Tag: Bengali news

Bengali news

  • Success Story: রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কঠোর পরিশ্রমে আজ খ্যাতির শিখরে! কে এই হস্তশিল্পী?

    Success Story: রাজস্থানের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে কঠোর পরিশ্রমে আজ খ্যাতির শিখরে! কে এই হস্তশিল্পী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের কর্মই তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ করে। ভালো কর্ম যে কোনও মানুষের ভবিষ্যৎ বদলে দিতে সক্ষম। আজকের প্রতিবেদন তেমনই একজনকে নিয়ে, যিনি তাঁর কর্ম প্রতিভায় নিজেকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন, তিনি রুমা দেবী (Success Story)।

    কে এই রুমা দেবী?

    রুমা দেবী রাজস্থানের বারমের জেলার একজন বাসিন্দা। রাজস্থান হস্তশিল্প যেমন শাড়ি, বিছানার চাদর, কুর্তা এবং অন্যান্য পোশাক তৈরিতে উন্নত এক রাজ্য। দেশ-বিদেশের সমস্ত জায়গায় রাজস্থান আজ তার হস্তশিল্পের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছে। এই রাজস্থানী হস্তশিল্পের একজন কারিগর তথা শিল্পী হলেন রুমা দেবী। তাঁর নিজস্ব একটি গ্রুপ আছে যারা বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত বারমের, জেলমের এবং বিকানের জেলার প্রায় ৭৫টি গ্রামের ২২ হাজার মহিলাকে কর্মসংস্থান প্রদান করছে (Success Story) এবং তাঁদের শিল্প সিঙ্গাপুর, জার্মানি এবং কলম্বোর ফ্যাশন উইকেও প্রদর্শিত হয়েছে।

    সাফল্যের রাস্তা মোটেও সহজ ছিল না (Success Story)

    বর্তমানে অনেক মহিলাই তাঁদের নিজস্ব শিল্পীসত্তা এবং কাজের নিরিখে দেশ-বিদেশ জুড়ে অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। কিন্তু আর কয়েকজন সাধারণ মানুষের মতো রুমা দেবীর সফলতার রাস্তা (Success Story) কখনও সহজ ছিল না। এর পিছনে আছে এক কঠিন জীবন সংগ্রামের কাহিনি। ১৯৮৮ সালের নভেম্বরে রাজস্থানের বারমের জেলার রাতওয়াসার গ্রামে পিতা খেতারাম এবং মাতা ইমরাতি দেবীর ঘরে জন্মগ্রহণ করেন রুমা দেবী। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই মাকে হারান তিনি। তার পর তাঁর পিতা আবার একটি বিয়েও করেন। রুমা বেড়ে ওঠেন তাঁর ৭ বোন ও এক ভাইয়ের সাথে। রুমাদেবী তাঁর মামার কাছে বড় হন। সেই গ্রামেরই একটি সরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। রাজস্থানে পানীয় জলের খুব সমস্যা থাকায় রুমা দেবী ১০ কিলোমিটার দূর থেকে গরুর গাড়িতে বসে পানীয় জল নিয়ে আসতেন। এরপর মাত্র ১৭ বছর বয়সে তাঁর বিবাহ হয় বারমের জেলার মঙ্গল বেরি গ্রামের বাসিন্দা টিকুরামের সাথে।

    কীভাবে তিনি সফলতা (Success Story) অর্জন করেন?

    ১৯৯৮ সালে গ্রামীণ বিকাশ এবং চেতনা সংস্থা তৈরি হয়েছিল। এই এনজিওর লক্ষ্য ছিল গ্রামের হস্তশিল্পগুলির মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর করা। ২০০৮ সালে রুমা দেবী এই এনজিওর সাথে যুক্ত হন। এরপর শুরু হয় তাঁর কঠোর পরিশ্রম। নতুন নতুন ডিজাইন এবং আরও নানা হস্তশিল্পের এক খ্যাতনামা শিল্পী হিসেবে রুমা দেবী নাম অর্জন করেন। এর পর তাঁকে সেই এনজিওর চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়। বর্তমানে সেই এনজিওর সঙ্গে প্রায় ২২ হাজার মহিলা যুক্ত৷ এইসব নারীরা ঘরে বসেই তাঁদের হস্তশিল্প তৈরি করেন। রুমা দেবী তাঁদের হস্তশিল্প তৈরি করা পণ্য বিক্রি থেকে শুরু করে সব রকম সহায়তা করে থাকেন। সেইসব নারীদের ব্যবসার বার্ষিক টার্নওভার প্রায় কোটি  টাকা (Success Story)।

    রুমা দেবীর অর্জিত সম্মান (Success Story)

