Tag: Bengali news

Bengali news

  • Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল বিশ্বকর্মা পুজো। মধ্যবিত্ত বাঙালির বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) মানে সকালে উঠেই সাইকেল বা মোটরবাইক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা। এরপর ফুল-চন্দন দিয়ে তা পুজো করা। যা কিছু যন্ত্র, তাই যেন আমাদের কাছে বিশ্বকর্মা। বড় বড় শিল্পকারখানা তো বটেই, পাশাপাশি ছোটখাট কল-কারখানাগুলোতে বা দোকানগুলোতেও হয় পুজো। দিনভর ঘুড়ি ওড়ানো, পরের দিন দুপুরে মাংসভাত। শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশেই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। শ্রমজীবী মানুষের আপন দেবতা বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। বক্স বাজিয়ে, প্রতিমা সাজিয়ে, আলোর মালায় চলে দেবকূলের ইঞ্জিনিয়ারের আরাধনা। অন্যান্য বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পুজো হলেও, চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো উদযাপিত হবে।

    দেবশিল্পীর পৌরাণিক কাহিনী 

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, সত্যযুগে স্বর্গ গড়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ভক্তদের বিশ্বাস, মর্ত্যলোকেও তাঁর অবদান কম নয়, পুরীর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার নির্মাণ করেন তিনি। আবার ত্রেতা যুগে ভগবান কৃষ্ণের সাম্রাজ্য দ্বারকা তাঁর হাতেই গড়া। হস্তিনাপুরও তাঁর হাতেই গড়া বলে পৌরাণিক মত রয়েছে। মহাদেবের ত্রিশূল হোক বা শ্রীহরির সুদর্শন চক্র, সবটাই তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন তিনি। দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য বজ্র, রাবণের লঙ্কাপুরী ইনিই নির্মাণ করেছিলেন। রামসেতু তৈরির সময় ইনি নলবানরকে সৃষ্টি করেন বলে পৌরাণিক মত রয়েছে।

    বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) অনেক জন ছিলেন! 

    বিশ্বকর্মার জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে পুরাণে। শাস্ত্রবিদরা মনে করেন, এখন বিশ্বকর্মাকে একজন দেবতা হিসাবে ভাবা হলেও, আসলে বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন। নানা দেবতা নানা সময়ে বিশ্বকর্মার দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট কথায় এটি কোনও দেবতার নাম নয়, এটি আসলে দেবতার মধ্যেকার একটি উপাধি বা পদ। কারুকার্যে পারদর্শী দেবতা হতেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে আদি নারায়ণ প্রথমে সৃষ্টি করেন ব্রহ্মার এবং তারপরেই বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। বরাহ পুরাণও বলছে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা হলেন দ্বিতীয়, অঙ্গিরাবংশী বিশ্বকর্মা হলেন তৃতীয়, সুধন্ব বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) হলেন চতুর্থ। অসুরগুরু শুক্রাচার্যের নাতি ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভার উপ পুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা, কেন জানেন?

    Jhalda: ঝালদা পুরসভার উপ পুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনাস্থা ভোটের শেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে তৃণমূলের হাত থেকে পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভার দখল পেয়েছিল কংগ্রেস। মামলা কলকাতা হাইকোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে গড়ালেও শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশে পুরপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। আর পুরভোটের পরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা উপপুরপ্রধান হন। এবার সেই ঝালদা পুরসভার উপপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা কান্দু। বৃহস্পতিবার তিনি নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গত বুধবার রাতে কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত পাঁচ পুরপ্রতিনিধি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই দলে নির্দল পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু (নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো), পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাত।

     ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে কী বললেন পূর্ণিমা? (Jhalda)

