Tag: Bengali news

Bengali news

  • Dakshin Dinajpur: প্রবল বর্ষণে টাঙ্গন-পুনর্ভবা-আত্রেয়ী নদীতে ব্যাপক প্লাবন, ঘরছাড়া বহু মানুষ

    Dakshin Dinajpur: প্রবল বর্ষণে টাঙ্গন-পুনর্ভবা-আত্রেয়ী নদীতে ব্যাপক প্লাবন, ঘরছাড়া বহু মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) টাঙ্গন এবং পুনর্ভবা নদীর জল বিপদ সীমার উপরে বইছে। জেলা সেচ দফতর সূত্রে এই খবর জানা গেছে। টাঙ্গন নদীর জলে কুশমন্ডি এলাকার বেশ কিছু গ্রামের কয়েকশো মানুষ ঘর ছাড়া। জলে ভেঙে গেছে রাস্তা, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ পরিষেবা। জলমগ্ন এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অতি বর্ষণে সাধারণ জীবন বিপর্যস্ত। 

    প্লাবিত গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur)

    চারদিনের প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গারামপুর ব্লকের শুকদেবপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল কয়েকটি গ্রাম। ভেঙে গিয়েছে যাতায়াতের রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাস্থলে ব্লক প্রশাসন ও গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা জেলাজুড়ে ৬৬ টি শিবির খোলা হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুরে বাঁধে ফাটল দেখা যায়। সোমবার সকালে সেই বাঁধ ভেঙে যায় ৷ এর পরই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এলাকায় জলে ডুবে গেছে ধানক্ষেত এবং সবজি চাষের জমি৷

    বন্ধ হাসপাতালের পরিষেবা

    অধিক বর্ষণের ফলে হরিরামপুর (Dakshin Dinajpur) গ্রামীণ হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ। কিছু রোগীকে ছুটি দিয়ে বাকিদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের বহু ওষুধ জলে ভেসে গেছে। হরিরামপুর হাইস্কুলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুধুমাত্র জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করেছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর।

    আত্রেয়ী নদীর জলে প্লাবিত এলাকা

    এদিকে বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) আত্রেয়ী নদীর জলে বিভিন্ন নিচু এলাকায় ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। শহরের আত্রেয়ী কলোনি এলাকায় এদিন সকাল থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। বাড়িঘর জলমগ্ন হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন। পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    জলমগ্ন এলাকার স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) এক ব্যক্তি বলেন, “গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমাদের সাবডিভিশনে কয়েকটি ব্লক জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে, এবং গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যায়। আমরা খুবই কষ্টে রয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদেরকে আশ্রয় দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এই বিষয়ে জেলাশাসক (Dakshin Dinajpur) বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গঙ্গারামপুর মহকুমাতে সবচেয়ে বেশি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। জেলাতে মোট ৬৬ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, তাতে সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজিৎ বাগীশের কথা মনে আছে। ‘কোটিপতি কনস্টেবল’। রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন তিনি। রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। এই কনস্টেবলকে নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আরও এক গুণধর কনস্টেবলের হদিশ মিলেছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই কনস্টেবলের নাম সামনে আনতে চাইছে না। ওই কনস্টেবলের দুর্নীতির কাণ্ডকারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ জেলা পুলিশ কর্তাদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Alipurduar)

