Tag: Bengali news

Bengali news

  • Tarapith: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? কীভাবে যাবেন তীর্থধাম তারাপীঠে?

    Tarapith: কৌশিকী অমাবস্যার মাহাত্ম্য কী? কীভাবে যাবেন তীর্থধাম তারাপীঠে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা (Kaushiki amavasya 2023)। তন্ত্র এবং সাধনার জায়গা তারাপীঠ (Tarapith), বাঙালির অন্যতম শক্তি পীঠস্থান। কৌশিকী অমাবস্যায় বহু তন্ত্রসাধক এসে তারাপীঠ মহাশ্মশানে মহাযজ্ঞ করে থাকেন। শ্মশান সংলগ্ন দ্বারকা নদীর জল উত্তরবাহিনী। হিন্দু ধর্মে উত্তরবাহিনী নদী বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ ভারতের প্রায় সব নদী নেমেছে উত্তর দিকের হিমালয় থেকে। একমাত্র দেখা যায় কাশীতে গঙ্গা উত্তরবাহিনী আর তারপরে বীরভূমের এই দ্বারকা। তাই হিন্দুদের কাছে বিশেষ তীর্থধাম সতীর এই পীঠ। কৌশিকী অমাবস্যায় গ্রহ-নক্ষত্রের বিশেষ যোগ কাজ করে। ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর কৌশিকী অমাবস্যা। এই দুই দিনে কয়েক লাখ ভক্তের সমাগম হয় তারাপীঠে।

    কীভাবে যাবেন তারাপীঠ?

    তারাপীঠ (Tarapith) বীরভূম জেলায় রামপুরহাটের কাছে অবস্থিত। তারাপীঠে যেতে গেলে রামপুরহাট স্টেশন এবং তারাপীঠ রোড রেল স্টেশন রয়েছে। ট্রেনে গেলে এই দুই স্টেশনেই নামতে পারবেন। হাওড়া বা দক্ষিণবঙ্গের যে কোনও জেলা থেকে গেলে এই দুই স্টেশনে নামা যাবে। আবার কলকাতার ধর্মতলা থেকে তারাপীঠ যাওয়ার বাস পাবেন। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের যে কোনও জেলা থেকে আপনি বাস পেয়ে যাবেন৷

    যাত্রাপথে খরচ কত?

    আপনি হাওড়া বা শিয়ালদা থেকে যদি রামপুরহাট বা তারাপীঠ (Tarapith) যান, তাহলে ভাড়া পড়বে মাথাপিছু ৮০ থেকে ১০০ টাকা৷ অর্থাৎ যাওয়া-আসার খরচ মাত্র ২০০ টাকা৷ আবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, দুই ২৪ পরগনা ইত্যাদি জেলা থেকে গেলে, আপনাকে আরও কম ভাড়া দিতে হবে। যদি আপনি বাসে যান, তাহলে ধর্মতলা থেকে বাস ধরতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া দিতে হবে মাথাপিছু ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। স্টেশন থেকে মন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৮ কিলোমিটার ৷ অটো, ট্রেকার বা অন্য গাড়িতেই পৌঁছে যেতে পারেন মন্দিরে৷

    কোথায় থাকবেন?

    তারাপীঠে হোটেল অনেক। প্রতি রুমের ভাড়া ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আপনার যেমন বাজেট, সেভাবে হোটেল পছন্দ করতে পারবেন। তবে বাজেট অল্প থাকলে বিনা পয়সায় থাকার ব্যবস্থাও রয়েছে। তারাপীঠে রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সংঘ ৷ সেখানে মাত্র ৫০ টাকা দিলেই আপনি রাত্রিবাস করতে পারেন। আবার রামপুরহাট-তারাপীঠ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। সেখানে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকদের৷

