Tag: Bengali news

Bengali news

  • Midday Meal: সঙ্কটে ‘মিড ডে মিল’, একাধিক স্কুলের বরাদ্দ চাল উধাও! ডিলার-প্রশাসকের কি যোগসাজশ?

    Midday Meal: সঙ্কটে ‘মিড ডে মিল’, একাধিক স্কুলের বরাদ্দ চাল উধাও! ডিলার-প্রশাসকের কি যোগসাজশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় মিড ডে মিলের (Midday Meal) চাল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠছে, স্কুলের ছাত্রদের খাওয়ার জন্য বরাদ্দ চাল উধাও হয়ে যাচ্ছে প্রশাসক এবং ডিলারদের যোগসাজশে। তাই কাগজে কলমে চালের হিসাব থাকলেও বাস্তবে চালের অভাব। এক স্কুল, অন্য স্কুলের কাছে হাত পাততে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। তিনি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন।

    উল্লেখ্য রাজ্যে রেশনে দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা উত্তর থেকে দক্ষিণে সর্বত্র তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। বর্তমান শাসক দলের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতেও তল্লাশি হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের খাদ্য দফতরের এক তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি রেশনের চাল, আটা বিক্রি করে, অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। একাধিক জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। খাদ্য দফতরে থাকার সময় সরকারি বেতনে এতও সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূল, রেশন দুর্নীতির জালে একেবারে বেকায়দায়।

    স্কুলের শিক্ষকদের অভিযোগ (Midday Meal)

    জামালপুর ব্লকে প্রাইমারি, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র মিলিয়ে স্কুলের সংখ্যা প্রায় আড়াইশোর বেশি। মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩০ হাজার। এই স্কুলের জন্য জেলায় তিনমাস অন্তর দুই হাজার কুইন্টালের বেশি চাল বিডিও অফিসারের কাছে আসে। এরপর বিডিও সেই চাল, রেশন ডিলার রুমা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পাঠান বলে জানা যায়।

    ব্লকের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষাদের অভিযোগ হল, “সব ঠিক ছিল কিন্তু গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে চাহিদা অনুসারে ঠিক ভাবে চাল পাচ্ছিনা। ফলে প্রভাব পড়ছে মিড ডে মিলে (Midday Meal)। পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়িয়েছে যে অন্য স্কুল থেকে ধার নিয়ে খাবার দিতে হচ্ছে। কার্যত স্কুলে চাল সরবরাহের পুরো ব্যবস্থার মধ্যে দারুণ প্রভাব পড়েছে। এরপর স্কুলগুলির তরফ থেকে বিডিওকে অভিযোগ জানানো হয়। ইতিমধ্যে জ্যোৎশ্রীরাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি বিদ্যালয়ের তরফ থেকে, চাল না পাওয়ার কথা জানিয়ে, জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

    বিডিও-র বক্তব্য

    জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার ডিলারের দিকে আঙুল তুলে বলেন, “কথা ঠিক, সময় মতো ঠিক পরিমাণে চাল স্কুলে যাচ্ছে না। প্রভাব পড়ছে মিড ডে মিলে (Midday Meal)। এই বিষয়ে বেশ কিছু স্কুল আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলার খাদ্য দফতর থেকে ডিলার রুমা চট্টোপাধ্যায় চাল তুলেছেন। সেই চাল স্কুলে ঠিক ভাবে পৌঁছানোর দায়িত্ব একমাত্র তাঁর। সেটা না হওয়ায়, তার দায়িত্ব ডিলারকেই নিতে হবে।”

