Tag: Bengali news

Bengali news

  • Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ইস্যুতে ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার নিজেদের বন্দরে একটি চিনা জাহাজকে ঢোকার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা। এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিদেশমন্ত্রী আলি সবরি সোমবারই স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, নিয়ম মেনে বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সঙ্গে আলোচনা করেই ওই চিনা জাহাজকে নোঙর করতে দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার এই অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    চিনা আবেদন খারিজ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, ‘শি ইয়ান-৬’ নামে একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল চিন। কিন্তু সেই আবেদনকে খারিজ করে শ্রীলঙ্কার  প্রশাসন। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রী আলি সবরি বলেন, ‘‘বেশ কিছুটা সময় ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ভারত নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করেছি। ভারত-সহ আমাদের একাধিক বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই এসওপি তৈরির সময় কথা বলা হয়। এই এসওপি মেনে ভেসেল নোঙর করলে আমাদের সমস্যা নেই। না মানলে সমস্যা রয়েছে।’’

    বন্ধু রাষ্ট্রের পাশেই শ্রীলঙ্কা

    আর্থিক সংকটে থাকাকালীন শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) প্রভূত সাহায্য করেছিল ভারত। সেসময় থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ জোরালো হয় দুই দেশের। তাই স্বাভাবিবভাবেই দুর্দিনের বন্ধুকে ভোলেনি শ্রীলঙ্কা। চিনা জাহাজকে নোঙর করতে না দেওয়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’নামের একটি চিনা গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরে নোঙর করেছিল। সেই সময় ভারতে তরফ থেকে কড়া বার্তা সামনে আসে বিদেশমন্ত্রীদের জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের আশপাশে যা ঘটছে, বিশেষত তার সঙ্গে যদি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে তা হলে নিশ্চয়ই সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি? জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি? জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে সামনে এল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ যোগ্য়তা থাকা সত্ত্বেও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বেনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি করা হচ্ছে পড়ুয়াদের। মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে (Calcutta High Court)। অতিসত্ত্বর রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিষ ভট্টাচার্যকে আদালতে তলবও করেছেন। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান ভর্তি সংক্রান্ত এই মামলায় অনিয়ম প্রমাণিত হলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ইতিশা সোরেন নামে এক নিট পরীক্ষার্থী। 

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল মামলাকারীর

    চলতি বছরের ৭ মে নিট পরীক্ষা হয় মেডিক্যালের। গত ১৩ জুলাই এ সংক্রান্ত ফল প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা যায় পরীক্ষার্থী ইতিশা সোরেন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২৮,৩১৯ নম্বরে। ইতিশা সোরেন একজন তপশিলি সমাজের পড়ুয়া। ইতিশা জানিয়েছেন, এরপরে দুবার তাঁকে কাউন্সেলিং-এ ডাকা হলেও কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta High Court) পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি তাঁকে বলা হয়েছে সংরক্ষিত সমস্ত আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে জানিয়েছেন, তপশিলি জনজাতি সমাজের নন এমন অনেককে সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ

    তবে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, আরজিকর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ সহ বেশিরভাগ কলেজগুলিতে সংরক্ষণের নিয়ম না মেনে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ বিষয়ে সোমবারই ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন এর অধ্যাপক দেবাশিষ ভট্টাচার্যকে হাইকোর্টে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন আগামী দিনে যদি অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ হয় তাহলে যাঁরা বেনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন। সেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি তো বাতিল করা হবে এর পাশাপাশি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ২৭/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ২৭/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসার কারণে দূরের যাত্রা করতে পারেন, এর দ্বারা লাভ হবে।

    ২) চাকরিজীবীরা ছোটখাটো পার্টটাইম কাজ খুঁজে থাকলে তাতে সফল হবেন।

    বৃষ

    ১) পরিবারের সুখ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারে এমন জিনিসে অর্থ ব্যয় করতে হবে।

    ২) পরিবারের বরিষ্ঠ সদস্যের সাহায্যে সমস্যার সমাধান হবে।

    মিথুন

    ১) চাকরির জন্য আবেদন করে থাকলে সাফল্য লাভ করবেন।

    ২) টাকা-পয়সার বিষয়ে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। অতিরিক্ত ব্যয় করবেন না।

    কর্কট

    ১) সরকারি চাকরিজীবীদের বদলি হতে পারে। তবে এর দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা সরকারি কাজ পুরো করতে পারবেন। 

