Tag: Bengali news

Bengali news

  • Dacoits: দিনে দুপুরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক, আতঙ্ক

    Dacoits: দিনে দুপুরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাট, পুরুলিয়ার সোনার দোকানে দিনেদুপুরে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। একইসঙ্গে দুটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে কয়েক কোটি টাকা লুট  করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায় একটি সোনার গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার দিনেদুপুরে সোনার দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে আশিসকুমার দত্ত নামে সোনার দোকানের মালিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম হয়েছেন দোকানের এক কর্মীও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দোকানের মালিককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Dacoits)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার দোকানের মালিক আশিসবাবুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। খড়গপুরে তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। প্রতিদিন তিনি এসে দোকান খোলেন। এদিনও তাঁর সঙ্গে ছেলে ছিল। অভিযোগ, দোকান খোলার সময় আচমকা চার-পাঁচ জন আশিসকে ঘিরে ধরে। তাঁর দোকানে ঢোকার চেষ্টা হয়। বাধা দিলে একজন আশিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলিটি লাগে আশিসের পেট এবং বুকের মাঝখানে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।  ডাকাতিতে (Dacoits) বাধা দেওয়ায় দোকানের এক কর্মীর উপরও চড়াও হয় ডাকাতদল। অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতে কোপ দেওয়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের দোকানিরা ছুটে এলে ওই চার-পাঁচ জনের দলটি চম্পট দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশান উঠতে শুরু করে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার? (Dacoits)

    খড়্গপুর শহরের গোলবাজারে গয়নার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ডাকাত দলের সদস্যদের। ভিনরাজ্যে পালানোর সময় ড্রোন উড়িয়ে ওই ডাকাতদলকে পাকড়াও করা হয়। রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায় ডাকাতির মতো এই ডাকাতির চেষ্টার পিছনেও বিহার-যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের বাড়ি বিহারের  বৈশালী এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল অনুব্রতের ছবি, কীসের ইঙ্গিত?

    Anubrata Mondal: বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল অনুব্রতের ছবি, কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। সেই অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal) কি না দলের মধ্যে ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন। এমনিতেই গরু পাচার দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি তিহারে রয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও জেলা সভাপতির পদে বহাল। কিন্তু, বীরভূমের সংগঠনের হাল ধরতে ময়দানে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের কর্তৃত্বের রাশ। অনুব্রত ‘বিরোধী’ নানুরের কাজল শেখ এখন দলের গুরুত্ব পেয়েছেন। তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। সেই কাজলের খাসতালুক নানুরেই অবাককাণ্ড। জেলায় তৃণমূলের অন্দরে কেষ্ট জমানা শেষ হয়ে কি কাজল সেখের জমানা শুরু হয়েছে?

    ঠিক কী হয়েছে নানুরে? (Anubrata Mondal)

