Tag: Bengali news

Bengali news

  • Migraine: মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু! কোন ঘরোয়া উপাদানে মিলবে উপশম? কীভাবে কমাবেন এই সমস্যা?

    Migraine: মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু! কোন ঘরোয়া উপাদানে মিলবে উপশম? কীভাবে কমাবেন এই সমস্যা?

    মাধ্যম ডেস্কঃ মাসের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে কিংবা সপ্তাহের মাঝেই তীব্র মাথার যন্ত্রণা! বিশেষত তীব্র আওয়াজ, আলো কিংবা অতিরিক্ত পরিশ্রম যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েক গুণ। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, শরীরের একাধিক হরমোনের ভারসাম্যের সমস্যার কারণে কিংবা স্নায়ু ঘটিত কোনো কারণে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভুক্তভোগীদের এই সমস্যা কয়েক দিন ধরে চলে! মাঝেমধ্যে এই তীব্র যন্ত্রণার কারণে স্বাভাবিক জীবন ও কাজ ব্যাহত হয়‌। তবে, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কিছু খাবারে মাইগ্রেনের সমস্যা কমতে পারে। যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ (Domestic Element) রাখা সহজ হয়। কোন কোন খাবারে মাইগ্রেন (Migraine) নিয়ন্ত্রণ সহজে সম্ভব হয় আসুন জেনে নিই।

    জল(Migraine)!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জল শরীরের একাধিক রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সেই তালিকায় রয়েছে মাইগ্রেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাইগ্রেনের (Migraine)  যন্ত্রণা হওয়ার অন্যতম কারণ শরীরে জলের ঘাটতি। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডিহাইড্রেশন থেকেই এই ধরনের যন্ত্রণা বাড়ে। তাই মাইগ্রেনকে কাবু করতে শরীরে পর্যাপ্ত জল জরুরি। নিয়মিত ৮-১০ গ্লাস জল খাওয়া দরকার। তাহলে শরীরে পর্যাপ্ত জল থাকবে। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমবে‌।

    কলা!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাইগ্রেনের প্রকোপ রুখতে কলা খুবই সাহায্য করে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই দীর্ঘ সময় খাবার না খেলে, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। ফলে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ে। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ নিয়মিত কলা খাওয়া দরকার। কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই ফল তাড়াতাড়ি খাওয়া যায়। এতে পেট ভরে। আবার শরীরে শর্করার পরিমাণ ও কমতে দেয় না। ফলে মাইগ্রেনের প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকিও কমে।

    বাদাম!

    ব্যথার উপশমের জন্য শরীরে পর্যাপ্ত খনিজ পদার্থ থাকা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরে খনিজ পদার্থের ঘাটতি যেকোনও যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে বাদাম জাতীয় জিনিস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম। এই উপাদান শরীরে ব্যথার সমস্যা মোকাবিলায় সাহায্য করে। তাই মাইগ্রেন (Migraine) রুখতে বাদাম জরুরি।

    তরমুজ!

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময়ে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়ে। হঠাৎ করেই গরম পড়লে ভুক্তভোগীদের সমস্যা ও বাড়তে পারে। এই সময়ে তাই তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই রসালো ফলের ৯৬ শতাংশ জল থাকে। এরফলে শরীরে সহজেই জল পৌঁছয় এবং শরীর শুষ্ক হয় না। তাই মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণ (Domestic Element) সহজ হয়।

    কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, মাইগ্রেন রুখতে যেকোনও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, বার্গার, পিৎজা, হটডগ‌ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে নুন ও রাসায়নিক থাকে। এর ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ব্যহত হয়। এছাড়াও এই খাবারের পুষ্টিগুণ একেবারেই নেই। তাই এই ধরনের খাবার খেলে মাইগ্রেনের (Migraine) সমস্যা বাড়ে।

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যমএর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ramakrishna 273: “রঙের গামলার আশ্চর্য গুণ যে, যে রঙে কাপড় ছোপাতে চাইবে তার কাপড় সেই রঙেই ছুপে যেত”

    Ramakrishna 273: “রঙের গামলার আশ্চর্য গুণ যে, যে রঙে কাপড় ছোপাতে চাইবে তার কাপড় সেই রঙেই ছুপে যেত”

    শ্রীরামকৃষ্ণ দক্ষিণেশ্বরে ও ভক্তগৃহে

    ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৯শে সেপ্টেম্বর

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও শ্রীযুক্ত রাধিকা গোস্বামী

    “তা ছাড়া ভেকের আদর করতে হয়। ভেক দেখলে সত্য বস্তুর উদ্দীপন হয়। চৈতন্যদেব গাধাকে ভেক পরিয়ে সাষ্টাঙ্গ হয়েছিলেন।

    “শঙ্খচিলকে দেখলে (Kathamrita) প্রণাম করে কেন? কংস মারতে যাওয়াতে ভগবতী শঙ্খচিল হয়ে উড়ে গিয়েছিলেন। তা এখনও শঙ্খচিল দেখলে সকলে প্রণাম করে।”

    পূর্বকথা—চানকে কোয়ার সিং কর্তৃক ঠাকুরের পূজা—ঠাকুরের রাজভক্তি Loyality

    “চানকের পল্টনের ভিতর ইংরাজকে আসতে দেখে সেপাইরা সেলাম করলে। কোয়ার সিং আমাকে বুঝিয়ে দিলে, ‘ইংরাজের রাজ্য তাই ইংরাজকে সেলাম করতে হয়’।”

    গোস্বামীর কছে সাম্প্রদায়িকতার নিন্দা—শাক্ত ও বৈষ্ণব 

    “শাক্তের তন্ত্র মত বৈষ্ণবের পুরাণ মত। বৈষ্ণব যা সাধন করে তা প্রকাশে দোষ নাই। তান্ত্রিকের সব গোপন। তাই তান্ত্রিককে সব বোঝা যায় না।

    (গোস্বামীর প্রতি)—“আপনারা বেশ—কত জপ করেন, কত হরিনাম করেন (Kathamrita) ।”

    গোস্বামী (বিনীতভাবে)—আজ্ঞা, আমরা আর কি করছি! আমি কত অধম।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্যে)—দীনতা; আচ্ছা ও তো আছে। আর এক আছে, ‘আমি হরিনাম কচ্ছি, আমার আবার পাপ! যে রাতদিন ‘আমি পাপী’ ‘আমি পাপী’ ‘আমি অধম’ ‘আমি অধম’ করে, সে তাই হয়ে যায়। কি অবিশ্বাস! তাঁর নাম এত করেছে আবার বলে, ‘পাপ, পাপ!’

