Tag: Bengali news

Bengali news

  • Kalyani: কল্যাণী বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা

    Kalyani: কল্যাণী বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হস্টেলের আবাসিক পড়ুয়াদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের গন্ডগোলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কল্যাণীর (Kalyani) উত্তর ভবানীপুর এলাকা। দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কল্যাণী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজন স্থানীয় লোকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কল্যাণীর (Kalyani) উত্তর ভবানীপুর এলাকায় নামী একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ রয়েছে। কলেজের পাশেই রয়েছে হস্টেল। গন্ডগোলের সূত্রপাত বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকে। হস্টেলের পাশে থাকা স্থানীয়  বাসিন্দাদের অভিযোগ, হস্টেলের আবাসিকরা পাড়ার লোকজনদের উদ্দেশ্য করে নানা কটুক্তি করে। গালিগালাজও চলে। মেয়েদের বাড়ির বাইরে বের হওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে এই ঘটনা ঘটছে। বিশ্বকর্মা পুজোর পর এই ঘটনা আরও বেড়ে যায় বলে অভিযোগ। হস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের বচসা হয়। পরে তা মিটেও যায়। মঙ্গলবারও পাড়ার লোকজনকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠে আবাসিক ছাত্রদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে পাড়ার লোকজন খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন। গত কয়েক দিনের গন্ডগোলের জেরে এদিন পাড়ার লোকজন দল বেঁধে হস্টেলের আবাসিকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। আবাসিক ছাত্ররা হস্টেল থেকে বেরিয়ে এসে পাড়ার লোকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। এরপরই পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে।

    হস্টেলের আবাসিকদের কী বক্তব্য?

    হস্টেলের আবাসিকদের অভিযোগ, পাড়ার লোকজন হস্টেল লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছুঁড়েছে। তাতে কয়েকজন জখম হয়েছে। পাশাপাশি ওরা বেশ কয়েকজন আবাসিককে কেউ মারধর করে। ঘটনা পর আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    কল্যাণীর (Kalyani) উত্তর ভবানীপুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, হস্টেল থেকেই আবাসিকরা দল বেঁধে পাড়ার মধ্যে ঢুকে পড়ে। কয়েকজনের বাড়িতে ঢুকেও তারা হামলা চালিয়েছে। ইট ছুঁড়ছে। প্রতিবাদ করলেই আমাদের চড়াও হয় আবাসিক পড়ুয়ারা। ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Death: ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু স্কুলছাত্রীর! রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

    Dengue Death: ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু স্কুলছাত্রীর! রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি প্রাণ কেড়ে নিল এবার এক স্কুলছাত্রীর। সে নাবালিকা ছিল এবং দক্ষিণ দমদমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিল বলে জানা গেছে। পড়াশুনা করত মতিঝিল গার্লস হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে। রাজ্য জুড়ের ডেঙ্গির দাপটে শোরগোল পড়েছে। জেলায় জেলায় ডেঙ্গির দাপটে নাজেহাল অবস্থা। ইতি পূর্বে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রানাঘাট কলেজের এক ছাত্রের মৃত্যু (Dengue Death) হয়েছিল। শুধু তাই নয়, ভাঙড়ে আরও এক ব্যক্তি প্রথমে বেলেঘাটা হাসপাতালে জ্বর নিয়ে ভর্তি হন এবং পরে ডেঙ্গির জন্য তাঁর মৃত্যু হয়। পুরসভারগুলি সঠিক সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উঠেছে প্রশ্ন।

    ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু (Dengue Death)

    রাজ্যে জুড়ে ডেঙ্গির কবলে মৃত্যুর (Dengue Death) সংখ্যা দাঁড়াল এই নিয়ে মোট ৫। সূত্রে জানা গেছে, এই ছাত্রী প্রবল জ্বর নিয়ে ভিআইপি রোডের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। এরপর ডেঙ্গিজ্বরেই মৃত্যু হয় তার। উল্লেখ্য, তার ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির কথা বলা হয়েছে। এর আগেও দমদমে আরও এক জনের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গেছে।

