Tag: Bengali news

Bengali news

  • Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    Nadia: পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার নদিয়ায়, লাঠি-বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার বিজেপি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড। শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে শাসক এবং বিরোধী দলের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তীব্র চাঞ্চলের সৃষ্টি হল। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা লাঠি, বাঁশ দিয়ে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের। পাশাপাশি এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির।

    গন্ডগোলের সূত্রপাত কীভাবে (Nadia)?

    জানা গেছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৫ টি আসন বিশিষ্ট কৃষ্ণগঞ্জ (Nadia)পঞ্চায়েতে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পায় ১২ টি আসন। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ও বিজেপি ১টি করে আসনে জয়লাভ করে। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১৪ টিতে। অভিযোগ, এদিন পঞ্চায়েতের উপ সমিতি গঠন করতে গিয়ে তৃণমূল সমর্থিত একজন জয়ী সদস্য বিজেপির সদস্যদের মধ্যে গিয়ে বসেন। তৃণমূলের ওই সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করতেই উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসার সৃষ্টি হয়। ওই সদস্যার সার্টিফিকেট ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তৃণমূল আশ্রিত কর্মী-সমর্থকদের বেধড়ক মারে গুরুতর জখম বেশ কয়েকজন বিজেপি সমর্থক বলে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে সরাসরি আঙুল তুলতে দেখা যায় বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীদের। জখম ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে।

    অভিযোগের জবাবে কী বলল তৃণমূল (Nadia)?

    যদিও ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করেছেন তৃণমূল সমর্থিত পঞ্চায়েত প্রধান মদন ঘোষ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত উপ সমিতির (Nadia) ভোটাভুটি শুরু হলে উপস্থিত বিরোধী শিবিরের কর্মীরা তাদের এক সদস্যাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে তাঁর ব্যালট পেপার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইরে ধুন্ধুমার কাণ্ড। তার ফলেই বেশ কয়েক জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad News: ‘‘নাম মমতা, কিন্তু অন্তরে এত পাপ?’’, তীব্র কটাক্ষ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    Murshidabad News: ‘‘নাম মমতা, কিন্তু অন্তরে এত পাপ?’’, তীব্র কটাক্ষ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘নাম মমতা কিন্তু এত পাপ অন্তরে’’, ঠিক এই ভাষাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। বৃহস্পতিবার থেকেই কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী মুর্শিদাবাদে (Murshidabad News) রয়েছেন দলীয় কাজে। শুক্রবার বহরমপুর বিধানসভার অন্তর্গত হাতিনগর গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাঠে নতুন ভোটারদের নাম তালিকাভুক্ত করার এক দলীয় কর্মসূচিতে (Murshidabad News) অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী। এরপরই সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং কংগ্রেসের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে এক হাত নেন (Murshidabad News)। 

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, নাম মমতা কিন্তু সেই মমতার রাজ্যে মহিলার কাপড় খুলে রাস্তায় ঘোরানো হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না মমতা মহিলা না অন্য কিছু। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব কে ভোট দিল, কে দিল না, সে দিকে না তাকিয়ে রাজ্যের মানুষকে পালন করা (Murshidabad News)।’’ রাজ্যে বেড়ে চলা নারী নির্যাতন নিয়েও সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতার রাজ্যে মেয়েরা ধর্ষিতা হচ্ছে, নানান রকম দুর্নীতি চলছে, যে দুর্নীতির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরাও জড়িত।’’ রাজ্যের সন্ত্রাস ইস্যুতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্ত্রাস বাহিনী এবং পুলিশ যদি প্রার্থী এবং ভোটারদের উপর সন্ত্রাস না চালাতো, তাহলে এই পঞ্চায়েতেই মমতা বন্দোপাধ্যায়কে গদি ছাড়তে হতো।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস নেতা এখানে (Murshidabad News) মমতার বিরুদ্ধে চিৎকার করছেন আর দিল্লিতে গিয়ে দোস্তি করছেন! অধীর চৌধুরীর এ কী হলো?’’ বাংলায় একরূপ আর দিল্লিতে অন্য রূপ! তিনি জনগণের সঙ্গে এখানে প্রতারণা করছেন।’’

