Tag: Bengali news

Bengali news

  • Durga Puja 2023: দেবী দুর্গার দশ হাতে দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্য কী? জেনে নিন বিস্তারিত

    Durga Puja 2023: দেবী দুর্গার দশ হাতে দশ অস্ত্রের মাহাত্ম্য কী? জেনে নিন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী দশভূজা দুর্গা মায়ের পুজো (Durga Puja 2023) আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। মৃৎশিল্পীদের কাজের ব্যস্ততা তুঙ্গে। আকাশে বাতাসে বইতে শুরু করেছে আগমনীর বার্তা। কিন্তু মা দশভূজার দশ হাতে অসুর বধের জন্য যে অস্ত্র দেওয়া হয়, তার তাৎপর্য কী? অস্ত্রের বাহ্যিক এবং অন্তর্নিহিত মাহাত্ম্য কী? অশুভ শক্তিকে জয় করে, শুভ শক্তির জাগরণে এই অস্ত্রের গুরুত্ব কেমন? আসুন জানি এই অস্ত্রের উৎস এবং গুরুত্ব।

    ১. ত্রিশূল

    পুরাণে কথিত রয়েছে যে মহাদেব নিজে ত্রিশূল দিয়েছিলেন। এই ত্রিশূলের তিন মাথায় তিন রকম গুণ রয়েছে। সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ। দেবী দুর্গা এই ত্রিশূল দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন।

    ২. সুদর্শন চক্র

    দেবী দুর্গার (Durga Puja 2023) হাতে আরেক অস্ত্র হল সুদর্শন চক্র। ভগবান বিষ্ণু ত্রিকালজয়ী মহিষাসুরকে বিনাশ করার জন্য এই চক্র প্রদান করেন। জগতের সকল সৃষ্টি এবং বিনাশের ভার অর্পিত থাকে এই সুদর্শন চক্রের উপর।

    ৩. পদ্ম ফুল

    সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা স্বয়ং নিজে দেবী দুর্গার হাতে পদ্ম ফুল তুলে দেন। এই পদ্ম ফুল হল মহাজ্ঞান বা প্রজ্ঞার প্রতীক। পদ্ম মনের আধ্যাত্মিক ভাব জাগরণে বিশেষ ক্রিয়াশীল থাকে।

    ৪. তীর-ধনুক

    তীর-ধনুক শক্তির গতিময়তাকে বিশেষ গতি দান করে। দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2023) পবনদেব এবং সূর্যদেব উভয়ে মিলে এই অস্ত্র প্রদান করেন। মহাজগতে সকল শক্তির আধার হল দেবী দুর্গা। তাই এই অস্ত্র বিশেষ ভাবে শক্তির আধার।

    ৫. তলোয়ার

    তলোয়ার হল বুদ্ধির প্রতীক। যুদ্ধের ক্ষেত্রে বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা অনেক বেশি প্রয়োজন থাকে। দেবী দুর্গাকে এই অস্ত্র দান করেন গণেশ। এই অস্ত্র দিয়ে বিনাশ বা অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করা হয়। অসুরদের বিনাশ করে জগত জননী কল্যাণ সাধন করে থাকেন এই অস্ত্রের মাধ্যমে।

    ৬. বজ্র

    দেবরাজ ইন্দ্র স্বয়ং দেবী দুর্গাকে (Durga Puja 2023) এই অস্ত্র প্রদান করেন। মেঘ থেকে বজ্র ঘর্ষণ হলে যেমন শক্তি অর্জন হয়, সেই রকম ভাবে অশুভকে জয় করতে শক্তির উদ্ভব করে বজ্র। মহিষাসুরকে বধ করতে দেবী দুর্গা যখন নানান অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছিলেন, সেই সময় দেবী বজ্র অস্ত্রে সজ্জিত হন। এই বজ্র হল দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক। জীবন লক্ষ্যকে অবিচল রাখার জন্য এই অস্ত্রের ব্যবহার করা হয়।

    ৭. বর্শা

    আগ্নিদেব নিজে দেবী দুর্গার হাতে বর্শা প্রদান করেন। সত্য-মিথ্যা নির্ধারণের জন্য বর্শা অস্ত্র কাজ করে থাকে। এই বর্শা প্রজ্বলিত শক্তিকে লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যেতে ব্যাপক ক্রিয়াশীল থাকে।