    পুরসভার (Jhalda) বিদায়ী উপপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু বলেন, যে হেতু পুরসভায় তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, তাই নৈতিকতার কারণেই আর এই পদে থেকে যাওয়ার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে পূর্ণিমা বলেন, “নৈতিক কারণে পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।”পূর্ণিমা যে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেবেন তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে। বাঘমুন্ডির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্ৰদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতর সঙ্গে কথা বলেই পূর্ণিমা তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।  জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরভবনে এগজিকিউটিভ অফিসার বিধান পাণ্ডের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন পূর্ণিমা। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসের পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় সহ আরও চার কংগ্রেস কাউন্সিলারকে নিয়ে শিবির বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। তার জেরে কংগ্রেসের পুরবোর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এই অবস্থায় আর উপপুরপ্রধানের পদ আঁকড়ে ধরে থাকতে চাননি নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্য দিবালকে চড় মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি  ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফ্রেজারগঞ্জ পোস্টাল থানার কয়লাঘাটা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্বপন দাস।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্বপন দাস নামে ওই তৃণমূল নেতা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফেজারগঞ্জের নূপুর হাজরা নামে এক মহিলার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেন বলে অভিযোগ। আর সেই টাকা চাইতে গেলে তাকে বারে বারে হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছিল। এরপরই প্রতারিত ওই মহিলা তৃণমূল নেতাকে সামনে পেয়ে ধরে ফেলেন। তাঁকে চড় মারেন, আর সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে, ওই তৃণমূল নেতাও ওই মহিলাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা স্বপন দাস বলেন,গাড়ি কেনা-‌বেচা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল। আমি ওই ভদ্রমহিলার কাছে গাড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু, তাঁর কাগজপত্র বৈধ ছিল না। তাই নিয়ে কেস চলছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ আদালতে। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় আমি ডায়মন্ডহারবার জেলে ছিলাম। তাহলে তখন টাকা নিলাম কী করে? সবটাই মিথ্যা কথা।

    প্রতারিত মহিলার কী বক্তব্য?

    নূপুরদেবী বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে হাজার তিরিশ টাকা নিয়েছে। এখন আর তা ফেরত দিচ্ছে না। চাকরিও করে দেয়নি। আমি টাকা চাইতে গেলে আমায় মারধর করেছে। ওর স্ত্রী আমায় অপমান করছে। তাই যখন টাকা দেয়নি তখন আমি বলেছি মেরে পাওনা টাকা আদায় করব। স্বপন দাস বহু মানুষের কাছ থেকে চাকরি সহ সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছেও অভিযোগও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, যদি এমন কাজ করে থাকে, অবশ্যই শাস্তি পাবে। এখনও আমি বিষয়টি ভালো করে জানি না আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অনুপ সামন্ত বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ওই তৃণমূল নেতা। তাই, প্রকাশ্যে ওই নেতার উপর চড়াও হলেন মহিলা। আগামীদিনে আবারও এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর!” অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর!” অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর! ২০১১ সালের আগে ভাইপো কোথায় ছিল? পশ্চিমবঙ্গের সবাই জানে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কে। যার স্ত্রীর নামে কয়লার টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢোকে।” বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গোটা দেশ জুড়ে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ইডি-সিবিআইকে ধন্যবাদ

    প্রথমে তিনি কৃত্তিবাস ওঝার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর কৃত্তিবাস ওঝার জন্মভিটা পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে মাটি সংগ্রহ করেন। এরপরেই কিছুক্ষণের জন্য মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন (Suvendu Adhikari), কে ডি সিং-এর কাছ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। এরপরেও আমি প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। যার স্ত্রীর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে কয়েক লাখ টাকা ঢোকে, যার শালি ভারত ছেড়ে পালিয়ে থাকে এবং যার বাবা-মায়ের নামে লিভস এন্ড বাউন্ডস কোম্পানি রয়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোম্পানির প্রথম সারির কর্মচারী এখন জেল খাটছেন, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের আগে কোথায় ছিলেন? আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানে কীভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কাজ আমরা পারিনি, সেই কাজ বিচার ব্যবস্থা করে দেখাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

    শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ

    বুধবারই ইডির প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ইডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কয়লা পাচার, গরু পাচার, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি, সবেতেই তাঁকে একই প্রশ্ন করা হচ্ছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হিসেবে তিনি প্রমাণ করুন দুর্নীতির টাকা ওই কোম্পানিতে ঢোকেনি!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Naseeruddin Shah: “এই ধরনের ছবি সমাজের জন্য ক্ষতিকর”, ‘গদর ২’ নিয়ে বিস্ফোরক নাসিরুদ্দিন শাহ

    Naseeruddin Shah: “এই ধরনের ছবি সমাজের জন্য ক্ষতিকর”, ‘গদর ২’ নিয়ে বিস্ফোরক নাসিরুদ্দিন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাসিরুদ্দিন শাহ (Naseeruddin Shah) বলিউডের একজন প্রবীণ ও নামজাদা অভিনেতা। শুধুমাত্র অভিনেতা হিসাবে নয়, তাঁর ব্যক্তিত্বের জন্য বহুবার তিনি চর্চায় থেকেছেন। বরাবর তাঁর স্পষ্টবাদী মনোভাব তাঁকে চর্চায় রেখেছে। চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে যখন সাধারণের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, তখন সম্পূর্ণ উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল এই বর্ষীয়ান অভিনেতার গলা থেকে। এবার আবার তিনি মুখ খুললেন সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গদর ২’ নিয়ে। চলতি বছরের অন্যতম জনপ্রিয় ছবির তকমা পেয়েছে এই ‘গদর ২’। গত ১১ অগাস্ট মুক্তি পেয়েছে অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবি। শুরুতেই ২৮৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এই ছবি। কিন্তু এই ছবিকেই ‘ক্ষতিকর’ বলে আখ্যা দিলেন নাসিরউদ্দিন শাহ। 

    কেন এমন মন্তব্য (Naseeruddin Shah)?

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নাসিরউদ্দিন শাহ ‘গদর ২’ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তিনি (Naseeruddin Shah) বলেন, “এই ধরনের ছবি সমাজের জন্য ক্ষতিকর। আপনাকে কাল্পনিক শত্রু তৈরি করতেই হবে ছবির মাধ্যমে। পরিচালকরা বুঝতে পারছেন না যে, তাঁরা যেটা করছেন, তা কতটা ক্ষতিকারক, সমাজে কতটা এর প্রভাব পড়ে। আমি কেরালা স্টোরি এবং গদর ২ এর মতো ছবি সত্যি দেখিনি। তবে জানি, এই সিনেমায় কী দেখানো হয়েছে। এই ছবির বক্তব্য যে শুধু দেশকে ভালোবাসলেই চলবে না, তা ঢাকঢোল বাজিয়ে প্রচার করতে হবে।”

    কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে কী বলেছিলেন?

    তিনি (Naseeruddin Shah) আরও বলেন, “কাশ্মীর ফাইলস-এর মতো ছবিটিও এত জনপ্রিয় যে অপরদিকে সুধীর মিশ্র, অনুভব সিনহা এবং হংসল মেহতা দ্বারা নির্মিত ছবিগুলি আজকাল আর কারও চোখেই পড়ে না। তাঁরা তাঁদের সময়ের সত্যতা তুলে ধরেছিলেন। তবে আমি চাই তাঁরা যেন হতাশ হয়ে না পড়েন এবং ছবি তৈরি চালিয়ে যান।’

    ’দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে কটাক্ষের সুর

    সাক্ষাৎকারে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কেও তিনি বিতর্কিত ছবি বলেছেন। তিনি (Naseeruddin Shah) বলেন, “ভিড়’, ‘আফওয়া’, ‘ফরাজ’-এর মতো অসাধারণ ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তা বক্স অফিসে একেবারে ব্যবসা করতে পারেনি। কোনও দর্শক সেই ছবি দেখতে যায়নি। আর এদিকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় উপচে পড়েছে। আমি ছবিটা দেখিনি আর দেখতেও চাই না। কারণ এর সম্পর্কে আমি  অনেক কিছু পড়ে ফেলেছি। আমরা সকলেই নাৎসি-অধ্যুষিত জার্মানির পথেই হাঁটতে শুরু করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur:  স্টিল প্ল্যান্টে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, পুলিশের লাঠিচার্জ, আন্দোলনে এলাকাবাসী

