Tag: Bengali news

Bengali news

  • Asian Games 2023: ঘরে ফিরলেন রিচা, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হবে সোনার মেয়ের জন্মদিন পালন

    Asian Games 2023: ঘরে ফিরলেন রিচা, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হবে সোনার মেয়ের জন্মদিন পালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে ফিরলেন সোনার মেয়ে রিচা। এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) সোনাজয়ী ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য রিচা ঘোষ। বুধবার শিলিগুড়িতে বাড়িতে ফিরে সংবর্ধনায় ভাসলেন তিনি। বাড়িতে ঢুকতেই মায়ের চুম্বনে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ল রিচার গাল বেয়ে। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। কারও হাতে ফুল, কারও হাতে মিষ্টি। কেউ বা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান রিচাকে। আর গর্বিত গর্ভধারিণী স্বপ্নাদেবী মেয়েকে প্রদীপ ও ফুল দিয়ে বরণ করে, মিষ্টি খাইয়ে ঘরে তুললেন। পুজোর আগে শিলিগুড়ি মেতে উঠেছে রিচাকে নিয়ে।

    বাড়ি ফিরে কী বললেন রিচা? (Asian Games 2023)

    রিচার বাবাও ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। ছোট থেকে বাবার হাত ধরে তিনি মাঠে যেতেন। বাবার ব্যাটবল নিয়ে তাঁর খেলার হাতেখড়়ি। বাবার স্বপ্নপূরণ করছেন মেয়ে। বাড়িতে ঢুকেই রিচা এদিন বলেন, অনেকদিন পর বাড়িতে বাবা-মা’র সঙ্গে কাটাবো, ভাবতে ভালো লাগছে। এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) সোনা জয় একটা বিশেষ স্মরণীয় মুহূর্ত। শেষ পর্যন্ত আমরা পরিকল্পনা মতো খেলে দেশকে সোনা এনে দিতে পেরেছি। ভালো লাগছে। এর আগে মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯-র বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছি। তবে এই দুটো সাফল্যের মধ্য তুলনায় যেতে রাজি নই। প্রতিটি মুহূর্তই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশ্বকাপ ও মেয়েদের আইপিএলে ভালো খেলেও মাঝখানে বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল রিচাকে। এদিন সে প্রসঙ্গে রিচা বলেন, বাদ পড়াটা খেলারই অঙ্গ। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দল থেকে বাদ পড়াটা আগামী দিনে আরও ভালো খেলতে সাহায্য করে। ভুলত্রুটি শুধরে নিজেকে উন্নত করতে পেরেছি। দেশের হয়ে দীর্ঘদিন খেলা আমার লক্ষ্য।

    কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কেক কেটে হবে রিচার জন্মদিন পালন

    বৃহস্পতিবার রিচার জন্মদিন। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কেক কেটে রিচার জন্মদিন পালন করা হবে। সেই মতো সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিলিগুড়ির সব স্তরের মানুষ সেখানে হাজির থাকবেন। স্বাভাবিকভাবে চরম আনন্দিত রিচা। এভাবে সকলের সঙ্গে জন্মদিন তিনি পালন করেননি। তবে, এই আনন্দের মাঝেও নিজের  শহরে এখনও ক্রিকেটের জন্য আলাদা স্টেডিয়াম বা মাঠ না থাকাটা রিচাকে কুরে কুরে কুরে করে খাচ্ছে। এদিনও তিনি বলেন, স্টেডিয়াম বা মাঠ ক্রিকেটের জন্য থাকাটা জরুরি। এই শহর থেকে আমার আগে ঋদ্ধিমান সাহা ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তারপর আমি ভারতীয় দলে খেলছি। এখানে প্রতিভার অভাব নেই। আগামীদিনে সুযোগসুবিধা পেলে এখান থেকেও আরও অনেক ছেলেমেয়ে জাতীয় দলে খেলবে। তার জন্য চাই পরিকাঠামো।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, বিশ্বকাপ জয়ের পর খুশি হয়েছিলাম। তবে, এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) সোনা আমাদের বিশেষভাবে গর্বিত করেছে। মা স্বপ্না ঘোষ বলেন, আমার মেয়ে দেশকে গৌরবান্বিত করেছে, এর অনুভূতি আলাদা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ক্লোজ করা হল পুলিশ কর্মীকে

