Tag: Bengali news

Bengali news

  • Mahua Moitra: অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন! মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলফনামায় স্বীকার ব্যবসায়ীর

    Mahua Moitra: অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন! মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলফনামায় স্বীকার ব্যবসায়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার ইস্যুতে আরও চাপে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। প্রসঙ্গত মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছে অর্থ ও উপহারের বিনিময়ে আদানি গোষ্ঠী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি চাপে ফেলতে চেয়েছেন। ইতিমধ্যে হলফনামায় ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি স্বীকার করেছেন যে তিনি মোদি সরকার এবং আদানি গোষ্ঠীকে অস্বস্তিতে ফেলার মত প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) দিয়ে প্রশ্ন করিয়েছেন সংসদে।

    বিজেপির অভিযোগ কার্যত স্বীকার শিল্পপতি হীরানন্দানির

    যে সমস্ত অভিযোগ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তুলেছেন মহুয়ার বিরুদ্ধে, তার কার্যত সবগুলোই মেনে নিয়েছেন তাঁর হলফনামা হীরানন্দানি। শিল্পপতির হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে যে নানা কারণেই সাংসদের আবদার মেটানো হতো। বিলাসবহুল সামগ্রী কিনে দেওয়া হতো। দিল্লির সরকারি বাসভবন সংস্কার করে দেওয়া হতো। ছুটি কাটাতে বা বেড়ানোর খরচও দেওয়া হতো দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি বিদেশেও। হীরানন্দানি আরও জানিয়েছেন, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় ২০১৭ সালে। প্রসঙ্গত সে বছরে বেঙ্গল বিজনেস সামিট কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই যোগ দিতে এসে মহুয়ার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয়। এ সময় ব্যবসায়ী হীরানন্দানির মনে হয় যে মহুয়ার মাধ্যমেই তিনি অবিজেপি রাজ্যগুলিতে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

    হলফনামায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং শশী থারুরের নাম

    ওই ব্যবসায়ীর হলফনামায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং শশী থারুরের কথাও উঠে এসেছে। দর্শন হিরানন্দানির কাছে অর্থে এবং উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), এই অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। গত রবিবার এ নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ পাঠান বিজেপি সাংসদ দুবে। মঙ্গলবারই ওম বিড়লা সংসদের এথিক্স কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন যে অভিযোগ কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখতে। এরই মাঝে দুবাই-কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী হীরানন্দানির হলফনামা সামনে এসেছে গতকালই। মহুয়া মিত্রের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে ওই শিল্পপতিকে তিনি সংসদের লগ ইন আইডিও দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ২০/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ২০/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সকলে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন।

    ২) দাম্পত্য জীবনে সমস্যা থাকলে, তা থেকে মুক্তি পাবেন।

    বৃষ

    ১) আয় মাথায় রেখে ব্যয় করুন, তা না-হলে ভবিষ্যতে সমস্যায় জড়াতে পারেন। সম্পত্তি কমে যেতে পারে।

    ২) নববিবাহিত দম্পতিরা ভালো সংবাদ শুনতে পাবেন।

    মিথুন

    ১) আজ কাউকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে তা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

    ২) ব্যবসায়ীদের মনে যে চিন্তাভাবনা আসবে, তা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর করুন। তখনই লাভ ও সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় সমস্যার সম্মুখীন হলে, তা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন।

    ২) প্রেম জীবনে নতুন শক্তি সঞ্চারিত হবে। সুসংবাদ পাবেন।

    সিংহ 

    ১) সন্তানের তরফে হতাশার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই তাদের ওপর কড়া নজর রাখুন।

    ২) ব্যবসায় কারও পরামর্শে কোনও কাজ করবেন না।

    কন্যা

    ১) জীবনসঙ্গী নতুন কোনও ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ভাইয়ের পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে গেলে লাভ হবে।