    রুমা দেবী ভারতের মহিলাদের জন্য সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘নারী শক্তি পুরস্কার ২০১৮’ তে পুরস্কৃত হন। এমনকি রুমা দেবীকে ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি আমেরিকায় অনুষ্ঠিত দুই দিনের হাওয়ার্ড ইন্ডিয়া সম্মেলনেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেখান থেকে হাওওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুদের হস্তশিল্পের পণ্য তৈরি শেখানোর সুযোগ পান। সেখানে পাশাপাশি তাঁর পণ্য প্রদর্শনেরও সুযোগ  পেয়েছিলেন। রুমা দেবী সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করে থাকেন। তাঁর বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারের সংখ্যা কয়েক লাখ। ফেসবুকে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার মানুষ। ট্যুইটারে তাঁকে অনুসরণ করেন ৬ হাজার ৫০০ মানুষ। 
    সম্প্রতি রুমা দেবী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একসাথে তাঁর কুঁড়েঘরে থাকার ছবি এবং তার ইউরোপ ভ্রমণের ছবি প্রকাশ করেছেন। ২০১৫-১৬ সালে অনুষ্ঠিত জার্মানির বৃহত্তম বাণিজ্য মেলা, যেখানে অংশগ্রহণের জন্য ফি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা, সেখানে রুমা দেবী ও তাঁর গ্রুপকে বিনামূল্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল (Success Story)।

    রুমা দেবীকে নিয়ে লেখা হয় একটি বইও

    সম্প্রতি নিধি জৈন নামক এক লেখিকা ‘হাউসলে কা হুনার’ নামক একটি বই প্রকাশ করেন, যা রুমা দেবীকে নিয়ে লেখা। বইটিতে রুমা দেবীর সংগ্রাম এবং তাঁর সাফল্যের পুরো কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। কীভাবে তিনি একটি গ্রাম থেকে উঠে এসে বিদেশেও তাঁর শিল্পকে তুলে ধরেছেন এবং বিদেশে পৌঁছে হাজার হাজার নারীকে স্বাবলম্বী করেছেন (Success Story), তার উল্লেখ এই বইতে আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cricket World Cup 2023: বিশ্বকাপের টিকিট কবে থেকে, কীভাবে মিলবে? আইসিসি জানালো সমস্ত খুঁটিনাটি

    Cricket World Cup 2023: বিশ্বকাপের টিকিট কবে থেকে, কীভাবে মিলবে? আইসিসি জানালো সমস্ত খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরে ভারতে বসতে চলেছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর (Cricket World Cup 2023)। এবার সেই ইভেন্টের টিকিট কোথায় মিলবে তা জানিয়ে দিল আইসিসি। জানা গিয়েছে, ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কেনা যাবে এবং ‘বুক মাই শো’ ওয়েবসাইট থেকে সব ম্যাচের (Cricket World Cup 2023) টিকিট মিলবে। প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে www.cricketworldcup.com/register এই ওয়েবসাইটে। যে কোনও ম্যাচের টিকিট মিলবে রাত আটটা থেকে। জানা গিয়েছে, মোট ৫৮টি ম্যাচ হতে চলেছে চলতি বছরের বিশ্বকাপে (Cricket World Cup 2023)। খেলা হবে দেশের ১২টি স্টেডিয়ামে। অনলাইনে টিকিট কেটে খেলা দেখতে আগ্রহী দর্শকরা আগেভাগে বিশ্বকাপের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের নাম রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট কেনা হলেও ছাপা টিকিট সংগ্রহ করেই মাঠে ঢুকতে  হবে।

    একসঙ্গে সব ম্যাচের টিকিট ছাড়া হবে না

    জানা গিয়েছে, সমর্থকদের (Cricket World Cup 2023) সুবিধা অনুযায়ী, সব ম্যাচের টিকিট একসঙ্গে ছাড়া হবে না। এতে কী হয়, প্রচুর লোক একসঙ্গে টিকিট বুকিং শুরু করতে থাকে। এর ফলে ওয়েবসাইটে বিকল হয়ে যেতে পারে। ধাপে ধাপে দুটি বা তিনটি করে ম্যাচের টিকিট ছাড়া হবে এবং সবশেষে ছাড়া হবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের (Cricket World Cup 2023) টিকিট। হাইভোল্টেজ ভারত-পাক ম্যাচের টিকিট নিয়ে ব্যাপক চাহিদা থাকবে।

    কোন দিন কোন ম্যাচের টিকিট মিলবে? 