    ৮. সর্প

    নাগ দেবতা শেষনাগ নিজে অসুরকে দমন করতে নাগপাশ দিয়েছেন। মনের ভাবকে শুদ্ধ করতে চেতনার প্রয়োজন হয়, তাই হল সাপ অস্ত্রের প্রতীক। এই চেতনা সর্প দেবতার গুণে সাধকের নিজের সাধনা নিম্নস্তর থেকে উচ্চস্তরের দিকে এগিয়ে যায়।

    ৯. কুঠার

    সমাজের জন্য যা হিতকর নয়, তাকে ধ্বংস করতে কুঠার অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। বিশ্বকর্মা স্বয়ং এই অস্ত্র প্রদান করেন। সকল ভয় ভীতিকে দূর করতে কুঠার অস্ত্রের প্রয়োজন।

    ১০. গদা

    যমরাজ নিজে দেবী দুর্গাকে গদা দান করছেন। এই গদা হল অস্ত্রের প্রতি আনুগত্য এবং রক্ষার প্রতীক। এই গদা হল কালদণ্ডের প্রতীক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    BJP: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে শাসক দল, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার বিজেপির ৩ জনের প্রতিনিধি দল এবিষয়ে অভিযোগ জানাতে যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির আইনজীবী লোকনাথ চট্টোপাধ্যায় ও দলের নেতা শিশির বাজোরিয়া। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের নির্বাচনের কাজে না লাগানোর দাবিও জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব।

    কী দাবি জানাল বিজেপি (BJP)?

    বিজেপির (BJP) দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে শাসক দলের মদতে জেলা প্রশাসন মৃত ব্যক্তিদের নাম রেখে দিচ্ছে ভোটার তালিকায়। যাতে নির্বাচনে শাসক দল কারচুপি করতে পারে। প্রসঙ্গত বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ ওঠে। কোথাও কোথাও তো মোট ভোটারের থেকে বেশি ভোটও পড়তে দেখা যায়, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য জুড়ে। কারচুপি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্টে চূড়ান্ত ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। এবার লোকসভার সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশের আগেই কারচুপির অভিযোগে সরব রাজ্য বিজেপি। 

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) আরও অভিযোগ, ‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ এবং ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ নামের দুটি প্রকল্প রাজ্য সরকার চালাচ্ছে, যা বাইরের সংস্থাকে টেন্ডার দিয়ে চালানো হচ্ছে। এই সংস্থার কর্মীরাও শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। দলের দাবি, ওই দুই প্রকল্পের কর্মীদের যেন কোনওভাবেই ভোটার তালিকার কাজে না রাখা হয়। এদিন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া বলেন, ‘‘শাসক দলের মদতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করা হচ্ছে ভোটার তালিকায়। আমি এটাকে ভুল বলব না, এটা হল এক ধরনের চুরি। এনিয়ে আমরা অভিয়োগ জানিয়েছি।’’ বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, নির্বাচনে যাতে কারচুপি না হয়, তাই স্বচ্ছ ভোটার তালিকার দাবিতে তাঁরা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন।  প্রসঙ্গত, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী প্রকল্পে যে ফোন নং ব্যবহার করা হচ্ছে তা দিদিকে বলো কর্মসূচির ফোন নং। এনিয়ে দলের অভিযোগ, পার্টির কর্মসূচির ফোন নং সরকারি কাজে ব্যবহার করছে শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengali Sweet: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    Bengali Sweet: শতবর্ষ পেরিয়েও সমান জনপ্রিয় সিউড়ির তাঁতিপাড়ার জিলিপি! লুকিয়ে কোন রহস্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে প্রায় অনেক জেলাতেই তাদের নিজস্ব জনপ্রিয় মিষ্টি (Bengali Sweet) আছে। যেমন বীরভূমের মোরব্বা, বর্ধমানের মিহিদানা, সীতাভোগ, বাঁকুড়ার মেচা সন্দেশ সহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু অনেকেরই অজানা বীরভূমের মোরব্বা ছাড়াও আরও একটি মিষ্টি জনপ্রিয়। সেটি হল সিউড়ির তাঁতিপাড়ার বিউলির ডালের জিলিপি। যা কিনা ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়। তাই এই মিষ্টিটি সিউড়ির মোরব্বার পাশাপাশি নিজস্ব একটি ঐতিহ্য বহন করে। কিন্তু তা এখনও থেকে গিয়েছে অনেকের অজানা।

    তাঁতিপাড়ার জিলিপির ইতিহাস কী? কেন এটি জনপ্রিয়?

