Tag: Bengali news

Bengali news

  • Howrah:দুর্গা পুজো নয় হাওড়ার খালনা মেতে ওঠে লক্ষ্মী পুজোয়

    Howrah:দুর্গা পুজো নয় হাওড়ার খালনা মেতে ওঠে লক্ষ্মী পুজোয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: না দুর্গা পুজো বা কালী পুজো নয়, হাওড়া (Howrah) জেলার শেষ সীমান্তে খালনা গ্রাম, কেবলমাত্র লক্ষ্মী পুজোতেই মেতে ওঠে। শতবর্ষের পুরাতন লক্ষ্মী পুজোর ঐতিহ্য বহন করছে এই গ্রাম। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার সানা জানিয়েছেন, সরকারি খাতায় সব পুজো নেই। কিন্তু এই গ্রামে শতাধিক লক্ষ্মী পুজো হয়। অনেক পুরাতন সময়ের ইতিহাসকে বহন করে চলেছে এই এলাকার লক্ষ্মী পুজো।

    অপরদিকে উত্তর দিনাজপুরে দুর্গাপুজো নয়, লক্ষ্মীপুজোকে ঘিরেই আনন্দে মাতেন রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রামের বাসিন্দারা। তাই সারা বছর ধরে এই লক্ষ্মী পুজোর অপেক্ষাতে দিন যাপন করেন স্থানীয় মানুষ। এলাকার বাসিন্দাদের অনেক আত্মীয়-পরিজনই লক্ষ্মীপুজোর সময়ে আসেন পুজো ও মেলার টানে।

    খালনার লক্ষ্মী পুজো (Howrah)

    রাজ্যের বিখ্যাত লক্ষ্মীপুজো বলতে সর্বপ্রথম মনে আসে হাওড়ার (Howrah) জয়পুরের খালনার লক্ষ্মীপুজো। এই ক্লাবের পুজো এবারে ১০৩ বছরে পড়ল। রেডিও দিয়ে পশ্চিম খালনা রাজবংশী পাড়া বারোয়ারি লক্ষ্মী পুজোর মন্ডপ নির্মিত হয়েছে। মন্ডপের সামনে একটা বড় রেডিও তৈরি করা হয়েছে।‌ আর সেখানেই শোনা যাচ্ছে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের চন্ডীপাঠ‌। আবার খালনা গ্রামের ক্ষুদিরায়তলা কোহিনুর ক্লাবের লক্ষ্মীপুজো ১৫৭ বছরে পদার্পণ করল। এই মন্ডপে তুলে ধরা হয়েছে জঙ্গলের পরিসরকে। রয়েছে প্রধান চরিত্রে মুগলি। এছাড়াও রয়েছে মুগলির বন্ধু জঙ্গল, মৌমাছি সহ মধুর চাক, ভল্লুক, বাঘও। সেই সঙ্গে আমরা সবাই ক্লাবের পুজো, তুঙ্গারনাথের মন্দিরের আদলে গড়া মণ্ডপ। একই ভাবে চোখে পড়েছে ‘সহজ পাঠ’-এর মণ্ডপ ভাবনা। হাওড়ার আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, “খালনার এই ঐতিহ্যবাহী লক্ষ্মী পুজোকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করতে সম্পূর্ণ সচেষ্ট রয়েছে প্রশাসন।”

    ভালো ফলনের জন্য হয় লক্ষ্মী পুজো

    হাওড়ার (Howrah) পাশাপাশি টেনহরির লক্ষ্মীপুজোর মূল আকর্ষণ হল লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে মেলা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকার এক বাসিন্দা সুধন্যচন্দ্র দাস আজ থেকে আনুমানিক ৭০ বছর আগে, এই প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় লক্ষ্মীপুজোর সূচনা করেছিলেন। তিনি ওপার বাংলায় ঢাকা জেলার সমরসিং এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সেখানেও বড় করে পুজোর আয়োজন হতো। এদেশে আসার পর, এই এলাকায় ভালো ফলন ও এলাকার প্রতিটি গরীব মানুষের ঘরে যাতে সম্পদ আসে, সেই কামনায় লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করেছিলেন তিনি। এখানে লক্ষ্মী মায়ের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নারায়ণেরও পুজো করা হয়। পুজোতে লক্ষ্মী-নারায়ণের পাশে জয়া ও বিজয়ার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। রায়গঞ্জ ব্লকের বর্ধিষ্ণু গ্রাম টেনহরির পুজো, এতটাই খ্যাতি অর্জন করেছে যে শুধু রায়গঞ্জ শহর নয়, মালদহ থেকে শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর ও বিহারেরও প্রচুর মানুষ, এখানে প্রতিবছর লক্ষ্মীপুজোর উৎসব দেখতে আসেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুলের একাকী, নিঃসঙ্গ ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের ঝড় নেটিজেনদের, কী বললেন শুভ্রাংশু?