    রামপুরহাটের কনস্টেবলের কোটিপতি হওয়ার রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরমধ্যেই নতুন করে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) কনস্টেবলের কীর্তি সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ওই পুলিশ কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখিয়ে সেই টাকা নিজের এবং আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ। ৪-৫ বছর ধরে ওই কনস্টেবল রীতিমতো ছক কষে এই টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে। আরও থাকতে পারে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। এভাবে একজন পুলিশ কর্মী সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেন, তা পুলিশ কর্তারা ভেবেই পাচ্ছেন না।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি বলেন, গত কয়েকদিন আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মজুরি প্রদানের অসঙ্গতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছি। তাতে দেখা গিয়েছে কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে না এলেও তাদের যে প্রাপ্য ভাতা অন্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়াদের জাল বিলগুলিতে উপস্থিত দেখিয়ে সরকারি অর্থ তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে জমা করেছিলেন। পেমেন্ট সফটওয়্যারে অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরিবর্তন করে তিনি এই প্রতারণা করেছেন। আইন মেনে যা যা করার করা হচ্ছে। কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা হলেই ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনের সফরসঙ্গীদের জন্য কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন? জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বাংলাকে পথ দেখাবে। নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব। সিপিএমকে একটা সময় পর্যন্ত সরানো অসম্ভব মনে হলেও কার্যত নন্দীগ্রামই পথ দেখিয়েছে। এভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের আগে বার্তা দিলেন। রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কর্মীদের অনুপ্রেরণা জোগালেন বলে মনে করছেন রাজনীতির এক অংশের মানুষ।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “৩৪ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটেছিল নন্দীগ্রাম থেকে। ভবিষ্যতে তৃণমূলের অবসান ঘটবে এই গ্রাম বাংলা থেকেই। নন্দীগ্রামের মানুষ হয়তো মমতাকে ভোট দিলে কয়েকটা চাকরি পেতেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ বাংলার সঙ্গে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে মমতাকে হারিয়েছেন। বাংলার মানুষ নন্দীগ্রামকে স্মরণ করলেই পরিত্রাণ পাবেন।”

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে বিরোধী দলনেতার কী ভূমিকা, তা আগে মানুষ জানতেন না। আগে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার নাম নিতেন না। এখন বাধ্য হয়ে নিতে হয়। ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল যেমন গাছে ওঠে না, ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও তাই করছেন। এই কাঁথি, তমলুক অঞ্চলের পঞ্চায়েতে যে সব কর্মীরা বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি প্রশিক্ষণ দেবো। ”

    শিল্প প্রসঙ্গে কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে। কেন্দ্রে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রাজ্যে কী কী  শিল্প এসেছে তার হিসাব জানাতে চান। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “রাজ্যে কোন কোন কারখানা বন্ধ হয়েছে, তার তালিকা দিয়ে দিতে পারব”। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ কত? রাজ্যে নেই মহার্ঘ্য ভাতা! চলছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। সফরসঙ্গীদের জন্য মমতা কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন, তাও জানতে চান শুভেন্দু।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতেও একের পর এক জেলায় ‘রেড জোন’, বারাসতে এক যুবকের মৃত্যু

    Dengue: ডেঙ্গিতেও একের পর এক জেলায় ‘রেড জোন’, বারাসতে এক যুবকের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় দাপট বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর হুগলিতে চিহ্নিত হয়েছে ‘রেড জ়োন’। এর মধ্যে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র বলছে, সেই কারণে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। ডেঙ্গির হাত প্রসারিত হয়েছে উত্তরেও। মালদহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। পুজোর আগে এই ডেঙ্গি রাজ্যে ভয় ধরাচ্ছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এরমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত আরও এক জনের মৃত্যু হল। বারাসত জেলা হাসপাতালে রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি পজেটিভ আরও এক যুবকের। মৃতের নাম সরিফুল ইসলাম( ২৪)। বেশ কিছু দিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন দেগঙ্গার চাঁপাতলার কুমরুলি গ্রামের সরিফুল। প্রথমে বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু শেষ কয়েকদিনে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন একেবারেই শেষ মুহূর্তে। চিকিৎসা হয় বটে, তবে চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দেননি সরিফুল।  রবিবার সন্ধ্যায় বারাসত জেলা হাসপাতালে সরিফুলের মৃত্যু হয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)

    কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে জেলায় সরকারি হিসাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। তবে, নতুন করে আক্রান্তের গ্রাফ নিম্নমুখী। জেলার অন্যতম ডেঙ্গি ‘হটস্পট’ লালগোলা, ভগবানগোলা এবং সূতি ব্লক। সরকারি হিসাব বলছে. নদিয়ায় চলতি বছরে দু’হাজারেরও বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। ডেঙ্গির ‘হটস্পট রানাঘাট এবং হরিণঘাটা ব্লকে ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্বেগ বাড়ছে হুগলিতেও। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছাড়িয়েছে। বলাগড়, পাণ্ডুয়া, চণ্ডীতলাকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়াকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুর মহকুমায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬৫৩। ক্যানিং মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১২১ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা, বাদুড়িয়া, দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর, হাবড়ায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দক্ষিণ দমদমে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এই জেলায় প্রায় সাত হাজার। বাঁকুড়া জেলাতেও ঝোড়ো ব্যাটিং করছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ৩৬৩ জন। জানুয়ারি থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়া পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭১১ জন।

    উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গির কী অবস্থা?