    নানুর থানার হোসেনপুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ঢোকার মুখে দেওয়ালে দীর্ঘদিন ধরে একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি আঁকা ছিল। ঠিক পাশের দেওয়ালে অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ লেখা ছিল। আর সেই লেখা এবং ছবিও মুছে ফেলা হয়েছে। যদি তা কে করেছে বা কারা করেছে কেউ কিছু বলতে পারছে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই জেলায় একটি দুয়ারে সরকার শিবিরের আগে হোর্ডিংয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কাজল সেখের ছবি ছিল। সেখানে কেষ্ট মণ্ডলের ঠাঁই হয়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা হয়েছিল। এবার ফের দলীয় কার্যালয় থেকে তাঁর ছবি মুছে ফেলা হল। বীরভূমে অনুব্রত জমানা যে শেষ হতে বসেছে তা এই দুটি ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    একসময়ের অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। অনুব্রত জমানা শেষ হলেও এখনও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। দলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনায় তিনিও বিব্রত। কিন্তু, তার বেশি আস্ফালন করার কোনও জায়গা নেই। তাই, বিষয়টি জানার পরই তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। আর সামনেই দুর্গাপুজো, তাই হয়তো কেউ মুছে ফেলেছে। নতুন করে করা হবে। এর বেশি তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    শুক্রবার নানুনের হোসেনপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসের ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জোড়া-ফুলের দলীয় কার্যালয়ের বাইরের দেওয়ালের একদিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তার পাশে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) ছবির জায়গায় রং লেপা রয়েছে। অনুপম হাজরা বলেন, নানুরের হোসেনপুর গ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি মুছে ফেলা হল। দিদিমণি তো আগেই মুছে দিয়েছেন মন থেকে,এবার দেওয়াল থেকে মোছা শুরু হল। তৃণমূলে একটাই নীতি – চুরি করে যতদিন তুমি পার্টিকে দিতে পারবে ততদিন তুমি ‘ভালো ছেলে’ আর ধরা পড়লেই পার্টি তোমাকে চেনে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    Murshidabad: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ভারতীয় জনতা পার্টির মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উদ্বোধনের পর তিনি বললেন যে নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে মুর্শিদাবাদ পর্যটক কেন্দ্রের আদর্শ স্থানে পরিণত হবে। সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তৃণমূলের দিল্লি যাত্রাকে নিশানা করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন।”

    জেলা কার্যালয় উদ্বোধন (Murshidabad)

    সুকান্ত মজুমদার বহরমপুর (Murshidabad) থেকে লালবাগ রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে এসে গাড়ি থেকে নেমে, পায়ে হেঁটে লালবাগ সিরাজদৌলা রোড সংলগ্ন মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় গিয়ে ফিতে কেটে, প্রদীপ প্রজ্জলন করে জেলার সাংগঠনিক জেলা কার্যালয় উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন যে আপনারা জানেন বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদ এই দুটি লোকসভা কেন্দ্র, তাই সাংগঠনিক ভাবে একসাথে ছিল। কিন্তু পরে সাংগঠনিক ভাবে আলাদা জেলার সিদ্ধান্তের কথা আগেই ঘোষণা হয়েছে। জঙ্গিপুর নিয়ে এই জেলায় বিজেপির সংগঠনিক জেলা মোট তিনটি। ফলে বিজেপি আরও শক্তিশালী হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। 

    মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) এই দিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয় নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে সব জায়গার উন্নতি হচ্ছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ একটু কম হচ্ছে। তার কারণ, এখানে স্পিড ব্রেকার মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। এখানে উন্নয়ন করার জন্য জমি পাওয়া যায় না, তার মধ্যেও আমরা নসিপুর ব্রিজ এবং তার প্রস্তাবিত লাইন সেটা সম্পূর্ণ করেছি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই এই ট্রেন রুট চালু করা হবে। মুর্শিদাবাদ স্টেশন এবং আজিমগঞ্জ স্টেশন এই দুটি স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পে স্থান পেয়েছে । এখানে আমাদের সাংসদ নেই কিন্তু কোনরকম বৈমাত্রিক সুলভ আচরণ করিনা, কেন্দ্রীয় সরকার সব জায়গাকে সমান চোখে দেখছেন। আর তার উদাহরণ হচ্ছে এই জেলা। কিছুদিনের মধ্যেই নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ চালু হয়ে গেলে, মুর্শিদাবাদ পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ থেকে (Murshidabad) তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে সুকান্ত বলেন, “একশ দিনের টাকা হোক বা আবাস যোজনার টাকা হোক, যারা চুরি করতো তারাই দিল্লি যাচ্ছে।” তিনি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সাবধান করে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন। বাড়িঘর তালা মেরে সাবধানে রাখবেন, না হলে চুরি হয়ে যেতে পারে। ইডি শুধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমন করেনি, লিপস এন্ড বাউন্স কোম্পানিতে যাঁরা দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন, সিইও ছিলেন এবং ওনার বাবা-মাকেও সমন করেছে । আপনি চুরি করবেন আর বেঁচে যাবেন, এটা নরেন্দ্র মোদির আমলে হবে না। চুরি করলে অবশ্যই তার শাস্তি ভোগ করতে হবে।”