    Barrackpore: বারাকপুরে এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ক্লোজ করা হল পুলিশ কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের ভরসা পুলিশ। আর সেই পুলিশের সাহায্য চাইতে এসে উল্টে পুলিশের লালসার শিকার হলেন এক মহিলা। জানা গিয়েছে, সমস্যা সমাধানের আশায় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে প্রথমে সম্পর্ক গড়ে তোলেন বারাকপুরের (Barrackpore) বাসুদেবপুর থানার এক এএসআই সঞ্জীব সেন। পরে, ওই মহিলার সঙ্গে পুলিশ কর্মীর অনেকটাই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। পরে, নির্যাতিতা থানার ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে বারাকপুরের (Barrackpore) বাসুদেবপুর থানা এলাকার এক ব্যক্তি নির্যাতিতার কাছে কিছু টাকা ধার করেছিলেন। সময় মত টাকা ফেরত না পেয়ে নির্যাতিতা পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেই সময় পরিচয় হয় বাসুদেবপুর থানায় কর্মরত এএসআই সঞ্জীব সেনের সঙ্গে। পুলিশকর্মী সঞ্জীব সেন তাঁর কাছে কিছু টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। সেই পুলিশকর্মীকে বিভিন্ন সময় অনলাইন মারফত টাকা দেন ওই নির্যাতিতা। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের প্রয়োজনে দুজনের মধ্যে দেখা হয়। আর সেই সুযোগে তাদের দুজনের সম্পর্ক গড়ায় বন্ধুত্বে। একে অপরের উপর বিশ্বাস করে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখে ওই পুলিশ কর্মী। আর সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে বলে অভিযোগ। এমনকী শারীরিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতনের কথা বিভিন্ন সময় থানাতে জানালেও মেলেনি সুরাহা। অবশেষে চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বাসুদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাসুদেবপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর ভাই। এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন নির্যাতিততা মহিলা।

    কী বললেন বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেট-এর এক কর্তা?

    বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, নির্যাতিতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: অধ্যক্ষকে দফতরে না পেয়ে মদনের হুমকি, সাগর দত্ত হাসপাতালে ফের পড়ল পোস্টার

    Madan Mitra: অধ্যক্ষকে দফতরে না পেয়ে মদনের হুমকি, সাগর দত্ত হাসপাতালে ফের পড়ল পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্রের মূল পান্ডা জাবেদ আলির বুধবারও টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)  হুঙ্কারই যে সার তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। এরইমধ্যে মদন মিত্র সোজা হাসপাতালে হাজির হন। অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান নিজের দফতরে না দেখতে পেয়ে সেখানে বসেই ফোনে অধ্যক্ষকে রীতিমতো ধমক দেন তিনি।

    অধ্যক্ষকে কী বললেন মদন? (Madan Mitra)  

    অধ্যক্ষের উদ্দেশে মদন বলেন,আপনি বেরিয়ে গিয়েছেন কেন? মাসের শেষে তো তিন লক্ষ টাকা মাইনে পান। এখানে দালালরাজ চলছে। আপনি কেন সুয়োমোটো থানায় ডায়েরি করেননি? এখানেই থামেননি মদন। তাঁর কথায়, সব দালালরাজ আরজি কর, এনআরএসে হয়। ওখানে সব চুড়ি পরে বসে থাকে। এটা কামারহাটি। ঘেঁটি ধরে নাড়িয়ে দেব। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন তো? রীতিমতো হুমকির সুরে একথা বলেন মদন। পাশাপাশি কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা থেকে শুরু করে ভাইস চেয়ারম্যান, ৩০ জন কাউন্সিলরও মদনের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেই সংখ্যার কথাও অধ্যক্ষকে জানিয়ে দেন তৃণমূল বিধায়ক। অন্যদিকে, অধ্যক্ষ বলেন, কোনও হুমকি দেননি তো। আসলে উনি যে আসবেন, তা আমার জানা ছিল না। জানলে হয়তো থেকে যেতাম। আসলে মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই, সবটা আমার শোনা হয়নি। তাছাড়া তাঁর সঙ্গে অনেকদিনের সম্পর্ক। তাই, পরে, কথা বলে মিটিয়ে নেব।

