Tag: Bengali news

Bengali news

  • Cooch Behar: কোচবিহারে এসে রাজবংশীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবি উঠল ধিক্কার মিছিলে

    Cooch Behar: কোচবিহারে এসে রাজবংশীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, দাবি উঠল ধিক্কার মিছিলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজবংশীদের নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। রাজবংশী জনজাতিকে তাঁর পায়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারই প্রতিবাদে কোচবিহারে (Cooch Behar) ভারতীয় জনতা পার্টির জেলা সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। মিছিল ঘিরে জেলা সরগরম।

    মিছিলের মূল দাবি কী (Cooch Behar)?

    এই মিছিল কোচবিহারের (Cooch Behar) রাজপথ পরিক্রমা করে। মুখ্যমন্ত্রীর করা কুরুচিকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানানো হয় এবং সেই সঙ্গে মিছিলে দাবি ওঠে, মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে কোচবিহারে এসে সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। রাজবংশী সমাজের উপর অত্যাচার মানবো না বলে মিছিলে বিশেষ স্লোগান ওঠে। সমাজের কোনও বর্গের মানুষকে কোনও মানুষেরই অপমান করার অধিকার নেই। এমনই মন্তব্য করেন মিছিলকারীরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা এসসি মোর্চার সভাপতি হরিহর দাস বলেন, এই মিছিল কোনও সাধারণ মিছিল নয়। এই মিছিল একটি জাতির মিছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ইচ্ছা করে রাজবংশী সমাজের মানুষকে আঘাত করছেন। শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, তাঁর দলের দুষ্কৃতীরা আমাদের হাঁটু ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করায় উত্তরবঙ্গকে উন্নয়নের বাইরে রেখে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আজ আমরা রাস্তায় নেমে সমগ্র রাজবংশী সমাজের পক্ষে লড়াই করছি। এই লড়াই এখন সাধারণ মানুষের লড়াই। কোচবিহারে এসে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।  

    কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদিকা মিনতি দাস ঈশ্বর বলেন, রাজনৈতিক ভাবে রাজবংশী সমাজের মানুষ আক্রান্ত হল। এই মুখ্যমন্ত্রীর আমলে রাজবংশী সমাজের মানুষ সবথেকে বেশি অবহেলিত এবং অত্যাচারিত। মুখ্যমন্ত্রী কার্যত কৌশল করে রাজবংশী সমাজের মানুষকে অপমান এবং বঞ্চনা করছেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে কোচবিহারে এসে রাজবংশী সমাজের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। বিজেপির এই নেত্রী আরও বলেন, কোচবিহার থেকে কলকাতা সর্বত্র রাজবংশী সমাজের মানুষ সোচ্চার হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RJD: জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ প্রভুনাথের, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    RJD: জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আরজেডির প্রাক্তন সাংসদ প্রভুনাথের, রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোড়া খুনের মামলায় সাজা ঘোষণা হল রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রাক্তন সাংসদ (RJD) রঘুনাথ সিংহের। তিন দশকের পুরনো এই জোড়া খুনের মামলায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এর পাশাপাশি ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে হওয়া এই খুনের ঘটনায় নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার জন্য প্রভুনাথকে(RJD) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে ওই ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম হয়েছিলেন একজন, তাঁকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (RJD)। 

    সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এমন মামলা আগে কখনও দেখা যায়নি’’

    প্রভুনাথ সিংহকে (RJD) ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি বিহার সরকারকেও ওই একই অংকের টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এই ঘটনায় সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এমন মামলা আগে কখনও দেখা যায়নি।’’ এদিন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কৌল, বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ। এ দিনের রায়দানের প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘‘এই মামলায় দুটি শাস্তি হতে পারে, এক, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদন্ড।’’