    কর্ণসুবর্ণতে আমার মাটি আমারদেশ

    সুকান্ত মজুমদার শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণতে (Murshidabad) আমার দেশ আমার মাটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৩ টের সময় বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে বিজেপির জনসভায় যোগদান করেন। এছাড়াও সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্য বিজেপির সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ, রাজ্য কমিটির সদস্য দীপঙ্কর চৌধুরী, সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি সৌমেন মন্ডল এবং বহরমপুর বিধানসভার বিধায়ক সুব্রত মৈত্র এবং কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন উপস্থিতিতে সাংগঠনিক মুর্শিদাবাদ জেলার কার্য্যালয়ের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: আয় নামমাত্র, তবুও জীর্ণ চেহারা নিয়ে এঁকে চলেছেন দেবী দুর্গার পটচিত্র!

    Durga Puja 2023: আয় নামমাত্র, তবুও জীর্ণ চেহারা নিয়ে এঁকে চলেছেন দেবী দুর্গার পটচিত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি বছর রাজ্যের পুজো (Durga Puja 2023) উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে চলেছেন। অথচ যাঁদের জন্য এই দুর্গাপুজো, তাঁরা পড়ে রয়েছেন সেই তিমিরেই। তাঁদের তৈরি দেবী দুর্গার পটচিত্রের দাম তো বাড়েইনি, একই সঙ্গে নেই কোনও সরকারি সাহায্য। বাধ্য হয়ে দিনের পর দিন বাড়িতে বসে স্বামী-শ্বশুরের এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন রেবাদেবীর মতো বৃদ্ধারা। বয়স ৫০ পার করেছে অনেকদিন আগে। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। তবুও জরাজীর্ণ বারান্দার নিচে বসে জনতার স্টোভে সাবুর আঠা জ্বাল দিয়ে পটচিত্র এঁকে চলেছেন ঘূর্ণির পটুয়াপাড়ার রেবা পাল।

    জীবন ধারণের একমাত্র পথ (Durga Puja 2023)

    পাল বাড়িতে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখছেন শশুর ও স্বামীর পটচিত্র আঁকা। ধীরে ধীরে রেবাদেবীও স্বামী-শ্বশুরের মৃত্যুর পর তাঁদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছেন। আর এই শিল্পই এবার জীবন ধারণের একমাত্র পথ ও অবলম্বন। দেবদেবীকে নিয়ে তৈরি পটচিত্র কলকাতার কুমোরটুলি সহ রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। সারা বছর কমবেশি কাজ থাকলেও দুর্গাপুজোর সময় (Durga Puja 2023) পটচিত্রের চাহিদা থাকে বেশি। খাটুনি অনুসারে পয়সা নেই, তবুও জীবন জীবিকা নির্বাহ হিসেবে পটচিত্র শিল্পকেই বেছে নিয়েছেন রেবাদেবী।

    কী বলছেন বৃদ্ধা শিল্পী?

    দেখতে দেখতে ৫০ বছর হয়ে গেল এই কাজে। স্বামীর হেল্পার হিসেবে প্রথম জীবনে কাজ শুরু। কারণ, স্বামীর অঙ্গহানি হওয়ায় একটা হাত তিনি তুলতে পারতেন না। কলকাতায় নিজেই একা গিয়ে বিক্রি করে এসেছেন। গেছেন বিধাননগর, কুমোরটুলি। এখন একাই কাজ করছেন। সারা বছর কাজ হয়? উত্তরে তিনি বললেন, একদিনের কাজ এটা নয়। সারা বছর টুকটাক কাজ করে রাখি। কিন্তু একেকটা পটচিত্রের (Durga Puja 2023) দাম খুব কম, ১০০ টাকার মধ্যে। যে হারে পরিশ্রম করি, সেই অনুযায়ী কিছুই পাই না। সরকারি সাহায্য বলতে ওই এক হাজার টাকা বার্ধক্য ভাতা। কিন্তু এই শিল্পের জন্য কিচ্ছু সাহায্য পাই না। সবাই আসে, শুনে যায়, কিন্তু কেউই সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয় না। পরবর্তী প্রজন্ম কি এই ধরনের কাজে এগিয়ে আসছে? প্রশ্ন শুনে বৃদ্ধার সাফ জবাব, আসবে কী করে? পয়সা নেই তো। বিক্রিও যে আছে, তাও নয়। আগে দাম কম থাকলেও চাহিদা ভালোই ছিল। কিন্তু কম্পিউটার ওঠার পর থেকে সেটাও গেছে, আক্ষেপ ঝরে পড়ল বৃদ্ধার গলায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moga: রোগীর পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার বাদাম-তার-ইয়ারফোন-সেফটি পিন-রাখি! কপালে চোখ চিকিৎসকদের!