    দর্শনীয় স্থান

    তারামায়ের মন্দির ছাড়াও তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বীরচন্দ্রপুরকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। পাশেই রয়েছে বীরচন্দ্রপুরে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্মস্থান। সেখানে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী নিতাই বাড়ি, বাঁকারায় মন্দির, জগন্নাথ মন্দির, গৌড়ীয় ইসকনের মন্দির, পঞ্চপাণ্ডব, মদনমোহন, শিব সহ বিভিন্ন মন্দির, নিত্যানন্দ, অদ্বৈত আচার্য ও গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর বিগ্রহ। পাশেই রয়েছে কঙ্কালীতলা মন্দির।

    এই বছর রাশিয়া, থাইল্যান্ড এবং দিল্লি থেকে বহু সাধু-সন্ন্যাসীরা ইতিমধ্যেই এসে উপস্থিত হয়েছেন তারাপীঠে। কৌশিকী অমাবস্যার দিন মহাযজ্ঞ করবেন সকলের মঙ্গল কামনার্থে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dr Zulekha Daud: বাবা ছিলেন দিনমজুর, অদম্য চেষ্টা ও সংগ্রামই পৌঁছে দিল অর্থ ও খ্যাতির শিখরে!

    Dr Zulekha Daud: বাবা ছিলেন দিনমজুর, অদম্য চেষ্টা ও সংগ্রামই পৌঁছে দিল অর্থ ও খ্যাতির শিখরে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সফলতা অর্জন করার রাস্তাটা কিন্তু মোটেও সহজ নয়, থাকে অনেক চড়াই-উতরাই। আর এইসব কাটিয়েই মানুষ তার সফলতার শিখরে পৌঁছাতে পারে। আজ এই প্রতিবেদনে এমন একজন লড়াকু মহিলার (Dr Zulekha Daud) সম্বেন্ধে জানব, যিনি নিজেকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গিয়েছেন। যাঁকে আজ এক ডাকে গোটা বিশ্ব চেনে। তাঁর নাম ডক্টর জুলেখা দাউদ। যিনি বর্তমানে একজন ভারতীয় ধনী মহিলা হিসেবেও পরিচিত।

    কে এই ডাঃ জুলেখা দাউদ (Dr Zulekha Daud)?

    ডাঃ জুলেখা দাউদ এমনই একজন নারী, যিনি নিজেকে প্রায় শূন্য থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে বর্তমানে ভারতীয় ধনী মহিলার তকমা পেয়েছেন, সম্পূর্ণ নিজের অদম্য চেষ্টা ও সংগ্রামের মাধ্যমে। তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য আজ তিনি সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছেন। ৮৪ বছর বয়সী ডাঃ জুলেখা দাউদ (Dr Zulekha Daud) মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজ তিনি দুবাইয়ে বসবাসকারী ভারতীয় ধনী মহিলা হিসেবে পরিচিত। জুলেখার বাবা একজন দিনমজুরের কাজ করতেন। অভাবী সংসারে থেকেও জুলেখা নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং একজন চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। ডাক্তারি পড়া শেষ হতেই ১৯৬৪ সালে তিনি আরব আমিরশাহী যান তাঁর কর্মসূত্রে। এই সময় তিনি প্রথম ভারতীয় মহিলার আখ্যা পান যিনি প্রথমবার ভারত থেকে আরব আমিরশাহীতে ডাক্তারি প্র্যাকটিসের  জন্য যান। দুবাইয়ে তিনি প্রায় ১০,০০০ প্রসূতির ডেলিভারি করেছেন। কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি।

    জুলেখা হাসপাতাল গ্রুপ

    ১৯৯২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন জুলেখা হাসপাতাল গ্রুপ। ৬০ বছর আগে জুলেখা যখন দুবাইয়ে তার চিকিৎসা জীবন শুরু করেন, তখন দুবাইয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে তিনি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন জুলেখা হসপিটাল গ্রুপের। তিনি জুলেখা হসপিটাল গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন।

