Tag: Bengali news

Bengali news

  • BJP Murder: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    BJP Murder: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূলের তাণ্ডব লীলা শুরু হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। সেদিনই খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার (BJP Murder)। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। এরপরে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলাগুলির তদন্তভার নেয় সিবিআই। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারপিট সমেত একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রথম থেকেই দোষীদের শাস্তি পাওয়ার বিষয়ে সক্রিয় ছিলেন নিহতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এবার তাঁর ওপরেই হামলার অভিযোগ।

    শনিবার প্রাণঘাতী হামলা নিহতের দাদার ওপর 

    এরই মধ্যে গত শনিবার সিবিআই এর খাতায় ফেরার দুই অভিযুক্ত নাড়ু এবং অরুণ দে, বিশ্বজিৎ সরকারের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ১৬ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনার পরেই নারকেলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বজিৎ সরকার। শনিবার নিহতের দাদাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুই ফেরার আসামির (BJP Murder) বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ক্ষুর দিয়ে গলার নলি কাটারও চেষ্টা করা হয় বিশ্বজিৎ সরকারের, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এরপরেই সিবিআই-এর দ্বারস্থ হন নিহতের দাদা। তবে এটা প্রথম নয় আগেও প্রাণঘাতী হামলা হয় বিশ্বজিৎ এর ওপর। তখনও তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাণনাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ সরকারকে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিন্তু বিচারপতির নির্দেশের পরেও রাজ্য পুলিশ কোনও রকম নিরাপত্তা দেয়নি বলে অভিযোগ যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

    কেন সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হলেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা

    তাঁর ওপর হামলার পর পরই বিশ্বজিৎ সরকার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের খাতায় পলাতক অভিযুক্ত (BJP Murder) অরুণ দে বলছিল ক্ষুরটা বের কর ওর গলাটা কেটে দেব, সাক্ষ্য দিতে পারবে না। এর পরে রাস্তায় দুজন চলে আসায় ওরা পালিয়ে যায়। ওদের নামে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, আমার বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকলেও আমার সঙ্গে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী নেই।’’বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, এই ঘটনার পরে তিনি সিবিআই আধিকারিকদের ফোনও করেছেন। পলাতক নাড়ু এবং অরুণ দে’কে কেন ধরা হচ্ছে না সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন সিবিআইকে। এর পাশাপাশি তাঁর নিজের নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ফেরাররা (BJP Murder) কীভাবে এভাবে প্রকাশ্য রাস্তা ঘুরে বেড়াতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে খুন করেও নির্বিকার স্বামী! মেয়েকে নিয়ে ঘুরলেন এলাকায়

    Siliguri: স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে খুন করেও নির্বিকার স্বামী! মেয়েকে নিয়ে ঘুরলেন এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে, মেয়েকে নিয়ে পাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন স্বামী। শিলিগুড়ির (Siliguri ) এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে, ঘটনায় তদন্ত নেমেছে স্থানীয় পুলিশ। মৃত স্ত্রীর নাম সোনালি মণ্ডল এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাহুল মণ্ডল।

    কীভাবে ঘটল (Siliguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিলিগুড়ির (Siliguri) শিবমন্দিরের চাউমিন মোড় এলাকায় স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন স্বামী। খুনের পর পালিয়ে যাননি তিনি! মৃত স্ত্রীর দেহ ঘরে রেখে নিজের এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর মেয়ে। আবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুন করে স্ত্রীর মৃতদেহের মাথার পাশে একটি প্লাস্টিক রেখে তার নিচে একটি গামলা রেখে দেওয়া হয়েছিল। শরীরের রক্ত যাতে বাইরে বেরিয়ে জানাজানি না হয়, সেই চেষ্টাই করা হয় বলে পুলিশের অনুমান। এই নির্মম খুনের ঘটনায় প্রতিবেশীদের মধ্যে তীব্র ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার কথা শুনে অনেকেই আঁতকে উঠেছেন। নিজের স্বামী কীভাবে খুন করলেন, এটা ভেবেই প্রতিবেশীরা অবাক হয়ে যাচ্ছেন। 

