Tag: Bengali news

Bengali news

  • Gram Panchayat Election: তৃণমূলকে হারিয়ে দত্তপুলিয়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    Gram Panchayat Election: তৃণমূলকে হারিয়ে দত্তপুলিয়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন করল বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।

    কত আসন নিয়ে বিজেপি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল?

    নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বুধবার প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ৩০টি। তার মধ্যে ১৪ টি ছিল বিজেপির দখলে এবং ১৪ টি ছিল তৃণমূলের দখলে। আর দুটি আসনে জয়লাভ করে সিপিএম। এর আগেই একজন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। আর অন্য এক সিপিএম সদস্য তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন। গত ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন ছিল এই পঞ্চায়েতের। দু’পক্ষের আসন সংখ্যা সমান হয়ে যাওয়ায় লটারির মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, লটারি করার পর সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য। তখনকার মতো বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। এদিন ছিল সেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। এদিন প্রধান গঠনের ভোটাভুটিতে ১৬ টি ভোট পায় বিজেপি। আর ১৪ টি ভোট পায় তৃণমূল। এরপরেই নিজেদের প্রধান ঠিক করে পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। বিজেপির প্রধান হলেন ধীরেন্দ্র মিস্ত্রি। তৃণমূলের তরফ থেকে হয় উপপ্রধান। উপপ্রধান হলেন রিম্পা বিশ্বাস মল্লিক।

    কী বললেন বিজেপির সদ্য নির্বাচিত প্রধান?

    বিজেপি প্রধান ধীরেন্দ্র মিস্ত্রির বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে আমরা পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন করেছি। সম্ভবত সিপিএমের ভোট পেয়েই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছি। এটা সত্যের জয় হল। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করা আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে, এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তৃণমূলের সদস্যরা। এমনকী নব নির্বাচিত উপপ্রধান নিজেও মুখ খুলতে চাননি এই বিষয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি (ABSS) শুরু হয়। তারই প্রতিফলন হিসাবে উঠে আসে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের ২৭ টি রাজ্যের মোট ৫০৮ টি রেল স্টেশনের আমূল পরিবর্তন এবং আধুনিকীকরণ ঘটাতে ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেল স্টেশনগুলিকে অত্যাধুনিক মানের হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

    কী এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প (ABSS)?

    অমৃত ভারত প্রকল্প (ABSS) হল ভারতীয় রেল মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের ৫০৮ টি স্টেশনকে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়া, যা হবে বিশ্বমানের। বলা যেতে পারে রেল স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের এক নতুন নীতি এটি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেশনের চাহিদা অনুসারে একটি দীর্ঘমেয়াদী মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলবে।

    পশ্চিমবঙ্গের ক’টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পাবে?

    ভারতে ২৭টি রাজ্যের ৫০৮টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পেতে চলেছে। যার মধ্যে সব রাজ্যের অনেক স্টেশনে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ৯৪ টি স্টেশন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলছে। তার মধ্যে শিয়ালদা, বর্ধমান, রামপুরহাট, আসানসোল, অন্ডাল, সিউড়ি, নিউ কোচবিহার, খড়্গপুর, নিউ আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

    এই প্রকল্পের (ABSS) মূল লক্ষ্যগুলি কী?

    প্রত্যেকটি স্টেশনকে আধুনিকীকরণ ও অত্যাধুনিক মানের গড়ে তোলার পাশাপাশি কতকগুলি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে যেমন:-