    ডিলারেরে বক্তব্য

    অপরে ব্লকের ডিলার রুমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গাড়ির সমস্যার জন্য সব চাল (Midday Meal) পাঠানো সম্ভবপর হয়নি। পুজোর পর সব চাল স্কুলে পাঠানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “গুদামে কয়েকশ কুইন্টাল চাল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির সহ সভাপতি জিতেন ডকাল প্রশাসন এবং ডিলারদের আক্রমণ করে বলেন, “মিড ডে মিল (Midday Meal) নিয়ে রাজ্য জুড়ে চাল চুরি চলছে। শাসক দলের নেতাদের খুশি করতে ডিলাররা দুর্নীতি করেছেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন এই দুর্নীতির সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন। আমরা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চাই।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: দাদাগিরি তৃণমূল পুরপিতার, অমান্য আদালতের নির্দেশ! জমি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

    North 24 Parganas: দাদাগিরি তৃণমূল পুরপিতার, অমান্য আদালতের নির্দেশ! জমি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে জমির মালিককে তাঁর জমি ফিরিয়ে দিতে হবে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তা পালন করতে গিয়ে তৃণমূলের পুরপিতার বাধার মুখে পড়তে হল পুলিশকে। এমনই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) সদর শহর বারাসতে। তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডুর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিক। আর তাই জমির মালিককে জমি ফিরিয়ে না দিয়েই ফিরতে হল পুলিশকে। তবে পুরপিতার পালটা জবাব, তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি।

    জমি দখল করে নিয়েছিল কারা (North 24 Parganas)?

    বারাসত (North 24 Parganas) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বারাসত মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন যশোর রোডের ধারে জমি দীর্ঘদিন দখল করে নেয় কয়েকজন দোকানদার। এই জমি আজমিরা খাতুনের পৈতৃক জমি। জমি ফিরে পেতে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াইয়ের পর আদালত, তাঁর পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সেই জমি ফেরত পেতে এসে পুরপিতার বাধার মুখে দাঁড়াতে হলো পুলিশকে। অবশেষে জমি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় পুলিশকে।

    জমির মালিকের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে জমির মালিক আজমিরা খাতুন বলেন, “এসডিইএম আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনকে পৈতৃক জমি জবরদখল মুক্ত করতে হবে। আদালতের নির্দেশের এই কপি বারাসত থানা (North 24 Parganas), পুরসভা, এমনকী জেলার পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় আদালতের এই নির্দেশে জমি জবরদখলমুক্ত করতে যায় বারাসত থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরাও। বুলডোজার দিয়ে জবরদখল মুক্ত করার কাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু তৃণমূল নেতারা এসে দাদাগিরি করে সববন্ধ করে দেয়।” তিনি আরও বলেন, “আমার বাবা বেঁচে থাকাকালীন জবরদখলকারীরা ওই জমি হাতিয়ে নিয়েছিল। সেই জমির প্রকৃত মালিক আমরাই। আদালতের রায় আমাদের পক্ষে গিয়েছে। তাও আমরা এদিন পৈতৃক জমি ফিরে পেলাম না। পাশের ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর কুণ্ডু পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন ।

    পুরপিতার বক্তব্য

    খবর পেয়ে তখনই সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডু। পুরপিতাকে আদালতের নির্দেশের কপি দেখালেও, তিনি কোনও কথা শোনেন নি। পুরপিতা বলেন, “এইভাবে কাউকে তোলা যাবে না। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশের বিষয়টি কেন পুরসভার চেয়ারম্যান (North 24 Parganas), ভাইস-চেয়ারম্যান, আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বকে জানানো হয়নি।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    অবশেষে কাজ অসমাপ্ত রেখেই ফিরতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে শাসকদলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপির নেতারা। এই বিষয়ে এলাকার (North 24 Parganas) বিজেপি নেতা প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের নির্দেশ পালন করতে না দেওয়ায়, তৃণমূল কাউন্সিলরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজিব সিনহা যাবেন এটা ধরে নিয়েই ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন শুভেন্দু। শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করার ফলে রাজীব সিনহা যদি সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন সেক্ষেত্রে দুপক্ষের বক্তব্যই শুনতে হবে শীর্ষ আদালতকে।

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই সংঘাত শুরু শুভেন্দু-রাজীবের

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই সংঘাত বাঁধে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সঙ্গে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার। পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসা ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। নমিনেশন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি দেখা যায়। এই সময় বারবার রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। রাজীব সিনহাকে তৃণমূলের এজেন্ট বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত এই মামলাতে গত সপ্তাহেই আদালত অবমাননার রুল রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৩ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। এর ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সেনাকে সশরীরে আদালতে এসে জবাবদিহি করতে হবে। এর পাশাপাশি তাঁকে কারণ দর্শাতে হবে কেন আদালতের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমান্য করেছিলেন!

    রাজীবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে বারবার দারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কখনও নমিনেশন পর্বে বাধা, তো কখনও বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এ সমস্ত মামলাগুলির পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো নির্দেশ দেয়। কত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কত দিন থাকবে, এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আদালতের এরকম কোনও নির্দেশই কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর ফলে আদালত অবমাননা করেছে তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান অফিসে আসেন না। প্রধান রূপে কাজ করেন তাঁর ভাশুর। ভাশুরও আবার দাপুটে তৃণমূল নেতা। প্রধানের সই নকল করেই তিনি সরকারি কাজ করে চলেছেন। অফিসে বসে নানান দুর্নীতির কাজ করছেন বলে, তাঁর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। ফলে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে কীভাবে কাজ করছে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান স্বামীর দাদা? এই প্রশ্ন এখন জেলায় আলোচনার ভরকেন্দ্র। স্থানীয়রা সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ হলেও, জানা যায়, এই ঘটনা একদিনের না। এরপর এই নিয়ে সামজিক মাধ্যমে লিখে একটি ভিডিও পোষ্ট করে বিজেপি। এরপর, এই বিষয় নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম (Birbhum) জেলার রাজনগর ব্লকের গাংমুড়ি জয়পুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। এই অঞ্চলের প্রধান হলেন একজন মহিলা, নাম তাপসী মন্ডল সাহা। তিনি বর্তমানে কলকাতায় থাকেন। শপথ গ্রহণের পর মাত্র কয়েকদিন পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে আসেন। তারপর থেকে বেপাত্তা। এরপর তাঁর ভাশুর দীলিপ সাহা প্রধানের চেয়ারে বসেন এবং অফিসে প্রধানের সই নকল করে কাজ শুরু করেন। এই খবর জানাজানি হতেই চরম স্বস্তিতে তৃণমূল। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি প্রধান কোথায় জানতে চাইলে, ভাশুর বলেন, “কৈফিয়ত কাউকে দেবো না, এটা ফাজলামি করার জায়গা নয়। অফিস থেকে বেরিয়ে যান।”

    বিজেপির বক্তব্য

    দুবরাজপুরের (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পঞ্চায়েত দপ্তরের উচিত সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করা। নিয়মবহির্ভূত বেআইনী কাজ করে নিজের স্বার্থকে পরিপূর্ণ করলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তৃণমূল সরকারের রক্তে মিশে রয়েছে দুর্নীতি। চোরেরা যে কোনও জায়গায় বসেই চুরি করতে পারেন। অবিলম্বের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে এই অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূলের জেলা (Birbhum) মুখপাত্র মলয় মুখার্জি বলেন, “ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা গ্রামের লোক না। ওরা বিজেপির কর্মী। বিজেপি এলাকায়, উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করতে পারে না। আর তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা প্রচার করছে। মানুষ আগামীদিনে যোগ্য জবাব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) তৃণমূল  ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী এখন গাড়ি চুরির পান্ডা। সেই কর্মীকে গ্রেফতার করে একাধিক মোটরবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মনিরুল দফাদার। প্রসঙ্গত শান্তিপুরের মনিরুল একনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী। শান্তিপুর কলেজে ছাত্র সংসদে তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। কলেজের নেতাদের সঙ্গে ওঠা বসা ছিল তার। সব কিছুর আড়ালে সে মোটরবাইক চুরি  করত বলে অভিযোগ।