    পুলিশের বক্তব্য

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম সোনালি মণ্ডল। খুনে অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাহুল মণ্ডল। তাঁদের একটি ছোট্ট কন্যাসন্তানও রয়েছে। রাহুল নিজে কাঠ পালিশের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, তাঁরা চাউমিন মোড়ে একটি ভাড়ার বাড়িতে থাকতেন। গত একমাস ধরে এই ভাড়ার বাড়িতে থাকছিলেন তাঁরা। সোমবার ভোর রাতে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়। পারিবারিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে অশান্তি চলছিল বলে জানা গেছে। ঘটনার দিনে ভোর বেলায় হাতুড়ি দিয়ে স্বামী, স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে খুন করে। খবর পেয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে, পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। অপর দিকে মাটিগাড়া থেকে খুনের অভিযোগে স্বামী রাহুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কী কারণে খুনের ঘটনা ঘটল, পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: এক সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজার! আইডি থেকে এমআর বাঙুর, ডেঙ্গির বেড নিয়ে হাহাকার! 

    Dengue: এক সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজার! আইডি থেকে এমআর বাঙুর, ডেঙ্গির বেড নিয়ে হাহাকার! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেসামাল ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। যদিও এরকম একটা পরিস্থিতি যে তৈরি হবে, তা বিরোধী দলনেতা থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগাম আন্দাজ করেছিলেন। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য বারবার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর তার জন্য বিপাকে কয়েক হাজার রোগী ও তাঁদের পরিবার।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। গত সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার। গত কয়েক বছরের সমস্ত রেকর্ড এবার ভেঙে যাবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে এ রাজ্যে ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরেও ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তদের অধিকাংশই উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, নদিয়া এবং হুগলি জেলার বাসিন্দা। গত কয়েক বছরের মতোই উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া, বসিরহাট, বারাসতের মতো এলাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। পাশপাশি বাড়তি চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে বিধাননগর। কারণ, সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের মতো স্মার্ট সিটিতেও ডেঙ্গি সংক্রমণ মারাত্মক। এক সপ্তাহে পাঁচশোর বেশি ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে শুধুমাত্র বিধাননগর এলাকায়।

    বেড নিয়ে হাহাকার অব্যাহত (Dengue)! 

    ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়তেই ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। রোগীর পরিজনদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, ডেঙ্গির জন্য বরাদ্দ শয্যা আর নেই বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে গেলেও জানানো হচ্ছে পর্যাপ্ত বেড নেই। তাই তাদের একের পর এক হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। রোগীর পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হচ্ছে। যেমন সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বসিরহাট থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তকে নিয়ে গিয়ে তাঁরা তিনদিন বেডের অপেক্ষায় রয়েছেন। বারাসত হাসপাতাল থেকে তাঁদের রেফার করা হয়েছে। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, পর্যাপ্ত শয্যা নেই। তাই বেড দেওয়া যাবে না। একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এমআর বাঙুর হাসপাতালের একাধিক রোগী। ভর্তির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। তারপরেও শয্যা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, বেলেঘাটা আইডি কিংবা এমআর বাঙুর ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন অধিকাংশ ভুক্তভোগী। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালেই সমস্যা হচ্ছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্তা মেনে নিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। একদিকে হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক করা জরুরি বলেও অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে ডেঙ্গির জন্য আরও বেশি শয্যা বরাদ্দ করতে হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, কাদের ভর্তি করতে হবে, সে নিয়ে আরও বেশি পর্যালোচনা জরুরি। কারণ, স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, সব ডেঙ্গি আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা যায়। তাই কাদের ভর্তি করতে হবে, সে বিষয়টি আরও খুঁটিয়ে দেখতে হবে বলেও এই বৈঠকে ঠিক করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: উদ্বোধনের দু’মাসের মধ্যেই নদীবাঁধে ধস, কাটমানির বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি

    South 24 Parganas: উদ্বোধনের দু’মাসের মধ্যেই নদীবাঁধে ধস, কাটমানির বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল নদীবাঁধ। উদ্বোধনের দুমাসের মধ্যেই সেই বাঁধে নামল ধস, আতঙ্কে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা ব্লকের  নারায়ণগঞ্জ এলাকায় মুড়িগঙ্গা নদীবাঁধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মুড়িগঙ্গা নদীবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, সেত দফতর বাঁধ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে মাটি ও বাঁশ দিয়ে এই বাঁধ তৈরি করা হয়। ঘটা করে সেই নদীবাঁধের উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। দুই মাস যেতে না যেতেই সেই বাঁধে  প্রায় ১০০ মিটার জুড়ে ধস নামে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, বাঁধ তৈরির দুমাসের মধ্যে যদি এভাবে ধস নামে, তাহলে বোঝা যাচ্ছে কাজে গাফিলতি ছিল। এভাবে কাজ করার কোনও মানে হয় না। এই ঘটনার পর থেকে আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। যেভাবে বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে অবিলম্বে মেরামতি না করা হলে গোটা বাঁধ জলে ধুয়ে যাবে।

    কী বললেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী?

    এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, নদীবাঁধ সবেমাত্র উদ্বোধন হয়েছে। তবে, বাঁধ প্রস্তুতকারী সংস্থা কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি। এলাকার মানুষের কথা ভেবে একটু আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)  সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এলাকায় যাচ্ছেন। অতি সত্বর সমস্যার সমাধান করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির সাগর মণ্ডল-পাঁচের সভাপতি অনুপ সামন্ত বলেন, নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নদীবাঁধ। তৃণমূল পার্টি অফিসে বসে কে কত টাকা খাবে তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাই, কাটমানি খাওয়া সেই নদীবাঁধ ভাঙবে না তো কি ভালো থাকবে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের উপর তৃণমূল নেতার ব্যাপক দাদাগিরির ঘটনায় বন্ধ হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সেই সঙ্গে চলল সরকারি কর্মচারীদের ঘিরে বিক্ষোভ। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার হুমকির কথা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হতেই হুগলিতে (Hooghly) ফের রাজনৈতিক তর্জা শুরু। বিরোধী দল বিজেপি, তৃণমূল নেতার এই অভব্য আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে। অপর দিকে দলের নেতার এই আচরণে ফের অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল।

    কোথায় ঘটনা ঘটল?

    ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়ার সিমলা ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবোনা রাধারাণী হাইস্কুলে। দুয়ারে সরকারের কাজ হওয়ার কথা ছিল এই স্কুলে। পরিষেবা পেতে আসেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এরপর তৃণমূল নেতা নিজের দাবি নিয়ে ধর্না দেন। এর ফলে সরকারি কাজে বাধা পড়ে। শাসক দলের মিটিং কেন এই স্কুলে করতে দেওয়া হল না, এই নিয়ে দুয়ারে সরকারের আধিকারিক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে অত্যন্ত অভব্য আচরণ করে হুমকি দেন এই তৃণমূল নেতা। আর এই তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যের জন্য দুয়ারে সরকারের কর্মকাণ্ড বাতিল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ যাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে এসেছিলেন, তাঁরা অবশেষে বাড়ি ফিরে যান।

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বরে পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ এই দাদাগিরি করেন বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি ছিল, সরকারি কাজ বন্ধ করে দলীয় মিটিংয়ের জন্য স্কুলের হল খুলে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, এক সরকারি কর্মচারীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সঙ্গে শাসক দলের নেতা হওয়ার সুবাদে সকলকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এরপর এই ঘটনার ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কথা বলার সময় আমার গলার আওয়াজটা একটি বেশি হয়েছিল। এটা আমার বদ অভ্যাস। কথা বলার সময় আমার হাতটা একটু নাড়ানাড়ি হয়। যদি আমি কাউকে খারাপ কথা বলে থাকি, তাহলে আমি যে কোনও শাস্তি মেনে নেবো”।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মীর বক্তব্য