    গোস্বামী (Ramakrishna) এই কথা অবাক্‌ হইয়া শুনিতেছেন।

    পূর্বকথা—বৃন্দাবনে বৈষ্ণবের ভেক গ্রহণ ১৮৬৮ খ্রী: 

    শ্রীরামকৃষ্ণ—আমিও বৃন্দাবনে ভেক নিয়েছিলাম;—পনর দিন রেখেছিলাম। (ভক্তদের প্রতি) সব ভাবই কিছুদিন করতাম, তবে শান্তি হতো।

    (সহাস্যে) “আমি সবরকম করেছি—সব পথই মানি। শাক্তদেরও মানি, বৈষ্ণবদেরও মানি, আবার বেদান্তবাদীদেরও মানি। এখানে তাই সব মতের লোক আসে। আর সকলেই মনে করে, ইনি আমাদেরই মতের লোক। আজকালকার ব্রহ্মজ্ঞানীদেরও মানি।

    “একজনের (Ramakrishna) একটি রঙের গামলা ছিল। গামলার আশ্চর্য গুণ যে, যে রঙে কাপড় ছোপাতে চাইবে তার কাপড় সেই রঙেই ছুপে যেত।

    “কিন্তু একজন চালাক লোক বলেছিল, ‘তুমি যে-রঙে রঙেছো, আমায় সেই রঙটি দিতে হবে।’ (ঠাকুর ও সকলের হাস্য)

    “কেন একঘেয়ে হব? ‘অমুক মতের লোক তাহলে আসবে না।’ এ ভয় আমার নাই। কেউ আসুক আর না আসুক তাতে আমার বয়ে গেছে;—লোক কিসে হাতে থাকবে, এমন কিছু আমার মনে নাই। অধর সেন বড় কর্মের জন্য মাকে বলতে বলেছিল—তা ওর সে কর্ম হল না। ও তাতে যদি কিছু মনে করে, আমার (Ramakrishna) বয়ে গেছে!”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

    আরও পড়ুনঃ “আবার সেই সমাধি! আবার নিস্পন্দন দেহ, স্তিমিতি লোচন, দেহ স্থির

    আরও পড়ুনঃ দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    আরও পড়ুনঃ “ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগ্ন হতে হয়, উপর উপর ভাসলে কি জলের নিচে রত্ন পাওয়া যায়?”

  • Masan Holi: বারাণসীতে পালিত হয় মশান হোলি, এই উৎসব সম্পর্কে জানেন?

    Masan Holi: বারাণসীতে পালিত হয় মশান হোলি, এই উৎসব সম্পর্কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটাও হোলি। তবে রংয়ের উৎসব নয়। এদিন ভক্তদের সঙ্গে হোলি খেলেন দেবাদিদেব মহাদেব। হোলি খেলা হয় শ্মশানে, ভূতপ্রেত এবং তৃতীয় লিঙ্গের লোকজনের সঙ্গে (Masan Holi)। উত্তরপ্রদেশের এই হোলি মশান হোলি নামে পরিচিত। এ বছর এই মশান হোলি পালিত হবে ১১ মার্চ। এতে অংশ নেন নাগা সন্ন্যাসীরাও (Naga Sadhus)। আরাধ্য দেবতার সঙ্গে তাঁরা ভস্ম নিয়ে খেলেন হোলি।

    হোলি খেলা হবে মণিকর্ণিকা ঘাটে (Masan Holi)

    তামাম ভারতের মধ্যে কেবল বারাণসীতেই পালিত হয় এই উৎসব। ভস্মের পাশাপাশি এদিন রং খেলাও হয়। তবে বারাণসীর মণিকর্ণিকা ঘাটে ফি বছর যে হোলি খেলা হয়, সেখানে সাধু ও অঘোরীরা শিবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাই দিয়েই হোলি খেলেন। এবার অনেক বেশি নাগা সন্ন্যাসীর ভিড় হবে বারাণসীতে। কারণ প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে চলছে মহাকুম্ভ। সেখানে স্নান সেরে নাগা সন্ন্যাসীরা আসবেন মহাদেবের সঙ্গে এই হোলি খেলায় অংশ নিতে।

    মশান হোলি

    নাগা সন্ন্যাসী রঘুনন্দন (Masan Holi) গিরি বলেন, “আমরা মশান হোলি পর্যন্ত বারাণসীতেই থাকব। তারপর রওনা দেব কেদারনাথের উদ্দেশে।” তিনি বলেন, “মশান হোলি বাবা বিশ্বনাথের একটি মহা আশীর্বাদ। আমরা এই প্রথা বজায় রাখব।” তিনি জানান, এটা কেবল বারাণসীতেই হয়, নাসিক, উজ্জ্বয়িনী কিংবা হরিদ্বারে হয় না।

    প্রতিবারের মতো এবারও মশান হোলির প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্তের আশ্রম থেকে সূচনা হবে এই উৎসবের। ২৬ ফেব্রুয়ারি শিবরাত্রি। এদিন হবে শিব-পার্বতীর বিয়ে। ৮ মার্চ হবে শগুন। পরের দিনই পালিত হবে গৌনা। ১০ মার্চ বিশাল পালকি যাত্রা রওনা দেবে বিশ্বনাথ মন্দিরের উদ্দেশে। এদিন পালিত হবে রংভরি একাদশী। তার পরের দিনই মণিকর্ণিকা ঘাটে অনুষ্ঠিত হবে মশান হোলি (Masan Holi)। এদিন শিবের রৌপ্য নির্মিত মূর্তিতে তেল-হলুদও মাখানো হয়।