    ডাঃ জুলেখা দাউদের (Dr Zulekha Daud) সাফল্য

    ২০১৯ সালে তিনি প্রবাসী ভারতীয় সম্মান পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। সম্প্রতি ফোর্বসের মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ ১০০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকায় তিনি (Dr Zulekha Daud) স্থান পেয়েছেন। তাঁর হসপিটাল গ্রুপের বর্তমান বার্ষিক আয় প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩০০০ কোটির কাছাকাছি। শুধু দুবাই নয়, ভারতেও তাঁর এই জুলেখা হসপিটাল গ্রুপ সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বসাধারণকে চিকিৎসা প্রদান করেছে। নাগপুরে একটি টপ মেডিক্যাল সেন্টার খোলার জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক থেকে তিনি ১৯৮ কোটি টাকা পেয়েছেন ও নিজের গ্রুপ থেকে ২০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: অপেক্ষার অবসান! ফুটবল জ্বরে উত্তেজনায় কাঁপছে মালদাবাসী, কেন জানেন?

    Malda: অপেক্ষার অবসান! ফুটবল জ্বরে উত্তেজনায় কাঁপছে মালদাবাসী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) বসেই ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের খেলা দেখতে পাবেন জেলাবাসী। মালদা জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে ইস্টবেঙ্গল লিজেন্ডস বনাম মহমেডান স্পোর্টিং লিজেন্ডস প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছে। মালদায় বসেই স্টার খেলোয়াড়দের খেলা দেখতে পাবেন জেলার মানুষ।

     কবে হচ্ছে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচ? (Malda)

    ফুটবল খেলতে এবং খেলা দেখতে মালদার (Malda) মানুষ ভালবাসেন। খেলার টানেই জেলার বহু মানুষ কলকাতায় গিয়ে মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে আসেন। জেলার ফুটবল প্রেমীদের জন্য উদ্যোক্তারা গত বছরও মালদায় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিল। ভারতীয় ফুটবলের প্রাক্তন তারকাদের সেই খেলা দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল গ্যালারিতে। এবারও ফুটবলের লিজেন্ডদের এই ফুটবল প্রীতি ম্যাচ দেখতে ফুটবলপ্রেমীরা মাঠে ভিড় করবেন বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তা তথা উত্তরবঙ্গ ক্রীড়া পর্ষদের সদস্য প্রসেনজিৎ দাস বলেন, প্রাক্তন তারকা ফুটবলাররা এই ম্যাচে খেলবেন। ২২ সেপ্টেম্বর দুই দলের মধ্যে প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা এখন থেকে দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সমস্ত রকম প্রস্তুতি।

    প্রীতি ম্যাচ করানোর মূল লক্ষ্য কী?

    ভারতায় দলের তারকা প্রাক্তন ফুটবলারদের মালদায় (Malda) নিয়ে এসে প্রীতি ম্যাচ করানোর মূল লক্ষ্য, জেলার কচিকাঁচা ফুটবলারদের ফুটবলের প্রতি আরও আগ্রহ তৈরি করা। এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের। এই উদ্যোগকে সামনে রেখে আবারও এই বছর এক ঝাঁক তারকা ফুটবলার নিয়ে আসা হচ্ছে মালদায়। এতদিন যে সমস্ত ফুটবলারদের টিভির পর্দায় খেলা দেখে এসেছিল জেলার মানুষ, এবার তাঁদের খেলা সরাসরি দেখার সুযোগ মিলবে এই প্রীতি ম্যাচে। খেলার মাঠে ও গ্যালারির মধ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে টিকিটের ব্যবস্থা করেছেন উদ্যোক্তারা। মালদার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে টিকিট মিলছে। মালদা শহরের বেশকিছু জায়গায় টিকিট বিতরণের জন্য কাউন্টার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: মমতার দক্ষিণ কলকাতাতেই ডেঙ্গির দাপট দ্বিগুণ! প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা! 

