Tag: Bengali news

Bengali news

  • PM Narendra Modi: ‘শুধু শিলান্যাস নয়, উদ্বোধনও করি”, বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন মোদি

    PM Narendra Modi: ‘শুধু শিলান্যাস নয়, উদ্বোধনও করি”, বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাধুনিক ট্রেন ‘নমো ভারত’কে সবুজ পতাকা দেখিয়ে আরও একটি হাই স্পিড ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এই ট্রেনের গতি হবে প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিমি। দিল্লি-গাজিয়াবাদ-মিরাট আরআরটিএস করিডর মোট ১৭ কিমি দীর্ঘ যাত্রাপথ। শুক্রবার উদ্বোধন হলেও আগামী ২১ অক্টোবর থেকে যাত্রী পরিষেবা চালু হবে বলে জানা গেছে।

    প্রধানমন্ত্রী এদিন ট্রেনের উদ্বোধন করে বলেন, ‘শুধু শিলান্যাস নয়, উদ্বোধনও করি’। যে প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়, সেগুলিকে চালু করা হয় বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শিলান্যাস নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে শোনা যায় বিরোধীদের।

    ‘নমো ভারত’ সূচনা করলেন মোদি (PM Narendra Modi)

    দেশ প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন পেল। শুক্রবার দেশের প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) এই ট্রেনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন। প্রাথমিক ভাবে এই ট্রেন উত্তরপ্রদেশের সাহিদাবাদ থেকে দুহাই ডিপো স্টেশন পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। প্রথম দিনেই ট্রেনে সফর করলেন মোদি। সেই সঙ্গে বাচ্চাদের সঙ্গে মজলেন খোশ মেজাজে। দিল্লি থেকে মিরাট যেতে আগে সময় লাগত দেড় ঘণ্টা, বর্তমানে এই ট্রেনের যাত্রা পথে সময় লাগবে এক ঘণ্টারও কম।

    ভাড়া কত হবে?

    সূত্রে জানা গেছে, এই ট্রেনের (PM Narendra Modi) স্ট্যান্ডার্ড ক্লাসের পুরো রুটের ভাড়া ৫০ টাকা। প্রিমিয়াম ক্লাসের ভাড়া শুরু ৪০ টাকা থেকে, এই ক্লাসের সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা। উল্লেখ্য যে শিশুরা ৯০ সেমির নিচে, তাদের কোনও ভাড়া লাগবে না। ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি হবে ১৮০ কিমি, কিন্তু পরীক্ষার দিন গতি ছিল ১৬০ কিমি। এই ট্রেন অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ট্রেনে বিশাল ওভারহেড স্টোরেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে থাকছে ওয়াই-ফাইয়ের সুবিধা এবং প্রত্যেক আসনের সঙ্গে চার্জিং পয়েন্ট। থাকছে বড় আসন, পা রাখার অতিরিক্ত জায়গা। থাকবে সিসিটির ব্যবস্থা। আপদকালীন দরজা থাকবে এবং সেই সঙ্গে ট্রেনের চালকের সঙ্গে কথা বলার জন্য থাকবে বিশেষ স্যুইচের ব্যবস্থা।

    কংগ্রেসের কটাক্ষ

    ট্রেনের নাম (PM Narendra Modi) নিয়ে বিরোধীরা সরব হয়েছে। কিন্তু গতকাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে আরআরটিএস ট্রেনগুলির নাম ‘নমো ভারত’ রাখা হবে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, “নমো স্টেডিয়ামের পর নমো ট্রেন। প্রধানমন্ত্রীর আত্মমগ্নতার সীমা নেই।” আবার পবন খেরার বক্তব্য, “ভারত রাখার কী দরকার! দেশের নাম নমো রাখলেই একেবারে মিটে যায় ঝামেলা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: হাতির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে অভিনব কৌশল বাঁকুড়ার গ্রামবাসীদের, কী তা জানেন?