    লোকসভা ভোটে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী 

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘এই বাংলায় আমাদের ৭০ জন বিধায়ক আছেন, ১৬ জন সাংসদ আছেন। আগামী ২৪ সালে (Murshidabad News) লোকসভা ভোট। মানুষ দেখতে পাচ্ছে ভারতবর্ষের বিজ্ঞানীদের কৃতিত্ব, গত পরশুদিন চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। এই আনন্দে গোটা ভারতবর্ষের মানুষ আনন্দে মেতে উঠেছেন। ভারত আজ বিশ্ব আর্থিক ব্যবস্থায় পঞ্চম স্থানে আছে কিন্তু মনমোহন সিংয়ের সরকারে সময়  ১০ বছরে বিশ্বে দশম স্থানে ছিল। তাই পশ্চিমবঙ্গবাসীকে অনুরোধ করেন আসুন সবাই মিলে একত্রিত হয়ে এই ভারতকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে নিয়ে চলি।’’ এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা (Murshidabad News) সভাপতি শাখারভ সরকার ও অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীবৃন্দ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ছেলেকে খুন করা হয়েছে, গুরুতর অভিযোগ দুর্গাপুরের সেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের বাবার

    Durgapur: ছেলেকে খুন করা হয়েছে, গুরুতর অভিযোগ দুর্গাপুরের সেই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের বাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও উত্তাল রাজ্য। এর পর রাজ্যে ঘটে গিয়েছে আরও কয়েকটি ঘটনা। কয়েকদিন আগেই এসএসকেএমের এক নার্সিং ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। পুলিশ সেই ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। একই ধরনের ঘটনা ঘটে দুর্গাপুরেও (Durgapur)। সেখানেও এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছে হস্টেলের চারতলা থেকে। সেই ঘটনা এবার অন্যদিকে মোড় নিল। ওই ছাত্রের বাবা অভিযোগ করলেন, তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন, ওই ছাত্র যেখানকার বাসিন্দা, সেই গ্রামের প্রধানও। উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের ফুলঝোড়ের বি সি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন ভাগলপুরের বাসিন্দা সৌরভ কুমার। তাঁর বাবা সুরেন্দ্র কুমার ও সৌরভের ভাগলপুরের গ্রামের প্রধান ব্রজেশ পাশওয়ান শুক্রবার খুনের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি এই খুনের পিছনে রয়েছে রীতিমতো চক্রান্ত, এমনও অভিযোগ মৃত ওই ছাত্রের বাবার। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁর সন্তানের নিরুদ্দেশ সম্বন্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।

    কী ঘটেছিল (Durgapur)?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ওই ছাত্রের ঝুলন্ত পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল গতকালই। মৃত ছাত্রের নাম সৌরভ কুমার, বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ডিজাইনের ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। সূত্রে জানা গেছে, কলেজের (Durgapur) বয়েজ হস্টেলের ফাঁকা চারতলায় একটি ঘরে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থলে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।

    ডিন (Durgapur) কী জানিয়েছিলেন?

    কলেজের (Durgapur) ডিন ছাত্র মৃত্যুর পর জানিয়েছিলেন, ২১ তারিখ শেষ ওঁকে দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে নিখোঁজ। বেশ কয়েকদিন ধরে ওঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। ডিন আরও জানিয়েছিলেন, ওঁর তেমন বন্ধু খুব একটা ছিল না। আত্মকেন্দ্রিক ছেলে ছিলেন সৌরভ। হস্টেলের চারতলায় বিল্ডিং মেরামতির কাজ চলছিল, সেই সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার কাজও চলছিল। খোঁজ না পাওয়ায় প্রথমে বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। এরপর হস্টেলের ওপরের একটি ঘর থেকে অত্যন্ত পচা গন্ধ বের হলে, দরজা খুলে দেখা যায় সৌরভ কুমারের মৃতদেহ ঘরের উপর থেকে ঝুলছে।

    পুলিশের ভূমিকা

    স্থানীয় (Durgapur)  ডিসি পূর্ব কুমার গৌতম জানিয়েছিলেন, তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট করে জানা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplantation: করোনা-পরবর্তী পর্বে নেই সক্রিয়তা, অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে!