    বালক গিরি নেপালি। তিনিও নাগা সন্ন্যাসী। মশান হোলিতে যোগ দেবেন তিনিও। বলেন, “আমি কুম্ভস্নান সেরে বেনারস থেকে প্রয়াগরাজে এসেছি। এবারও আমি শিবরাত্রি এবং হোলি খেলব বিশ্বনাথের সঙ্গে। প্রতি বছরই আমরা (Naga Sadhus) ভোলেনাথের সঙ্গে হোলি খেলি (Masan Holi)।”

  • CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    CRPF: সিআরপিএফের স্কুলে যাচ্ছে বাড়ির বাচ্চারা, খুশি ছত্তিশগড়ের মাও-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্স বা সিআরপিএফ (CRPF) ছত্তিশগড়ের সুকমা-বিজাপুর জেলার তেকালগুডেম নামক জায়গাতে স্কুল তৈরি করেছে। এই অঞ্চল একদা মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। কিন্তু ক্রমশই সেখানে মাওবাদীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ছে। অনেক বছর ধরেই মাওবাদীরা এই অঞ্চলে যেকোনও ধরনের পরিকাঠামো নির্মাণ তথাপি স্কুল নির্মাণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যারাই এই কাজগুলো করতে যেত তাদেরই প্রাণ বিপন্ন হয়ে উঠত। কিন্তু বর্তমানে সে সমস্যা মিটেছে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) ওই অঞ্চলে স্কুল তৈরি করেছে। পরিচালনায় বাহিনীর ১৫০ নম্বর ব্যাটালিয়ন।

    কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    ওই অঞ্চলের একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান যে, আমাদের গ্রামে আগে কখনও স্কুল (CRPF) ছিল না এবং মাওবাদীরা এই অঞ্চলের দাপিয়ে বেড়াত। যে কোনও রকমের স্কুল তৈরিতেও তারা বাধা দিত। যদি কেউ স্কুল তৈরি করতে চেয়েছে, এমন কয়েকজনকে তারা হত্যাও করেছে। কিন্তু আমরা এখন ধন্যবাদ জানাতে চাই সিআরপিএফ-কে (Chhattisgarh)। আমাদের কাছে এখন স্কুল আছে। আমাদের বাচ্চারা এখন স্কুলে যেতে প্রতিনিয়ত এবং তারা সেখানে খাবার পাবে।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের প্রচেষ্টাতেই তৈরি হয় এই স্কুল এবং সেখানে সহযোগিতা করে জেলা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলার পুলিশ সুপার কিরণ গঙ্গারাম চৌহান বলেন, ‘‘যে মাওবাদী মুক্ত অভিযান চলছে সুকমা জেলাতে, সেই অভিযানেরই অন্যতম অংশ হল নতুনভাবে স্কুল তৈরি করা। সিআরপিএফ জেলা পুলিশ এবং প্রশাসনের সহায়তায় আমরা বেশ কিছু স্কুল এখানে তৈরি করতে পেরেছি এবং বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চারা সেখানে যাচ্ছে। তারা খাবার, বই এবং খেলার নানা সামগ্রী পাচ্ছে। ২০২৪ সাল থেকে এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে এবং গ্রামের মানুষজন প্রশাসনকে যথেষ্ট বিশ্বাস করছে।’’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ এ দেশে মাওবাদীদের শেষ দিন হতে চলেছে (Chhattisgarh)। তার আগেই দেশ থেকে নির্মূল করা হবে মাওবাদীদের। গত বছরই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে ২০৭ জন মাওবাদী।

  • Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    Sam Pitroda: চিন নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য স্যাম পিত্রোদার, কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন ভারতের শত্রু নয়। চিনের থেকে ভারতের কী ক্ষতি হতে পারে, বোঝাই যায় না।” বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের প্রধান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda)। কংগ্রেস নেতার এহেন বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সোনিয়া গান্ধীর দলকে একেবারে ধুয়ে দিল বিজেপি (BJP)।

    বিজেপির তোপ (Sam Pitroda)

    দলের জাতীয় মুখপাত্র তুহিন সিনহা বলেন, “কংগ্রেস জমানায় ভারতের ৪০ হাজার বর্গ মিটার জমি দখল করে নিয়েছে চিন। তবু ওরা ড্রাগনকে বিপজ্জনক ভাবতে পারছে না। রাহুল গান্ধী চিনের প্রতি এতটাই মুগ্ধ যে চিনা প্রকল্প বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের হয়েও সওয়াল করেছেন।” এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “যারা চিনের কাছে আমাদের ৪০,০০০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি ছেড়ে দিয়েছে, তারা এখনও ড্রাগনের কোনো হুমকি দেখতে পায় না… আশ্চর্যের কিছু নেই যে রাহুল গান্ধী চিন নিয়ে মুগ্ধ এবং আইএমইইসি ঘোষণার এক দিন আগে পর্যন্ত বিআরআইয়ের পক্ষে ছিলেন… কংগ্রেসের চিনের প্রতি অতি আগ্রহের মূল রহস্য লুকিয়ে আছে ২০০৮ সালের কংগ্রেস-সিসিপি সমঝোতা স্মারকে।”

    পদ্ম নেতার নিশানায় কংগ্রেস

    পদ্ম শিবিরের আর (Sam Pitroda) এক সৈনিক প্রদীপ ভাণ্ডারী বলেন, “ভারতের চেয়েও চিনের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেয় কংগ্রেস।” রাহুলকে চিনের হাতের পুতুল বলেও তোপ দাগেন তিনি। সম্প্রতি পিত্রোদা বলেন, “আমি চিনের থেকে আসা হুমকিটা বুঝি না। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি প্রায়ই অতিরঞ্জিত করা হয়। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু নির্ধারণের একটি স্বভাব রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এখন সময় এসেছে, সমস্ত জাতির সহযোগিতা করার, সংঘাতের নয়।”