    কলকাতা পুরসভার ভূমিকা

    দমদমের বিভিন্ন এলাকায় যেমন ডেঙ্গির প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেই সঙ্গে কলকাতায়ও বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গির প্রভাব। পুরসভার পক্ষ থেকে ডেঙ্গির মোকাবেলায় ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষকে পথে নামতে দেখা গেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ডেঙ্গি নিয়ে এতদিন শাসক দল সাড়া না দিলেও ডেঙ্গিতে মৃত্যুর (Dengue Death) সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধির কারণে প্রশাসনের উপর চাপ তৈরি হয়েছে। সামনে পুজো, তাই পুরসভার সক্রিয়তা কিছুটা হলেও চোখে পড়েছে। ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে কামারডাঙা রেল কলোনি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। কাউন্সিলার স্বপ্ন সমাদ্দার ও অতীন ঘোষ এলাকা পরিদর্শনে যান। এই তৃণমূল কাউন্সিলারের দাবি, রেলের কারণে এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।

    খবু দ্রুত মিলতে পারে ডেঙ্গির ভ্যাকসিন

    ডেঙ্গির ভয়াবহতা এবং মৃত্যুর (Dengue Death) মধ্যেই সূত্রে খবর মিলছে যে ডেঙ্গির ভ্যাকসিন দ্রুত মিলতে পারে। এই বছর নভেম্বরেই হতে পারে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। আইসিএমআর এবং প্যানাসিয়া বায়োটেক লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে হবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। দেশের মোট ২০ টি স্থানে হবে এই প্রাথমিক ট্রায়াল। বেলেঘাটার নাইসেডে একটি কেন্দ্র হবে বলে জানা গেছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়তো!

    Uttar Dinajpur: দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়তো!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনেদুপুরে শুটআউট। এবারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নিহত তৃণমূলের প্রধানের নাম মহম্মদ রাহির। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ইসলামপুরের  পাঞ্জীপাড়া এলাকায়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে খুন কিনা তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Uttar Dinajpur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) পাঞ্জীপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মহম্মদ রাহিরকে দলীয় এক সদস্যকে নিয়ে বাইকে করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পঞ্চায়েত দফতরের সামনে তাঁকে লক্ষ্য করে দুদফায় এলোপাথাড়়ি গুলি করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পাঞ্জীপাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর পেটে এবং হাতে গুলি লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তাঁর শারীরিক  অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, তৃণমূলের ওই প্রধান বাইকে করে যাচ্ছিলেন। পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দুটি বাইকে কয়েকজন দুষ্কৃতী আসে। এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। পঞ্চায়েত অফিস থেকে তিনি ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। পিছনে ধাওয়া করে তাঁকে ফের গুলি চালানো হয়। এরপর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যান। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটালো তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পাঞ্জীপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শান্তি রঞ্জন মৃধা বলেন, এই ধরনের ঘটনা আমাদের এই এলাকায় এর আগে হয়নি। পঞ্চায়েত প্রধান অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তাঁর মতো মানুষকে এভাবে হামলার করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    কী বললেন জেলা নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, পরিকল্পিতভাবেই দলীয় প্রধানের উপর হামলা চালানো হয়েছে। তাঁর সঙ্গে দলের এক পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। একনও হামলার কারণ স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন জেলাশাসক?

    জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনার পর পুলিশ বিষয়টি দেখছে। এখনও কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri : ঘরে ঢুকে শিশু চুরির চেষ্টা! মশারির ভিতর যুদ্ধ করে সন্তানকে বাঁচালেন বাবা-মা

    Jalpaiguri : ঘরে ঢুকে শিশু চুরির চেষ্টা! মশারির ভিতর যুদ্ধ করে সন্তানকে বাঁচালেন বাবা-মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে ঢুকে সন্তান চুরির চেষ্টা করলে মাশারির ভেতরেই দুষ্কৃতীকে সটান লাথি মেরে ফেলে দিয়ে সন্তানকে রক্ষা করলেন মা-বাবা। এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি এলাকায়। কলকাতায় শিশু চুরি করে পাচার করার ঘটনার কথা প্রায় শোনা যায়। এবার উত্তরবঙ্গের শিশু চুরির ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের দিকে আঙুল তুলছেন।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Jalpaiguri)?