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বিহারের মহারাজগঞ্জ লোকসভা আসন থেকে চারবারের সাংসদ ছিলেন প্রভুনাথ (RJD)। জেডিইউ-এর থেকে তিনবার এবং আরজেডি (RJD) থেকে একবার সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। প্রভুনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, ১৯৯৫ সালে বিহারে বিধানসভা ভোট চলাকালীন ৪৭ বছর বয়সী দারোগা রায় এবং ১৮ বছর বয়সী রাজেন্দ্র রায়কে নৃশংসভাবে খুন করেন তিনি। জানা গিয়েছে, রঘুনাথ সিংহের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীকে (RJD) ভোট দেননি এই দুইজন। তাই তাঁদেরকে খুন করা হয়। প্রথমে নিম্ন আদালত তারপরে পাটনা হাইকোর্টে পৌঁছায় এই মামলা। প্রভাবশালী সাংসদের (RJD) বিরুদ্ধে কোনও রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই প্রমাণের অভাবে পাটনা হাইকোর্ট বেকসুর খালাস করে প্রভুনাথকে। মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে জনতা দলের বিধায়ক অশোক সিংহকে খুনের মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত করা হয় প্রভুনাথকে। সেই মামলায় ২০১৭ সালেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত হন প্রভুনাথ(RJD)। বর্তমানে তিনি জেলেই রয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে বিহারের বিধানসভা ভোটে প্রভুনাথ অশোক সিংহের কাছে হেরে যান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে রায়গঞ্জে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক! প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে কবে?

    Uttar Dinajpur: ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে রায়গঞ্জে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক! প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ক্রমশই চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে প্রাণ গিয়েছে অনেকের। ঘটেছে নানা অঙ্গহানিও। জেলায় জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। এবার উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের একাংশে ডেঙ্গির অস্বাভাবিক বাড়বাড়ন্তের ছবি উঠে এল। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ ব্লকের ১০ নং মারাইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সুভাসগঞ্জের কোতগ্রাম এলাকায়। ডেঙ্গির প্রকোপে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ।

    ডেঙ্গির প্রকোপ (Uttar Dinajpur) কেমন?

    স্বাস্থ্য বিভাগের রেকর্ড অনুযায়ী এই এলাকায় (Uttar Dinajpur) গত ৭ দিনে ৪০ জনেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যাকে ঘিরে এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এলাকায় অনেকের মধ্যেই জ্বরের প্রকোপ রয়েছে। জ্বরের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পেলেই সাধারণ মানুষ ছুটছেন রক্ত পরীক্ষার জন্য।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    এলাকার (Uttar Dinajpur) বাসিন্দা সঞ্চিতা রায় জানান, তাঁর শ্বশুরমশাই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে তাঁর ধুম জ্বর আসে। রক্ত পরীক্ষার পর রিপোর্ট আসে পজিটিভ। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এরপর শ্বাসপ্রশ্বাসে সমস্যা তৈরি হয়। বর্তমানে অবশ্য সুস্থ রয়েছেন তিনি। এরপর পরিবারের বাকি সকলের পরীক্ষা করা হয়। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী বাকিরা ডেঙ্গিমুক্ত রয়েছেন।

    স্থানীয় অপর এক গৃহবধূ অনিতা দাস নিজে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি জানান, ডাক্তারের কাছে জ্বর নিয়ে এসেছিলেন। এরপর রক্ত পরীক্ষা করতেই রিপোর্ট আসে পজিটিভ। শুরু হয় চিকিৎসা। আপাতত সচেতনতাও অবলম্বন করছেন তিনি।

    এলাকায় খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবির

    এদিকে এলাকায় (Uttar Dinajpur) ডেঙ্গি মাথাচাড়া দিতেই তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি স্কুলে স্বাস্থ্য শিবির খোলা হয়েছে। যেখানে রক্ত পরীক্ষারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মনিকা বিশ্বাস জানান, এখানে রক্ত পরীক্ষার পর নমুনা যাচ্ছে মেডিক্যাল কলেজে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসছে। এখনও পর্যন্ত ৪০ পেরিয়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মনিকা দেবী আরও বলেন, এই এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। জল জমে থাকে সব সময়। এছাড়াও জঙ্গলও রয়েছে এলাকায়। যা ডেঙ্গির অনুকূল পরিবেশ।