    স্থানীয় এক পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী প্রসেনজিত বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় দলীয় মিটিংয়ের জন্য রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন। আমরা জানাই অফিস চলার সময় দলীয় মিটিং করা যাবে না। এরপর এই তৃণমূল নেতা গালিগালাজ শুরু করেন। শেষে আমরা পাণ্ডুয়ার বিডিও সাহেবের কাছে অভিযোগ জানাই।”

    বিজেপির বক্তব্য

    হুগলির জেলা বিজেপি সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, “তৃণমূলের রাজত্বে, সরকারি কর্মীদের এখানে কাজ করার কোনও নিরাপত্তা নেই। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তিনি আরও বলেন, এখনও কেন এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি কুড়মি সমাজের, ভোগান্তির শঙ্কা  

    Purulia: বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি কুড়মি সমাজের, ভোগান্তির শঙ্কা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঠিকানা সেই পুরুলিয়ার কুস্তাউড় রেল স্টেশন। গত বছর পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা বিভাগের এই স্টেশনে টানা পাঁচদিন রেল অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। রেলের ক্ষতি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার। ভোগান্তিতে পড়েছিলেন হাজার হাজার যাত্রী। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ফের রেল অবরোধ করেছিল কুড়মি সমাজ। ফের একই কারণে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে চলেছেন রেলযাত্রীরা। ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধে সামিল হতে চলেছে কুড়মি সমাজ। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিতপ্রসাদ মাহাত।

    কেন রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত? (Purulia)

    কুড়মি জাতিকে এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতবার রেল অবরোধের সময় রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করেনি। এমনই দাবি আন্দোলনকারীদের। তাঁদের বক্তব্য, এপ্রিল মাসে টানা আন্দোলন করেও কোনও লাভ হয়নি। কুড়মিদের স্বাভিমানে আঘাত করা হয়েছে। তাঁদের আন্দোলনকে তুচ্ছ করা হয়েছে। সরকার কথা দিয়েছিল। কিন্ত, সেই কথা তারা রাখেনি। তাই, দাবি পূরণে আবারও পুরুলিয়া (Purulia) সহ একাধিক জেলায় রেল অবরোধ করতে কোমর বেঁধে নামবে আন্দোলনরত কুড়মি সৈনিকরা।

    কী বললেন কুড়মি নেতা?

    মূলত জঙ্গলমহলে কুড়মি সম্প্রদায়ের আধিক্য। আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিপ্ৰসাদ মাহাত বলেন, পুরুলিয়া, (Purulia) বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, অর্থাৎ জঙ্গলমহলের চার জেলাতেই বুধবারের আন্দোলনের প্রভাব পড়বে। এরই মধ্যে আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্যান্ডেল পুলিশ খুলে দিতে বলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত, কুড়মিদের এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চলছে। গতবার রেল অবরোধের সময় রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করেনি। তাঁদের আন্দোলনকে তুচ্ছ করা হয়েছে। সরকার কথা দিয়েছিল। কিন্ত, সেই কথা তারা রাখেনি। আমাদের একটাই কথা ২০ সেপ্টেম্বর আমরা রেল অবরোধ সফল করবই। সকলকে বলা হয়েছে, পুলিশ যতই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক চার জেলাতেই রেল অবরোধ হবে। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতেও হবে। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তিনমাস আগেই আমরা কেন্দ্র-রাজ্যকে এক যোগে জানিয়েছি। কেউ এগিয়ে এলো না। একটা বৈঠক পর্যন্ত করল না কেউ।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা আদিবাসী কুড়মি সমাজের কাছ থেকে এই কর্মসূচি সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। তাদের জানিয়েও দিয়েছি, এভাবে রেল অবরোধ, রাস্তা অবরোধ বেআইনি। মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় সেটা আমর দেখব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Heritage: শান্তিনিকেতনের পর কর্নাটকের হোয়াসালা মন্দির, স্থান পেল বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী তালিকায়