    Mukul Roy: মুকুলের একাকী, নিঃসঙ্গ ছবি সামনে আসতেই কটাক্ষের ঝড় নেটিজেনদের, কী বললেন শুভ্রাংশু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একটা সময় শুধু মিটিং, মিছিল নয়, ঘরোয়া  বৈঠকে তাঁকে ঘিরেই সবসময় থাকতেন অনুগামীরা। তাঁকে বাংলার রাজনীতির চাণক্য বলা হত। সেই মুকুল রায় (Mukul Roy) এখন কার্যত একাকী, নিঃসঙ্গ। রাজনৈতিক প্লাটফর্মেও আর তাঁর সেভাবে দেখা মেলে না। বাড়িতে তাঁকে ঘিরে অনুগামীদেরও আর কোনও ভিড় নেই। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মুকুল রায়ের অসুস্থ, জীর্ণ ছবি সামনে আসতেই একের পর এক প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ডকে।

    মুকুলের ছবি দেখে কী লিখলেন নেটিজেনরা? (Mukul Roy)

    দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মুকুল রায় তৃণমূলে ছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ প্রশাসন, আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে দলের অন্দরে চর্চিত ছিল। এমনকী বিধায়ক বা সাংসদের টিকিট পেতে গেলেও তাঁর সবুজ সংকেতের প্রয়োজন হত। কাঁচরাপাড়ায় আসলে তাঁকে ঘিরে থাকতেন এক ঝাঁক অনুগামী। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতা আসার কিছুদিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে, তৃণমূলে অভিষেকের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।  পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি গত বিধানসভায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রতীকে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। কয়েকমাস পরই তিনি ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তিনি অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি নিজে একাই দিল্লি গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৃণমূল দলটা আর করা যায় না বলে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। ফলে, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে নতুন করে তাঁর এই ছবি সামনে আসতেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর এই ছবি পোস্ট করে অনেকে নানা ধরনের কমেন্ট লিখেছেন। দুদিন আগে বাঁকুড়া জেলার এক বিধায়ক হরকালী প্রতিহার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মুকুল রায়ের এই ছবি পোস্ট করে একজন সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘বাঁকুড়ার দলত্যাগী বিধায়ক হরকালী প্রতিহারেরও একদিন এই হাল হবে।’ কেউ আবার লিখেছেন, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ কেউ লিখেছেন, ‘মুকুল ঝড়ে পড়েছে।’

    বাবার ছবি নিয়ে নেটিজেনদের কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু?

    পরিস্থিতি এতটাই জটিল আকার নিয়েছে পরিবারের লোকজন চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘বর্তমানে বাবার অসুস্থতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশিত করেছে, সেই ছবি নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছেন। হ্যাঁ, তিনি সত্যিই অসুস্থ, ২৫ বছর ধরে ব্লাড সুগারের সঙ্গে লড়াই চালাতে চালাতে তিনি এখন ডিমেনশিয়া, পারকিনসন ও লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এবং তার সঙ্গে বয়সজনিত কারণে মুত্রথলিতেও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। হ্যাঁ, তিনি সত্যিই খুবই অসুস্থ। আমি তার পুত্র হিসাবে এর মধ্যে থেকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, কিছু লোক তাদের শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। ….আর খোঁজ নেওয়ার প্রশ্নে এইটুকু বলে রাখতে পারি যে,আমাদের দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজে বাবার খোঁজ নেন প্রতিটি সময়ে। আমাদের নেতৃত্ব অভিষেক ব্যানার্জি ও তার ব্যস্ততার ফাঁকে বাবার খোঁজ নেন সবসময়। সকলের কাছে আমার করজোড়ে নিবেদন, শুধু আমার বাবা কেন, কোনও অসুস্থ মানুষের অসুস্থতা নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না, কটাক্ষ করবেন না। এইটুকুই বলার ছিল।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: শিশু নির্যাতন-নারী ধর্ষণ রুখতে একরত্তি কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা বাগচি দম্পতির