    আইসিসি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের (Cricket World Cup 2023) যে ম্যাচগুলি রয়েছে তার টিকিট বিক্রি হবে ৩১ অগাস্ট থেকে। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে (Cricket World Cup 2023)। দক্ষিণ আফ্রিকার নেদারল্যান্ড ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ২ সেপ্টেম্বর থেকে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট পাওয়া যাবে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। ফাইনাল এবং সেমিফাইনালের টিকিট মিলবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। আইসিসি প্রথমেই জানিয়েছে যে অনলাইন টিকিটে (Cricket World Cup 2023) মাঠে ঢোকা যাবে না। অফলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। অফলাইনে বড় লাইন দেওয়ার অসুবিধায় যাঁরা পড়তে চান না তাঁরা বাড়িতে বসেই টিকিট পেয়ে যাবেন। কীভাবে পাবেন? এক্ষেত্রে আইসিসি বলছে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে ১৪০ টাকা। তাহলেই কুরিয়ারের মাধ্যমে টিকিট বাড়িতে পৌঁছে যাবে। তবে এক্ষেত্রে যে ম্যাচ আপনি দেখতে চাইবেন তার ৭২ ঘণ্টা আগে টিকিট কাটতে হবে। এই সুবিধা শুধুমাত্র ভারতে বসবাসরত দর্শকদের (Cricket World Cup 2023) ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদের মাটির ছবি তোলা, প্রজ্ঞানের দিকনির্ণয় করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত, গর্বিত পরিবার

    Chandrayaan 3: চাঁদের মাটির ছবি তোলা, প্রজ্ঞানের দিকনির্ণয় করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত, গর্বিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসরোর বানানো চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) অরবিটার নেই। শুধু ল্যান্ডার বিক্রম আর রোভার প্রজ্ঞান নিয়েই চাঁদ জয় করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এবারের রোভার অনেক বেশি উন্নত। রোভারের চারদিকেই সোলার প্যানেল লাগানো। সেই সঙ্গেই রোভার প্রজ্ঞানে আছে হাই-রেজলিউশন ক্যামেরা। প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা যে টিম তৈরি করেছে তার অন্যতম সদস্য উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা। বুধবার ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশনেও দেখা গিয়েছিল জয়ন্তকে। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখতে উচ্ছাসে ফেটে পড়তে দেখা গিয়েছিল বাংলার এই সন্তানকে।

    ‘চন্দ্রযান-৩’র সাফল্যে খুশি বিজ্ঞানী জয়ন্ত লাহার মা, কী বললেন? (Chandrayaan-3)

    উত্তরপাড়ার সরকারি হাইস্কুলে পড়াশোনা জয়ন্তর। ছোট থেকেই মেধাবী। শিবপুর বি ই কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে খড়্গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন জয়ন্ত। তারপর ২০০৯ সালে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) মিশনের অন্যতম সদস্য জয়ন্ত লাহা। তাঁর সাফল্যে এখন গোটা উত্তরপাড়ায় উৎসবের মেজাজ। জয়ন্তের বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা জানিয়ে যাচ্ছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। বাংলার বিজ্ঞানী জয়ন্তবাবুর বানানো নেভিগেশন ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটি দেখবে, ছবি তুলবে চন্দ্রযানের রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে কাজ শুরু করার পরেই সক্রিয় হবে প্রজ্ঞানের নেভিগেশন ক্যামেরা। এই ক্যামেরা দিয়েই চাঁদের মাটির ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাবে প্রজ্ঞান। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখতে আনন্দে মেতে ওঠেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। টিভির পর্দায় বিজ্ঞানীদের ভিড়ে ছেলেকে দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন গর্বিত বাবা-মা। জয়ন্তবাবুর মা চন্দনা লাহা বলেন, ছেলের ছোটবেলায় পোলিও হয়েছিল। কথা বলত না। অসুস্থ ছিল। আমরাও ওকে নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তবে, খুব পড়তে ভালবাসত। পড়াশুনাতেও ভাল ছিল। ছেলে আরও বড় হোক এই আশীর্বাদ করি।

    চাঁদের মাটিতে প্রজ্ঞানের ছবি তোলা, দিকনির্ণয়ের কাজটা পরিচালনা করবেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা ও তাঁর টিম

    চাঁদের মাটিতে এখনও কাজ শুরু করেনি প্রজ্ঞান। অবতরণ স্থলের চারপাশ ভাল করে পরীক্ষা করার পরেই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) তার কাজ শুরু হবে। ইসরোর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে প্রজ্ঞানকে পরিচালনা করবেন বিজ্ঞানীরা। রোভারের চাকা গড়ালেই অ্যাকটিভ হবে নেভিগেশন ক্যামেরা। চাঁদের মাটির ছবি তোলা, দিকনির্ণয় করে এগিয়ে যাওয়ার কাজ করবে নেভিগেশন টুল। প্রজ্ঞানের এই কাজটা পরিচালনা করবেন জয়ন্ত লাহা ও তাঁর টিম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Diseases: বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সমস্যা! কারা আক্রান্ত হচ্ছে?

