Tag: Bengali news

Bengali news

  • Bakibur Rahaman: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পোড়া নথি উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য বাকিবুরের চালকলে

    Bakibur Rahaman: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পোড়া নথি উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য বাকিবুরের চালকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের শাসনে লাগাম ছাড়া দুর্নীতিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যে অনেক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সঙ্গে তদন্ত থেকে বাঁচতে, অসুস্থতার ভান করে অনেকেই হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার তদন্ত থেকে বাঁচতে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও কি শুরু হয়েছে? বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) নদিয়ার চালকলের পিছনে মিলল পোড়া নথি। নথির পোড়া অংশে দেখা যাচ্ছে সরকারি সিলমোহর। ফলে দুর্নীতির তদন্ত ঘিরে চরম চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে।

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা (Bakibur Rahaman)

    সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল নেতা বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) হরিণঘাটার সাত শিমুলিয়ার চালকলের পিছনে সরকারি সিলমোহর দেওয়া বেশ কিছু পোড়া নথি দেখতে পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার সময় আশে পাশের গ্রামের মানুষ, এই নথির পোড়া অবশেষ দেখতে পান। এই নথি কি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত? এরপর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    নদিয়ায় রেশন দুর্নীতি

    ২০২১-২২ সালে নদিয়ায় রেশনের সামগ্রী, খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছিল বলে, শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়, এই নিয়ে রীতিমতো তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এরপর রেশন দুর্নীতির তদন্তভার নেয় ইডি। এরপর থেকে ইডি, জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। তদন্তে বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) আরও চালকলের সন্ধান মিলেছে নদিয়ায়।

    বাদুড়িয়াতে উদ্ধার আরও সম্পত্তি

    অপর দিকে বাদুড়িয়াতে বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) ২১০ কাঠা সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে জানা গেছে। বসিরহাট এলাকার পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে পাড়ায় এই সম্পত্তি রয়েছে। বাকিবুর, এলাকার মানুষের জমি জোর করে, ভয় দেখিয়ে লিখিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দবাবুর অভিযোগ, ‘রাস্তার পাশে তাঁর ২ শতক জমি ছিল। যা কার্যত মস্তানদের দিয়ে দখল করে নিয়েছে বাকিবুর। ‘এলাকার আরেক বাসিন্দা রীতাদেবী বলেন, ‘এলাকায় দু’কাঠা জমি ছিল, সেখানে নিজেরা ঘর করে থাকছিলাম, কিন্তু বাকিবুরের গুন্ডারা এসে চাপ দিয়ে জবরদখল করে নেয়।’

    সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান মিলিছে বলে জানিয়েছে ইডি। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির কথাও জানা গিয়েছে। পার্কস্ট্রীট, রাজারহাট, বারাসত, রঘুনাথপুরে ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে।

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ITI College: বনমন্ত্রী গ্রেফতার হতেই তাঁর জমিতে তৈরি আইটিআই কলেজের নাম মুছে সরকারি তকমা!

    ITI College: বনমন্ত্রী গ্রেফতার হতেই তাঁর জমিতে তৈরি আইটিআই কলেজের নাম মুছে সরকারি তকমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ (ITI College)। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জায়গায় গড়ে উঠেছে কলেজ। কোটি টাকা খরচ করে বিল্ডিংও তৈরি করা হয়েছে। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পরই আচমকা কলেজের নাম মুছে দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন কলেজের নাম মুছে দেওয়া হল তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (ITI College)

    পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে বনমন্ত্রীর জন্মভিটে। বামুনপাড়া এলাকায় তিনি নিজেদের জমিতে আইটিআই কলেজ (ITI College) করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কলকাতার রিজেন্ট স্টেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ এই কলেজের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে মন্তেশ্বরের এই কলেজের বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে কলেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫০ জন। এতদিন সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। মন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে এলাকায় আইটিআই কলেজ করে দেওয়ায় এলাকার মানুষও খুশি। কলেজের গেটে মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ বলে ইংরেজিতে নাম লেখা ছিল। মন্ত্রী গ্রেফতার হতেই কলেজের নাম মুছে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, কলেজের নাম মুছে দেওয়ায় কলেজটি বন্ধ হয়ে যাবে ভেবেছিলাম। কেন এভাবে আচমকা কলেজের নাম মুছে দেওয়া হল তা বুঝতে পারছিলাম না। এটা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হতেই সোমবার দেখি, বাংলায় ফের নাম লেখা হয়েছে। এরকম কেন করা হল তা বুঝতে পারছি না। কারণ, আগে ইংরেজিতে লেখা ছিল মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ। আর এখন লেখা হল সরকারি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, মন্তেশ্বর।

    কলেজের অধ্যক্ষের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের অনুমোদিত কলেজ (ITI College)। আসলে পূর্ত দফতর কলেজ বিল্ডিংয়ের রং করছিল। তাই, গেট থেকে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এখন রঙের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় ফের নাম লেখা হয়েছে। এতে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই। কলেজে কোনও সমস্যা নেই। এটা নিয়ে এত কেন চর্চা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া, এই কলেজে পরিচালন কমিটিতে মন্ত্রীর বাড়ির কেউ নেই। পরিচালন কমিটির সকলের বাড়ি কলকাতায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Osteoarthritis: বেশিক্ষণ হাঁটলেই হাঁটুতে যন্ত্রণা, ওঠা-নামা করতে কষ্ট! কীভাবে চিনবেন রোগ?

    Osteoarthritis: বেশিক্ষণ হাঁটলেই হাঁটুতে যন্ত্রণা, ওঠা-নামা করতে কষ্ট! কীভাবে চিনবেন রোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চট করে ওঠা-নামা করতে কষ্ট হয়। একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ে। আবার বেশিক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলেও হাঁটুতে যন্ত্রণা শুরু হয়। বাঙালির হাড়ের জোর কি কমছে? সাম্প্রতিক এক সর্বভারতীয় সংগঠন হাড়ের রোগ নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে। সেখানে জানা গিয়েছে, বাঙালিদের মধ্যে হাড়ের একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষত অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের রোগ (Osteoarthritis) বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকেই সতর্ক না হলে বিপদ বাড়বে।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? (Osteoarthritis) 

    সর্বভারতীয় ওই সংগঠনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, গোটা দেশেই অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তবে, আক্রান্তের নিরিখে দেশের প্রথম চার রাজ্যের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এ রাজ্যের ৪০ লাখের বেশি মানুষ অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫৫ বছরের উর্ধ্বে মানুষদের মধ্যে অস্টিওআর্থ্রাইটিসে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে। মহিলাদের মধ্যে বিশেষ করে এই রোগের প্রকোপ আরও বেশি। বাঙালি মহিলারাই এই রোগের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছেন।

    অস্টিওআর্থ্রাইটিস কী? কীভাবে চিনবেন এই রোগ? (Osteoarthritis) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এক ধরনের হাড়ের সমস্যা। হাড়ের শক্তি ক্ষয় হলে এই ধরনের রোগ হয়। ঘুম থেকে উঠলে, মূলত সকালের দিকে হাত-পায়ে জোর পাওয়া যায় না। কোমড়, হাঁটু সহ দেহের একাধিক অঙ্গের সচলতা কমতে থাকে। পাশপাশি দেহের বিভিন্ন অংশে যন্ত্রণা হয়। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হাঁটু, কোমড়, ঘাড়ের মতো দেহের নানান জয়েন্টে বারবার যন্ত্রণা হলে, কিছু সময় একটানা হাঁটলে, হাটুর ব্যথা কিংবা পায়ে যন্ত্রণা দেখা দিলে, একেবারেই অবহেলা করা উচিত নয়। এগুলো অস্টিওআর্থ্রাইটিসের (Osteoarthritis) লক্ষণ।