    Nadia: শিশু নির্যাতন-নারী ধর্ষণ রুখতে একরত্তি কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে আরাধনা বাগচি দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজে শিশু নির্যাতন এবং নারী ধর্ষণ রোধ করতে নিজের সাড়ে তিন বছর কন্যাকে, মা লক্ষ্মী রূপে পুজো করে অভিনব উপায়ে প্রতিবাদ জানালেন বাগচি দম্পতি। এমন পুজো কার্যত সামজিক সচেতনতার প্রতীক। এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে, নদিয়া জেলার (Nadia) ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানার নাঘাটা পাড়ায়। মা লক্ষ্মীর এই অভিনব পুজোতে খুশির উচ্ছ্বাস এলাকায়।

    কন্যাকে মা লক্ষ্মী রূপে পুজো (Nadia)

    লক্ষ্মী পূর্ণিমার পুণ্য তিথিতে, সারা বিশ্ব যখন ধন-সম্পদ লাভের আশায় ব্রতী, ঠিক সেই মুহূর্তে নিজের সাড়ে তিন বছর বয়সী একরত্তি শিশু কন্যাকে, দেবী লক্ষ্মী রূপে ধর্মীয় রীতি মেনে পুজো করলেন বাবা-মা। সেই সঙ্গে, পৃথিবী থেকে শিশু নির্যাতন ও নারী ধর্ষণের মতো অসামাজিক ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য প্রার্থনা করলেন এই বাগচি দম্পতি। নাঘাটা (Nadia) এলাকার বাগচি পরিবারের ঠাকুর ঘরের সিংহাসনে, মা লক্ষ্মীর প্রতিকৃতি রয়েছে। মায়ের সামনেই এদিন নিজের শিশু কন্যা অরিত্রিকা বাগচিকে, মা লক্ষ্মীর রূপে সজ্জিত করে, পুরোহিত ডেকে পুজো করলেন তাঁরা।

    কন্যার মায়ের বক্তব্য

    নদিয়ার (Nadia) পুজো প্রসঙ্গে, কন্যা অরিত্রিকা বাগচির মা ঝুমা বাগচি বলেন, “মেয়ে সন্তানকে পরিবারের লক্ষ্মী হিসাবে দেখছি আমরা। নারী হল মাতৃশক্তির আরেক রূপ। মূলত সেই কারণেই মা লক্ষ্মীর মৃন্ময়ী মূর্তির বদলে, ঘরের মেয়েকেই আমরা মা লক্ষ্মী হিসাবে আরাধনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” পাশাপাশি নিজের মেয়েকে ভগবান রূপে আরাধনা করার মধ্যে দিয়ে, সমাজ থেকে শিশু-নারী নির্যাতনের মতো অমানবিক ঘটনার, চিরতরে অবলুপ্তির আহ্বান জানিয়েছেন পরিবার।

    কন্যার বাবার বক্তব্য

    বহুক্ষেত্রে গ্রাম বাংলার বহু জায়গায় বাস্তব জীবনে মেয়েদের পিছন সারিতে ফেলে রাখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাই কন্যা অরিত্রিকা বাগচির বাবা অর্জুন বাগচি বলেন, “কন্যা সন্তানদের প্রতি ভ্রান্ত ধারণা ও অসামাজিক মনোভাবকে মুছে দিতে হবে। নারীদের প্রতি সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।”

    দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে কুমারী পুজোর প্রচলন থাকলেও, কোনও শিশু কন্যাকে লক্ষ্মী রূপে আরাধনা করার ঘটনা এখনও পর্যন্ত নজিরবিহীন। বাগচি দম্পতির এই কর্মকাণ্ডকে স্বচক্ষে দেখে, নাঘাটার (Nadia) বাড়িতে এইদিন ভিড় জমান আশেপাশের প্রতিবেশীরাও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Naihati: বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে উৎসবে মাতলেন নৈহাটিবাসী