    Monsoon Diseases: বর্ষার মরশুমে বাড়ছে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ সমস্যা! কারা আক্রান্ত হচ্ছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শীতের শুরু কিংবা শেষে হ্যান্ড-ফুট-মাউথ রোগে (Monsoon Diseases) ভোগে অসংখ্য শিশু। কিন্তু এ বছর বর্ষার মরশুমেও দেখা দিয়েছে এই ভাইরাসঘটিত রোগের দাপট। ভোগান্তি বাড়ছে শিশুদের। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্কতা ও সচেতনতা জরুরি। না হলে, এই সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বাড়তে থাকবে। বাড়বে ভোগান্তি।

    হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) এক ধরনের ভাইরাসঘটিত রোগ। কক্সেকি ভাইরাসের জেরে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। বিশেষত শিশুদের মধ্যেই এই রোগ দেখা যায়। দু-তিন বছর থেকে দশ বছরের শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

    হ্যান্ড-ফুট-মাউথ (Monsoon Diseases) রোগের উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগের (Monsoon Diseases) উপসর্গ স্পষ্ট। তাই দ্রুত রোগ নির্ণয় সম্ভব। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই রোগে অধিকাংশ আক্রান্ত হয় শিশুরা। এই ভাইরাসের সংক্রমণের জেরে জ্বর হয়। তার সঙ্গে হয় সর্দি-কাশি। পাশপাশি, হাত, পা এবং মুখে লাল রঙের গুটি হয়। গুটিগুলোর ভিতরে এক ধরনের রস থাকে, যা রোগ সংক্রমণ বাড়ায়। তাছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। মুখ থেকে লালা ফেলার মতো উপসর্গ হয়।

    কেন বর্ষায় এই রোগের (Monsoon Diseases) প্রকোপ বাড়ছে? 

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শীতের সময়ই এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। কিন্তু এ বছর বর্ষাতেও এই রোগ দেখা দিচ্ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুদের হাঁচি-কাশি-সর্দি হয়। আর এর জেরেই সক্রিয় হচ্ছে কক্সেকি ভাইরাস। একজনের দেহ থেকে সহজেই আরেকজনের দেহে বাসা বাঁধছে। তাছাড়া পেটের সমস্যা হলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। বর্ষায় পরিশ্রুত জলের অভাবে বাড়ছে পেটের সমস্যা। তাই শিশুদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। যেহেতু এই রোগের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি, তাই এই রোগ (Monsoon Diseases) দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

    কীভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে সবচেয়ে বেশি নজরদারি জরুরি। শিশুদের খেলনা অনেক সময়ই ঘরে পড়ে থাকে। তাই বাড়ির মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে। পায়খানা করার পরে ভালোভাবে শিশুকে পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া, হাঁচি-কাশি-সর্দি হলে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। এতে সংক্রমণের (Monsoon Diseases) আশঙ্কা কমবে।

    কোন দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগ (Monsoon Diseases) থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। চিকিৎসা শুরুর দিন সাতেকের মধ্যে আক্রান্ত সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে, চিকিৎসা চলাকালীন আক্রান্তের খাবারের উপর বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, এই রোগে আক্রান্ত হলে ভাইরাসের দাপটে শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। ফলে, শিশুদের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সহজপাচ্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে, যাতে দ্রুত ক্লান্তি দূর হয়। তবে, এই রোগে যেহেতু পেটের সমস্যা হয়, তাই যাতে সহজেই হজম হয়ে যায়, এমন খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Shah Rukh Khan: আসছে কিং খানের ‘জওয়ান’, হু হু করে বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিট!

    Shah Rukh Khan: আসছে কিং খানের ‘জওয়ান’, হু হু করে বিক্রি হচ্ছে অগ্রিম টিকিট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শুরুতেই কিং খান (Shah Rukh Khan) তাঁর ‘পাঠান’ দিয়ে বক্স অফিস মাতিয়ে রেখেছিলেন। ভারত থেকে বিদেশ, ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পাঠান। এবার পাঠান ঝড়ের পর আসতে চলেছে শাহরুখ খান অভিনীত ‘জওয়ান’। আবার একটি অ্যাকশন ও বিনোদনমূলক ছবি নিয়ে ফিরে আসছেন তিনি। ছবির অফিসিয়াল পোস্টার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শাহরুখ ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। এখানে নাকি সম্পূর্ণ নতুন রূপে শাহরুখকে দেখা যাবে। গত ১০ জুলাই ছবির প্রিভিউ মুক্তি পাওয়ার পর ভক্তদের মধ্যে সেই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে মুক্তি পেতে চলছে ‘জওয়ান’। ভক্তরা এখন থেকে দিন গুনতে শুরু করে দিয়েছেন। হাতে মাত্র দুই সপ্তাহ, তার পরেই আবার ঝড় তুলবেন বাদশা কিং খান। ইতিমধ্যেই আরব আমিরশাহি থেকে শুরু করে আমেরিকাতে টিকিটের অগ্রিম বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। মুক্তির আগেই চরম সাড়া জাগিয়েছে এই ছবি।

    কোথায় কোথায় এবং কতগুলি প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে ‘জওয়ান’ (Shah Rukh Khan)?

