরাত পেয়েছি। আমার একটি পেজ আছে সেখানে আমার কাজ দেখে কলকাতা নিবাসী দেবাশিষ ও তাঁর স্ত্রী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওনারাই কলকাতা থেকে বিমানে এই প্রতিমা নিয়ে দুবাইতে পাড়ি দেবেন। এই প্রতিমার (Durga Puja 2023) কাজ এখন সম্পূর্ণ। এছাড়াও গত বছর আমার তৈরি ফাইবারের প্রতিমা লুক্সেমবার্গে গিয়েছিল, এবারেও ১২ ইঞ্চির আরও একটি দুর্গা প্রতিমা লুক্সেমবার্গে যাবে।’ শুধু ভারতে নয়, দুর্গাপুজোর সময় দেশের বাইরে  বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিরাও একইভাবে আনন্দে মেতে ওঠেন। তাই বিদেশেও দুর্গা প্রতিমার চাহিদা বেশ ভালোই। ইতিমধ্যে কু্মোরটুলি থেকে দুর্গা প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দিলেও এবার উলুবেড়িয়া থেকেও দুবাই পাড়ি দিচ্ছেন মা দুর্গা।

    তৈরি করতে সময় লেগেছে ২২ দিন (Durga Puja 2023) 

    প্রতিমশিল্পী সঞ্জীব চন্দ্র আরও বলেন, ‘গত বছর আমার তৈরি কালী প্রতিমা বিদেশে গেলেও এই প্রথম আমার তৈরি দুর্গা প্রতিমা দুবাই যাচ্ছে। কলকাতার বাসিন্দা দেবাশিস সাধ্য এবং পাপিয়া সাধ্য আমাকে এই প্রতিমার (Durga Puja 2023) বায়না দিয়েছেন। প্রতিমার সমস্ত অস্ত্র এবং অলঙ্কার আমি এবং আমার স্ত্রী তৈরি করেছি। প্রতিমাটি তৈরি করতে আমার ২২ দিন সময় লেগেছে। মূলত মাটি, অ্যালুমিনিয়াম তার দিয়ে প্লাই-এর উপর তৈরি হয়েছে। এ বছর তিনি ছোট-বড় সব মিলিয়ে মোট ১০ টি প্রতিমা তৈরি করেছেন। এই বছর প্রতিমা তৈরির বরাত বিদেশ থেকে আসার কারণে যথেষ্টই আনন্দিত উলুবেড়িয়ার ময়রাপাড়ার বাসিন্দা চন্দ্র পরিবার। সামনের বছরেও এভাবেই প্রবাসে থাকা বাঙালিদের জন্য প্রতিমা তৈরিতে মনোনিবেশ করবেন। নিজের তৈরি প্রতিমা বিদেশে পাড়ি দেওয়াতে যথেষ্টই খুশি শিল্পী সঞ্জীব চন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিজেপিকে অযথা আক্রমণ করা হচ্ছে। কার্যত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে। এরাজ্যে বিরোধীদের কর্মসূচি করতে গেলে কোর্টে যেতে হয়। অপর দিকে তৃণমূলকে দিল্লিতে কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়নি।। রবিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দলীয় কর্মসূচিতে এসে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন সুকান্ত (Siliguri)?

    শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরাজ্যে  লাঠি, গুলির দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচার সহ্য করছে বিজেপি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীও খুন হয়েছেন। প্রত্যেক দিন মহিলাদের শ্লীলতাহানি হচ্ছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া। এরকম অনেক প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে বিরোধীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সুস্থভাবে সকলে রাজনীতি করতে পারে। তাই তৃণমূলের ভয়ের কিছু নেই। বিজেপি, তৃণমূলের কনভয় শান্তিপূর্ণভাবে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু এরাজ্যে আমাদের কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়। দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না। এটাই পার্থক্য।”

    ট্রেন-বিমান বাতিল প্রসঙ্গে কী বললেন?