    Durgapur: স্টিল প্ল্যান্টে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, পুলিশের লাঠিচার্জ, আন্দোলনে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) উচ্ছেদ অভিযানের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় তামলা বস্তি এলাকায়। পাঁচিল দেওয়ার কাজের শুভ সূচনা করতেই ডিএসপি কর্তৃপক্ষকে বাধার মুখে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। ডিএসপি’র জমিতে বসবাসকারীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিএসপি’র সিআইএসএফ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সিআইএসএফের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ওপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় কয়েকজন এলাকাবাসী আহত হন। গান্ধী মোড় থেকে মায়া বাজার যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে দেয় এলাকাবাসী। রাস্তায় গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুনর্বাসনের দাবি করেন। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর (Durgapur) ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা বস্তি ও ফরিদপুর সহ পলাশডিহা এলাকায় ডিএসপি’র জমিতে প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে রুটিরুজি’র টানে বহু মানুষ বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ কারখানার সম্প্রসারণের জন্য অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নোটিস জারি করে। প্রায় দেড় মাস আগে ওই সব এলাকায় নোটিস জারি করতেই বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ডিএসপি’র টাউন সার্ভিস বিল্ডিং ঘেরাও করে চলতে থাকে দফায় দফায় বিক্ষোভ। তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম সহ প্রতিটি রাজনৈতিক দল ওই অবৈধ দখলদারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এলাকায় এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের পথসভা হতে থাকে। যদিও এলাকাবাসী রাজনৈতিক দলের শিকার হতে নারাজ। তাঁদের দাবি, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ভোটবাক্সে ভোট ভরতে নেতারা এগিয়ে আসছেন। তাই নেতাদের ওপর ভরসা হারিয়ে নিজেরাই কমিটি গঠন করে আন্দোলন জারি রাখেন। এরই মধ্যে এদিন সকালে অ্যালো স্টিল প্ল্যান্টের পাশে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরুর জন্য ভূমি পুজো করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আমজনতা। তাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন। ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও ধর্মেন্দ্র যাদব সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সামিল হতে প্রথম দিকে বাধা দেয়। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। শেষমেশ পুলিস প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের আশ্বাসে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর বিক্ষোভ উঠে যায়।

    বিক্ষোভকারী ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী রতন সিং বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় মানুষজন বসবাস করে। আমাদের উচ্ছেদ করার আগে ডিএসপিকে পুনর্বাসন দিতে হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর (Durgapur) পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল বলেন, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ লোকাল প্রশাসনকে না জানিয়ে এদিন ভূমি পুজো করতে এসেছিল। সেখান থেকে গন্ডগোল হয়েছে। আমরা সামাল দিচ্ছি। ঘটনার তদন্তও হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Trinamool Clash: মালদায় জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Trinamool Clash: মালদায় জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা পরিষদের পদ বণ্টন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Trinamool Clash) প্রকাশ্যে চলে এল মালদায়। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিল দলের অন্দরেই। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক রহিম বক্সির বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে তাঁর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলেরই কর্মীদের একাংশ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Trinamool Clash)