    Dengue: মমতার দক্ষিণ কলকাতাতেই ডেঙ্গির দাপট দ্বিগুণ! প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী! তথ্য বলছে, চিন্তার কারণ বাড়াচ্ছে দক্ষিণ কলকাতা। বছরভর একাধিক পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেও কাজ বিশেষ হয়েছে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ডেঙ্গির দাপট বাড়তেই প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ইতিমধ্যেই ডেঙ্গির (Dengue) সমস্ত রেকর্ড পেরিয়ে গিয়েছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় এ বছরে ডেঙ্গির প্রকোপ অনেক বেশি। তাই কলকাতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, এই শহরেই ডেঙ্গির দাপট সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০০ জন। যা গত চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০২০ সালে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫১০ জন। ২০২১ সালে ছিল ৫৬৭ জন। ২০২২ সালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছিল ১১২৩ জন। চলতি বছর অবশ্য আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। 
    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। তাই ওই এলাকাগুলো নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে।

    কলকাতার কোন এলাকায় ডেঙ্গির দাপট সবচেয়ে বেশি? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, কলকাতার দক্ষিণে সবচেয়ে শক্তিশালী ডেঙ্গি (Dengue)। তাই বেহালা, তিলজলা, মুকুন্দপুর, টালিগঞ্জ, বাঁশদ্রোণী, কসবা, তপসিয়া, নিউ আলিপুর, যাদবপুর এই জায়গাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা গিয়েছে। কলকাতার মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ এই এলাকার বাসিন্দা। অর্থাৎ, স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে কলকাতার ১৬০০ ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ১০৮৮ জন দক্ষিণ কলকাতার এই সব এলাকায় থাকেন।

    কেন দক্ষিণ কলকাতায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি রুখতে যে ধারাবাহিক কাজ জরুরি, তার ঘাটতির জেরেই বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক নির্মীয়মাণ এলাকা রয়েছে। বৃষ্টি হলে সেখানে জল জমছে। আর তাতেই মশা জন্ম নিচ্ছে। এর ফলে দাপট বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতায় একাধিক বড় পুজো হয়। বাঁশ এবং অন্যান্য সামগ্রী পড়ে থাকছে। সেখানেও জল জমছে। আর মশার আঁতুরঘর তৈরি হচ্ছে। বিপদ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। তবে, সবচেয়ে জোরালো সমস্যা নিকাশি ব্যবস্থা। কসবা, বালিগঞ্জ কিংবা বেহালা-দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেও জল জমে থাকে। নর্দমা পরিষ্কার হয় না। ফলে, মশার উপদ্রব বাড়ছে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ।

    কী বলছে কলকাতা পুরসভা? 

    ডেঙ্গির প্রকোপ বেড়ে চলায় সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়ছে কলকাতা পুরসভা। কারণ, বছরভর কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। পাশাপশি ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুর প্রশাসনের! ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ায়, তাই প্রশ্ন উঠছে, কলকাতা পুরসভা কি তার দায়িত্ব পালন করতে পারছে না? পুরসভা অবশ্য জানাচ্ছে, তারা যথেষ্ট সক্রিয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। জল জমলে যেখানে নিকাশির কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া কেউ আক্রান্ত (Dengue) হলে সেখানে প্রয়োজনীয় নজরদারি করা হচ্ছে। তবে, সাধারণ মানুষের সচেতনতা আরও জরুরি বলেও মনে করছে পুরসভা। তারা জানাচ্ছে, সে বিষয়ে আরও জোরালো কর্মসূচি চালানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মাঝেরহাট, পোস্তার মতো অবস্থা হবে না তো হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর! উদ্বেগে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা

    Howrah: মাঝেরহাট, পোস্তার মতো অবস্থা হবে না তো হাওড়ার বঙ্কিম সেতুর! উদ্বেগে মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৮ সালের এক মঙ্গলবার বিকেলে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল প্রায় ৪০ বছরের পুরানো মাঝেরহাট ব্রিজ। মৃত্যু হয়েছিল বেশ কয়েকজনের। আর আগে ২০১৩ সালের ৪ মার্চ মধ্যরাতে ভেঙে পড়েছিল উল্টোডাঙার ওভারব্রিজ। এর পর ২০১৬-র ৩১ মার্চ ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ পোস্তা সেতু। সেই  ঘটনায় মারা যান ২৭ জন। আরও ৮০ জন জখম হয়েছিলেন। শহরে একের পর এক সেতু বিপর্যয়ের পর এবার হাওড়া শহরের প্রধান যোগাযোগকারী বঙ্কিম ব্রিজের এতটাই বেহাল অবস্থা যে সেই ব্রিজটিও মাঝেরহাট ব্রিজের মত ভেঙে পড়বে না তো? এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হাওড়া শহরের বাসিন্দারা, বিশেষ করে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা।

    বঙ্কিম সেতু নিয়ে কেন উদ্বেগ?

    দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। ফলে, ক্রমশ বেহাল হয়ে পড়ছে হাওড়ার বঙ্কিম সেতু।  হাওড়া ব্রিজ থেকে নেমে দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই বঙ্কিম সেতু। মঙ্গলবার দুপুরে এই সেতুর চাঙর ভেঙে পড়ে জখম হয়েছেন দুজন। তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,  এই বঙ্কিম সেতুর নিচেই বসে মঙ্গলাহাট। সেতুর ঠিক নীচে পুজোর আগে ফুটপাতের দোকানগুলিতে উপচে পড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। তখনই বঙ্কিম সেতুর চাঙর খসে পড়ে এক ক্রেতার গায়ে লাগে। সঙ্গে ছিল এক শিশু। ওই চাঙড়ের আঘাতে জখম হয় শিশুটি। তাকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া জেলা হাসপাতালে। এমনিতেই কয়েক বছর আগে সেতুর ওপরের ভার কমাতে হাওড়া সিটি পুলিশের উদ্যোগে সেতুর ওপর পার্কিং বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সে নির্দেশও বেশি দিন মানা হয়নি । মঙ্গলাহাটের দুদিন আগে থেকেই বড় বড় লরি লোডিং আনলোডিং এর কাজ হয় বঙ্কিম সেতুর ওপরেই। ফলে সেতুর নিচে দিয়ে যারা যাতায়াত করেন তারা খুবই আতঙ্কের মধ্যে তাদের পথ চলতে হয়। ফলে, যে কোনও মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে পড়তে পারে।

    স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের বক্তব্য,বঙ্কিম সেতুর অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ। কোনও মেরামতি করা হয়নি। অনেক জায়গাতেই সেতু থেকে জল পড়ে। আবার কোথাও কোথাও সেতুতে ওঠার লোহার সিঁড়ি পুরোপুরি ভগ্ন দশা। সেসব জায়গা দিয়ে সেতুতে উঠতে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়েন অনেকে। একইভাবে হাওড়ার মাছ বাজারের সামনে থেকে বঙ্গবাসী সিনেমা হলের সামনে যেখানে গিয়ে সেতুটি নেমেছে পুরো অংশটাই রাস্তা যেমন ভাঙাচোরা,একইভাবে সেতুর নিচের ছাদ থেকে মাঝেমধ্যেই খসে পড়ে চাঙড়। কয়েকদিন আগেও এই ধরনের একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও সেতু মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান কী বললেন?

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী বলেন, এদিনে দুর্ঘটনার পরেই আমি কে এম ডি এর আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কারণ সেতুটি মেরামতি এবং রক্ষণাবেক্ষণ এর কাজ করে কে এম ডি এ। কেএমডির আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুততার সঙ্গে সেতু মেরামতির কাজ শুরু হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: জিতেন্দ্রর আসানসোলে ঢুকতে বাধা নেই, হাইকোর্ট কী শর্ত দিল জানেন?