    প্রায় এক শতক পেরিয়ে গেলেও আজও এই জিলিপি তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। বীরভূমের একটি স্বনামধন্য মুসলিম ধর্মীয় স্থান “পাথর চাপুরি”। এখানে দাতাবাবার উদ্দেশে যে মেলা অনুষ্ঠিত হয়, তা বর্তমানে সমগ্র দেশ এমনকী বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে। এই মেলা থেকেই জনপ্রিয় হয় তাঁতিপাড়ার দে পরিবারের জিলিপি (Bengali Sweet)। এই পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ও বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য অমৃতলাল দে জানান, তাঁতিপাড়া থেকে খাঁকি বাবার মাধ্যমেই পাথর চাপুরির জন্য মিষ্টির দোকান ডেকে এনেছিলেন স্বয়ং দাতাবাবা। এই খাঁকি বাবা ছিলেন বীরভূমের বক্রেশ্বরের একজন সাধক। তিনি তাঁতিপাড়া থেকে জিলিপি নিয়ে দাতাবাবাকে উপহার দেন। দু’জনের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও ছিল বলে জানা যায়। তার পর থেকেই দাতাবাবার আমন্ত্রণে পাথর চাপুরি মেলায় এই দে পরিবারের বিখ্যাত জিলিপির দোকান খোলা হয়। আর ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। প্রথম জিলিপি দাতাবাবাকে তুলে দিয়ে তারপরে মেলায় বেচাকেনা করত দে পরিবার। এখনও পর্যন্ত সেই রীতি চলে আসছে ১০০ বছর ধরে। প্রথমে দাতাবাবার মাজারে জিলিপি উৎসর্গ করে তবেই মেলাতে সাধারণের জন্য বিক্রি শুরু হয়।

    তাঁতিপাড়ার জিলিপি কতটা আলাদা?

    সাধারণত এই জিলিপি অন্যান্য জিলিপির থেকে অনেকটাই আলাদা। এই জিলিপি তৈরি হয় বিউলির ডাল আর চালগুঁড়ো সহযোগে। মেলাতে দোকান করার এক মাস আগে থেকে শুরু হয় প্রস্তুতি। প্রথমে বিউলির ডাল, আতপ চালের গুঁড়ো তৈরি করতে হয়। ডাল ও চাল যোগে তৈরি হয় এই অনন্য জিলিপি (Bengali Sweet), যা দূর দূরান্তের অনেক মানুষের পছন্দের খাবার। মেলা ছাড়াও বারো মাস পাওয়া যায় এই জিলিপি।

    কোথায় এই তাঁতিপাড়া?

    বীরভূম জেলার মধ্যে অবস্থিত সতীর একান্ন পিঠের অন্যতম পিঠ বক্রেশ্বর ধাম। এর কাছে অবস্থিত তাঁতিপাড়া। বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি থেকে মাত্র ২০ কিমি দূরে বাস সহযোগে পৌঁছানো যায় এখানে। যেখানে সকাল সকাল এই বিউলির ডালের জিলিপির (Bengali Sweet) দেখা মেলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাট-গুয়াহাটি ‘বোল্লা-কামাখ্যা’ এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি, রেলমন্ত্রকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাট-গুয়াহাটি ‘বোল্লা-কামাখ্যা’ এক্সপ্রেস ট্রেনের দাবি, রেলমন্ত্রকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাট থেকে সরাসরি ট্রেন ছুটবে গুয়াহাটি পর্যন্ত। একদিকে ঐতিহ্যবাহী মা বোল্লা, অন্যদিকে শক্তিপীঠ মা কামাখ্যা। ফলে বালুরঘাট স্টেশন থেকে গুয়াহাটি পর্যন্ত এই প্রস্তাবিত ট্রেনের নাম রাখা হতে পারে বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেস। ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রকের কাছে এমনই প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সুদৃঢ় হবে