    প্রসঙ্গত, দু’দিনের সফরে আমেরিকা গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। সেই সময় ট্রাম্প ভারত ও চিনের বিরোধের মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই পিত্রোদার এহেন মন্তব্য।

    বিজেপির মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী পিত্রোদাকে নিশানা করে বলেন, “চিনের বিষয়ে তাঁর মন্তব্য কংগ্রেসের মানসিকতার প্রতিফলন। এটি (BJP) ভারতের মর্যাদার ওপর আঘাত।” তাঁর দাবি, তাঁর (পিত্রোদার) মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে যেন ভারতই আগ্রাসী (Sam Pitroda)।

  • Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আগামী ৬ মাসেই বাংলাদেশ মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ফের মিশে যাবে পাকিস্তানের সঙ্গে! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার জাদুঘরের একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘আগামী ৬ মাসে বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে মিশে গেলে অবাক হব না।’’ রবিবারের অনুষ্ঠানে মহম্মদ ইউনূসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু। এদিন বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে উঠে আসে তাঁর মায়ের কথাও। নিজের বক্তব্যে তিনি জানান, একদা তাঁর মাকেও এক কাপড়ে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে আসে বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদনও জানান শুভেন্দু।

    ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠনের অনুষ্ঠান (Suvendu Adhikari)

    রবিবার ভারতীয় জাদুঘরে এবিসি অডিটোরিয়ামে ‘খোলা হাওয়া’ নামক সংগঠনের অনুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘বাংলাদেশ ইন ক্রাইসিস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশে যা হচ্ছে, তা কোনও গণতান্ত্রিক দেশে হয় না। আমি নিজে ভিকটিম। আমার মা শ্রীমতী গায়েত্রী ভট্টাচার্য, তাঁর বাবা বরিশালের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৫৯ সালে এক কাপড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। এমন অনেক হিন্দু আছেন, যাদের শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন।’’

    প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন (BJP)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের নাগরিক, ভারতীয় নাগরিক হিসাবে আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আওয়ামি লিগ করার অপরাধে বা হিন্দু হওয়ার অপরাধে যারা বাংলাদেশ থেকে এখানে পালিয়ে এসেছেন, তাদের দয়া করে জেলে পুরবেন না। আগেও হাসিনা, বঙ্গবন্ধু মুজিবরের পরিবারকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, জাত-ধর্ম কিছু দেখতে হবে না, যারা প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাদের তাড়াবেন না। তারা শরণার্থী। আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতারা, যাদের পাসপোর্টও কেড়ে নিয়েছে, তাদের জেলে ভরবেন না। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। মহারাষ্ট্র সহ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।’’

  • CEPPS: ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ১৮২ কোটির ফান্ডিং! ট্রাম্প বন্ধ করলেন মার্কিন সংস্থার অনুদান

    CEPPS: ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ১৮২ কোটির ফান্ডিং! ট্রাম্প বন্ধ করলেন মার্কিন সংস্থার অনুদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অফ গর্ভনমেন্ট এফিসিয়েন্সির আনুষ্ঠানিক এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়। ওই পোস্টে একটি তালিকা দেওয়া হয়। যেখানে বিভিন্ন সংস্থার নাম ছিল। ওই সংস্থাগুলির অর্থনৈতিক বরাদ্দ বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তালিকায় একটি বিশেষ সংস্থার নাম রয়েছে। তা হল— কনসর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেংথেনিং (Consortium for Elections and Political Process Strengthening বা সংক্ষেপে সিইপিপিএস (CEPPS)। জানা গিয়েছে, এই সংস্থাকে বাইডেন প্রশাসন বরাদ্দ করেছিল ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার। এই বিপুল তহবিলের মধ্যে ভারতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ওই সংস্থা ব্যয় করেছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮২ কোটি টাকা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন! ভারতের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে এই বিপুল অর্থ বরাদ্দ ওই মার্কিন সংস্থা কার নির্দেশে করেছিল, এই নিয়েই আজকে আমাদের প্রতিবেদন। প্রথমেই আমরা জেনে নেব সিইপিপিএস আসলে কী!

    ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সংস্থা (CEPPS)

    জানা যায়, এই সংস্থা (CEPPS) তৈরি হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। নিজেদের উদ্দেশ্য হিসেবে এই সংগঠন দেখায় যে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার করা, গণতন্ত্রের প্রচার করা, সুশাসন ব্যবস্থার প্রচার করাই তাদের কাজ। যখন এই সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল তখন বলা হয়েছিল এটি একটি এনজিও। এই ধরনের যত বেসরকারি সংস্থা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেগুলির কেন্দ্রীয় সংস্থা হল সিইপিপিএস। এই সংস্থা জানিয়েছিল তাদের তিনটি শাখা রয়েছে। একটি হল ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেম, দ্বিতীয়টি হল ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট এবং তৃতীয়টি হল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট।

    কোন উদ্দেশে তৈরি করা হয়?

    প্রসঙ্গত, এই সংস্থার তরফ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে যে, তারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং যারা নির্বাচন পরিচালনা করে সেই ধরনের সংস্থার সঙ্গে কাজ করে। এর পাশাপাশি, যে কোনও দেশের সংসদে, নাগরিক সমাজের সঙ্গে গণতন্ত্র ওপর কাজ করে এই সংস্থা। তারা আরও জানায়, বিভিন্ন সমাজ কর্মীদের সঙ্গে তারা বৈঠক করে। তাদেরকে সাহায্য করে। তাদের জন্য কর্মসূচির স্থির করে এবং গণতন্ত্রকে আরও উন্নত করতে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেগুলি তারা করে। এই সংস্থা আরও দাবি করেছে যে, তাদের বর্তমানে শাখা রয়েছে পৃথিবীব্যাপী ১৪০টিরও বেশি দেশে। এই দেশগুলিতে তারা সক্রিয়। এই দেশগুলিতে তারা কাজ করে চলেছে নিরন্তর ভাবে। সংস্থার (CEPPS) আরও দাবি করেছে যে, প্রত্যেকটি দেশে তারা গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার, সুশাসন- এই সমস্ত বিষয়ে কর্মসূচি নেয়। এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে যে সিইপিপিএস নামের এই সংগঠনকে ফান্ডিং করে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত ইউএসএআইডি বা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট— ক্ষমতায় এসেই যাদের ফান্ডিং আটকে দিয়েছেন ট্রাম্প।

    ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বন্ধ ওয়েবসাইট

    এই সিইপিপিএস সংস্থা ইউএসএআইডির পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক দাতাদের কাছ থেকেও তাদের তহবিল সংগ্রহ করে। বছরের পর বছর ধরে তারা এমন কাজ করে যাচ্ছে। সিইপিপিএস দাবি করে যে, তারা যে কোনও দেশের নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণ করে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কাজ করে। এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরেশিয়া, আমেরিকা এই সমস্ত জায়গাতেই তারা কাজ করে বলে জানিয়েছে। একটি পরিসংখ্যান বলছে যে, প্রতিষ্ঠা হওয়া ইস্তক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অনুদান পেয়েছে সিইপিপিএস। ঘটনা হল সিইপিপিএস-এর আর কোনও আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট বর্তমানে কার্যকর নেই। এই সংস্থা ইউএসএআইডি থেকে লক্ষ লক্ষ ডলারের তহবিল নিয়েছে এবং ১৯৯৫ সাল থেকেই তারা সক্রিয় কিন্তু ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ সালের পর থেকে তারা তাদের ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।

    সংস্থাকে নিয়ে একাধিক বিতর্ক

    ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইউএসএআইডি যে নথি প্রকাশ করছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের নির্বাচন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার জন্য তারা দুই বিলিয়ন ডলার তহবিল দিয়েছে। আরও আশ্চর্যজনক তথ্য সামনে আসছে যে, ২০২১ সালে ইউএসএআইডি তাদের মোট তহবিলের ৬৬ শতাংশই প্রদান করছে সিইপিপিএস -কে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সিইপিপিএস যে দাবি করে, তা কিন্তু আসল সত্য নয়। সিইপিপিএস কোনও সরকারি সংস্থা নয়। কিন্তু একে অর্থনৈতিকভাবে তহবিল প্রদান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের অংশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। প্রসঙ্গত, কোনও দেশের নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে না সিইপিপিএস। এটি সরাসরি সেদেশের রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজকে ফান্ডিং করে। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। এখানেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। অর্থাৎ কোনও দেশের সার্বভৌমত্বকে হরণ করা, বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে বদল করার কাজও করে তারা।

    ২০১৯ সালের প্রতিবেদন

    ২০১৯ সালে ইউএসএআইডির একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে সহায়তা করার জন্য তারা সিইপিপিএস-এর মত একটি সংস্থার উপরে নির্ভর করে। সিইপিপিএস-এর উপর এই নির্ভরশীলতা ইউএসএআইডিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা কমতে শুরু করে। এর পাশাপাশি বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগও উঠতে থাকে।

    দেশ বিরোধী শক্তির ফান্ডিং

    প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে এই সংস্থা কাজ চালিয়েছে তাদেরই শাখা সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমসকে নিয়ে। ২০১২ সালে ইউপিএ সরকার থাকাকালীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার এসওয়াই কুরেশির সঙ্গে এই ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস এক চুক্তি করে। প্রেস বিবৃতি জারি করে তৎকালীন ভারতের নির্বাচন কমিশন। যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বা হয়, ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্ট্রোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস)-এর  সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে দেশের নির্বাচন কমিশন। যৌথ প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করা হবে। একইসঙ্গে গবেষণা চলবে কিভাবে গণতন্ত্রকে আরও উন্নত করা যায়। আসল উদ্বেগের বিষয় হল আইএফইএস ইতিমধ্যে সেই সমস্ত সংস্থার কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে যেগুলি ভারত বিরোধী সংগঠন বলেই পরিচিত। এরমধ্যে রয়েছে ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন। এই ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশন এর মালিক জর্জ সরোস ভারত বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত। এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তবে এইভাবে দেশবিরোধী শক্তির ফান্ডিং নিয়ে আসলে কোন কোন রাজনৈতিক দলকে সাহায্য করেছিল ওই মার্কিন সংস্থা।

    ইউএসএআইডি-র ওপরে রাশ (USAID)

    ক্ষমতায় আসার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিতর্কিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থা আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (USAID) এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন। এই সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মীদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিদেশ থেকে যে সাহায্য এরা পেত, সেটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইলন মাস্ক ইতিমধ্যেই এই সংস্থাকে একটি অপরাধী সংস্থা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং এ বিষয়ে এক্স মাধ্যমে তিনি পোস্টও করেছেন। প্রসঙ্গত, ইউএসএআইডি ছয়ের দশকে গোড়ার দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি পালন করা। যদিও এরই আড়ালে চলছিল নানা রকমের অ্যাজেন্ডা। গোপনে তহবিল সংগ্রহ, যে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব হরণ করা, সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। এই সংস্থা যেসব সার্বভৌম দেশগুলির ওপর নজর রাখত, তার মধ্যে ভারতও ছিল। এদেশে মাওবাদীদের ফান্ডিং করা থেকে, খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণে ফান্ডিং এসবও করত তারা।

  • Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    Suvendu Adhikari: “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার,” মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কটের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যে গণতান্ত্রিক সরকার চলছে। অথচ সরকার সংবিধান, সংসদীয় ব্যবস্থা মানে না। সরস্বতী পুজোয় বাধা নজিরবিহীন। সশস্ত্র পুলিশ, আইপিএসদের দিয়ে পুজো করাতে হয়েছে। বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না মুখ্যমন্ত্রী। হিন্দুদের হয়ে সওয়াল করায় আমায় এক মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।” সোমবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হাউসে আসবেন। তবে বিজেপি থাকবে না। বিধানসভার গেটে আগামিকাল বেলা ১২টা থেকে বিধানসভার আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্না দেব।” তিনি বলেন, “কাল বিধানসভার বাইরে থেকে বক্তৃতা দেব। আগামিকাল মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবে বিজেপি। আগামী এক মাস আমি ভাতা নেব না।” এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে মোক্ষম বাণটি ছোঁড়েন শুভেন্দু। বলেন, “এই সরকার আনসারুল্লা বাংলার সরকার। এই সরকার মুসলমানের সরকার। এই সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছি, কার্যবিবরণীর কাগজ ছিঁড়ে দিয়েছি।”