    Organ Transplantation: করোনা-পরবর্তী পর্বে নেই সক্রিয়তা, অঙ্গ প্রতিস্থাপনে ছুটতে হচ্ছে ভিন রাজ্যে!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হৃদপিণ্ড, কিডনি, লিভার এমনকি ত্বক প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) পরিকাঠামো রয়েছে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতেও গড়ে উঠেছে পরিকাঠামো। তার পরেও স্বাস্থ্য দফতরের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য রোগীদের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে! তাই ভরসা হচ্ছে ভিন রাজ্য! আর স্বাস্থ্য ভবনের এই গড়িমসির জন্য এবার কড়া বার্তা দিল কেন্দ্রীয় সরকারের অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন!

    অভিযোগ কী (Organ Transplantation) 

    করোনা মহামারির শেষে ফের স্বাভাবিক হচ্ছে সব কিছু। স্বাস্থ্য পরিষেবাও আবার আগের রূপে ফিরছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) কর্মসূচি যেন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। করোনা পরবর্তী কালে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজে দেখা দিচ্ছে ব্যাপক ঢিলেঢালা মনোভাব। 
    সূত্রের খবর, করোনা মহামারি পর্বে রোগীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিয়েই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো জটিল অস্ত্রোপচার এড়িয়ে চলা হচ্ছিল। কারণ, এই ধরনের গুরুতর রোগীর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি হয়। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, করোনা পর্ব মিটলেও প্রশাসনিক জটিলতার জেরে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য আবেদনকারীদের বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন না স্বাস্থ্য ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারা। ফলে, ঠিকমতো গ্রহীতা না পাওয়ার জেরেই আবেদনকারীদের চিকিৎসা হচ্ছে না। তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। 
    আর এই গড়িমসির জেরেই অধিকাংশ রোগীকে ভরসা করতে হচ্ছে ভিন রাজ্যের উপরে। কারণ, অতিরিক্ত দেরি হলে রোগীদের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হবে। তাই অন্য রাজ্যে বিশেষত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোয় উন্নত পরিকাঠামো ও সরকারি তৎপরতা দ্রুত হওয়ার জেরে পরিষেবাও দ্রুত পাওয়া যায়। তাই রাজ্যে নয়, ভিন রাজ্যে গিয়ে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হচ্ছেন।

    রোটোর কড়া বার্তা কী (Organ Transplantation)? 

    সম্প্রতি রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশনের (রোটোর) তরফে স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য কর্তাদের জানানো হয়েছে, এ রাজ্যের বহু রোগী ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মস্তিষ্কের মৃত্যু ঘটছে। ঠিকমতো সমন্বয় ও কাউন্সেলিংয়ের অভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন হচ্ছে না। বহু রোগী অঙ্গ প্রতিস্থাপন সময় মতো না হওয়ার জেরে সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারছেন না। তাই করোনা পরবর্তী পর্বে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজে আরও বেশি সক্রিয়তা জরুরি। রোটোর তরফে জানানো হয়েছে, সরকারির পাশপাশি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয় আরও বাড়ানো দরকার। কোনও রোগীর মস্তিষ্কের মৃত্যু বা ব্রেন ডেথ হয়েছে কিনা, তা দ্রুত স্বাস্থ্য ভবনের জানা জরুরি। দরকার সেই রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করা, প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করা এবং তাদের অঙ্গ দানে (Organ Transplantation) আগ্রহী করে তোলার দায়িত্ব স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু এই কাজে যথেষ্ট সক্রিয়তার অভাব রয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো নোটিশে এমনি জানিয়েছে রোটো।

    স্বাস্থ্য কর্তারা কী বলছেন (Organ Transplantation)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ অবশ্য মেনে নিচ্ছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, হৃদপিণ্ড থেকে কিডনি কিংবা লিভার, ত্বক প্রতিস্থাপনের যে গতি গত করোনার আগে ছিল, মহামারি পরবর্তী পর্বে সেই গতি কমেছে। সচেতনতার অভাব তার অন্যতম কারণ বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। তবে, সেই দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, স্কুল স্তর থেকে অঙ্গ প্রতিস্থাপন নিয়ে সচেতনতা কর্মশালা তৈরি হচ্ছে। যাতে তাঁরা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন। পাশপাশি, হাসপাতালগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত সমস্যা কমবে। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য রাজ্যবাসীকে ভিন রাজ্যের উপরে নির্ভর করতে হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Asansol: আশা কর্মীদের জুতো মারার নিদান বিএমওএইচ-এর! বিক্ষোভে উত্তাল ব্লক হাসপাতাল