    গাড়ি চুরির পান্ডা কীভাবে জানা গেল? (Nadia)

    গত এক সপ্তাহ আগে নদিয়ার (Nadia) বাদকুল্লা সবজি বাজার থেকে একটি বাইক চুরি হয়। একটি দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে থানার পুলিশ মনিরুলকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে, মনিরুল মোটর সাইকেল যার কাছে বিক্রি করেছিল, পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে বাইকও। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে মনিরুলই হল চক্রের পান্ডা। সে মোটরবাইক চুরি করে বিক্রি করত। শান্তিপুর থেকে আরও দু’টি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার করে পুলিশ। শান্তিপুর, ফুলিয়া, বাদকুল্লা সহ একাধিক বাইক চুরির ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত। সে কোথায় কোথায় চুরি করা বাইক বিক্রি করত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সব চুরি চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধারের চেষ্টা কাছে চালাচ্ছে পুলিশ। মনিরুল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়াতে ঘটনায় বিপাকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি শান্তিপুর কলেজে যাতে আগামীতে মনিরুল প্রবেশ করতে না পারে সেই আশ্বাসও তারা হয়। দিয়েছেন। শান্তিপুর কলেজ থেকে বেশ কিছু মোবাইল চুরি হয়েছে। এখন সকলের সন্দেহ মনিরুলই সে সব করেছে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা কেমন তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই ধরনের বড় সড় চুরি চক্রের পান্ডা ওই তৃণমূল কর্মী। এরাই দলের সম্পদ। অবিলম্বে পুলিশের ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চোলাই উদ্ধার করতে গিয়ে এক নাবালককে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবগারি পুলিশ

    Paschim Medinipur: চোলাই উদ্ধার করতে গিয়ে এক নাবালককে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবগারি পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোলাই মদের কারবার বন্ধ করতে এসে, এক নাবালককে ব্যাপক মারধের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায়। আবগারি পুলিশ অবৈধ চোলাই মদের ঠেক উচ্ছেদের সময়, অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রকে অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয় জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়। আর এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র এলাকা।

    রাজ্যজুড়ে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদের নামে মানুষকে অতিরিক্ত হয়রানি করে। আর এমন ঘটনার কথা আগেও সংবাদ শিরনামে আসে। পুলিশ সিভিল ড্রেসে মানুষকে নানা হুমকি এবং আইনি জটিলতায় মিথ্যা মামাল দেওয়ার অভিযোগেও বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এবার চোলাই উদ্ধারের নামে এক নাবালককে মারধরের ঘটনায়, পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Paschim Medinipur)?

    স্থানীয় (Paschim Medinipur) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে হরিশপুর পোলগড়া এলাকায় চোলাই মদের উদ্ধারে হানা দেয় আবগারি পুলিশ। এখানেই এক নাবালক ছাত্রকে পুলিশের দ্বারা লাঠি দিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের ফলে নাবালক ব্যাপক ভাবে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে ওই নাবালক, স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনার ফলে, এলাকার মানুষ আবগারি পুলিশের বিরুদ্ধে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু করে এবং এরপর রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে যায় পরিস্থিতি। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও পুলিশ এলাকায় নামানো হয়।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    আজ সকাল ১১ টা নাগাদ স্থানীয় জনতা পোলপাড়া (Paschim Medinipur) এলাকায় রাস্তার উপর বাঁশ দিয়ে, চলার পথকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে দেন। সমস্ত গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে, পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য হল, “পুলিশ এলাকায় চোলাইয়ের তল্লাশি করছেন ঠিক আছে, কিন্তু তাল্লাশির সময় সিভিল ড্রেসে এসে অকারণে মারধর করলে মানুষ তা মেনে নেবো না। একই সঙ্গে যারা এলাকায় এই চোরাকারবারি করছে, তাদেরকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন। যদি পুলিশ সিভিল ড্রেসে এসে তল্লাশি করেন, তাহলে আমরা প্রতিবাদ করবই। বিনা কারণে পুলিশ এলাকার মানুষকে মারধর করলে, আমরাও চুপ করে বসে থাকবো না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: এমাসেও দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বাকিবুরের! উদ্ধার হওয়া খাতায় কী পেল ইডি?