    শুভেন্দুদের সাসপেন্ড

    প্রসঙ্গত, সরস্বতী পুজোয় বাধা দেওয়ার (Suvendu Adhikari) অভিযোগে মুলতুবি প্রস্তাব আনে বিজেপি। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিবাদে ওয়াক আউট করেন পদ্ম বিধায়করা। এর পরেই এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয় শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ এবং বিশ্বনাথ কারককে।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমায় যাতে বলতে না দেওয়া হয় এবং উনি (মুখ্যমন্ত্রী) যাতে ফাঁকা মাঠে বক্তৃতা দিতে পারেন, সেই জন্যই পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করে আমাদের সাসপেন্ড করা হল।” তিনি বলেন, “এখন থেকে বিজেপি বিধায়করাও মুখ্যমন্ত্রীকে বয়কট করবেন। উনি যেদিন বিধানসভায় আসবেন, ওঁকে গেটে দাঁড়িয়ে আমাদের বিধায়করা ধিক্কার জানাবেন এবং ওঁর উপস্থিতি আমরা বয়কট করব।” শুভেন্দু বলেন, “রাজ্যে অগণতান্ত্রিক সরকার চলছে। বাংলাদেশে ইউনূস যা করছে, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল একই কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বিধানসভায় কোনও প্রশ্নের উত্তর দেন না (Suvendu Adhikari)। হিন্দুদের জন্য বলতে গিয়ে আমাকে ১ মাস বাইরে রেখেছে। আমি গর্বিত। আমি হিন্দুর ছেলে।”

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সমস্যা মোদির ওপর ছেড়েছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঢাকা

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের সমস্যা মোদির ওপর ছেড়েছেন ট্রাম্প, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ঢাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশের বিষয়টি আমি বন্ধু মোদির ওপরই ছেড়ে দিলাম।” দিন কয়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঠিক এই কথাটাই বলেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপরেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক মহলে।

    মোদি ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক (Bangladesh Crisis)

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, মোদি ও ট্রাম্পের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ওঠে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। বিশেষ করে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সে দেশে ইসলামপন্থী শক্তির উত্থান নিয়ে আলোচনা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পকে আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি এবং এটি কীভাবে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।

    বাংলাদেশের পরিকল্পনা

    জানা গিয়েছে, ট্রাম্প বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। ভারত যেভাবে দেশটিকে পরিচালিত করতে চায়, সেটিকেই সমর্থন করবে। ট্রাম্পের এই অবস্থান ইউনূস সরকার এবং বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের কৌশল নস্যাৎ করে দিয়েছে। তারা ভারত-বিরোধী এবং পাকিস্তানের সাহায্যে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল। ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা অংশ, পাকিস্তান ও তুরস্কের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী পৃষ্ঠপোষকদের, যেমন ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের সাহায্যের ওপর নির্ভর করছিলেন, যাতে তিনি ক্ষমতায় আরও বেশি দিন (Donald Trump) থাকতে পারেন।

    নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা

    বাংলাদেশের নতুন সরকার, বিশেষ করে (Bangladesh Crisis) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (ADSM) নেতারা, যারা এখন ক্ষমতায় রয়েছেন এবং নয়া রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছে, তারা আমেরিকার সমর্থন এবং জর্জ সোরোসের ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের (OSF) সাহায্যের আশায় ছিল। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর আন্তর্জাতিক প্রভাব কমানোর কাজ শুরু করেন। প্রথমেই তিনি ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের কার্যক্রম বন্ধ করার কথা বলেন। এর পরেই ইউনূস, এডিএসএম নেতারা এবং বাংলাদেশি ইসলামপন্থীদের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যায়। এডিএসএমের নেতারা যখন শুনেছেন আমেরিকা বাংলাদেশ নিয়ে সিদ্ধান্ত ভারতের ওপরই ছেড়ে দিচ্ছে, তখনই ভয় পেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এক দিকে ক্লিনটন ফাউন্ডেশন এবং ওএসএফের সমর্থন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আর অন্যদিকে সিদ্ধান্তের বিষয়টি ভারতের হাতে ছেড়ে দেওয়া – জোড়া ফলায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা।

    ভারতের সাফ কথা

    ভারত অবশ্য প্রথমেই বাংলাদেশকে তার অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বাংলাদেশের তদারকি সরকারকে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তবে দুই দেশের মধ্যে যে কোনও গঠনমূলক আলোচনা কেবল তখনই সম্ভব হবে, যখন ঢাকায় একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে (Bangladesh Crisis)। ভারতের এই অবস্থানে যারপরনাই ক্ষুব্ধ ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা। কারণ নয়াদিল্লির এই অবস্থান তাদের বৈধতাই অস্বীকার করেছে। ইউনূস ও তার উপদেষ্টারা মূলত ভারত-বিরোধী। কারণ তারা ইসলামপন্থী। ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্যতা করতেই তারা বেশি আগ্রহী। ট্রাম্পের বক্তব্য তাদের এই ভারত-বিরোধী পরিকল্পনায়ও বাধা সৃষ্টি করেছে। তারা এখন বুঝতে পারছে যে, ভারতের বিরুদ্ধে কোনও অপচেষ্টা করলে নয়াদিল্লি কঠোর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেবে (Donald Trump)।