    বিজেপি তৃণমূলের ট্রেন-বিমান বাতিল করেনি। বাতিল নিয়ে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি বলেন, “বিমান প্রাইভেট সেক্টর চালায়, কেন্দ্র সরকার চালায় না। কাজেই প্রাইভেট সেক্টর এয়ার এশিয়া কেন বিমান বাতিল করেছে, সেটা বিমান সংস্থাই বলতে পারবে। ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলা হচ্ছে, কিন্তু আদৌ কি ট্রেন বুক করা হয়েছিল? সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। ট্রেনের জন্য আবেদন করেছিল, আর আবেদন করলেই ট্রেন বুক করা হয় না। তৃণমূলের এত কান্নাকাটি করার কী আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দুটো চার্টার্ড প্লেন ভাড়া নেওয়া আছে। প্রতি মাসে তার জন্য সরকারের টাকা যায়। সেই প্লেনে লোক ভরে ভরে নিয়ে যাক।

    হিসেব না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকা পেতে গেলে বিগত বছরের টাকার হিসেব ক্লাবগুলিকে দিতে হবে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে বলেন, “ক্লাবগুলিকে মদ মাংস খাইয়ে, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতেন, এই টাকায় কাজ করবে না ক্লাবগুলি। রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। তাই এখন বলছেন, হিসেব না দেওয়ার জন্য ক্লাবকে টাকা দেবেন না। এটাই তো নিয়ম হওয়া দরকার। ঠিক একই কারণে বিভিন্ন প্রকল্পে হিসেব না দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Howrah: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার ঝাড়ু দেওয়াই নয়। রীতিমতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাস্তার ধুলো ও নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে, নিজের হাতে ফেললেন সেসব। সেই সঙ্গে কোদাল দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করে সেখানে ছড়িয়ে দিলেন ব্লিচিং পাউডার। এভাবেই প্রকৃত অর্থে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করলেন বিধানসভার রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়া (Howrah) জেলা বিজেপির উদ্যোগে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বাজারের কাছে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এরপর দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেন।

    পুর অঞ্চলের স্বচ্ছতা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এদিন হাওড়ায় (Howrah) স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশগ্রহণ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ জুড়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশ নেওয়ার যে আবেদন জানিয়েছেন, তাতেই শামিল হয়েছে গোটা দেশ। সর্বত্র এই অভিযান পালিত হচ্ছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য যতটা না বেশি পরিমাণে সাফাই করা, তার থেকেও বড় ব্যাপার হল মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার-প্রসার করা।”

    অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সমগ্র পুর এলাকায়(Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুর এলাকায় নানা জায়গায় ঘুরে দেখে সর্বত্র নোংরা-আবর্জনা ছড়িয়ে থাকার কথা বলেন শুভেন্দু। চারদিক অত্যন্ত দুর্গন্ধময় এবং অপরিষ্কার। মাস্ক ছাড়া হাঁটা মুশকিল। নিষিদ্ধ প্লাস্টিক পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। মলমূত্র, নোংরা-আবর্জনায় ভরে আছে রাস্তার ধার। নিকাশি নালাগুলিও পরিষ্কার করা হয়নি। এতে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হতে পারেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে না। ডেঙ্গির মশার আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুভেন্দু তাই বলেন, “পুরসভায় নির্বাচন কবে হবে, সেটা তো আমাদের ভাবার কথা নয়। কেউ তো বর্তমানে পুরসভার দায়িত্বে আছেন। তাঁর নেতৃত্বে কর্মীদের কাজ করা দরকার।”

    সাফাই কর্মীরা শুভেন্দুর কাছে অভিযোগ করছিলেন যে তাঁরা নিয়মিত বেতন পান না। সাফাইয়ের জিনিসপত্র দেওয়া হয় না। তাই তাঁরা ধর্মঘটে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তিনি সাফাই কর্মীদের আবেদন করেছেন, পুজোর আগে, এই মুহূর্তে ধর্মঘটে না গিয়ে আবেদন-নিবেদনের মাধ্যমে তাঁদের দাবি আদায় করতে।

    দিল্লি যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ

    হাওড়ায় (Howrah) শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “গোটা তৃণমূল কংগ্রেস মানেই প্রতিষ্ঠিত চোর। সব বাজারগুলিতে ছোট ছোট ঘুমটি রেখেছে। পুরসভা পাঁচ টাকা পেলে, তৃণমূল দশ টাকা পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপোর নেতৃত্বে প্রাতিষ্ঠানিক চুরি চলছে সর্বত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযান প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, গিটি লাগানো টায়ারের সাইকেল চড়ত, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে। কাল তো আমরাও দেখতে চাই কত লক্ষ লোক দিল্লি যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rabies Vaccination: রাজ্য জুড়ে জলাতঙ্কের টিকার সঙ্কটে প্রাণ সংশয় বাড়ছে