    Asansol: আশা কর্মীদের জুতো মারার নিদান বিএমওএইচ-এর! বিক্ষোভে উত্তাল ব্লক হাসপাতাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশা কর্মীদের জুতো মারা এবং চটি পেটার নিদান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের (Asansol)। এই অভিযোগে উত্তাল সালানপুরপুর ব্লক হাসপাতাল। সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে আশা কর্মীরা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন। আশা কর্মীদের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটরের কাছে দিলেন স্মারকলিপি। বিএমওএইচ-এর এই মন্তব্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন আশা কর্মীরা। যদিও এদিন সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভিযুক্ত বিএমওএইচ সুব্রত সিট হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। আশা কর্মীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পর যতক্ষণ না বিএমওএইচ তাঁদের কাছে ক্ষমা চাইছেন, ততক্ষণ তাঁরা নিজেদের কাজে যোগ দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

    কী অভিযোগ জানালেন আশাকর্মীরা (Asansol)? 

    অন্যদিকে ডিস্ট্রিক্ট (Asansol) আশা কো-অর্ডিনেটর অমিত গুহ জানিয়েছেন, আশা কর্মীদের দেওয়া এই স্মারকলিপির বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন। আশা কর্মী চুমকি চ্যাটার্জি ও রেখা নন্দীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত দিন কয়েক আগে। পর্বতপুর এলাকার একজন শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। সেই টিকা দেওয়ার পর জ্বরে আক্রান্ত হয় ওই শিশুটি। পরে ওই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ জানানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মীরা শিশুটির পরিবারের লোকেদের কাছে মার্জনাও চেয়ে নেন। এরপর ফের ওই স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্লক হাসপাতালে ডেকে অভিযোগকারী পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন বিএমওএইচ। পরিবারের সদস্যদের নিদান দেন, স্বাস্থ্য কর্মীদের জুতো মারা ও চটি পেটার। এমনই অভিযোগ বিক্ষোভকারী আশা কর্মীদের।

    মদ্যপ ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (Asansol)?

    গোটা ঘটনাটি মদ্যপ অবস্থায় সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (Asansol) সুব্রত সিট ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ আশা কর্মীদের। যদিও শেষ পর্যন্ত উত্তেজনার খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসে সালানপুর থানার পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর আশা কর্মীরা তাঁদের বিক্ষোভ তুলে নেন। তবে বিএমওএইচ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত কাজ করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আশা কর্মীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: সেনার পোশাকে যাদবপুরে ওরা কারা? মামলা দায়ের পুলিশের

    Jadavpur University: সেনার পোশাকে যাদবপুরে ওরা কারা? মামলা দায়ের পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর ইস্যুতে তোলপাড় সারা রাজ্য। গত ৯ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যু রহস্যের তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। একাধিক ইস্যু সামনে এসেছে। গ্রেফতার হয়েছেন ১৩ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বসতে চলেছে সিসিটিভি। ঠিক এমন আবহে বুধবার সেনার পোশাক পড়ে ২৫-৩০ জনের একটি টিমকে সোজা ঢুকতে দেখা যায় অরবিন্দ ভবনে।  তবে কি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এবার সেনা নামাতে হচ্ছে? এমন প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করে। জলপাই পোশাকে যারা প্রবেশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের টুপিতেও লেখা ছিল ভারতীয় সেনা। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে সুয়োমোটো মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এবিষয়ে লালবাজারে তলব করা হবে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকেও।

    সেনার পোশাকে কারা ঢুকলো যাদবপুরে?

    জলপাই পোশাকে যাঁরা ঢুকলেন তাঁরা কারা? ভারতীয় সেনার কর্মী নাকি আধা সেনা? জানা গিয়েছে, যাঁরা ঢুকেছিলেন তাঁরা ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ নামে একটি সংস্থা থেকে এসেছিলেন। ২৫ থেকে ৩০ জনের এই দল বুধবার বিকাল ৪টে ২০ নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। দলের নেতৃত্বে ছিলেন কাজি সাদেক হোসেন নামে জনৈক ব্যক্তি। যাদবপুর থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর ইতিমধ্যে এ বিষয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় সেনার নাম এবং প্রতীক অপব্যবহার করার জন্য মামলা দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩৪ এবং ১৪০ ধারায় এই মামলা রজ্জু করা হয়েছে।

    কী বলছেন সেনার পোশাকে থাকা ওই টিমের লোকজন?