    স্থানীয় উপপ্রধানের প্রতিনিধির বক্তব্য

    অপরদিকে, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় (Uttar Dinajpur) উপপ্রধানের প্রতিনিধি রানা রক্ষিত। তিনি জানান, ৬২ নং বুথে ক্রমশই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন স্তরে জানানো হয়েছে। ক্রমাগত মনিটরিং চলছে। এলাকায় সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকেও সচেতন করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে এখন ডেঙ্গি নিয়ে আতঙ্কিত এই অঞ্চল সংলগ্ন এলাকার মানুষ। কত দ্রুত এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    Dhupguri By Election: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ লগ্নে বাড়ি বাড়ি প্রচারে জোর দিল বিজেপি। গত কয়েক দিন ধরে ধূপগুড়ি বিধানসভার (Dhupguri By Election) বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার ঠাকুরপাট এলাকার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার চালান তিনি। প্রচারের মূলে রয়েছে রাজ্য সরকারের অনৈতিক কার্যকলাপ। যার মধ্যে অন্যতম হল চাকরি চুরি।

    রাজ্যে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ সরকার গড়ার আহ্বান (Dhupguri By Election)

    যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি না দিয়ে অযোগ্যদের যেভাবে চাকরি দিয়েছে এই সরকার, সেটাই তিনি তাঁর প্রচারে বারবার তুলে ধরেন। প্রচারে তাঁর আরও অভিযোগ, প্রতিশ্রুতি দিয়েও ধূপগুড়িকে এখনও মহকুমায় উন্নীত করেনি সরকার। এছাড়া আয়ুস্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প চালু হলে প্রচুর মানুষ উপকৃত হবেন। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্প চালু হতে দিচ্ছেন না। পাশাপাশি সুকান্তর তোপ, উজ্জ্বলা গ্যাসের দাম কমিয়ে দেওয়া নিয়েও রাজনীতি করছে তৃণমূল। তাই তৃণমূলকে পরাস্ত করতে, রাজ্যে সুষ্ঠু এবং স্বচ্ছ সরকার গড়তে বিজেপিকেই ভোট (Dhupguri By Election) দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

    কড়া রোদ উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে প্রচার (Dhupguri By Election)

    এদিন তিনি এলাকার ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন জনহিতৈষী নীতি এবং কেন্দ্র সরকারের সমস্ত প্রকল্পগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরেন। এদিন তিনি কড়া রোদ উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে ওই এলাকাগুলির প্রায় প্রত্যেক বাড়তে গিয়েই প্রচার (Dhupguri By Election) করেন। এই এলাকাতেই আগামীকাল প্রচারে আসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জনসভার আগে ওই এলাকায় প্রচার চালান তিনি। সকাল থেকেই তিনি প্রচারে বেরিয়ে তাঁদের দলের প্রার্থীর হয়ে ভোট ভিক্ষা করেন। তিনি ভোটারদের কাছে আহ্বান জানান, যেভাবে তাঁরা গত বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থীকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছিলেন, এবারও যেন তাঁরা বিজেপি প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন। এই ভোটে তৃণমূল জয়ী হলে চোরেদের আরও বেশি চুরি করার সুযোগ দেওয়া হবে বলেও আক্রমণ শানান সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

    Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে ক্রমশ তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনীতি। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর থেকে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই দুই মহিলার ক্ষোভের ঘটনা বাড়তে থাকায় ঘরে বাইরে কিছুটা চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। এদিকে তৃণমূলের অন্দরে আদিবাসী মহিলাদের এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই লোকসভা নির্বাচনের ছক কষতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের প্রতি আদিবাসী মহিলাদের ধারাবাহিক ভাবে এমন ক্ষোভ বাড়তে থাকায় লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। যদিও তাদের চাপে পড়ার কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দলের বিরুদ্ধে কেন ক্ষুব্ধ কল্পনা কিস্কু?

    বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কল্পনা কিস্কু, যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তপন আসন থেকে অন্যতম আদিবাসী মুখ হিসাবে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়াই করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব সামান্য ভোটে বিজেপি প্রার্থী বুধরাই টুডুর কাছে পরাজিত হন। কল্পনার হয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচনী ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে। সে সময় থেকেই অর্পিতা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হন কল্পনা। কল্পনাকে এবার বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি না করায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। এই নিয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

    কী বললেন সেই দণ্ডিকাণ্ডের নির্যাতিতা?

    অন্যদিকে তপনের গোফানগরের তিন আদিবাসী মহিলা, যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে দণ্ডি কাটার মাধ্যমে শাস্তি পেয়েছিলেন। মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে যে ঘটনায় কার্যত দোষী প্রমাণিত করে দলের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। যা নিয়ে শুধু রাজ্য-রাজনীতি নয়, তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। শুধু তাই নয়, আদিবাসী সমাজকে বিশেষ বার্তা দিতে দণ্ডি-কাণ্ডের নির্যাতিতা শিউলি মার্ডিকে পঞ্চায়েতের (Dakshin Dinajpur) প্রার্থীও করেছিল তৃণমূল। অর্পিতার অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন নির্যাতিতা। নির্বাচনে জয়লাভের পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরেই শুরু ঝামেলা। নির্যাতিতা শিউলির দাবি, তাঁকে পঞ্চায়েতের প্রধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। তা না করায় শুধু তাঁর সাথেই নয়, আদিবাসী সমাজের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।

    কী প্রতিক্রিয়া সুকান্ত মজুমদার এবং অর্পিতা ঘোষের?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আদিবাসীদের সাথে বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে তৃণমূল। প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা। যে সবের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবারের লোকসভার ফলাফলেই ঘটবে।’ অর্পিতা ঘোষ বলেন, ‘এধরনের কোনও ব্যাপার নেই। দল তাঁদের নিয়েও ভাবছে। এক ব্যক্তি চিরকাল এক চেয়ারে থাকতে পারেনা। তৃণমূলই এ জেলার দুটো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আদিবাসী মহিলাকে বসিয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: নাবালিকার বিয়ে দিয়ে বই পুড়িয়ে দিলেন মা! মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ কি নামেই?

    Murshidabad: নাবালিকার বিয়ে দিয়ে বই পুড়িয়ে দিলেন মা! মুখ্যমন্ত্রীর ‘কন্যাশ্রী’ কি নামেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবানগোলায় (Murshidabad) জোর করে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দিয়ে দিলেন মা-বাবা। আর তারপর মাসখানেক যেতে না যেতেই মেয়ের পড়া বন্ধ করতে চাপ তৈরি করা হল। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ।

    অভিযোগ কী (Murshidabad)?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প কতটা কাজে লাগছে গ্রামগঞ্জে, তারই প্রতিচ্ছবি ভগবানগোলায় (Murshidabad)। ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রী বিয়ের পরেও পড়াশোনা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার মা বই পুড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে ওই নাবালিকা ছাত্রী। প্রতিবাদ করতে গেলে নাবালিকাকে মারধর করা হয়। পড়াশোনা নয়, সংসার করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন। প্রত্যেক দিন নানা অত্যাচারের শিকার হতে হচ্ছে নাবালিকা ছাত্রীকে। এমন অভিযোগে সরব নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। 