    হাসপাতালে দালালরাজের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার

    হাসপাতালে দালালরাজের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল। এর আগে জাবেদ আলিদের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েছিল। এবার রোগীদের সচেতন করতে ফের পোস্টার পড়ল। পোস্টারে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের আগত রোগীর ও রোগীর আত্মীয় পরিজনদের জানানো যাচ্ছে যে, হাসপাতালের যেকোনও পরিষেবা পাওয়ার জন্য, কোনও ব্যাক্তিকে কোনও টাকা দেবেন না। প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে এক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তিকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে দালালরাজের বিষয়টি সামনে এসেছিল। মদন মিত্র বলেছিলেন, হাসপাতালে দালালদের প্রতিদিনের আয় ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা। কলকাতা পুলিশ এসএসকেএম, এনআরএসে ধরেছে, কামারহাটিতে দালালরাজের বিরুদ্ধে যারা মিছিল করেছিল, তাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। বউ-বাচ্চাকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। মদনের এই বক্তব্যের পরও পুলিশ দালালচক্রের মাথাকে ধরতে পারল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: মা দুর্গা পরিচিত “পাতি মা” নামে, ধুমধাম করে চারদিন ধরে পুজো হয় শুধু মস্তক!

    Durga Puja 2023: মা দুর্গা পরিচিত “পাতি মা” নামে, ধুমধাম করে চারদিন ধরে পুজো হয় শুধু মস্তক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে “পাতি মা” বলেই ডাকেন। ধুমধাম করেই পুজো (Durga Puja 2023) হয়। কাঁকসা থানার গোপালপুরের পশ্চিম পাড়ায় মণ্ডল, দে আর দত্ত পরিবারের “পাতি মা”। পাতি মা সপরিবারে আসেন না। শুধু তাই নয়, তিনি শরীর নিয়েও আসেন না। তাঁর মস্তক পুজো হয় চারদিন ধরে। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরেই চলে আসছে এই পাতি মা-এর পুজো।

    শুধু মস্তক পুজো নিয়ে ভিন্ন মত

    কিন্তু কেন এই মস্তক পুজো আর কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার কোনও তথ্য নেই। বর্তমান প্রজন্মের দুটি মত রয়েছে। একটি মতে, দেবী দুর্গা স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন, প্রতিমা গড়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা যাবে না। কিন্তু ধৈর্য্য না রাখতে পেরে মন্দিরের দরজা খোলা হয় আর দেখা যায়, দেবীর মস্তক রয়েছে আর কিছুই নেই। তবে অন্য অংশের মতে, মাটির তৈরি মন্দির ছিল। মন্দিরে দেবীর প্রতিমা তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পুজো (Durga Puja 2023) দিন কয়েক বাকি। সেই সময় প্রবল বর্ষণে মন্দির ভেঙে যায় এবং দেবীর মস্তকটি শুধু রক্ষা পায়। কীভাবে পুজো হবে, এই চিন্তার পাশাপাশি পুজো না করলে অমঙ্গল হবে, এই আশঙ্কায় গোটা পরিবার চিন্তায় পড়ে যায়। তখনই পরিবারের কর্তাকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন মস্তক পুজো করতে এবং তিনি এভাবেই পুজো নেবেন। সেই থেকেই ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে  চলে আসছে মণ্ডল, দত্ত এবং দে পরিবারের পাতি মা’র পুজো।

    কী বললেন উদ্যোক্তারা?

    এই পুজোরই এক উদ্যোক্তা উৎপল দত্ত বলেন, রানীসায়ের থেকে নবপত্রিকা নিয়ে আসা হয় এবং চারদিন ধরেই পুজো (Durga Puja 2023) চলে ধুমধাম করে। তবে পাতি মায়ের নিরঞ্জন রাতে হয় না, দশমীর দিন নবপত্রিকা নিরঞ্জনের সময় দেবীর মস্তক নিরঞ্জন হয়। তবে একই ভাবে মস্তক পুজো হয় দেবশালা পঞ্চায়েতের দেবশালার বক্সি পরিবারের এবং একই পঞ্চায়েতের পুরশায় শুধুমাত্র মস্তক পুজো হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট! কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা সহ একাধিক জেলায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর তার জেরেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট চরমে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের ভর্তির জায়গা নেই। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। অনেক সময় মশারি টাঙিয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই পড়ে থাকছেন ডেঙ্গি-আক্রান্ত। অনেক সময় আক্রান্তকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়িতে থাকলে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে!

    রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্ত কত? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এ বছরের ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গিয়েছেন। যদিও বেসরকারি হিসাবে পরিসংখ্যান অনেকটাই আলাদা। বেসরকারি হিসাবে এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী মাসে আরও কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবেন। তাই হাসপাতালে শয্যার চাহিদা বাড়বে। কিন্তু আক্রান্তের অনুপাতে পরিষেবা দেওয়া কতখানি সম্ভব, সে নিয়েও সংশয় থাকছেই। তাই বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি।

    বাড়িতে চিকিৎসায় (Dengue) কোন দিকে নজরদারি জরুরি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে। অনেকে জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাতে দেরি করছেন। ফলে, রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। চিকিৎসা শুরু হতেই অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি আগে থেকেই জটিল হয়ে থাকছে। সেক্ষেত্রে হয়রানি বাড়ছে। বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। আবার অনেকের ডেঙ্গির (Dengue) সব উপসর্গ প্রকট হচ্ছে না। অর্থাৎ, উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও অনেক। তাই সামান্য সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কয়েক দিন ভোগান্তির কারণ হলেও রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    জল খাওয়ায় নজর

    ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলে সবচেয়ে বেশি নজরদারি দিতে হবে জল খাওয়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বডি ফ্লুইড অর্থাৎ শরীরে তরল পদার্থ যাতে কোনও ভাবেই না কমে, সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ শরীরে তরল উপাদান কমলে মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি সহ একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। তাই জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত নিয়মিত যে পরিমাণ জল খান, তার থেকে অন্তত ১ লিটার বেশি জল খাবেন। অর্থাৎ, কেউ যদি নিয়মিত ৩ লিটার জল খান, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে অন্তত ৪ লিটার খেতেই হবে। এর পাশপাশি ফলের রস, দুধ, স্ট্রু জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এই সব খাবারে একদিকে শরীরের পুষ্টি হবে, আরেকদিকে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করবে।

    অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট

    ডেঙ্গি আক্রান্তকে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। যাতে তার থেকে অন্যদের রোগ না ছড়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ খুব দ্রুত হয়। তাই আক্রান্তকে আলাদা ঘরে রাখার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের নিয়ম করে অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট মাপা জরুরি। বাড়িতে থাকলেও নিয়মিত এই দুটি বিষয় মাপার বিষয়ে নজরদারি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাহলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট হবে, আবার প্লেটলেট কমলে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই দুই ঠিক রয়েছে কিনা, তা নজরদারি করা প্রয়োজন। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরের কোনও অংশ লাল হচ্ছে কিনা, রক্তপাত হচ্ছে কিনা, তা দেখা দরকার। কারণ, এগুলো পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ার লক্ষণ। তাই বাড়িতে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত থাকলে এসব বিষয়ে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Handloom Sarees: পুজোর মুখেও ওঁরা বিষণ্ণ, করুণ অবস্থা বেগমপুরের তাঁত শিল্পীদের

    Handloom Sarees: পুজোর মুখেও ওঁরা বিষণ্ণ, করুণ অবস্থা বেগমপুরের তাঁত শিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই শারদোৎসব। কাশফুলের সমাহার ইতিউতি জানান দিচ্ছে, আর বেশি দিন নেই। কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলার মানুষ মেতে উঠবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে। খুশিতে ভরে উঠবে কচিকাঁচা থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা। নতুন নতুন জামাকাপড় পরে প্রতিমা দর্শনের অনাবিল আনন্দ। এটা গেল একটা দিক। এবার একটু অন্য দিকে খোঁজ নেওয়া যাক। নতুন নতুন পোশাক যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁদের সবাই ভালো আছেন তো? বাংলার নারীর কাছে শাড়িই (Handloom Sarees) হচ্ছে একমাত্র পোশাক, যার প্রতি তাঁরা আজীবন দুর্বল। আর এই শাড়ির মধ্যে তাঁত একটি উজ্জ্বল নাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, হাজার বছরের পুরনো তাঁত শিল্প প্রায় উঠতে বসেছে। এই রাজ্যে নদিয়া ও  হুগলি জেলার তাঁত প্রায় জগৎবিখ্যাত ছিল এক সময়। বিশেষত হুগলির ধনিয়াখালি, আঁটপুর ও বেগমপুরের তাঁতের আলাদা কদর ছিল শাড়িপ্রেমীদের কাছে। কিন্তু এই আধুনিকতার যুগে আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যশালী তাঁত শিল্প। কেমন আছেন সেই সব তাঁত শিল্পীরা? যাদের এক সময় ইংরেজরাও দমাতে পারেনি ম্যাঞ্চেস্টারকে তুলতে গিয়ে।