    কীভাবে মোকাবিলা করবেন এই রোগের? (Osteoarthritis)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের একাধিক থেরাপি রয়েছে। আবার নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। কিন্তু এই রোগ নির্মূল সম্ভব নয়। তাই রোগ যাতে শরীরে বেশি বাসা বাঁধতে না পারে, সেদিকে বরং নজর দেওয়া জরুরি। তাই তিরিশের পর থেকেই বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, হাড়ের শক্তির দিকে নজর দেওয়া জরুরি। তাই নিয়মিত ডিম, দুধ, আপেলের মতো খাবার খেতে হবে। কারণ, এই ধরনের খাবারে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। পাশপাশি কিউই, নাশপাতি, লেবুর মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এগুলো হাড়ের পুষ্টি জোগায়। 
    পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের ওজনের দিকেও নজর রাখতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মাত্রাতিরিক্ত ওজনের জন্য হাড়ের শক্তি ক্ষয় হয়। শরীরের ওজন বেড়ে গেলে হাঁটু, কোমড়ের উপরে বাড়তি চাপ পড়ে। তাই স্থূলতা এড়াতে প্রয়োজনীয় সচেতনতা জরুরি। 
    নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এতে শরীরের সমস্ত অঙ্গের কার্যকারিতা বজায় থাকে। শরীর সচল রাখতে নিয়ম করে শারীরিক কসরত জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisodia: জামিন খারিজ সিসোদিয়ার, সিবিআই-এর অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত

    Sisodia: জামিন খারিজ সিসোদিয়ার, সিবিআই-এর অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার (Sisodia) জামিন ফের খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আবগারি দফতরের মামলায় ৩৩৮ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রায় প্রতিষ্ঠিত। এতেই কার্যত সিবিআই-এর অভিযোগকে মান্যতা দিল শীর্ষ আদালত, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ সিবিআই-এর দাবি ছিল, ২০২১ সালে দিল্লির সরকার কয়েকজন মদ ব্যবসায়ীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অনেক সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। 

     ৭ মাস ধরে জেলে রয়েছেন আম আদমি পার্টির এই শীর্ষ নেতা

    প্রসঙ্গত, আবগারি দফতরের দুর্নীতি মামলায় বিগত ৭ মাস ধরে জেলে রয়েছেন আম আদমি পার্টির এই শীর্ষ নেতা। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে সিসোদিয়াকে (Sisodia) গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এরপর থেকে একাধিক বার কোর্টের সামনে জামিনের আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী কিন্তু প্রতিবারই তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যায়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শ্রী সিসোদিয়া। সোমবারই এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ।

    অভিযোগ আপ সরকারের আবগারি নীতি নিয়েই 

    সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে সিবিআইকে আবগারি দফতরের তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ রয়েছে, তদন্তের গতি যদি মন্থর হয়ে যায় সেক্ষেত্রে পরবর্তীকালে জামিনের আবেদন করতে পারবেন সিসোদিয়া।
     প্রসঙ্গত, এই মামলাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও জেরা করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আবার আপ পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহও গ্রেফতার হয়েছেন। প্রসঙ্গত, দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, যে আবগারি নীতি তৈরি করেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার তাতেই বড়সড় বেনিয়াম হয়েছিল। সেই নীতির কারণে আর্থিক সুবিধা পাচ্ছিলেন সিসোদিয়া (Sisodia)। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিনের শীর্ষ আদালতে পর্যবেক্ষণে ফের চাপে পড়ল আপ সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ২১ ঘণ্টা তল্লাশির (Ration Scam) পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের রায় শুনে আদালত কক্ষেই মূর্ছা যান মন্ত্রী। তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এরই মাঝে ইডি বাজেয়াপ্ত (Ration Scam) করল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি। জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের বিপুল সম্পত্তির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করা সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই দুটি লকারই সল্টলেকে রয়েছে, যার মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এবং অপরটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের।

    বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় মুখোমুখি জেরা সম্ভব হচ্ছে না

    এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিকল্পনা ছিল, মন্ত্রী এবং বাকিবুর রহমানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার। তবে শরীর খারাপ নিয়ে মন্ত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। আবার সোমবারই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাকিবুরের। ইডি সূত্রের খবর, যে সমস্ত তথ্য অস্বীকার করেছেন বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের কাছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সেটা তাঁরা অস্বীকার করতে পারতেন না। তবে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। গতকালই নথি (Ration Scam) হাতে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় মন্ত্রী কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে। আবার আজকেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক।

    টিউশন পরিয়ে নাকি ৩ কোটি ৩৭ লাখ?