    কন্যাশ্রীর বাস্তব চিত্র

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক দিকে যেমন কন্যাশ্রী প্রকল্পের নাম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন, ঠিক তেমনি আবার এই রাজ্যের মেয়েরা পড়াশুনা করতে না পারার বাস্তব চিত্রের সাক্ষ্য বহন করছে। এ যেন একই বঙ্গে দুই রকম চিত্র। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলায় ঘটল উল্টো ঘটনা! নাবালিকা মেয়ের দাবি, তার মা-বাবা বারবার নানা ধরনের কথা বলেন এবং তাকে কার্যত অন্ধকারে রেখে জোর করে এই বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই বিয়ে দেওয়ার পরেও নাবালিকা শ্বশুরবাড়ি যেতে চায়নি। বাপের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতে চাইছিল সে। এমনকি মেয়ের বাবা-মা জোর করে তাকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে চেয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই সব বইপত্র পুড়িয়ে দেয়।

    পুলিশের ভূমিকা

    এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ভগবানগোলা (Murshidabad) থানার পুলিশ গিয়ে খোঁজখবর নেয়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নাবালিকা মেয়ে তার সঙ্গে ঘটা নানা ঘটনার কথা স্পষ্ট ভাবে পুলিশকে জানিয়েছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vijay Devarakonda: “বিয়ের জন্য প্রস্তুত!” দক্ষিণী সুপারস্টারের ঘোষণায় জল্পনা, পাত্রী কি রশ্মিকা?

    Vijay Devarakonda: “বিয়ের জন্য প্রস্তুত!” দক্ষিণী সুপারস্টারের ঘোষণায় জল্পনা, পাত্রী কি রশ্মিকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণী সুপারস্টার বিজয় দেবেরাকোন্ডা (Vijay Devarakonda) শুধু দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নয়, গোটা বলিউড জুড়েই তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও পর্যন্ত খুব কম ছবি থাকলেও তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। জীবনের প্রথম সিনেমা ‘অর্জুন রেড্ডি’র মাধ্যমে তাঁর উত্থান। তখন থেকেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন বিজয়। এর পর অভিনয় করেন ‘ডিয়ার কমরেড’, ‘ওয়ার্ল্ড ফেমাস লাভার’, ‘গীত গোবিন্দম’, ‘নোটা’-র মতো জনপ্রিয় সিনেমাতে। সিনেমা ছাড়াও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে খুবই কৌতূহল অনেক আগে থেকেই। এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন বিজয়। কয়েক সপ্তাহ আগে তাঁর পরবর্তী ছবি ‘খুশি’র একটি প্রচার অনুষ্ঠানে বিজয় ঘোষণা করেন, তিনি এবার বিয়ের জন্য প্রস্তুত। আর এর পর থেকেই শুরু হয় জল্পনা। তাহলে কি এবার সত্যিই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন বিজয়? পাত্রী কি তাহলে চূড়ান্ত?

    বিয়ে নিয়ে কী জানিয়েছেন তিনি (Vijay Devarakonda)?

    প্রসঙ্গত, বিজয়ের পরবর্তী ছবি ‘খুশি’ খুব তাড়াতাড়ি সিনেমা হলে মুক্তি পেতে চলেছে। এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সামান্থা রুথ প্রভু। এই সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে বিশেষত একটি প্রেম কাহিনীর উপর। কী করে প্রেম থেকে বিয়েতে পৌঁছে যাবে দুই যুগল, তারই ওপর ভিত্তি করে কাহিনী। কয়েক সপ্তাহ আগে এই ছবিরই একটি প্রচার অনুষ্ঠানে তিনি জানান, এই সিনেমাটি করার পর তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি একদম বদলে গিয়েছে। এবারে তিনি (Vijay Devarakonda) একদম মানসিকভাবে প্রস্তুত বিয়ের জন্য, শুধু মাত্র পাত্রীর অপেক্ষা।

    পাত্রী পেলে কেমন ভাবে বিয়ে করবেন তিনি (Vijay Devarakonda)?