    ২) সন্তানের তরফে সুসংবাদ পাবেন।

    তুলা 

    ১) পুরনো লেনদেন শোধ করতে সফল হবেন।

    ২) মাথাব্যথা, জ্বর হতে পারে। তাই এ সব থেকে সাবধান থাকুন।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের আমদানি মাথায় রেখে কাজ না-করলে আর্থিক সংকট মোকাবিলা করতে হবে। তাই ভবিষ্য়তের জন্য অর্থ সঞ্চিত করুন।

    ২) বিবাহযোগ্য জাতকরা বিয়ের প্রস্তাব পেতে পারেন। পরিবারের সদস্যরা তাতে মঞ্জুরি দেবেন।

    ধনু

    ১) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আজ হতাশাজনক সংবাদ শুনতে পাবেন। সন্তানের উন্নতি দেখে মন প্রসন্ন হবে।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে শপিংয়ে যেতে পারেন।

    মকর

    ১) পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় দৌড়ঝাঁপ করতে হবে। অর্থ ব্যয় হবে।
     
    ২) শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যের সঙ্গে বিবাদ চললে জীবনসঙ্গীর সাহায্যে তার সমাধান হবে।

    কুম্ভ

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত হবে।

    ২) ব্যবসায়ে নতুন শত্রু উৎপন্ন হতে পারে। এঁরা আপনার উন্নতি দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়বেন।

    মীন

    ১) খাওয়া-দাওয়ার যত্ন না-নিলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

    ২) একাগ্রচিত্তে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন, তখনই সাফল্য লাভ করবেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Palestine: যুদ্ধের মাঝে ইজরায়েলের পর প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা মোদির

    Palestine: যুদ্ধের মাঝে ইজরায়েলের পর প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস ( Palestine) যুদ্ধের মাঝে নেতানিয়াহুর পরে এবার প্যালেস্তাইনের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গাজার হাসপাতালে নিহত প্যালেস্তাইনের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সমবেদনাও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদি এরকম যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্যালেস্তাইনের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সমস্ত রকম মানবিক সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন।

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর 

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘প্যালেস্তাইনের ( Palestine) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং সেখানকার সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনায় আমি সমবেদনা জানিয়েছি।’’

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ১৩ তম দিনে পা দিল

    প্রসঙ্গত এদিন সকালেই বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ইজরায়েলের ওপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি বলেন যে সমস্ত আন্তর্জাতিক মহলকে এক হতে  হবে সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করার জন্য।  গত সাত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ১৩ তম দিনে পা দিল। এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে প্রায় ৩,৭০০ এর বেশি প্যালেস্তাইনের ( Palestine) সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১,৪০০ এর বেশি ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে এদিনই ইজরায়েলকে সমর্থন করতে তেল আভিভে পৌঁছলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সুনক জানান, তিনি ইজরায়েলে (Israel-Hamas Conflict) রয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই চলছে, সেই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে তিনি রয়েছেন বলে জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। সফরের আগে একটি বিবৃতি দিয়ে ব্রিটেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু যন্ত্রনার। হামাসের সন্ত্রাসবাদী হামলার ফলশ্রুতি এই এত মানুষের মৃত্যু।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Body Weight: পুজোর আগে তড়িঘড়ি ওজন কমানো? খাবার বাদ দিলে বিপদ হবে না তো?

    Body Weight: পুজোর আগে তড়িঘড়ি ওজন কমানো? খাবার বাদ দিলে বিপদ হবে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরে আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঢাকে কাঠি পড়বে। কেতাদুরস্ত জামাকাপড় পরতে, আর নিজেকে সুন্দরভাবে সাজাতে অনেকেই দ্রুত ওজন কমিয়ে একেবারে ফিট (Body Weight) হতে চাইছেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে ওজন কমানোর ইচ্ছে অন্য বিপদ বাড়াচ্ছে না তো?