    Moga: রোগীর পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার বাদাম-তার-ইয়ারফোন-সেফটি পিন-রাখি! কপালে চোখ চিকিৎসকদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাঞ্জাবের মোগায় (Moga) এক রোগীর পেটের ভেতর থেকে বাদাম, তার, ইয়ারফোন, সেফটি পিন উদ্ধার করেছেন ডাক্তাররা। মানুষের পেটের ভিতরে এই সব হাজারো ধাতব শক্ত জিনিস! ডাক্তাররাও অপারেশন করে রীতিমতো আশ্চর্য! এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে চিকিৎসক মহলে। এই সব জিনিস পেটে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন রোগী। অবশেষে অপারেশনে আরোগ্য পেলেন। 

    রোগীর সঙ্গে ঘটনা কী ঘটেছিল (Moga)?

    ঘটনাটা গল্পের মতন শুনতে মনে হলেও, এটাই সত্য যে একজন ৪০ বছরের এক রোগীর পেট থেকে রহস্য জনক ধাতব জিনিস উদ্ধার হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে পাঞ্জাবের মোগার (Moga) মেডিসিটি হাসপাতালে। এই উদ্ধার হওয়ার বিষয় নিয়ে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া জিনিসের মধ্যে ছিল, বাদাম, তার, ইয়ারফোন, সেফটি পিন, লকেট, স্ক্রু, এবং রাখি। সূত্রে জানা গেছে, গত দুই দিন আগে শরীরে তীব্র জ্বর এবং পেটে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এই রোগী। প্রথমে ডাক্তাররা তাঁকে নিরীক্ষণে রাখেন। এরপর পেটের যে জায়গায় ব্যাথা রয়েছে, সেই জায়গাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। এরপর রোগীর যন্ত্রণা ও সমস্যার কথা ভেবে ডাক্তার বাবুরা পেটের এক্স-রে করান। এই পরীক্ষার পর রিপোর্ট দেখে ডাক্তারদের চক্ষু, একেবারে চড়কগাছে পরিণত হয়। মানুষের পেটে এই সামগ্রী কীভাবে? পরিস্থিতি বেগতিক এবং ভয়াবহ বুঝে, ডাক্তাররা প্রায় তিন ঘণ্টার ধরে পেটের অপারেশনে এই জনিস গুলি উদ্ধার করেন। বোঝাই যাচ্ছিল বিষয়গুলি কতটা প্রাণঘাতী হতে পারত।

    ডাক্তারের বক্তব্য

    রোগীর পেটের পাকস্থলী থেকে এই ভাবে অপারেশনের ঘটনায় সকলেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। পাঞ্জাবের মুগার (Moga) মেডিসিটি হাসপাতালের ডাক্তার আজমে কালরা বলেন, “আমি আমার জীবদ্দশায় এই ধরণের ঘটনার প্রথম সম্মুখীন হলাম। রোগী প্রায় দুই বছর ধরে এই পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। খুব ভালো হল যে এই মারণঘাতী জিনিস গুলি থেকে তাঁকে বাঁচানো সম্ভবপর হয়েছে। এই জিনিস গুলি তাঁর পেটে অনেক দিন ধরে জমে থাকায় শারীরিক ভাবে অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল।”