    Bankura: হাতির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে অভিনব কৌশল বাঁকুড়ার গ্রামবাসীদের, কী তা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতির তাণ্ডব রুখতে রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। এমনই অভিযোগ বাঁকুড়়ার (Bankura) সিমলাপালের দুবরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে পড়া হাতির উপস্থিতি টের পেতে অভিনব কৌশল নিয়েছেন সিমলাপালের নেকড়াতাপল গ্রামের বাসিন্দারা।

    কী কৌশল নিলেন গ্রামবাসীরা? (Bankura)

    মাস খানেক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার (Bankura) গ্রামে ঢোকে ৪০টি হাতির দল। একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু হওয়ায় আক্রমণাত্মক ভাবে গ্রামে ঢোকে দলটি। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে দুই পুলিশ কর্মীকে আহত করে হাতির দল। তাঁদেরকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪০টি হাতির দল একবারে বাঁকুড়া জেলায় ঢুকে পড়ায় চিন্তায় পড়ে যায় বন বিভাগ। বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের পুজোর মধ্যেও হাতি আতঙ্ক রয়েছে। তাই, হাতির হামলার আগে সতর্ক হতে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের হাতে তৈরি ঘণ্টা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। স্থানীয়ভাবে ওই ঘণ্টা ‘ঠরকা’ নামেই পরিচিত। সেই ঘণ্টা ঝুলিয়ে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। ওই ঠরকা বিশালাকার হাতির শরীরে লেগে বেজে উঠবে। ফলে, গ্রামের মানুষ সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে হাতির হানায় বাড়ি বা সম্পত্তি হানির ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকখানি কমানো সম্ভব বলে ওই গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন। এমনিতেই খাবারের খোঁজে হাতির দল গ্রামে হানা দেবে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে। পুজোর মধ্যেও হাতির আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। কারণ, হাতির দল এসে ঘর বাড়ি, চাষের জমি নষ্ট করে দেয়। ক্ষয়ক্ষতি হয় গ্রামবাসীদের। হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ট গ্রামবাসী। তাই, হাতির হাত থেকে বাঁচতে এই অভিনব কৌশল নিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    গ্রামবাসীরা কী বললেন?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, একটি আবাসিক হাতি বাঁকুড়ার (Bankura) এই এলাকায় রয়েছে। তবে, বিগত একমাস তার দেখা নেই। পুজোর দিন গুলোতে হাতির আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাম জুড়ে আমরা ‘ঠরকা’ বেঁধে রেখেছি। হাতির হামলা হয়েছে জানতে পারলে আমরা সকলেই সতর্ক হয়ে যাব। এতে প্রাণে রক্ষা পাওয়া যাবে।

    বন দফতরের এক আধিকারিক কী বললেন?

    বন দফতরের দুবরাজপুর বিট অফিসার বৈদ্যনাথ টুডু বলেন, ইতিমধ্যে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। নতুন করে আবেদনকারীরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে, পুজোর সময় হাতির আক্রমণ ঠেকাতে গ্রামবাসীরা নিজেদের মতো উদ্যোগ নিতে পারেন। আমরাও দফতরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ২১/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ২১/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করুন নয়তো অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা।

    ২) মাইগ্রেন রোগীরা দিনভর ব্যথা ভোগ করবেন।

    বৃষ

    ১) আজ অনেক জায়গায় আপনাকে ধৈর্যর পরীক্ষা দিতে হবে।

    ২) অনেকদিনের আটকে থাকা টাকা ফেরত পাবেন।

    মিথুন

    ১)  আপনার স্বাস্থ্যর দিকে আজ বিশেষ নজর দিন। 

    ২)  সামাজিক অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মানলাভ।

    কর্কট

    ১) স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ কেটে যাবে আজকে।

    ২) পরিবারের লোকজনের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাবেন কোথাও।
      