    Rabies Vaccination: রাজ্য জুড়ে জলাতঙ্কের টিকার সঙ্কটে প্রাণ সংশয় বাড়ছে

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মধ্যেই রাজ্য জুড়ে নতুন সঙ্কট তৈরি হয়েছে। একদিকে রাজ্যবাসী ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপটে জেরবার। আর এই সময়ে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে আরেক সঙ্কট (Rabies Vaccination) ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। হয়রানির পাশপাশি প্রাণ সংশয় বাড়ছে রাজ্যের মানুষের। তাই চিকিৎসক থেকে সাধারণ মানুষ, উদ্বিগ্ন সব মহল।

    কোন নতুন বিপদ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে? 

    রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা রেবিস ভ্যাকসিনের (Rabies Vaccination) সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ক্যান্সারের থেকেও বেশি ভয়াবহ এই রোগের একমাত্র মোকাবিলার উপায় রেবিস টিকা। কিন্তু এই টিকা এখন সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত নেই। তাই চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন। কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি মানুষ রেবিস টিকা নেওয়ার জন্য যান। কিন্তু সেখানেও এখন টিকা পর্যাপ্ত নেই। সবচেয়ে বেশি সঙ্কট মুর্শিদাবাদ, মালদহ, পুরুলিয়ার মতো জেলার হাসপাতালগুলোতে। অধিকাংশ জেলার হাসপাতালে রেবিস টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিপদে পড়ছেন রোগী ও পরিবার।

    কী ধরনের হয়রানির অভিযোগ উঠছে? 

    কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রুখতে প্রয়োজন রেবিস টিকা। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে পাঁচ বার এই টিকা নেওয়া জরুরি। নিয়ম মতো জলাতঙ্কের মতো এই মারণ রোগ রুখতে সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে রেবিস টিকা দেওয়া হবে। পাঁচটি ভ্যাকসিন (Rabies Vaccination) সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়ার কথা। কিন্তু অভিযোগ, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে রেবিস টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে টিকা নেই। কিন্তু কোথায় টিকা পাওয়া যাবে, সে বিষয়েও রোগীকে কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, বিপদে পড়ছেন রোগী ও পরিবার। একের পর এক হাসপাতালে টিকার জন্য ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীদের একাংশ। এরফলে প্রাণ সংশয় তৈরি হচ্ছে। 
    এছাড়াও লাগামহীন ভাবে রেবিস টিকার দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে টিকা অমিল। আর এই সুযোগে অনেকেই টিকার দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেক ডোজের দাম তিন থেকে চার হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। ফলে, বিনামূল্যের পরিষেবা কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর পরিবার।

    কেন উদ্বেগ বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জলাতঙ্ক মারণ রোগ। সময় মতো টিকা (Rabies Vaccination) না নিলে মৃত্যু ঠেকানো মুশকিল। কিন্তু অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে এখন টিকা না থাকার অভিযোগ উঠছে। এমনকি হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমন্বয়ের অভাব চিন্তা বাড়াচ্ছে। কারণ, কোনও একটি এলাকার নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালে টিকা না থাকলে রোগী কোথায় যাবেন, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের জানানো উচিত। সেই তথ্য না দিলে সময় নষ্ট হবে। বিশেষত জেলার মানুষের ভোগান্তি বেশি। কারণ, অধিকাংশ জেলায় যাতায়াতের নানা অসুবিধা রয়েছে। অনেকেই সময় মতো টিকা পাচ্ছেন না। বিপদ বাড়ছে। তাই জলাতঙ্ক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

    কী বলছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর? 

    রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য কেন্দ্রের দিকে দায় ঠেলে দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রয়োজনীয় রেবিস টিকার (Rabies Vaccination) জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক সময়ই কেন্দ্র টিকা পাঠাতে দেরি করে। তখন সঙ্কট তৈরি হয়। এক্ষেত্রে রাজ্যের কোনও দায় নেই। সময় মতো টিকা এলেই তা রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে বন্টন করা হয়। 
    যদিও স্বাস্থ্যকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে রাজ্য টিকার চাহিদা জানাতে দেরি করে। ফলে, কেন্দ্রের টিকা পাঠাতে সময় লাগে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ঠিক সময়ে কাজ করতে না পারার জেরেই ভোগান্তি সাধারণ মানুষের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Durga Puja 2023: মহিষাদল রাজবাড়ির পুজোয় ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে থাকে ধান

    Durga Puja 2023: মহিষাদল রাজবাড়ির পুজোয় ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে থাকে ধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেকার সেই জৌলুস, আড়ম্বর আজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু নিয়ম মেনেই প্রতিপদে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) দেখতে আজও ভিড় জমান দূরদূরান্তের পাশাপাশি  স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিমা দর্শন করতে আসেন ভিন রাজ্য, ভিন জেলার দর্শনার্থীরাও।

    অশ্বত্থ গাছের তলায় নটি ঘট ওঠে

    রানি জানকীর আমলে আনুমানিক ১৭৭৬ সালে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয়। সেই সময় থেকেই রাজবাড়ির ঠাকুরদালানে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। রাজত্ব চলে যাওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) জৌলুস কমেছে। কিন্তু, নিয়ম-আচারে ছেদ পড়েনি। তাই প্রথা অনুযায়ী মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদের দিন ঘট স্থাপন করে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। এ প্রসঙ্গে এই রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ বলেন, ‘মহালয়ার পরের দিন রাজবাড়ির দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া অশ্বত্থ গাছের তলায় নটি ঘট ওঠে। ষষ্ঠী থেকে প্রতিদিনই ঘটপুজো হবে। সপ্তমী থেকে মূর্তি পুজো হবে। প্রতিমার একপাশে ঘট, অন্যপাশে ধান রাখা হয়। এই দুর্গাপুজো করার পরই শুষ্ক গ্রামে ধান ফলেছিল। তাই ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে ধান রাখা হয়।

    সাদা পদ্মে মায়ের পুজো

    পুজোয় ১০৮টি নীলপদ্ম দেওয়ার চলও রয়েছে, যা আসত উত্তরপ্রদেশ থেকে। কিন্তু এখন তা আর হয় না, সাদা পদ্মে মায়ের পুজো হয়। আগে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় যাত্রাপালা, ভোগ বিতরণ, কামান দেগে সন্ধিপুজো, বিসর্জনের শোভাযাত্রা সবই হত। এই রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদবাবু জানিয়েছেন, পুজোর দিনগুলিতে ঠাকুরদালানেই যাত্রা হত। রাজবাড়ির মহিলারা পর্দার আড়াল থেকে যাত্রা দেখতেন। পুজোর দিন অনুযায়ী ভোগ রান্না হত। যেমন, ষষ্ঠীতে ছয় মন, সপ্তমীতে সাত মন, অষ্টমীতে আট মন, নবমীতে নয় মন চালের প্রসাদ তৈরি করে বিতরণ করা হত। এখন তা আর সম্ভব হয় না। অষ্টমীর সন্ধ্যায় কামান দেগে রাজবাড়ি সহ আশপাশের এলাকার পুজোমণ্ডপে সন্ধিপুজো (Durga Puja 2023) শুরু হত। দশমীতে বড় নৌকায় করে শোভাযাত্রা বেরতো এবং রাজবাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া হিজলি টাইডাল ক্যানাল হয়ে গেঁওখালিতে রূপনারায়ণ নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হত। এখন সে সবই অতীত। রাজত্ব ঘোচার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রাপালা বন্ধ হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে অবশ্য এখনও ভোগ রান্না করা হয়। কিন্তু তা যৎসামান্য।

    কামানের পরিবর্তে আতশবাজি

    এদিকে সরকার কামান দাগায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সেটাও ইতিহাসের খাতায় চলে গিয়েছে। এখন কামান দাগার পরিবর্তে আতসবাজির রোশনাইয়ের মধ্যে দিয়ে সন্ধিপুজো করা হয়। বিসর্জনের শোভাযাত্রাও অতীত। রাজবাড়ি লাগোয়া রাজদিঘিতেই প্রতিমা (Durga Puja 2023) বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে আড়ম্বর কমলেও ঐতিহ্যের টানে আজও বহু মানুষ মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় সামিল হন। দর্শনার্থীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয়, তার জন্য বর্তমান রাজ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নজরে রেখেছেন। পুজোয় আগত দর্শনার্থী বা পর্যটকদের পরিষেবা দিতে রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে মূল্য দিয়ে থাকতে হবে। মহিষাদল রাজবাড়ির বর্তমান প্রজন্ম হিসাবে রাজবাড়ি দেখাশোনা করে থাকেন শংকরপ্রসাদ গর্গ ও হরপ্রসাদ গর্গ। রাজবাড়ির পুজো দেখতে এবং রাজবাড়ির অপরূপ পরিবেশের অনুভূতি নিতে আসতেই হবে মহিষাদলে।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games: চিনা দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে টেবিল টেনিসে পদক জয় দুই বঙ্গ ললনার  