    করুণ অবস্থা শিল্পীদের

    হুগলি জেলার প্রাচীন জনপদ বেগমপুর। শ্রীরামপুর মহকুমার চণ্ডীতলা থানার অধীনে এই প্রাচীন জায়গা তাঁত শিল্পের জন্য এক সময় সুবিখ্যাত ছিল। বিশেষ করে হালকা এবং উজ্জ্বল বলে এই বেগমপুরি তাঁতের (Handloom Sarees) বরাবরই একটা কদর রয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে আদৌ এই বেগমপুরি শাড়ি থাকবে কিনা, তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বেগমপুরের তাঁতিপাড়ায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে যেতেই উঠে এল শিল্পীদের করুণ অবস্থা। সামনেই দুর্গাপুজো। কিন্তু তাঁদের মুখে হাসি নেই। অধিকাংশ শিল্পী প্রবীণ। তাঁদের উত্তরসূরি কেউ আর তাঁত বোনে না। কারণ তাতে করে পেট ভরে না। তাই তাঁরা পার্শ্ববর্তী ডানকুনি শিল্পাঞ্চলে কলকারখানায় কাজ জোটাতে ব্যস্ত।

    বাস্তব অভিজ্ঞতা বড়ই করুণ

    আর করবেই বা কেন? বাস্তব অভিজ্ঞতা যে বড়ই করুণ। মহাজন কাঁচামাল দিয়ে যায়, বৃদ্ধ তাঁতি তাঁর সহধর্মিণীকে পাশে রেখে তাঁত বুনে যান। একটি ১২ হাত শাড়ি (Handloom Sarees) তৈরি করতে লাগে ২ দিন। মজুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। শেয়ার বাজারের মতো রেট ওঠানামা করে। দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে দৈনিক রোজগার ৮০ কি ৯০। এতে কি সংসার চলে? কিন্তু কে দেখবে? কে করবে এর সমাধান? শিল্পীদের একটাই দাবি, মজুরি বৃদ্ধি। কিন্তু সে তো অরণ্যে রোদন। এক সময় যে এলাকায় ৩৫ হাজার তাঁত চলত, রাস্তার দু’দিকের বাড়ি থেকে ভেসে আসা সুমধুর খটাখট আওয়াজে চারদিক গমগম করত, এখন মেরেকেটে ৫০০ তাঁত চলে কিনা সন্দেহ। তবুও ঘষে যাওয়া চশমা মুছে, তাঁরা বুনে চলেছেন, খটাখট খটাখট..।

    কী বললেন প্রবীণ শিল্পী?

    এখানকারই এক প্রবীণ শিল্পী বলছিলেন, শাড়ির বাজার খুবই খারাপ। সুতোর দাম বেড়ে গিয়ে কাপড়ের দাম বেড়েছে। কিন্তু লক ডাউনের আগে মজুরি যা পেয়েছি, এখন তা আরও কমে গেছে।  যে কাপড়টা ২৩০ টাকা মজুরি পেয়েছি, সেটা আজকে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা মজুরি। একটা কাপড় বুনতে ২ দিন করে সময় লাগে। সপ্তাহে ৪ টের বেশি বোনাই যায় না। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। যারা একটু বেশি বোনে, তারাও ৫ টার বেশি পারে না। তাঁর আক্ষেপ, এখন আর নতুন করে কেউ তাঁত বোনে না। সব কারখানায় কাজ করতে চলে যাচ্ছে। তাঁত চালাতে পারছে না বলেই দলে দলে ডানকুনি বা দুর্গাপুর রোডে কাজে চলে যাচ্ছে। তাঁত শিল্প কি উঠে যাবে? ওই প্রবীণের সাফ জবাব, উঠে যাবে মানে? উঠে তো গেছে। 