    World Heritage: শান্তিনিকেতনের পর কর্নাটকের হোয়াসালা মন্দির, স্থান পেল বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী তালিকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনের পরে এবার কর্নাটকের হোয়াসালা মন্দিরগুলি বিশ্ব হেরিটেজের (World Heritage) তকমা পেল। সোমবারই ইউনেস্কো তরফ থেকে এমন ঘোষণা সামনে এসেছে। প্রসঙ্গত, কর্নাটকের হোয়াসালা রাজবংশের (World Heritage) বিশেষ স্থাপত্যের নিদর্শন দেখা যায় এই মন্দিরগুলিতে। ভারতের দুটি স্থান এভাবে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় চলে আসায় ভারতের জয়জয়কার শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: গণেশ চতুর্থী কেন পালিত হয়? কীভাবে জীবনে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি?

    সৌদি আরবে চলছে ইউনেস্কোর সম্মেলন

    প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর ইউনেস্কোর সমাবেশ শুরু হয়েছে সৌদি আরবে। সেখান থেকেই ঘোষণা করা হয় শান্তিনিকেতন এবং কর্নাটকের মন্দিরগুলিকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী স্থান (World Heritage) হিসেবে।

    হোয়াসালা মন্দিরগুলি নির্মাণ করা হয় দ্বাদশ শতকে

    প্রসঙ্গত, কর্নাটকের হোয়াসালা মন্দিরগুলি হল ভগবান শিবের। দ্বাদশ শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয় এই মন্দিরগুলি বলে মনে করেন ঐতিহাসিকরা।  জানা গিয়েছে, হোয়াসালার চেন্না কেশভা এবং নাগেশ্বরার মন্দির দু’টি ১২০০ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই মন্দিরগুলি রাজা বিষ্ণুবর্ধনের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কর্নাটকের হোয়াসালা মন্দিরগুলি হেরিটেজ (World Heritage) তালিকায় ভারতের ৪২তম জায়গা হিসেবে স্থান পেল। ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী তালিকায় পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতন ছাড়াও রয়েছে সুন্দরবন, দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন এবং দুর্গাপুজো।

    দেশের গুরুত্বপূর্ণ হেরিটেজগুলি

    ভারতে ইউনেস্কোর গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব হেরিটেজের তালিকায় রয়েছে আগ্রা ফোর্ট, অজন্তা ও ইলোরা গুহা, তাজমহল, নালন্দা মহাবিহার, সাঁচির বৌদ্ধস্তূপ, ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, গোয়ার চার্চ, ফতেপুর সিক্রি, হিমালয়ান ন্যাশনাল পার্ক, কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান, ওডিশার কোনারক সূর্যমন্দিরের মতো জায়গাগুলি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির বিছানায় ফেলা হল বোমা, জখম ৩, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shantipur: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়ির বিছানায় ফেলা হল বোমা, জখম ৩, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে আবারও বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur)। ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানার মধ্যে বোমা মারার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতের গবার চর মাঝেরপাড়া এলাকায়। ঘটনায় বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যর নাবালক ভাইপো সহ তিনজন জখম হন। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে শান্তিপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantipur)  