    ১) প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রত্যেকটি স্টেশনে যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলিকে অত্যাধুনিক মানের তৈরি করা হবে এবং সেগুলিতে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া ও অন্যান্য পণ্যের দোকান। 
    ২) স্টেশনমুখী বা স্টেশন লাগোয়া সমস্ত রাস্তাকে চওড়া করা হবে এবং রাস্তার পাশে থাকা অবৈধ নির্মাণগুলিকে সরিয়ে ফেলা হবে, যাতে সহজেই যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন এবং স্টেশন থেকে বের হতে পারেন। তার সঙ্গে থাকবে দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা।
    ৩) স্টেশনগুলিকে আগের থেকে উঁচু করে নির্মাণ করা হবে, ৬৭০ থেকে ৮১০ মিলি উঁচু করা হবে। 
    ৪) স্টেশন সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা বিশেষ আলোর মাধ্যমে আলোকিত করা হবে।
    ৫) নিত্যযাত্রীদের স্টেশন চত্বরে পার্কিং ব্যবস্থা সুলভ করার জন্য বিশেষ পার্কিং প্লেস তৈরি করা হবে। 
    ৬) মহিলা এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আধুনিক টয়লেট তৈরি করা হবে।  
    ৭) তহবিল অনুযায়ী সমগ্র ভারতবর্ষে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) অধীনে থাকা স্টেশনগুলিকে পরিবেশ বান্ধব স্টেশন হিসাবে নির্মাণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহকুমার দাবিতেই হোক ভোট, ধূপগুড়িবাসীর এমনটাই মত। কিন্তু, প্রতিবার ভোটের সময় মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হয় না, ধূপগুড়ি সেই তিমিরেই রয়ে যায়। এবারের বিধানসভা উপ নির্বাচনেও একই দাবি তুলেছেন ধূপগুড়িবাসী। বাম আমল থেকেই ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার দাবি উঠে আসছিল। তখনও তা হয়নি, এরপর তৃণমূল আমলেও ধূপগুড়ির এই দাবি ব্রাত্য হয়েই পড়ে রয়েছে।

    কেন মহকুমার দাবি ধূপগুড়িবাসীর? (Dhupguri)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছিলেন ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমায় উন্নীত করা হবে। কিন্তু আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার জন্য ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হয়েছে। মূলত তারাই মহকুমার জন্য সরব হয়েছে। সভা, মিটিং, মিছিল, পোস্টারিং এমনকী মানব বন্ধনও করেছে তারা। মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, ধূপগুড়ি বিধানসভায় দুটি ব্লক রয়েছে। ধূপগুড়ি এবং বানারহাট। এই দুই ব্লকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের বাস। বানারহাট ব্লকের শেষ প্রান্ত চামুর্চি, যা কিনা ইন্দো-ভূটান সীমান্ত। এই এলাকা থেকে কোনও সরকারি কাজ করতে গেলে ৮২ কিমি পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়িতে যেতে হয়। গেলেই যে আধিকারিকদের পাওয়া যাবে তাও নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে একটি কাজের জন্য অনেকবার যেতে হয়েছে। এতদুর পথ পেরিয়ে গিয়ে কাজ করাতে গেলে সারাদিন লেগে যায়। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর বা চা-বাগানের শ্রমিক, সময়ের পাশাপাশি অর্থও নষ্ট হয় এদের। এছাড়া ধূপগুড়িকে এখনও গ্রামীণ হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে হয়। একটু কিছু হলেই রোগীদের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। এই বিষয়গুলি নিয়েই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই দাবিকে পুরোপুরি সমর্থন করে বিজেপির ধূপগুড়ি (Dhupguri)  বিধানসভার কনভেনর চন্দন দত্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধূপগুড়িকে মহকুমা করা তার কাজ চলছে। কিন্তু, আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা করছে। মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিতে চাইছে। মানুষ সব বুঝে গেছে। তাই তারা আর এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভুলবে না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, প্রয়াত বিধায়ক বিগত আড়াই বছরে বিধানসভায় একটি কথা বলেননি। আর যদি মহকুমা কেউ করেন সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন। তাছাড়া হাতে তো আরও সময় আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্তে আছে, তাই এই সব বলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

    Rickets Disease: রিকেট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! কেন এই রোগে শিশুদের ঝুঁকি অনেক বেশি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    হাড়ের সমস্যা আর শুধু বয়সের সীমানায় আটকে থাকছে না। ভারতে অধিকাংশ প্রবীণ নাগরিক একাধিক হাড়ের রোগে ভোগেন। কিন্তু সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শিশুদের মধ্যেও বাড়ছে হাড়ের সমস্যা। রিকেট রোগে (Rickets Disease) কাবু বহু শিশু। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সতর্ক না হলে বহু শিশুর স্বাভাবিক জীবন যাপনে অন্তরায় তৈরি হবে।

    রিকেট রোগ (Rickets Disease) কী? 