    অকাল বিশ্বকর্মা

    এখানে তাঁতিদের (Handloom Sarees) এতই কর্মব্যস্ততা ছিল যে কারিগরি দেবতা বিশ্বকর্মা পুজোও তাঁরা পিছিয়ে শীতকালে করতেন। কারণ দুর্গাপুজোর ঠিক এক মাস আগে বিশ্বকর্মা পুজো তাঁরা ঠিকমতো করতে পারতেন না। তাই দুর্গাপুজোর পর বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করতেন। সেই থেকে এই বেগমপুর এলাকায় অকাল বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে, যা এই বাংলায় কোথাও হয় না। সেই হুগলির ম্যাঞ্চেস্টারের সুদিন কি আবার কোনও দিন ফিরে আসবে কোনও সোনার কাঠির ছোঁয়ায়? সময় এর উত্তর দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Fraud: সাইবার প্রতারণার শিকার এবার খোদ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, কীভাবে?

    Fraud: সাইবার প্রতারণার শিকার এবার খোদ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধীদের খপ্পড়ে সাধারণ মানুষের প্রতারিত (Fraud) হওয়ার ঘটনা প্রতিদিনই ঘটে চলেছে। এবার সাইবার অপরাধীদের কবলে খোদ ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার। সিম ক্লোন করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন ওই ম্যানেজার। তমলুক থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা ওই ম্যানেজারের নাম শচীনলক্ষ্মণ রাউত। তমলুকের পাদুমবসান এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তমলুক শাখায় রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদে কর্মরত তিনি। প্রায় ৬ বছর ধরে তমলুকেই থাকেন।

    ঠিক কীভাবে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা ঘটল? (Fraud)

    জানা গিয়েছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে সতর্ক ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তমলুক শাখার রিলেশনশিপ ম্যানেজার। হঠাৎ মোবাইলে তাঁর ফোন আসে। অপরপ্রান্ত থেকে শচীনলক্ষ্মণকে বলা হয়, খুব তাড়াতাড়ি তাঁর ক্রেডিট কার্ডের লিমিট শেষ হতে চলেছে। এমনকী, ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক চার্জও বলবৎ করা হচ্ছে বলে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি। যদিও তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শচীন ফোনটি কেটে দেন। তবে, ফোন কাটতেই পরপর দু’টি ওটিপি আসে শচীনের নম্বরে। অভিযোগ, মুহূর্তে শচীনের ক্রেডিট কার্ড থেকে মোট দু’দফায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। প্রতারিত (Fraud) হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

    কী বললেন প্রতারিত হওয়া ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার?

    রিলেশনশিপ ম্যানেজার শচীন বলেন, এটা অবাক করার বিষয়। আমি শুধু ফোনটা ধরেছি। প্রতারকদের কোনওরকম তথ্য শেয়ার না করলেও অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গেই ওই আমার মোবাইলের সিম ক্লোন করে এই প্রতারণা (Fraud) করা হয়েছে। এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে তমলুকে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে কোনও তথ্য উঠে আসে, সেদিকেই নজর রয়েছে।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫ ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব

    ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোণা ১ ব্লকের আগর গ্রামে একটি চাষি পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। প্রতারিতদের (Fraud) বক্তব্য, ৬ মাস আগে জমি রেজিস্ট্রি করেছিলাম। কাউকে কোনও তথ্য দিইনি। আচমকা মোবাইলে মেসেজ আসে। সেটি খুলে দেখি অ্যাকাউন্ট টাকা উধাও কেন এরকম ঘটল তা বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘হাথরসের মতো স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল!’’ কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘‘হাথরসের মতো স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল!’’ কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার চাষের খেত থেকে যুবতীর পোড়া ও গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের গুণরাজপুর গ্রামে। যুবতীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধী দলনেতা(Suvendu Adhikari) এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গলার নলি কাটা, বাঁধা রয়েছে হাত-পা। ওড়না দিয়ে বাঁধা হয়েছে মুখ। তখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর গ্রামে কাঁকরোল খেতের মধ্যে এভাবেই পড়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ। ঘটনাস্থল থেকে মেরেকেটে ৪০০ মিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। মঙ্গলবার সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামের ঘটনা ঘিরেই হুলস্থুল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তরুণীর দেহের পাশেই পড়েছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরের ঠিকানা লেখা চশমার খাপ, উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোনের ব্যাক কভার ও তাহলে কি সীমান্তের ওপার থেকে এসেছিলেন এই তরুণী? তবে, প্রশ্নগুলি রয়েই গিয়েছে, তরুণী কি রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসেছিলেন? নাকি, এপার থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলাদেশে? তবে কি দালালদের খপ্পরে পড়েছিলেন তরুণী? সূত্র সন্ধানে বিএসএফ-এর সাহায্য নিচ্ছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। বিষয়টি জানার পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সরব হয়েছেন।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চাষের জমিতে মিলল গলার নলি কাটা, হাত-পা বাঁধা, অর্ধদগ্ধ দেহ। হাথরসে গেলে স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল? খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘সরকার নেই। সবচেয়ে অপদার্থ পুলিশমন্ত্রী। আজকেও এরা হাথরসে টিম পাঠায়। স্বরূপনগরে টিম পাঠান। কীভাবে একটা মহিলাকে হাত-পা বেঁধে পোড়ানো হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের শিকার হন দলিত পরিবারের বছর উনিশের এক তরুণী। পরে, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাথরসকাণ্ডে নির্যাতিতার গ্রামে প্রতিনিধিদল পাঠায় তৃণমূল। স্বরুপনগরের ঘটনা তুলে ধরে তৃণমূলকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: শান্তিপুরে ৪০০ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে দেবী কাত্যায়নীর!