    জানা গিয়েছে, একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। যেগুলি বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের সদস্যরাই চালাতেন। এভাবে মোট ৯৫ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন তাঁরা। জ্যোতিপ্রিয়র একাধিক বাড়ির অ্যাকাউন্টও ব্লক করেছে ইডি। আয়কর রিটার্ন নথি বলছে, শুধুমাত্র টিউশন পরিয়ে নাকি ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করেছেন মন্ত্রীকন্যা। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রয়েছে প্রিয়দর্শিনীর একটি অ্যাকাউন্ট। বালুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে আইডিবিআই-এর ব্যাঙ্কে (Ration Scam)। সেখানে রয়েছে ৪.৩ কোটি টাকা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Breast Cancer: চল্লিশের আগেই বাড়ছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি! কোন খাবারে কমবে সমস্যা?

    Breast Cancer: চল্লিশের আগেই বাড়ছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি! কোন খাবারে কমবে সমস্যা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারতে বাড়ছে ক্যান্সারের প্রকোপ! তবে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা দিচ্ছে ব্রেস্ট ক্যান্সার (Breast Cancer)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ক্যান্সার সময়মতো নির্ণয় করতে পারলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। রোগমুক্তির জন্য প্রয়োজন সচেতনতা, সময়মতো চিকিৎসা। তবে, জীবনযাপনের বদল কমাতে পারে রোগের ঝুঁকি। তাই অক্টোবর মাসে ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসাবে সরকার ও চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন একযোগে নানা কর্মসূচি চালিয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে, রোগ নিয়ে সতর্কতা বাড়ছে।

    কী বলছে রিপোর্ট? (Breast Cancer) 

    দিল্লি এইমস হাসপাতালের তরফে দেশ জুড়ে ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৩০ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীর বয়স ৪০ বছরের কম। আর এই প্রবণতার জেরেই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। কারণ, কম বয়সীদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ অসচেতনতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন। এক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রতি ১০ জন মহিলার মধ্যে ১ জন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু রোগ (Breast Cancer) দ্রুত নির্ণয় হলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব বলেও জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কীভাবে কমবে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবনযাপনের বদল কমিয়ে দিতে পারে এই রোগের (Breast Cancer) ঝুঁকি। তাই তাঁদের পরামর্শ, মা হওয়ার পরে সন্তানকে অবশ্যই স্তন্যপান করানো জরুরি। এতে সদ্যোজাতের একাধিক শারীরিক উপকারের পাশাপাশি মায়ের শরীরের উপকার হয়। আর স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমা তার অন্যতম। সন্তানকে স্তন্যপান করালে মায়ের দেহের একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। এর ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 
    এর পাশপাশি, কিছু খাবার নিয়মিত খেলেও মহিলাদের এই রোগের ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ক্রানবেরির মতো যে কোনও এক ধরনের বেরি জাতীয় ফল খাওয়া দরকার। কারণ, বেরিতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা দেহের কোষকে সুস্থ রাখে। ফলে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। 
    পিচ, আপেল, নাশপাতি, আঙুরের মতো ফল নিয়মিত খেলে ৪০ শতাংশ ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে বলে জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ এই ফলগুলোতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফাইবার, যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। 
    কমলালেবু হোক কিংবা পাতিলেবু, যে কোনও ধরনের লেবু নিয়মিত খেলেও ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Breast Cancer) ঝুঁকি কমবে। কারণ, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আর লেবুতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। 
    ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলির মতো খাবার নিয়মিত খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। কারণ পুষ্টিবিদদের কথায়, এই ধরনের সব্জি দেহে অ্যান্টিক্যান্সার পোটেনশিয়াল তৈরিতে বিশেষ সাহায্য করে। 
    এছাড়া যে কোনও ধরনের দানাশস্য যেমন মুসুর ডাল, ছোলা, মটর কিংবা সামুদ্রিক মাছ ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 
    পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড আর তেলে ভাজা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল। কারণ, এতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের (Breast Cancer) ঝুঁকি বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: সিকিম বিপর্যয়ের জের! তিস্তায় মড়ক লেগেছে মাছের, উদ্বেগ