    পরিবারের বক্তব্য

    রোগীর (Moga) পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরাও পেটের ভিতর থেকে উদ্ধার হওয়া নিয়ে জিনিস নিয়ে বিস্মিত। অনেকদিন ধরে যন্ত্রণার কথা বলে বেশ কিছু ডাক্তারের কাছে আগে দেখানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তবে এখন যন্ত্রণা থেকে রোগী অনেকেটাই আরোগ্য লাভ করেছেন বলে জানা গেছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ি জুড়ে সারের কালোবাজারি, মাথায় হাত কৃষকদের, কী করছে প্রশাসন?

    Siliguri: শিলিগুড়ি জুড়ে সারের কালোবাজারি, মাথায় হাত কৃষকদের, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমাজুড়ে চলছে সারের কালোবাজারি। দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সার। ফসলের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়াহয় চাষিদের মাথায় হাত। শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি, খড়িবাড়ি ও মাটিগাড়া ব্লকে আলু, পাট, ধান সহ নানা ধরনের মরশুমি সব্জি চাষ হয়ে থাকে। শীতের নানা ধরনের সব্জি  চাষ শুরু হয় এই সময়েই। এই সুযোগে প্রকাশ্যে সারের কালোবাজারি শুরু হয় গিয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগ।

     কী বলছেন কৃষকরা? (Siliguri)

    শিলিগুড়ির  ফাঁসিদেওয়ার স্বদেশ দাস, খড়িবাড়ির প্রফুল্ল বর্মন বলেন, আলু চাষের সময় ব্যবসায়ীরা সারের কৃত্তিম সঙ্কট তৈরি করেন। জোগান কম দেখিয়ে তারা দ্বিগুণ দামে সার বিক্রি করছেন। ইউরিয়ার ৪৫ কেজির বস্তায় দাম লেখা রয়েছে ২৬৬ টাকা। আমাদের ৪০০ টাকায় কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। পটাশের সরকারি নির্ধারিত দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।  ফসফেটেও কালোবাজারি চলছে। সরকারি মূল্য তালিকা দেখানো হলেও সার ব্যবসায়ীরা তা মানতে চাইছে না। বেশি দামে সার কেনার পর জিএসটি সহ বিলও পাচ্ছি না আমরা। চাপাচাপি করলে আমাদের  কাছে সার বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।  

    কী বলছেন সার ব্যবসায়ীরা?

    নাম প্রকাশে  অনিচ্ছুক শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার সার বিক্রেতাদের একাংশের বক্তব্য, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। সারের প্যাকেটে যে দাম লেখা থাকে সেই দামে বিক্রি করলে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। ক্যারিং কস্ট বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু, সরকার সারের দাম বাড়ায়নি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়তি খরচ ধরে নিয়ে আমরা সার বিক্রি করছি। তাতে সামান্য কিছু টাকা বেশি দিতে হচ্ছে কৃষকদের।

     প্রতিবাদ আন্দোলনে বিজেপির কিষাণ মোর্চা

    বিজেপির কিষাণ মোর্চার  শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা কমিটির  সহ-সভাপতি  স্বপন কুমার বর্মন বলেন, মূলত আলু চাষ শুরুর সময় থেকে গত তিন মাস ধরে  শিলিগুড়ি মহকুমা জুড়ে সারের কালোবাজারি চলছে। আলুর সঙ্গে এই সময় কপি সহ শীতের নানা ধরনের সব্জি চাষ শুরু হয়। এই চাহিদার জন্য এসময় সারের কালোবাজারি শুরু হয়। এতে কৃষকের নাভিশ্বাস অবস্থা। আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ফাঁসিদেওয়া ও  খড়িবাড়ি ব্লকের বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়েছি।  কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি। প্রশাসন ঘুমিয়ে রয়েছে। রাজ্য সরকারের বিষয়টি কেন দেখছে না বুঝতে পারছি না।   