    মঙ্গলবার গভীর রাতে বাড়ির বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতী। উদ্দেশ্য ছিল বাড়ির (Jalpaiguri) শিশুকে চুরি করা! বিছানার মশারির ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে চুপিসারে শিশুকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করতেই, বাবা-মায়ের সঙ্গে যুদ্ধ বাধে দুষ্কৃতীদের। মা, শিশুর কান্নার শব্দ টের পেতেই তার হাত চেপে ধরেন। এরপর বিছানা থেকে দুষ্কৃতীকে লাথি মেরে ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে বাবা মশারির ভিতর থেকে হাত বাড়িয়ে দুষ্কৃতীর মাথা চেপে ধরে প্রহার শুরু করেন। এরপর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী। নিজের সন্তানকে রক্ষা করে বাবা-মা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

    শিশুর বাবা-মায়ের বক্তব্য

    ঘটনার কথা জানিয়ে বাবা বরুণ দাস বলেন, “মোটামুটি রাত তখন তিনটে বাজে। আমাদের গভীর ঘুমের মাধ্যেই দুষ্কৃতীরা মাটির ঘরের বেড়া ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরপর আমার সন্তানকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে চাইলে, কান্নার শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙে যায়। এরপর দুষ্কৃতীদের সঙ্গে একপ্রকার লড়াই করে আমাদের সন্তানকে রক্ষা করতে হয়। কিছুক্ষণ পরে আমাদের চিৎকারে আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় পুলিশ এসে হাজির হয়। পুলিশের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হয়। ধূপগুড়ির স্থানীয় থানার (Jalpaiguri) পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শিশু চুরি করতে আসা কি মূল উদ্দেশ্য ছিল? নাকি শুধু ঘরের সিঁধ কেটে কেবল চুরি করতে এসেছিল! এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এলাকার নিরাপত্তার কথা বলে সাধারণ মানুষ পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • BGBS: শুরু হয়েছে ‘কুমিরছানা’ বিজনেস সামিট! এবারও কি কোটি কোটি টাকা কার্যত জলেই যাবে?

    BGBS: শুরু হয়েছে ‘কুমিরছানা’ বিজনেস সামিট! এবারও কি কোটি কোটি টাকা কার্যত জলেই যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার মসনদে রয়েছেন নয় নয় করে ১২ বছর হয়ে গেল। সময়টা নেহাত কম নয়। শিল্প আনার নাম করে এই ক’বছরে তিনি ছ-ছটি বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট করে এলাহি আয়োজনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছেন। বিজিবিএসের (BGBS) সপ্তম এডিশন শুরু হয়েছে কলকাতায়, চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। উল্লেখ্য, শেষ শিল্প সম্মেলনের প্রাপ্তি হিসেবে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, মউ, লেটার অফ ইনটেন্টস (এলওআই) এবং এক্সপ্রেশনস অফ ইন্টারেস্ট (ইওআই) যা এসেছে, তার সংখ্যা ১৩৭, বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। এই পরিমাণ বিনিয়োগ থেকে চাকরি হতে পারে ৪০ লক্ষের। যদিও এই সময়ের মধ্যে কী হয়েছে, তা জানার সৌভাগ্য বাংলার মানুষের হয়নি। বড় কোনও শিল্প হয়েছে, তা দেখারও ভাগ্য কারও হয়নি।

    রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে

    বাস্তব ঘটনা হল, কী হতে চলেছে, তা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বাংলার মানুষ জানেনই না, এরপর রাজ্যে সত্যিকারের কত শিল্প এসেছে, বাস্তবে কত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে, আর প্রকৃতপক্ষে কতজন চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু এটা জানেন, অনাহারে থাকতে থাকতে হতাশার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে লক্ষ লক্ষ মানুষ কীভাবে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে একটু রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। ২ জুন ওড়িশার সেই ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার কথা কারোরই মন থেকে মুছে যায়নি। যে সব প্রাণ অকালে ঝরে গিয়েছিল, তাঁর মধ্যে এই রাজ্যেরই ছিলেন ১০৩ জন, যাঁরা একটু কাজের আশায় দক্ষিণের রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন। মিজোরামের আইজলের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা নিশ্চই কেউ ভুলে যাননি। নির্মীয়মাণ রেল ব্রিজের কাজ করতে গিয়ে অকালে ঝরে গিয়েছিল ২৩টি প্রাণ, যারা সকলেই এই রাজ্যেরই মালদার বাসিন্দা। এইসব ঘটনাই বলে দিচ্ছে, রাজ্যে চাকরির পরিস্থিতি কতখানি সঙ্গিন।

    বিজনেস সামিটেও (BGBS) মিথ্যাচার?