    সাম্প্রতিক একটি ইনস্টাগ্রাম লাইভে বিজয় বলেন, “আমি খুব একটা ধুমধাম করে বিয়ে করব না।  আমি চাই ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো ব্যক্তিগতই থাকা ভালো, আর বিয়ের সমস্ত বিষয়টা তো আমার ওপর ছেড়ে দিলে কেউ টেরই পাবে না আমার বিয়ে সম্বন্ধে”। যেমন কথা ঠিক তেমনই কাজ বিজয়ের। এর আগেও বিজয় তাঁর শুধু মাত্র পেশাগত জীবন ছাড়া অনেক ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মুখ খোলেননি কোনও মতেই। সে হোক বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার সঙ্গে চর্চিত প্রেম, সব কিছুই ক্যামেরার আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি (Vijay Devarakonda)।

    ইনস্টাগ্রামের ছবি (Vijay Devarakonda) নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে

    কয়েক দিন আগেই বিজয় তাঁর ইনস্টাগ্রামে একজন বিশেষ মানুষের সাথে হাত ধরে শুধু হাতের ছবি শেয়ার করেন। আর সেখানেই অনুরাগীদের মধ্যে শুরু হয় জল্পনা, তবে সেই হাতটি কি অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার? ছবিটি শেয়ার করে বিজয় লেখেন, ” চারিদিকে অনেক কিছুই হচ্ছে, তবে এটাই আমার কাছে সবচেয়ে স্পেশাল।” এর আগে বহুবার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে এবং নিজের পরিবারের সাথেও রশ্মিকার সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন বিজয় (Vijay Devarakonda)। অনেকে তাঁদেরকে স্পেশাল জুটি হিসেবেই দেখেন। ‘গীত গোবিন্দম’ ছবিতে কাজ করার সময় থেকেই তাঁদের দুজনের বন্ধুত্ব শুরু হয়। শোনা যায় তারপর ‘ডিয়ার কমরেড’ সিনেমা থেকেই নাকি তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। তাহলে কি এবার অভিনেত্রী রশ্মিকার সাথেই সংসার বাঁধবেন তিনি? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! ফের বিবস্ত্র করে, লাইট পোস্টে বেঁধে মহিলাকে মারধর!

    South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতা! ফের বিবস্ত্র করে, লাইট পোস্টে বেঁধে মহিলাকে মারধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও মধ্যযুগীয় বর্বরতা এই বাংলায়! পাওনা টাকা আদায়ের দাবিতে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে বিবস্ত্র করে লাইট পোস্টের গায়ে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা থানা এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোরগোল তৈরি হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (South 24 Parganas)?

    পাথরপ্রতিমার (South 24 Parganas) এক স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে অন্যের নাম করে টাকা তোলা হয়। এর পর সেই টাকা ফেরতের দাবিতে গোষ্ঠীর সভানেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর করে পোস্টে বেঁধে রাখার অভিযোগ ওঠে ওই গোষ্ঠীরই অন্যান্য মহিলাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে পাথরপ্রতিমা ব্লকের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গা গোবিন্দপুরে।

    নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ

    নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগ, তিনি তাঁদের গ্রামের (South 24 Parganas) স্বনির্ভর সবুজ গোষ্ঠী থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা সুদে-আসলে প্রায় ছয় লক্ষের মতো হয়েছে। নির্দিষ্ট ছয় মাসের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টাকা ফেরত না দিতে পারায় ওই গোষ্ঠীর অন্যান্য মহিলারা তাঁর বাড়িতে গিয়ে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই পরই তাঁকে টানতে টানতে এনে মারধর করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁকে বিবস্ত্র করে একটি ইলেকট্রিক পোস্টের গায়ে দু ঘন্টা বেঁধে রাখা হয়।

    গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের বক্তব্য

    লাইট পোস্টের গায়ে বেঁধে রাখার কথা স্বীকার করলেও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই গোষ্ঠীর অন্যান্য মহিলা সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, কষ্টের জমানো টাকা সভানেত্রী হওয়ার সুবাদে তিনি নিজের নামে ইচ্ছেমতো লোন নেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সেই টাকা বাড়িতে চাইতে গেলে ওই মহিলার স্বামী, গোষ্ঠীর এক প্রবীণ মহিলাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া ওই মহিলা ওই গ্রুপের অন্যান্য কয়েকজন মহিলাকেও মারধর করেন। তারপরেই অন্যান্য মহিলারা দলবদ্ধ ভাবে ওই মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটির (South 24 Parganas) গায়ে বেঁধে রাখেন।

    পুলিশের ভূমিকা

    খবর পেয়ে, পাথরপ্রতিমা (South 24 Parganas) থানার পুলিশ এসে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত মহিলা। আপাতত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পাথরপ্রতিমা থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Typhoid Fever: বর্ষায় বিপদ বাড়াচ্ছে টাইফয়েড! কী ধরনের জটিলতা হচ্ছে?

    Typhoid Fever: বর্ষায় বিপদ বাড়াচ্ছে টাইফয়েড! কী ধরনের জটিলতা হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগের দাপট রয়েছে। তার সঙ্গে জোট বেঁধেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। তাতেই শেষ নয়। এই বর্ষায় ঝড়ো ব্যাটিং করছে টাইফয়েড! তাই বাড়ছে উদ্বেগ!

    টাইফয়েড কেন বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চলতি মরশুমে দাপট বাড়াচ্ছে টাইফয়েড। বর্ষায় জলবাহিত নানা সমস্যার মধ্যে একটা বড় বিপদ এই টাইফয়েড। অপরিশ্রুত জল থেকেই টাইফয়েডের জীবাণু রোগীর শরীরে বাসা বাঁধে। বর্ষায় একাধিক জায়গায় জমা জল, নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার জেরেই জলবাহিত রোগের দাপট বাড়ছে। তাই এই বর্ষায় টাইফয়েডে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

    কীভাবে রোগ চিহ্নিত হয়? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, টাইফয়েড হলে দেহের তাপমাত্রা মারাত্মক বেড়ে যায়। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হয়ে যায়। লাগাতার জ্বর, সর্দি-কাশির পাশপাশি ভয়ানক পেটের সমস্যা দেখা দেয়। মলত্যাগে অসুবিধা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। এমনকী মলত্যাগের সময় রক্তপাতের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পেটে যন্ত্রণা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। পাশপাশি, হাত-পায়ের জোর কমে। ভীষণ ক্লান্ত বোধ হয়। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জ্বর সাত দিনেও না কমলে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করে টাইফয়েড কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। কারণ, প্রথম থেকে চিকিৎসা শুরু না করলে টাইফয়েড মারাত্মক বিপদ তৈরি করে। সাধারণ, সময় মতো টাইফয়েডের চিকিৎসা শুরু না হলে ৭০ শতাংশ রোগী মারা যান। কারণ, এই রোগ মানুষের অন্ত্রের উপরে সরাসরি প্রভাব ফেলে। ফলে, একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে থাকে। লিভার, পাকস্থলী কাজ করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সময় মতো চিকিৎসা শুরু হলে ২০ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। তাই দ্রুত চিকিৎসা শুরু জরুরি।

    টাইফয়েড রুখতে কী করবেন? 