    বছরের শুরুতেই ‘পাঠান’ মুক্তি পাওয়ার পর তা দারুণ সাফল্য লাভ করে ভারত থেকে শুরু করে সুদূর বিদেশেও। আমেরিকাতেও একটি এই ধরনের ভারতীয় ছবি নিয়ে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রবাসী ভারতীয়রা সেখানে তো ছিলেনই, সঙ্গে বিদেশিদের মধ্যেও উন্মাদনা কম ছিল না। এবার আগের বারের মতোই ‘জওয়ান’ ছবিটিও মুক্তি পাবে বিদেশের বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে। আমেরিকার মোট ৩৬৭ টি জায়গায় ১৬০০ স্ক্রিনে মুক্তি পাবে এই ছবিটি। তাছাড়াও ভারতের প্রায় সব সিনেমা হলেই মুক্তি পাবে এই ছবিটি (Shah Rukh Khan)। ইতিমধ্যে ৯৭০০ রও বেশি টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গিয়েছে। যার থেকে মোট আয় এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে মুক্তি পাওয়ার আগে পর্যন্ত মোট ৩ কোটি টাকারও বেশি অগ্রিম বুকিং হতে পারে।

    ছবির (Shah Rukh Khan) প্রচারে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নির্মাতারা?

    ‘জওয়ান’ মুক্তির আগেই ‘পাঠান’ এর যেভাবে সাফল্য এসেছিল, সেই মন্ত্রেই বিশ্বাস রাখছেন বাদশা। পাঠান মুক্তির আগে কোনও রকম প্রচার মূলক অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি শাহরুখকে। শুধু মাত্র সোশ্যাল মিডিয়া এবং পোস্টারের মাধ্যমেই প্রচার চালিয়েছিলেন। ঠিক এবারও একই পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতারা। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অ্যাটলি কুমার, এটি তাঁর প্রথম হিন্দি ছবি। মুখ্য চরিত্রে শাহরুখ (Shah Rukh Khan) ছাড়াও দেখা যাবে বিজয় সেথুপতি ও নয়নথারাকে। ছবি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পাঁশকুড়ার পীযূষ, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    Chandrayaan 3: চন্দ্রযান-৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পাঁশকুড়ার পীযূষ, উচ্ছ্বসিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান -৩ (Chandrayaan 3) এর সাফল্যের নেপথ্যে এবার নাম জুড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার। মূলত, চন্দ্রযান ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল পাঁশকুড়ার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর কাটাল গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ পট্টনায়েকের হাতে। প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা পীযূষের বাবা পেশায় ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেচ দফতরের কর্মচারী, মা গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকেই যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠেন তিনি। চন্দ্রযান -৩ এর সাফল্যে খুশি সকলেই।

    চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য নিয়ে কী বললেন বিজ্ঞানী পীষূষ পট্টনায়েক? (Chandrayaan 3)

    পীষূষের হাতে খড়ি হয় গ্ৰামেরই একটি স্কুলে। ছোটবেলা থেকেই শান্ত ও মেধাবী। ২০০৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন পাঁশকুড়া ব্রাটলি বাট হাইস্কুল থেকে। এরপর, কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি টেক পাশ করেন। ২০১৩ সালে খড়্গপুর আইআইটি থেকে এম টেক পাশ করে যোগ দেন ইসরোতে। চন্দ্রযান ২ ও ৩ এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে। পীযূষ বলেন, চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হতেই সাময়িক মুষড়ে পড়েছিলাম। তারপর এই ব্যর্থতাকে রসদ করে নতুন করে পুরোদমে নেমে পড়়েছিলাম। চার বছর ধরে আমাদের সকলের পরিশ্রম এই সাফল্য এনে দিয়েছে। আমার মূলত চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব ছিল। মহাকাশে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তাপমাত্রা হয়ে থাকে। যন্ত্রপাতির কাজের জন্য প্রয়োজন সঠিক তাপমাত্রার। সেই বিষয়টি আমাদের টিমের দায়িত্ব ছিল। অবশেষে সাফল্য আসায় খুবই আনন্দ লাগছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) বুধবার চাঁদের মাটিতে অবতরণ করায় খুশির আমেজ নেমে এসেছে উত্তর কোটালের পীযূষকান্তি পট্টনায়েকের গ্রামের বাড়িতে। পীযূষের সফলতায় খুশি পরিবার, প্রতিবেশী সহ এলাকাবাসী। পীযূষের দাদা প্রদ্যুৎ পট্টনায়েক বলেন, ভাইয়ের সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থতার পর নতুন করে ওরা চেষ্টা চালিয়েছিল। বুধবার চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩ পা রাখতে গর্বে মন ভরে যায়। এমনিতেই দেশবাসী হিসেবে আমাদের গর্ব হচ্ছে। পাশাপাশি আমার ভাই এই অভিযানের অন্যতম শরিক জেনে খুবই ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দাদার খাটের নিচেই কয়েকশো কোটি! মমতার পুজো-অনুদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