    ED: এমাসেও দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বাকিবুরের! উদ্ধার হওয়া খাতায় কী পেল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সদ্য ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাকিবুর রহমান। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করে ইডি জানিয়েছে, বারবার দুবাই যেতেন তিনি। কেন তিনি এতবার বিদেশ ভ্রমণ করতেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন ইডি আধিকারিকরা। কিছু কথা সূত্রের খবর, চলতি মাসেও দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাকিবুরের। কেন সে দুবাই যেত তা তদন্ত করে দেখছে ইডি-র আধিকারিকরা।

    বাকিবুরের কাছে উদ্ধার হওয়া খাতায় কী রয়েছে? (ED)

    ইডি সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, বাকিবুরের কৈখালির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ৫০ কোটি টাতার বেশি বিনিয়োগের হদিশ পেয়েছে ইডি। এমনকী প্রচুর সরকারি স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে সেখানে। ইডি (ED) নিশ্চিত, সরকারি আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ করেই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন বাকিবুর। তল্লাশি চালিয়ে একটি রেজিস্টার বুক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেখানে রেশনের খাদ্যসামগ্রী সংক্রান্ত নানা হিসাব লেখা রয়েছে। কোন জায়গায় কী কী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে, কোন কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা ডিলার কতটা রেশনের সামগ্রী পেয়েছেন, এই ধরনের হিসাব রয়েছে খাতাটিতে। খাতায় বেশ কয়েকটি স্বাক্ষরও রয়েছে। ইডির দাবি, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, এমনকী বিদেশেও হোটেল খুলেছেন তিনি। বেশ কয়েকটি রাইস মিল, ফ্লাওয়ার মিলের পাশাপাশি রিসর্ট, পানশালাও রয়েছে তাঁর। তবে, যেভাবে বাকিবুরের কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে একশোর বেশি রাজ্য সরকারের একাধিক দফতরের স্ট্যাম্প অর্থাৎ সিলমোহর পাওয়া গিয়েছে, তা স্তম্ভিত করেছে ইডি আধিকারিকদের। সরকারি স্ট্যাম্প কীভাবে তাঁর ফ্ল্যাটে এল, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তাই ইডি নিশ্চিত, সরকারি আধিকারিকদের একাংশ রেশন দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত। বাকিবুরের বিভিন্ন রাইস মিল, ফ্লাওয়ার মিলের পাশাপাশি কৈখালির ফ্ল্যাটে গত বুধবার সকাল থেকে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। এরপর শুক্রবার ভোররাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিবুরের একাধিক ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও চলে তল্লাশি অভিযান।

    কী বললেন ইডি-র আইনজীবী?

    ইডির (ED) আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে বলেন,‘এঁরা হয়তো মনে করতেন, কেউ তাঁদের ছুঁতে পারবে না।’পুলিশের মামলার পরেও এটা নিজেদের হাতে লিখে রাখত, কোথায় কত কী সরানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বাকিবুরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বাকিবুরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mangal Ghot: ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়েই আহ্বান জানানো হয় দেবীকে! এর গুরুত্ব জানেন কি?