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতে বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গৌরাঙ্গ বিশ্বাস নামে এক দলীয় কর্মী। ভোটে জয়যুক্ত হন তিনি। তারপর থেকেই একাধিকবার গৌরাঙ্গ বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, সোমবার গভীর রাতে গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বারান্দাতেই বিছানা করে ঘুমাচ্ছিলেন। তখনই একদল দুষ্কৃতী তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। যদিও একটি বোমা বিছানার উপরে পড়তেই গৌরাঙ্গবাবুর এক নাবালক ভাইপো, ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী জখম হন। এছাড়াও বারান্দার পাশের একটি টিনের দরজা ভেঙেচুরে যায়। এরপরে আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে যায় এলাকার লোকজনের।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    বিজেপির জয়ী সদস্য গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল এসব করছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে ওরা ফের আমার বাড়িতে বোমাবাজি করে। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে শান্তিপুরের (Shantipur) বেলঘড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে তৃণমূল করি। কিন্তু এলাকায় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে, সেই চেষ্টা করি সব সময়। বোমাবাজির ঘটনা আমরা কিছুই জানি না। বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করে তৃণমূলের নামে বদনাম করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Of India: নয়া ভবনে সাংসদদের উপহার দেবে মোদি সরকার, কী কী থাকছে গিফটব্যাগে?

    Parliament Of India: নয়া ভবনে সাংসদদের উপহার দেবে মোদি সরকার, কী কী থাকছে গিফটব্যাগে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদ্বোধন হয়েছিল মে মাসের ২৮ তারিখে। তবে গণেশ চতুর্থীর দিনেই প্রথম অধিবেশন বসতে চলেছে নয়া সংসদ ভবনে (Parliament Of India)। এই নয়া সংসদ ভবনের প্রথম দিনের অধিবেশনে যোগ দেওয়া সাংসদদের জন্য থাকছে বিশেষ উপহারের ব্যবস্থা। এ কথা জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সূত্রে। আগ্রহ তৈরি হয়েছে, গিফটব্যাগে ঠিক কী কী পাওয়া যাবে তা নিয়ে! জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সাংসদদের হাতে নতুন সংসদ ভবনে তুলে দেওয়া হবে ভারতের একটি সংবিধানের অনুলিপি, সংসদ (Parliament Of India) সম্পর্কিত একটি বই, একটি স্মারক মুদ্রা এবং একটি স্ট্যাম্প।

    বদল সংসদের কর্মচারীদের পোশাকেও 

    জানা গিয়েছে সংসদের (Parliament Of India) কর্মচারীদেরও পোশাকে বদল করা হয়েছে, এবার থেকে পুরুষকর্মীরা পরবেন ক্রিম রঙের শার্ট এবং খাকি প্যান্ট। অন্যদিকে মহিলা কর্মীদের জন্য বাছাই করা হয়েছে এক ধরনের বিশেষ হালকা রঙের শাড়ি। লোকসভায় মার্শালদের জন্য থাকছে মণিপুরের বিশেষ টুপি। অন্যদিকে নয়া সংসদ ভবনে ছ’টি গেট তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন প্রতীক হিসাবে। এগুলির নাম দেওয়া হয়েছে, গজদ্বার, অশ্বদ্বার, গরুড়দ্বার, মকরদ্বার, শার্দুলদ্বার এবং হংসদ্বার। 

    ৬টি বিভিন্ন প্রতীকের দ্বার

    ১)  গজদ্বার: গজদ্বার হল হাতির প্রতীক। ভারতীয় সংস্কৃতিতে হাতিকে মানা হয় বুদ্ধি, স্মৃতি, সম্পদ এবং জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে। নয়া সংসদ ভবনের উত্তর দিকে স্থাপিত হয়েছে এই দ্বার।

    ২) অশ্বদ্বার: ভারতীয় সভ্যতায় ঘোড়াকে মানা হয় শক্তি, সামর্থ্য এবং সাহসের প্রতীক হিসেবে।

    ৩) গরুড়দ্বার: তৃতীয় দ্বারটি (Parliament Of India) ভগবান বিষ্ণুর বাহনের নামে স্থাপন করা হয়েছে। গরুড়কে হিন্দু পুরাণ অনুসারে পাখিদের রাজা মানা হয়। শক্তি এবং ধর্মের প্রতীক হলো গরুড়।