    ২০০৪ সালে ভারতীয় রেলের মানচিত্রে বালুরঘাট সংযুক্ত হয়। প্রথমে বালুরং-মালদা গৌড় লিংকের মাধ্যমে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তারপর একে একে শিয়ালদা, কলকাতা, শিলিগুড়ি ও হাওড়ার একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেন পেয়েছে এই শহর। সর্বশেষ নবদ্বীপ পর্যন্ত একটি ট্রেন জুটেছে বালুরঘাটের কপালে। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একাধিক প্ল্যাটফর্মেরও প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। যার জেরে দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে বালুরঘাট রেল স্টেশনে। অন্যদিকে, দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের জন্য কারশেড নির্মাণের কাজ চলছে। কিন্তু, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে শুধু শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস রয়েছে। তাছাড়া আর কোনও ট্রেন নেই বালুরঘাটে। অন্যদিকে, রেল উন্নয়ন কমিটির তরফেও দক্ষিণ দিনাজপুর-পূর্ব ভারতের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী ট্রেনের দাবি তোলা হয়েছে। সাংসদের (Sukanta Majumdar) প্রস্তাবিত বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেস নামকে সমর্থন জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। দুই মাতৃশক্তিকে সম্মান প্রদর্শনের এই চিন্তাভাবনাকে অনেকেই কুর্ণিশ জানাচ্ছেন। এর ফলে, দক্ষিণ দিনাজপুরের সঙ্গে পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থাও সুদৃঢ় হবে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    বালুরঘাট কলেজের অধ্যাপক ডঃ দুলাল বর্মন বলেন, ‘কলকাতা যেতে চাইলে আমরা তিনটি ট্রেন ধরতে পারি। কিন্তু, উত্তরবঙ্গে যেতে গেলে শুধু শিলিগুড়ির একটি রয়েছে। তাছাড়াও, অসম, মেঘালয় সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের তেমন যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তাই বিভিন্ন কাজে ও ভ্রমণের জন্য সেই রাজ্যগুলিতে যেতে চাইলে সমস্যায় পড়তে হয়। পাশাপাশি, অনেকেই কামাখ্যা মায়ের কাছে যান। তাঁদের ক্ষেত্রে এমন ট্রেন পেলে অনেক সুবিধা হবে।’

    একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বললেন?

    একলাখি-বালুরঘাট রেল উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পীযূষকান্তি দেবের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এই দাবি জানিয়ে আসছি। জেলাবাসীর অনেকেই অসম ভ্রমণে যান। এই ট্রেন চালু হলে সকলেই খুশি হবে। বোল্লা-কামাখ্যা এক্সপ্রেসের দাবি সাংসদ (Sukanta Majumdar) তুলেছেন। আমরা এর সমর্থন জানাই।’

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ? (Sukanta Majumdar)

    বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বক্তব্য, ‘বালুরঘাট স্টেশনে লাইনের কাজ পুরো উদ্যমে চলছে। এই কাজের জন্য অনেক উদ্যোগ আটকে রয়েছে। এই লাইন তৈরি হলেই অনেক সম্ভাবনাময় ট্রেন আমরা পাব। আমি ইতিমধ্যেই বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি যাওয়ার ট্রেনের দাবি জানিয়েছি। যা বোল্লা-কামাক্ষা এক্সপ্রেস নাম হতে পারে। জেলার এক মাতৃশক্তি ক্ষেত্র থেকে অসমে শক্তিপীঠ পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: পুরুলিয়ার হাসপাতালে এ কী কাণ্ড, মোবাইলের আলোতে চলছে প্রসূতিদের চিকিৎসা!

    Purulia: পুরুলিয়ার হাসপাতালে এ কী কাণ্ড, মোবাইলের আলোতে চলছে প্রসূতিদের চিকিৎসা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উদ্যোগী নয় রাজ্য সরকার। আর এই লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়ল হাসপাতাল পরিষেবায়। অন্ধকারে মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে হচ্ছে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসব। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়া (Purulia) জেলার বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে এখন এটাই চেনা চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Purulia)

    রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে পুরুলিয়া (Purulia) জেলাতেও লোডশেডিং হচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে  বলরামপুর ব্লক হাসপাতালে। এই হাসপাতালে প্রতিদিন কয়েকশো রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালে বহু রোগী ভর্তি থাকেন। প্রসূতিদের নিয়মিত ডেলিভারি হয় এই হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, পরিষেবার জন্য জেনারেটর সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে এক ঠিকাদার সংস্থা। সেই সংস্থাকে টাকা না দেওয়ায় জেনারেটর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যা হলেই হাসপাতাল ডুবছে অন্ধকারে। এর জেরে চিকিৎসা করতে যেমন সমস্যায় পড়ছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা, তেমনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগীদেরও। মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চিকিৎসা করতে হচ্ছে প্রসূতিদের। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের প্রসবও হচ্ছে এই ভাবে। শুধু বিদ্যুৎ নয়, দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতালে জলকষ্ট, শৌচালয় অপরিষ্কার ও হাসপাতাল চত্বর বিষাক্ত আগাছায় ভরে থাকার সমস্যা রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে বলরামপুরের বিজেপি বিধায়ক বাণেশ্বর মাহাতো বলেন, হাসপাতালে প্রায়শই বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ পরিষেবা। হাসপাতালের মতো জরুরি বিভাগে বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা করা দরকার। কিন্তু, সেটা করা হয়নি। তাতে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে চিকিৎসকদের সমস্যা হচ্ছে। পুরুলিয়ার (Purulia) বলরামপুরের এই হাসপাতালের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ তিনি করবেন বলেও জানিয়েছেন।

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কী বললেন?

    ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. কুনাল কান্তি দে বলেন, বিষয়টি আমাদের গোচরে রয়েছে। জেনারেটর নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা ঠিকাদার সংস্থার টাকা বকেয়া থাকার কারণেই হয়েছে। এবার তাদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে রোগীদের কোনওরকম অসুবিধায় না পড়তে হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Matsya 6000: গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনে প্রস্তুত ‘মৎস্য-৬০০০’, কবে ডুব দেবে সাগরে?

    Matsya 6000: গভীর সমুদ্রের রহস্য উন্মোচনে প্রস্তুত ‘মৎস্য-৬০০০’, কবে ডুব দেবে সাগরে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সমুদ্রের অতল গহ্বরে লুকিয়ে রয়েছে কোন রহস্য, তা জানতে এবার সমুদ্র অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে দেশীয় প্রযুক্তিতে প্রস্তুত সমুদ্রযান ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000) মহাসাগরের প্রায় ৬ হাজার মিটার গভীরে পাড়ি দেবে। এই ডুবোজাহাজে থাকবেন তিনজন যাত্রী। কোন গুপ্তধন লুকিয়ে রয়েছে সমুদ্রের তলায়, তারই সন্ধান চালাবে এবার সমুদ্রযান। মূল্যবান ধাতু, খনিজ পদার্থ যেমন কোবাল্ট, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজের খোঁজ চালাবে ‘মৎস্য-৬০০০’। শুধু তাই নয় এর পাশাপাশি ডুবোজাহাজটি খোঁজ চালাবে কেমোসিনথেটিক বায়োডাইভারসিটির অর্থাৎ ৬০০০ মিটার নিচে ঠিক কেমন রয়েছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র তারই অনুসন্ধান করবে ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000)। এর পাশাপাশি অতল গহ্বরে মিথেন গ্যাসেরও সন্ধানে চালাবে এই জুবোজাহাজ। জানা গিয়েছে ২০২১ সাল থেকেই এই সমুদ্রযান তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে এবার পরীক্ষামূলক ভাবে তা সমুদ্রে নামানো হবে। ২০২৪ সালে এই সাবমেরিনকে নামানো হবে বঙ্গোপসাগরে। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে বিস্ফোরণে ফেটে যায় টাইটান ডুবোজাহাজ।তারপরে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করছেন ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000) এর নির্মাতারা। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত সমুদ্রযানকে গড়ে তুলেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা।

    সমুদ্রযানের ভিডিও এবং ছবি শেয়ার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজুর

    ইতিমধ্যে এই সমুদ্রযানের ভিডিও এবং ছবি শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লেখেন, ‘‘সমুদ্রের তলায় ৬ কিমি নীচে নামতে সক্ষম এই ডুবোজাহাজ। সমুদ্রের জীববৈচিত্রকে কোনওভাবেই ক্ষতি করবে না ‘মৎস্য-৬০০০’ (Matsya 6000)।’’ কিরণ রিজিজুর পোস্টে তাঁকে সাবমেরিনের ভিতরেও বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।