    Naihati: বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘিরে উৎসবে মাতলেন নৈহাটিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকালে নবনির্মিত মন্দিরে নৈহাটির (Naihati) বড়মার কষ্টিপাথরের মূর্তিতে চক্ষুদান ও প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল। শুক্রবার সেই মূর্তিতে মহা স্নান হয়েছে। হয়েছে চণ্ডীপাঠ, গীতা পাঠ, ঘট পুজো, হোম যজ্ঞ এবং বেদি পূজন। যা দেখতে বহু মানুষ হাজির হয়েছিলেন বড়মার মন্দির চত্বরে। স্বর্ণালঙ্কারে মাকে সাজানো হয়, অনেকটা দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিনী মায়ের মতো করে। এদিন সকাল থেকে মহাসমারোহে সাড়ে চার ফুটের কষ্টিপাথরের মূর্তিতে মাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার ভক্ত সামিল হন। পুজোর পরে  ভক্তদের উদ্দেশ্যে ভোগ বিতরণ করা হয়।

    কী বললেন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক? (Naihati)

    নৈহাটি (Naihati) বড় মা মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, এতদিন মা’র ফটো ফ্রেমে পুজো হতো। ১০০ বছরে পদার্পণ করে বড়মার কষ্টিপাথরে মূর্তিতে পুজো হবে। মায়ের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর নিত্য পুজো হবে। সাড়ে চার ফুটের এই মূর্তি তৈরি করেছেন রাজস্থানের শিল্পী ধর্মেন্দ্র সাউ। বড়মা বহু মানুষের কাছে আবেগ। হাজার হাজার ভক্তদের দাবি মেনেই এই মূর্তি তৈরি করা হলো। একেবারে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে  চার বেলা পুজো হবে, ভোগ দেওয়া হবে। সোনার গয়নায় মাকে সাজানো হয়েছে। যার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    বড়মা মন্দির কমিটির ট্রাস্টির সভাপতির কী বক্তব্য?

    নৈহাটি (Naihati) পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বড়মা মন্দির কমিটির ট্রাস্টির সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রবিবার ১২. ৫০ মিনিটে নবনির্মিত মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। তিনি আরও বলেন, ভক্তদের দানে একটি অসাধারণ মন্দির তৈরি হয়েছে। চারতলার মন্দিরের একতলায় মা অধিষ্ঠান করবেন। হবে ধর্মশালা ও বৃদ্ধাশ্রম। এদিকে কালী পুজোর সময় ২২ ফুটের যে বড়মার পুজো হয় তারও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়েছে কাঠামো পুজো। ফলে, বড়মাকে কেন্দ্র করে জাঁকজমকভাবে উৎসবে মেতে উঠেছেন নৈহাটিবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woman Loco Pilot: প্রথম মহিলা লোকো পাইলট দীপান্বিতা চালালেন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল

    Woman Loco Pilot: প্রথম মহিলা লোকো পাইলট দীপান্বিতা চালালেন মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে প্রথম মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) হিসাবে কাজ শুরু করলেন দীপান্বিতা দাস। বর্তমানে তিনি মেদিনীপুর-হাওড়া রুটের লোকাল ট্রেন চালাবেন। ১০ বছর মালগাড়ি চালানোর পর, পদোন্নতি পেয়ে এখন যাত্রীবাহী ট্রেন চালাবেন তিনি। গতকাল শুক্রবার, এই প্রথম মেদিনীপুর-হাওড়া শাখায় লোকাল ট্রেন চালালেন, একজন মহিলা লোকো পাইলট।

    মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot)

    ৪৫ বছরের এই মহিলা লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) দীপান্বিতা দাসের বাড়ি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে। তাঁর কর্মস্থল হল, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর বিভাগ। এই বিভগের শাখায় তিনি প্রথম মহিলা হিসাবে মেদিনীপুর-হাওড়া লোকাল ট্রেন চালিয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গে দীপান্বিতা দাস বলেন, “নারী পুরুষ বলে কোনও ভেদ নেই। এখন সবাই সমান। মালবাহী ট্রেনের তুলনায় এই যাত্রীবাহী ট্রেন, অনেক বেশি সতর্কতা দিয়ে চালাতে হয়। মালবাহী ট্রেন চালাতে সময় বেশি লাগলেও, যাত্রীবাহী ট্রেনে সময় অনেক কম লাগে। তবে ট্রেন চালানোর আগে শারীরিক পরীক্ষার পর, ট্রেন চালানোর অনুমতি পাওয়া যায়।” তাঁর স্বামীও রেল দফতরে কাজ করেন। তাঁদের এক মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এবং ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।