    সিংহ 

    ১) জীবনসঙ্গীর শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করবেন না।

    ২) চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতি কামনা করে থাকলে আলস্য ত্যাগ করুন।

    কন্যা

    ১) আবহাওয়ার কারণে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হতে পারে।

    ২) মায়ের সঙ্গে তর্ক হলে নিজের বাণী মাধুর্য বজায় রাখুন।

    তুলা 

    ১) শ্বশুরবাড়ির তরফে সম্মান লাভ করবেন।

    ২) জীবনসঙ্গীকে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) চাকরিজীবীরা বরিষ্ঠ আধিকারিকদের ক্ষোভের শিকার হবেন।

    ২) ব্যবসায়ীরা কোনও প্রকল্প শুরু করলে লাভান্বিত হবেন। 

    ধনু

    ১) সন্তানের প্রয়োজনীয়তা পূরণে অর্থ ব্যয় করবেন।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মকর

    ১)  সন্ধ্যা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাবেন।
     
    ২) শ্বশুরবাড়ির তরফে আর্থিক লাভ হবে।

    কুম্ভ

    ১) আধিকারিকদের সাহায্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান হবে।

    ২) সরকারি কাজ বাতিল করবেন না। 

    মীন

    ১) শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে সেই টাকা ফিরে পেতে পারেন।

    ২) বাবার স্বাস্থ্যের কারণে চিন্তিত হতে পারেন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুরে প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুরে প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করতে মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর ও হরিরামপুর ব্লকের ৬ নম্বর বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উখলি এলাকা পরিদর্শন করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্লাবিত এলাকায় জলের মধ্যে হেঁটে হেঁটে এলাকার দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্গতদের সাহায্যেরও আশ্বাস দেন তিনি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    টানা বৃষ্টির জেরে জল ঢুকে যাওয়ায় হরিরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ ছিল। হাসপাতালের রোগীদের স্থানীয় একটি হাইস্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়। বিষয়টি জানার পর সেখানে যান বিজেপি সাংসদ (Sukanta Majumdar)। গত চারদিনের অঝোরে বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর কুশমন্ডি ও গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের ১৯৫ মিলিমিটার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়। জল ঢুকে যায় হরিরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে। তড়িঘড়ি রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয় স্থানীয় একটি হাইস্কুলের বিল্ডিংয়ে। এখন অবশ্য জল নেমে গেছে। মঙ্গলবার হরিরামপুরের সেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে দেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট সাড়ে চার হাজার লোক ফ্লাড সেন্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিষয়ে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমরা গত দুইদিন ধরে জলের মধ্যে থাকছি। আবার কিছু পরিবার অন্য কোথাও গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসন থেকে কোনও সুযোগ সুবিধা আমরা পাইনি। জলের স্রোতে আমাদের ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি সাংসদকে কাছে পেয়ে দুর্গতরা সাহায্য চান।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ভগবানের অশেষ কৃপা সোমবার থেকে আর বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে  জেলাতে যে বন্যার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করত। প্রত্যেক বছর ভারী বৃষ্টি হলে বন্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে ভাগে বন্যা মোকাবিলার কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। সেই কারণে জেলার হরিরামপুর, বুনিয়াদপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে বন্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় এই সব ব্লকের বাসিন্দাদের। আমি খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলাম। আমার যতটুকু সাধ্য আমি দুর্গতদের সাহায্যে করলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা থানা এলাকার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, দাশনগর থানার আলামোহন দাস রোডে কৌশিক মাজি এবং জগাছার পার্থ সেনের বাড়ি-ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই দুই ব্যক্তির বাড়ির পাশাপাশি অফিস, গোডাউনে একইসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। যদিও তল্লাশির বিষয় নিয়ে আধিকারিকরা প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির হদিশ পেতে নতুন করে তৎপর হয়েছে সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা এলাকায় সিবিআই আচমকা হানা দেয়। মূলত, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামের একটি সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেন। পর্ষদের কাছ থেকে কীভাবে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরা পেয়েছিলেন এই বিষয়ে কৌশিক মাজিকে আগেই জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। জেরায় বিস্তর অসঙ্গতি থাকার কারণেই এই তল্লাশি বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কীভাবে তাঁদের যোগাযোগ, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, দুই কর্তার বাড়ি থেকে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই পর পর টানা তিন দিন নিয়োগ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।  যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, নিয়োগ মামলার দুর্নীতির নেপথ্যে উঠে এসেছে একাধিক নাম ও তথ্য। সেগুলি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেকারণেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। গত এক সপ্তাহ আগে নিয়োগ মামলার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেয় সিবিআই (CBI)। যা দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। এমনকী অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারীদের আঁতাত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। বিচারপতির উষ্মা প্রকাশের পরই সিবিআই হানা নিয়েও জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Home Loans: ঋণ নিয়ে বাড়ি করবেন আপনি, সুদে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র! আসছে মোদির বিরাট প্রকল্প