    দ্রুত ওজন হ্রাস অন্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন (Body Weight) কমলে তা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই দ্রুত রোগা হওয়ার ইচ্ছে যথেষ্ট বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই খাবারে কাটছাঁট করেন। ভাত, রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। প্রয়োজনীয় প্রোটিন খান না। আর এই সবের জেরেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, রক্তচাপ কমে যায়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। যে কোনো বড় শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। 
    এছাড়া দ্রুত ওজন কমলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কারণ, দ্রুত ওজন কমালে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের উপরে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পাশপাশি এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। ওজন সামান্য বেড়ে গেলেও তখন এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। যা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    কীভাবে নিয়ম মেনে ওজন কমবে? (Body Weight)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন কমানোর পরিকল্পনা করা উচিত নয়। তবে, পুজোর আগে কয়েকটি জিনিস মেনে চললেই শরীর সুস্থ থাকবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবারের তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া চলবে না। কিন্তু খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে। পেট ভরে খাবার খাওয়া জরুরি। তাই প্রচুর সবুজ সব্জি যেমন বাঁধাকপি, পালং শাক, গাজর, পেপে, লাউ খেতে হবে। এগুলো ভিটামিন, ফাইবার সমৃদ্ধ। ফলে, শরীরের নানান চাহিদা পূরণ করে। 
    প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। মটন একেবারেই চলবে না। কারণ মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেয় না। ডিম, সোয়াবিন, মাছ, চিকেন খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে। 
    তবে, নিয়মিত ফল খেতে হবে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মাল্টা, কিউই, সবুজ আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল খাওয়া দরকার। এতে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা মেটায়। আর ওজন (Body Weight) বাড়তে দেয় না। 
    তবে, খাওয়ার দিকে নজর দেওয়ার পাশপাশি জরুরি নিয়মিত যোগাভ্যাস। কারণ শারীরিক কসরত নিয়মিত করলে তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীর সুস্থ থাকবে। তাই ওজন কমাতে তাড়াহুড়ো নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরিকল্পনা মাফিক নিয়মমাফিক জীবন যাপন ওজনে রাশ টানতে সাহায্য করবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: উৎসবের মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গির প্রকোপ! পুজোয় কি বাড়তে চলেছে ভোগান্তি? 

    Dengue: উৎসবের মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গির প্রকোপ! পুজোয় কি বাড়তে চলেছে ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দরজায় হাজির। কিন্তু মশা নিয়ে ভোগান্তি কমেনি রাজ্যবাসীর। পুজোর সময় সেই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বঙ্গবাসী। কলকাতা হোক কিংবা জেলা, বর্ষা বিদায় নিলেও ডেঙ্গি বিদায় নিচ্ছে না। তাই প্রত্যেক দিন বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। আর পুজোর মরশুমে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আরও নাজেহাল হচ্ছেন রাজ্যবাসী।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? (Dengue)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহে আবার বেড়েছে সংক্রমণ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেই ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে বলেও জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরপরেই আছে কলকাতা। সেখানেও আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের কাছাকাছি। ডেঙ্গি সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারের কমবেশি। গত দু’সপ্তাহে ডেঙ্গি সংক্রমণ ৬৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় এবছরে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি আরও বেশি দাপট দেখিয়েছে। পুজোর সময়েও ডেঙ্গির শক্তি অব্যাহত থাকবে বলেই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

    পুজোয় বাড়তি কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল? (Dengue)

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত। পুজোর সপ্তাহেও ডেঙ্গি (Dengue) শক্তি প্রকাশ করবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আর তার জেরেই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর মরশুমে প্রায় দু’সপ্তাহ স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরকারি হাসপাতাল অঘোষিত ছুটির মেজাজে চলে যায়। এমনকি সম্প্রতি কয়েক বছর কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই চলে দুর্গাপুজো। এই পরিস্থিতিতে হয়রানির শিকার হন রোগী ও পরিজনেরা। ডেঙ্গি যে হারে বাড়ছে, তাতে হাসপাতালে ভর্তির চাপ বাড়বে। কিন্তু পুজোর সময় অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, ভর্তি নিয়ে টালবাহানা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়নোর ভোগান্তি হতে পারে। 
    পাশাপাশি প্লেটলেটের আকাল আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রক্তদান শিবির তেমন হয়নি। আবার প্লেটলেটের চাহিদাও মারাত্মক বাড়ছে। তাই এই সময়ে রক্তের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