    ২০০৩ থেকে কাজ করছেন দীপান্বিতা

    ২০০৩ সালে আদ্রা বিভাগে কাজে যোগদান করেন দীপান্বিতা। এরপর ২০০৬ থেকে খড়গপুরে আসেন, ২০১৪ থেকে মালবাহী ট্রেনের লোকো পাইলট (Woman Loco Pilot) হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেন। প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। এরপর গতকাল শুক্রবার একাদশীর দিন, মেদিনীপুর থেকে হাওড়া রুটে লোকাল চালিয়েছেন তিনি। সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে মেদিনীপুর থেকে ট্রেনটি ছেড়ে ছিল। এরপর হাওড়ায় পৌঁছানোর পর, আবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে ট্রেন চালিয়ে, মেদিনীপুরে নিয়ে যান তিনি। এই মহিলা লোকো পাইলটকে ঘিরে বেশ খুশির আবহ রেলের এই শাখায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গির নতুন রূপ ধরা পড়ল শিলিগুড়িতে, উদ্বেগ, উপসর্গ কী জানেন?

    Dengue: ডেঙ্গির নতুন রূপ ধরা পড়ল শিলিগুড়িতে, উদ্বেগ, উপসর্গ কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন রূপ ধারন করে প্র্যানক্রিয়াস সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আক্রমণ করছে ডেঙ্গি। সময় মতো ধরা পড়া ও চিকিৎসা না হলে প্রাণ সংশয় দেখা দিতে পারে। সম্প্রতি শিলিগুড়িতে ধরা পড়েছে ডেঙ্গির (Dengue) এই নতুন রূপ। সম্প্রতি শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এক যুবকের শরীরে ডেঙ্গির নতুন রূপের দেখা মিলতে উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসক মহল। কারণ, শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে এটিই প্রথম ঘটনা।

    শিলিগুড়িতে কীভাবে ধরা পড়ল ডেঙ্গির নতুন ভাইরাস? (Dengue)

    ওই যুবকের ডেঙ্গির (Dengue) এই বিরল রূপ ধরার পুরো কৃতিত্ব শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের মেডিসিনের মেডিক্যাল অফিসার কল্যাণ দাসের। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে শিলিগুড়ির সেবক রোডের আসরাফ নগরের ২৬  বছরের এক যুবক ডেঙ্গি আক্রান্ত অবস্থায় প্রবল জ্বর নিয়ে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ভর্তি হওয়ার দ্বিতীয় দিন প্রবল জ্বরের সঙ্গে প্রচন্ড পেটে ব্যাথা ও বমি শুরু হয়। ডেঙ্গির পরিচিত উপসর্গ যেমন, প্লেটলেট কমে যাওয়ার মতো কিছুই ছিল না। সেই সঙ্গে  ওই যুবকের শোয়া ও বসার লক্ষণ ধরণ দেখে সন্দেহ হয়। তার  রক্তের লাইপেজ পরীক্ষা করাই। দেখা যায়, লাইপেজ ও অ্যামাইলেজ প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। লিভারও আক্রান্ত। লাইপেজ বাড়তে থাকার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও গ্রন্থির সঙ্গে থাকা চর্বি গলে যাচ্ছে। একে পেরিফেরাল লাইপোলাইসিস বলা হয়। এতে ডায়াবেটিস না থাকলেও রক্তে অস্বাভাবিক হারে কিটোন বেড়ে যায়। ডেঙ্গি ভাইরাসের এই নতুন রূপে ওই যুবক ইউগ্লাইসেমিক প্যানক্রিয়েটিক কিটো অ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হয়েছিল। এটি ডেঙ্গির একেবারেই নতুন চরিত্র। ওই যুবক ধীরে ধীরে সুস্থ করা গিয়েছে। তিনি এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। 

    ডেঙ্গি ভাইরাসের কেন এই রূপ পরিবর্তন?