    রিকেট এক ধরনের হাড়ের রোগ। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অভাবে এই রোগ (Rickets Disease) দেখা যায়। এই রোগ হলে শিশুদের হাড় দুর্বল হয়ে যায়। ঠিকমতো বৃদ্ধি হয় না। হাত-পা বেঁকে যায়। ধীরে ধীরে সমস্ত কাজ করার শক্তি চলে যায়। কার্যত পঙ্গু হয়ে যায় তারা।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষার রিপোর্ট (Rickets Disease)? 

    সম্প্রতি তেলঙ্গানার এক মেডিক্যাল কলেজের একদল গবেষক-চিকিৎসক রিকেট নিয়ে সমীক্ষা করেন। ওই সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে রিকেট এক স্বাস্থ্য উদ্বেগ হতে চলেছে। ৩০ শতাংশের বেশি ভারতীয় শিশু রিকেট রোগে ভুগছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছেলে। রিকেট রোগে আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে ৭৬ শতাংশই ছেলে। মূলত নবজাতক থেকে পাঁচ বছর বয়সিরাই এই রোগে (Rickets Disease) আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এখনই সতর্ক না হলে মারাত্মক বিপদ হতে চলেছে।

    রিকেট রোগের (Rickets Disease) উপসর্গ কী? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশ কিছু উপসর্গ দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় রিকেট রোগের লক্ষণ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিবারের কেউ হাড়ের সমস্যায় ভুগলে, সতর্কতা জরুরি। বিশেষত, মা ভিটামিন ডি কিংবা ক্যালসিয়ামের অভাবে ভুগলে গর্ভাবস্থায় বিশেষ চিকিৎসা জরুরি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মায়ের থেকে সন্তানের দেহে এই হাড়ের রোগ সংক্রমিত হয়। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুর হাতের কবজি, পায়ের পাতার গঠন রিকেট রোগের (Rickets Disease) জানান দেয়। অস্বাভাবিক চওড়া কপাল, হাতের কবজি বেঁকে যাওয়া, পা সোজা না থাকা এবং মেরুদণ্ড বেঁকে যাওয়ার মতো লক্ষণ স্পষ্ট করে রিকেট রোগ। পাশপাশি, শিশুর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও ঘাটতি দেখা যায়।

    কীভাবে মোকাবিলা হবে এই রোগ (Rickets Disease)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করলে এই রোগ থেকে মুক্তি সম্ভব। পাশপাশি, সচেতনতা পারে এই রোগের মোকাবিলা করতে। তাঁদের পরামর্শ, মা ভিটামিন ডি-র অভাবে ভুগলে শিশুরোগ চিকিৎসককে জানানো উচিত। তাহলে শিশুকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়। তাতে রিকেট রোগের ঝুঁকি কমে। 
    তাছাড়া, এই রোগের ঝুঁকি কমাতে, খাবারের উপর বিশেষ নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের পরামর্শ, ডিমের কুসুম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ খাওয়া জরুরি। কারণ, এগুলো দেহে ভিটামিন ডি-র চাহিদা পূরণ করে। পাশাপাশি, মাল্টা, কমলালেবু, মুসুম্বি লেবুর মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এগুলো শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে। তাছাড়া, দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোতে থাকা জরুরি। তাহলে শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পাবে। এগুলো রিকেট (Rickets Disease) রুখতে সাহায্য করে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Osteoarthritis: “২০৫০ সালে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০০ কোটি!” আরথ্রাইটিস নিয়ে আশঙ্কায় গবেষকরা

    Osteoarthritis: “২০৫০ সালে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০০ কোটি!” আরথ্রাইটিস নিয়ে আশঙ্কায় গবেষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী কেবলমাত্র আরথ্রাইটিসে (Osteoarthritis) আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াবে ১০০ কোটি। এই গভীর আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে ওয়াশিংটনের ল্যানসেট-এর গবেষণা। এই বিশেষ উদ্বেগের কথা প্রকাশিত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই চিন্তায় পড়েছেন।

    গবেষণায় কী বলা হয়েছে (Osteoarthritis)?

    ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন (IHME)-এর পক্ষ থেকে গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডি, ২০২১ সালের বিশেষ সমীক্ষার ভিত্তিতে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে। আর তাতেই রোগের সক্রিয়তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে। এই গবেষণায় বলা হয়েছে, সারা বিশ্বে আরথ্রাইটিসে (Osteoarthritis) আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বিস্ময়কর ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০ সালে এই রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৯ লক্ষ ৫০ হাজার। ১৯৯০ সাল থেকে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যায় বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৩২ শতাংশ এবং রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় প্রায় ২৫ লক্ষ ৬০ হাজার। গবেষণায় বলা হয়, ২০৫০ সালে প্রায় ১০০ কোটি রোগী হবে আরথ্রাইটিসের। এই সংস্থার ল্যানসেট রিউম্যাটোলজি জার্নালের গবেষণাপত্রে বলা হয়, বর্তমানে ৩০ বছরের বয়স বেশি, এমন মানুষের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এই মুহূর্তে বিশ্বের ২০০ টির বেশি দেশে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আইএইচএমই (IHME) গবেষকের বক্তব্য

    ইনস্টিটিউট অফ হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের (IHME) বিশিষ্ট গবেষক এবং লেখক জেইমি স্টেইনমেটজ খুব স্পষ্ট করে বলেন, বিশ্বে যেভাবে জনসংখ্যার বৃদ্ধি ঘটছে, তাতে বেশির ভাগ দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উপর নতুন নতুন চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, তাই সমস্যাগুলিকে নিয়ে আগাম চিন্তাভাবনা শুরু করতে হবে। প্রত্যেক মানুষের শরীরে ওজন বৃদ্ধি নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে। গবেষণার সমীক্ষা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, শরীর ক্রমশ স্থূল এবং ভারী হলে হাড়ের জোড়া অংশে আরথ্রাইটিসের (Osteoarthritis) প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে শরীরের অক্ষমতার জন্য ১৬ শতাংশ এই রোগ কার্যকর ছিল। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে ২০২০ সালে এই রোগের শরীরকে অক্ষম করার মাত্রা ২০ শতাংশ বেশি কার্যকর হচ্ছে। অক্ষমতার গড় হার অনেকটাই বৃদ্ধি হওয়ায় গবেষক এবং চিকিৎসকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আবার আরথ্রাইটিস রোগ নিয়ে ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ পপুলেশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের অধ্যাপক জ্যাসেক কোপেক বলেন, এই রোগে লিঙ্গগত পার্থক্যের কারণগুলি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে এই রোগের প্রাদুর্ভাবে জেনেটিক্স, হরমোনজনিত কারণ এবং শারীরবৃত্তীয় পার্থক্যের একটি বিশেষ ভূমিকা থাকে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon Stomach Problem: বর্ষায় পেটের রোগ! রেহাই পেতে কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    Monsoon Stomach Problem: বর্ষায় পেটের রোগ! রেহাই পেতে কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে হানা দেয় পেটের অসুখ (Monsoon Stomach Problem)। এছাড়া জলবাহিত রোগের আশঙ্কাও থেকে যায়। এ সময় বৃষ্টির কারণে চারদিকেই জমতে থাকে জল। বর্ষাকালেই শরীরে সবথেকে বেশি ব্যাকটেরিয়া (Monsoon Stomach Problem) বা ভাইরাস প্রবেশ করে, যা খাদ্যনালিতে সংক্রমণ ঘটায়। পেটের অসুখ, লিভারে সংক্রমণ সব কিছুই হয় বর্ষাকালে। গ্রামাঞ্চলে ভোট যায় ভোট আসে। কিন্তু পানীয় জলের সমস্যার সমাধান যেন কোনওভাবেই হয় না। এখনও পর্যন্ত পুকুর, নদীর দূষিত জল (Monsoon Stomach Problem) অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন গ্রামের বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে জনসাধারণের ব্যবহার করার জন্য যে টিউবয়েলগুলি বসানো হয় সেগুলি অন্তত ২০০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত থাকা উচিত। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই এই বিধি মানা হয় না। যার ফলে গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে আরম্ভ করে বেশিরভাগ বাসিন্দা আজ অপরিশোধ পানীয় জল খাচ্ছেন। এর ফলে তাঁদের শরীরে প্রবেশ করছে ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস (Monsoon Stomach Problem)।

    পেটের রোগ (Monsoon Stomach Problem) হলে কী করবেন?