    কী বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতির আসল চিত্র সম্পর্কে প্রশাসন ওয়াকিবহাল। তাই বিশেষজ্ঞদের আর্জি, রাজ্যবাসী যাতে নির্বিঘ্নে পুজো উদযাপন করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করুক প্রশাসন। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নিশ্চিত করা, প্লেটলেটের জোগান বজায় রাখার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিলেই ভোগান্তি কমবে। আর সেটার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে বলে জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nanda Kumar: নন্দকুমারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভেঙে ৬ মাসের মধ্যে নতুন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল আদালত

    Nanda Kumar: নন্দকুমারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভেঙে ৬ মাসের মধ্যে নতুন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার (Nanda Kumar) ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সভা থেকে গ্রেফতার এবং প্রধান নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন সিপিএমের আরেক পঞ্চায়েত সদস্য ফণীভূষণ গুছাইত। হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এ দিন ওই মামলার শুনানি হয়। এরপরে বিচারপতি শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান বোর্ড ভেঙে দেওয়া এবং আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে নতুন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল? (Nanda Kumar)

    এবার পঞ্চায়েত (Nanda Kumar) নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের শীতলপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল। বিজেপি পাঁচটি, সিপিএম পাঁচটি, এবং বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল দু’টি আসন পায়। তৃণমূল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও সেখানে বামেরা বিরোধীদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড করতে উদ্যোগী হয়েছিল।  গত ১১ অগাস্ট ছিল পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের সভায় তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম এবং নির্দল সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, প্রধান নির্বাচনের সভা শুরুর ঠিক আগেই অফিসে আসে নন্দকুমার থানার পুলিশ। তারা পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে গোলমালের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আব্দুল জব্বরকে গ্রেফতার করে। এর জেরে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের চত্বরে জমায়েত থাকা সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে সে দিন পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ সিপিএম সমর্থকদের হঠিয়ে জব্বরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, তাঁদের তরফে প্রধান পদ প্রার্থী ছিলেন শেখ আব্দুল জব্বর। তাঁকে অন্যান্য বিরোধী দলের সদস্যরা যাতে সমর্থন করে প্রধান নির্বাচন করতে না পারে, সেই জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পরিকল্পনা করে সভা থেকে জব্বরকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে। গোলমালের পরে সিপিএম, বিজেপি এবং নির্দল সদস্যরা প্রধান নির্বাচন সভা বয়কট করে। ফলে তৃণমূল সদস্যরা সভায় প্রধান পদে তাঁদের দলের হাসিনা বিবিকে এবং উপ-প্রধানের পদে তপন বেরাকে নির্বাচিত করে বোর্ড গঠন করেন। শেখ আব্দুল জব্বর আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে ছিলেন। পরে, তিনি জামিন পান।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন,শেখ আব্দুল জব্বরকে পুরানো মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। জব্বর আমাদের প্রধান পদ প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, নন্দকুমারের (Nanda Kumar) বিডিও এই পুলিশ চক্রান্ত করে প্রধান নির্বাচনের সভা থেকে ওঁকে গ্রেফতার করে। আদালতের রায়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত বোর্ড অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতের রায়ে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, আদালতের রায়ের বিষয়টি শুনেছি। আমরা আদালতের নির্দেশ মাথা পেতে নেব। তবে, রাজ্যে সিপিএমের কোনও অস্তিত্ব নেই। বিজেপি কোন্দলে জড়িত। আদালতের নির্দেশ মেনে নতুন বোর্ড গঠনে উদ্যোগ নেবে তৃণমূল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজো নয়, ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: দুর্গাপুজো নয়, ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র অর্থ কষ্টের পাশাপাশি অন্ন কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে গ্রামের বাসিন্দারা ধনলক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। আশ্বিন মাসের সংক্রান্তি তিথিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের সরণগ্রামে। সেই পুজো এখন গ্রামের সার্বজনীন পুজো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিবার আশ্বিন মাসে সংক্রান্তি তিথিতে পুজোর আয়োজন করা হয়। ফলে, আলাদা করে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) প্রচলন গ্রামে সেভাবে নেই। দুর্গাপুজো নয় এই ধনলক্ষ্মী পুজোতেই পাঁচ দিন ধরে মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ।