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ জুড়়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। ডেঙ্গি জ্বরে কাবু মালদা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলার কালিয়াচকের ১ এবং ৩ নম্বর ব্লক, রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে ডেঙ্গির প্রকোপ সব থেকে বেশি। পাশাপাশি, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা পুরসভার বিভিন্ন এলাকাতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ওই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১,০৩২ জন। গত এক মাসে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮৭ জন। রাজ্য সরকারের দিকে এই নিয়ে আঙুল তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি। ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ পুরসভা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান গোপন করছে তারা। দার্জিলিং জেলায় এখনও পর্যন্ত ২০০ জন আক্রান্ত রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার এই সময় ৭০০ জন আক্রান্ত ছিলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, গতবারের তুলনায় কম হলেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে জ্বর নিয়ে ভর্তি থাকা ৪০ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট আসেনি। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম থেকেই ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে নানা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রত্যেক বছরই পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ওই ধরনের কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং ঢক্কানিনাদ করে নানা কর্মসূচির যে আহ্বান কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর করেছিল, তা একেবারেই বাস্তবের মুখ দেখেনি, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতর। আর রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিই এই অভিযোগের বাস্তব রূপ!

    কী অভিযোগ উঠেছে (Dengue)? 

    কলকাতা ও আশপাশের জেলা যেমন হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যার জেরে বহু এলাকা ভাঙা হচ্ছে, ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। নির্মীয়মাণ এলাকায় জল জমছে। রেলের তরফে বিভিন্ন জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানেও জল জমার আশঙ্কা থাকছে। পাশপাশি মশার লার্ভাও দেখা যাচ্ছে। রেল মন্ত্রকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে পরিষ্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এমনকী স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তারপরেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিংবা অন্য কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। 
    রেল মন্ত্রকের পাশপাশি এমন অভিযোগ করছে রাজ্যের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর, কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বারবার কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করলেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। গড়িমসি ভাব রয়েছে। কলকাতার একাধিক সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেও রাস্তায় জল জমে। বৃষ্টি কমলেও জল জমে থাকে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। 
    বাদ নেই কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলো। এনআরএস, আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ডেঙ্গির (Dengue) আঁতুরঘর। মশা মারার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বারবার পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করলেও কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করাই পুরসভার প্রধান দায়িত্ব। প্রয়োজনে পুরসভা সেই দফতরের থেকে খরচ নিয়ে নেবে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা, জল জমা আটকানোর কাজ পুরসভার। এই দায় ঠেলার জেরে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি কেমন? 

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট উর্ধ্বগামী। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অক্টোবর মাসে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও সরকারি হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৩ জন। কিন্তু বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিত আরও ভয়াবহ হবে বলেও আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছেন পুরকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    অভিযোগ মানতে নারাজ পুরকর্তারা। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “আমরাই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করছি। জমা জল আছে কিনা দেখছি। প্রয়োজনে কর্মী নিয়ে গিয়ে মশার লার্ভা মারা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও পুরসভা কাজ করেনি, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” 
    স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরসভার সঙ্গে সারা বছর যোগাযোগ রাখা হয়। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা কিংবা জল জমে থাকলে কোনও অসুবিধা হলে সেটা দেখার দায়িত্ব পুরসভার। তবে, ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue) নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতর সব সময়ই সক্রিয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: মেলায় বেলুন ফাটানো দিয়ে শুরু, রুপোজয়ী মেহুলির সাফল্যে গর্বিত পরিবার

    Asian Games 2023: মেলায় বেলুন ফাটানো দিয়ে শুরু, রুপোজয়ী মেহুলির সাফল্যে গর্বিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ তম এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) ১০ মিটার এয়ার রাইফেল দলগত ইভেন্টে রুপো পেয়েছেন বাংলার মেয়ে মেহুলি ঘোষ। মেহুলি ছাড়াও ছিলেন ভিনরাজ্যের রমিতা জিন্দাল ও আশি চৌকসি। চিনে আয়োজিত এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম পদক এল শ্যুটিং থেকে। সেটাও বাংলার মেয়ের হাত ধরে। দলগতভাবে হলেও বাংলার মেয়ের জন্য গর্বিত গোটা রাজ্যবাসী। টিভির পর্দায় মেয়ের খেলা থেকে পদক পাওয়া দেখে হুগলির বাড়িতে বসে চোখ জুড়িয়েছেন মেহুলির পরিবারের লোকজন।

    মেহুলির কবে থেকে এয়ার রাইফেলে হাতেখড়ি?