    Durga Puja 2023: শান্তিপুরে ৪০০ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে দেবী কাত্যায়নীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন বনেদি বাড়ি এবং বারোয়ারি মেতে ওঠে আনন্দে। বারোয়ারি বা ক্লাবের পুজোয় থাকে থিমের ছোঁয়া, সঙ্গে বিভিন্ন রকম জৌলুস। তবে বাংলার আপামর বনেদি বাড়ির পুজোগুলি বরাবরই নিষ্ঠা এবং বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেই দেখা হয়। সেরকমই এক বনেদি বাড়ি হল নদিয়ার শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ি, যেখানে আনুমানিক প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো দেবী কাত্যায়নীর পুজো চলে আসছে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে।

    দেবী কাত্যায়নী রূপে পূজিতা কেন?

    এখানে দেবী কাত্যায়নী রূপে পূজিতা হন। দেবীর মূর্তিতেও রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য দুর্গাপ্রতিমা যেরকম আমরা দেখি, বা বনেদি বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা যেরকম সাধারণত হয়ে থাকে, এখানের প্রতিমা কিন্তু সেরকম নয়। এখানে দেবীমূর্তির দুটি হাত বড়, অর্থাৎ এই দুটি হাত দিয়েই সংহারের কথা বোঝানো হয়েছে। কিন্তু বাকি আটটি হাত অনেকটাই ছোট। বড় গোস্বামী বাড়ির সদস্যদের মতে, এই পুজো আনুমানিক ৪০০ বছর ধরে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে চলে আসছে। এই পুজোর ইতিহাস সম্বন্ধে তাঁরা জানান, একদিন তাঁদের ইষ্টদেব রাধারমণ হঠাৎ মন্দির থেকে অন্তর্ধান হয়ে যান।তারপর গৃহকর্ত্রীরা বাড়ির মন্দিরের উঠোনে বসে দেবী কাত্যায়নীর ব্রত পালন করতে থাকেন। এর তিন দিন পর বাড়ির যিনি জ্যেষ্ঠ কর্ত্রী, তাঁকে দেবী স্বপ্নাদেশে জানিয়ে দেন, রাধারমণের মূর্তি কোথায় রয়েছে। তার পরেই পাওয়া যায় তাঁদের ইষ্টদেব রাধারমণের মূর্তি। এর পর থেকেই দেবীর পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয় বড় গোস্বামী বাড়িতে।

    নিয়মনিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য (Durga Puja 2023)