    ডুবোজাহাজের খুঁটিনাটি

    ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজির তৈরি এই ডুবোজাহাজ ৮০ মিলিমিটার পুরু টাইটেনিয়ামের পাত দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে এই সাবমেরিন জলের চাপের থেকেও ৬০০ গুণ বেশি চাপ সহ্য করতে সক্ষম। পাশাপাশি এই যান জলের অতল গভীরে একটানা ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। ডুবোজাহাজে (Matsya 6000) থাকা ব্যক্তিরা মোট ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন সাপ্লাই পাবেন। সর্বক্ষণ এই যানের তদারকির জন্য থাকবে একটি জাহাজ। সেই জাহাজ থেকেই সাবমেরিনটি জলে ওঠা নামার কাজ করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Railway Minister: জমিজটে থমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্প! রাজ্যকে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী

    Railway Minister: জমিজটে থমকে উত্তরবঙ্গের একাধিক রেলপ্রকল্প! রাজ্যকে চিঠি দিলেন রেলমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূরত্ব বিচারে ব্যবধান খুবই কম। কোথাও সাত কিলোমিটার, কোথাও আবার আট কিলোমিটার। সামান্য এই পথে রেল পথ সম্প্রসারণ করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র জমি জটের কারণে। এরমধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের বেশ কয়েকটি নতুন রেল পথের শুভ সূচনা করেছিলেন। তার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর থেকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ সহ এই জেলার আরও বেশ কয়েকটি রেল পথও রয়েছে। কিন্তু, জমি জটের কারণে  এই সব রেল পথের মেইন লাইনের কাজ এখনও থমকে রয়েছে। সম্প্রতি, রেলমন্ত্রী (Railway Minister) অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে এই বিষয়ে উদ্যোগী রেল সম্প্রসারণের জন্য রাজ্য সরকারকে জমি জট কাটানোর জন্য চিঠি দিয়েছেন।

    জমি জটে কোন কোন প্রকল্পে থমকে রয়েছে? (Railway Minister)

    জানা গিয়েছে, বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ। রায়গঞ্জ থেকে ইটাহার। ইটাহার থেকে বুনিয়াদপুর এবং গুঞ্জরিয়া থেকে গাজোল এই সব এলাকায় রেল সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো কাজ শুরু হলেও, পরবর্তী সময়ে জমি-জটের কারণে কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। মূলত এটি সম্পূর্ণ হলে উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা এই তিন জেলার মানুষের পরিবহণ এবং ব্যবসায়িক দিক থেকে উন্নতি হবে বলে ব্যবসায়ী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই রেলপথ সম্প্রসারণ হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। শুনেছি রেল দফতর পুনরায় এ প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ  গ্রহণ করেছে। তাতে আমরা খুশি।

    ব্যবসায়ীরা কী বলছেন?

    এ বিষয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তথা উত্তর দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সদস্য অঞ্জন রায় বলেন,আমরা বারংবার এই দাবি জানিয়ে এসেছি। আমি হাইকোর্টে একটি মামলাও করেছি জমিজট নিরসনের জন্য। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর সঙ্গে আমরা রেলমন্ত্রী (Railway Minister) অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছেও এই প্রকল্পটি চালু করার দাবি জানিয়েছি। এই প্রকল্পটি চালু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধাও নেই বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের উচিত দ্রুত জমি অধিগ্রহণ করে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করা। তাহলে তিন জেলার মানুষেরই উপকার হবে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ মার্চেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অতনু বন্ধু লাহিড়ী বলেন, আমরা চাই এই প্রকল্পটি দ্রুত সম্পন্ন হোক। জমিজটের কারণে প্রকল্পটি আটকে গেছে। আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক। তাহলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে তথা জেলার ব্যবসায়িক ক্ষেত্রেও উন্নতি হবে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বলেন, সামান্য রাস্তা শুধু জমিজটের কারণে রেল সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়নি। রাজ্য সরকারের উদ্যোগ না নেওয়া এর প্রধান কারণ। তাই, আমরা রেলমন্ত্রীর (Railway Minister) সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন। জমিজট কেটে গেলেই রেল সম্প্রসারণে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    Shantipur: তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার জের! বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যার সিভিক ভলান্টিয়ার স্বামীকে বরখাস্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার জন্য এরকম ঘটনা ঘটবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি শান্তিপুর (Shantipur) থানার সিভিক ভলান্টিয়ার কার্তিক হালদার। তাঁর বাড়ি শান্তিপুরের নৃসিংহপুরে। বিজেপির টিকিটে স্ত্রী জয়লাভের পর তাঁর সঙ্গে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল তাঁকে। চাপের কাছে মাথানত না করায় এবার চাকরি গেল তাঁর। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ একমাস অনুপস্থিত থাকার কারণেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে অপসারণ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবুর স্ত্রীর নাম সুপর্ণা বর্মন। তিনি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। দু’বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুপর্ণা বর্মন বিজেপির টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করেন। সুপর্ণাদেবী জয়লাভ করলেও স্বামীকে নিয়ে উধাও হয়ে যান। চাপ থাকলেও তিনি তৃণমূলে পরে যোগদান করেননি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সুপর্ণাদেবী বলেন, ‘‘শান্তিপুর (Shantipur) থানার পুলিশ-প্রশাসন থেকে শুরু করে দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে যোগদান করার জন্য আমার বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে আমার ভোটপ্রচারে একদিনও স্বামীকে পাইনি। বোর্ড গঠনে অংশ নেওয়ার পর তিনি ভেবেছিলেন, এবার বুঝি কিছুটা স্বস্তি মিলবে। কিন্তু, রবিবার রাতে থানা থেকে আমার স্বামীর সিভিক ভলান্টিয়ারের চাকরি থেকে বরখাস্তের চিঠি এসেছে।’’