    এক এক সময় এক এক রকমের দাবি করতে দেখা যায় এই টিমের সদস্যদের। কখনও তাঁরা বলেন, এনজিও কখনো বলেন আন্তর্জাতিক সংগঠন। কখনও বলেন, তাঁরা মানবাধিকার কমিশনের সদস্য। আবার একসময় তাঁরা জানান, তাঁরা হচ্ছেন চম্পাহাটির একটি এনজিও-এর কর্মী এবং সংগঠনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তিন মাসের ট্রেনিংয়ের পর নাকি তাঁদের পুলিশের কাজ দেওয়া হবে। তাই তাঁরা এসেছেন(Jadavpur University)। যারা এসেছিলেন তাঁদের মধ্য থেকে কাজি সাদিক হোসেন বলেন, ‘‘আমরা সেনা বা আধা সেনা কেউই নই। আমরা হচ্ছি বিশ্ব শান্তি সেনা।’’ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) তাঁদেরকে কারা ডেকে পাঠিয়েছিল! কেনই বা তাঁরা এলেন! এবং কী কাজ তাঁরা করতে এসেছিলেন! এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর তদন্তের পরেই মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে শুক্রবারও যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) পাঁচ ছয় জন পড়ুয়াকে তলব করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকালও তলব করা হয়েছিল পাঁচজন পড়ুয়াকে। লালবাজারে ডেকে পাঠানো হয়েছিল হস্টেলের রাঁধুনিকেও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • The Rarest Disease: ইঞ্জেকশনের দাম সাড়ে ১৭ কোটি! দুধের শিশুকে বাঁচাতে অকূল পাথারে পরিবার

    The Rarest Disease: ইঞ্জেকশনের দাম সাড়ে ১৭ কোটি! দুধের শিশুকে বাঁচাতে অকূল পাথারে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরলতম রোগে (The Rarest Disease) আক্রান্ত নয় মাসের শিশু। চিকিৎসার খরচ নিয়ে কার্যত দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে এক সেনাকর্মীর পরিবারের। এদিকে একমাত্র ছেলের জীবন বাঁচাতে মরিয়া বাবা ধ্রুব মণ্ডল দ্বারস্থ হয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের। করুণ আর্জি জানিয়েছেন অসহায় মা সঙ্গীতা মণ্ডলও। আর যা নিয়ে প্রায় একমাস ধরে চোখের জলেই দিন কাটছে গোটা পরিবারের। বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুর এলাকার এমন ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন পড়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। দেশের প্রধানমন্ত্রীই এখন শেষ ভরসা, বলছে অসহায় সেনাকর্মীর পরিবার।

    কীভাবে জানা গেল রোগের কথা?

    বালুরঘাট শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় সেনাকর্মী ধ্রুব মণ্ডলের একমাত্র ছেলে সপ্তর্ষি মণ্ডল। জন্মের নয় মাস পরেও শিশুটির মধ্যে সেরকম শিশুসুলভ আচার আচরণ ও শারীরিক নানা বিষয় দেখতে পায় না তার পরিবার। যা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা থেকেই চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বালুরঘাটের এক শিশু বিশেষজ্ঞর শরণাপন্ন হন ওই শিশুর পরিবারের লোকজন। যেখানে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে শিশুর জিনগত সমীক্ষা করান তাঁরা। যেখানেই সামনে আসে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি রোগের (The Rarest Disease) যাবতীয় লক্ষণ। বিরলতম এই রোগের কথা শুনেই আঁতকে ওঠেন ভারতীয় সেনা বিভাগে কর্মরত শিশুর বাবা ধ্রুব মণ্ডল।