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ও মাইক্রোবায়োলজির অধ্যাপক ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক বলেন, সব ভাইরাসেরই ঘনঘন চরিত্রগত পরিবর্তন ঘটতে থাকে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। এই কারণে পোস্ট কোভিড এফেক্টে অনেকের হার্ট, কিডনি, লাঙ আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গি (Dengue) ভাইরাসেরও সেরকম পরিবর্তন ঘটেছে।

    কীভাবে সময় মতো ডেঙ্গির নতুন রূপ ধরা পড়বে, বাঁচার উপায় কী?

    চিকিৎসক কল্যাণ দাস বলেন, ডেঙ্গি (Dengue) ভাইরাসের এই নতুন রূপে কারও প্যানক্রিয়াস আক্রান্ত হয়েছে কি না তা বোঝার জন্য চিকিৎসকদেরই সজাগ হতে হবে। ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর পেটে ব্যাথা হলেই দ্রুত তার  লাইপেজ, অ্যামাইলেজ পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে। দ্রুত নির্ণয় করা গেলে রোগীর প্রাণ সংশয় এড়ানো সম্ভব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এত দুর্নীতিগ্রস্ত! বালুর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগে’, বললেন মন্ত্রীর গ্রামের বাসিন্দারা

    ED: ‘স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এত দুর্নীতিগ্রস্ত! বালুর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগে’, বললেন মন্ত্রীর গ্রামের বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারিতে অবাক পূৰ্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের পূর্ব খাঁপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের প্রিয় বালুর নাম যে রেশন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাবে, তা ভাবতেও পারছেন না খাঁপুরবাসী। তবে, ইডি-র (ED) সূত্র ধরে বিপুল সম্পত্তির বিষয়টি সামনে আসতেই পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর ব্লকের এই গ্রামেই জন্ম রাজ্যের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই মন্ত্রীর। এভাবে দুর্নীতির অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হওয়ায় গ্রামবাসীরা ছি: ছি: করছেন।

    স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে বালু দুর্নীতির দায়ে ইডি-র জালে (ED)

    রেশন দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)(ED) কয়েক ঘণ্টা তল্লাশি চলার পর বাড়ি থেকে বালুকে গ্রেফতার করে। বালু মন্তেশ্বরের খাঁপুরে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়াশোনা করেছিলেন। তারপর গিয়েছিলেন কলকাতায়। বর্ধমান জেলার খাঁপুরেও পুরনো বাড়ি ছিল তাঁদের। সেই বাড়ি ভেঙে প্রাসাদোপম বাড়ি বানানো হয়েছে। ওই গ্রামে জ্যোতিপ্রিয়ের দাদা দেবপ্রিয় মল্লিকের একটি বাড়ি রয়েছে। তাঁর বাবা শক্তিপদ মল্লিক ছিলেন একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী। এরকম স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগে অবাক গ্রামবাসীরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কংগ্রেসে নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন বালু। পরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় তৃণমূলের দীর্ঘদিন জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। বিরোধীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছরে জ্যোতিপ্রিয়র সম্পত্তি কয়েক গুণ বেড়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দদের কী বক্তব্য?

    ইডির (ED) হাতে বালুর গ্রেফতারির পর খাঁপুর গ্রামেরের বাসিন্দারা বলেন, একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর ছেলে এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত তা ভাবতে অবাক লাগছে। এই গ্রামের ছেলে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছে বলে আমরা গর্ব করতাম।  আর এখন তাঁর নাম মুখে আনতে লজ্জা লাগছে। কী ভাবে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন বালু? তাই গ্রামের মানুষ চাইছেন, সঠিকভাবে তদন্ত হোক এবং সত্যি সামনে আসুক। রেশনে দুর্নীতি হয়েছে বলা হছে। তদন্ত হলেই সঠিক বিষয়টি জানা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukesh Ambani: ২০ কোটি টাকা না পেলে গুলি করে হত্যা! হুমকি-চিঠি মুকেশ আম্বানিকে