    দলের একাংশের অভিযোগ, অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয় সদস্যদের বাদ দিয়ে পরিচিত এবং নবীন সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি। মোটা টাকার বিনিময়ে স্থায়ী সমিতির সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর (Trinamool Clash)। এমনকী মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিজের ছেলেকে অস্থায়ী সমিতির সদস্য করেছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনায় জেরে জেলার বিভিন্ন ব্লকের জেলা পরিষদের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ দেখান হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মালদা জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। সেই সময়ই জেলা সভাপতি রহিম বক্সিকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ ছিল স্বজনপোষণ ও মোটা টাকার বিনিময়ে পদ বিলিয়েছেন জেলা সভাপতি। দলের অন্দরে সেই ক্ষোভের কথা স্বীকারও করে নেন জেলা সভাপতি।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি বলেন, জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য রাজ্য থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। কোনও নির্দেশ অমান্য করা হয়নি। যাঁরা  বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এসব করার কোনও মানে হয় না।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি ও কর্মাধ্যক্ষ পদের জন্য জেলার প্রথম সারির নেতাদের না রেখে জেলা সভাপতি সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা নিজের ছেলেকে কর্মাধ্যক্ষ করেছেন। পাশাপাশি মোটা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা হয়েছে। এমনকী প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে কাউকেই কর্মাধ্যক্ষ করা হয়নি। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সির অপসারণের দাবি জোরালো হয়। এই ঘটনায় দলের কোন্দল (Trinamool Clash) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়ছে বিপদ! প্লেটলেটের পতন আর কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়ছে বিপদ! প্লেটলেটের পতন আর কোন রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ উর্ধ্বমুখী। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ডেঙ্গি আরও দাপট বাড়িয়েছে। আর চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এ বছরে ডেঙ্গি আরও বড় বিপদ ডেকে আনছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরে একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। তাই বাড়ছে প্রাণ সংশয়।

    স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য কী বলছে? 

    স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) সংক্রমণ বাড়ছে। অগাস্টের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। কিন্তু সেপ্টেম্বরের প্রথম দশদিন পরে রাজ্যে মোট ডেঙ্গি আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার। অর্থাৎ, দশ দিনের মধ্যে রাজ্যে ছ’হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। এই তথ্য স্পষ্ট করছে, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি কতখানি উদ্বেগজনক।

    কোন জটিলতা তৈরি করছে ডেঙ্গি (Dengue)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) এবার শুধু জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা, বমি কিংবা হাত-পায়ের পেশিতে যন্ত্রণা আর ক্লান্তিভাবের মতো উপসর্গতেই আটকে থাকছে না। প্লেটলেট কমলেই একাধিক জটিলতা তৈরি হচ্ছে। যা আক্রান্তদের জন্য বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে। সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের অধিকাংশের প্লেটলেট কমলেই অন্তঃক্ষরণ শুরু হচ্ছে। অর্থাৎ শরীরের ভিতরে রক্তপাত শুরু হচ্ছে। ফলে, বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ছে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা হারিয়ে যাচ্ছে। যা প্রাণনাশের আশঙ্কা তৈরি করে। 
    এছাড়াও, ডেঙ্গি আক্রান্তের হৃদস্পন্দনের গতি অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সমস্যায় এ বছরে অধিকাংশ ডেঙ্গি আক্রান্ত ভুগছে। কখনও হৃদস্পন্দন বেশি আবার কখনও কম হচ্ছে। ফলে, শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এমনকি হৃদপিণ্ডের জটিল সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। 
    প্লেটলেট কমার জেরে লিভার ও ফুসফুসে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্তের একটি বড় অংশের ফুসফুসে জল জমছে। ফলে, তাঁরা নিউমোনিয়ার মতো রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অন্ত্র ও লিভারের একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের কিডনির কার্যকারিতা কমছে। ফলে, শারীরিক জটিলতা বাড়ছে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি ভয়াবহ। হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। তাই প্রথম থেকেই সজাগ থাকতে হবে। তাঁদের পরামর্শ, সামান্য জ্বর কিংবা সর্দিকেও অবহেলা করা চলবে না। বমি, জ্বর, মাথাব্যথার মতো উপসর্গ হলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু হলে পরিস্থিতি জটিল হওয়া আটকানো কিছুটা সহজ হয়। পাশপাশি প্লেটলেট কাউন্ট অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সেগুলো করতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। 
    তবে, রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, প্রত্যেক বছর ডেঙ্গির জেরে ভোগান্তির শিকার হন রাজ্যের মানুষ। তার পরেও কেন প্রশাসনিক সক্রিয়তা বাড়েনি? কবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে? কারণ, শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের সতর্কতা ডেঙ্গি রুখতে পারবে না। প্রশাসনিক সক্রিয়তা ছাড়া ডেঙ্গির মতো সংক্রামক রোগ আটকানো কঠিন বলেও মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বীরভূমে কি ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত! ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উধাও ছবি