    Jalpaiguri: সিকিম বিপর্যয়ের জের! তিস্তায় মড়ক লেগেছে মাছের, উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম বিপর্যয়ের পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় তিস্তার পাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। কারণ, সেনাবাহিনীর বহু মর্টার মজুত ছিল সেখানে। সেই মর্টার বিস্ফোরণে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছিল। পরে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে তিস্তার পাড় বিপদমুক্ত করা হয়। এরই মধ্যে তিস্তায় নতুন করে মাছের মড়ক শুরু হওয়ায় ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মৎস্য দফতর (Jalpaiguri)

    গত ৪ অক্টোবর সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তিস্তায়। পাহাড় থেকে নদীর জলে ভেসে আসে সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র। জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) মর্টার ফেটে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন একাধিকজন। এবার মাছের মড়ক শুরু হওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে তিস্তার পাড়ে। গত ৪ অক্টোবর বন্যার সময় যুদ্ধসামগ্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নদীতে ভেসে আসে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল। তা থেকে জলদূষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাসিন্দারা। মৃত মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মৎস্য দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। মরে ভেসে উঠছে শয়ে শয়ে নদীয়ালি মাছ। বোরোলি, দারাঙ্গি-সহ তিস্তার একাধিক প্রজাতির মাছের মড়ক লেগেছে। জলদূষণের কারণেই এই ঘটনা বলে অনুমান। ঘটনার কারণ খুঁজতে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে মৎস্য দফতর। জেলা প্রশাসন সূত্রে তা জানা গিয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    এমনিতে বোরোলি-সহ নদীয়ালি মাছগুলি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সহ উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয়, সুস্বাদু। পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও এর খুব চাহিদা। তাই মাছের মড়কের খবরে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নদীর পাড়ে বোরোলি সহ বিভিন্ন মাছ উঠে ছটফট করতে করতে মরে যাচ্ছে। তিস্তার পাড়ে গেলে দেখা যাবে, লাইন দিয়ে মাছ মরে পড়ে রয়েছে। এখন এই মাছ খাওয়া ঠিক নয়। সকলকে এই মাছ না খাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কবে আবার প্রাণভরে এসব মাছের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা, তা নিয়েও অনিশ্চয়তায় রয়েছে সকলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দেশলাই কাঠি দিয়ে বানালেন ছবি আঁকার স্ট্যান্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ কোয়েল

    South 24 Parganas: দেশলাই কাঠি দিয়ে বানালেন ছবি আঁকার স্ট্যান্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ কোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩.৯×৩.৪ সেমি দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকার স্ট্যান্ড বানিয়ে, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলেছেন কোয়েল পুরকায়েত নামে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। তাঁর এই কৃতিত্বে একদিকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন খুশি, তেমনি খুশি পরিবারও। উচ্ছ্বসিত গোটা কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) মানুষ।

    কোয়েলের বক্তব্য (South 24 Parganas)

    ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর খেতাবজয়ী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী কোয়েল পুরকায়েত বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল আমার. তবে এই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর খেতাব জিতবো, তা কোনও দিনই ভাবতে পারিনি। এর পিছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব রয়েছে আমার আঁকার স্যার দেবরাজ মহাশয়ের। তিনিই এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছেন। দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকা এবং স্ট্যান্ড বানানোর কাজ প্রায় দুমাস ধরে করেছি। অবশেষে পরিশ্রম করে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পেরেছি। এই খেতাব আমাকে আগামী দিনে আরও বেশি করে উৎসাহী করবে।” পাশাপাশি কোয়েল আগেও যামিনী রায় পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।