    হুগলির বৈদ্যবাটির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ার মেয়ে মেহুলি। ২০১৩ সালে মেহুলির এয়ার রাইফেলে হাতেখড়ি। ২০১৪ থেকে রাজ্যস্তরে স্কুল চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দেন তিনি। মাত্র তিন বছরের মধ্যে রাজ্য স্কুল প্রি-ন্যাশনালে একাধিক সাফল্যের পর ২০১৭ তে ন্যাশনালে ন’টি পদক মেহুলিকে ভাল শ্যুটিংয়ের জন্য প্রেরণা জুগিয়েছিল। সেই সময় অলিম্পিয়ান শ্যুটার জয়দীপ কর্মকারের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করতেন মেহুলি। ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে তিনি সুযোগ পান। বর্তমানে হায়দরাবাদের গগন নারাং অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেন তিনি। ২০২১ থেকে সেখানেই থাকেন। প্রতিদিন প্রায় আট ঘণ্টা অনুশীলন করেন। তাঁর বর্তমান কোচ বিবস্বান গঙ্গোপাধ্যায়।

    মেয়ের সাফল্য নিয়ে কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মেহুলির দিদা বলেন, ছোটবেলায় মেলায় গিয়ে বেলুন ফাটাত মেহুলি। আমার কাছে আবদার করেছিল রাইফেল কিনে দেওয়ার। প্রথমে একটা পুরানো এয়ার রাইফেল কিনে দিই। ওর বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখেই ওকে শ্যুটিং-এ ভর্তি করানো হয়। ও আরও অনেক বড় হোক, এটাই চাই। বাবা নিমাই ঘোষ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তিনি  বলেন, মেয়েটা ভালই ফল করছে। তবে, ও যে রকম খেলে, সেরকম শুরুর দিকটা ভাল হয়নি। তবে, ওর এই সাফল্যের জন্য খুব ভাল লাগছে। আর মা মিতালি ঘোষ বলেন, ব্যক্তিগত ইভেন্টে না পারলেও দলগত ইভেন্টে (Asian Games 2023) জয়ী হয়েছে। মেয়ের জন্য গর্ব হচ্ছে।

    পুজোর উদ্বোধনে মেহুলি!

    পাড়ার মেয়ে এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) শ্যুটিং-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মান রেখেছেন তিনি। জিতেছেন রুপোর পদক। তাঁকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই এলাকাবাসীর। তাই তাঁরা ঠিকই করে ফেলেছেন, পাড়ার পুজোর উদ্বোধন করবেন মেহুলি-ই। এক প্রতিবেশী বলেন, পাড়ার পুজো এ বার ২৫ বছরে পড়েছে। তার উদ্বোধন করবে মেহুলি-ই। ওই তো আমাদের তারকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ২৫/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ২৫/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) অফিসে সমস্যার মুখোমুখি হবেন। এই সমস্যা দূর করার জন্য কারও পরামর্শ নিতে হবে।

    ২) পারিবারিক ব্যয় বাড়ায় মানসিক চাপ থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ অর্থ লগ্নি করবেন না।

    বৃষ

    ১) সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে কথাবার্তায় সময় কাটাবেন।

    ২) চাকরিজীবীরা সাবধানে কাজ করবেন।

    মিথুন

    ১) আত্মীয়ের জন্য টাকার ব্যবস্থা করবেন।

    ২) অংশীদারীর ব্যবসায় লাভান্বিত হবেন। কর্মক্ষেত্রে নিজের বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন, না-হলে বিবাদ হতে পারে।

    কর্কট

    ১) প্রেমীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করাতে পারেন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা মায়ের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। 

    সিংহ 

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ তর্ক এড়িয়ে যান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    ২) জীবনসঙ্গীর জন্য কোনও উপহার কিনতে পারেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায়ে কাউকে অংশীদার করার জন্য দিন ভালো।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের কারণে চিন্তিত থাকতে পারেন।