    Anubrata Mondal: বীরভূমে কি ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত! ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উধাও ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। তাঁর কথাতেই এই জেলায় বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত। ফলে, সরকারি হোক বা দলীয় কর্মসূচি, অনুব্রতের ছবি থাকা এক প্রকার অঘোষিত নির্দেশ ছিল জেলায়। গরু পাচার মামলায় গত বছর গ্রেফতার হওয়ার পরে যত দিন গিয়েছে, ততই কেষ্ট ম্যাজিক উধাও হয়ে গিয়েছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কাজল সেখ। এখন কেষ্টকে কার্যত ঝেড়ে ফেলা দেওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়িয়েছে বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ব্রাত্য কেষ্ট! (Anubrata Mondal)

    ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির বসেছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত লোবা গ্রামে। লোবা পঞ্চায়েতের তরফে যে তোরণটি বসানো হয়েছে, তার উপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিচে দু’পাশে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের ছবি। এমন তোরণ থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি আগেই সরেছিল। দলীয় সূত্রেই খবর, ‘প্রভাবশালী’ তকমা ঘোচাতে উঁচুতলা থেকেই দলীয় কর্মসূচিতে অনুব্রতের নামে স্লোগান দেওয়া বা তাঁর ছবি ব্যবহারে একসময়ে ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছিল। আর এখন দলীয় বা সরকারি কর্মসূচিতে ‘ব্রাত্য’ অনুব্রত। একটা সময়ে মমতা, অভিষেকের সঙ্গে তোরণ, ফ্লেক্স বা ব্যানারে দেখা যাচ্ছিল জেলার অন্য নেতা বা মন্ত্রীর ছবি। তৃণমূল সূত্রেই জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অনুব্রতের ছবি ফেরানোর ‘নির্দেশ” এসেছিল ঠিকই, কিন্তু সাময়িক। ঠিক সেই সময় থেকেই ‘উত্থান’ কাজল শেখের। দলের নানুর ব্লক কমিটির কার্যকরী সভাপতি কাজলকে প্রথমবার ভোটের টিকিট দেয় দল। প্রথম বারেই বিপুল ব্যবধানে জিতে সভাধিপতি হওয়ার পরে তাঁর ‘প্রভাব’ ও ‘দাপট’ আরও বেড়েছে জেলায়। অনুব্রতের জায়গা দখল করেছেন কাজল।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি?

    অনুব্রত-পরবর্তী অধ্যায় কি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায়? যার প্রতিফলন দেখা গেল লোবা পঞ্চায়েতের তরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত দুয়ারে সরকার শিবিরের তোরণে। যদিও কাজলের কথায়, ‘তিনি আমার অভিভাবক। আমার রাজনৈতিক গুরু। উনি জেলা সভাপতি আছেন।’ ব্যস ওই পর্যন্ত। বাস্তবে অন্য চিত্র দেখছে দলের কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে জেলার এক নেতা বললেন,’ বিকাশদা এখন পদে নেই। কেষ্টদা (Anubrata Mondal) জেলাতেই নেই! এটা মনে রাখতে হবে। এটাই বাস্তব।’

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় উড়ানে গেল অনুব্রতের (Anubrata Mondal) নথি

    অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলার যাবতীয় নথি দিল্লিতে নিয়ে গেলেন ইডির আধিকারিকরা। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে দু’টি ট্রলি ভর্তি মামলার নথি নিয়ে দিল্লিতে উড়ে যান ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দুই কর্মীও। দিল্লির আদালতে নথি জমা দেবেন তাঁরাই। এদিন গোটা টিমের নিরাপত্তায় ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, বিশেষ কোনও কারণ না থাকলে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে গরু পাচার মামলার নথি জমা পড়ে যাবে। তারপর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দুই কর্মী দিল্লি থেকে ফিরে আসবেন।

    এবার পুজোতে তিহাড়েই থাকতে হবে সুকন্যাকে!