    সিংহ 

    ১) সারাদিনে আজ অনেকটাই ফাঁকা সময় পাবেন।

    ২) বন্ধুরা আজ আপনাকে নিয়ে মেতে থাকবে।

    কন্যা

    ১) দিনটি আজকে হতাশার মধ্যে কাটবে।

    ২) বিপরীত পরিস্থিতিতে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন।

    তুলা 

    ১) আর্থিকভাবে আজ অনেকটাই লাভের মুখ দেখবেন। 

    ২) সমাজের গুণীজনদের কাছে  আপনার কদর বাড়বে।

    বৃশ্চিক

    ১) আর্থিক ও স্বাস্থ্যগতভাবে দিনটি খুবই ভাল যাবে।

    ২) পরিবারের সঙ্গে আনন্দের পরিবেশে দিন গুজরান হবে।

    ধনু

    ১) পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতবিরোধ।

    ২) স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভাল যাবে দিনটি। 

    মকর

    ১) আজকে আপনার স্বাস্থ্য খুবই ভাল যাবে।
     
    ২) স্বামী-স্ত্রী কোথাও একসঙ্গে ঘুরতে যেতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) আর্থিকভাবে লাভের মুখ দেখবেন আজ।

    ২) কিছু শারিরীক সমস্যা দেখা দেবে আজ। 

    মীন

    ১) সামাজিক কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

    ২) বাড়ির কাজে সারাদিন ব্যস্ত থাকবেন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: মহানবমীর মাহাত্ম্য, জানুন দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পৌরাণিক আখ্যান

    Durga Puja 2023: মহানবমীর মাহাত্ম্য, জানুন দেবী সিদ্ধিদাত্রীর পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির শেষ দিনে পূজিতা হন মাতা সিদ্ধিদাত্রী (Durga Puja 2023)। এই দেবী মা দুর্গার নবম রূপ বলে পরিগণিত হন। ভক্তদের বিশ্বাস মতে, মাতা সিদ্ধিদাত্রী দেবাদিদেব মহাদেবের শরীরের অংশ। তাই তিনি অর্ধনারীশ্বর (Durga Puja 2023) নামেও প্রসিদ্ধ। ভক্তদের বিশ্বাস, এই মহাবিশ্ব যখন তৈরি হয়নি, চারদিকে যখন ঘন অন্ধকার ছিল, প্রাণের চিহ্ন যখন কোথাও ছিল না, তখন একটি দৈব আলোকরশ্মি নারীমূর্তির আকার ধারণ করতে থাকে। ইনিই দেবী মহামায়া, মহাশক্তি। এই আদিদেবীর থেকেই জন্ম হয়েছিল ত্রি শক্তির-ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। বিশ্ব বা জগত সংসার পরিচালনার জন্য এই আদিমাতা ত্রিদেবকে দায়িত্ব দেন। এর পরে মহাসাগরের তীরে বসে বহু বছর ধরে মহামায়ার তপস্যায় রত ছিলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। তপস্যায় প্রসন্না হয়ে দেবী তাঁদের সামনে ‘সিদ্ধিদাত্রী’ রূপে প্রকট হন।

    অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে মতে ওঠেন দেবতারা

    অসুরবধের আনন্দে নবমী তিথিতে কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে দেবীর বন্দনায় মেতে উঠেছিলেন দেবতারা। এখানেই নবমী পুজোর মাহাত্ম্য বা গুরুত্ব বলে পণ্ডিতদের ধারণা রয়েছে। হিন্দু শাস্ত্র মতে, এদিন তাই দেবীর সম্পূর্ণ পুজো সম্পন্ন হয়। এই তিথিতেই বলি, হোম, কুমারী পুজো এবং ষোড়শ উপাচারের বিধান আছে। দেবীকে প্রসন্ন করতে নৈবেদ্যতে তিল নিবেদন করার রীতি দেখা যায়। ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা সিদ্ধিদাত্রীর কৃপায় জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় এবং সফলতা আসে জীবনে‌। মাতা সিদ্ধিদাত্রী ভগবান ব্রহ্মাকে বিশ্বস্রষ্টার স্রষ্টা, ভগবান বিষ্ণুকে সৃষ্টি ও জগত রক্ষার ভূমিকা এবং দেবাদিদেব মহাদেবকে প্রয়োজন হলে জগৎ ধ্বংস করার ভূমিকা প্রদান করেন। ভক্তদের (Durga Puja 2023) আরও বিশ্বাস, দেবী সিদ্ধিদাত্রী পরবর্তীতে সরস্বতী, লক্ষ্মী এবং মাতা পার্বতী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সিদ্ধিদাত্রী মাতা সর্বদাই ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের সঙ্গে শক্তি হিসেবে আছেন, এটা বোঝাতেই তিনি এই ত্রিদেবের পত্নী রূপে অবস্থান করেন‌। পৌরাণিক আখ্যান অনুযায়ী, দেবী সিদ্ধিদাত্রী জগৎ পরিচালনা, পালন এবং সংহারের জন্য অলৌকিক ক্ষমতা প্রদান করেছিলেন এই ত্রিদেবকে। অতিপ্রাকৃত এই আটটি শক্তিকে মার্কণ্ডেয় পুরাণে অষ্টসিদ্ধি বলা হয়েছে যা দেবী সিদ্ধিদাত্রী দেন।