    Mangal Ghot: ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়েই আহ্বান জানানো হয় দেবীকে! এর গুরুত্ব জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল দুর্গাপুজো। চারদিন ধরে মাতৃ আরাধনায় মেতে উঠবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। হিন্দু ধর্মে যে কোনও পুজোরই বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে। যেমন ঘট (Mangal Ghot) স্থাপন হল পুজোর অন্যতম অপরিহার্য অংশ। যে কোনও পুজোতেই প্রথমে ঘট স্থাপন করা হয়। বলতে গেলে ঘট স্থাপনের মাধ্যমেই ওই পুজোর আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়। যে পুজোর জন্য ঘট স্থাপন করা হয়, মূলত ঘট স্থাপনের মাধ্যমে ওই দেব বা দেবীকে আহ্বান জানানো হয় পুজো গ্রহণের জন্য।

    ঘট ভগবানের নিরাকার অবস্থার প্রতীক

    কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেব এবং দেবীর জন্য দেখা যায় আলাদা আলাদা ঘট। বিশ্বাস, ঘট কোনও দেবী বা দেবতার মূর্তি বা প্রতিমা নয়। ঘট ভগবানের নিরাকার অবস্থার প্রতীক। সনাতন ধর্মের প্রত্যেক দেবদেবী এক অভিন্ন ও নিরাকার পরম ব্রহ্মেরই এক একটি সাকার রুপের প্রকাশ। শাস্ত্র মতে, ঘট হল মঙ্গলের চিহ্ন। যে কোনও পুজো, মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান, গৃহপ্রবেশ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ঘট (Mangal Ghot) স্থাপন করা হয়। ঘটের মধ্যে আম্রপল্লব, বেলপাতা, ফুল ইত্যাদি দিয়ে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের পুজো হয়। বেলপাতা হল ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের প্রতীক। মানবজীবনকে ঘটের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাতে থাকে জল। জল হল জীবনের প্রতীক। প্রাণহীন শরীর যেমন মূল্যহীন, তেমনই জলবিহীন ঘটও মূল্যহীন।

    ঘট স্থাপনের দ্বারা দেব-দেবীকে আহ্বান জানানো হয়

    এই ঘট স্থাপন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, দেব-দেবীর কোনও মূর্তি ছাড়া শুধু ওই ঘটেই পুজো সম্পন্ন করা যায়, যার নাম হলো ঘটপুজো। ঘট স্থাপন করে যে দেব-দেবীকে আহ্বান জানানো হয়, সেই দেবদেবী ওই ঘটে (Mangal Ghot) অবস্থান নেন এবং ওই ঘটে থেকেই পুজো গ্রহণ করেন। ঘটের পিছনে যে আমরা নানা ভঙ্গিমার মূর্তি স্থাপন করি, সেটা মূলত পুজোকে একটি বড় অনুষ্ঠানের রূপ দেবার জন্য, যাতে ভক্তরা ওই মূর্তি দর্শনের জন্য পুজোর স্থানে আসেন এবং নিজের কল্যাণ লাভ করেন। ঘটেই যে কোনও দেব-দেবী অবস্থান করেন। তার বড় প্রমাণ হল, পুজো শেষে পুরোহিত যখন বিসর্জন দেন, তখন তিনি মন্ত্র উচ্চারণ শেষে ঘট নাড়িয়ে তা সম্পন্ন করেন। বিসর্জন প্রকৃতপক্ষে এটাই। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: র‍্যাগিংয়ের বলি! আত্মঘাতী মালদার আদিবাসী ছাত্র, চাঞ্চল্য

    Malda: র‍্যাগিংয়ের বলি! আত্মঘাতী মালদার আদিবাসী ছাত্র, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র র‍্যাগিংয়ের বলি হয়েছেন। যে-ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার হয়। এবার ফের র‍্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রমৃত্যুর অভিযোগ উঠল।  মৃত ছাত্রের নাম উত্তম মারডি (২২)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন মালদার (Malda) বাসিন্দা ওই আদিবাসী ছাত্র। এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের দাবি, র‍্যাগিংয়ের জেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ায় বাড়ির বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পিএইচডি পাঠরত ওই ছাত্র।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গত ৩ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করতে ভর্তি হন উত্তম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নাকি ওই ছাত্রের সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন সিনিয়র আন্তর্জাতি ছাত্রদের একাংশ, এমনই অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। দু’দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়তে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন বাড়ির লোকদের। এরপরই মালদার (Malda) গাজোল থানার শিসাডাঙা এলাকায় বাড়ির বাথরুম থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে চলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা কমলা মারডি ও মা মিনতি হাঁসদা।