    কী বলছে প্রশাসন?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার দায়িত্বে থাকা কৃষি দফতরের যুগ্ম আধিকর্তা পার্থ রায় বলেন, আমাদের কাছে সারের কালোবাজারি নিয়ে কোনও কৃষক লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। তবুও, আমরা প্রতিটি জায়গায়  নজর রেখেছি। নিয়মিত অভিযান চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: ‘ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে’ দুর্গাপুজোয় আসতেন মহানায়ক উত্তম কুমার, ওড়াতেন ঘুড়িও

    Durga Puja 2023: ‘ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে’ দুর্গাপুজোয় আসতেন মহানায়ক উত্তম কুমার, ওড়াতেন ঘুড়িও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মুকুটটা তো পড়ে আছে, রাজাই শুধু নেই’। এ গান যিনি লিখেছিলেন, তখন কি তিনি জানতেন জানতেন যে তাঁর ভালোবাসার রাজপ্রাসাদেও এক সময় নিশুতি রাত গুমরে কাঁদবে? বাংলার প্রবাদপ্রতীম সংগীতকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গান আজও বাঙালির মনের মণিকোঠায়৷ সেই পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ‘সালিখা হাউসের’ দুর্গাপুজোয় এক সময় আসতেন মহানায়ক উত্তমকুমার। গান গাওয়া ছাড়াও মহানায়ক ঘুড়ি ওড়াতেন ছাদ থেকে। এই বাড়িতে এসে গান গেয়েছেন অপরেশ লাহিড়ী, তবলা বাজিয়েছেন বাপী লাহিড়ীও। নানা ইতিহাসের সাক্ষী পুলক বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজো (Durga Puja 2023) এবার ২৮৩ তম বর্ষে পা দিচ্ছে।

    মহালয়ার পর থেকেই ঘট পুজো 

    ‘বাবুদের বাড়ি’ নামে পরিচিতি এই বাড়িতেই প্রায় তিনশো বছর আগে আসেন জমিদার রাধামোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে বাবুডাঙ্গা নামে পরিচিত হয় এলাকাটি। এই বাড়িতেই জন্ম পুলকবাবুর, ১৯৩১ সালে। এই বাড়িতেই লেখা হয়েছে বাংলার কত কালজয়ী গান। শিল্পীর মৃত্যুর পর থেকেই জৌলুস কমেছে এই পুজোর। মহালয়ের পর থেকেই ঘট পুজো শুরু হয়ে যায়। আগে নবমীতে মোষ বলি হলেও এখন ফল বলি হয়। তবে এই পুজোয় (Durga Puja 2023) ঠাকুরকে বাসি ভোগ দেওয়া হয় দশমীতে। ঠাকুর বাইরে থেকে আনা হয় না। গায়কের বাড়ির দালানেই ঠাকুর তৈরি হয়।

    ভোগে ল্যাটা মাছ পোড়ানো

    ভাইপো সুস্মিত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, একই রীতি মেনে এখনও তিনি ও তাঁর পরিবার পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন। জন্মাষ্টমীতে প্রতিমায় মাটি লাগানোর কাজ শুরু হয় ঠাকুর দালানে। মহালয়ার  পরের দিন থেকে বাড়ির ঠাকুর ঘরে পুজো শুরু হয়। ষষ্ঠীতে বরণ করে শুরু হয় পুজো। সপ্তমীতে কলা বউ স্নান হয় গঙ্গায় নিজেদের ‘বাঁড়ুজ্জে ঘাটে’। অষ্টমীতে কুমারী পুজো ও ধুনো পোড়ানো হয়। সধবা পুজো এবং সন্ধি পুজো হয়৷ নবমীতে হয় ফল বলি। পুজোর (Durga Puja 2023) প্রতিদিন চণ্ডী পুজো হয়। দশমীর দিন দেবীকে দেওয়া হয় বিশেষ বাসি ভোগ, যা নবমীর দিন তৈরি করেন বাড়ির মহিলারা। সেই ভোগে থাকে পান্তা ভাত, চালতা দিয়ে মুসুর ডাল, কচুর শাক, চচ্চরি আর মূল হল ল্যাটা মাছ পোড়ানো৷ এরপর দশমীতে সন্ধ্যেবেলা বরণ হয়ে ‘বাঁড়ুজ্জে ঘাটে’ দেবীর নিরঞ্জন হয়। 