    Asian Games: চিনা দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে টেবিল টেনিসে পদক জয় দুই বঙ্গ ললনার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনকেই ধরাশায়ী করল দুই বঙ্গ কন্যা। এশিয়ান গেমস (Asian Games) টেবিল টেনিসে মেয়েদের ডাবলসের সেমিফাইনালে উঠে আপাতত ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। নৈহাটির এই দুই কন্যা হারিয়েছেন চিনের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জুটি জেন মেং এবং ওয়াং ইয়াদিকে। এই চেন মেং টোকিও অলিম্পিক্সের জোড়া সোনা জয়ী। ওয়াংয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাস কয়েক আগে ডারবানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়েছেন।

    দুজনেই নৈহাটির বাসিন্দা

    পদক জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন যে দুই বঙ্গ ললনা, ঘটনাচক্রে তাঁরা দুজনেই নৈহাটির বাসিন্দা। নৈহাটি রেল স্টেশনের এক ও চার নম্বর গেটের কাছে বাড়ি সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় এবং ঐহিকা মুখোপাধ্যায়ের। এদিন চিনা জুটি (Asian Games) চেন মেং এবং ওয়াং ইয়াদিকে ১১-৫, ১১-৫, ৫-১১, ১১-৯ পয়েন্টে হারিয়ে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেছেন এই দুই বাঙালি। এই পদক জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস গড়েছেন নৈহাটির এই দুই ক্রীড়াবিদ।

    চিনা ললনাদের পরাস্ত করলেন বঙ্গ ললনারা

    এর আগে কোনও দিন টেবিল টেনিসে মহিলাদের ডাবলসে পদক জেতেনি ভারত। এতদিন কোয়ার্টার ফাইনালে বরাবর দাপট দেখিয়েছেন চিনের খেলোয়াড়রা। সেখানেই চিনা ললনাদের পরাস্ত করে ইতিহাস গড়ে ফেললেন নৈহাটির এই দুই ললনা। এশিয়ান গেমসে শনিবার দুটি সোনা এসেছে। একটি শ্যুটিং এবং অন্যটি টেনিস থেকে। রুপো এসেছে দুটি। ব্রোঞ্জ একটিতে। হাংঝৌ থেকে ফোনে সুতীর্থা বলেন, “পদক জেতার লক্ষ্যেই এখানে এসেছিলাম। বিশ্বসেরাদের হারিয়ে সেটা করতে পারছি বলে স্বপ্নের মতো লাগছে।” ঐহিকার কথায়, “অনেকদিন ধরেই আমরা চিনাদের কাছে লড়ে হারছি। তাতেই অভিজ্ঞতা বেড়েছিল। তা থেকেই এই জয়। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেমিফাইনালের গন্ডি টপকানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য।” প্রসঙ্গত, এই দুজনেরই টেবিল টেনিসের হাতেখড়ি কোচ মিহির ঘোষের কাছে।

    আরও পড়ুুন: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    ভারতীয় টিমের (Asian Games) কোচ বাগুইহাটির সৌরভ চক্রবর্তী। ফোনে তিনি বলেন, “গোংশু ক্যানাল স্পোর্টস পার্কের জিমন্যাসিয়ামে যেখানে টিটি হচ্ছে, সেখানে চিনারা টেবিলে নামলেই, গ্যালারি থেকে চিৎকার ভেসে আসে – জো চিন, যার অর্থ কাম অন চায়না। আজ সুতীর্থারা যখন চিনাদের বিরুদ্ধে নামে, তখন আমরা পাল্টা চেঁচাতে থাকি, জো ইন্ডিয়া বলে। তাতে দর্শকরা একটু দমে যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share