    ধনলক্ষ্মী পুজোতে আর কোন কোন দেবী থাকেন? (Durga Puja) 

    গ্রামের বাসিন্দারা পুজোর (Durga Puja) কদিন একসঙ্গে মিলিত হন। এছাড়াও থাকে নিত্যদিন পুজো ও ভোগের ব্যবস্থা। প্রতিদিন রাতে লক্ষ্মী মঙ্গল গান অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া থাকে গ্রামীণ বিভিন্ন লোক সংগীতের আসর, ধনলক্ষ্মী পুজো হলেও রাম লক্ষণ সীতার মূর্তি আর মূল মূর্তি দুপাশে লব, কুশ ও হনুমান প্রতিমা পূজিত হয়। গ্রামের মহিলারা নিজের নিজের বাড়ি থেকে পূর্ণ ঘট অর্থাৎ চাল ভর্তি পূর্ণ ঘট নিয়ে আসেন মূল মণ্ডপে। সেখানেই ওই চাল জমা দিয়ে শূন্য ঘট নিয়ে চলে যান নদীতে। যেখান থেকে ঘট ভর্তি করে নিয়ে এসে দেবীর আবাহন শুরু হয়। এটাই রীতি। 

    লক্ষ্মী পুজো শুরু হওয়ার ইতিহাসে রয়েছে চমক

    গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানা যায় কৃষিভিত্তিক এই গ্রামে এক সময় অনটন দুর্ভিক্ষ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। সেখান থেকেই মুক্তি পেতে প্রায় ৮০ বছর আগে এই গ্রামের পূর্বপুরুষেরা দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময় এই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছিলেন। যে রীতি রেওয়াজ মেনে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল, সেই রীতি আজও মেনে চলা হয়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, ভগবানের আশীর্বাদে আর তাদের কোন আর্থিক সমস্যা নেই। বরং আগের থেকে গ্রাম উন্নত হয়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে গ্রামবাসীদের। ফলে, আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে ধনলক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে। বেড়েছে জাঁকজমকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamduni Case: কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডে সুপ্রিম নির্দেশ, মুক্তি পাওয়া অভিযুক্তদের মানতে হবে বিধিনিষেধ

    Kamduni Case: কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডে সুপ্রিম নির্দেশ, মুক্তি পাওয়া অভিযুক্তদের মানতে হবে বিধিনিষেধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়েছিল কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Case) দুই অপরাধী। সুপ্রিম কোর্ট সেই মুক্তির নির্দেশ রদ করে দিল। বৃহস্পতিবার এদেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে কামদুনি ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া ৪ জনকে বেশ কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে।

    ২০১৩ সালে কামদুনি ধর্ষণ মামলা

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে কামদুনিতে (Kamduni Case) ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে এক কলেজ  ছাত্রীকে। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে ৫ জন অপরাধীর মধ্যে দুইজনের ফাঁসির আদেশ হয় এবং বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ হয়। কামদুনি ধর্ষণ মামলায় দশ বছর কারাবাস হয়ে গিয়েছে এই যুক্তিতে মুক্তি পেয়ে যায় এই ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের তিন অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট চারজনেরই ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। পূর্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ (Kamduni Case) করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। বাকি ৪ অভিযুক্ত আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথকে বেকসুর মুক্তি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের অভাবেই এই রায় দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।