    মৃতের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    মৃত ছাত্রের জ্যাঠা জোনাস মারডি পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, ভালো নম্বর নিয়ে ভাইপো উত্তম মারডি মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, তার আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় সেখানে গিয়ে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু করে। তারপরই বাড়ি ফিরে আর সেখানে পড়তে না যাওয়ার কথা বলেছিল সে। ফলে, চরম আতঙ্কে ছিল তা বোঝা যাচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: কাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য

    Navaratri 2023: কাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাল মহাষষ্ঠী। কাল থেকেই আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর (Navaratri 2023) সূচনা হবে। মহাষষ্ঠীর দিনই দেবীকে আবাহন করা হয়, যাকে বলা হয় বোধন। প্রসঙ্গত, শরৎকালে দেবীপক্ষের ষষ্ঠীতে দুর্গাকে বোধন করে পুজো করেন রাম, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। দুর্গার বোধন ঘিরে এই পৌরাণিক কাহিনিও কমবেশি সকলেই জানি।

    বোধন শব্দের অর্থ কী?

    বোধন শব্দের আক্ষরিক অর্থ জাগ্রত করা। মর্ত্যে মা দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের রীতি প্রচলিত রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই। এদিনই দুর্গা প্রতিমাতে কল্পারম্ভ দিয়ে শুরু হয় মায়ের বোধন। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীকে আবাহন করার প্রক্রিয়া। রীতি অনুযায়ী পুরোহিত দশভূজার সামনে প্রার্থনা করেন, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত গোটা পুজোপর্বে যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে। এরপর ঘট ও জলে পূর্ণ একটি তামার পাত্র মণ্ডপের কোণে স্থাপন করা হয়। এই স্থানেই দুর্গা ও চণ্ডীর পুজো করা হয়। চলতে থাকে দুর্গার বোধন, অধিবাস, আমন্ত্রণের পর্ব। অশুভ শক্তি দূর করার জন্য ঘটের চারপাশে তিরকাঠিতে সুতো জড়িয়ে আমন্ত্রণ প্রক্রিয়া শুর হয়। এভাবেই শেষ হয় মহাষষ্ঠীর (Navaratri 2023) আচার।

    বোধনের তাৎপর্য

    শাস্ত্রকারদের মতে, বোধনের একটি পৌরাণিক তাৎপর্য রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এদিনই স্বর্গ থেকে মর্ত‍্যে পদার্পণ করেন দেবী দুর্গা। সঙ্গে থাকেন তাঁর চার সন্তান লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী। মনে করা হয়, বোধনের পর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন আবার অকাল বোধন (Navaratri 2023) হিসেবেও খ্যাত। হিন্দু শাস্ত্র মতে, সূর্যের উত্তরায়ন দেবতাদের সকাল। উত্তরায়নের ছয় মাসকে দেবতাদের একদিন হিসেবে গণ্য করা হয়। আবার দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রা যান সমস্ত দেব-দেবী। এই দক্ষিণায়ন হল দেবতাদের রাত। রাতে দেব-দেবীর পুজো করা হয় না। দক্ষিণায়নের ছয় মাসের মধ্যেই দুর্গাপুজো হয় বলে বোধনের মাধ্যমে আগে দেবী দুর্গাকে ঘুম থেকে তোলা হয়। প্রসঙ্গত, পৌরাণিক মতে রাবণের সঙ্গে যুদ্ধের আগে দুর্গার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। এর পর দুর্গার আরাধনা করে শক্তি ও সৌভাগ্যের প্রার্থনা করেন তিনি। অকালে দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই একে অকাল বোধন বলা হয়ে থাকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share