    Home Loans: ঋণ নিয়ে বাড়ি করবেন আপনি, সুদে ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র! আসছে মোদির বিরাট প্রকল্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপনি কি স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে চান? ভাবছেন সহজ ঋণের (Home Loans) কথা? মোদি সরকার (Modi Government) নিয়ে আসছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প। গত ১৫ অগাস্ট দিল্লির লালাকেল্লা থেকে শহরাঞ্চলে সাধারণ মানুষের বাড়ি তৈরি করার জন্য বিশেষ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত সোমবার, সরকারের আবাসন মন্ত্রক এবার বাড়ি তৈরিতে ঋণে ভর্তুকি দেবে বলে জানিয়েছে। শহর অঞ্চলের বাড়ি নির্মাণ করতে চান যাঁরা, তাঁদের জন্য অত্যন্ত সুখবর বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহলের একাংশ। লোকসভার ভোটের আগে এই প্রকল্প মোদি সরকারের বড় চমক হতে পারে বলেও অভিমত তাঁদের।

    প্রকল্পে ঠিক কী বলা হয়েছে (Home Loans)?

    সরকারি সূত্রের জানা গিয়েছে, আগামী পাঁচ বছরের জন্য চড়া সুদের ঋণের (Home Loans) বোঝা কমাতে ভর্তুকি বাবদ আগামী ৫ বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government)। এই প্রকল্পের ঋণের সুদে ৩ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ২০ বছরের জন্য গ্রাহকরা যদি ৫০ লাখ টাকার কম ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁরাই এই ভর্তুকি পাবেন। শহর অঞ্চলের ২৫ লাখের বেশি মানুষ এই প্রকল্পের সবিধা পেতে পারেন বলা হয়েছে প্রকল্পে।

    কারা সুবিধা পাবেন?

    শহর অঞ্চলে যাঁরা ভাড়া বাড়িতে থাকেন এমন ব্যক্তিরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কলোনি বাড়ি, বেআইনি ভাড়া বাড়ি, ঝুপড়িতে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদের কাছে নিজের বাড়ি তৈরির বড় সুযোগ রয়েছে এই প্রকল্পে। কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী অবশ্য বলেন, “এই প্রকল্পের বিষয়ে (Home Loans) বিস্তৃত ভাবে আলোচনা করা হচ্ছে। এর সবগুলি দিক খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদন মিললেই সেপ্টেম্বর মাসেই এই প্রকল্প চালু হতে পারে।”

    ভোটের আগে জনমুখী প্রকল্প

    আগামী বছর লোকসভা ভোট। মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা এবং প্রয়োজনের কথাকে মাথায় রেখে, সরকারি সুবিধাগুলিকে কীভাবে মানুষ পাবেন, সেই জন্য় জনমুখী প্রকল্পের (Home Loans) সূচনা করেছে কেন্দ্র। মোদি সরকার রান্নার গ্যাসের দাম ২০০ কমিয়ে, সাধারণ মানুষকে অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে বলে মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। নরেন্দ্র মোদি বিশ্বকর্মা প্রকল্পে প্রথগত শিল্পী-কারিগরদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেন এর মাধ্যমে সুবিধা পৌঁছে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে। এবার শহর অঞ্চলে বাড়ি তৈরিতে ঋণে বিশেষ ভর্তুকি দিয়ে, মানুষের প্রয়োজনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে তৎপর মোদি সরকার (Modi Government)।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: দলীয় পতাকা লাগিয়ে জমি দখল, প্রতিবাদ করে খুন তৃণমূল কর্মী, অভিযুক্ত শাসক দল

    Basirhat: দলীয় পতাকা লাগিয়ে জমি দখল, প্রতিবাদ করে খুন তৃণমূল কর্মী, অভিযুক্ত শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে জমি দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদ। তার জেরেই তৃণমূল কর্মীর ওপর হামলা করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে, ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বসিরহাটের (Basirhat) ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশপুর চরপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সিরাজুল মোল্লা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Basirhat)