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্যে মিথ্যাচারেরও অভিযোগ উঠেছে আগেই। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের প্রশ্নের উত্তরে সেই সময় রাজ্যের অর্থ এবং শিল্পমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৫টি বিজিবিএসে (BGBS) মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল ১২.৩২ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে কার্যকর হয়েছে অর্ধেক, ৬.২ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু ভারত সরকারের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অফ প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারন্যাল ট্রেড (ডিপিআইআইটি) থেকে পাওয়া তথ্যে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই ৫ বছরে রাজ্য বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে ৩৭ হাজার ৫১ কোটি টাকার, যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার প্রকল্প কার্যকর হয়েছে, যা রাজ্য সরকার যা দাবি করেছে, সেই বিনিযোগ প্রস্তাবের মাত্র ২.৫ শতাংশ।

    উৎপাদন, আয় সবই কমছে

    এবার দেখা যাক, অমিত শাহ ২০২০ সালে কী বলেছিলেন, যা শুনে মমতা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন। অমিত শাহ তথ্য দিয়ে বলেছিলেন, স্বাধীনতার সময় দেশের মোট শিল্প উৎপাদনে বাংলার অংশ ছিল ৩০ শতাংশ। কিন্তু তা নেমে এসেছে মাত্র ৩.৫ শতাংশে। অমিত শাহ আরও জানিয়েছিলেন, ১৯৬০ সালে বাংলার জনপ্রতি আয় ছিল মহারাষ্ট্রের ১০৫ শতাংশ। কিন্তু সেটাও কমে হয়ে গেছে অর্ধেক।

    সিঙ্গুরের ক্ষত মোছার নয়

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক তাই সাফ বলেছেন, এইসব করে কোটি কোটি টাকা খরচই হবে, কোনও নতুন শিল্প আসবে না। বরং বড় বড় শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দার্জিলিং যেমন সুইৎজারল্যান্ড হয়নি, তেমনই মমতার স্পেন সফরে শিল্পের বন্ধ্যা দশা আদৌ কাটবে না। কাজে আসবে না এইসব বিজনেস সামিট। তার জন্য দরকার পরিকাঠামো, সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ। সে সব কোথায় পশ্চিমবঙ্গে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৭ সালে যে সিঙ্গুর আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেটাই এখন হয়ে গেছে ব্যুমেরাং। এখন তিনি সেই খতে প্রলেপ দিতে যতই বিদেশ ঘুরুন, যতই বিজিবিএস (BGBS) করুন, যে ব্ল্যাক স্পট তাঁর সরকারের গায়ে লেগে গিয়েছে, তা আর মোছার নয়। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতার স্পেন সফর ছিল নেহাতই প্রমোদ-ভ্রমণ এবং পুরোপুরি রাজনৈতিক সফর, এর সঙ্গে শিল্পের কোনও সম্পর্ক নেই। কতদিন তিনি এইভাবে কুমিরছানা দেখিয়ে রাজ্যবাসীকে বোকা বানিয়ে রাখবেন, সেটাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের গরিব নাপিত রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের গরিব নাপিত রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা। সামান্য রোজগার করে পরিবারের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজের ভাগ্য পরীক্ষার জন্য লটারি কাটতেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের বাসিন্দা রবিউল শেখ। পেশায় তিনি নাপিতের কাজ করেন। তাঁর রোজগার খুবই কম। কিন্তু, তাঁর নেশা এমনই যে সেই উপার্জনের বেশির ভাগই খরচ করতেন লটারির টিকিট কিনতে। এ নিয়ে সংসারে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সন্তানদের গৃহশিক্ষকের মাসিক বেতনটুকুও মাঝে মাঝে দিতে পারেন না বলে ঝামেলা হয়েছে। তবু, প্রতিদিন লটারির টিকিট কেটে গিয়েছেন। রবিউল পরিবারে অশান্তির ভয়ে এ বারের লটারির টিকিট কেনার কথাটা বাড়ির কাউকে বলেননি। সেই লুকিয়ে রাখা টিকিটেই ভাগ্য খুলে গেল তাঁর। সোমবার রাত পর্যন্ত গরিব নাপিত রবিউল মঙ্গলবার হয়ে গেলেন কোটিপতি। সকাল থেকে রবিউলের বাড়িতে উপচে পড়ছে প্রতিবেশীদের ভিড়।