    Asansol: জিতেন্দ্রর আসানসোলে ঢুকতে বাধা নেই, হাইকোর্ট কী শর্ত দিল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র| তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারির আর আসানসোলে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা রইল না। আদালতের নির্দেশে তিনি এই শহরে ঢুকতে পারতেন না। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে আসানসোলে ঢোকার অনুমতি দিয়েছে। তাঁকে হাইকোর্টের তরফে এই ছাড় দেওয়ার যদিও ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। যা তাঁকে মেনে চলতে হবে।

    বিজেপি নেতাকে কী কী শর্ত দিল হাইকোর্ট?(Asansol)

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের (Asansol) রেলপারের রামকৃষ্ণ ডাঙালে কম্বল বিতরণ করার সময় পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। তাতে তিনজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মৃত এক মহিলার ছেলের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে থেকে আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারি, তাঁর স্ত্রী আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলার চৈতালি তেওয়ারি,একাধিক কাউন্সিলর সহ বেশ কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়। কয়েক মাস পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে দিল্লি হয়ে আনা হয়েছিল আসানসোলে। তারপর তাঁকে পরে কলকাতা  হাইকোর্ট জামিন দিলেও আসানসোলের ঢোকার অনুমতি দেয়নি। তাঁকে শুনানির দিনে আসানসোল জেলা আদালতে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এসে হাজিরা দিতে হত। পরে আসানসোলে আসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জিতেন্দ্র তেওয়ারি আবেদন জানিয়েছিলেন।

    কী বললেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি?

    এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন,  এদিন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আমার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। এখন আসানসোলে (Asansol) আমার আসার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকল না। এখানেই আমার আবাসনও  আছে। কোনও কর্মসূচি করার ক্ষেত্রেও আর অসুবিধা নেই। তবে, প্রতি ১৫ দিন পর পর একবার করে আমাকে এই মামলার তদন্তকারী জ অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে হবে। আদালতের সব নির্দেশ আমি মেনে চলব। উল্লেখ্য, এই মামলাতেই তাঁর স্ত্রী এবং একাধিক কাউন্সিলররা যুক্ত থাকলেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ১৩/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ১৩/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) ভেবেচিন্তে কথা বলুন, তখনই সম্মান পাবেন।

    ২) প্রেম জীবনে সঙ্গীর জন্য কোনও উপহার পেতে পারেন, এর ফলে সম্পর্ক মধুর হবে।

    বৃষ

    ১) রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী আপনার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে।

    ২) নতুন কাজ শুরুর জন্য সময় অনুকূল।   

    মিথুন

    ১) অনৈতিক কাজ এড়িয়ে যান।

    ২) সামাজিক কাজে মনোনিবেশ করুন।

    কর্কট

    ১) শুভ কাজে অর্থ ব্যয় করবেন।

    ২) ভেবেচিন্তে কাজ করুন, না-হলে ভবিষ্যতে আর্থিক পরিস্থিতি নষ্ট হতে পারে।

    সিংহ 

    ১) আত্মীয়দের সঙ্গে বিবাদ চললে তা-ও সমাপ্ত হবে।

    ২) কারও কাছ থেকে ঋণ নেবেন না। কারণ শোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

    কন্যা

    ১) সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনবৃদ্ধি সম্ভব।

    ২) দৈনন্দিন ব্যবসায় ধন লাভ সম্ভব।

    তুলা 

    ১) চাকরিজীবীদের গোপন শত্রুদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

    ২) ব্যবসায় কঠিন পরিশ্রমের পর সাফল্য লাভ সম্ভব।

    বৃশ্চিক

    ১) চাকরিতে বাণী মাধুর্যের জোরে বড়সড় সমস্যার সমাধানে সফল হবেন। এর ফলে আর্থিক লাভ সম্ভব।

    ২) পরিবারে ভাই বা বোনের বিয়েতে আগত বাধা পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে দূর হবে।

    ধনু

    ১) ব্যবসায় হঠাৎই বড়সড় অর্ডার পেতে পারেন।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ শুভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে হবে।