    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বর্ষাকালে পেটের রোগ হলেই বাড়িতে বসে না থেকে একেবারে চিকিৎসকের কাছে চলে যান। বর্ষাকালে ইঁদুর, ছুঁচো বেজি ইত্যাদি প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ থেকেও রোগ ছড়ায়। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জাতীয় প্রাণীগুলি মাটিতে থাকে এবং বর্ষাকালে এই প্রাণীগুলির ত্যাগ করা বর্জ্য পদার্থ জলে (Monsoon Stomach Problem) মিশে যায় এবং সেই জমা জল থেকেই ছড়ায় নানা রকমের রোগ। যদি জল জমে যায় রাস্তাঘাটে তাহলে খালি পায়ে যেন কখনও সেই জলের ছোঁয়া (Monsoon Stomach Problem) না লাগে। সর্বদাই বর্ষাকালে জুতো পরতে পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। গ্রামাঞ্চলের থালা-বাসন ধোয়ার জন্য বাসিন্দারা পুকুরের জল ব্যবহার করেন। বদ্ধ পুকুরের জল বর্ষাকালে আরও বেশি দূষিত হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন বেসিলারি এবং অ্যামিবার্ড নামক জীবাণু থেকে আমাশয় হয়। অন্যদিকে সালমানেলা টাইফি নামে জীবাণু সংক্রমণে হয় টাইফয়েড।

    কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখবেন বর্ষাকালে (Monsoon Stomach Problem)?

    বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই সময় খুব বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ডায়েটে (Monsoon Stomach Problem) রাখতে হবে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডও রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার বর্ষাকালে ঈষদুষ্ণ গরম জল খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

    কোন কোন বিধি মেনে চলবেন?

    ১) কাঁচা খাবারে সংক্রমণের (Monsoon Stomach Problem) ঝুঁকি বেশি থাকে। এজন্য খাবার রান্না করে খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    ২) রাস্তার ধারের খাবার (Monsoon Stomach Problem) বর্ষাকালে একেবারেই এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ খাবারের জীবাণু তথা ছত্রাকের সংক্রমণ খুব বেড়ে যায়।

    ৩) খাবার আগে যেমন হাত ভালো করে ধোয়া উচিত, ঠিক একইভাবে সবজি, মাছ, মাংস এগুলো ভাল করে ধুয়ে নেবেন (Monsoon Stomach Problem)।

    ৫) নিজের চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। কারণ জমা জলে সব থেকে বেশি মশার বংশবৃদ্ধি হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সিজগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল সভাপতি

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সিজগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় তৃণমূল নেতা পলাশ কবিরাজের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর থানার সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনগড়িয়া কবিরাজপাড়ায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর-১ নং ব্লকের ১৬ নং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন পলাশ কবিরাজ। তিনি পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তবে, স্থানীয় নেতৃত্ব হিসেবে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সদস্য তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। শত্রুতার সূত্রপাত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে পলাশ কবিরাজের অনুগামীরা তাঁর পক্ষে দাঁড়ায়নি। সেই কারণেই সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রাসমিনা বিবির স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আমীর হামজা বোর্ড গঠনের পর থেকে তাঁকে ফোনে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী বাইকে করে পলাশ কবিরাজের বাড়িতে চড়াও হয়। সকলেই তৃণমূল নেতা আমীর হামজার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়়া হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা?

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতা পলাশ কবিরাজ বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে চেয়েছিলাম। তাই, ঝর্ণা মণ্ডলকে প্রধান করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। আমীর ওর স্ত্রীকে পঞ্চায়েত প্রধান করেছে। বোর্ড গঠনের পর থেকে হুমকি দিচ্ছিল। এবার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে হামলা চালাল। বিষয়টি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার নেতৃত্বকে জানাব।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আমীর হামজা বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। পলাশ কবিরাজ ঋণে জর্জরিত, পাওনাদাররা বহুবার তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। হামলা চালালে তার দায় আমি নেব না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পলাশ থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক। আমরা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Digital India: জার্মান মন্ত্রীর পর বিল গেটস, ভারতের ডিজিটাল ব্যবস্থায় মুগ্ধ ধনকুবের