    টাইফয়েডে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণেই একমাত্র রোগ মুক্তি সম্ভব। কিন্তু টাইফয়েড এড়াতে একাধিক ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, বর্ষায় কয়েকটি ঘরোয়া বিষয় নজরে রাখলেই টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগের আক্রমণ এড়ানো সহজ হবে। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রসুন খুব উপকারী। রসুনে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা রোগ মোকাবিলায় সাহায্য করে। পাশপাশি, শরীরে কোনও ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের দাপট বাড়াতে দেয় না। তাই বর্ষায় নিয়মিত রসুন ভাত কিংবা রুটির সঙ্গে খেলে টাইফয়েডের মতো রোগের মোকাবিলা সহজ হবে। 
    তাছাড়া, প্রত্যেক দিন গোলমরিচ এবং তুলসি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, গরম জলে তুলসি পাতা এবং গোলমরিচ একসঙ্গে ফুটিয়ে রাখতে হবে। সেই জল প্রত্যেক দিন সকালে খেলে টাইফয়েডের মতো রোগের দাপট এড়ানো সহজ হবে। কারণ, এই দুই ঘরোয়া উপাদান যে কোনও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাড়তি শক্তি জোগায়। 
    এছাড়া, ভিনিগারে ভেজানো আপেল শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভিনিগারে ভেজানো আপেল রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। 
    তবে, সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে জলে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পানীয় জল পরিশ্রুত কিনা সেদিকে নজরদারি সবচেয়ে জরুরি। তবেই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railway: ১০৫ বছরে রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন পদে প্রথম মহিলা, দায়িত্বে জয়া বর্মা সিংহ

    Indian Railway: ১০৫ বছরে রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন পদে প্রথম মহিলা, দায়িত্বে জয়া বর্মা সিংহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০৫ বছরের ইতিহাসের রেলওয়ে (Indian Railway) বোর্ডের চেয়ারপার্সন পদে বসলেন কোনও মহিলা। এই পদে কেন্দ্রীয় সরকার নিয়োগ করল জয়া বর্মা সিংহকে। জানা গিয়েছে, রেল (Indian Railway) বোর্ডের চেয়ারপার্সন হওয়ার আগে জয়া বর্মা সিংহ নর্দান রেল, সাউথ ইস্টার্ন রেল, ইস্টার্ন রেলে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন রেল বোর্ডের (Indian Railway) সদস্য। জয়া বর্মা সিংহের পড়াশোনা এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

     ১ সেপ্টেম্বর থেকে দায়িত্বভার বুঝে নেবেন জয়া বর্মা সিংহ

    ১৯৮৮ সালে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে (Indian Railway) ট্রাফিক সার্ভিসে জয়া বর্মা সিংহ যোগদান করেন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানা গিয়েছে রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন এবং সিইও পদে জয়া বর্মা সিংহার নিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটি। জয়া বর্মা সিংহের আগে এই পদে ছিলেন অনিল কুমার লাহোতি। শনিবার ১ সেপ্টেম্বর থেকে নিজের দায়িত্বভার বুঝে নেবেন জয়া বর্মা সিংহ। আগামী ২০২৪ সালের ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত এই পদে বহাল থাকবেন তিনি। জয়া বর্মা সিংহের অবসর নেওয়ার কথা রয়েছে চলতি বছরের ১ অক্টোবর। তবে সেদিনই তাঁকে আবার নিজের পদে পুনর্বহাল করা হবে।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

    বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনার সময় থেকেই সামনে আসেন জয়া বর্মা সিংহ

    রেলের (Indian Railway) অত্যন্ত দক্ষ আধিকারিক বলে পরিচিত জয়া বর্মা সিংহ সামনে আসেন ওড়িশার করমন্ডল এক্সপ্রেস (Indian Railway) দুর্ঘটনার সময় থেকেই। বাংলাদেশের ভারতীয় হাই কমিশনেও তিনি কাজ করেছেন। কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস পরিষেবাতেও ভূমিকা রয়েছে তাঁর। তাঁর দক্ষতা এতটাই ছিল যে রেলের যে কোনও জটিল সিগনাল সিস্টেমকে অত্যন্ত সহজ ভাবে তা সংবাদমাধ্যমের সামনে উপস্থাপনা করতে পারতেন তিনি। বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনার সময়ে তাঁকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যেত। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় রেলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জয়া বর্মা সিংহ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share