    Durga Puja 2023: দাদার খাটের নিচেই কয়েকশো কোটি! মমতার পুজো-অনুদান নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে মাত্র আর দু’ মাসও নেই। তার পরই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো (Durga Puja 2023)। আর তারই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে, শুরু হয়েছে মণ্ডপ নির্মাণ, প্রতিমা তৈরি। আর এই সবের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পশ্চিমবঙ্গের পুজো কমিটিগুলির জন্য অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করার কথা ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, গোটা পুজো জুড়ে যা বিদ্যুৎ খরচ হবে কমিটিগুলির, তার এক-চতুর্থাংশ বিল মেটালেই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর খুশির মেজাজে দুর্গাপুজো কমিটিগুলি। কিন্তু ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাঁদের প্রশ্ন, ভাঁড়ে মা ভবানীর দশা যেখানে, সেখানে এই বাহুল্য কি না দেখালেই নয়? এর আগেও এই অনুদানের ওপর ভিত্তি করে সরকারের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দল সহ বুদ্ধিজীবীদের একাংশ। আর এবারও রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষে বিঁধলেন নামজাদা বাংলা পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

    কে এই কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়?

    কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় একজন বাঙালি সিনেমা পরিচালক এবং বিজ্ঞাপন নির্মাতা। তাছাড়া তিনি পড়াশোনা সূত্রে একজন চিকিৎসক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অন্য পেশায় নিযুক্ত হন। এখনও পর্যন্ত তিনি ৬ টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার মধ্যে, ‘চাঁদের পাহাড়’, ‘উড়ো চিঠি’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘ককপিট’, ‘আমাজন অভিযান’, ‘ক্ষত’ অন্যতম।

    কী লিখেছেন তিনি এই অনুদানের (Durga Puja 2023) বিরুদ্ধে?

    এই অনুদান দেওয়ার খবর প্রকাশ হতে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় তাঁর নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “এই ৭০০০০ টাকাতে দুঃস্থ সরকারি স্কুলে কিছু বই বিতরণ করা যেত। সব বড় ক্লাবের পুজোর (Durga Puja 2023) বাজেট লক্ষ বা কোটিতে হয়। আর পুজোর দাদার খাটের নীচেই কয়েকশো কোটি থাকে।’ কারও নাম উল্লেখ না করলেও তিনি কাকে লক্ষ্য করে কথাটি বলেছেন তা আর কারও বুঝতে অসুবিধা হয়নি। এই পোস্টের মাধ্যমে তিনি চরম কটাক্ষ করেছেন সরকার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    অনুদান নেবে না সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার (Durga Puja 2023)

    মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর যেমন খুশির হাওয়া অনেক পুজো কমিটির মধ্যে, ঠিক অপরদিকে এই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষের সুর তুলেছেন বিরোধী পক্ষরা। প্রসঙ্গত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটি এই অনুদান (Durga Puja 2023) নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এই ক্লাবের সদস্য হলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে অনেকেরই বক্তব্য এই বিপুল পরিমাণ টাকা অন্য কোন খাতেও খরচ করা যেতেই পারত। অনুদান হিসেবে এত টাকা দেওয়াটাকে যুক্তিহীন ব্যাপার হিসাবেই দেখেছেন অনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: বিজ্ঞানী ছেলের সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত মা, কী বললেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী?

    Chandrayaan 3: বিজ্ঞানী ছেলের সঙ্গে কথা বলে আপ্লুত মা, কী বললেন ইসলামপুরের অনুজ নন্দী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার সাফল্যে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দারা একটু বেশি উচ্ছ্বসিত। কারণ, চন্দ্রযান-৩ এর ক্যামেরার ডিজাইন করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা বিজ্ঞানী অনুজ নন্দী। অনুজ নন্দীর ক্যামেরার তোলা ছবি দেখল গোটা বিশ্ব। অনুজের এই সাফল্যে গর্বিত গোটা ইসলামপুর তথা জেলাবাসী।

    চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর ছেলের সঙ্গে কী কথা হল মায়ের? (Chandrayaan 3)