    কবে লটারি কেটেছিলেন রবিউলসাহেব ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের রঘুনাথপুর মালিপাড়া গ্রামে বাড়ি রবিউলের। তাঁর একটি গুমটি দোকান আছে। সেখানে লোকের চুল-দাড়ি কাটেন তিনি। যেদিন খদ্দের খুব ভাল হয়, সে দিন আয় হয় দেড়শো থেকে দুশো টাকা। এই সামান্য রোজগারে তিনি নিয়মিত লটারি কাটতেন বলে অভিযোগ। এ হেন রবিউল ১৭ সেপ্টেম্বর এলাকার একটি দোকান থেকে ৬০ টাকায় একটি লটারির টিকিট কাটেন। আবার এ নিয়ে ঝগড়া হবে বলে বাড়ির কাউকে কিছু বলেননি। রাতে মিলিয়ে মিলিয়ে দেখছিলেন টিকিট নম্বর। সোমবার রাতে এক জন ফোন করে বলেন, ‘লটারি লেগেছে তোর।’ প্রথমে এই কথা বিশ্বাসই করতে পারেননি রবিউল। বার বার নম্বর মিলিয়ে দেখতে থাকেন। ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে বুঝতে পেরে মঙ্গলবার সেই টিকিট নিয়ে তিনি হাজির হন থানায়। পুলিশি নিরাপত্তায় সুরক্ষিত করা হয় রবিউলের লটারির টিকিট।

    সদ্য কোটিপতি রবিউল ও তাঁর মায়ের কী বক্তব্য?

    সদ্য কোটিপতি হওয়া রবিউলের বক্তব্য, কত অশান্তি সহ্য করেছি। তবুও স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। বাড়ির লোকের ভয়ে টিকিট কেটে লুকিয়ে রাখতাম। টিকিট মেলাতে গিয়ে এক কোটি টাকার পুরস্কার পেয়ে গেলাম। খুবই ভালর  লাগছে। ছেলের লটারি জেতা নিয়ে রবিউলের মা নাবেহার বিবি বলেন, ছেলের চিন্তায় ঘুম হত না আমার। কী ভাবে নাতি নাতনির পড়াশুনা করাবে, সেটাই ভাবতাম। এত দিনে ওর সপ্ন সত্যি হয়েছে। ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে” তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বক্তব্যে তোলপাড়

    Howrah: “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে” তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বক্তব্যে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষায় হাওড়া (Howrah) শহরের বুকে রীতিমতো ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। পরিস্থিতি যখন এতটাই ভয়াবহ, তখন তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যান বললেন, “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে”। আর এই মন্তব্যেরই বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছেন। এলাকায় পুরসভার জীর্ণ স্বাস্থ্য কাঠামোর বিষয় থেকে নজর ঘোরাতেই বহিরাগত মানুষের কথা তুলে ধরছেন তৃণমূলের এই নেতা। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়। কিন্তু বহিরাগত মানুষের কারণে কীভাবে ম্যালেরিয়া ছড়াবে! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এই মন্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় মাত্র। বর্তমানে মশাবাহিত রোগের প্রকোপে অতিষ্ঠ হাওড়াবাসী। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। উঠছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্নও।

    ম্যালেরিয়ায় উদ্বেগ (Howrah)

    হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন শহরের বাসিন্দারা। তার মধ্যে আবার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ঘটনা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বাসিন্দাদের। যদিও হাওড়া পুরসভার দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ

    হাওড়া পুরসভার নাগরিকরা বলেছেন, ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ছোট থেকে বড়, সকলে জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাওড়া জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশারি টাঙিয়ে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, যাঁরা জ্বর নিয়ে আসছেন তাঁদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। কেউ কেউ ডেঙ্গি, কেউ বা আবার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে কিছু রোগীকে ভর্তি করতে হচ্ছে।