    উচ্ছ্বসিত পরিবার (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের সুভাষ নগরের বাসিন্দা কোয়েল পুরকায়েত। বর্তমানে কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র নিকেতন স্কুলের ছাত্রী। তিন বছর বয়স থেকে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কোয়েল। কৃতি ছাত্রী হিসেবে স্কুলে যেমন সুনাম, তেমনি সুনাম তাঁর আঁকার স্কুলেও। তিন বছর বয়স থেকে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আর্ট অ্যাকাডেমিতে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কোয়েল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন, পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন সেখানে। কোয়েলের এই গৌরবে খুশি এলাকার বিধায়ক তথা প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তিনি কোয়েলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    প্রতিবেশী (South 24 Parganas) মানসী দেবনাথ বলেন, “কোয়েলের বাবা কর্মসূত্রে এই রাজ্যের বাইরে কাজ করেন। ওঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব মায়ের। আজ কোয়েলের এই সাফল্যে শুধু আমরা সুভাষ নগর এলাকার মানুষজন খুশি নই, গোটা কাকদ্বীপের মানুষ গর্বিত। আগামী দিনে ওঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করি আমরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিয়ার লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়ার খবর প্রায় খবরের কাগজে, টিভিতে দেখতে পাওয়া যায়। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে প্রতিদিন লটারির টিকিট কাটেন, এরকম মানুষ এই বাংলায় প্রচুর রয়েছেন। লটারির টিকিট কেটে নিঃস্ব হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার উদাহরণও রয়েছে। এই ডিয়ার লটারির নাম ব্যবহার করে বড়সড় জালিয়াতির হদিশ মিলল মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার থেকে জাল লটারি কারখানায় হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার এলাকায় গোডাউন ভাড়া করে জাল লটারির কারবার চালু করা হয়েছিল। গোডাউনের ভিতরে কারখানা তৈরি করে রমরমিয়ে চলত এই কারবার। রবিবার রাতে সেই কারখানায় পুলিশ হানা দেয়। যদিও পুলিশ অভিযান চালানোর সময় সেখানে কেউ ছিল না। কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় নাগাল্যান্ড কোম্পানির জাল লটারির টিকিট, কয়েক বস্তা জাল লটারি টিকিট। টিকিটে ডিয়ার লটারির কথা উল্লেখ ছিল। এছাড়া জেরক্স মেশিন, লটারির টিকিট তৈরির যন্ত্রাংশ, ইনভার্টার, কাগজ কাটার যন্ত্র, প্রচুর পরিমাণে লটারির টিকিট ছাপানো কাগজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। এই টিকিট খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা তোলা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের মালিকের বিরুদ্ধে সবার আগে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাকে গ্রেফতার করলেই সব কিছু জানা যাবে। গোডাউনের ভিতরে এত বড় বেআইনি কাজকর্মের পিছনে মালিকের মদত রয়েছে।

    বাড়ির মালিকের কী বক্তব্য?

    বাড়ির মালিক বলেন, মাস তিনেক আগে সঞ্জয়কুমার সাউ নামে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তি জেরক্সের কাজ করবেন বলে গোডাউন ভাড়া নেন। সেখানে তাঁরা কী করতেন, তা আমি জানি না। পুলিশের অভিযানের পরই বিষয়টি জানতে পারলাম। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তবে, ঝাড়খণ্ডের একজন অপরিচিতকে কেন ঘর ভাড়া দিতে গেলেন, সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বড় মাপের লটারির টিকিট বিক্রেতা এই ভুয়ো টিকিট ছাপিয়ে বহু টাকা বাজার থেকে তুলে নিচ্ছেন। আর এই জাল টিকিট কেটে কেউ কোনও পুরস্কারও পেত না। পুরো জালিয়াতি করে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সহ আশপাশের জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dayanand Saraswati: বৈদিক আদর্শ পুনঃস্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন, প্রয়াণ দিবসে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী

    Dayanand Saraswati: বৈদিক আদর্শ পুনঃস্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন, প্রয়াণ দিবসে স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) প্রয়াণ দিবস আজ। দয়ানন্দ সরস্বতী জন্মগ্রহণ করেন ১২ ফেব্রুয়ারি ১৮২৪ সালে। উনবিংশ শতকের এই মহান কর্মযোগী দার্শনিক এবং সনাতন ধর্মের প্রচারক হিসাবে সামাজিক এবং শিক্ষামূলক বিভিন্ন সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মূল বাণী ছিল, ‘বেদের যুগে ফিরে চলো’। এই আদর্শেই তিনি জীবন অতিবাহিত করেছেন। সমগ্র হিন্দু সমাজকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ঊনবিংশ শতকের এই মহান কর্মযোগী মাত্র ৫৯ বছর বয়সে ৩০ অক্টোবর ১৮৮৩ সালে প্রয়াত হন।

    জন্ম ও প্রথম জীবন

    স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) জন্ম ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ দশমী তিথিতে হয়েছিল বলে জানা যায়। বর্তমান গুজরাটের কাঠিয়ার নামক স্থান ছিল তাঁর পৈতৃক বাসস্থান। বাল্যকালে তাঁর নাম ছিল শঙ্কর তেওয়ারি। কর্শানজি লালজি তিওয়ারি ছিলেন তাঁর পিতা এবং মাতার নাম ছিল যশোদাবাঈ। ১৮৪৬ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সেই তিনি জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেন। সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ না হওয়ার সিদ্ধান্ত তখনই নেন। স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati) জীবনের পরবর্তী সময়কাল সত্যের সন্ধানে একজন সন্ন্যাসী হয়ে কাটান। এই সময়ে গুরু হিসাবে তিনি সান্নিধ্য লাভ করেন ব্রিজানন্দর। কথিত আছে, গুরুদক্ষিণা হিসেবে তিনি সনাতন সমাজে বেদের আদর্শকে পুনঃস্থাপনের ব্রত নেন।

    সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক নানা সংস্কার আন্দোলন 

    সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক নানা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন দয়ানন্দ সরস্বতী। এর মধ্যে ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি স্থাপন করেন আর্য সমাজ। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল বেদের প্রচার এবং ব্যক্তি জীবন ও সমাজ জীবনের সর্বাঙ্গীন বিকাশ। বেদের যুগে ফিরে যাওয়া ছাড়াও আর্য সমাজের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই। তিনি শুদ্ধি আন্দোলনও শুরু করেছিলেন। যে সমস্ত হিন্দুরা ধর্মান্তরিত হতেন, শুদ্ধি আন্দোলনের মাধ্যমে পুনরায় তাঁদের হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে আনা হতো।

    ‘বেদের যুগে ফিরে চলো’

    বৈদিক সাহিত্যের প্রচার এবং বৈদিক শিক্ষার জন্য সারা জীবন প্রয়াস চালিয়ে গিয়েছেন স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী (Dayanand Saraswati)। কারণ তিনি মনে করতেন যে হিন্দু ধর্মের আধ্যাত্মিকতা, শারীরিক, মানসিকভাবে যে কোনও হিন্দুর বিকাশ সম্ভব বেদকে অধ্যয়ন করে, বেদের অন্তর্নিহিত সত্যকে উপলব্ধি করে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা এবং জ্ঞানের বিকাশের জন্য বৈদিক সাহিত্য অপরিহার্য বলেই তিনি মনে করতেন। বৈদিক সাহিত্যের প্রচারের জন্য তিনি স্কুল এবং কলেজ স্থাপনও করতেন। দয়ানন্দ সরস্বতী ‘সত্যার্থ প্রকাশ’ নামে একটি পত্রিকা বের করতেন। পত্রিকার মাধ্যমে সামাজিক এবং বিভিন্ন ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি আওয়াজ তুলতেন। এটা মনে করা হয় যে ভারতবর্ষের চরমপন্থী জাতীয়তাবাদের বিকাশেও স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর চিন্তাধারা যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছিল। পরবর্তীকালে লোকমান্য তিলক যে ‘স্বরাজ’-এর কথা বলতেন, সেই ধারনা তিনি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতীর (Dayanand Saraswati) কাছ থেকেই পেয়েছিলেন বলে মনে করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share