    জোট বাঁধছে বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ

    ট্রাম্পের বক্তব্যে খুশি বিএনপি এবং আওয়ামি লিগ। বিএনপি চায় বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন হোক। আর ইউনূস নির্বাচনী ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, পুলিশ ও প্রশাসনের সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী। বিএনপি বারবার বলেছে, নির্বাচনের আগে মৌলিক কিছু সংস্কার করা যেতে পারে, তবে ব্যাপক সংস্কারের জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারেরই ম্যান্ডেট থাকা উচিত (Bangladesh Crisis)। বিএনপির দৃঢ় সন্দেহ, ইউনূস শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবং এডিএসএম নেতাদের তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠনের সময় দিতে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চান। বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তাই তারা এডিএসএম নেতাদের সংগঠিত হওয়ার সময় দিতে চায় না। ফলে বিএনপি ও ইউনূস সরকারের মধ্যে সংঘর্ষের পথ সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে (Donald Trump)।

    ইউনূস সরকারের প্রস্তাব

    বিএনপিকে দুর্বল করতে ইউনূস সরকার দুটি নতুন প্রস্তাব এনেছে— প্রথমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা এবং জাতীয় সংসদের জন্য একটি প্রস্তাবিত উচ্চকক্ষ তৈরি করে তাতে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে সদস্য মনোনীত করা। প্রত্যাশিতভাবেই বিএনপি এই সব প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কারণ এগুলি বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে এবং জাতীয় নির্বাচন আরও পিছিয়ে যাবে। ভারতও চায়, দ্রুত নির্বাচন হোক বাংলাদেশে। কারণ নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা শুধুমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গেই গঠনমূলক আলোচনা করবে। ইউনূস সরকার যারা দেশের চরমপন্থী ইসলামপন্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, তারা বাংলাদেশ জামাতে ইসলামিকে তাদের পাশে পেয়েছে। জামাত স্থানীয় নির্বাচন আগে করা এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। এর জেরেও বিলিম্বত হতে পারে জাতীয় নির্বাচন।

    বিএনপি-জামাতের মধ্যে বিভেদ

    জামাতের এই অবস্থান বিএনপি এবং জামাতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। একসময় বন্ধুত্ব থাকলেও, এখন তাদের মধ্যে স্পষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিএনপি ও জামাত অতীতেও জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু বর্তমানে তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। বিএনপি ও জামাত নির্বাচনের পক্ষে এবং সংস্কার নিয়ে পরস্পরবিরোধী ও বিপরীত অবস্থান নিচ্ছে। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে বিবৃতিও দিয়েছে। বিএনপির আশঙ্কা, ইউনূস শাসনব্যবস্থা, বিশেষ করে এডিএসএম নেতারা, গোপনে তাদের দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে (Donald Trump)। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে বিএনপিই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল। আওয়ামি লিগ বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। আর জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মতো অন্যান্য দলগুলি জনসমর্থনহীন প্রান্তিক দল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

    বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমঝোতা!

    বিপদে পড়ে বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমঝোতার পথে এগোতে পারে। তারা বলছে, এই জোট গঠন জরুরি, কারণ তারা (বিএনপি নেতারা) মনে করছে যে ইউনুস শাসনব্যবস্থা বিএনপির বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নিচ্ছে। পাশাপাশি, জামাত ও ইসলামপন্থীদের প্রতিহত করতেও এটি প্রয়োজন। কারণ পাকিস্তান ও অন্যান্য ইসলামি দেশগুলোর সহায়তায় তারা বাংলাদেশে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি নেত্রী (Bangladesh Crisis) বলেন, “আওয়ামি লিগ নেতৃত্বশূন্য এবং সংগঠনগতভাবে বিশৃঙ্খল হলেও, তাদের অনেক বাংলাদেশির সমর্থন রয়েছে, এটি অস্বীকার করা যাবে না। তাই আওয়ামি লিগকে একেবারে বাতিল করা যাবে না। আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট বাঁধলে আমাদের লাভ হবে।”

    এছাড়া, বিএনপি বাংলাদেশের ইতিহাস পুনর্লিখন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা মুছে ফেলার প্রস্তাবেরও তীব্র বিরোধিতা করেছে। জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি এখন বাংলাদেশে দ্রুত সংসদীয় নির্বাচনের জন্য চাপ দেবে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের এক কর্তা বলেন, “যত দেরি হবে, ইসলামপন্থীরা তত শক্তিশালী হবে। আমরা ওয়াশিংটনের নতুন প্রশাসনকে এটি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং তারা আমাদের সঙ্গে একমত। তারা বুঝতে পেরেছে যে নির্বাচন বিলম্বিত হলে পাকিস্তান ও চিনের মতো শক্তিগুলো সুযোগ পেয়ে যাবে। তারা (Donald Trump) এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করতে চায় (Bangladesh Crisis)।”

  • Maa Jayanti Mandir: মেঘালয়ের মা জয়ন্তী মন্দির, একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম, জানুন ইতিহাস

    Maa Jayanti Mandir: মেঘালয়ের মা জয়ন্তী মন্দির, একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম, জানুন ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘালয়ের (Meghalaya) পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলায় রয়েছে বিখ্যাত একটি পুরোনো মন্দির (Maa Jayanti Mandir)। এর নাম নার্তিয়াং দুর্গা মন্দির। এই মন্দিরের বয়স ৬০০ বছরেরও বেশি বলে মনে করা হয়। ৫১ শক্তিপীঠের মধ্যে অন্যতম এই মন্দিরটি হিন্দু শাক্ত ভক্তদের কাছে অন্যতম পবিত্র স্থান। মেঘালয়ের জয়ন্তিয়া পাহাড়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এই মন্দিরটিই দেবী দুর্গার স্থায়ী আবাসস্থল। দুর্গাপুজো উপলক্ষে সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক তীর্থযাত্রী এই মন্দিরে এসে ভিড় জমান। এছাড়া সারাবছর ধরেই প্রচুর ভক্ত আসেন এই মন্দিরে। প্রসঙ্গত, নার্তিয়াং দেবী মন্দিরের আরাধ্যা দেবী শক্তি জয়ন্তী এবং ভৈরব কামাদিশ্বর।

    মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে পৌরাণিক আখ্যান (Maa Jayanti Mandir)