    সিদ্ধি আট প্রকারের- 

    অণিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে আকারে ছোট করা যায়। 

    মহিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অসীম প্রসারিত করা যায়।

    গরিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহকে অকল্পনীয় ভারী করা যায়।

    লঘিমা: এই শক্তির দ্বারা দেহ ভারহীন হয়ে যায়।

    প্রাপ্তি: এই শক্তির দ্বারা সর্বভূতে বিরাজ করা যায়।

    প্রাকাম্য: এই শক্তির দ্বারা সমস্ত মনের কামনা পূর্ণ করা যায়।

    ঈশিত্ব : এই শক্তির দ্বারা প্রভুত্ব স্থাপন করা যায়।

    বশিত্ব: এই শক্তির দ্বারা সকলকে পরাধীন রাখা যায়।

    ভক্তদের বিশ্বাস, মার্কণ্ডেয় (Durga Puja 2023) পুরাণ অনুসারে যে ৮ প্রকার সিদ্ধি মাতা সিদ্ধিদাত্রী ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরকে প্রদান করেছিলেন, মহানবমীর দিন মাতা সিদ্ধিদাত্রীর আরাধনা করলে ভক্তদের মধ্যে এই সকল শক্তির প্রবেশ ঘটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা ক্লাবগুলিকে পুজোয় অনুদান’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা ক্লাবগুলিকে পুজোয় অনুদান’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে এবার ৭০ হাজার টাকা করেছেন। আর তা নিয়েই এবার সুর চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, পুজোয় আর্থিক অনুদানের নামে রাজনীতি চলছে। তিনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) এই ৭০ হাজার টাকা করে সেই ক্লাবগুলিকে দিয়েছেন, যারা নির্বাচনে গুন্ডামি করে তৃণমূলকে জয়ী করেছে। তাদের মদ-মাংস খাওয়ার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিজেপি পরিচালিত ক্লাবগুলি গেলে টাকা দেওয়া হয়নি।

    মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে রাম মন্দিরের আদলে গড়ে ওঠা মণ্ডপ নিয়েও মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, রাম বাংলার সংস্কৃতির অংশ। সেই রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ শুভ উদ্বোধন করেছেন অমিত শাহ। আর যা দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আরও বেশি করে জ্বলন হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করেই বলেন, যাদের চুলকানি হচ্ছে তার জন্য ওষুধ খাও, যদি না ওষুধ থাকে বিজেপি তাদের ওষুধ দিয়ে দেবে।

    মন্ত্রী সুজিত বসুকে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি ফুটবলারকে বাংলার পুজো উদ্বোধনের জন্য নিয়ে এসেছিলেন সুজিত বসু। সেই বিষয়ে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কদিন আগেই সুজিত বসু ঠেলাগাড়িতে এগরোল বিক্রি করতো। কীভাবে এত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল, একটু সরকারকে বলব তার তদন্ত করার জন্য। এত টাকা তৃণমূলের আসে কোথা থেকে? যেখানে বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দুষছেন, সেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনাল্ডিনহোকে বাংলায় পুজো উদ্বোধনের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলার পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল সরকারের মতো দুর্নীতির এত টাকা বিজেপি সরকারের নেই। তবে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রত্যেকটি ব্লকের একটি করে পুজোকে কিছু সাহায্য ও হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: ‘‘যেয়ো না, রজনী, আজি লয়ে তারাদলে”! নবমীতে কুমারী পুজোর প্রচলন কীভাবে?