    এক-দুই মাস নয়, চারমাস পিছিয়ে গিয়েছে মূল গরুপাচার মামলার শুনানি। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে সুকন্যার জামিনের আবেদন আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ এবছর আর জামিনের আবেদন না হওয়ার সম্ভাবনা। সামনের বছর জামিনের আবেদন হতে পারে। যার ফলে এবার পুজোতে তিহাড়েই থাকতে হবে সুকন্যাকে। এই আদালতেই জামিনের জন্য আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু তিনি কি পুজোর সময় বের হতে পারবেন? এনিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সেই মামলার শুনানি হবে। তারপরই বোঝা যাবে তিনি আদৌ পুজোর সময় জেল থেকে বের হতে পারবেন কি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Smriti Irani: হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযানে স্মৃতি ইরানি, চুটিয়ে জনসংযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে হাওড়া থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতে জগৎবল্লভপুরে আসেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাওড়ার রাজাপুর দক্ষিণ বাড়িতে বিজেপি কর্মী পলাশ মালিকের বাড়ি থেকে গৃহ সম্পর্ক অভিযান শুরু করেন। এই উপলক্ষ্যে গ্রামের ওই কর্মীর বাড়িতে সকাল থেকেই রান্নাবান্না সহ অতিথি আপ্যায়নের বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দুপুরে পাত পেড়ে খান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    এরপর স্মৃতি (Smriti Irani) যেন পরিবারের মেয়ে-বউদের সঙ্গে মিশে গেলেন। মাটিতে বসে স্মৃতির সঙ্গে খেলেন দলের হাওড়ার নেতারাও। তাই সকাল থেকে রান্নাবান্না চলছিল পলাশ মালিকের বাড়িতে। ভাত, ডাল, বেগুনি, পটল চিংড়ি, শুক্তো, সর্ষে ইলিশ, রুই মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপড়। আর শেষ পাতে ছিল মিষ্টি। খেতে বসার আগে দলের জেলার নেতাদের থালায় করে খাবার পরিবেশনও করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই উপলক্ষ্যে পরিবারের মহিলা সদস্যা রুমা মালিক বলেন, আমরা তফশিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। আমাদের বাড়িতে মন্ত্রী আসবেন, কল্পনা করতে পারিনি। আমরা খুবই খুশি। তাঁর জন্য আমরা ঘরে বাঙালি খাবারের আয়োজন করেছি। 

    গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani)

    মা-কাকিমা সকলে মিলে আমরা রান্নার আয়োজন করেছি। আরেক মহিলা সদস্যা সুচিত্রা হাজরা বলেন, বাঙালি রান্নার আয়োজন আমরা করেছি। খুবই আনন্দিত যে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Smriti Irani) তিনি আমাদের মতো গরিবের বাড়িতে এলেন। পনেরো বছর হল এখানে দক্ষিণ বাড়িতে এসেছি। কিন্তু এত বড় মাপের কোনও মন্ত্রী আমাদের গ্রামে আসেনি। বিশেষ করে আমাদের বাড়িতে উনি আসছেন। এটা ভেবেই আমরা খুব আনন্দিত। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি হাওড়ার জগৎবল্লভপুর সহ চামরাইল, জগদীশপুর বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। পার্টি কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসম্পর্ক স্থাপন করেন। আমার মাটি আমার দেশ সম্পর্ক অভিযানের কর্মসূচি হিসেবে গ্রাম থেকে মাটি সংগ্ৰহ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share