    সিরাজুলসাহেবের বাড়ি বসিরহাটের (Basirhat) ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিশপুর চরপাড়া এলাকায়। তিনি আবাস যোজনার ঘর পেয়েছিলেন। জমিতে আবাস যোজনার ঘর করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। জমিতে বাড়ি করার জন্য ভিত খোঁড়া হয়। এর মধ্যেই সিরাজুল সাহেবের ব্যক্তিগত জমিতে পার্টি অফিস করার জন্য দলীয় পতাকা লাগিয়ে জমি দখলের চেষ্টার করে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। অভিযোগ, চলতি মাসের ১৯ তারিখ সিরাজুল সাহেবের ওই জমি দখল করে তাতে পতাকা লাগাতে যায় তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। সেই নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। পতাকা লাগাতে বাধা দেন ওই তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে সিরাজুলকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হয়। পরে, সেখান থেকে ওই তৃণমূল কর্মীকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে, এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়নি। যদিও, এই ঘটনায় এখনও তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ মুখ খুলতে চাইনি।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মৃত তৃণমূল কর্মীর মা নুরুন্নাহার খাতুন ঢালি বলেন, আমাদের নিজের  জমিতে জোর করে তৃণমূলের একটা গোষ্ঠী দখল করে পতাকা লাগিয়ে দেয়। ওই জমিতে পার্টি অফিস করার চেষ্টা করছিল তারা। আমার ছেলেও তৃণমূল করে। কিন্তু, জোর করে পার্টি অফিস করার প্রতিবাদ করলে ওকে বেধড়ক মারধর করা হয়। মৃতের স্ত্রী শাহনাজ বিবি জানান, সরকারি ঘর পেয়েছি। কিন্তু, সেই ঘরে আমাদের আর থাকা হল না। আমার একটি সন্তান রয়েছে, তাঁকে নিয়ে আমি এবার কোথায় যাব? গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বসিরহাট (Basirhat) থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: রাস্তায় টাকা তুলছে পুলিশ, দিচ্ছে জাল চালান, ছবি দেখে হতবাক বিচারপতি, তদন্তের নির্দেশ

    Uttar Dinajpur: রাস্তায় টাকা তুলছে পুলিশ, দিচ্ছে জাল চালান, ছবি দেখে হতবাক বিচারপতি, তদন্তের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশের টাকা তোলার অভিযোগ নতুন নয়। বাম আমলেও এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলের জমানাতে তা অনেকটাই বেড়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। গত বছর খড়দায় তোলাবাজির অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মী সাসপেন্ড হয়েছিলেন। তবে, কোনও পুলিশ কর্মীর তোলাবাজির ছবি বিচা্রপতি নিজের এজলাসে বসে দেখছেন, এই দৃশ্য খুব কম দেখা যায়। জানা গিয়েছে, পাথর বোঝাই ট্রাক চালকদের থেকে টাকা তুলছে পুলিশ। আর পুলিশের সেই টাকা তোলার ছবিই রেকর্ড করা হয় মোবাইলে। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলা শহরে। সোমবার এজলাসে সেই রেকর্ডিং দেখেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিশের তোলাবাজি দেখে বিচারপতিও হতবাক হয়ে যান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Uttar Dinajpur)

    উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ডালখোলায় পাথর বোঝাই ট্রাক থেকে তোলা তোলার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। দু’টি ট্রাক বেআইনিভাবে এই টাকা দিতে না চাওয়ায়, তাদের আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আবার কিছু ট্রাকচালক বাধ্য হয়ে টাকা দেন। কিন্তু, তাঁদের যে চালান দেওয়া হয়েছে তাও জাল বলে অভিযোগ। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশের সমস্ত তোলাবাজির বিষয়টি মোবাইলে রেকর্ড করা হয়। হাইকোর্টে শুনানির সময় বিচারপতির সামনে তা পেশ ধরা হয়।

    বিচারপতি কী নির্দেশ দিলেন?