    সাড়ে ১৭ কোটির ইঞ্জেকশন ভারতেও অমিল

    সুনিশ্চিত করতে এরপর প্রথমে কলকাতা এবং তারপর দিল্লির এইমসে নিয়ে যাওয়া হয় ছোট্ট সপ্তর্ষিকে। কিন্তু সেখানেও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একই রোগের কথা জানান চিকিৎসকরা। শুধু তাই নয়, দু বছরের মধ্যে এর সঠিক চিকিৎসা না হলে সপ্তর্ষিকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না, এমনটাও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রফি নামের এই মারণ রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই রোগের (The Rarest Disease) জন্য একটিমাত্র ইঞ্জেকশন রয়েছে, যার দাম প্রায় সাড়ে সতেরো কোটি টাকা, যা ভারতে অমিল। শুধুমাত্র বিদেশ থেকে এই ইঞ্জেকশনটি এনেই বাঁচানো সম্ভব ছোট্ট ওই শিশুটিকে। যা জানার পরই কার্যত ভেঙে পড়েছে অসহায় ওই শিশুর পরিবার। কিন্তু কোনওভাবেই যেন হাল ছাড়তে নারাজ সেনাকর্মী ওই শিশুর বাবা ধ্রুব মণ্ডল। ছেলের এই বিরলতম রোগের চিকিৎসার জন্য সকলের কাছে করজোড়ে আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে দ্বারস্থ হয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের।

    কী বলছেন অসহায় মা?

    শিশুর মা সঙ্গীতা মণ্ডল বলেন, বালুরঘাট থেকে দিল্লি, সব জায়গায় একই রিপোর্ট সামনে এসেছে। রোগের সমস্ত উপসর্গও তার শিশুর মধ্যে রয়েছে। কিন্তু কীভাবে ছেলের জীবন ফেরাবেন তা তাঁরা ভাবতেই পারছেন না। এত টাকাও কীভাবে জোগাড় হবে, সেটাও বুঝতে পারছেন না। তবে দেশের প্রধানমন্ত্রী চাইলেই একমাত্র তাঁর শিশুকে বাঁচানো সম্ভবপর হবে। কীভাবে জুটবে এই বিপুল অঙ্কের টাকা? তা ভেবেই যেন ডুকরে কাঁদছেন শিশুর দিদা। একই চিন্তা প্রতিবেশী ও অনান্য আত্মীয়দের মধ্যেও। মাত্র ১৫ মাসের মধ্যে সাড়ে সতেরো কোটি টাকা জোগাড় করে কি আদৌ ছোট্ট সপ্তর্ষির জীবন ফেরাতে পারবে তার পরিবার? এই প্রশ্নই যেন এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বালুরঘাট শহরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jute Cultivation: সরকার পাশে নেই, বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে নদিয়ার পাট চাষিরা

    Jute Cultivation: সরকার পাশে নেই, বৃষ্টির অভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে নদিয়ার পাট চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলায় হাজার হাজার পাট চাষি রয়েছে। মূলত পাট চাষের (Jute Cultivation) উপরই তাঁদের সংসার অনেকটা নির্ভরশীল। তবে এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না থাকায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। চলে গেছে শ্রাবণ মাস, যেভাবে বর্ষা নামার কথা ছিল, তা না হওয়ায় খাঁ খাঁ করছে জলাশয়। শুকিয়ে গেছে পুকুরের জল, খানাখন্দগুলোরও একই অবস্থা। পাট চাষের জন্য বিশেষ প্রয়োজন বৃষ্টির। অন্যান্য সবজি চাষে সে রকম একটা বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না, মেশিনের জল দিয়ে চাষিরা সবজি তৈরি করতে পারেন। কিন্তু বৃষ্টি যে এ বছর পাট চাষে এতটা ক্ষয়ক্ষতি করবে, তা অনেকটাই অজানা ছিল চাষিদের কাছে। সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ার কারণে প্রায় দুমাস দেরি হয় পাট কাটতে। একদিকে দিনমজুরদের রোজের টাকা, অন্যদিকে বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে চাষিদের, শুধুই একটু লাভ খুঁজে পাওয়ার জন্য। কিন্তু সে গুড়ে বালি।

    জমানো টাকাও বেরিয়ে যাচ্ছে (Jute Cultivation)

    নদিয়ার বিভিন্ন গ্রামের পাট চাষিরা জানিয়েছেন, এ বছর পাট চাষে (Jute Cultivation) তো লাভ নেই, উপরন্তু ঘরের জমানো টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে তাঁদের। অনেক চাষি এই পাট চাষের উপর নির্ভর করে সারাটা বছর অন্যান্য সবজি চাষে মন দেন। এছাড়াও বছরে দু’একবার ধান চাষও করেন তাঁরা। কিন্তু পাট চাষ করার আগে বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় লোন নিয়ে তাঁরা শুরু করেন পাট চাষ। পাট পুরোপুরি তৈরি হওয়ার পরে শুরু হয় কাটার পালা। এরপর বিভিন্ন জলাশয়ে পচানো হয় পাট। তারপরে লাভ বের করে ঋণ মিটিয়ে আবারও অন্যান্য চাষে নজর দেন চাষিরা।

    সরকারি সুবিধা (Jute Cultivation) নামেই, মিলছে কই!