    সুপ্রিম নির্দেশ 

    কামদুনি ধর্ষণকাণ্ড (Kamduni Case) মামলায় যারা জেলের বাইরে রয়েছে তাদের জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    ১) জেলের বাইরে যারা রয়েছে তাদের প্রতি মাসে সোম এবং শুক্রবার থানায় হাজিরা দিতে হবে।

    ২) জেলের বাইরে থাকা কোনও আসামির যদি পাসপোর্ট থাকে তবে তা জমা দিতে হবে পুলিশের কাছে।

    ৩) প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর থানায় জমা দিতে হবে। এর পাশাপাশি মোবাইল তথ্য থানায় জানাতে হবে।

    ৪) অভিযুক্তরা কোনওভাবে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট তথা রাজারহাট থানার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ছাড়তে পারবে না।

    ৫) অভিযুক্ত চারজন কোথাও যাওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে পুলিশকে তাদের গতিবিধি জানাবে। কোথায় যাচ্ছে সে সংক্রান্ত তথ্য জানাবে, আবার ফেরার পরেও তথ্য পুলিশকে জানাতে হবে।

    ৬) নিজেদের বাড়ির ঠিকানা, থাকার জায়গা ঠিকানা পুলিশকে জানাতে হবে। যদি নিজেদের থাকার জায়গা বদল হয় সেটাও পুলিশকে জানাতে হবে।

    ৭) কোনওভাবেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না।

    ৮) কামদুনির (Kamduni Case) মতো যে কোনও অপরাধ তারা করতে পারবে না বা এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়াবে না।

    প্রসঙ্গত চলতি মাসের ৬ তারিখে কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলার কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলা যে তিনজনকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত তাদের মধ্যে একজনকে বেকসুর খালাস (Kamduni Case) করে হাইকোর্ট। বাকি দুজনের ফাঁসিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিকের গ্রামের বাড়িতে ইডি, তদন্তে কী উঠে এল?

    ED: পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিকের গ্রামের বাড়িতে ইডি, তদন্তে কী উঠে এল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের গ্রামের বাড়ি দেবগ্রামের ঘোড়াইক্ষেত্রে পৌঁচ্ছে গেল ইডি (ED)। মানিকের ছেলে সৌভিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বেআইনি লেনদেনের তথ্য ইডি-র হাতে এসেছে। দুর্নীতির তদন্তে আরও জোরদার করে তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    ইডি-র তদন্তে কী উঠে এল? (ED)

    ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে,  মানিক প্রভাব খাটিয়ে এসকেবি মেমোরিয়াল স্কুলের নাম পরিবর্তন করেছেন। ওই স্কুলের নাম পরিবর্তন করে বাবার নামাঙ্কিত করেন। সূত্রের খবর, ওই স্কুলেই মানিকের ছেলে সৌভিক এক লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। অভিযোগ, বিনা টেন্ডারে শুরু হয় ওই স্কুলের নির্মাণের কাজও। কিন্তু প্রশ্ন, সৌভিক ভট্টাচার্য এই এক লক্ষ টাকা কোথা থেকে দিয়েছিলেন? সেই টাকার উৎস কী? কীভাবেই বা মানিক বাবার নামে স্কুল তৈরি করেন? স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রাইমারি সেকশনের প্রধান শিক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। স্কুলের সমস্ত খাতাপত্রও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। এর আগে মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টে মানিকপুত্র সৌভিকের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে ইডি আধিকারিকরা তখন আদালতে পলাশিপাড়ায় একটি স্কুলের তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। সেই স্কুলে বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করে ইডি। সৌভিকের প্যান নম্বরের সূত্র ধরে একটি ক্লাব এবং এই স্কুলের অ্যাকাউন্টের খোঁজ পায় ইডি। এবার সে সবের তদন্ত করতেই ইডি আরও জোরদারভাবে নামে।