    মকর

    ১) রোজগারের উদ্দেশে কাজ করছেন যাঁরা, তাঁরা আজ ভালো সুযোগ পাবেন।
     
    ২) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।

    কুম্ভ

    ১) ব্যবসার জন্য নতুন পরিকল্পনা করতে চাইলে তার জন্য দিন ভালো।

    ২) ভাইদের সঙ্গে বিবাদের সমাধান হবে।

    মীন

    ১) স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নিন।

    ২) প্রেম জীবনে মাধুর্য থাকবে। আজ স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে।

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    ED: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ঝালদা পুরসভাকে নোটিস পাঠাল ইডি, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার নাম জড়াল পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা। ইতিমধ্যেই ইডির (ED) পক্ষ থেকে এই পুরসভায় নোটিস ধরানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ইডি এই পুরসভায় নোটিস পাঠানোয় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভাকে ইডি নোটিস পাঠিয়েছিল। এমনকী কামারহাটি পুরসভার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডা অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় চাকরি করেন। অয়ন শীলের সংস্থার প্যানেলে তাঁর চাকরি হয়েছিল। ইডি তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এরপর কয়েকদিন আগে ডায়মন্ডহারবার পুরসভাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি নোটিস করেছিল। এবার সেই তালিকা চলে এল ঝালদা পুরসভা।

    ইডি (ED) নোটিস প্রসঙ্গে কী বললেন পুরসভার প্রধান করণিক?

    এ প্রসঙ্গে ঝালদা পুরসভার প্রধান করণিক গৌতম গোস্বামী বলেন, সোমবার ডাক যোগে ও ইমেলে এই নোটিস পান। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে যে সব নিয়োগ হয়েছে তাঁদের বায়োডাটা-সহ সমস্ত নথি জমা করতে হবে। সেইসঙ্গে সেই সময় থেকে পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক-সহ পুর কর্মচারীদের নাম, ফোন নম্বর এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। সেইভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে পুরসভা। পুরসভার পক্ষ থেকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করা হবে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    প্রসঙ্গত, পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে ইডি (ED)। ২০১৬-১৭ সালে নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলেই দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও। বিরোধীদের বক্তব্য, আমরা নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বার বার সরব হয়েছিলাম। এবার সেটাই প্রমাণিত হল। আমাদের বিশ্বাস, ইডি প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে অবাক কাণ্ড, বন্ধ স্কুল ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ!

    Paschim Medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে অবাক কাণ্ড, বন্ধ স্কুল ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধ স্কুলের ঘরের মধ্যে থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। রাস্তা দিয়ে কেউ গেলে থমকে যাচ্ছেন। একজন বা দুজন নয়, স্কুলের আশপাশে থাকা অনেকেই সেই আওয়াজ নিজের কানে শুনেছেন। ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা শংকরী বিদ্যায়তন হাইস্কুলে। কোনও বাচ্চা আটকে রয়েছে ভেবে স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন অনেকে। কিন্তু, স্কুল গেটের তালা খুলে সকলেই হতবাক। কোনও কান্নার আওয়াজ নেই। কোনও বাচ্চাও নেই। ঘটনায় চমকে যান অনেকেই। তবে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ এল কোথা থেকে? সেই উত্তর কেউ খুঁজে পাননি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Paschim Medinipur)

    স্কুলের ভেতরে এই ধরনের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) কোতোয়ালি থানার পুলিশ আসে। দীর্ঘক্ষণ স্কুলে খোঁজাখুঁজির পরও স্কুলের ভেতর কোনও বাচ্চার উপস্থিতি নজরে আসেনি পুলিশ ও এলাকাবাসীদের। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চালায় এলাকাবাসী ও পুলিশ কর্মীরা। স্কুলের ভিতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ ভেসে আসায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা বিকেলের পর থেকেই ওই স্কুলের ভেতর থেকে একটা আওয়াজ পাই। আওয়াজটা শুনে মনে হবে একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। আমরা ভাবি, কোনও বাচ্চা হয়তো বন্ধ স্কুলের মধ্যে আটকে পড়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলরকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ডেকেও খোঁজ হয়। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি।  আদৌ কোনও বাচ্চার কান্নার আওয়াজ নাকি অন্য কিছু সে সম্বন্ধে পরিষ্কার কোনও ধারণা দিতে পারেনি পুলিশও। ঘটনায় আমরা বেশ আতঙ্কে রয়েছি।

    কী বললেন স্থানীয় কাউন্সিলার?