    Digital India: জার্মান মন্ত্রীর পর বিল গেটস, ভারতের ডিজিটাল ব্যবস্থায় মুগ্ধ ধনকুবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের মার্চ মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন বিশ্বের ধনুকুবের বিল গেটস। সপ্তাহ খানেক তিনি এদেশে ছিলেন। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশগ্রহণ করেন বিল গেটস। সম্প্রতি তাঁর ভারত সফরের অভিজ্ঞতার একটি ছবি তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘সম্প্রতি ভারতে গিয়েছিলাম, সেখানে কুসুমার সঙ্গে দেখা হল। তিনি স্থানীয় পোস্ট অফিসে চাকরিজীবী, খুব ভালো কাজ করছেন। গ্রাহকদের স্মার্ট ফোন এবং বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা প্রদান করেন কুসুমা।’’ ভারতের ডিজিটাল ব্যবস্থার (Digital India) উন্নয়নের ফলে দেশ কিভাবে এগিয়ে চলেছে, সে কাহিনিই তুলে ধরেছেন বিল গেটস। প্রসঙ্গত ২ দিন আগেই বেঙ্গালুরুতে ফুটপাত থেকে সবজি কিনে ডিজিটাল পেমেন্ট করেন জার্মানির তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। ভারতের সহজ ডিজিটাল ব্যবস্থায় (Digital India) মুগ্ধ হন জার্মান মন্ত্রী।

    বিল গেটসের পোস্ট শেয়ার করলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব

    বিল গেটসের ২১ অগাস্টের ওই সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। মোদি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী ক্যাপশনে লেখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দূরদর্শিতার কারণেই এই সফলতা।

    বিল গেটসের পোস্ট

    তাঁর ওই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ধনকুবের আরও লিখছেন যে ভারতীয়রা স্মার্ট ফোন এবং বায়োমেট্রিক্স (Digital India) ব্যবহার করে ব্যাঙ্কিং-এর পরিষেবা পান। এর ফলে পরিষেবা দেওয়ার কাজও যেমন সহজ হয়েছে তেমনি আর্থিকভাবে ক্ষমতায়ন সম্ভব হয়েছে। তাঁর পোস্ট নেটিজনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই পোস্টটি। অনেক নেটিজেন বিল গেটসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। বিল গেটসের ওই পোস্টে জনৈক নেটিজেন লিখছেন, কুসুমার মতো আরও অনেকেই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে টাকা জমা করা, টাকা তোলা, টাকা পাঠানো বা বিল পেমেন্টের মতো ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পান।  প্রসঙ্গত বিভিন্ন সরকারি আর্থিক এবং সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা যাতে খুব সহজেই জনগণের কাছে পৌঁছে যায়, সেজন্য ডিজিটাল ব্যবস্থায় (Digital India) সবথেকে বেশি জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয় ডিজিটাল ইন্ডিয়ার প্রচার এবং কাজ। ডিজিটাল ব্যবস্থায় উন্নয়নের ফলে আগের থেকে অনেক কম সময় লাগে এবং সরাসরি উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যায় টাকা।  ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (Digital India) তৈরির ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের মধ্যে এগিয়ে রয়েছে ভারতবর্ষ, তা শোনা গেল বিল গেটসের মুখে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: তৃণমূলকে হারিয়ে মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    Malda: তৃণমূলকে হারিয়ে মালদার হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশে অবশেষে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল বিজেপি। পর্যাপ্ত পুলিশ ফোর্স নেই, এই কারণ দেখিয়ে এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে আদালতের নির্দেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভোটাভুটিতে বিজেপি এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করে।

    বোর্ড গঠন নিয়ে কী বললেন সদ্য নির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি? (Malda)