    চাষের ক্ষেত্রে সরকারিভাবে বিভিন্ন সুবিধার কথা প্রচারের আলোতে এলেও তাঁদের যে কোনও সুবিধা মেলে না, তা এক প্রকার জানিয়ে দিলেন চাষিরা। স্থানীয় বিডিও দফতর থেকে মাঝেমধ্যে বিভিন্ন বীজ দেওয়া হয় চাষিদের, এখন তাও বন্ধ। তাই নিজেদের চাষের (Jute Cultivation) উপরই নির্ভর করে সারাটা বছর সংসার চলে তাঁদের। যদিও প্রতি বিঘাতে প্রায় দশ হাজার টাকা করে এবার ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছেন চাষিরা। পুকুরের জল পাট পচার কারণে দূষিত হয়, তাই অনেকেই রাজি হন না ব্যবহারের জন্য। কিন্তু এখন আর সেই পুকুর কোথায়? সবই তো ভরাটের খাতায় নাম লিখিয়েছে। অর্থ ব্যয় করে জলাশয়গুলিতে এখন পাট পচানোর একটাই সম্বল চাষিদের। তবে চাষিদের পাশে কেউ নেই বলেই আক্ষেপের সুরে জানান পাট চাষিরা। তাঁদের একটাই দাবি, সরকার যদি একটু নজর দেয়, তাহলে হয়তো বেঁচে যাবে তাঁদের সংসার। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠ মন্দির সংস্কারের পর মা তারা ফিরলেন গর্ভগৃহে, শীঘ্রই বসছে এসি

    Tarapith: তারাপীঠ মন্দির সংস্কারের পর মা তারা ফিরলেন গর্ভগৃহে, শীঘ্রই বসছে এসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দিরের (Tarapith) গর্ভগৃহ সংস্কার ও একাধিক কাজের জন্য চলতি সপ্তাহের গোড়া থেকে বন্ধ ছিল তারাপীঠ মন্দির। মা তারাকেও স্থানান্তরিত করা হয়েছিল অন্যত্র। তবে শুক্রবার ভোরে দেবীকে ফেরানো হল মন্দিরের গর্ভগৃহে। যদিও সংস্কার পরবর্তী তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেওয়ায় জারি হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। এবার থেকে আলতা, নারকেল ইত্যাদি নিয়ে আর গর্ভগৃহে পুজো দেওয়া যাবে না। তাতে দেবীর বেশভূষা ও মন্দিরের দেওয়াল, মেঝে নষ্ট হয়। তাই সংস্কারের পর এসব গর্ভগৃহে নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

    কী কী সংস্কার হল (Tarapith)?

    গত রবিবার তারাপীঠের সেবাইত কমিটি মন্দিরের (Tarapith) গর্ভগৃহ সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। সোমবার থেকেই শুরু হয় কাজ। দেবীকে পাশের ভৈরব মন্দিরে স্থানান্তরিত করে সেখানে চলে পূজার্চনা। এদিকে, গর্ভগৃহের বেদিতে নিত্যপুজোও চলছিল। গর্ভগৃহের মেঝে, দেওয়াল সমস্ত নষ্ট হয়েছে। সেসব ঠিক করা হয়েছে। এছাড়া দেবীর স্নানের জল যেখান দিয়ে বের হয়, সেই নিকাশি নালা পরিষ্কার করা হয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (AC) বসানোর জন্য পাইপলাইন তৈরি হয়েছে। তবে এখনই এসি বসছে না। ১৩ সেপ্টেম্বর, কৌশিকী অমাবস্যার আগে সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানিয়েছে মন্দিরের সেবাইত কমিটি।

    কী জানালেন সেবাইত কমিটির সভাপতি (Tarapith)?