    সুস্মিতবাবু জানান, এখন বাড়িতে শুধু তাঁদের পরিবার থাকে। এভাবেই তাঁরা আগামী দিনে ঐতিহ্য বজায় রেখে পুজো (Durga Puja 2023) চালিয়ে যাবেন।

  • Antibiotics: ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন! বিপদ বাড়ছে না তো?

    Antibiotics: ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন! বিপদ বাড়ছে না তো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে এখন জ্বরের দাপট। কেউ সাধারণ সর্দি-কাশিতে ভুগছেন, কেউ ভাইরাসঘটিত জ্বরে। আবার কোথাও ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো রোগ দাপট দেখাচ্ছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কিংবা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো জটিল ভাইরাসঘটিত জ্বর, নাজেহাল আট থেকে আশি। কিন্তু এর মধ্যেই বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আগাম সতর্ক না হলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হবে। তাই প্রয়োজন সচেতনতার।

    কেন অ্যান্টিবায়োটিক বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সামান্য সর্দি-কাশি হোক কিংবা কোনও সাধারণ ভাইরাসঘটিত জ্বর বা ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ, অনেকেই বিশেষজ্ঞর পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক খাচ্ছেন। যার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। অনেক রোগীই ইচ্ছেমতো ওষুধের দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) কিনে খাচ্ছেন। সম্পূর্ণ কোর্স করছেন না। অর্থাৎ, যে অ্যান্টিবায়োটিক চারটি খাওয়া দরকার, নিজের অনভিজ্ঞতার জেরে দুটো খাওয়ার পরেই বন্ধ করে দিচ্ছেন। ফলে, শারীরিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

    কোন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক সব রোগের নিরাময় নয়। একথা অধিকাংশ মানুষ বোঝেন না। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়। এতে রোগ কমে না। বরং ভোগান্তি বাড়ে। অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক যেমন রোগ কমাতে পারে না, তেমনি শরীরকে দুর্বল করে দেয়। যার জেরে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যায়। রক্তচাপ ওঠানামা করে। সর্বোপরি স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ জ্বর আর সর্দি-কাশিতে অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে পরবর্তীতে শ্বাসকষ্ট জাতীয় সমস্যা দেখা দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) ব্যবহার করলে একাধিক জটিলতা তৈরির ঝুঁকি হয় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। লিভার, কিডনির মতো অঙ্গ বিকল হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    বিশেষত শিশুদের যথেষ্ট অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলেই মনে করছেন অধিকাংশ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় শিশুদের একাধিকবার সর্দি-কাশি হয়। বারবার অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক দিলে, শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাবে। দীর্ঘ জীবনে নানা জটিল রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি কমবে। যা পরবর্তীতে সমস্যা তৈরি করতে পারে। 
    অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক খেলে শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরির ঝুঁকি থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স হল, শরীরে আর কোনও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না। এমন পরিস্থিতিতে বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কিংবা এমন কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হলে, যখন অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করা জরুরি, তখন শরীর সাড়া দেয় না। ফলে রোগীর প্রাণ সংশয় তৈরি হয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, সর্দি-কাশি হোক কিংবা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো অসুখ, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনই অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotics) খাওয়া চলবে না। ওষুধের দোকান থেকে ইচ্ছেমতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বিপদ বাড়ায়। কোন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কখন খেতে হবে, কতগুলো খেলে শরীরের জন্য ঠিক, তা একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলতে পারবেন। তাই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিলে তবেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যেতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মদতে কুড়মি-মাহাতোরা জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে চাইছেন। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের উপর দমন পীড়নের প্রতিবাদে পথে নেমেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’। প্রতিবাদে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করে কলকাতার রানী রাসমণি রোডের এই সমাবেশে উপস্থিত হন। এর ফলে প্রবল যানজটে অবরুদ্ধ হয় কলকাতা সহ হাওড়া (Howrah) জেলার নানা জায়গা। নিত্যযাত্রী, সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় ব্যাপক হয়রানিতে। আদিবাসী সমাজ এই যানজটের দায় চাপিয়েছে পুলিশের উপর।

    প্রতিবাদ সমাবেশে মূল দাবি কি?

    ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’-এর পক্ষ থেকে এই সভায় তাদের দাবি করা হয়, তাঁদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালু করারও দাবি জানান তাঁরা। সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য, বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে এসে জড়ো হন হাজার হাজার আদিবাসী সমাজের মানুষ।

    হাওড়ায় (Howrah) ব্যাপক যানজট

    আজ, হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ হয়ে, মিছিল করে, ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে সভায় অংশ নিতে যান আন্দোলনকারীরা। অনেকে আবার লঞ্চ পেরিয়েও ধর্মতলা পৌঁছান। আদিবাসীদের এই মিছিলের জেরে হাওড়া এবং কলকাতায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল ব্যাহত হয়। হাজার হাজার লোকের মিছিলের জেরে হাওড়া ব্রিজে বেশ কয়েক দফা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। শুধুমাত্র হাওড়া ব্রিজ নয় হাওড়া ময়দান এবং সালকিয়া পর্যন্ত এই যানজট বিস্তৃত হয়।

    অবরুদ্ধ কলকাতা

    কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়, মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ ধর্মতলা ক্রসিং, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণী, জহরলাল নেহরু রোড, রেড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং মেয়ো রোড। হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই যানজটের জেরে আটকে পড়েন হাজার হাজার অফিস যাত্রী। তাঁদের পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় অফিসে। এর জেরে অনেকেই দেরিতে অফিস পৌঁছান। হাওড়া ব্রিজ, স্ট্র্যান্ড রোড,  ব্র্যাবোর্ন রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে।

    আদিবাসী সংগঠনের বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই ব্যাপক যানজটের কথা তুলে ধরে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি। ফলে যানজটের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে পুলিশের আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। পুলিশের আগে থেকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেনি। তাই সব দায় পুলিশের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই আরামবাগে বিজেপি কাউন্সিলারের ওয়ার্ড বলে রাস্তা সংস্কার না করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে বনগাঁয় বিজেপি করার অপরাধে এক দলীয় কর্মীর উপর হামলা এবং ছেলে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন মা। নৃশংস এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। এসব ঘটনার মধ্যে এবার পঞ্চায়েতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে যোগাযোগের বাঁশের সাঁকো কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের  (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়লাভ করে। নতিবপুর-২ পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। এই দুই গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। তার উপরই বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো রাতের অন্ধকারে নদীতে জল বাড়ার সুযোগ নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই সাঁকোই করাত দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের স্থানীয় নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে। খানাকুলের বালিগোড়ি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে এমনটা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির বিধায়ক। এলাকা ঘুরে তিনিও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। বুড়ো-বাচ্চাদের নিয়ে আরও সমস্যা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতেই এসব করছে। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাও তাতে জড়িত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্রিজের একটা অংশ কেটে দেওয়া হয়। আর তার জেরেই জলের হালকা স্রোতে বাকিটা ভেসে যায়। আমিও ওখানে গিয়ে দেখেছি, চারপাশে কাঠের গুঁড়ো ছড়ানো। মেশিন দিয়ে ওই ব্রিজটি কাটা হয়েছে। খানাকুল থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সম্পাদক বিপ্লব লহরী বলেন, সুশান্ত ঘোষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন। আসলে ব্রিজটি ভগ্নপ্রায়ই ছিল। ডিভিসি জল ছেড়েছে। সেই জলের তোড়ে ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল এসব কেন করতে যাবে? রাজনীতি করতে বিজেপ এসব করছে। তৃণমূল কোনওদিনই এসব চায় না।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share