    পৌরাণিক আখ্যান অনুসারে, রাজা দক্ষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মহাদেবকে বিয়ে করেছিলেন তাঁর কন্যা সতী। মহাদেবের ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দক্ষ রাজা বৃহস্পতি নামে এক যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন। যজ্ঞে সতী কিংবা মহাদেব কাউকেই আমন্ত্রণ জানাননি দক্ষ। মহাদেবের অনিচ্ছা সত্ত্বেও সতী বাবার আয়োজিত যজ্ঞানুষ্ঠানে যান। সেখানে দক্ষ মহাদেবকে অপমান করেন। স্বামীর অপমান সহ্য করতে না পেরে সতী দেহত্যাগ করেন। শোকাহত মহাদেব দক্ষর যজ্ঞ পণ্ড করেন এবং দেবী সতীর শবদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করেন। তাঁর তাণ্ডব বন্ধ করতে অন্যান্য দেবতাদের অনুরোধে বিষ্ণুদেব তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহচ্ছেদ করেন। সতীর দেহের ৫১ খণ্ড ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়ে এবং পবিত্র পীঠস্থান শক্তিপীঠ বা সতীপীঠ (Maa Jayanti Mandir) নামে পরিচিতি। নার্তিয়াং সেই শক্তিপীঠের অন্যতম।

    কোচবিহারে বিয়ে করেন জয়ন্তিয়া রাজা জাসো মানিক

    হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, জয়ন্তিয়া পাহাড়ের নর্তিয়াংয়ে দেবীর বাম উরু পড়েছিল (Maa Jayanti Mandir)। তাই এখানে দেবী জয়ন্তেশ্বরী নামে খ্যাত। জয়ন্তিয়া রাজা জাসো মানিক (রাজত্বকাল ১৬০৬-১৬৪১) কোচবিহারের হিন্দু রাজা নর নারায়ণের কন্যাকে বিয়ে করেন। এর পরেই রাজ্যে হিন্দুধর্মের প্রভাব বিস্তার লাভ করে বলে জানা যায়। আজ থেকে প্রায় ৬০০ বছর আগে রাজা ধন মানিক জয়ন্তিয়া রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসেবে নর্তিয়াংকে ঘোষণা করেছিলেন। জানা যায়, একদিন রাত্রে দেবী তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন এবং তাঁকে স্থানটির তাৎপর্য জানান এবং তাঁর সম্মানে একটি মন্দির তৈরি করতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় নর্তিয়াংয়ে জয়ন্তেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়।

    আলাদা রীতিতে পুজো করা হয় (Maa Jayanti Mandir)

    এই পাহাড়ি মন্দিরের আচার অনুষ্ঠান অন্যান্য জায়গার পুজোর থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। এখানে অন্য রীতিতে দেবীর পুজো হয়। হিন্দু এবং প্রাচীন খাসি ঐতিহ্যের মিশ্রণে দেবীর পুজো হয়। স্থানীয় যিনি সর্দার থাকেন তাঁকে মন্দিরের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মন্দিরে রয়েছে বলি প্রথা। আজও দুর্গাপুজোর সময় সাইয়েম ছাগল বলি দেন। দুর্গাপুজো এই মন্দিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বলে মনে করা হয়। দুর্গাপুজোর সময়, একটি কলা গাছকে দেবী (Maa Jayanti Mandir) হিসেবে পুজো করা হয়। ধুমধাম করে দুর্গাপুজোর শেষে গাছটিকে স্থানীয় মিন্টডু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। বিদায়কালে শূন্যে বন্দুকের গুলি ছুড়ে দেবীকে সম্মান জানানো হয়।

    বাংলার সংস্কৃতি এবং খাসি-জয়ন্তিয়া পাহাড়ের সংমিশ্রণে এখানে দুর্গাপুজো করা হয়

    বর্তমানে মেঘালয়ের হিন্দু সমাজের তরফ থেকে সরকারি এক প্রতিনিধি থাকেন। তিনিই কেন্দ্রীয় পুজো কমিটি মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক। মন্দিরের অর্থনৈতিক হিসাব নিকাশ, রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদির দায়িত্বে রয়েছে এই কমিটি। প্রাচীন এই মন্দিরে দুর্গা পুজো অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলার সংস্কৃতি এবং খাসি-জয়ন্তিয়া পাহাড়ের সংমিশ্রণে এখানে দুর্গাপুজো করা হয়। তবে দেবীর মূর্তি এখানে থাকে না। দেবী মূর্তির (Maa Jayanti Mandir) পরিবর্তে খাসি প্রথা মেনে গাঁদা ফুল দিয়ে সজ্জিত একটি কলার কাণ্ডে মা দুর্গার চিত্র তৈরি হয়। সেটিই আরাধ্যা দেবী। এই মন্দিরের একেবারে কাছেই রয়েছে একটি শিব মন্দির। সেখানে রয়েছে একটি প্রাচীন কামানের ভগ্নাবশেষ। বর্তমানে এই মন্দিরের পাশে একটি হিন্দু মন্দির রয়েছে। সেখানে জয়ন্তিয়াপুর থেকে আগত আদি পুরোহিতদের সরাসরি বংশধররা পুজোর অনুষ্ঠান করেন।

    কীভাবে যাবেন এই মন্দিরে

    বিমানপথে যদি কোনও তীর্থযাত্রী যেতে চান তাহলে তাঁকে প্রথমে যেতে হবে মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে উমরোই বিমানবন্দরে। নার্তিয়াং দুর্গা মন্দির থেকে উমরোই বিমানবন্দরের দূরত্ব প্রায় ৬৭ কিলোমিটার। সড়কপথে এই শক্তিপীঠে যেতে গেলে নার্তিয়াং যেতে হবে। সেখান থেকে মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ৩ কিলোমিটার। শিলং বাসস্ট্যান্ড থেকে মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ৬১ কিলোমিটার। গুয়াহাটি রেলস্টেশন থেকে এই মন্দির থেকে এই মন্দিরের দূরত্ব প্রায় ১৫৩ কিলোমিটার।

LinkedIn
Share