    ছবি দেখে বিচারপতি বলেন, ‘এটা কী হচ্ছে? একটা থানায় এত টাকা, তিনটে থানা এত টাকা…এটা কি ভেটিং প্লেস? পুলিশ ঠিক করে দিচ্ছে! আশ্চর্য…।’ মামলাকারীর তরফে বলা হয়, ‘একটা থানা সাড়ে ৪ হাজার টাকা চাইছে।’ সেই কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘সরকার ওই অফিসারের নাম দেবে। আমি দিচ্ছি না। রেকর্ডিং থেকে সব দেখা গিয়েছে, শোনাও গিয়েছে।’ বিচারপতি নির্দেশ দেন, ‘পুলিশ রেট ঠিক করে দিচ্ছে কত টাকা দিতে হবে! ভিডিও ফুটেজ দেখে এটা স্পষ্ট, এটা অতি গুরুতর অভিযোগ। এর ফরেন্সিক পরীক্ষা করতে হবে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে এই মামলা সিআইডি-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হল। নতুন এফআইআর করে তদন্ত করতে হবে সিআইডি-কে।’ এছাড়া জাল চালান দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই চালানও পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠান হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ নভেম্বর। সেই শুনানিতেই রেকর্ডিং সম্পর্কে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: জিমন্যাস্টিক্সের ফাইনালে পৌঁছলেন পিংলার প্রণতি নায়েক, উচ্ছ্বসিত বাবা-মা

    Paschim Medinipur: জিমন্যাস্টিক্সের ফাইনালে পৌঁছলেন পিংলার প্রণতি নায়েক, উচ্ছ্বসিত বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়ে প্রথম দিনেই একটি রাউন্ডে জয়ী হয়ে ফাইনালে উঠলেন পিংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক। ফাইনাল খেলায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করলেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) পিংলা ব্লকের করকাই চককৃষ্ণদাস গ্রামের মেয়ে হলেন প্রণতি নায়েক। গত ২০২১ সালের ২৫ জুলাই মাসে টোকিওতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল তিনি। এবার খেলছেন এশিয়ান গেমসে। পরিবার এবং এলাকাবাসীরা তাঁর ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে অত্যন্ত আশাবাদী।

    আগামী বৃহস্পতিবার ফাইনাল খেলবেন (Paschim Medinipur)

    চিনে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) প্রণতি। সোমবার সকালে একটি রাউন্ডে ওমেন্স আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্স ভল্টে জেতার পরেই ৯ টা নাগাদ ফোন করেন পিংলার বাড়িতে। বাবা শ্রীমন্ত নায়েক এবং মা প্রতিমা নায়েকের সাথে কথা বলেন। আগামী বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতার ম্যাচ।

    পরিবারের বক্তব্য

    বাবা পেশায় বাসের চালক ছিলেন। কিন্তু কয়েক বছর হল সেই কাজ তিনি আর করেন না। এদিকে মা গৃহবধূ (Paschim Medinipur)। প্রণতিরা তিন বোন। মেয়ের সাফল্যে বাবা শ্রীমন্তবাবু বলেন, “মেয়ে এদিনের প্রতিযোগিতায় জেতার পর ফোন করেছিল। আমাদের দুজনের সাথেই কথা হয়েছে। মেয়েকে সাবধানে থাকতে বলেছি আর মনোযোগ দিতে বলেছি চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার দিকে। প্রণতি জানিয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় স্থানের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবে। আমরা আশীর্বাদ যেমন করেছি, তেমন অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। এই খেলার ফাইনাল প্রতিযোগিতা নিয়ে আমরা খুব আশাবাদী । একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ওখানে দেশের মুখ উজ্জ্বল করুক প্রণতি, এটাই আমরা চাই।”

    মায়ের বক্তব্য

    ফাইনাল খেলার উচ্ছ্বাসে আশাবাদী মা প্রতিমা নায়েক (Paschim Medinipur) বলেন, “ছোটবেলা থেকেই প্রণতির, খেলার সঙ্গে মন ছিল পড়াশোনাতেও। মামী, প্রণতিকে হাত ধরে ভর্তি করে দিয়েছিল জিমন্যাস্টিক্সে। আমি গর্বিত যে মেয়ে এত দূর পৌঁছতে পেরেছে।”

    মেয়ের সাফল্যে গর্বিত মা আরও বলেন, “অভাবের সংসারে ঠিক মতো খাবার দিতে পারিনি। তার পরেও মেয়ে এত দূর যেতে পেরেছে, আমি তাতেই গর্বিত। দেশের নাম উজ্জ্বল করুক প্রণতি।” মেয়ের হার না মানা জেদে ভরসা আছে বাবা-মায়ের। ভালো কিছু করে দেখাবেন প্রণতি, এমনটাই আশা তাঁদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: সাড়ে চারশো বছরের বনেদি বাড়ির পুজো, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থের অভাবে!