    স্থানীয় কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাকে বিকেলের দিকে একবার খবর দেওয়া হয়। আমি স্কুলের একজনকে নিয়ে এসে তালা খুলে সমস্ত জায়গায় খুঁজে দেখি। কিন্তু, কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর আমি ফিরে যাই। ফের সন্ধ্যার পর এরকম আওয়াজ পাওয়া যায়। বাধ্য হয়ে আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশের সঙ্গেও আরেক দফা স্কুলে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু, সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি। স্কুলের বন্ধ ঘর থেকে কেন ওই আওয়াজ এল তা বুঝতে পারলাম না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rat Tourism: স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে পিছনে ফেলে নিউইয়র্কের নয়া আকর্ষণ ইঁদুরের উৎপাত

    Rat Tourism: স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকে পিছনে ফেলে নিউইয়র্কের নয়া আকর্ষণ ইঁদুরের উৎপাত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণস্থল হয়ে উঠেছে। তবে কোনও দর্শনীয় স্থান দেখতে নয়, শহরের রাস্তায় ইঁদুরের উৎপাত (Rat Tourism) দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের অভিযোগ যে শহরে এই ইঁদুরের সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এভাবে ইঁদুরের সমস্যা বাড়তে থাকলে নানা অসুখ-বিসুখ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন তাঁরা। শুধু তাই নয় ইঁদুর থেকে ছড়িয়ে পড়া জীবাণু শিশুদের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তবে সেসব কিছু তোয়াক্কা না করে ইঁদুর সমস্যাকেই এই রোজগারের উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শহরে শুরু হয়েছে ইঁদুর পর্যটন (Rat Tourism)।

    নিউইউর্কে ইঁদুর পর্যটন (Rat Tourism)

     আবার পর্যটকদের ইঁদুরের দৌরাত্ম্য দেখাতে গাইডের ভূমিকাও পালন করছেন অনেকজন। মোটা টাকা উপার্জন হচ্ছে শুধুমাত্র ইঁদুরকে কেন্দ্র করে। রিপোর্ট বলছে নিউইয়র্ক শহরে বর্তমানে ইঁদুর রয়েছে ১ কোটিরও বেশি। পর্যটকরা জানিয়েছেন যে নিউইয়র্কের আকর্ষণীয় স্থান বলতে রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক, স্ট্যাচু অফ লিবার্টি, টাইম স্কোয়ার ইত্যাদি। ইঁদুরের দৌরাত্ম্য পর্যটক টানার ক্ষেত্রে যেন স্ট্যাচু অফ লিবার্টিকেও অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে। বর্তমানে এই শহরে ১ কোটিরও বেশি ইঁদুর (Rat Tourism) রয়েছে।

    ইঁদুরের উৎপাতের ভিডিও করছেন অনেকে 

    তবে শুধুমাত্র পর্যটকরাই যে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য দেখছেন এমনটা নয়। ভিডিও করে বিভিন্ন রিলস বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ইঁদুরের উৎপাত। এই ভিডিওগুলির ভিউও হচ্ছে ব্যাপক (Rat Tourism)। শহরের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন যে ইঁদুরের দৌরাত্ম্য বিগত বছরগুলির তুলনায় বেশ কিছুটা কমেছে। তবে তা খুব বেশি কমেনি। তবে প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যেমন বর্জ্য পদার্থ সঠিক জায়গায় ফেলার জন্য নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share