    Navaratri 2023: ‘‘যেয়ো না, রজনী, আজি লয়ে তারাদলে”! নবমীতে কুমারী পুজোর প্রচলন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে পুজো নবমীতে (Navaratri 2023) চলে এল। মাইকেল মধুসূদন দত্ত লিখছেন, ‘‘যেয়ো না, রজনী, আজি লয়ে তারাদলে!’’। এ যেন প্রতিটি হিন্দু বাঙালির অন্তরের শব্দধ্বনি। নবমী নিশি গত হলেই যে বিসর্জন! মহানবমীর গুরুত্ব তাই অনেকখানি‌। উৎসবমুখর বাঙালির আনন্দের দিক থেকে তো বটেই, আবার এই বিশেষ তিথিতে সম্পূর্ণভাবে মা দুর্গার পুজো সম্পন্ন হয়।

    কুমারী পুজোর পৌরাণিক গল্প

    পৌরাণিক মতে, অষ্টমী ও নবমীর (Navaratri 2023) সন্ধিক্ষণে চণ্ড ও মুণ্ডকে বধ করেছিলেন মাতা চামুণ্ডা। আবার অন্য একটি মতে, মহিষাসুরের বধ হয়েছিল সন্ধিক্ষণে। তাই সমস্ত দেবতারা মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমবেত হয়ে নবমী তিথিতে মাতৃ আরাধনা বা বন্দনা শুরু করেছিলেন। এই দিন সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায় অঞ্জলি দেওয়ার জন্য। এই দিনেই সম্পন্ন হয় হোম এবং কুমারী পুজো। এই পুজো নিয়ে বহু মানুষের মনের নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। কুমারী পুজোর নেপথ্যে যে পৌরাণিক কাহিনী রয়েছে সেটি জেনে নেওয়া যাক। এক সময় কোলাসুর নামের এক অসুররাজা স্বর্গ এবং মর্ত্য দখল করে নিয়েছিল। অত্যাচারী এই অসুরের কারণে মুনিঋষিরা তপস্যা করতে পারতেন না, দেবতারা স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত ছিলেন। যার কারণে দেবতাগণ অসহায় হয়ে শরণাপন্ন হন মা কালীর। দেবতাদের উদ্ধারে দেবী কুমারী রূপে কোলাসুরকে বধ করেছিলেন। তারপর থেকেই মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন (Navaratri 2023) শুরু হয়। অন্য একটি পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, বাণাসুরকে মাতা কালী কুমারী রূপে বধ করেছিলেন। সেই থেকেই কুমারী পুজোর রীতি বলে শোনা যায়।  শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব নিজের স্ত্রীকে কুমারী জ্ঞানে পুজো করেছিলেন বলেও জানা যায়।

    নবমীতে কুমারী পুজো

    কুমারী পুজোকে (Navaratri 2023) ঘিরে আগ্রহের শেষ নেই। সেই ১৯০১ সাল থেকে প্রতি বছর বেলুড় মঠে মহা ধুমধাম করে এই পুজোর নিয়ম রয়েছে, যা শুরু করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। এছাড়াও বহু বাড়ির পুজোয়, মন্দির কিংবা বারোয়ারি ক্লাবগুলিতে কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়। কুমারী পুজোর জন্য বেছে নেওয়া হয় ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী কন্যাদের। বয়স অনুযায়ী প্রত্যেক কুমারীর নাম আলাদা হয়। শাস্ত্র অনুযায়ী কুমারী পুজোয় কোনও জাতি, ধর্ম বা বর্ণভেদ নেই। দেবীজ্ঞানে যে-কোন কুমারীই পূজনীয়।

    ১ থেকে ১৬ বছর বয়সী কুমারীদের নাম

    এক্ষেত্রে এক থেকে ষোলো বছর বয়সী যে কোনও কুমারী মেয়ের পুজো করা যায়। বয়স অনুসারে কুমারীদের (Navaratri 2023) নামগুলি হল-