    বুধবার চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটিতে পা রাখার আগে কোথাও দেখা গিয়েছে মানুষ প্রার্থণা করছেন, কোথাও বা হয়েছে হোম-যজ্ঞ। আবার কোথাও দেখা গেছে মানুষ টিভির পর্দায় নজর রেখেছেন। তবে, চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যের সাথে চাঁদে অবতরণ দেখতে সকাল থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন অনুজের পরিবারও। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যকে সরাসরি দেখে এবং এই সাফল্যের পিছনে যারা রয়েছেন তাদের একজন যে তাঁদের পরিবারের ছেলে তা ভেবেই আনন্দাশ্রু গোটা নন্দী পরিবারের চোখে। চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে পা রাখার পর শুধু অনুজের পরিবারই নয়, পাড়া-প্রতিবেশী থেকে শুরু করে গোটা ইসলামপুরবাসীর কাছেই এটা গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসরোর বিজ্ঞানী অনুজ নন্দীর মা শোভারানি নন্দী বলেন,’অনেকদিন পর ছেলের সঙ্গে কথা হল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। সৌজন্য বিনিময়ের পরই চন্দ্রযান-৩ নিয়ে কথা হল। চাঁদের মাটিতে পা রাখল চন্দ্রযান। আর এই সাফল্য তার কথাতে বার বার ফুটে উঠছিল।’

    প্রতিবেশীদের কী বক্তব্য?

    পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলামপুর হাইস্কুলে পড়াশুনা শেষ করার পর রায়গঞ্জ কলেজে বিজ্ঞান নিয়ে স্নাতক হন অনুজ। এরপরই আর পিছনে তাকাতে হয়নি তাঁকে। বেঙ্গালুরুর ইসরোতে গত আট বছর ধরে কাজ করছেন এই বাঙালি বিজ্ঞানী। সঞ্জয় দত্ত নামে এক প্রতিবেশী  বলেন, ‘এটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অনুজ নন্দী একজন সাধারণ ঘরের ছেলে হয়ে আজ এমন একটা জায়গায় পৌঁছেছে, যা কিনা গোটা ইসলামপুর তথা পশ্চিমবঙ্গের নাম গোটা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছে। আমরা খুবই আনন্দিত।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়ল পড়ুয়ারা

    Malda: মালদায় স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির গড়ল পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে ড্রাগন ফ্রুটের চাষ করে সেই ফল খাচ্ছে স্কুলের খুদেরাই। নিজেদের হাতে চাষ করে ফসল ফলানোর অনুভূতি পেয়ে খুশি প্রত্যেকে। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ফাঁকা সময়ে নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছে তারা। পড়ুয়াদের সাহায্য করছেন স্কুলের শিক্ষকঁরশিক্ষিকারা। ড্রাগন চাষের পদ্ধতি থেকে পরিচর্যার সমস্ত কিছু শিক্ষ-শিক্ষিকারাই পড়ুয়াদের শেখাচ্ছেন। এতে একদিকে খুদে স্কুল পড়ুয়ারা ড্রাগন ফ্রুটের চাষের পদ্ধতি শিখতে পারছে, পাশাপাশি তারা বাড়িতে গিয়েও এই চাষ করতে পারবে। মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর হাইস্কুলের পড়ুয়ারা স্কুল ভবনের ছাদে ড্রাগন ফ্রুটের বাগান তৈরি করে বিশেষ নজির তৈরি করেছে।

    ড্রাগন ফ্রুটের বাগান নিয়ে পড়ুয়াদের কী বক্তব্য? (Malda)

    মালদার (Malda) ইংরেজবাজার ব্লকের শোভানগর গ্রামে রয়েছে এই হাই স্কুল। এই স্কুলের পরিবেশ আর পাঁচটা স্কুলের থেকে একটু অন্যরকম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য পার্শ্ব শিক্ষকদের সহযোগিতায় স্কুল ক্যাম্পাস এক অন্য মাত্রা পেয়েছে। এবার স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের ফল চাষের প্রশিক্ষণ দিয়ে নজির সৃষ্টি করা হয়েছে। পড়ুয়াদের হাতে বেশ কিছু ড্রাগন ফলের গাছ লাগানো হয়েছিল স্কুল ভবনের ছাদে। নিয়মিত সেই ড্রাগন চারাগুলির পরিচর্যা করে এসেছে পড়ুয়ারা। প্রায় দেড় বছর ধরে গাছের পরিচর্যা করার পর এই মরশুমে ফল এসেছে গাছে। ফল আসতেই ব্যাপক উদ্দীপনা পড়ুয়াদের মধ্যে। পড়ুয়াদের বক্তব্য, নিজের হাতে আমরা ড্রাগন ফলের বাগান তৈরি করেছি। আর সেই ফল খেতে পেয়ে প্রত্যেকেই আমরা খুশি। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রাগন ফ্রুট চাষ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। তাই, স্কুল কর্তৃপক্ষ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়াতে এমন পরিকল্পনা নিয়েছিল। স্কুলের পড়ুয়ারা এই ড্রাগন বাগান তৈরি করলে আশেপাশের বাসিন্দারাও তা জানতে পারবেন। এমনকী পড়ুয়ারা গাছের চারা লাগানো থেকে শুরু করে পরিচর্যা সমস্ত কিছু শিখে পরিবারের লোকেদেরও শেখাতে পারবে। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই স্কুলের এমন উদ্যোগ। তা ইতিমধ্যে সাফল্য লাভ করেছে। দেড় বছরের মধ্যে ড্রাগন ফ্রুট পাওয়ার কারণে একদিকে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা খুশি, পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও উৎসাহ তৈরি হয়েছে, এই ফলের চাষ নিয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে ভারতের চন্দ্রাভিযান, অভিনন্দন বিশ্ব নেতাদের