    তুলা 

    ১) জীবনসঙ্গী রেগে যাবে, এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করুন ও বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যান।

    ২) ভাই-বোনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আলোচনা করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।

    ২) সন্তানের জন্য কোনও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ব্যয় করবেন।

    ধনু

    ১) প্রেম জীবনে নতুন প্রাণশক্তি থাকবে।

    ২) সন্তানের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন।

    মকর

    ১) সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
     
    ২) ছাত্ররা কোনও কোর্সে ভরতির জন্য আবেদন করতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও বয়স্ক মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, যা আপনাকে সাফল্যের বিশেষ সুযোগ প্রদান করবে। 

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করবেন।

    মীন

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    ২) ভাই-বোনের মধ্যে বিবাদ বাঁধলে, সে সময়ে নিজের বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Uttar Dinajpur: ফের আধারের বায়োমেট্রিক প্রতারণাচক্রের হদিশ, পুলিশ কী করছে?

    Uttar Dinajpur: ফের আধারের বায়োমেট্রিক প্রতারণাচক্রের হদিশ, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একের পর এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক  অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। গ্রাহকদের অজান্তেই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। দিনের পর দিন এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আবার আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পেল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর জেলার পুলিশ।

    আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ (Uttar Dinajpur)

    পুলিশ সূত্রে খবর, চা বাগান ঘেরা চোপড়ায় আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণার হাব তৈরি করেছে প্রতারকরা। শুধু তাই নয়, প্রতারণা চক্রের পান্ডারা আধুনিক অফিসে বসেই নিমেষে গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছে। কেউ কিছু বোঝার আগেই নিমেশে সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন অনেকে। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় এলাকায় বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। শুধু হাওড়া বা উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা নয় রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এসব অপরাধের পিছনে এই চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তদন্তে নেমে আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পায়। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর সাইবার ক্রাইম থানা। উদ্ধার করা হয়েছে, প্রচুর ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেভলপিং কেমিক্যালস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, জমির দলিলের আঙুলের ছাপের কাগজ,আধারের কপি। গ্রেফতার ৩ ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। এরপর শনিবার আরও একটি আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয় আরও প্রয়োজনীয় গেজেটস, কেমিক্যালস,কম্পিউটার, দলিলের কপি। পুলিশ ওই চক্রের পান্ডাদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

    জেলা পুলিশের আধিকারিক কী বললেন?

    রবিবার এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্ৰথম দিনের প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় চোপড়া থানার চুটিয়াখোড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু, কাউতকে গ্রেফতার করা যায়নি। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: সাহাবাড়ির পুজোয় দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ!

    Durga Puja 2023: সাহাবাড়ির পুজোয় দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের জামিরতা গ্রাম থেকে বনমালী সাহা চালের ব্যবসা করার জন্য আত্রেয়ী নদী ধরে মাঝে মাঝেই বালুরঘাট আসতেন। তখন বালুরঘাটের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ছিল নিবিড়। আত্রেয়ী তখন ছিল পূর্ণ যৌবনসম্পন্না কিন্তু কালের গতির সঙ্গেই যেমন তার চেহারা বদলেছে, তেমনি ১৮৪ বছর আগে বনমালী সাহার তৈরি জমিদারিও আজ প্রায় শেষের দিকে। একমাত্র বংশধর কালীকৃষ্ণ সাহা রায় কোনও রকমে টিকিয়ে রেখেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য (Durga Puja 2023)।

    দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) আজও নিয়ম-নীতি মেনেই

    ১৮৪ বছরের পারিবারিক দুর্গাপুজো আজও নিয়ম-নীতি এবং রেওয়াজ মেনেই পালন করার চেষ্টা করে সাহা পরিবার। চালের ব্যবসায়ী থেকে হঠাৎ করে এলাকায় জমিদারি লাভ করে বনমালী সাহা বালুরঘাট শহরেই তাঁর ব্যবসার কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এরপর আত্রেয়ী দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে, বদলেছে সময়। এখন আর জমিদারি নেই। কিন্তু দুর্গাপুজোর যে পারিবারিক রীতি-রেওয়াজ, সেক্ষেত্রে কোনও রকম ছেদ পড়েনি। পুজোর কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে দেবী প্রতিমার গঠনেরও কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কার্তিক-গণেশের যে দিকে থাকার কথা, সাহাবাড়ির পুজোতে (Durga Puja 2023) দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ। এ ছাড়াও পুজোর ভোগ নিবেদনের ক্ষেত্রেও বিশেষ রীতি মেনে চলে সাহা পরিবার। 

    গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন কেন?