    এক বছরের কন্যা: সন্ধ্যা
    দুই বছরের কন্যা: সরস্বতী
    তিন বছরের কন্যা: ত্রিধামূর্তি
    চার বছরের কন্যা: কালিকা
    পাঁচ বছরের কন্যা: সুভগা
    ছয় বছরের কন্যা:  উমা
    সাত বছরের কন্যা: মালিনী
    আট বছরের কন্যা: কুব্জিকা
    নয় বছরের কন্যা: কালসন্দর্ভা
    দশ বছরের কন্যা: অপরাজিতা
    এগারো বছরের কন্যা: রূদ্রাণী
    বারো বছরের কন্যা: ভৈরবী
    তেরো বছরের কন্যা: মহালক্ষ্মী
    চৌদ্দ বছরের কন্যা: পীঠনায়িকা
    পনেরো বছরের কন্যা: ক্ষেত্রজ্ঞা
    ষোলো বছরের কন্যা: অন্নদা বা অম্বিকা

    হিন্দু ধর্মে নারীদের (Navaratri 2023) প্রকৃতির সমান মানা হয়। কুমারী পুজোর মধ্য দিয়ে প্রকৃতিকে আরাধনা বা পুজো করা হয়। ভারতীয় সভ্যতায় প্রকৃতি পুজোর রীতি প্রথম থেকেই রয়েছে। এদেশে মনে করা হয়, দেবতাদের বাস রয়েছে মানবের মধ্যেই এবং দেবত্বের বিকাশের দ্বারাই মানুষ দেবতা হয়।  তাই কুমারীদের দেবী রূপে আরাধনা করা হয়। ফুলের মালা, মুকুট, পায়ে আলতা, নতুন বস্ত্র, তিলক দিয়ে সাজানো হয় কুমারীদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: রাজ্যের সেরা পুজোকে ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’ দেবেন রাজ্যপাল, জানাল রাজভবন

    Durga Puja 2023: রাজ্যের সেরা পুজোকে ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’ দেবেন রাজ্যপাল, জানাল রাজভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2023) সেরা মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, প্রতিমা এই সমস্ত কিছুকে সামনে রেখে পুরস্কার প্রদান প্রথা রাজ্যেঅনেক পুরনো। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও তাতে অংশগ্রহণ করে। এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রাক্কালে এরকমই উদ্যোগ নিতে দেখা গেল রাজভবনকেও। সেরা পুজো প্যান্ডেলকে রাজ্যপাল দেবেন ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’।

    রাজভবনের প্রেস বিবৃতি

    মহাপঞ্চমীর দিন বৃহস্পতিবারই রাজভবন থেকে এক প্রেস বিবৃতি জারি করা হয় এবং তাতে উল্লেখ করা হয়েছে বাঙালিয়ানা পুরস্কারের বিষয়ে। এই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, বাছাই করা সেরা পুজো প্যান্ডেলকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বিজয়া দশমীর (Durga Puja 2023) দিনই দেওয়া হবে এই পুরস্কার। এবার কোনটা সেরা প্যান্ডেল হবে তা নির্ণয় কে করবেন?  রাজভবনে তরফে প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে তা বাছবেন সাধারণ মানুষই। সরকারি অর্থ যে খরচ করা হবে না কোনভাবেই, ওই প্রেস বিবৃতিতে তাও স্পষ্ট। রাজভবনের তরফে একটি মেইল আইডিও দেওয়া হয়েছে। এই মেইল আইডি টি হল aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com. পুজো প্যান্ডেলগুলি এই মেইল আইডির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

    কী বলছেন রাজ্যপাল?