    কাজ চলে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী?

    বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী কর্তিকবাবু বলেন, ‘‘এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ডিউটিতে অনিয়মিত যোগদানের। কিন্তু, গত ১০ বছর ধরে চাকরিতে কোনও ছুটি পর্যন্ত নিইনি। শান্তিপুর (Shantipur) থানার ওসি সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন। তাতে কোনও অন্যায় হয়নি। আমার স্ত্রী বিজেপির সদস্য বলেই আমার চাকরি চলে গেল।’’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আসলে নদিয়া জেলার মধ্যে শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতিই একমাত্র বিজেপির দখলে। সঙ্গে তিনটে পঞ্চায়েতও। আর সেই জয়ের পর বিশেষ পুলিশি অত্যাচার নেমে এসেছিল। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৯টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে জয় পেয়েছে বিজেপি। ১৩টি তৃণমূলের। অভিযোগ, বোর্ড ঘোরানোর খেলায় তৃণমূলের সঙ্গে নেমেছিল পুলিশ-প্রশাসনও। শুধুমাত্র বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী বলে তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন রেখেও বোর্ড গঠনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূলে যোগ না দেওয়ার কারণে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামীর চাকরি চলে গেল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা নিজেদের আত্মগোপন করেই রেখেছিলেন, তাহলে আর চাপ দেওয়া কীভাবে সম্ভব! সিভিক ভলান্টিয়ারের অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রশাসনিক বিষয়। তাতে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chinese Defence Minister: নিখোঁজ চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, দাবি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের

    Chinese Defence Minister: নিখোঁজ চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী, দাবি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই গায়েব হয়েছিলেন চিনের বিদেশমন্ত্রী কুন গ্যাং এবং এক রকেট ফোর্সের কমান্ডার (Chinese Defence Minister)। এবার জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দাবি অনুযায়ী চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি স্যাংফু নিখোঁজ হয়েছেন। গত ২৯ অগাস্টের পর আর সন্ধান মেলেনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। এমনই দাবি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের। এক এক করে কীভাবে গায়েব হয়ে যাচ্ছেন চিনা মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা? সত্যিই কি তাঁরা নিখোঁজ? নাকি চিনা কমিউনিস্ট শাসনে তাঁদের গোপনে হত্যা করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। লি স্যাংফু হলেন প্রেসিডেন্টের বিরোধী লবির সদস্য। চিনের সঙ্গে আফ্রিকার শান্তি ও সুরক্ষা ফোরামের একটি বৈঠক হয়েছিল বেজিং-এ, সেটা ছিল ২৯ অগাস্ট। তখনই শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে (Chinese Defence Minister)।

    মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দাবি

    চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Chinese Defence Minister) নিখোঁজ হওয়া নিয়ে মার্কিন জাপানি নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পোস্ট জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাহাম এমান্যুয়েল লিখছেন, ‘‘প্রথমে বিদেশমন্ত্রী কুন গ্যাং নিখোঁজ হয়ে গেলেন। তারপর রকেট ফোর্সের কমান্ডাররা গায়েব। আর এবার তো প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি স্যাংফুকে গত দু’সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না।’’

    চলতি বছরের মার্চে লি স্যাংফুকে নিয়োগ কেরন শি জিনপিং

    প্রসঙ্গত, ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের যুদ্ধ-সরঞ্জাম বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব সামলেছেন লি স্যাংফু (Chinese Defence Minister)। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করেন শি জিনপিং। মতপার্থক্যের জন্য তাঁকে সরানো হল, নাকি তাঁকে সত্যিই গুম করে খুন করা হয়েছে, সে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ঘটনাক্রমে, গত জুলাইতে ২ মাস নিখোঁজ থাকার পরে বিদেশমন্ত্রী কুন গ্যাংকে সরান শি জিনপিং। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Belur Math: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, কুমারী পুজো কটায় শুরু?

    Belur Math: দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট প্রকাশ বেলুড় মঠের, কুমারী পুজো কটায় শুরু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, তারপরেই বাঙালি মেতে উঠবে দুর্গাপুজোয় (Belur Math)। সারা পৃথিবীতে  ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের কাছে দুর্গাপুজোর উৎসব হল শ্রেষ্ঠ। কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত গ্রাম অথবা লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক, সর্বত্রই বাঙালিরা দুর্গাপুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। বেলুড় মঠের (Belur Math) দুর্গাপুজোর এক আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে ভক্তদের ব্যাপক সমাগম সেখানে লক্ষ্য করা যায়। ইতিমধ্যে বেলুড় মঠ দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে। বেলুড় মঠে পুজোর কয়দিন সন্ধ্যায় শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আরতির পরে দেবী দুর্গার আরতি করা হয়। ভোগপ্রসাদ বিতরণ করা হয় ভক্তদের মধ্যে। দিনভর চলে নানা ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সমেত নাম সংকীর্তন। পাশাপাশি বেলুড় মঠের কুমারী পুজো খুব জাঁকজমকপূর্ণভাবে হয়ে থাকে। 

    এক নজরে দেখে নিন বেলুড়মঠে (Belur Math) দুর্গাপুজোর নির্ঘণ্ট

    ২১ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার সপ্তমী, পুজো শুরু ভোর সাড়ে ৫টা

    ২২ অক্টোবর ২০২৩, রবিবার মহাষ্টমী, পুজোর শুরু হবে ভোর সাড়ে ৫টা
    সকাল ৯টায় শুরু হবে কুমারী পুজো, আর সন্ধিপুজো হবে সন্ধ্যা ৭টা ৩৬ মিনিট থেকে রাত্রি ৮টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত

    ২৩ অক্টোবর ২০২৩, সোমবার নবমী, পুজো শুরুর সময় ভোর সাড়ে ৫টা

    বেলুর মঠে (Belur Math) দুর্গাপুজোর ইতিহাস জানেন?

    জানা যায়, ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে শারদীয়া দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। ওই বছর থেকেই বেলুড়মঠে অষ্টমী পুজোর দিন পাঁচ থেকে সাত বছর বয়সী এক কন্যা কুমারীকে প্রতিমার পাশে বসিয়ে পুজো করা হয়। প্রসঙ্গত, অধিকাংশ দুর্গা পুজোতে দেখা যায় নবমীর দিনে কুমারী পুজোর রীতি। তবে বেলুড় মঠে কুমারী পুজো হয় অষ্টমীর দিনেই। বেনারসি শাড়ি পরিয়ে কুমারীকে মা দুর্গা জ্ঞানে পুজো করা হয়। এখানে বয়স অনুযায়ী কুমারীদের নামকরণও হয়। ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ সারদা মায়ের উপস্থিতিতে ৯ জন বালিকাকে কুমারী রূপে পুজো করেছিলেন। জানা যায়, স্বামী বিবেকানন্দ নিজে কুমারীদের পায়ে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন এবং পুজো শেষে তাদের প্রণামীও দেন। স্বামীজীর পুজো পদ্ধতি অনুসরণ করে আজও একইভাবে সমান রীতিতে সেখানে কুমারী পুজো চলছে (Belur Math)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share