    বনমালী সাহা যখন এই পুজো করতেন, তখন মৃৎশিল্পী অন্য দুর্গা প্রতিমার মতো সাহাবাড়ির দুর্গা প্রতিমা করেছিলেন। কিন্তু পর দিন সকালে সবার নজরে আসে, গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে। মৃৎশিল্পী পুনরায় তাঁদের স্থান পরিবর্তন করেন। কিন্তু পর দিন সকালে গণেশ ও কার্তিকের আবার স্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে দেখে বনমালী সাহা রায় নির্দেশ দেন, এই ভাবেই মায়ের পুজো হবে। সেই থেকে একই নিয়মনিষ্ঠা সহকারে সাহাবাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে। এছাড়াও মন্থন ষষ্ঠীতে কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়। প্রতিমার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান হয় ও প্রতিমার রং সব শেষ করতে হয়। পাশাপাশি এই পুজোয় অন্নভোগ হয় না। এখানে পরমান্ন ভোগ হয়। পুজোর কয়েকদিন নিরামিশ খাবার হয়।

    ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বন্ধনের ছবি

    সাহাবাড়ির এই পুজোকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী বন্ধনের ছবি ফুটে ওঠে। পুজোর (Durga Puja 2023) কদিন এপার বাংলা, ওপার বাংলা মিলে যায় সাহা পরিবারের অঙ্গনে। আপাতত বালুরঘাটের সাহা পরিবারের সদস্যরা পথ চেয়ে সেই পাঁচদিনের জন্য। এই বিষয়ে কালীকৃষ্ণ সাহা বলেন, আমাদের এই পুজো এবার ১৮৪ বছরে পড়ল। আমাদের এই পুজোর বিশেষত্ব হল গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন। প্রত্যেক বছরে যে নিয়মে পুজো করা হয়, এবারেও সেই নিয়ম অনুযায়ী পুজো করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হেনস্থার শিকার, স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি অধ্যক্ষের

    TMCP: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হেনস্থার শিকার, স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি অধ্যক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের (TMCP) কাছে হেনস্থা শিকার হয়ে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চাইলেন যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। ইতিমধ্যে পঙ্কজবাবু তাঁর এই ইচ্ছার কথা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রায়শই তাঁর ওপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি,হেনস্থা ও কলেজে বহিরাগতদের তান্ডবের তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজবাবু। প্রসঙ্গত, সারা রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় কমবেশি তৃণমূলের নেতারা জড়িত রয়েছেন। যখনই যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে শাসক দলের ছাত্র নেতাদের নাম উঠে আসে। তাই পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ যে স্বাভাবিক এ কথা মেনে নিচ্ছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    কী বলছেন পঙ্কজ রায়?

    যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ এদিন বলেন, ‘‘দিনের পর দিন ছাত্র সংসদের নামে বহিরাগতরা (TMCP) যে তাণ্ডব চালাচ্ছেন, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি আগেও বলেছি, আমি যদি কোনও দলের মুখপাত্র হই, সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কলেজ চত্বরে আমি একটি কাজও কোনও দলের হয়ে করেছি, এ কথা কেউ বলতে কিংবা প্রমাণ করতে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পদের লোভ আমার নেই। আমার আদর্শ বিক্রি করার জন্য নয়।’’ প্রসঙ্গত ৩৫ বছর ধরে অধ্যাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত পঙ্কজবাবু কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

    কলেজে বহিরাগত তান্ডব

    এর পাশাপাশি বহিরাগত তাণ্ডবের (TMCP) তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজ রায়। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও বিষয়ে বহিরাগতরা এসে হুজ্জতি করছে। যে ভাষায় প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে তারা কথা বলছে, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেন বহিরাগতরা কলেজে ঢুকবে? এ প্রশ্নও তুলেছেন পঙ্কজ বাবু। এতে যে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে তাও জানান তিনি। নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আর কোনওভাবেই এই মানসিক চাপ তিনি নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share