    Mukesh Ambani: ২০ কোটি টাকা না পেলে গুলি করে হত্যা! হুমকি-চিঠি মুকেশ আম্বানিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ কোটি টাকা না পেলে গুলিতে ঝাঁঝরা করে খুন করা হবে। ঠিক এই ভাবেই ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইমেলের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর পরই মুম্বই পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হয়েছেন রিলায়েন্স কর্তা। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়ে গেছে দেশজুড়ে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Mukesh Ambani)?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। খুনের হুমকি-চিঠি আসে একটি ইমেলে। সেখানে বলা হয়, ২০ কোটি টাকা দিতে হবে, আর যদি টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে গুলি করে হত্যা করা হবে। হুমকি চিঠি পেয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয় আম্বানি পরিবার। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আইপিসির ধারা ৩৮৭ এবং ৫০৬ (২) ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    আগেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল

    সূত্রের খবর, গতবছরও প্রাণনাশের হুমিকে পেয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তাঁর বাড়ি বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পূর্বে ২০২১ সালে, তাঁর বাড়ির সামনে একটি গাড়িতে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ গাড়ি থেকে ২০টি জেলটিন স্টিক এবং একটি চিঠি উদ্ধার করেছিল। সেই চিঠিতেই মুকেশ আম্বানি এবং পরিবারকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এবারে ইমেলের মাধ্যমে হুমকিতে ফের উতেজনা ছড়িয়েছে।

    বহুজাতিক সংস্থা রিলায়েন্স

    ১৯৫৮ সালে রিলায়েন্স কমার্শিয়াল কর্পোরেশন, ধীরুভাই আম্বানি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড হল, একটি ভারতীয় বহুজাতিক ব্যবসায়ী সংস্থা। এই সংস্থার কেন্দ্রীয় অফিস হল মুম্বই শহরে। তাঁদের (Mukesh Ambani) ব্যবসায়িক উপাদানের মধ্যে রয়েছে পেট্রোকেমিক্যাল, প্রাকৃতিক গ্যাস, খুচরা, টেলিযোগাযোগ, গণমাধ্যম, টেক্সটাইল ইত্যাদি। উল্লেখ্য, এই কোম্পানি তার বাজারের মূলধন এবং রাজস্বের বিচারে বর্তমানে বিশ্বের ১০০ বৃহত্তম কোম্পানির অন্যতম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur:  লক্ষ্মীপুজোর দিনই খড়্গপুরে ফুল বোঝাই গাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ৬

    Kharagpur: লক্ষ্মীপুজোর দিনই খড়্গপুরে ফুল বোঝাই গাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুজোর দিন ভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তিন ফুল ব্যবসায়ী সহ ৬ জনের মৃত্যু হল। শনিবার ভোর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ডেবরা টোল প্লাজা কাছে খড়্গপুর (Kharagpur) লোকাল থানার বুড়ামালাতে এলাকায়। দুর্ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর জখম হয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকের বাড়ি খড়্গপুর লোক থানার অন্তর্গত মুকসুদপুর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kharagpur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে শনিবার ভোরে খড়্গপুর (Kharagpur) লোকাল থানার বুড়ামালা এলাকায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিতে ফুল লোডিংয়ের কাজ চলছিল। ফুল নিয়ে কোলাঘাটে যাওয়ার কথা ছিল গাড়িটির। গাড়িতে ফুল তোলার কাজ করছিলেন কয়েক জন ফুল ব্যবসায়ী-সহ মোট দশ থেকে পনেরো জন। সেই সময় হঠাৎই সিমেন্ট বোঝাই ওই লড়িটি সজোরে এসে ধাক্কা মারে ফুলের গাড়িতে। পাশের একটি নয়নজুলিতে গিয়ে পড়ে ফুলের গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। এই ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে, আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে একজনকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তপন সামন্ত এক ব্যক্তি। আর উত্তমকুমার বাগ নামে এক ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে, একসঙ্গে ৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় সড়কে যান চলাচলের গতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ যে পুরোপুরি ব্যর্থ তা আরও একবার প্রমাণিত হল।

    প্রত্যক্ষদর্শীদের কী বক্তব্য?

    এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বাসস্ট্যান্ডের কাছেই গাড়িতে ফুল লোড করার কাজ চলছিল। খড়্গপুর (Kharagpur) লোকাল থানার বুড়ামালা থেকে ফুল বোঝাই গাড়িটি কোলাঘাটের দেউলটি যাওয়ার কথা ছিল। দ্রুত গতিতে আসা ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ফুল বোঝাই গাড়িটিকে পিষে দেয়। তাতেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে দু-তিনজনকে উদ্ধার করি। অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup: বিশ্বকাপ থেকে কি ছিটকে গেল পাকিস্তান? পয়েন্ট তালিকায় কোথায় কোন দল?

    ICC World Cup: বিশ্বকাপ থেকে কি ছিটকে গেল পাকিস্তান? পয়েন্ট তালিকায় কোথায় কোন দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ হারার পর বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গেল পাকিস্তান (ICC World Cup)। বিশ্বকাপে ওঠা এখন পাকিস্তানের পক্ষে এতটাই অসাধ্য যে বাকি সব ম্যাচগুলি শুধু জিতলেই হবে না পয়েন্ট তালিকায় অন্যান্য দলের দিকেও তাদের নজর রাখতে হবে। কারণ এর পরের ম্যাচগুলো পাকিস্তান যদিও জেতে, সেক্ষেত্রেও পাকিস্তানকে পিছনে ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে অন্যান্য দলগুলির।

    পয়েন্ট তালিকায় কোথায় কোন দল?

    এই মুহূর্তে পয়েন্ট তালিকায় ৬ নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান। ছটি ম্যাচ খেলে বাবর আজমরা সংগ্রহ করেছে ৪ পয়েন্ট। পাকিস্তানের নেট রান রেট বর্তমানে মাইনাসে রয়েছে এবং তা হল -০.৩৮৭। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্য দল শ্রীলঙ্কা পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে (ICC World Cup) এবং তাদেরও সংগ্রহ রয়েছে ৪ পয়েন্ট। এরপরে পাকিস্তানের বাকি রয়েছে তিনটি ম্যাচ। যদি প্রত্যেকটি ম্যাচেই বাবর আজমরা জিতে যায় তাহলে তাদের পয়েন্ট হবে ১০। প্রসঙ্গত, প্রথম দুটি স্থানে ১০ পয়েন্ট নিয়েই বসে রয়েছে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই মনে করা হচ্ছে এই দুই দলই সেমিফাইনাল খেলতে চলেছে। এই মুহূর্তে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে টপকে যাওয়ার কোনও সম্ভাব নেই পাকিস্তানের। অন্যদিকে পাঁচটি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করেছে ৮ পয়েন্ট। পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ডের সমান ম্যাচ খেলে চতুর্থ স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, পাকিস্তান শেষের প্রত্যেকটি ম্যাচ জিতলেও নকআউট (ICC World Cup) পর্বে যাওয়া কার্যত প্রায় অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে তাকিয়ে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়ার দিকে। অস্ট্রেলিয়া তাদের বাকি ৪টি ম্যাচের মধ্যে অন্তত যদি দুটি হেরে যায় তাহলে নেট রান রেটের বিচারে দুই দলের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। আবার শেষ চারটি ম্যাচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া যদি তিনটি হেরে যায় তবে পাকিস্তান চতুর্থ বা তৃতীয় স্থানে উঠে আসতে পারবে।

    বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল পাকিস্তান?

    পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতোই ৪ পয়েন্ট রয়েছে আফগানিস্তানের। পাকিস্তানের বাকি ম্যাচগুলি রয়েছে নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ম্যাচ জেতা যদিও বা সম্ভব হয়, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তা একেবারেই অসম্ভব। অর্থাৎ সেমিফাইনালে (ICC World Cup) বাবর আজমরা খেলতে চাইলে একাধিক অঘটন এখন ঘটাতে হবে। তাই একথা বলাই যায় বিশ্বকাপ থেকে কার্যত ছিটকে গিয়েছে পাকিস্তান। পয়েন্ট তালিকা শার্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মতো তাদেরও ১০ পয়েন্ট রয়েছে। তবে নেট রান রেটের দিক থেকে বিরাট বাহিনীর থেকে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার রয়েছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ। সেই ম্যাচ জিতলে ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়া নিশ্চিত হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share