    প্রসঙ্গত, এবার পুজোতে প্রতিপদ থেকেই দুর্গাপুজো পরিদর্শনে বেরিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চলতি সপ্তাহের রবিবারই দুটি মন্ডপে যান তিনি। রবিবার বিকেল নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে  কুমোরটুলিও যেতে দেখা যায় বোসকে। সেখানে মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় সিভি আনন্দ বোসকে। রবিবার রাজ্যপালের হাতে মাটির তৈরি লক্ষ্মী এবং গণেশের মূর্তিও তুলে দেন কুমোরটুলির এক শিল্পী। দুর্গাপুজোয় এবার রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজভবনও বিশেষ সম্মান প্রদান করেছে। জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিশন কলাক্রান্তি’। এই সম্মানের সম্মানিত করা হয় পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে। পুজোর (Durga Puja 2023) আবহে রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি রাজ্যপাল। তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজ্যের দুর্নীতি রক্তবীজের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মা দুর্গা যেমন অসুর নিধন করেছিলেন, তেমনিই এই দুর্নীতিরও অবসান ঘটাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: ‘চেয়ারপার্সন কাজ করতে দিচ্ছেন না’, সরব তৃণমূল কাউন্সিলার, খড়দাতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Khardah: ‘চেয়ারপার্সন কাজ করতে দিচ্ছেন না’, সরব তৃণমূল কাউন্সিলার, খড়দাতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খড়দাতে (Khardah) তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ল। কয়েকদিন আগে কাউন্সিলার মধুরিতা গোস্বামীকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে প্রয়াত ও প্রাক্তন বিধায়ক কাজল সিনহার স্ত্রী চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য নন্দিতা সিনহা এবার সরাসরি কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক দলের অন্দরে। তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলে সরগরম খড়দা বিধানসভা এলাকা। খড়দা বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক প্ৰয়াত কাজল সিনহার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়দা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মনোনীত করেন। ভোটে জয়ী হওয়ার পরই এবার চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসায় দল চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    তৃণমূল কাউন্সিলারের কী অভিযোগ? (Khardah)

    চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য নন্দিতা সিনহা বলেন, আমি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল হিসাবে শিক্ষার দায়িত্বে আছি। মানুষের ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। কিন্তু আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মিড ডে মিলে কোনও কাজ বেরোলে সেই কাজ যদি আমি কাউকে দিই চেয়ারপার্সন তা মেনে নেন না। কোনও দফতরকেই ডিস্টার্ব করছেন না। কিন্তু, আমার সঙ্গে কেন এমন করছেন সেটা জানি না। চক্রান্ত করেই এটি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আসলে চক্রান্ত করে রাজনীতির কেরিয়ারে আমাকে চেপে দেওয়া হচ্ছে। আমি কাজ করতে পারছি না। আমাকে কাজ করতেও দেওয়া হচ্ছে না।

    চেয়ারপার্সনের কী বক্তব্য?

    এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে কোনও কথা বলতে চাননি খড়দা (Khardah) পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকার। যা বলার দলের অভ্যন্তরে বলবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বিষয়টি বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের নজরে এসেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, খড়দা পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং উল্টোদিকে কাউন্সিলরদের একটি গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে বিভক্ত।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, একজন দলের কাউন্সিলার, সরাসরি তারই দলের পুরপ্রধানের দিকে কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন। কাজ করতে না দিলে এলাকার উন্নয়ন কী করে হবে? সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের এখন একটাই কালচার। একা খাবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে কখনও বিজেপির হাত ধরেছেন নীতিশ (Nitish Kumar) তো কখনো বা আরজেডির। বর্তমানে আরজেডির সঙ্গে জোটে থাকা নীতিশের কি দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে? কারণ বৃহস্পতিবার বিহারের মতিহারিতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে বিজেপির প্রশংসা করতে শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। তার সঙ্গে নিতীশের আরও বার্তা ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্দেশে, যে তাঁর সঙ্গে এখনও বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যায়নি বিজেপির। এনিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে সারা দেশজুড়ে। 

    মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতিশ

    রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মূর পাশে বসে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা শানিয়েছেন নীতিশ (Nitish Kumar)। এর পাশাপাশি বর্তমান মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকার বিহারে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারের কাছে আমি আবেদনও জানিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য। তবে সেসময় আমার কোনও আবেদনই মান্যতা পায়নি। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবেদন মান্যতা পায়। ২০১৬ সালে মতিহারিতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু হয়।’’ এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিহারের বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশে নীতিশ বলেন যে যতদিন বেঁচে থাকবো সবার সম্পর্কে বজায় থাকবে। সবাই একসঙ্গে কাজও করব।

    দূরত্ব বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে?

    নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) এই মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার পদ্ম শিবিরের হাত ধরতে চলেছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নাম নিয়েই প্রথম থেকে ক্ষুদ্ধ ছিলেন নীতিশ (Nitish Kumar)। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই নাম ঠিক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।  বিরোধী জোট করার ক্ষেত্রে প্রথমে তৎপর হয়েছিলেন নীতিশই এবং সেই মতো তিনি কলকাতাতে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনাও সারেন নবান্নে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নীতিশের নাম ঘোষণা না হওয়াতেও তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পার্থ থেকে কেষ্ট, তৃণমূলের ডজন খানেক নেতা-মন্ত্রীর পুজো কাটছে জেলে বসেই

    Durga Puja 2023: পার্থ থেকে কেষ্ট, তৃণমূলের ডজন খানেক নেতা-মন্ত্রীর পুজো কাটছে জেলে বসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে গরু পাচার। রাজ্যের শাসক দলের একাধিক কেষ্ট-বিষ্টু বর্তমানে জেলবন্দি। চলতি বছরের দুর্গাপুজোটাও (Durga Puja 2023) তাঁদের জেলে বসেই কাটতে চলেছে। এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বীরভূমের দাপুটে জেলা সভাপতি, শাসক দলের বিধায়ক থেকে শিক্ষা দফতরের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা।

    জেলে এবারও পুজো কাটবে পার্থ ও অর্পিতার

    জেলে বসে আরও একটা পুজো (Durga Puja 2023) কাটবে পার্থর। ২০২২ সালের তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ একুশে জুলাইয়ের ঠিক পরের দিন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে আচমকায় হানা দেয় ইডি। পরে ২৩ তারিখ সকালে গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিবকে। সেই থেকেই পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো বলে পরিচিত নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন যে পার্থ, তাঁর এবারের দুর্গাপুজোটাও কাটছে জেলে বসেই। পার্থর সঙ্গে একই সময়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এটা দ্বিতীয় পুজো, যেটা তিনি জেলে বসেই কাটাবেন।

    শিক্ষা দফতরের অধিকর্তারাও জেলে

    পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হতেই তদন্তের সূত্রে বেরিয়ে আসে শিক্ষা দফতরের একাধিক অধিকর্তার নাম। গ্রেফতার হন স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা। ২০২২ সালের ১০ অগাস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ। গতবারের মতো এবারেও তাঁর পুজো (Durga Puja 2023) কাটছে জেলে বসেই। শান্তিপ্রসাদের সঙ্গে রয়েছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সরকাররাও। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গতবারের মতো এবারও তাঁর দুর্গাপুজো কাটছে জেলে।

    অনুব্রত ও তাঁর কন্যার পুজো কাটবে কারাগারে

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ২০২২ সালে তাঁর দুর্গাপুজো কেটেছিল আসানসোলের কারাগারের ভিতরেই। এবারেও তাঁর পুজো কাটছে দিল্লির তিহার জেলে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই গ্রেফতার করা হয় গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলে কন্যা সুকন্যাকেও। জেলে তাঁর এটা প্রথম দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)।

    জেলে বসে পুজো কাটাবেন শাসক দলের একাধিক নেতা-বিধায়ক

    গত বছর ঠিক পুজোর (Durga Puja 2023) পরেই ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এবারে প্রথম তাঁর দুর্গাপুজো জেলে বসেই কাটছে। প্রসঙ্গত মানিক ভট্টাচার্যের গোটা পরিবারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর স্ত্রীর জামিন হলেও পুত্র এখনও জেলে রয়েছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে। এবারে কুন্তলের দুর্গাপুজো কাটছে জেলে বসেই। কুন্তলের নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন বারাসতের তাপস মণ্ডল। একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকর্তা তাপস চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন। চলতি বছরের ১১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবারে তাঁর প্রথম পুজো কাটছে জেলে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। জেলে জীবনকৃষ্ণের এটাই প্রথম দুর্গাপুজো। চলতি বছরের মে মাসের ৩০ তারিখে গ্রেফতার করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কালীঘাটের কাকুকে। কালীঘাটের কাকুর পুজো এবার কাটছে কয়েদি হিসেবে হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share