    Durga Puja 2023: সাড়ে চারশো বছরের বনেদি বাড়ির পুজো, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থের অভাবে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭৫৫ সালে জনৈক গঙ্গোপাধ্যায় বাংলাদেশের বরিশালের ২০০ বছরের প্রাচীন বুড়ো মা নামে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) তরফদার বাড়িতে সূচনা করেন। এ দেশ ও দেশ মিলিয়ে প্রায় সাড়ে চারশো বছরের পুরনো এই দুর্গাপুজো। তরফদার বাড়ির সদস্যরা জীবন-জীবিকা এবং পেশার টানে রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করেন। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁরা মাঝে মধ্যে এক-আধবার আসলেও শেষ কুড়ি বছর তাঁদেরও আর দেখা যায়নি। স্থানীয় বসবাসকারী এক শরিক প্রদীপ তরফদারদের পক্ষে ব্যয়বহুল দুর্গাপুজো চালানো অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। তার উপর পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যু হওয়ায় বন্ধ ছিল এক বছর।

    কীভাবে এল ক্লাব?

    তবে পাড়ার লিডার্স ক্লাবের সদস্যরা ঠাকুরদালান এবং সংলগ্ন ছোট্ট একটু জায়গা, অর্থের বিনিময়ে শরিকদের কাছ থেকে কিনে নেন। ফের মহা সাড়ম্বরে পুজো শুরু করেন তাঁরা। এ বিষয়ে বর্তমান এক শরিক জানাচ্ছেন, পরিবারের এক সদস্যের মৃত্যুতে ক্লাব এই পুজোর (Durga Puja 2023) দায়িত্ব নেয়। তারপর থেকে তা আর ফেরেনি পরিবারের হাতে। যদিও এতে তাঁদের প্রবল আপত্তি আছে, এমন নয়। বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি জানান, বর্তমানে ক্লাব পরিচালিত পুজোয় তাঁরাও অংশগ্রহণ করেন প্রতি বছরই। যদিও বিগত দু’বছর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আর পাঁচটা পুজোর মতোই, আড়ম্বরবিহীন ভাবে পুজো করেছিল ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এ বছর তাদের বাড়তি পাওনা, সরকারি অনুদান। সম্প্রতি শান্তিপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ সরকারি সহযোগিতার অনুমতিপত্র দিয়ে গেছেন তাঁদের হাতে। তাই ক্লাবের মহিলা সদস্যরা ঠিক করেছেন, চার দিন ধরে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে বহিরাগত কোনও শিল্পী নয়, পাড়া এবং শান্তিপুরের বিভিন্ন কলাকুশলীরা অংশগ্রহণ করবে তাতে।

    রীতি মেনে ভোগ (Durga Puja 2023)

    পুরনো রীতি অনুযায়ী, অষ্টমীতে মহাভোগ বিতরণ করা হবে সকলের জন্য। থোরের তরকারি, চালতার টক এবং চাল-কুমড়োর ভোগ হবে নবমী ও দশমীতে। তবে ডাকের সাজ বর্জিত, সম্পূর্ণ সাবেকিআনায় একচালার দুর্গা প্রতিমা নির্মাণ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় উদ্যোক্তাদের। কারণ মাটির সাজে সময় এবং ধৈর্য লাগে অনেক। তাই মৃৎশিল্পীর অভাব হয়ে পড়ছে ইদানিং। তাই আরও বেশি সময় নিয়ে রীতি অনুযায়ী জন্মাষ্টমীতে পাট পুজোর বদলে, পয়লা বৈশাখে পাট পুজোর (Durga Puja 2023) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল প্রতিমা নির্মাণের উদ্দেশ্যে। যদিও রংয়ের কাজ বাদে সমস্তটাই মোটামুটি ভাবে প্রস্তুত হয়ে গেছে। একই সাথে প্রস্তুত রয়েছে কালী প্রতিমাও। কালীপুজোর আগে তা রং হবে।

    সিঁদুর খেলার বিশেষ রীতি 

    এই পুজোর আরও এক বিশেষ রীতি, ষষ্ঠীর দিন পুজো (Durga Puja 2023) শুরুর আগে এবং দ্বাদশীতে বিসর্জনের আগে বরণ পরিবারেরই কোনও সধবা মহিলা করে থাকেন প্রথমে। তারপর পাড়া-প্রতিবেশী বহিরাগত সকলেই। এখানে সিঁদুর খেলতে আসেন শান্তিপুরের বিভিন্ন পাড়ার মহিলারা । 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share