    কমলেশ রাম নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, “আমার দিদির ম্যালেরিয়া হয়েছিল। জ্বর কমছিল না। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়”। অপর দিকে মিঠু মুখার্জি নামে আরও এক রোগীর এক আত্মীয় জানান, নাতনির বারবার জ্বর আসছিল। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার যেভাবে হচ্ছে, তাই ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দিতে হয়েছে। এখন তার চিকিৎসা চলছে। হাওড়া হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল মশার কামড় রুখতে রোগীদের শয্যায় মশারি খাটানো হয়েছে।

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কত?

    হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৮ জন। বর্তমানে ৪, ২৩ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। হাওড়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে স্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। এই বছরের অগাস্ট মাস পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮।

    পুরসভার বক্তব্য

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসমন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন যে ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন কিছু মানুষ। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “এই দুই রোগের প্রকোপ দেখা দিলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। কারণ ওই ওয়ার্ডে মঙ্গলাহাট এবং লরি পার্কিং জোন থাকায় প্রচুর বাইরের মানুষ নিয়মিত আসেন। সেখান থেকেই এই ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে”। ফুটপাতের বাসিন্দাদের জন্য মশারি বিতরণের পাশাপাশি সচেতনতা মূলক প্রচার করা করছেন বলে জানা গেছে। তিনি সকলকে ঘুমের সময় মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nipah Virus: নিপার কবলে পশ্চিমবঙ্গ? উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী! ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

    Nipah Virus: নিপার কবলে পশ্চিমবঙ্গ? উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী! ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর কি নিপার (Nipah Virus) কবলে পড়তে চলেছে রাজ্যবাসী! সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রের খবর সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের মঙ্গলকোট এলাকার এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি-কাশি, বমির মতো উপসর্গ নিয়ে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখান থেকেই চিকিৎসকদের আশঙ্কা হয়, তিনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরেই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপসর্গ দেখে সেখানেও চিকিৎসকদের আশঙ্কা, তিনি নিপা ভাইরাসে (Nipah Virus) আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরেই তাঁর প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-তে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে তবেই নিশ্চিন্ত হতে পারবে চিকিৎসক মহল।

    কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল? 

    কেরলে ইতিমধ্যেই নিপা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়াতে শুরু করেছে। কোঝিকোড় সহ কয়েকটি জায়গায় আইসোলেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রোগ ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু দিন কয়েক আগেই, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট জানিয়েছিল, কেরল ছাড়াও তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো রাজ্যগুলোয় নিপা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিপা হয় বাদুড় থেকে। বিশেষত তাল আর খেজুর গাছে এই বাদুড় থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে খেজুরের রস খাওয়ার রীতি রয়েছে। এমনকি খেজুর রস পচিয়ে নেশার পানীয় তৈরির রীতিও চালু আছে। আর সেখান থেকেই নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।

    কীভাবে জানান দেয় নিপা? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটানা তিন থেকে চার দিন জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, সর্দির মতো উপসর্গ নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের জানান দেয়। তাই এই উপসর্গ দেখা দিলে আর দেরি করা উচিত নয়। দ্রুত আলাদা ঘরে থাকা উচিত। যাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রোগ (Nipah Virus)  না ছড়িয়ে পড়ে। পাশপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা দরকার। তবে, চলতি মরশুমে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো একাধিক রোগের উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা। আবার সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হলেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, দু থেকে তিনদিন জ্বর আর মাথাব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে আর অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজন রক্ত পরীক্ষার। কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে তা দ্রুত নিশ্চিত করা জরুরি। তবেই পরিস্থিতি মোকাবিলা সহজ হবে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে শিকার ধরা পড়ল জালে। পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে ধরা পড়ল দুষ্কৃতী। এরপর সূত্র ধরে, জয়নগরে দুই কামরার ঘরে মিলেছে অবৈধ বিশাল অস্ত্রের কারখানার (Arms Factory) হদিশ। পুকুরের মধ্যে লুকানো ছিল বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করতে এসে পুলিশ নিজেই হতবাক। এতো অস্ত্র! তদন্তকারী অফিসারের চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির মালিকের নাম রহমতুল্লা শেখ। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা (Arms Factory)