    মালদার (Malda) হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট ৩৩ টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি জিতেছিল ১৭ টি আসনে। তৃণমূল কংগ্রেস ১৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সিপিএম দুটি এবং কংগ্রেস একটি আসনে জয়লাভ করে। জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে, তৃণমূলের এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যের পদ খারিজ করে দেয় জেলা প্রশাসন। সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতে সদস্য সংখ্যা হয়ে দাঁড়ায় ৩২। বিজেপি আগে থেকে অভিযোগ করছিল তৃণমূল কংগ্রেস মোটা টাকার বিনিময়ে ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাদের সদস্যদের কেনার চেষ্টা করছে ও অবৈধভাবে পঞ্চায়েত সমিতি দখল করার চেষ্টা করছে। বোর্ড গঠনে উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে বিজেপি র ১৬ জন সদস্য ও একজন কংগ্রেস সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে আসেন। অন্যদিকে, জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সির নেতৃত্বে তৃণমূলের ১৩ জন সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে যান। সিপিএমের দুই সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। ভোটাভুটিতে বিজেপি জয়ী হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার পরই সকলের সামনে কেঁদে ফেলেন সুখীরানি সাহা। তিনি বলেন, তৃণমূল ও পুলিশের অত্যাচারে একমাস অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলাম। বাড়িতে থাকতে পারছিলাম না। এই জয় সাধারণ মানুষের জয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, যেভাবে তৃণমূল নোংরামি করেছে তার যোগ্য জবাব তারা পেয়েছে। হবিবপুর ব্লকের বিডিও ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তর মালদার বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, আদালত থেকে নির্দেশ দিয়েছে। সেই কারণেই আজ প্রশাসন বাধ্য হল বোর্ড গঠন করতে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বলেন, এই হার হবে তা জানা ছিল। কারণ, এখানে বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। তাই, তারা বোর্ড গঠন করবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student Death: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গেটে বসছে সিসিটিভি, ইঙ্গিত উপাচার্যের

    JU Student Death: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত গেটে বসছে সিসিটিভি, ইঙ্গিত উপাচার্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রদের একাংশের আপত্তি উড়িয়ে যাদবপুরে বসতে চলেছে সিসিটিভি (JU Student Death)। জানা গিয়েছে, প্রতিটি গেটেই সিসিটিভি লাগানোর পরিকল্পনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মোট ১১টি সিসিটিভি বসতে চলেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। গেটগুলির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল প্রশাসনিক ভবনেও (অরবিন্দ ভবন) সিসিটিভি থাকছে। হস্টেলের গেটেও থাকবে সিসিটিভি (JU Student Death)। মেয়েদের হস্টেলেও একইভাবে নজরদারি চালানো হবে সিসিটিভির মাধ্যমে। 

    মঙ্গলবারই সিসিটিভি বসানোর ইঙ্গিত দেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য

    মঙ্গলবারই সিসিটিভি বসানো নিয়ে ইঙ্গিত (JU Student Death) দেন অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রসঙ্গত এর আগেই রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন সিসি ক্যামেরা বসানো হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রদের একাংশ এতে আপত্তি জানাতে থাকে। জানা গিয়েছে, সম্ভব হলে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের পরবর্তী মিটিংয়ের আগেই ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর কাজ সেরে ফেলবে কর্তৃপক্ষ। গত ৯ অগাস্ট মেন হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। স্বপ্নদীপের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে (JU Student Death) র‌্যাগিং-এর অভিযোগ ওঠে (JU Student Death)। ওই রাতে তাঁকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগও ওঠে হস্টেলের বারন্দায়। তারপর থেকেই হস্টেলের প্রথম বর্ষের ছাত্রদের সরিয়ে আনা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের নিউ বয়েজ হস্টেলে তাঁরা থাকছেন।

    বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ হস্টেলে

    মঙ্গলবার বুদ্ধদেব সাউ জানান, প্রত্যেক ভবনের এন্ট্রি পয়েন্টে সিসিটিভি থাকবে। প্রসঙ্গত, হস্টেলগুলি হয়ে উঠেছে বহিরাগতদের অবাধ বিচরণের জায়গা। শুধু তাই নয়, হস্টেলে প্রতিদিন মদের আসর এবং ছাদে উঠে প্রতিবেশী পোদ্দার পাড়ার মহিলাদের অশালীন কটূক্তি করার মতো অভিযোগও উঠেছে (JU Student Death)। বারবার প্রমাণ হচ্ছে যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কোনও রকম আইন-শৃঙ্খলা নেই। রেজিস্ট্রার থেকে ডিন অফ স্টুডেন্টস সকলেই কার্যত একথা স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি স্নেহমঞ্জ বসু এও জানিয়েছেন, হস্টেলে অ্যালকোহল এবং ড্রাগ নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ঢুকতে গেলে তাদের দেখাতে হবে পরিচয়পত্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share