    ইডিকে কী জানালেন বিতর্কিত স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    এসকেবি মেমোরিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমন চৌধুরী ইডিকে (ED) বলেন,  সৌভিক ভট্টাচার্য আমাদের স্কুলের সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নন। আমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুল হচ্ছেন আমাদের স্কুলের সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্ট বিডিও নমিনেটেড। তবে সৌভিক ভট্টাচার্য একবার এক লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। তার বেশি নয়। তবে, এই স্কুলে মানিক ভট্টাচার্য কোনও টাকা দেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Climate Change: তীব্র তাপপ্রবাহে ২২০ কোটি মানুষ পড়বে সঙ্কটে, খরার পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানে

    Climate Change: তীব্র তাপপ্রবাহে ২২০ কোটি মানুষ পড়বে সঙ্কটে, খরার পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২০ কোটি মানুষ পড়তে পারে খরার কবলে। ভারত-পাকিস্তানে তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে। জলবায়ু পরিবর্তনে (Climate Change) ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! আবহবিদদের কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ সৃষ্টি হয়েছে। একটি গবেষণায় প্রসিডিংস অফ ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস (পিএনএএস) জার্নাল থেকে জানা গেছে, বিশ্বের তাপমাত্রা, বর্তমান মাত্রার চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে, প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ তাপপ্রবাহ এবং আদ্রর্তার শিকার হবে। এমনকী আরও বলা হয়, চরম তাপমাত্রার প্রভাবে, মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ঠান্ডা হতেও পারবে না।

    গবেষণায় কী বলা হয়েছে (Climate Change)?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট কলেজ অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, পারডু ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ সায়েন্সেস এবং পারডু ইনস্টিটিউট ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচারের গবেষকরা দেখেছেন যে সারা বিশ্বে, শিল্পায়ন হওয়ার আগের তাপমাত্রার (Climate Change) স্তর থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব পড়েছে। হিট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক রোগের প্রভাব অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষকে জলবায়ুর এই ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য তাপ প্রবাহ এবং খরাকে সহ্য করতে হবে। এমনকি তাপপ্রবাহে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

    প্রভাব পড়বে ভারতে

    ভারতের এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যে তাপমাত্রা (Climate Change) এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যে এলাকার মানুষ কোনও ভাবেই, এই তাপমাত্রাকে সহ্য করতে পারবে না। ফলে তীব্র খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ফসল উৎপাদন এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাষ্ট্র সঙ্ঘ এবং রেড ক্রস সোসাইটির সম্মিলিত রিপোর্টে বলা হয়, এই উষ্ণায়নের কারণে দক্ষিণ এশিয়া সহ আরও বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চল তাপপ্রবাহের কবলে আচ্ছন্ন হবে। তার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানে চরম প্রভাব পড়বে। 

    আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বক্তব্য

    আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে নগরায়ন, বৃক্ষ ছেদন, বেশিপরিমাণে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ জনিত কারণে ঋতুর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ছয় ঋতু আর চোখে পড়ছে না। ২০২৪ সালে ‘এল নিনো’ আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী প্রসান্ত মহাসাগরের চিলি, পেরু উপকুল এবং মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলের ‘এল নিনো’ তৈরি হলে, ভারতে বর্ষার মরসুমের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আশঙ্কা করা হচ্ছে কমে যাবে বৃষ্টিপাত। ২০১৫ সালে ‘এল নিনো’র প্রভাবে পড়েছিল ভারতে। বহু এলাকা বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে প্রচণ্ড খরার প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। ২০০৯ সালেও নিনোর প্রভাব পড়েছিল দেশে।

    নগরউন্নয়ন হল কলকাতা শহরের খামখেয়ালি আবহের (Climate Change) একটি প্রধান কারণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, কলকাতা এখন হিট-আই ল্যান্ডে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে এখনই যদি না ভাবা হয়, তাহলে আগামী দিন আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share