    ৪) মকরদ্বার: পার্লামেন্টের নয়া সংসদ ভবনে ঢুকতেই এই গেটটি নজরে পড়ছে। হিন্দু এবং বৌদ্ধে সাহিত্যে সামুদ্রিক জীব মকরের উল্লেখ মেলে।

    ৫) শার্দুলদ্বার: নয়া সংসদ ভবনের (Parliament Of India) এই দ্বারটি তৈরি করা হয়েছে হিন্দু পুরাণ অনুসারে শার্দুলের নামে। যেটি একটি সিংহের শরীর কিন্তু যার মাথা ঘোড়া, হাতি এবং টিয়া পাখির। জনগণের ক্ষমতা বোঝাতেই এই প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে।

    ৬) হংসদ্বার: মা সরস্বতীর বাহনের নামে এই দ্বারটি হল সংসদ ভবনের ৬ নম্বর গেট যেটি আত্মোপলব্ধি এবং জ্ঞানের প্রতীক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Old Parliament Building: পুরনো সংসদকে বিদায়! কী হবে ভবনটির?

    Old Parliament Building: পুরনো সংসদকে বিদায়! কী হবে ভবনটির?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসতে চলেছে নয়া সংসদ ভবনে। উদ্বোধনের চার মাস পরে বসছে প্রথম অধিবেশন। প্রসঙ্গত, পুরনো সংসদ ভবনকে (Old Parliament Building) আজকেই বিদায় জানাবেন সাংসদরা। পুরনো সংসদ ভবনটি উদ্বোধন করেছিলেন লর্ড আরউইন আজ থেকে ৯৬ বছর আগে, ১৮ জানুয়ারি ১৯২৭ সালে। এই ৯৬ বছর ধরে ভারতীয় সংসদ নানা ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। সোমবারই নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই কথাগুলি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘‘দেশের সাংসদরা নতুন আশা এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে নতুন ভবনে প্রবেশ করবে।’’ সোমবারের বিশেষ অধিবেশনে পুরনো সংসদ ভবনে আনুষ্ঠানিক কাজকর্ম সবকিছুই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু কী হবে পুরনো সংসদ ভবনের (Old Parliament Building), এ নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

    মঙ্গলবার গ্রুপ ফটো তোলা হবে পুরনো সংসদ ভবনে 

    অন্যান্য দিনের তুলনায় কিছুটা সময় আগেই সাংসদদের হাজির হতে বলা হয়েছে পুরনো সংসদ ভবনে। জানা গিয়েছে, সকাল ঠিক সাড়ে ন’টায় সংসদ ভবন চত্বরে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যদের গ্রুপ ফটো তোলা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন নরেন্দ্র মোদি। এরপরে বেলা এগারোটা নাগাদ পুরনো সংসদ ভবনের (Old Parliament Building) সেন্ট্রাল হলে বিশেষ যৌথ অধিবেশন বসছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড় সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখবেন। যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং।

    পুরনো সংসদ ভবনটি সংরক্ষণ করা হবে

    যৌথ অধিবেশন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো সংসদ ভবনকে (Old Parliament Building) আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানানো হবে। এখনও পর্যন্ত যা কর্মসূচি নির্ধারিত হয়েছে তাতে জানা যাচ্ছে ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ সকল সাংসদ পুরনো পার্লামেন্ট থেকে নতুন সংসদ ভবনের দিকে যাবেন। শাসক ও বিরোধী দলের সকল সাংসদ একসঙ্গে নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশ করবেন বলে সূত্রের খবর। পুরনো সংসদ ভবনটিকে তবে কোনওভাবেই ভেঙে ফেলা হবে না, ঐতিহাসিক এই ভবনকে সংরক্ষণ করা হবে। তার কারণ হল এটি দেশের অন্যতম প্রত্নতাত্বিক সম্পদ হিসেবেই থেকে যাবে। আবার একটি মহলের মত হল পুরনো সংসদ ভবনের একটি অংশকে নিয়ে জাদুঘরও করা হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share