    সেবাইত কমিটির তরফে সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ”এবার থেকে আলতা, নারকেল নিয়ে ভক্তরা গর্ভগৃহে আর ঢুকতে পারবেন না। সিঁদুর নিয়ে গেলেও তা খোলা যাবে না। এসবের জেরে দেবীর বেশভূষার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এছাড়া নারকেল ফাটানোর জেরে মেঝে ও দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এসব এখন থেকে নিষিদ্ধ।” তবে গর্ভগৃহ (Tarapith) শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ভক্তরা এবার থেকে আরামে পুজো দিতে পারবেন বলে জানান সেবাইত কমিটির সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: ছেলেকে টিভির পর্দায় দেখে আনন্দাশ্রু মায়ের, জলপাইগুড়িতে উৎসবের আমেজ

    Chandrayaan 3: ছেলেকে টিভির পর্দায় দেখে আনন্দাশ্রু মায়ের, জলপাইগুড়িতে উৎসবের আমেজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা জানতেন না কিছুই। ফোনে ছেলে বলেছিল, সন্ধ্যায় টিভিতে নজর রেখো। বিকেল থেকেই টিভির সামনে মা। সন্ধ্যায় চাঁদে বিজয়কেতন (Chandrayaan 3) ভারতের। জয়ের স্থপতিদের মধ্যে রয়েছে ছেলেও। টিভিতে ছেলের ছবি দেখে আপ্লুত মা। জলপাইগুড়ির ছেলে কৌশিক নাগের কৃতিত্বের কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে এল মা সোনালি দেবীর।

    জানতেন না অনেকেই (Chandrayaan 3) 

    সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিট। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ ল্যান্ডার বিক্রমের। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবেই চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় ভারতের। জয়ের কারিগরদের তালিকায় নাম জলপাইগুড়ির ছেলের। জানতেন না অনেকেই। টিম ইসরোর সদস্যদের উচ্ছ্বাসের ছবি (Chandrayaan 3) টিভির পর্দায় ফুটে উঠতেই ঘরের ছেলে কৌশিককে চিনতে পেরে হতবাক অনেকেই। তাঁর মাও জানতেন না যে তাঁর ছেলেও রয়েছে স্বপ্নজয়ীদের দলে।

    মাকেও জানাননি ছেলে (Chandrayaan 3) 

    শহর সংলগ্ন এক বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম বিদ্যালয় থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ২০১১ সালে জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন কৌশিক নাগ। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করে ২০১৮ সালে যোগদান দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থায়। এর আগে, ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ এরও সদস্য ছিলেন কৌশিক। সেবার অল্পের জন্য ফস্কেছিল লক্ষ্য। এবার তা হয়নি। তবে এবার এই প্রজেক্টে থাকার কথা মাকেও আগেভাগে জানাননি ছেলে। মা জেনেছেন সকালে। টিভির স্ক্রিনে ইসরোর বিজ্ঞানীদের উচ্ছ্বাসের ছবিতে গোলাপি শার্ট পরা বছর একত্রিশের কৌশিক নাগকে চিনতে অবশ্য অসুবিধা হয়নি সহপাঠী, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের। মুহূর্তে সেই ছবি (Chandrayaan 3) ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শহরের বর্ধিত মোহন্ত পাড়ায় কৌশিকের বাড়িতেও পৌঁছে যায় শুভেচ্ছাবার্তা।

    দেশের জন্য গর্ববোধ হচ্ছে, বললেন মা 

    কৌশিকের মা সোনালি দেবী বলেন, বিকেল পাঁচটা থেকে টিভি খুলে বসে আছি। সন্ধ্যায় চন্দ্রযান ছুঁল চাঁদের মাটি। ছেলেকে টিভির পর্দায় দেখে আনন্দাশ্রু মায়ের। জানালেন, দেশের জন্য গর্ববোধ হচ্ছে। এই কর্মযজ্ঞে (Chandrayaan 3) আমার ছেলেরও অবদান রয়েছে, এটা ভেবে আরও ভালো লাগছে। এদিকে স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও সহপাঠীরাও কৌশিকের কৃতিত্বে খুশি। বুধবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তরফে কৌশিক নাগের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে অভিনন্দন জানানো হয়। পাশাপাশি কৌশিকের আগামীর জন্য শুভেচ্ছা জানান তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share