    একেবারেই জৌলুসহীন এই পুজো, যেখানে সাবেকি মাতৃমূর্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই একমাত্র অবলম্বন। দেবীমূর্তির আরেকটি বিশেষ দিক লক্ষ্য করা যায়, এখানে দেবীর সন্তান কার্তিক এবং গণেশ বিপরীত স্থানে অবস্থান করেন। তবে নবপত্রিকা বসানো হয় সঠিক জায়গাতেই। অর্থাৎ কার্তিকের পাশে বসে নবপত্রিকা। কর্মক্ষেত্র কিংবা অন্যান্য কাজে বাড়ির যে সমস্ত সদস্যরা বাইরে থাকেন, তাঁরা পুজোর ওই চার দিন দেবী কাত্যায়নীর পুজোতে মেতে ওঠেন। আরও জানা যায়, নবমীতে দেশবাসী তথা রাজ্যবাসীর জন্য বিশেষ মঙ্গল কামনা করা হয়। পুজোতে এলাকার মানুষকে খাওয়ানো হয় ভোগ। তবে ভোগ রান্নাতেও রয়েছে আকর্ষণ। যে সমস্ত বিবাহিত মহিলা দীক্ষিত, তাঁরাই দেবী কাত্যায়নীর ভোগ রান্নার কাজে নিযুক্ত হন এবং যে মেয়েরা অবিবাহিত, তাঁরা দেবীর পুজোর (Durga Puja 2023) অন্যান্য কাজে নিযুক্ত থাকেন।

    কী বলছে নয়া প্রজন্ম?

    তবে আধুনিক যুগে আধুনিক পুজোর (Durga Puja 2023) সঙ্গে বনেদিয়ানার মেলবন্ধন কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ বা একে কীভাবে দেখছে বড় গোস্বামী বাড়ির এযুগের সন্তানরা? এ প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানান, নিয়মনিষ্ঠা এবং ভক্তি, এসবই এই বাড়ির মূল উদ্দেশ্য। আর তাতেই দেবী কাত্যায়নীর পুজোতে তাঁরা অংশগ্রহণ করেন, মেতে ওঠেন আনন্দে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Murshidabad: ‘৮ ইঞ্চির বদলে রাস্তায় ৪ ইঞ্চির ঢালাই’, পূর্তের কাজ নিয়ে প্রশ্ন খোদ তৃণমূল বিধায়কের

    Murshidabad: ‘৮ ইঞ্চির বদলে রাস্তায় ৪ ইঞ্চির ঢালাই’, পূর্তের কাজ নিয়ে প্রশ্ন খোদ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই মেলা খেলায় কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পুজো কমিটিগুলিকে ঢালাও টাকা দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। আর পুজোর মুখে খানাখন্দে ভরে রয়েছে রাস্তাঘাট। নজর নেই সরকারের। আর যেখানে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, সেখানে গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর এলাকা। হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন খোদ তৃণমূলের বিধায়ক জাকির হোসেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বিধায়ক বাঁধ ভেঙে যাওয়া দেখতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার এর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় শুরু হয়। সেই সময় বিধায়ক বলেছিলেন, কোনওরকম কাজের দুর্নীতি মানব না। প্রয়োজন হলে মানুষ গাছে বেঁধে রাখবে। এবার জঙ্গিপুর হাসপাতালে রাস্তার কাজ নিয়ে পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। আচমকা জঙ্গিপুর হাসপাতালে ওই রাস্তা পরিদর্শনে যান তিনি। কংক্রিট রাস্তা হাত দিলেই ভেঙে যাচ্ছে, চাঙড় উঠে আসছে, বিধায়ককে এলাকার মানুষ তা দেখান। চোখের সামনে এসব দেখে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাস্তার কাজের বেনিয়ম নিয়ম নিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে নালিশ জানান। তাঁরা রাস্তা খুঁড়ে দেখান যেখানে ৪ ইঞ্চি ঢালাই করার কথা থাকলেও রাস্তার পাশে দেখা যাচ্ছে দুই ইঞ্চি ঢালাই।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, পূর্ত দফতর যে রাস্তা তৈরি করেছে তাতে সিডিউলে আছে ৮ ইঞ্চি পুরু রাস্তা তৈরি করার। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে মাঝখানে ৪ ইঞ্চি পুরু রাস্তা তৈরি করেছে। রাস্তার দু’পাশের দুই ইঞ্চি করে রাস্তা হয়েছে। হাসপাতালের সুপারকে ঠিকাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, আমি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে এবং পূর্ত দফতরের মন্ত্রীকে অভিযোগ করব। কোনওমতেই এই রাস্তা আমরা মেনে নেব না।

    কী বললেন পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার?

    পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, রাস্তা ঠিক হয়েছে, আমি এখনও এই অবস্থায় বলছি।  চেয়ারম্যান সাহেব দেখে গিয়েছেন, তিনি বলেছেন ঠিক আছে। বিধায়কের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি তো অভিযোগ করতেই পারেন, তাঁরা আমাদের মাথার উপরে আছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                     

LinkedIn
Share