    Chandrayaan 3: আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে ভারতের চন্দ্রাভিযান, অভিনন্দন বিশ্ব নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৪০ দিনের যাত্রা শেষে বুধবারই চাঁদের দেশে পৌঁছেছে ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে অবতরণের এই কৃতিত্ব অর্জন করল ভারত। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ০৪ মিনিটে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। তারপরেই দেশজুড়ে শুরু হয় উদযাপন। চারিদিকে উৎসবের মেজাজ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর অবতরণ দেখেন প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণও দেন। ভারতের এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনামে স্থান পেল ভারতের চন্দ্র অভিযান।

    অভিনন্দন জানিয়েছে নাসা

    নাসার মুখ্য প্রশাসক বিল নেলসন ভারতের এই সফল অভিযানে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে বিল নেলসন লেখেন, ‘‘ভারতকে অভিনন্দন চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে (Chandrayaan 3) অবতরণের জন্য।’’

    শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি

    ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল জোসেফ অ্যাশবাচার ট্যুইট করে লেখেন, ‘‘অভিনন্দন ইসরো (Chandrayaan 3)! সমস্ত ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা। আমি অভিভূত।’’

    ব্রিটেনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর অনু ওঝা অভিনন্দন জানিয়েছেন। এদিন ট্যুইটে লেখেন, ‘‘অভিনন্দন ভারত! দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের জন্য (Chandrayaan 3)।’’

    বিশ্বের নেতাদের অভিনন্দন বার্তা

    নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল চন্দ্র মিশনের সাফল্যের জন্য ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এদিন, নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে পুষ্প কমল দহল লেখেন, ‘‘চন্দ্র মিশনের (Chandrayaan 3) সাফল্যে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী মোদিজিকে এবং ইসরোর টিমকে।’’ অভিনন্দন জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা। তিনি বলেন, ‘‘ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশ হিসাবে ভারতের এই সাফল্যে খুশি আমি।’’ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মালদ্বীপের বিদেশ মন্ত্রী আবদুল্লা শাহিদ।

    বিশ্বের জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থাগুলির খবরে ভারতের চন্দ্রাভিযান

    আমেরিকার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এ চন্দ্র অভিযানের খবর শিরোনামে স্থান পেয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে চন্দ্রপৃষ্ঠে (Chandrayaan 3) ভারতের সফল অভিযান নতুন অনেক দিক উন্মোচন করল। আমেরিকার অপর এক জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থা ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’’-এও ঠাঁই পেয়েছে ভারতের চন্দ্র অভিযান এবং সেখানকার শিরোনাম হল, ‘‘চন্দ্রপৃষ্ঠে (Chandrayaan 3) ভারতের সফট ল্যান্ডিং।’’ বিবিসি মিডিয়াতে স্থান পেয়েছে ভারতের চন্দ্র অভিযান। তারা লিখেছে, ‘‘ভারতের ঐতিহাসিক অভিযান সফল হল।’’ এর পাশাপাশি দক্ষিণ মেরুতে ভারতের এই অবতরণে খবর প্রকাশিত হয়েছে ইউরোপ মহাদেশের একাধিক দেশে। প্রতিবেশী পাকিস্তান রাষ্ট্রের খবরে শিরোনামে ঠাঁই পেয়েছে ভারতের চন্দ্র অভিযান। পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকা এবং ‘জিও নিউজ’ বলছে, ‘‘ভারত হল পৃথিবীর প্রথম দেশ, যারা দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করল।’’ অন্যদিকে চিনের ‘মর্নিং পোস্ট’-এও স্থান পেয়েছে ভারতের এই অভিযান। তাদের শিরোনাম হল, ‘‘পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ ভারতের (Chandrayaan 3)।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share