    গোপন সূত্রে পুলিশ আগেই খবর পেয়েছিল এই অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) সম্পর্কে। সময় বুঝে বারুইপুর থানার পুলিশের এসওজি, জয়নগর থানা এবং বকুলতলা থানার পুলিশ একত্রিত হয়ে অভিযান চালায়। পুলিশ নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে প্রথমে অস্ত্র কেনার জন্য ক্রেতা হিসাবে কারখানার মালিকের কাছে যায়। এরপর টাকা নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে যেতে বলে অস্ত্র কারবারীকে। ঠিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় মাল দেওয়ার কথা হয়। এরপর পুলিশ এলাকায় অনেক সময় অপেক্ষা করে তাকে গ্রেফতার করে।

    কী কী উদ্ধার হল?

    ধৃত কারখানার (Arms Factory) মালিক রহমতুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৮ টি ওয়ান শটার বন্দুক, দুটো লং পাইপ। অস্ত্র তৈরির পালিশ মেশিন, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত, হ্যাক্সো, বাটালি, হাতুড়ি, লোহার পাইপ ইত্যাদি উদ্ধার হয়। এই সব সরঞ্জাম দিয়ে অস্ত্র তৈরি করা হত বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, ধৃত ব্যাক্তি নিজের সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে এই বাড়িতেই বসবাস করতেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    বারুইপুর থানার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অপারেশন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই আমরা এই অভিযুক্তকে নজরে রেখেছিলাম। তবে এই ধৃত ব্যক্তির পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে কিনা, এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তদন্ত আরও এগোলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nimta: তোলা না দেওয়ায় নিমতায় নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nimta: তোলা না দেওয়ায় নিমতায় নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রোমোটারের কাছে তোলা না পেয়ে তাঁর নির্মীয়মান বহুতলে তাণ্ডব চালানোর  অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নিমতা (Nimta) থানার বিরাটি এলাকায়। নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি,অস্থায়ী ঘর, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রোমোটার। নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলার পাশাপাশি নগদ ৯৮ হজার টাকা লুটেরও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nimta)

    নিমতার (Nimta) বিরাটির এমবি রোডের ধারে রাহুল বাড়ুই নামে এক প্রোমোটার বহুতল তৈরি করছেন। সাত বছর আগে এই বহুতল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা স্বপন হালদার অর্থাৎ বর্তমানে উত্তর দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শেলি হালদারের স্বামীর ওই প্রোমোটারের কাছে তোলা চান। তোলা না পাওয়ায় এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গন্ডগোল চলছিল। একবার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপরেও বছর দু’য়েক আগে এই বহুতলের কাজ শুরু হয়। এরমধ্যে ফের তোলা চাওয়া নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতার গন্ডগোল হয়। এরপর ছয়- সাতজন দুষ্কৃতী এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। বহুতলের অফিসঘর ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকটি সিসি টিভি ছিল তা ভাঙচুর করে এবং সিসি টিভির হার্ডডিস্ক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছু নগদ টাকা ছিল। তাও লুঠ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ওই প্রোমোটার নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    কী বললেন প্রোমোটার?

    প্রোমোটার রাহুল বাড়ুই বলেন, বিরাটি সিদ্ধেশ্বরী বাজার এমবি রোডের ধারে এই নির্মীয়মাণ বহুতল। উত্তর দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন হালদারের লোকজন এসে নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি দেয়। ভাঙচুরের পাশাপাশি শ্রমিকদের টাকা মেটানোর জন্য অফিসে ৯৮ হাজার টাকা নগদ মজুত ছিল, তাও লুট করা হয়েছে। নিমতা (Nimta) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রোমোটারের সঙ্গে স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতার গন্ডগোল চলছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু, খোদ দলীয় কাউন্সিলারের স্বামীর বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ, পাশাপাশি নির্মীয়মাণ বহুতলে ভাঙচুরের ঘটনায় অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রোমোটার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আইন আইনের পথে চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share